Tag: Birbhum

Birbhum

  • Madan Mitra:  অনুব্রতহীন বীরভূমে পঞ্চায়েত ভোটে ফল নিয়ে একী বললেন মদন মিত্র?

    Madan Mitra: অনুব্রতহীন বীরভূমে পঞ্চায়েত ভোটে ফল নিয়ে একী বললেন মদন মিত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। কালারফুল বয়। ইদানিং তাঁর বক্তব্য নিয়ে শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। দলের অন্দরেই অনেক নেতা প্রকাশ্যে সমালোচনাও করেছেন। কিছুদিন আগে তাঁর একটি বক্তব্য নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাতে ডোন্ট কেয়ার। নিজের মতো করে খোশমেজাজে থাকেন শাসক দলের দাপুটে এই কালারফুল নেতা (Madan Mitra)। অনুব্রতহীন বীরভূমের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল কেমন হবে তা নিয়ে দলের অন্দরেই জোর চর্চা চলছে। দুদিন আগেই বীরভূমের নানুরে দলীয় সভায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে বেলঘরিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে এসে তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বলেন, অনুব্রতের নেতৃত্বে সাংগঠনিক ক্ষমতা এমন জায়গায় পৌঁচ্ছে ছিল যে ও নেই মানে অনেকেই ধরে নিয়েছে বীরভূমে আমরা হেরে যাব। এটা বলতে পারি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবার বীরভূম সব থেকে ভাল রেজাল্ট দেবে। আমি তো নির্বাচনের সময় ওই জেলায় যেতে পারব না। তবে, দল অনুমতি দিলে আমি বীরভূমের সীমান্ত পর্যন্ত যাব। দল আমাকে ঢোল দিলে আমি বীরভূম সীমান্তে দাঁড়িয়ে চড়াম চড়াম করে ঢোল বাজাব। অনুব্রতের মতো করে এসব কথা বলে ভোটের  কর্মীদের মনোবল চাঙা করতে চাইছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    পঞ্চায়েত ভোটে কর্মীদের কী দেওয়ার কথা বললেন মদন মিত্র?

    অনুব্রত মণ্ডলের সৌজন্যে গত কয়েকটি নির্বাচনের সময় গুড় বাতাসা, নকুল দানা, চড়াম চড়াম সহ নতুন নতুন অনেক শব্দে রাজনীতির ময়দানে আমদানি হয়েছিল। শুধু তৃণমূল নেতা কর্মীরা নয় বিরোধী দলের নেতারাও এই সব শব্দ ব্যবহার করে অনুব্রতকে বার বার কটাক্ষ করেছেন। এদিন কামারহাটির বিধায়ক (Madan Mitra) বলেন, পঞ্চায়েতে দল যেখানে দায়িত্ব দেবে সেখানে যাব। গুড় বাতাসা খারাপ জিনিস নয়। গরমে গ্রামের মানুষকে এখনও গুড় বাতাসা দেওয়া হয়। তবে, পঞ্চায়েতে আমাদের যে সব কর্মীরা গরমের মধ্যে দলের হয়ে খাটবেন, তাদের জন্য গুড় বাতাসা নয়, মিনারেল ওয়াটার দেব। চিলড ওয়াটার দেব। আর অনুব্রত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জ্যান্ত বাঘের থেকে জখম বাঘ অনেক ভয়ানক। ওরা (পড়ুন বিজেপি) যদি মনে করে একজন অনুব্রতকে আটকে রাখলেই বাংলা ফাঁকা হয়ে যাবে তাহলে ওরা ভুল করছে। কারণ, রাজ্যে একটিই মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি তার ছায়ার সঙ্গে লড়াই করছে। আমাদের মতো লক্ষ লক্ষ কর্মী রয়েছে। ফলে, বিজেপি যে স্বপ্ন দেখছে তা সফল হবে না। আর অনুব্রত না থাকলেও পঞ্চায়েতে বীরভূমে তৃণমূল ভাল ফল করবে।

    সাগরদিঘিতে দলের ভরাডুবি নিয়ে তিনি (Madan Mitra) মুখ খোলেন। তিনি বলেন, সাগরদিঘিতে কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম জোট হয়েছিল। রাজ্যে একটি আসন নেই। মানুষের কাছে সহানুভূতি চেয়ে ভোট আদায় করেছে। কার ভোট কোথায় গিয়েছে তা রেজাল্টে তা প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। ফলে, মানুষ সব বুঝে গিয়েছে। এসব জোট করে কোনও লাভ হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: দিল্লিতে অনুব্রত মণ্ডল কেমন থাকবেন জানালেন দিলীপ ঘোষ

    Dilip Ghosh: দিল্লিতে অনুব্রত মণ্ডল কেমন থাকবেন জানালেন দিলীপ ঘোষ

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ জল্পনার অবসান। অবশেষে দোল উত্সবের দিন দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হল অনুব্রত মণ্ডলকে। সেখানে নিয়ে গিয়ে তিনি কেমন থাকবেন, তাঁর উপর নির্যাতন চালানো হবে কি না তা নিয়ে শাসক দলের অন্দরেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই, অনুব্রতহীন ভোট হবে বীরভূমে। তাই, ওই জেলায় শাসক দলের নেতা কর্মীদের কাছে এবার পঞ্চায়েত নির্বাচন মস্তবড় চ্যালেঞ্জ। বীরভূম জেলার নেতারা সেটা প্রকাশ্যে স্বীকার করছেন। শুধু তাই নয়, দিল্লি নিয়ে গিয়ে তাঁর উপর নির্যাতন চালানোরও আশঙ্কা করছেন অনেকে। দুদিন আগেই বীরভূমের নানুরে দলীয় সভায় প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক গদাধর হাজরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপি কর্মীদের হুঁশিয়ারি দেন। প্রকাশ্য সভায় তিনি বলেছিলেন, অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে বীরভূমের সংগঠন ভেঙে দেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে। দিল্লিতে অনুব্রত মণ্ডলকে কষ্ট দেওয়া হলে, এই জেলায় বিজেপি কর্মীদের আমরা কষ্ট দেব। এবার দিল্লিতে গিয়ে অনুব্রত কেমন থাকবেন তা প্রকাশ্যে জানিয়ে দিলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। পূর্ব মেদিনীপুরে দোল উত্সবে যোগ দিতে এসে তিনি বলেন, শীত ছিল বলে আগে নিয়ে হয়নি। এখন গরম পড়েছে আরামে সেখানে থাকতে পারবেন। দিল্লি গিয়ে অনুব্রত লস্যি খাবেন। সেখানে সুখেই থাকবেন। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিন্তা বীরভূমে ভোট করাবে কি করে !  সেজন্য তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। অনুব্রতের মতো অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে, কারণ প্রকৃত সত্য যাতে বেরিয়ে না আসে। সত্য একদিন উদঘাটন হবে।

     ডিএ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে এ কী বললেন দিলীপ ঘোষ ? Dilip Ghosh

    ডিএ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমার মুন্ডু কেটে নিলেও আমি এর বেশি ডি এ দিতে পারব না। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর করা বক্তব্যকে কটাক্ষ করেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মাথা নিয়ে কি চচ্চড়ি হবে ?  রাজ্য সরকারি কর্মীরা কাজ করছেন। ডিএ তাঁদের ন্যায্য পাওনা। তাঁদের ডিএ দিতে হবে। মঙ্গলবার দোল উত্সবের দিনে সকাল থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক সাংগঠনিক জেলায় আবির খেলায় মাতেন বিজেপি সাংসদ (Dilip Ghosh)। এদিন মেচেদার শান্তিপুরে ভবতারিণী মন্দির এবং হরি মন্দিরে পুজো দেন। দলীয় কর্মী সমর্থকদের আবির মাখিয়ে মিষ্টিমুখ করেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Palash Flower: লাল পাহাড়ির দেশে শ্বেত পলাশেই মজেছে পর্যটকরা, একটি গাছের দাম জানেন?

    Palash Flower: লাল পাহাড়ির দেশে শ্বেত পলাশেই মজেছে পর্যটকরা, একটি গাছের দাম জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বসন্ত মানেই প্রকৃতি প্রেমী আম বাঙালির কাছে ডেস্টিনেশন হচ্ছে পুরুলিয়া। রাস্তার দুধারে পলাশের (Palash Flower) লাল ফুলে রঙীন হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। প্রকৃতির এই অপরূপ শোভা চাক্ষুস করতেই কলকাতা থেকে বহু পর্যটক লাল পাহাড়ির দেশে ছুটে যান। বহু কবির লেখার জাদুতে এই লাল পলাশ ফুলই আমাদের মনের মণিকোটায় আরও বেশি করে জায়গা করে নিয়েছে।  কিন্ত, এবার বসন্তে লাল পলাশ (Palash Flower) নয়, লাল পাহাড়ির দেশে ভিভিআইপি হয়ে উঠেছে শ্বেত পলাশ গাছ। শুধু এক ঝলক এই গাছকে দেখতে পর্যটকরা হুড়ার মতো প্রত্যন্ত এলাকায় ছুটে যাচ্ছেন। রাতারাতি পর্যটকদের মূল আকর্ষণ হয়ে উঠেছে এই শ্বেত পলাশ (Palash Flower)। পুরুলিয়ার হুড়ায় এই গাছের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তবে, শুধু হুড়া নয়, বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের পাহানা গ্রামে এবং নদীয়ার তেহট্ট এই গাছের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

    শ্বেত পলাশ গাছ বাড়িতে থাকলে কত টাকার আপনি মালিক জানেন? Palash Flower

    আর পাঁচটা গাছের মতোই পুরুলিয়ার হুড়ার মালি স্বপন মাহাত শ্বেত পলাশ গাছের (Palash Flower) পরিচর্চা করতেন। ভাগলপুরের এক যুবক এই গ্রামে এসে বিভিন্ন গাছের ছাল, আঠা সংগ্রহ করতেন। এই সব দিয়ে তিনি আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি করতেন। তাঁর নজরে পড়ে যায় এই গাছ। সকলের আড়ালেই এই গাছের ছাল, আঠা সংগ্রহ করে তিনি নিয়ে যান। পরে, ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি বিরল এই শ্বেত পলাশের (Palash Flower) মাহাত্ম্যের কথা বলেন। একজন-দুজন হতে কথাটি পাঁচ কান হয়ে যায়। খবর যায় জেলা উদ্যান পালন দপ্তরে। সেখান থেকে আধিকারিকরা এসে গাছটি পর্যবেক্ষণ করেন। উদ্যান পালন দপ্তরের পক্ষ থেকে সন্ধান চালিয়ে তেহট্ট এবং ময়ূরেশ্বরের হদিশ পাওয়া যায়।  কলকাতার অনেকের কাছেই এই খবর পৌঁছাই। তাঁরা ছুটে এসেছেন হুড়ায়। এক বছরের জন্যেই শ্বেত পলাশ গাছ লিজ নেওয়ার জন্য ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দর উঠেছে। গাছের মালিক স্বপনবাবু গাছের এই দাম শুনেই হতবাক। তিনি এখনও লিজে দিতে রাজি হননি। তাঁর ধারণা, এই গাছের মূল্য আরও অনেক বেশি। তাই, এখনই এই গাছকে তিনি কারও কাছে হাতছাড়া করতে নারাজ। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, একটি গাছের জন্য ২০ লক্ষ টাকা লিজে নিতে চাইছেন। এরকম গাছ বাড়িতে পাঁচটি থাকলে তো কোটিপতি।

    পুরুলিয়া জেলার উপ উদ্যান পালন অধিকর্তা সমরেন্দ্রনাথ খাঁড়া বলেন, এই গাছের ফুল, ছাল, আঠা অত্যন্ত ঔষধি গুণসম্পন্ন। ক্যান্সার প্রতিরোধক, বন্ধ্যাত্ম দূরীকরণসহ একাধিক কাজে ব্যবহার করা হয়। এখনও পর্যন্ত হাতে গোনা কয়েকটি জায়গায় আমরা এই গাছের সন্ধান পেয়েছি।  এই গাছটিকে নিয়ে আমাদের পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। গাছটি সংরক্ষণ এবং সংখ্যায় আরও বেশি পরিমাণে বাড়ানোর জন্য রাজ্য দপ্তরে আমরা চিঠি দিয়েছি। আর জানতে পেরেছি, ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই গাছটিকে রক্ষা করার জন্য সমস্ত রকম উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে একী বললেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা?

    Anubrata Mondal: অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে একী বললেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে গিয়ে যদি কষ্ট দেওয়া হয়, বীরভূম জেলার বিজেপি কর্মীদের আমরা কষ্ট দেব। রবিবার বীরভূমের নানুরে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা এই মন্তব্য করেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাঁর এই হুমকি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    বিজেপি কর্মীদের ঠিক কী হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক? Anubrata Mondal

    সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। জেল থেকে ছাড়া না পেলে এবার প্রথম অনুব্রতহীন (Anubrata Mondal) পঞ্চায়েত ভোট হবে এই জেলায়। স্বাভাবিকভাবে এটা জেলা নেতৃত্বের কাছে মস্তবড় চ্যালেঞ্জ। এদিনের সভায় গদাধরবাবু বলেন, অনুব্রত মণ্ডলকে(Anubrata Mondal) নিয়ে গিয়ে এই জেলার সংগঠন শেষ করার যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তা হতে দেব না। জেলা কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ সহ আমরা সকলে রয়েছি। সামনের পঞ্চায়েত এবং লোকসভা নির্বাচনে আমরা দেখিয়ে দেব, অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে ওরা যদি আঘাত করে, কষ্ট দেয় তাহলে এই জেলার বিজেপি কর্মীদের কষ্ট দেব। এই জেলায় বিজেপিকে কী করে শেষ করতে হয় সেটা দেখিয়ে দেব।

    কে এই গদাধর হাজরা?  একসময় গদাধর হাজরা নানুর বিধানসভার (২০১১-২০১৬) বিধায়ক ছিলেন। বিধায়ক থাকার সময় তিনি নানুরের দাপুটে নেতা কাজল শেখের সঙ্গ ছেড়ে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) অনুগামী হয়েছিলেন। ২০১৬ সালে দল তাঁকে টিকিট দিলেও তিনি জিততে পারেননি। বলা ভাল, তার বিরুদ্ধ গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত কাজল শেখ তাঁর জয়ের পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। নানুরে সেবার সিপিএম জয়ী হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি গেরুয়া শিবিরে কিছুদিনের জন্য নাম লিখিয়েছিলেন। সেখানেও খুব বেশিদিন টিকতে না পেরে ফের তৃণমূলে ফিরে আসেন। একসময় জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি হয়ে গোটা বীরভূম চষে বেরিয়েছিলেন। এখন তৃণমূলে ফেরার পর তিনি কার্যত কোণঠাসা। তিনি এখন নানুর ব্লকের মাত্র দুটি অঞ্চলের সভাপতি।  জেলা কোর কমিটির নেতা কাজল শেখ, নানুরের বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাঝি এবং নানুরের ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যের হাতেই এলাকার রাশ রয়েছে। ফলে, জেলা তো দূরের কথা নানুরে খুব বেশি দাপট দেখাতে পারে না বলে দলের অন্দরেই এই নিয়ে চর্চা রয়েছে। এমনকী দলীয় মিটিংয়ে তাঁকে ডাকা হত না বলে দলীয় নেতাদের কাছে তিনি উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। এমনকী কিছুদিন আগে সংবাদ মাধ্যমের সামনে সেকথা বলতে গিয়ে গদাধরবাবু বলেছিলেন, নানুরের ব্লক সভাপতি গ্রুপবাজি করছে। আমাকে মিটিংয়ে না ডাকলে কেন যাব? তাঁর বক্তব্যেই পরিষ্কার নানুরে তৃণমূল আড়াআড়িভাবে বিভক্ত। যদিও রবিবার নানুরের সভায় এক মঞ্চে দলীয় বিধায়ক, ব্লক সভাপতির সঙ্গে গদাধরবাবুকে এক আসনে বসতে দেখা গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাঁর এই হুমকি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)   নামকে সামনে রেখে বিজেপি কর্মীদের হুমকি দিয়ে দলীয় কর্মীদের কাছে আগের মতো তিনি প্রাসঙ্গিক হতে চাইছেন বলে রাজনৈতিক মহল করছেন।

    তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের মন্তব্যকে কোনওভাবে আমল দিতে নারাজ বিজেপির বীরভূম জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা। তিনি বলেন, পাঁচিলের উপরে বসেঅনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে গিয়ে যদি কষ্ট দেওয়া হয়, বীরভূম জেলার বিজেপি কর্মীদের আমরা কষ্ট দেব। রবিবার বীরভূমের নানুরে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা এই মন্তব্য করেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাঁর এই হুমকি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। ওরা এখন জল মাপছে। মানুষ আর ওদের কথা বিশ্বাস করবে না। আর ওই নেতা নিজেই দলে কোণঠাসা রয়েছেন। বিজেপি কর্মীদের হুমকি দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাজার গরম করার চেষ্টা করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Kajal Sheikh: লোকসভা ভোটের সময় কীভাবে ভোট করাবে তৃণমূল? কেষ্টকেই কি অনুসরণ কাজল শেখের?

    Kajal Sheikh: লোকসভা ভোটের সময় কীভাবে ভোট করাবে তৃণমূল? কেষ্টকেই কি অনুসরণ কাজল শেখের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট করানোর কৌশলে কাজল শেখ (Kajal Sheikh) কি অনুব্রতকেই অনুসরণ করবেন? ব্যক্তি বদলে গেলেও তৃণমূলের কৌশলের কোনও বদল হচ্ছে না। গরু পাচারকাণ্ডে তিহাড় জেলে রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। ভোটের মুখে তাঁর মুখেই শোনা যেতো ‘উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে, চড়াম চড়াম ঢাক বাজবে।’ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বীরভূমে ভোট হবে এই নিয়ে জেলার রাজনীতির আঙ্গিনায় শোরগোল পড়ছে। তবে কেষ্ট বিহনে দলের দায়িত্ব কাজল শেখের হাতেই যে থাকবে এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাই নির্বাচন কমিশন দিনক্ষণ ঘোষণা না করলেও কীভাবে ভোট হবে তার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন কাজল। আজ কঙ্কালিতলায় তৃণমূল কর্মীদের নিদান দিলেন ঠিক কী কী করতে হবে।

    কী বললেন কাজল (Kajal Sheikh)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের আসন ভোট প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কাজল শেখ (Kajal Sheikh) বলেন, “ভোটের সময় আমাদের টার্গেট কী হবে আপনারা শুনুন। কীভবে ভোট করতে হবে আগের দিন আমরা জানিয়ে দেবো। এই বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের তুলানায় ১০ হাজার করে লিড বেশি লাগবে। সকলে প্রস্তুত থাকুন। সকলকে এক ছাতার তলায় এসে থাকতে হবে।” ফলে এই মন্তব্যে রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন ২০২১ সালের বিধান সভার নির্বাচনের পর রাজ্যে যে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল সেই পরিবেশ তৈরি হবে না তো! অবশ্য বিজেপি মনে করছে তৃণমূল অঞ্চলে অঞ্চলে সন্ত্রাস না চালালে ১০ হাজার করে লিড দেওয়া সম্ভব নয় তৃণমূলের পক্ষে।

    বিজেপির বক্তব্য

    বীরভূমে নির্বাচনকে ঘিরে শাসক দলের দৃষ্টিভঙ্গির যে অবস্থান বদল হচ্ছে না তা বিজেপি বুঝতেই পেরেছে। বিজেপির পক্ষ থেকে এক নেতা বলেন, “আগের দিন আর পরের দিন সম্পর্কে স্পষ্ট করে বুঝুন। ওঁর (Kajal Sheikh) ক্ষমতা মমতা বুঝে গিয়েছেন। তাই দলের কোর কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন। মানুষ ওঁদের যোগ্য জবাব দেবে। জেলায় বিজেপি বিরাট মার্জিনে জয়ী হবে। ভোটাররা যদি বুথে যেতে না পারে, তার জন্য কী করতে হবে বিজেপি খুব ভালো করেই জানে। ওঁদের সন্ত্রাসকে মোকাবেলা করবে সাধারণ মানুষ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: ৫৬০ ভরি! কেষ্টর কালীপ্রতিমার গয়না রাখা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের লকারে ইডির তল্লাশি

    Anubrata Mondal: ৫৬০ ভরি! কেষ্টর কালীপ্রতিমার গয়না রাখা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের লকারে ইডির তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাঙ্কের লকারে রাখা রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের  (Anubrata Mondal) কালীপ্রতিমার গয়না। বীরভূমের (Birbhum) বোলপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত সেই ব্যাঙ্কে চলছে ইডির তল্লাশি। ২০২১ সালে সোনার মুকুট, কানের দুল, গলার হার মিলিয়ে ৫৬০ ভরি সোনার গয়না দিয়ে মা কালীকে সাজানো হয়েছিল। এই গয়নার আনুমানিক মূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা। উল্লেখ্য এই সোনার অলঙ্কারে কালীপুজো হতো বেশ ধুমধাম করে। বর্তমানে কেষ্ট মণ্ডল গরু পাচার মামলায় দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি। আর্থিক দুর্নীতির মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা আজ ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে তাল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    তল্লাশিতে উদ্ধার গহনা (Anubrata Mondal)

    ঠিক দুপুর ১২ টার সময় বোলপুরের (Birbhum) একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সামনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির অফিসারেরা গাড়ি নিয়ে হাজির হন। এরপর কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে গোটা ব্যাঙ্ককে ঘিরে ফেলা হয়। এরপর ব্যাঙ্কের ভিতরে প্রবেশ করেন ইডির ৫ জন অফিসার। বোলপুর তৃণমূল পার্টি অফিসের ভিতরে পুজো হত এই কালীপ্রতিমার। এই পুজো কেষ্ট মণ্ডলের পুজো এবং প্রতিমার গায়ে থাকত এই বিপুল পরিমাণের গয়না। এই গয়নাকে পুজোর পর রাখা হত ব্যাঙ্কের লকারে। ফলে এই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্যই তল্লাশি অভিযান চালায় তদন্তকারী অফিসারেরা। ব্যাঙ্ক থেকে একাধিক কাজপত্র এবং নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    ২০১১ সাল থেকে

    ১৯৮৮ থেকে এই কালীপুজো শুরু হলেও কার্যত ২০১১ সালের পর থেকেই এই পুজোর জাঁকজমক বৃদ্ধি পায়। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পুজোর ব্যাপক আয়োজন বৃদ্ধি পায়। সবটার নেতৃত্বে থাকতেন বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। ২০২০ সালে এই পুজোর প্রতিমাকে ৩০০ ভরির সোনার গয়না দিয়ে সাজানো হয়েছিল। ২০২১ সালে সোনার মুকুট, বাউটি, বাজুবন্ধন, কানের দুল, গালার হার, হাতের আংটি, কোমরের বিছে মিলিয়ে প্রায় ৫৬০ ভরির গয়না দিয়ে সাজিয়ে ছিলেন এই তৃণমূল নেতা। এই গয়নার বাজার মূল্য প্রায় কয়েক কোটি টাকা। ফলে সম্পত্তির উৎস ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য সন্ধান করছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। তবে অনুব্রতর গ্রেফতারের পর থেকেই পুজোতে ভাটা দেখা দেয়। সোনার গয়নার বদলে ব্যবহার করা হচ্ছে ইমিটেশনের গয়না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: নাম ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দলীয় সভায় ব্যাপক বিক্ষোভ, ফাটল আরও স্পষ্ট

    Birbhum: নাম ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দলীয় সভায় ব্যাপক বিক্ষোভ, ফাটল আরও স্পষ্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতার নাম ঘোষণা হতেই কোন্দল স্পষ্ট। চরম বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বীরভূমে (Birbhum) কেষ্টমণ্ডলের গড়ে রাজ্যের মন্ত্রীর সামনেই তুমুল বিক্ষোভ দলীয় কর্মীদের লক্ষ্য করা যায়। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেষ্ট এবং কাজল শেখের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের কথা অনেক দিন ধরেই আলোচনার শীর্ষে ছিল। কেষ্ট মণ্ডল গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে। অপরে কাজল শেখের গুরুত্ব অপেক্ষাকৃত জেলায় বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও অনুষ্ঠানিক ভাবে দলের জেলা সভাপতিত্বের পদ থেকে সরানোনি। ফলে বীরভূমের শাসক দলের অন্দরে ফাটল স্পষ্ট।

    “জনগর্জন সভা”য় গোষ্ঠী কোন্দল (Birbhum)

    রাজ্যের মন্ত্রীর সামনে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের কোন্দল। এক পক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। সোমবার ছিল তৃণমূলের দলীয় কর্মীদের সভা। আজ সোমবার, আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডে তৃণমূলের “জনগর্জন সভা”র একটি প্রস্তুতি সভা ছিল বীরভূমের (Birbhum) মুরারই পশুহাটে। এখানেই উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বস্ত্র, ক্ষুদ্র, কোটির শিল্প দফতরের মন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সাহা। এই সভায় মুরারই-১ নম্বর ব্লকের ডুমুরগ্রাম অঞ্চল কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসাবে কাজী আশরাফুল ইসলাম ওরফে নবাবের নাম ঘোষণা করেন তৃণমূলে সংখালঘু সেলের নেতা রাজ্য সম্পাদক আলি রেজা খান। নাম ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয় একংশের মধ্যে বিক্ষোভ। এমনকী তৃণমূল জেলা কংগ্রেসের জেলা সহ সভাপতি ত্রিদিব ভট্টাচার্য পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু তবুও কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ কর্মীরা সভা ছেড়ে চলে যান।

    মন্ত্রীর বক্তব্য

    বোলপুর (Birbhum) বিধায়ক তথা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা অবশ্য দলের কর্মীদের সভায় বিক্ষোভ মানতে নারাজ। তিনি বলেন, “নির্বাচনে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। সেই কারণে কর্মী সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ছিল। সকলে অপেক্ষা করে আছেন কবে ভোট। আমরা বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হব। দল একটি সমষ্টি গত রূপ। এক কর্মী ভুল করলে অন্য কর্মী তাঁকে ঠিক করে দেবেন। কোনও কোন্দল নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Dancer: আমেরিকায় ভারতীয় নৃত্যশিল্পী অমরনাথকে গুলি করে খুন

    Indian Dancer: আমেরিকায় ভারতীয় নৃত্যশিল্পী অমরনাথকে গুলি করে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকায় খুন হলেন বীরভূমের নৃত্যশিল্পী অমরনাথ ঘোষ (Indian Dancer)। ঘটনা কীভাবে ঘটল এবং সত্যতা জানতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন ঘোষ পরিবার। নাচের শিক্ষক হিসাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করতেন তিনি (Amar Nath Ghosh)। সম্প্রতি তাঁর এক আত্মীয়ের মাধ্যমে পরিবারের লোকজন ফোনে জানতে পারেন যে তিনি খুন হয়েছেন। এরপর থেকেই পরিবারের ছেলেকে নিয়ে তীব্র উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন সকলে।

    গুলি করে হত্যা করা হয়েছে (Indian Dancer Amarnath Ghosh)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের সিউড়িতে বাড়ি ছিল অমরনাথের (Amarnath Ghosh)। তাঁর নিজের পেশা ছিল নাচ শেখানো। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অমরনাথের বন্ধু বলে পরিচিত এক ব্যক্তি ফোন করে বলেন, “অমরনাথ (Indian Dancer) আমেরিকার রাস্তায় খুন হয়েছেন। তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।” এরপর একই ভাবে টিভি অভিনেত্রী দেবোলিনা ভট্টাচার্য শুক্রবার এই খুনের সম্পর্কে জানিয়েছেন। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানানো হয়নি। পরিবার এবং আত্মীয়রা দারুণ আশঙ্কায় দিনপাত করছেন।

    পরিবারের বক্তব্য

    খুনের সংবাদ পেয়ে অমরনাথের (Amarnath Ghosh) কাকিমা ভাগবতী ঘোষ বলেন, “দুই বছর আগে অমরনাথ (Indian Dancer) আমেরিকায় যান। তবে অমরনাথের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ ছিল। কিন্তু গত বেশ কিছু দিন ধরে ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অমরনাথের এক বন্ধু প্রবীণ পাউল ওরফে ক্রিস আমাদের এক আত্মীয়কে ফোন করে মৃত্যু সংবাদ দেন। তবে কী ভাবে হল, এখনও আমরা জানতে পারিনি।” ঘটনায় পরিবার অত্যন্ত দুশ্চিন্তা প্রকাশ করে বীরভূম জেলা শাসক এবং পুলিশের কাছে দ্বারস্থ হয়েছেন। আবার অমরনাথের ছোট কাকা শ্যামাল ঘোষ বলেন, “ফোনে অমরনাথের সঙ্গে আমার ছেলে মেয়েদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। কিন্তু আমাদের কাছে খবর আসে ওঁকে খুন করা হয়েছে। তাই পুলিশ–প্রশাসনের কাছে সত্যতা জানতে আসলাম।”

    কে ছিলেন অমরনাথ? (Indian Dancer)

    অমরনাথ (Amarnath Ghosh) নিজে একটা সময়ে কলকাতায় থাকতেন। তিনি একজন পেশাদার ভরতনাট্যম এবং কুচিপুড়ি নৃত্যশিল্পী ছিলেন। সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে নৃত্য বিষয়ে এমএফএ-তে পড়াশুনা করছিলেন। একই ভাবে চেন্নাইয়ের কলাক্ষেত্র একাডেমির প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে কুচিপুড়ি নৃত্যের জন্য জাতীয় বৃত্তি পেয়েছিলেন। তিনি ববিতা দে সরকার, শ্রী এম ভি নরসিংহচারী এবং পদ্মশ্রী আদ্যার কে লক্ষ্মণের তত্ত্বাবধানে কাজ করেছিলেন। দেবোলিনা ভট্টাচার্যের নিজের এক্স হ্যন্ডেলে পোস্ট করে জানিয়েছেন, “অমরনাথ ঘোষ (Indian Dancer) পরিবারের একমাত্র সন্তান ছিলেন। তাঁর মা মারা গেছেন তিন বছর আগে। আবার শৈশবে তাঁর বাবাকে হারিয়েছিলেন তিনি।”

    দূতাবাসের বক্তব্য

    শিকাগোতে ভারতীয় কনস্যুলেট সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ পোস্ট করেছেন। তিনি বলেন, “মৃত অমরনাথ (Amarnath Ghosh) ঘোষের পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। আমরা ফরেনসিক পরীক্ষা নিরীক্ষা অনুসরণ করছি। পুলিশের সঙ্গে তদন্তে সহায়তা প্রদান করছি। বন্দুক হামলায় মৃত্যুর তদন্তের জন্য সেন্ট লুইস পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে মামলাটি জোরালো ভাবে তুলে ধরেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tarapith: তারাপীঠে মা তারার মন্দিরে বিয়ে করতে চান? নিয়ম না মানলে কিন্তু ঠাঁই হতে পারে শ্রীঘরে

    Tarapith: তারাপীঠে মা তারার মন্দিরে বিয়ে করতে চান? নিয়ম না মানলে কিন্তু ঠাঁই হতে পারে শ্রীঘরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তারাপীঠ (Tarapith) হল সতীর ৫১টি পীঠের একটি। এই পীঠস্থানে অনেক পাত্র-পাত্রীর বিবাহ সম্পন্ন হয়ে থাকে। এবার থেকে এই তারামায়ের মন্দিরে বিবাহ অনুষ্ঠানের নিয়ম-রীতি আরও কড়া করা হল। শুধু শাঁখা-পলা, সিঁদুর কৌটো নিয়ে হাজির হলে হবে না। নতুন নিয়মাবলীকে মান্যতা দিতে হবে। মা তারার মন্দিরে বিয়ে করার কী কী নিয়ম ঠিক করা হয়েছে, আসুন জেনে নিই।

    নতুন কী কী নিয়ম করা হল (Tarapith)?

    তারাপীঠে (Tarapith) এই নিয়ম নির্ধারণের পিছনে রয়েছে বেশ কিছু কারণ। সেগুলি স্পষ্ট করে জানিয়েছে তারাপীঠ মন্দির কমিটি। বিবাহের ক্ষেত্রে করোনাকাল থেকেই অনেক নিয়মাবলী প্রকাশ করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। বিবাহবন্ধন যেন অটুট থাকে, তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ। যাঁরা দম্পতি হচ্ছেন, তাঁরা সারা জীবন যাতে সুখে সংসার করতে পারেন, সেই বিষয়ে নজর রাখাই মূল লক্ষ্য। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথমে দেখা হবে পাত্র-পাত্রীর পরিচয়পত্র। তার পর খবর দেওয়া হয় দু’পক্ষের পরিবারকে। নাবালক বা নাবালিকা যদি হয়, সেক্ষেত্রে বিয়ে দেওয়া যাবে না মন্দিরে। আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ এমন কোনও বিষয় থাকলে বিবাহ দেওয়া যাবে না। এছাড়া অসাধু ব্যক্তিবর্গ অনেক সময় পাত্রীকে নেশাসক্ত করিয়ে বিবাহ করাতে চলে আসে। সেক্ষেত্র কোনও অসঙ্গতি লক্ষ্য করলে মন্দির কমিটি তৎক্ষণাৎ পুলিশ-প্রশাসনকে জানাতে বাধ্য থাকবে। সেই সঙ্গে তারাপীঠের হোটেলে প্রাপ্তবয়স্ক প্রেমিক-প্রেমিকাদের রুম দেওয়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কারণ, অনেকে মন্দিরে ভুয়ো বিয়ে করার ছবি তুলে রুম ভাড়া নিয়ে থাকে। এই বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া মন্দিরের মূল গর্ভগৃহে বিবাহের কাজ করা যাবে না। মায়ের মন্দিরের বাইরে অবস্থিত ছোট মন্দিরগুলিতে বিয়ে হতে পারে, যেমন ষষ্ঠী মন্দির, শিব মন্দির ইত্যাদি।

    মন্দির কমিটির বক্তব্য

    তারাপীঠ (Tarapith) মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কে কখন বিয়ে করল, সব সময় তো নজর রাখা সম্ভব হয় না। তবে যাঁরা পুরোহিত ডেকে বিয়ে করার কথা ভাবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আমরা একটা নিয়ম মেনে চলি। যদিও মন্দিরের বারান্দায় বন্ধুবান্ধব নিয়ে হইহুল্লোড় করে অনেকে বিয়ে সেরে নেন। এমনও ঘটনা নজরে আসে। তবে সব মিলিয়ে তারাপীঠ মন্দিরে বিয়ে করতে গেলে পাত্র-পাত্রীকে মানতে হবে নিয়ম। সঙ্গে থাকতে হবে সঠিক পরিচয়পত্র। পাত্রীকে থাকতে হবে শারীরিক ভাবে সুস্থ ও স্বাভাবিক। সন্দেহ হলে আটকে যাবে বিয়ে। এমনকী যেতে হতে পারে শ্রীঘরেও।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “রাম বোধ হয় বিপিএল ছিলেন”! তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক

    Birbhum: “রাম বোধ হয় বিপিএল ছিলেন”! তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রাম বোধ হয় বিপিএল ছিলেন’ ঠিক এমন মন্তব্য করে তীব্র বিতর্ক উস্কে দিলেন বীরভূমের (Birbhum) সাংসদ শতাব্দী রায়। উল্লেখ্য, মাত্র আর কয়েকটা দিন পরেই অযোধ্যায় প্রভু শ্রীরামের মন্দির উদ্বোধন হবে। গর্ভগৃহে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। দেশ জুড়ে এখন রাম ভক্তদের মধ্যে তীব্র উন্মাদনা। ঠিক এমন সময়েই তৃণমূল সাংসদ সাঁইথিয়ার রবীন্দ্রভবনে মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম চন্দ্রকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় ব্যাপক নিন্দার ঝড় শুরু হয়েছে। পালটা বিজেপির বক্তব্য ঝাঁটা দিয়ে তাড়া করা উচিত এই তৃণমূল নেত্রীকে।

    কী বললেন তৃণমূল সাংসদ (Birbhum)?

    সাঁইথিয়ায় (Birbhum) তৃণমূলের এক প্রশিক্ষণ শিবিরের এক সভায় বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, “বিজেপি রামকে নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করছে। রাম বোধ হয় বিপিএল! আমরা যেমন বিপিএল কার্ড দিয়ে বাড়ি মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছি, ঠিক সেই ভাবে রামকে বাড়ি দিয়েছে বিজেপি। রামের ছেলে লব-কুশকেও একটি করে বাড়ি দেওয়া প্রয়োজন।” ভিডিওর এই বক্তব্য সর্বত্র ভাইরাল হয়ে তীব্র শোরগোল পড়েছে। পরে অবশ্য সাংবাদিকদের নিজের সাফাই দিয়ে শতাব্দী বলেন, “বিজেপি বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করছে আমরা রামের বাড়ি করে দিয়েছি। এত ঔদ্ধত্য কোথা থেকে এলো, তারা ভগবানের বাড়ি করে দিচ্ছে!”

    বিজপির বক্তব্য

    বীরভূম (Birbhum) জেলার বিজেপি জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা তৃণমূল সাংসদকে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “বীরভূমের সনাতনী মানুষকে বলব এলাকায় ভোট চাইতে এলে সাংসদ শতাব্দীকে যেন ঝাঁটা দিয়ে তাড়া করা হয়।” এলাকার নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “রামপুরহাটে শতাব্দী হারেন নি হেরেছে তৃণমূল। পুরনির্বাচনে দিদির পুলিশ, গুন্ডা বাহিনীর বোমা, কাটমানি, তোলাবাজি, দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসের বাতাবরণের ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন করতে দেওয়া হয়নি বিরোধীদের। ভোটাদের ভোট দিতে দেয়নি বলেই এলাকায় তৃণমূল জয়ী হতে পেরেছিল। আগামী দিনে স্বচ্ছ নির্বাচন হলে তৃণমূলকে খুঁজে পাওয়া যাবেনা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share