Tag: Bengali news

Bengali news

  • Ramakrishna 320: “আমি তো টাকার জন্য যাই না—আমি হরিনাম শুনতে যাই—আর তুমি লাট সাহেব”

    Ramakrishna 320: “আমি তো টাকার জন্য যাই না—আমি হরিনাম শুনতে যাই—আর তুমি লাট সাহেব”

    দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৬শে অক্টোবর
    গৃহস্থাশ্রমকথা-প্রসঙ্গে—নির্লিপ্ত সংসারী

    “খুব ভক্তি (Ramakrishna)! আমি বরাহনগরে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি, তা আমায় ছাতা ধরে! ওর বাড়িতে লয়ে গিয়ে কত যত্ন! বাতাস করে—পা টিপে দেয়—আর নানা তরকারি করে খাওয়ায়। আমি একদিন ওর বাড়িতে পাইখানায় বেহুঁশ হয়ে গেছি। ও তো আচারী, পাইখানার ভিতর আমার কাছে গিয়ে পা ফাঁক করে বসিয়ে দেয়। অত আচারী, ঘৃণা করলে না।

    “কাপ্তেনের অনেক খরচা। কাশীতে ভায়েরা থাকে, তাদের দিতে হয়। মাগ আগে কৃপণ ছিল, এখন এত বিব্রত হয়েছে যে সবরকম খরচ করতে পারে না।

    “কাপ্তেনের পরিবার আমায় বললে যে, সংসার ওঁর (Ramakrishna) ভাল লাগে না। তাই মাঝে বলেছিল, সংসার ছেড়ে দেব। মাঝে মাঝে ছেড়ে দেব, ছেড়ে দেব করত।

    “ওদের বংশই ভক্ত। বাপ লড়ায়ে যেত। শুনেছি লড়ায়ের সময় এক-হাতে শিবপূজা, একহাতে তরবার খোলা, যুদ্ধ করত।

    “লোকটা ভারী আচারী। আমি কেশব সেনের কাছে যেতুম, তাই এখানে একমাস আসে নাই। বলে, কেশব সেন ভ্রষ্টাচার—ইংরাজের সঙ্গে খায়, ভিন্ন জাতে মেয়ের বিয়ে দিয়েছে, জাত নাই। আমি (Ramakrishna) বললুম, আমার সে সবের দরকার কি? কেশব হরিনাম করে, দেখতে যাই, ঈশ্বরীয় কথা শুনতে যাই—আমি কুলটি খাই, কাঁটায় আমার কি কাজ? তবুও আমায় ছাড়ে না; বলে তুমি কেশব সেনের ওখানে কেন যাও? তখন আমি বললুম, একটু বিরক্ত হয়ে, আমি তো টাকার জন্য যাই না—আমি হরিনাম শুনতে যাই—আর তুমি লাট সাহেবের বাড়িতে যাও কেমন করে? তারা ম্লেচ্ছ, তাদের সঙ্গে থাকো কেমন করে? এই সব বলার পর তবে একটু থামে।

    “কিন্তু খুব ভক্তি। যখন পূজা করে, কর্পূরের আরতি করে। আর পূজা করতে করতে আসনে স্তব করে। তখন আর-একটি মানুষ। যেন তন্ময় হয়ে যায়।”

  • Nabanna Abhijan: চিঁড়ে ভিজল না মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে, ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানের ডাক বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের

    Nabanna Abhijan: চিঁড়ে ভিজল না মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে, ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানের ডাক বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে কাজ হল না! তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় আর ভিজল না চিঁড়ে। তাই এবার নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) ডাক দিলেন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের একটা বড় অংশ। ২১ এপ্রিল হবে অভিযান (Suvendu Ahdikari)। তাঁদের দাবি, তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের অভিযানে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ও। আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযান করেছিল এই সংগঠন। বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের এই অভিযানে তারা পাশে চেয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারিকেও। এই অভিযানে যোগ দিচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীদের সংগঠন ‘সংগ্রামী যৌথমঞ্চ’। এই মঞ্চ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে ডিএর দাবিতে।

    শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাৎ (Nabanna Abhijan)

    জানা গিয়েছে, সোমবার বিধানসভায় শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করতে যান চাকরিহারাদের একাংশ। তখনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তাঁদের এই নবান্ন অভিযানে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। যদিও চাকরিহারাদের তরফে এখনও এ বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। শুভেন্দু বলেন, “১৫ এপ্রিলের মধ্যে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ না হলে লাখো মানুষ পতাকা ছাড়াই নবান্নের দিকে পা বাড়াবে।” নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন ২০০৯ সাল থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের ১২টি সংগঠন। সংগঠনগুলির একাংশের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এসএসসির চাকরিহারারাও নবান্ন অভিযানে তাদের পাশে থাকবে। মঙ্গলবার ওই অভিযানে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজও (Nabanna Abhijan)।

    ‘আমরা চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াব’

    পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের সদস্য সায়ন লাহিড়ি বলেন, “ভারতে গুরুশিষ্য পরম্পরা অতি প্রাচীন। আমরা হাজার হাজার চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াব। এটা আমাদের কর্মসূচি নয়। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে ছাত্র সমাজকে পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।” আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে গত অগাস্টে নবান্ন অভিযান করেছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সেবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল অভিযানকারীদের। গ্রেফতার করা হয়েছিল ছাত্র সমাজের সদস্য সায়নকে। পরে হাইকোর্ট জামিন দেয় সায়নকে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। সেখানেও রায় হয় জামিনের পক্ষেই। এদিকে, নবান্ন অভিযানে পুলিশের বিরুদ্ধে দমনপীড়নের অভিযোগ (Suvendu Ahdikari) তুলে পরের দিন বাংলা বনধের ডাক দিয়েছিল বিজেপি (Nabanna Abhijan)।

  • Modi Shah: এনডিএ আমলেই বেশি বরাদ্দ পেয়েছে তামিলনাড়ু, মনে করালেন মোদি-শাহ

    Modi Shah: এনডিএ আমলেই বেশি বরাদ্দ পেয়েছে তামিলনাড়ু, মনে করালেন মোদি-শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৪০ দিনে দুবার বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব তামিলনাড়ুকে (Tamil Nadu) মনে করিয়ে দিলেন যে, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের তুলনায় বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার কেন্দ্র থেকে তামিলনাড়ুকে তিনগুণ বেশি অর্থ দিয়েছে। সেই সময় ডিএমকে এনডিএ জোটের অংশ ছিল। তামিলনাড়ু নির্বাচনের আগে এটি বিজেপির একটি মূল বার্তা (Modi Shah)। রবিবার রামেশ্বরমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ কথা বলেন। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে কোয়েম্বাটোরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও একই কথা বলেছিলেন।এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত এক দশকে, কেন্দ্রীয় সরকার তামিলনাড়ুকে যে অর্থ বরাদ্দ করেছে, তা ২০১৪ সালের আগের তুলনায় তিন গুণ বেশি। তবুও কিছু মানুষের অকারণে অভিযোগ করার অভ্যাস আছে। তারা সব সময় কিছু না কিছু নিয়ে কাঁদতে থাকে। মোদি সরকার তামিলনাড়ুকে যে পরিমাণ অর্থ দিয়েছে, তা ইন্ডি জোটের ক্ষমতায় থাকার সময়ের চেয়ে তিন গুণ বেশি। ডিএমকে সেই সরকারেরই অংশ ছিল।”

    কী বলেছিলেন শাহ (Modi Shah)

    ২৬ ফেব্রুয়ারি কোয়েম্বাটোরে ভাষণ দিয়েছিলেন শাহ। তিনি আরও স্পষ্টভাবে বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন। বলেছিলেন, “নরেন্দ্র মোদি সরকার ২০১৪-২৪ সময়কালে রাজ্যটিকে ৫,০৮,৩৩৭ লাখ কোটি টাকা দিয়েছে। আমি পরিসংখ্যান দিয়ে বলছি। তৎকালীন ইউপিএ সরকারের আমলে (২০০৪-২০১৪) তামিলনাড়ু মাত্র ১.৫২ লাখ কোটি টাকা পেয়েছিল। আর আপনি কিনা বলছেন মোদি সরকার অবিচার করছে। কিন্তু ইউপিএ শাসনকালেই রাজ্যটির প্রতি অবিচার হয়েছিল, যখন আপনি সেই সরকারের অংশ ছিলেন।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এছাড়াও এনডিএ সরকার তামিলনাড়ুর পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ১.৪৩ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য

    শীর্ষ সরকারি সূত্রে খবর, এটি বিজেপির একটি প্রচার। কেন্দ্রীয় সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে তামিলনাড়ুকে অর্থ বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত করেছে, বারবার এমনই মন্তব্য করেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। তারই জবার দিতে রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে বক্তব্য পেশ করেন মোদি-শাহ। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন (Tamil Nadu), “বিকশিত ভারতের যাত্রায় তামিলনাড়ুর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এবং আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে তামিলনাড়ু যত শক্তিশালী হবে, ভারতের উন্নয়ন তত দ্রুততর হবে।” তিনি বলেন, “কেন্দ্র তামিলনাড়ুর অর্থনৈতিক ও শিল্প বিকাশে ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তামিলনাড়ুর পরিকাঠামো সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। গত এক দশকে তামিলনাড়ুর জন্য রেলওয়ে বাজেট সাত গুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৪ সালের আগে, তামিলনাড়ুর রেলওয়ে প্রকল্পগুলির জন্য বার্ষিক বরাদ্দ ছিল মাত্র ৯০০ কোটি টাকা (Modi Shah)।”

    পাম্বান রেলওয়ে ব্রিজের উদ্বোধন

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন রামানাথপুরম জেলার রামেশ্বরমে নয়া পাম্বান রেলওয়ে ব্রিজের উদ্বোধন করেন। এটি ভারতের পরিকাঠামোর উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। প্রধানমন্ত্রী একটি রিমোটের সাহায্যে সেতুর উল্লম্ব লিফট স্প্যানটি পরিচালনা করেন। এর ফলে কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ নীচ দিয়ে চলে যায়। নয়া উদ্বোধন করা কাঠামোটি দেশের প্রথম উল্লম্ব লিফট রেলওয়ে সমুদ্র সেতু, যা দেশীয় প্রযুক্তিতে একটি বড় অগ্রগতি। রবিবার ছিল রামনবমী। এদিন তামিলনাড়ুতে সড়ক ও বিভিন্ন রেল প্রকল্প মিলিয়ে প্রায় ৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকার নির্মাণ কাজেরও সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

    পাম্বান রেলওয়ে ব্রিজ

    রেল সূত্রে খবর, শতবর্ষ প্রাচীন সেতুটি অকেজো হওয়ায় প্রায় ৭০০ কোটি টাকা খরচ করে নয়া সেতুটি তৈরি করেছে রেল। প্রধানমন্ত্রী মান্নার উপসাগরে দেশের প্রথম সেই উল্লম্বভাবে উত্তোলিত রেল সেতুর উদ্বোধন করেন। প্রায় ২.০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর মাঝ বরাবর জাহাজ চলাচলের পথ খোলা রাখতে তৈরি করা হয়েছে ৭২ মিটার লম্বা ও ৬৪০ টন ওজনের উল্লম্ব একটি অংশ। বৈদ্যুতিক মোটর ও ক্রেনের সাহায্যে (Tamil Nadu) তা জলস্তর থেকে ১৭ মিটার উঠে পথ খুলে দেবে। পুরানো পাম্বান সেতুতে ওই চ্যানেল খুলতে সময় লাগত ৪৫ মিনিটের বেশি। নয়া সেতুতে সেই কাজটিই হয়ে যাবে মাত্র সাড়ে পাঁচ মিনিটে। আর্দ্র আবহাওয়ায় সেতু সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ প্রযুক্তিতে এমন রং করা হয়েছে, যা প্রায় ৩৮ বছর পর্যন্ত সুরক্ষিত থাকবে (Modi Shah)।

    এদিন প্রধানমন্ত্রী চেন্নাইয়ের রামেশ্বরম ও তাম্বারমের মধ্যে একটি নয়া ট্রেন পরিষেবার উদ্বোধনও করেন। এর ফলে আরও উন্নত হবে আঞ্চলিক যোগাযোগ। যাত্রী ও তীর্থযাত্রীরা আরও মসৃণভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন। নীলগিরির এই অনুষ্ঠানে অবশ্য উপস্থিত ছিলেন না তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন (Tamil Nadu)। এই অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, ইউপিএ সরকারের চেয়ে এনডিএ সরকারের আমলে ঢের বেশি বরাদ্দ পেয়েছে তামিলনাড়ু (Modi Shah)।

  • Pradhan Mantri Mudra Yojana: ‘‘অসংখ্য মানুষকে সুযোগ দিয়েছে’’, ১০ বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার প্রশংসায় মোদি

    Pradhan Mantri Mudra Yojana: ‘‘অসংখ্য মানুষকে সুযোগ দিয়েছে’’, ১০ বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার প্রশংসায় মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার (Pradhan Mantri Mudra Yojana) ১০ বছর পূর্তি। এই উপলক্ষে মঙ্গলবার এই ফ্ল্যাগশিপ স্কিমের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “মুদ্রা যোজনা অসংখ্য মানুষকে তাদের উদ্যোগী দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ দিয়েছে। এই প্রকল্পের কিছু সুবিধাভোগীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাদের যাত্রা প্রেরণাদায়ক।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (Pradhan Mantri Mudra Yojana)

    প্রধানমন্ত্রী তাঁর আলোচনায় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প মূল্যায়ন ও উন্নত করার প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘এই সরকার এমন যে এটি দশ বছর পরে কোনও প্রকল্পের ফল মূল্যায়ন করে। আমরা সুবিধাভোগীদের তাদের অভিজ্ঞতা জানতে চাইছি এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে উন্নতি আনা হবে।’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, মুদ্রা যোজনা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য উদ্যোক্তা তৈরি করে মানসিকতায় মৌলিক পরিবর্তন এনেছে। এ পর্যন্ত এই প্রকল্পের অধীনে ৫২ কোটিরও বেশি ঋণ বিলি করা হয়েছে, যার অপরিশোধিত ঋণের হার আশ্চর্যজনকভাবে কম। প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা (PMMY) অ-কর্পোরেট, অ-কৃষি ক্ষুদ্র ও অতি ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলিকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জামানতবিহীন ঋণ দান করে। এই প্রকল্প উৎপাদন, বাণিজ্য ও সেবা খাতের পাশাপাশি ডেয়ারি, পোল্ট্রি এবং মৌমাছি পালনের মতো কৃষি-সম্পর্কিত ক্ষেত্রে যাঁরা রোজগার করতে চান, তাঁদের জন্য।

    প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার সুবিধা কারা পায়?

    প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা (Pradhan Mantri Mudra Yojana) মূলত অ-কর্পোরেট, ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলিকে সাহায্য করে যেগুলি সাধারণত একক মালিকানায় বা অংশীদারিত্বে পরিচালিত হয়। এর মধ্যে নানা ধরনের স্থানীয় উদ্যোক্তারা রয়েছেন। যেমন, ক্ষুদ্র উৎপাদনকারী, দোকানদার ও বিক্রেতা, অটো ও ট্রাক চালক, খাবারের স্টল ও সেবা প্রদানকারী, কারিগর ও মেরামত টেকনিশিয়ান, কুটির শিল্প ও প্রক্রিয়াকরণকারী (PM Modi)। এই তৃণমূলস্তর পর্যায়ে পৌঁছানোর কারণে মুদ্রা সমতাভিত্তিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।

    প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনায় ঋণ কীভাবে পাওয়া যাবে?

    প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার অধীনে ঋণ দেওয়া হয় মেম্বার লেন্ডিং ইনসস্টিটিউশন (MLIs)-এর একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। এর মধ্যে রয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি খাতের ব্যাঙ্ক, আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক (RRB), রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক, মাইক্রো ফাইনান্স ইনস্টিটিউশন (MFI), নন-ব্যাঙ্কিং ফাইনান্সিয়াল কোম্পানি (NBFC), ক্ষুদ্র অর্থ ব্যাঙ্ক (SFB) এবং মুদ্রা লিমিটেড দ্বারা অনুমোদিত অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান। মুদ্রা ঋণের সুদের হার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান দ্বারা নির্ধারিত হয়। ঋণগ্রহীতার প্রোফাইল ও উদ্যোগের প্রকৃতিভেদে এই সুদের হার ভিন্ন হতে পারে।

    চার্জ এবং প্রসেসিং ফি

    ব্যাঙ্কগুলি তাদের (Pradhan Mantri Mudra Yojana)অভ্যন্তরীণ নীতির ভিত্তিতে অগ্রিম ফি ধার্য করতে পারে। তবে ‘শিশু’ লোনের প্রসেসিং ফি সাধারণত বেশিরভাগ ব্যাংকই মকুব করে দেয়। এটি প্রথমবার এবং ক্ষুদ্রঋণগ্রহীতাদের জন্য সুবিধা নিশ্চিত করে। অর্থমন্ত্রক ও পিআইবির তথ্য অনুযায়ী, মুদ্রা লোনের ৬৮ শতাংশ গ্রহণ করেছেন মহিলা উদ্যোক্তারা। ৫০ শতাংশ অ্যাকাউন্ট এসসি, এসটি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। আর ১১ শতাংশ সংখ্যালঘুদের দ্বারা গৃহীত। এ সবই এই প্রকল্পের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত (PM Modi)।

    লোনের বিভাগ এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের চাহিদা

    মুদ্রা লোন তিনটি ভাগে বিভক্ত। এগুলি হল, শিশু (৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত), কিশোর কিশোর (৫০,০০০ – ৫ লাখ টাকা) এবং তরুণ (৫ – ১০ লক্ষ টাকা)। উচ্চমূল্যের লোনের দিকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। ২০২৫ অর্থবর্ষে কিশোর লোন বিলির পরিমাণ ছিল ৪৪.৭ শতাংশ। ২০১৬ অর্থবর্ষের চেয়ে এই বৃদ্ধির হার ৫.৯ শতাংশ। এই সময়ে গড় লোনের আকার তিনগুণ বেড়ে ৩৮,০০০ টাকা থেকে ১.০২ লক্ষ টাকায় পৌঁছেছে।

    মহিলাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সহায়তা

    ২০১৬ অর্থবর্ষ (Pradhan Mantri Mudra Yojana) থেকে ২০২৫ অর্থবর্ষ পর্যন্ত, মহিলাদের গড় ঋণ ১৩ শতাংশ (PM Modi) সিএজিআরে বৃদ্ধি পেয়ে ৬২,৬৭৯ টাকা হয়েছে। অন্যদিকে তাঁদের গড় ডিপোজিট ব্যালেন্স বার্ষিক ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৯৫,২৬৯ টাকায় পৌঁছেছে। মহিলাদের জন্য বেশি লোন বিতরণকারী রাজ্যগুলিতে মহিলা নেতৃত্বাধীন এমএসএমইতে কর্মসংস্থান বেশি দেখা গিয়েছে। এমএসএমইদের জন্য ২০১৪ অর্থবর্ষে ঋণ ৮.৫১ লাখ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৪ অর্থবর্ষে হয়েছে ২৭.২৫ লাখ কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষে এটি ৩০ লাখ কোটি টাকার গন্ডি পার করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সামগ্রিক ব্যাঙ্ক ঋণের মধ্যে এমএসএমই ঋণের অংশ ১৫.৮ শতাংশ থেকে প্রায় (PM Modi) ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে (Pradhan Mantri Mudra Yojana)।

  • Muslim Rashtriya Manch: ওয়াকফ আইন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বিরোধীরা, মোকাবিলায় পথে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ

    Muslim Rashtriya Manch: ওয়াকফ আইন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বিরোধীরা, মোকাবিলায় পথে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে দেশের সর্বনাশ করে ছেড়েছেন তাঁরা। তার পরেও ক্ষমতায় ফিরতে নয়া ওয়াকফ আইন (Waqf Act) নিয়ে গুজব এবং অপপ্রচার করে চলেছে বিরোধী দলগুলি। অথচ খোদ মুসলমানদেরই একটা বড় অংশ সমর্থন করছেন ওয়াকফ আইনকে। জনমানসে বিভ্রান্তি কাটাতে এবং বিরোধীদের অপপ্রচারের জবাব দিতে পথে নামছে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ (Muslim Rashtriya Manch)। মঞ্চের সিদ্ধান্ত, নয়া আইন সম্পর্কে গুজব দূর করতে এবং বিভ্রান্তি কাটাতে দেশজুড়ে ১০০টিরও বেশি প্রেস কনফারেন্স করা হবে। আয়োজন করা হবে ৫০০-রও বেশি আলোচনাসভার। নয়া ওয়াকফ আইন নিয়ে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের মেন্টর ইন্দ্রেশ কুমার জানান, নয়া ওয়াকফ আইন নিয়ে যে ভুল ধারণা ও গুজব ছড়ানো হয়েছে, তা দূর করতে তাঁরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

    কী বললেন ইন্দ্রেশ কুমার (Muslim Rashtriya Manch)

    দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ইন্দ্রেশ কুমার। সেখানেই তিনি বলেন, “এই আইনের উদ্দেশ্য এবং সুবিধাগুলি প্রতিটি ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য মঞ্চ সারা দেশে ১০০টিরও বেশি প্রেস কনফারেন্স এবং ৫০০টিরও বেশি সেমিনারের আয়োজন করবে। এই আইন মুসলিম সম্প্রদায়ের আত্মমর্যাদা, ন্যায়বিচার ও সমানাধিকারকে আরও বেশি করে শক্তিশালী করবে।” দীর্ঘদিন ধরে ওয়াকফ সম্পত্তির অপব্যবহার ও অব্যবস্থাপনার বিষয়গুলির উল্লেখ করে ইন্দ্রেশ কুমার বলেন, ওয়াকফ সংশোধনী আইন এই সম্পত্তিগুলির স্বচ্ছ ও সমতাভিত্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করবে। এর ফলে উপকৃত হবেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। তিনি বলেন, “নয়া এই আইন কারও বিরুদ্ধে নয়, বরং সকল মুসলমানের স্বার্থেই প্রণয়ন করা হয়েছে।”

    যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানের বক্তব্য

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল সম্পর্কিত যৌথ সংসদীয় কমিটির (JPC) চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল বলেন (Muslim Rashtriya Manch), “এই নয়া আইনটিতে সম্মতি দিতে গোটা দেশ যেন একজোট হয়েছে, এমন একটা অদ্ভুত অনুভূতি তৈরি হয়েছে।” নয়া ওয়াকফ আইনকে (Waqf Act) মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি বিপ্লবী পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করে তিনি বলেন, “এই আইনটি সমাজে দীর্ঘদিনের ভুল ধারণা, দুর্নীতি ও অবিচার দূর করতে একটি সুবর্ণ সুযোগ দিয়েছে।” জেপিসির চেয়ারম্যান বলেন, “এই আইনটি কেবল ওয়াকফ সম্পত্তির স্বচ্ছ ও অ্যাকাউন্টেবল ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করবে না, বরং সমাজের সবচেয়ে দুর্বল ও বঞ্চিত অংশের অধিকার সুরক্ষিত করতেও সাহায্য করবে।”

    কী বলছেন রামলাল

    আরএসএস নেতা রামলাল ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে আস্থা ও সম্প্রীতি বাড়ানোর দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “এই পরিবর্তন ভারতীয় সমাজকে নতুন শক্তি দেবে এবং সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এই মন্ত্র বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।” রামলাল আরও বলেন, “নতুন এই আইনটি কেবল একটি আইনি পরিবর্তন নয়, বরং এটি সামাজিক ও নৈতিক সংস্কারের দিকে একটি বড় অগ্রগতি (Muslim Rashtriya Manch)।” রামলাল জনগণকে তাদের নিজ নিজ অঞ্চলে নতুন ওয়াকফ আইনের (Waqf Act) ইতিবাচক দিকগুলি সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান, যাতে সমাজের প্রতিটি অংশ এর তাৎপর্য বুঝতে পারে।

    ওয়াকফ আইন

    ওয়াকফ আইনটি সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়ার পর এবং গত সপ্তাহে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর অনুমোদন পাওয়ার পর আইনে পরিণত হয়েছে। এই বিলটি নিয়ে ১২ ঘণ্টা বিতর্কের পর ৩ এপ্রিল ভোর রাতে লোকসভায় পাশ হয়। সেখানে বিলটি সমর্থন করেছিলেন ২৮৮ জন সদস্য। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ২৩২ জন। এরপর ৪ এপ্রিল সকালে রাজ্যসভায় বিলটি পাশ হয়। সেখানে ১২৮ সদস্য সমর্থন করেছিলেন, বিরোধিতা করেছিলেন ৯৫ জন। নয়া এই আইনটি ভারতের ওয়াকফ সম্পত্তির ম্যানেজমেন্ট ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ব্যবস্থা উন্নত করার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইন সংশোধন করে করা হয়েছে। এরা মুসলিমদের দ্বারা দান করা সম্পত্তি পরিচালনা করে।

    সরকারের দাবি

    নয়া আইন অনুযায়ী, ওয়াকফ কাউন্সিলে সর্বোচ্চ চারজন অমুসলিম সদস্য থাকতে হবে, যার মধ্যে দু’জন মহিলা সদস্যও থাকবেন। এছাড়াও, কোনও সম্পত্তি ওয়াকফের না সরকারের, তা এখন থেকে জেলা কালেক্টরের পদমর্যাদার ঊর্ধ্বের পদস্থ কর্তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের বিষয় (Muslim Rashtriya Manch)। বিরোধী দলগুলি নয়া ওয়াকফ আইনের সমালোচনা করে একে অসাংবিধানিক ও মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক বলে অভিহিত করেছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এটি কোনও মুসলিম-বিরোধী পদক্ষেপ নয়, বরং নতুন এই আইন ওয়াকফ সম্পত্তি ম্যানেজমেন্টে স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে (Waqf Act)। কংগ্রেস, এআইএমআইএম এবং আপ-সহ বিরোধী দলগুলির কিছু নেতা নয়া ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পৃথক আবেদন দাখিল করেন (Muslim Rashtriya Manch)।

  • Ramakrishna 319: “কাপ্তেনের বেদ, বেদান্ত, শ্রীমদ্ভাগবত, গীতা অধ্যাত্ম—এ-সব কণ্ঠস্থ, তুমি আলাপ করে দেখো।”

    Ramakrishna 319: “কাপ্তেনের বেদ, বেদান্ত, শ্রীমদ্ভাগবত, গীতা অধ্যাত্ম—এ-সব কণ্ঠস্থ, তুমি আলাপ করে দেখো।”

    দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ  

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৬শে অক্টোবর

    গৃহস্থাশ্রমকথা-প্রসঙ্গে—নির্লিপ্ত সংসারী

    “দেখলাম, যোগ ভোগ দুই-ই আছে; অনেক ছেলেপুলে, ছোট ছোট; ডাক্তার এসেছে; তবেই হল, অত জ্ঞানী হয়ে সংসার নিয়ে সর্বদা থাকতে হয়। বললুম (Kathamrita), তুমি কলির জনক। ‘জনক এদিক উদিক দু’দিক রেখে খেয়েছিল দুধের বাটি’। তুমি সংসারে থেকে ঈশ্বরে মন রেখেছো শুনে তোমায় দেখতে এসেছি; আমায় ঈশ্বরীয় (Ramakrishna) কথা কিছু শুনাও।

    “তখন বেদ থেকে কিছু কিছু শুনালে। বললে, এই জগৎ যেন একটি ঝাড়ের মতো, আর জীব হয়েছে—এক-একটি ঝাড়ের দীপ। আমি এখানে পঞ্চবটীতে যখন ধ্যান করতুম ঠিক ওইরকম দেখেছিলাম। দেবেন্দ্রের কথার সঙ্গে মিলল দেখে ভাবলুম, তবে তো খুব বড়লোক। ব্যাখ্যা করতে বললাম—তা বললে (Kathamrita) ‘এ জগৎ কে জানত?—ঈশ্বর মানুষ করেছেন, তাঁর মহিমা প্রকাশ করবার জন্য। ঝাড়ের আলো না থাকলে সব অন্ধকার, ঝাড় পর্যন্ত দেখা যায় নাঞ্চ।”

    ব্রাহ্মসমাজে ‘অসভ্যতা’—কাপ্তেন, ভক্ত গৃহস্থ 

    “অনেক কথাবার্তার পর দেবেন্দ্র খুশি হয়ে বললে, ‘আপনাকে উৎসবে (ব্রহ্মোৎসবে) আসতে হবে!’ আমি বললাম (Kathamrita), সে ঈশ্বরের ইচ্ছা; আমার তো এই অবস্থা দেখছ!—কখন কি ভাবে রাখেন।’ দেবেন্দ্র বললে, ‘না আসতে হবে; তবে ধুতি আর উড়ানি পরে এসো,—তোমাকে এলোমেলো দেখে কেউ কিছু বললে, আমার কষ্ট হবে।’ আমি বললাম, ‘তা পারব না। আমি বাবু হতে পারব না।’ দেবেন্দ্র, সেজোবাবু সব হাসতে (Ramakrishna) লাগল।

    “তারপরদিনই সেজোবাবুর কাছে দেবেন্দ্রর চিঠি এল—আমাকে উৎসব দেখতে যেতে বারণ করেছে। বলে—অসভ্যতা হবে, গায়ে উড়ানি থাকবে না। (সকলের হাস্য)

    (মহিমার প্রতি)—“আর-একটি আছে—কাপ্তেন। সংসারী বটে, কিন্তু ভারী ভক্ত। তুমি আলাপ করো।

    “কাপ্তেনের বেদ, বেদান্ত, শ্রীমদ্ভাগবত, গীতা অধ্যাত্ম—এ-সব কণ্ঠস্থ। তুমি আলাপ করে দেখো।

    “খুব ভক্তি! আমি বরাহনগরে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি, তা আমায় ছাতা ধরে! ওর বাড়িতে লয়ে গিয়ে কত যত্ন! বাতাস করে—পা টিপে দেয়—আর নানা তরকারি করে খাওয়ায়। আমি একদিন ওর বাড়িতে পাইখানায় বেহুঁশ হয়ে গেছি। ও তো আচারী, পাইখানার ভিতর আমার কাছে গিয়ে পা ফাঁক করে বসিয়ে দেয়। অত আচারী, ঘৃণা করলে না।

  • Maoists Surrender: মাওবাদীদের ‘ভাই’ সম্বোধন শাহের, আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই আত্মসমর্পণ তিন কমান্ডার-সহ ২৬ জনের

    Maoists Surrender: মাওবাদীদের ‘ভাই’ সম্বোধন শাহের, আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই আত্মসমর্পণ তিন কমান্ডার-সহ ২৬ জনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নকশাল ভাইদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা অস্ত্রসমর্পণ করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসুন।” শনিবার ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) এক সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মাওবাদীদের (Maoists Surrender) উদ্দেশে এই বার্তাই দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছিলেন, “একজন মাওবাদীর মৃত্যু হলেও, আমরা আনন্দিত হই না।” শাহের এই ভাই সম্বোধনের পর আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই আত্মসমর্পণ করলেন ২৬ জন মাওবাদী। সোমবার ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনের দান্তেওয়াড়া জেলার তিন মাওবাদী কমান্ডার-সহ আত্মসমর্পণ করলেন ২৬ জন গেরিলা। কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের কাছে আত্মসমর্পণ করেন তাঁরা।

    মাওবাদী কমান্ডারের মাথার দাম (Maoists Surrender)

    পুলিশ জানিয়েছে, তিন মাওবাদী কমান্ডারের মাথার দাম ছিল সাড়ে চার লাখ টাকা। দান্তেওয়াড়ার পুলিশ সুপার গৌরব রাই বলেন, “অন্তর্দ্বন্দ্ব ও নাশকতার আদর্শের প্রতি মোহভঙ্গের কারণেই এঁরা আত্মসমর্পণ করে সমাজের মূল স্রোতে শামিল হচ্ছেন।” তিনি জানান, নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএর বস্তার ডিভিশনে সক্রিয় বিভিন্ন দলমের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন আত্মসমর্পণকারী ২৬ নেতা-কর্মী। পুলিশ জানিয়েছে, আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীরা জনমিলিশিয়া, বিপ্লবী পার্টি কমিটি, জনতানা সরকার, দণ্ডকারণ্য আদিবাসী কিষান মজদুর সংগঠন এবং চেতনা নাট্যমণ্ডলীর মতো শাখা সংগঠনগুলির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। তাঁর দাবি, এঁদের আত্মসমর্পণ নিরাপত্তা বাহিনীকে বাড়তি মনোবল জোগাবে। তিনি বলেন, “আমাদের গ্রাম, আমাদের পুলিশ প্রচার কর্মসূচির ফলেই এই সাফল্য।”

    মাওবাদীমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা

    এদিন যাঁরা আত্মসমর্পণ (Maoists Surrender) করেছেন তাঁদের মধ্যে রাজেশ কাশ্যপ আমদই অঞ্চলের জনমিলিশিয়া কমান্ডার হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ৩ লাখ টাকা। জনতানা সরকার স্কোয়াডের প্রধান কোসা মাদভি ও সিএনএমের নেতা ছোটু কুঞ্জামের মাথার দাম ছিল যথাক্রমে এক লাখ ও ৫০ হাজার টাকা। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদীমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছত্তিশগড়ে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে মাওবিরোধী অভিযান আরও গতি পেয়েছে। গত বছর বস্তার অঞ্চলে মাওদমন অভিযানে মৃত্যু হয়েছিল ২৮৭ জনের। গ্রেফতার করা হয়েছে হাজারেরও বেশি জনকে। সে বছর আত্মসমর্পন করেছিলেন ৮৩৭ জন। চলতি বছরে মাত্র তিন মাসে খতম হয়েছেন ১৩০ জন মাওবাদী। এতেই চাপে পড়ে গিয়েছে মাওবাদীরা। এদিকে, সরকার ডাক দিয়েছে ঘরে ফেরার (Chhattisgarh)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে ঘরে ফিরছেন মাও-গেরিলারা (Maoists Surrender)।

  • Mamata SSC Jobless Meet: যোগ্য কারা? কীভাবে আলাদা করা হল অযোগ্যদের? মমতার বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির

    Mamata SSC Jobless Meet: যোগ্য কারা? কীভাবে আলাদা করা হল অযোগ্যদের? মমতার বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারির জেরে বাতিল হয়েছে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্যানেল। তার পরেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত হতে থাকে অসন্তোষের আগুন। সেই আগুনের আঁচ যাতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে না পড়ে, তাই সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চাকরি হারানো শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata SSC Jobless Meet)। এই বৈঠকের উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন তুললেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

    সুকান্তর বক্তব্য

    তিনি বলেন, “যোগ্য-অযোগ্যদের মিলিয়ে দিতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। সরকার চাইলে যোগ্য-অযোগ্যদের অনেক আগেই আলাদা করতে পারত।” তিনি বলেন, “প্রথম থেকেই তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে দুধ আর জলকে মিলিয়ে দিতে হবে। আজকের মিটিংয়ের উদ্দেশ্যও তাই। কোনওভাবেই যেন আলাদা করা না যায়। গন্ডগোলটা তো ওখানেই হচ্ছে। যোগ্যদের সঙ্গে অযোগ্যদেরও ডাকা হয়েছে (Mamata SSC Jobless Meet)। এই অযোগ্যরা তৃণমূল নেতাদের টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে।” মন্ত্রী বলেন, “সরকার চাইলে কারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে আর কারা মেধার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছে, সেই তালিকা আদালতের সামনে আনতে পারত। সরকার এখনও তা আনেনি। তাদের উদ্দেশ্য, হয় ব্যাপারটাকে ঘেঁটে দাও, যোগ্য-অযোগ্যদের মিলিয়ে দাও, যাতে কেউ ধরা না পড়ে। অথবা পুরো প্যানেলটাই বাতিল হয়ে যাক, যাতে কারও ঘাড়ে দোষ না পড়ে। যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করলেই বিপদ। তাহলে যারা টাকা দিয়েছে, তারা টাকা ফেরত চাইবে।”

    গেট পাস নিয়ে গুচ্ছ প্রশ্ন

    এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের বৈঠকে যোগ দিতে দেখাতে হয়েছে গেট পাস। তাতে লেখা ‘আমরা যোগ্য’। কোন নিরিখে যাদের গেট পাস দেওয়া হয়েছে তারা যোগ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যেমন প্রশ্ন উঠছে, এই গেট পাস কে ইস্যু করেছে? কারাই বা দিয়েছে? গেট পাস দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ১৪৪জনকে। অথচ চাকরি খুইয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী। বিরোধীদের প্রশ্ন, তাহলে হাইকোর্ট যাদের অযোগ্য বলে দাগিয়ে দিয়েছিল, তারাই কি এদিনের বৈঠকে (Mamata SSC Jobless Meet) ডাক পেয়েছিলেন? পেয়েছিলেন ‘আমরা যোগ্য’ লেখা গেট পাস? রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এরা কেউ প্রকৃত মেধাযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা বা শিক্ষাকর্মী নয়। এরাই চব্বিশে ভোট করেছে, ভোট লুটের কাজও করেছে। ডায়মন্ড হারবারে তো টেন্টেড শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের দিয়ে ভোট করানো হয়েছে। ওখানে সাত লক্ষ ভোট পাওয়া নিয়ে তো আমি আরটিআই-ও করেছিলাম। কিন্তু এখনও উত্তর মেলেনি। এবার আমি ভোটে আদালতে যাব।”

    তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে পাস বিলি!

    শুভেন্দুর (BJP) দাবি, “তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে চাকরিহারাদের সভার পাস বিলি হয়েছে।” এদিন বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যোগ্যদের বৈঠকে ডেকেছিলেন। কিন্তু এদিন মাত্র ৭ হাজার পাস বিলি হয়েছে। তার মানে ১৮ হাজারকে অযোগ্য ঘোষণা করেছেন মমতা।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারও জড়িত। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নন, উনি তৃণমূল নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক ডাকলে ২৬ হাজার জনকেই বৈঠকে ডাকতেন। মুখ্যমন্ত্রী মানবিক নন। উনি ৭ হাজার জনের জন্য পাস জারি করেছেন। কাদাপাড়ায় তৃণমূল দফতর থেকে পাস বিলি করা হয়েছে। এরা সবাই তৃণমূলের গুন্ডা।” শুভেন্দু বলেন, “৭ হাজার পাস বিলি করে বলছে আমরা যোগ্যদের ডেকেছি (Mamata SSC Jobless Meet)। তার মানে ১৮ হাজার অযোগ্য। এই তালিকাটা কেন সুপ্রিম কোর্টে দিয়ে দিল না?”

    দম্ভ না দেখালে ২৬ হাজারের এই পরিণতি হত না! 

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০২২ সালে সাড়ে পাঁচ হাজার অবৈধ বলেছিলেন। সেদিন যদি দম্ভ-ঔদ্ধত্য না দেখিয়ে স্বীকার করে নিত, তাহলে আজ ২৬ হাজারের এই পরিণতি হত না।” তিনি বলেন (BJP), “কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করতে সুপ্রিম কোর্টে করের ২০০ কোটি টাকা খরচ করেছে। এই টাকা খরচ করা হয়েছে এই সাড়ে ৫ হাজার অযোগ্যকে বাঁচাতে। সেই টাকা তুলেছে ভাইপো। সেটা বলে দিয়েছে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। যিনি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের এমডি। এই সংস্থারই অন্যতম ডিরেক্টর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়।”

    প্রসঙ্গত, যোগ্যদের ভিড়ে যে অযোগ্যরাও লুকিয়ে রয়েছে, এদিন তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়ও। তিনি বলেন, “আগে যোগ্যদের বিষয়টি মিটে যাক। তারপর যাদের অযোগ্য বলা হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কী কী তথ্য আছে আমি দেখব। সব কাগজপত্র তদন্ত করে দেখব। সত্যি যদি তারা অযোগ্য বলে প্রমাণিত হয়, তখন (BJP) আর আমার কিছু করার থাকবে না (Mamata SSC Jobless Meet)।”

  • Shaheen Bagh: পাল্টে গেল শাহিনবাগ! ওয়াকফ আইনের সমর্থনে মুসলিমদের মিছিল, মোদির প্রশংসায় উঠল স্লোগান

    Shaheen Bagh: পাল্টে গেল শাহিনবাগ! ওয়াকফ আইনের সমর্থনে মুসলিমদের মিছিল, মোদির প্রশংসায় উঠল স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার খবরের শিরোনামে চলে এল দিল্লির শাহিনবাগ (Shaheen Bagh)। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে এই শাহিনবাগেই দীর্ঘদিন ধরে চলেছিল আন্দোলন। কয়েকশো মহিলা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সেখানে ধর্নায় বসেছিলেন (Waqf Property)। রবিবার সেই শাহিনবাগেই বের হল বিশাল মিছিল। নয়া ওয়াকফ আইনের সমর্থনেই এদিন পদযাত্রায় যোগ দেন মুসলিমরা। ‘ক্লিন ওখলা গ্রিন ওখলা’ সংগঠনের আহ্বায়ক শাহজাদ আলি ইদ্রিসি বলেন, ‘ক্লিন ওখলা গ্রিন ওখলা’ সংগঠনের এই সমাবেশে শাহিনবাগ ও পার্শ্ববর্তী ওখলা – উভয়ই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা থেকে ৭০ জনেরও বেশি মুসলিম পদযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন।

    পদযাত্রায় মুসলিমরা (Shaheen Bagh)

    তিনি বলেন, “ওয়াকফ সংশোধনী বিলের সমর্থনে সংগঠনের কর্তারা বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জাতীয় সভাপতি জামাল সিদ্দিকির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।” ইদ্রিসি বলেন, “এতকাল ধরে স্বঘোষিত মুসলিম নেতারা, আইএমপিএলবি এবং রাজনৈতিক সুবিধাবাদীরা আমাদের সম্প্রদায়ের কথাকে হাইজ্যাক করে রেখেছে। আজ শাহিনবাগ দেখিয়ে দিয়েছে যে তারা প্রগতির পক্ষে, তাদের পক্ষে নয় যারা ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবহার করে তাদের সাম্রাজ্য গড়ে তোলে বা অশান্তির সৃষ্টি করে।” তিনি বলেন, মুসলিম নারীরা, যাঁদের অনেকেই একসময় একই রাস্তায় সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাঁরাও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সংস্কার আনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাতে পদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। এদিনের পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন সিদ্দিকি। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বেশ কিছু মুসলিম ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন। তিনি বলেন, “এটি রাজনীতি সম্পর্কিত কোনও বিষয় নয়। এটি গরিব ও প্রান্তিক সম্প্রদায়ের অধিকার ফিরে পাওয়ার বিষয়। ওয়াকফ লুটের মাধ্যমে যারা নিজেদের (Waqf Property) পকেট ভারী করেছে, তাদের মুখোশ খুলে দেওয়ার বিষয় (Shaheen Bagh)।”

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল

    প্রসঙ্গত, ৩০ মার্চ লোকসভায় পাশ হয় ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫। বিলটি রাজ্যসভায়ও পাশ হয়ে যায়। পরে অনুমোদনের জন্য সেটি পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করায় মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই বিলটি পরিণত হয় আইনে। ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে নানা সময় বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, ধর্মীয়, সামাজিক ও দাতব্য কাজের জন্য দান করা ওয়াকফ সম্পত্তি (Waqf Property) রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ধর্মগুরু ও মধ্যস্বত্বভোগীদের ব্যক্তিগত জমিদারিতে পরিণত হয়েছিল।

    দেশজুড়ে সমীক্ষা

    বিলটি লোকসভায় পেশ করার আগে কেন্দ্রীয় সরকার দেশজুড়ে একটি সমীক্ষা করে। সেই সমীক্ষায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। বেরেলিতে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে একটি বাড়ির উল্লেখ থাকলেও, প্রকৃত পক্ষে সেখানে ছিল ২১টি দোকান, দুটি বাড়ি এবং একটি মসজিদ। হাথরাসে তহশিল রেকর্ডে ওয়াকফ সম্পত্তিকে অবৈধভাবে ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছিল। ছত্তিশগড়ের রায়পুরে ৫ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ওয়াকফ সম্পত্তি থেকে আয় হয়েছিল মাত্র ৫ লাখ টাকা। রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান সালিমরাজ স্বীকার করেন, “প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবৈধ রেজিস্ট্রির পর প্রাইম ওয়াকফ সম্পত্তিতে দোকান ও শোরুম খুলেছে।” বিহারে শিয়া ও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে (Shaheen Bagh)।

    এআইএমপিএলবির বিরুদ্ধাচরণ করার ডাক

    ভামসি ডিজিটাল পোর্টালে হাজার হাজার আনভেরিফায়েড ওয়াকফ সম্পত্তি জমা হয়েছে। তা সত্ত্বেও উত্তরপ্রদেশের সুন্নি ও শিয়া বোর্ড সহ রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলি দুবছর আগে জমা দেওয়া সমীক্ষায় প্রাপ্ত ডেটা যাচাই করতে ব্যর্থ হয়েছে। রাজস্থানেই ৭০৬টি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল হওয়ায় ভাজনলাল শর্মার নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার রাজ্যস্তরে তদন্ত শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, এদিনের পদযাত্রাটি কেবল ওয়াকফ বিল আইনে পরিণত হওয়ার কারণেই নয়, এটি ছিল অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের (এআইএমপিএলবি) বিরুদ্ধে এক হওয়ার ডাক। কারণ এই সংস্থাই সুপ্রিম কোর্টে নয়া আইনের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে এবং দেশব্যাপী বিক্ষোভ প্রদর্শনের ডাক দিয়েছে (Waqf Property)।

    কী বললেন সিদ্দিকি

    এদিন সিদ্দিকি সাফ জানিয়ে দেন, “এআইএমপিএলবির কোনও আইনি সংস্থা নয়, জনমানসে তাদের কোনও গ্রহণযোগ্যতাও নেই, অথচ তারা দাবি করে যে তারা সব মুসলমানের পক্ষে কথা বলে। আমি আগেই তাদের ‘বোর্ড’ শব্দটি সরানোর জন্য লিখিত অনুরোধ করেছি। এখন আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তাদের অর্থনীতি, কার্যক্রম এবং মুসলমানদের ভুল পথে চালিত করার ভূমিকা তদন্তের অনুরোধ করব (Shaheen Bagh)।”

    উল্লেখ্য, এই সংস্থাটি মূলত ধর্মীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য গঠিত হলেও, এখন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সংস্কারে বাধা দেওয়া, অবৈধ ওয়াকফ সম্পত্তি দখল রক্ষা করা এবং চরমপন্থী গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার। ইদ্রিসি বলেন, “ওয়াইসি ও মাদানি পরিবার নিয়ন্ত্রণ হারানোর ভয়ে আছে। এই দেশের গরিব মুসলমানদের চাকরি, শিক্ষা ও নিরাপদ বাসস্থান (Waqf Property) চাই, কেবল বিক্ষোভ নয় (Shaheen Bagh)।”

  • PM Modi: মোদি-ইউনূস বৈঠক, রাজনৈতিক ফয়দা তুলতে অপব্যাখ্যা করছে প্রধান উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠরা!

    PM Modi: মোদি-ইউনূস বৈঠক, রাজনৈতিক ফয়দা তুলতে অপব্যাখ্যা করছে প্রধান উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাইল্যান্ডে বিমস্টেক সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। সেখানে বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠক নিয়ে অপপ্রচার করছেন বাংলাদেশিদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

    ফেসবুক পোস্টে অপব্যাখ্যা (PM Modi)

    ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘৮৪ বছর বয়সি নোবেল জয়ী ব্যাংককে শুক্রবার তাঁদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের অনুরোধ করেন। এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়াটি নেতিবাচক ছিল না।’ হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধ সম্পর্কে ইউনূসের প্রেস সচিব যে মন্তব্য করেছেন, তার কোনও ভিত্তি নেই বলেই সূত্রের খবর। সূত্রের দাবি, এই ধরনের প্রচেষ্টা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সিরিয়াসনেস ও সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেয়।

    ইউনূসের প্রেস সচিবের অপব্যাখ্যা

    প্রধানমন্ত্রী মোদি ও ইউনূসের বৈঠকের সময় আলম বলেন, ‘ভারতীয় নেতা (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) নোবেলজয়ীর প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। তাঁর কাজের উচ্চ প্রশংসাও করেন।’ এক আধিকারিকের দাবি, যদিও ভারতের সঙ্গে হাসিনার সুসম্পর্ক রয়েছে, তবুও প্রধানমন্ত্রী মোদি নাকি ইউনূসকে বলেছিলেন যে ভারত তাঁর (ইউনূসের) প্রতি হাসিনার অসম্মানজনক আচরণ লক্ষ্য করেছে। গত বছর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য যে অনুরোধ জানিয়েছিল, নয়াদিল্লি এখনও তার কোনও জবাব দেয়নি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র বিক্ষোভের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা। সেই থেকে তিনি রয়েছেন ভারতেই। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) ইউনূস ও তাঁর আগের সরকারের মধ্যের সম্পর্ক সংক্রান্ত মন্তব্যেরও অপব্যাখ্যা করা হয়েছে।

    সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেছেন এবং একে “আমাদের সমাজ ও জনগণের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব” হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। অথচ, আলম তাঁর ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, ‘ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন পথ খুঁজতে চায়।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি ইউনূসকে কয়েকবার বলেছেন যে ভারতের সম্পর্ক বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে, কোনও নির্দিষ্ট দল বা ব্যক্তির সঙ্গে নয়।’ ইউনূসের বক্তব্য উদ্ধৃত (Bangladesh) করে আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ভারতের সঙ্গে সর্বোত্তম সম্পর্ক চান, তবে তা ন্যায্যতা, সমতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে হওয়া উচিত।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে মোদি-ইউনূসের বৈঠক নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়িয়ে গদি আঁকড়ে থাকতে চান ইউনূসের সাঙ্গপাঙ্গরা (PM Modi)।

    প্রসঙ্গত, ভারতের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছিলেন যে পরিবেশকে বিষাক্ত করে এমন বক্তব্য এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিশেষত হিন্দুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সংক্রান্ত ভারতের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন এবং আশা প্রকাশ করে যে বাংলাদেশ সরকার তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, বিশেষ করে তাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার মামলাগুলি যথাযথ তদন্ত করবে (PM Modi)।

LinkedIn
Share