Tag: bjp

bjp

  • Lok Sabha Election 2024: কংগ্রেসের ইস্তাহারে মিথ্যার বেসাতি, মার্গ দর্শন কোথায়?

    Lok Sabha Election 2024: কংগ্রেসের ইস্তাহারে মিথ্যার বেসাতি, মার্গ দর্শন কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত পর্বে দীর্ঘ সময় দেশ শাসন করেছে কংগ্রেস। ফি বার নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) আগে নিয়ম করে প্রকাশ করেছে ইস্তাহারও। তবে সেসবই মিথ্যার ফুলঝুরি। কংগ্রেসকে বিশ্বাস করে হাত উপুড় করে ভোট দিয়েছে জনতা। এতে লাভ হয়েছে একটা। বছরের পর বছর রাজত্ব করে গিয়েছে গান্ধী পরিবার। বাবার পর মেয়ে, মেয়ের পর তাঁর ছেলে… রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পরে অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন গান্ধী পরিবারের বাইরের নেতা। তবে তাঁদের প্রত্যেকের টিকি বাঁধা ছিল গান্ধী পরিবারের কাছে। তাই দীর্ঘ সময় কংগ্রেস চালকের আসনে বসলেও ফুলেফেঁপে উঠেছেন নেতারা। দেশ এগোয়নি এক পা-ও।

    মানুষের বিশ্বাস হারিয়েছে কংগ্রেস (Lok Sabha Election 2024)

    বারংবার ঠকতে ঠকতে কংগ্রেসের ওপর বিশ্বাসটাই হারিয়ে ফেলেছেন দেশবাসী। তাই ২০১৪ সালে দেশের চালকের আসনে মানুষ বসায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএকে। যে সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪ সালে মানুষ কংগ্রেস নয়, ভরসা করেছে বিজেপির ইস্তাহারের ওপর। কারণ তার আগে প্রত্যেকবার কংগ্রেসের ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দেওয়া হলেও, তা কীভাবে পূরণ করা হবে তার কোনও দিশা দেখানো হয়নি। কখনও তোষণের রাজনীতি, কখনও আবার জোটের নামে ঘোঁট পাকিয়ে কংগ্রেস শাসন করে গিয়েছে দেশ। ভোট সর্বস্ব রাজনীতি (Lok Sabha Election 2024) করতে গিয়ে ভারতকে কীভাবে জগৎ সভায় ফের শ্রেষ্ঠ আসনে বসানো যায়, তা ভাবতে ভুলেই গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। যার জেরে কংগ্রেসের আমলে রাশিয়ার বাইরে ভারতকে সেভাবে কেউ চিনত বলে মনে হয় না। এর এক এবং একমাত্র কারণ, কীভাবে বছরের পর বছর ক্ষমতায় থাকা যাবে তা নিয়ে ভেবেছে কংগ্রেস, দেশের কী হবে, গরিবের কী হবে তা কখনও ভাবেননি ইন্দিরা গান্ধী কিংবা তাঁর উত্তরসূরিরা। যার জেরে ক্রমেই পিছিয়ে পড়েছিল দেশ।

    ইস্তাহার রয়েছে, দিশা নেই

    আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে কংগ্রেস যে ইস্তাহার প্রকাশ করেছে, তার পোশাকি নাম ‘ন্যায়পত্র’। তাতে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নগদহীন স্বাস্থ্যবিমা, অগ্নিপথ তুলে দেওয়া, জাতগণনা সহ গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্যবিমার টাকা কোথা থেকে আসবে, অগ্নিপথ কীভাবে তোলা যাবে, বিকল্পই বা কী, এত বড় একটা দেশে জাতগণনাই বা কীভাবে সম্ভব, তার কোনও দিশা নেই গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির ‘ন্যায়পত্রে’।  দেখেশুনে মনে হচ্ছে, কংগ্রেস জনমোহিনী ইস্তাহার তৈরি করেছে তো বটে, কিন্তু, বাস্তবের সঙ্গে তার কোনও মিল নেই। গোটাটাই আষাঢ়ে গল্প ছাড়া কিছুই নয়। এই সমস্ত ফাঁকা প্রতিশ্রুতি কেবলমাত্র যে এক শ্রেণির ভোটারকে কেন্দ্র করেই, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। উদ্দেশ্যটা স্পষ্ট— দেশের উন্নতি, প্রগতি রসাতলে যাক, জনমোহিনীর ধোঁয়া দিয়ে নিজেদের আখেরেটা গোছাতে পারলেই হল।

    কংগ্রেসের পদাঙ্ক অনুসরণ তৃণমূলেরও

    কংগ্রেসের ডিএনএ থেকে জন্ম নেওয়া তৃণমূলের দশাও তাই। সর্বভারতীয় দল বলে নিজেদের দাবি করলেও, আদতে ক্ষমতায় রয়েছে কেবল পশ্চিমবঙ্গে। ক্ষমতায় থাকতে কংগ্রেসের মতো তারাও বেছে নিয়েছে সস্তার রাজনীতি। তাদেরও লক্ষ্য হল, দান-খয়রাতি এবং তোষণের রাজনীতি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে যেন-তেন-প্রকারেন। এই হাটুরে রাজনীতি (Lok Sabha Election 2024) করতে গিয়ে কেন্দ্রের দেওয়া সরকারি নানা প্রকল্পের টাকা অকাতরে বিলানো হয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কিংবা ‘শ্রী’-যুক্ত (যুবশ্রী ইত্যাদি) কোনও প্রকল্পে। খয়রাতির পয়সা পেয়ে জনগণও উজাড় করে ভোট দিয়েছেন তৃণমূলকে। যার জেরে আক্ষরিক অর্থেই ধরাকে সরা জ্ঞান করে কার্যত লুটে খাওয়ার রাজনীতি করে গিয়েছে ঘাসফুল শিবিরের অনেক নেতাই। সামান্য মাছ বিক্রেতা থেকে কেউ বনে গিয়েছেন কোটিপতি, কেউ আবার কালীঘাটের কমবেশি ৪০টি প্লটের মালিক হয়েছেন স্রেফ ‘রাজনীতি’ করে। রাজ্যে শিল্প নেই। বাম রাজত্বের পর যে ক’টা কলকারখানায় সাতসকালে ভোঁ বাজত, শ্রমিক-কর্মচারিরা ডিউটি ধরতে ছুটতেন, তৃণমূলের শাসনে সেক’টিতেও তালা ঝুলেছে। কলকারখানার চিমনি থেকে ধোঁয়া বের না হওয়ায় হয়তো দূষণ খানিক কমেছে, তবে পেটে গামছা দিয়ে পরিবার নিয়ে পড়ে ছিলেন শ্রমিকরা।

    (ঢপের) চপ শিল্প

    মোদি সরকার গত পাঁচ বছর ধরে রেশনে মুফতে চাল দিচ্ছে, তাই দু’বেলা খাবার জুটছে এই সব পরিবারে। না হলে যে কী হত! অবশ্য রোজগারের (Lok Sabha Election 2024) উপায় বের করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী স্বয়ং। তাঁর পরামর্শ, চপ শিল্প করুন। তিনি আউড়ে গিয়েছেন, সেই অমোঘ সত্যবাণী, কোনও কাজই ছোট নয়। হক কথা। তবে কেন তাঁর দলের নেতারা রাজনীতি করে ‘কামাই’ করছেন? কেন চপের দোকান খুলছেন না? আর সবাই (ঢপের) চপ শিল্প চালালে ক্রেতাই বা জুটবে কোত্থুকে? তার দিশা নেই এই সর্বজ্ঞের কাছে। তাই বাংলার অর্থনীতির হাঁড়ির হাল। ঘরে ঘরে শিক্ষিত বেকার। হা-চাকরি দশা। বিরাট বিরাট ডিগ্রিধারীরাও পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে ভিন রাজ্য চলে যাচ্ছেন সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজে!

    আরও পড়ুুন: “কংগ্রেস গরিবদের উপোসে রেখে জঙ্গিদের খাওয়াত বিরিয়ানি”, তোপ যোগীর

    ডাবল ইঞ্জিন সরকার

    এবার তাকানো যাক মুদ্রার উল্টো পিঠে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে উন্নয়নের বিজয়রথ টেনে নিয়ে যাচ্ছে ডাবল ইঞ্জিন সরকার। পদ্ম-ইস্তাহারে মিথ্যার বেসাতি নেই, রয়েছে নির্ভেজাল আশ্বাস, নিশ্চিত দিশা। যার জেরে গত ১০ বছরে দেশ এগিয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের গতিতে। এখন আর মানুষকে পিঁপড়ের ডিম খেতে হয় না। খিদের জ্বালায় কাঁদতে থাকা ছেলেকে ভোলাতে এখন আর দেশের কোনও মাকে হাঁড়িতে কেবলই জল গরম করতে হয় না। রেশনে পাওয়া চালেই হয় ভাত। কাঠের জ্বালের বদলে হেঁসেলে চলে এসেছে সস্তার উজালা গ্যাস। এখন দ্রুত রান্না সেরে, ছেলে মেয়েকে খাইয়ে স্কুলে পাঠিয়ে ভারতের কোনও এক অখ্যাত গাঁয়ের বধূও হাতে ফাইভ জি মোবাইল নিয়ে চন্দ্রাভিযানের লাইভ শো দেখেন।

    ভারত যে এখন নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে! পূরণ হয়েছে আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্ন (Lok Sabha Election 2024)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Cooch Behar: নিশীথের সভামঞ্চ ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দিল তৃণমূল, সরব বিজেপি

    Cooch Behar: নিশীথের সভামঞ্চ ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দিল তৃণমূল, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই কোচবিহারে (Cooch Behar) এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঝড় তুলে দিয়েছেন। এই জেলায় তৃণমূল ছে়ড়ে বিজেপিতে যোগদান পর্ব লেগেই রয়েছে। প্রচারেও অনেকটাই এগিয়ে দলীয় প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। এমনই দাবি গেরুয়া শিবিরের। এই আবহের মধ্যে এবার কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের সভার আগে মঞ্চ ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভোটের আগে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Cooch Behar)

    সোমবার কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা-২ ব্লকের কিসামঠ গ্রাম পঞ্চায়েতের খেরবাড়ি হাট এলাকায় বিজেপি প্রার্থী নিশীথের সভার প্রস্তুতি চলছিল। এলাকার উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ওই সভামঞ্চ তৈরি করা হয়। সোমবার বিকালে সেখানে সভা করার কথা ছিল। মিটিং শুরু হওয়ার আগেই মঞ্চে ভাঙচুর চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পরে, সেখানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে, বিজেপি নেতৃত্ব সভাস্থলে এসে বিষয়টি জানতে পারেন। পরে, থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে, নতুন করে মঞ্চ করে বিজেপি নেতৃত্ব সেখানে সভাও করে।

    আরও পড়ুন: ভোটে মূল প্রতিপক্ষ পুলিশ! নিয়ন্ত্রণের আর্জি শুভেন্দুর, পুলিশ পর্যবেক্ষকের দ্বারস্থ বিজেপি

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অজয় রায় বলেন,  “আমাদের এলাকায় বহু তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেছে। তাতেই ভয় পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেরা রাতের অন্ধকারে মঞ্চ ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসব করে কোনও লাভ হবে না। মানুষ বিজেপি-র পক্ষে রয়েছে।” তৃণমূলের দিনহাটা-২ ব্লকের ব্লক সভাপতি দীপককুমার ভট্টাচার্য বলেন, “বিজেপির সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। আসলে বিজেপি প্রার্থী বুঝে গিয়েছেন যে, এই নির্বাচনে তিনি হেরে যাচ্ছেন। তাই নিজেদের অনুষ্ঠানের মঞ্চে নিজেরাই আগুন ধরিয়ে দিয়ে তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন ওঁরা। এ ভাবে মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে, মানুষ সবই জানে। এ সব মিথ্যা অভিযোগ করে কোনও লাভ হবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: “কংগ্রেস গরিবদের উপোসে রেখে জঙ্গিদের খাওয়াত বিরিয়ানি”, তোপ যোগীর

    Lok Sabha Elections 2024: “কংগ্রেস গরিবদের উপোসে রেখে জঙ্গিদের খাওয়াত বিরিয়ানি”, তোপ যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস গরিবদের উপোস করিয়ে রাখত, আর জঙ্গিদের খাওয়াত বিরিয়ানি।” লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) প্রচারে বেরিয়ে কংগ্রেসকে এই ভাষায়ই আক্রমণ শানালেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথ।

    ‘জঙ্গিদের বিরিয়ানি খাওয়াত’ (Lok Sabha Elections 2024)

    দ্য গার্ডিয়ানের একটি রিপোর্টের কথা তুলে ধরে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “একদিকে গার্ডিয়ানের রিপোর্ট দেখুন, যেখানে বলা হচ্ছে, পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গিদের বেছে বেছে নিকেশ করা হচ্ছে। অন্যদিকে কংগ্রেস তাদের সরকারের আমলে জঙ্গিদের বিরিয়ানি খাওয়াত।” তার পরেই তিনি বলেন, “কংগ্রেস গরিবদের উপোস করিয়ে রাখত, আর জঙ্গিদের খাওয়াত বিরিয়ানি।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে (Lok Sabha Elections 2024) যে ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন নিতে যাচ্ছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।

    ‘ভারতের সম্মান বেড়েছে’

    তিনি বলেন, “মোদিজির নেতৃত্বে গোটা বিশ্বের কাছে ভারতের সম্মান বেড়েছে। এখন ভারতে কেউ সন্ত্রাসবাদ, নকশালবাদকে প্রশ্রয় দিতে পারবে না। অন্যদিকে কংগ্রেসের লোকজন চুপচাপ বসে থাকতেন, কিছুই করতে পারতেন না।” আদিত্যনাথ বলেন, “এটাই হল নয়া ভারত। আজকের দিনে যে কোনও ভারতীয় বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে গেলে যোগ্য সম্মান পান। দেশের সীমানা এখন সুরক্ষিত। নকশালবাদ, উগ্রবাদের দিন শেষ হয়েছে।” মোদি জমানায় গত চার বছর ধরে দেশের আশি কোটি মানুষকে যে নিখরচায় রেশন সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে, এদিন তারও উল্লেখ করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। এই পরিষেবা আরও পাঁচ বছর মিলবে বলেও আশ্বাস দেন আদিত্যনাথ।

    আরও পড়ুুন: পদ্মকাননে মাধবীলতা! কে এই মহীয়সী, যাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ খোদ মোদি?

    কংগ্রেসকে নিশানা করতে গিয়ে বিজেপির এই তারকা প্রচারক বলেন, “কংগ্রেস সরকারের আমলে কোনও নীতি ছিল না, নেতা ছিলেন না, সিদ্ধান্তও ছিল না। কিন্তু মোদি সরকারের আমলে দেশে গরিবদের জন্য প্রকল্পের কোনও অভাব নেই।” কংগ্রেসই যে দেশের ‘বড় সমস্যা’ সেকথা মনে করিয়ে দেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “কংগ্রেসের ডিএনএতে রয়েছে কারফিউ জারি করা।” রাম মন্দিরের প্রসঙ্গ টেনে আদিত্যনাথ বলেন, “কংগ্রেস কোনও কালে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করতে পারত না। তারা বলত রামের কোনও অস্তিত্বই নেই। ভরতপুরের পর রয়েছে মথুরা, বৃন্দাবল, গোকুল, বর্ষণা, নন্দগাঁও এবং গোবর্ধন। তার পরেও কংগ্রেস বলছে ভগবান কৃষ্ণ বলে কেউ ছিলেন না। কংগ্রেস আমাদের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে (Lok Sabha Elections 2024)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: পদ্মকাননে মাধবীলতা! কে এই মহীয়সী, যাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ খোদ মোদি?

    Lok Sabha Elections 2024: পদ্মকাননে মাধবীলতা! কে এই মহীয়সী, যাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ খোদ মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হায়দরাবাদে বিজেপির প্রার্থী কম্পেল্লা মাধবীলতা। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর (Lok Sabha Elections 2024) প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এই কেন্দ্রে মাধবীলতা যাঁর বিরুদ্ধে লড়ছেন, তিনি আসাদউদ্দিন ওয়াইসি, অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন সুপ্রিমো। একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন মাধবীলতা। সেটি ভালো লাগে প্রধানমন্ত্রীর। তার পরেই এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “মাধবীলতাজি, আপনার আপ কি আদালত এপিসোড ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান। আপনি ঠিকঠাক পয়েন্ট ধরেছেন, আবেগ এবং যুক্তি দিয়ে মোকাবিলা করেছেন। আপনার প্রতি আমার শুভেচ্ছা রইল।” বিজেপির এই (Lok Sabha Elections 2024) প্রার্থীকে কেন্দ্রের তরফে দেওয়া হয়েছে ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা।

    ওয়াইসি পরিবারের খাসতালুকে প্রার্থী হতেই চর্চায় (Lok Sabha Elections 2024)

    বছর ঊনপঞ্চাশের মাধবীলতাকে ২ মার্চের আগে কেউ চিনতেন না। কিন্তু ওয়াইসি পরিবারের চার দশকের খাসতালুকে প্রার্থী হতেই চর্চায় উঠে আসেন মাধবীলতা। পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে বিএ পাশ করার পর মাস্টার্স করেন পলিটিক্যাল সায়েন্সে। তিন তালাকের পক্ষে ব্যাপক প্রচার করেন তিনি। তিনি উদ্যোগপতিও। এনসিসি ক্যাডেট। প্রোফেশনাল ভারতনাট্যম নৃত্যশিল্পী। গত দু’দশক ধরে সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গেও জড়িত মাধবীলতা। তার জেরেই এবার পদ্ম পার্টির টিকিট-প্রাপ্তি।

    আসাদউদ্দিনকে নিশানা মাধবীলতার

    গত রবিবার এই মাধবীলতাই নিশানা করেন আসাদউদ্দিনকে, দেগে দেন ‘আইএসআইএসের বন্ধু’ বলে। তিনি বলেন, “কে তাঁকে (আসাদউদ্দিনকে) মৃত্যু হুমকি দিচ্ছে? তাঁর বন্ধুত্বের লেভেলটা দেখুন। আইএসআইএসের লোকজনের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব রয়েছে। তিনি বলছেন যে, এখানে তাঁর সংগঠন মজবুত, তার পরেও বলছেন তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে!” প্রসঙ্গত, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় গ্যাংস্টার মুখতার আনসারির। গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া আনসারির শেষযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন আসাদউদ্দিন। আনসারির পরিবারের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আসাদউদ্দিনকে এই খোঁচাই দেন পদ্মবনের মাধবীলতা।

    আরও পড়ুুন: “এই ধরনের রিপোর্ট লেখার সাহস ওসি পেলেন কী করে?”, ভূপতিনগরকাণ্ডে প্রশ্ন আদালতের

    তিন সন্তানের মা মাধবীলতা যখন জানতে পারলেন, তাঁকে বিজেপি প্রার্থী করেছে, তখন খানিকটা বিস্মিতই হয়েছিলেন। মাধবীলতা সুবক্তা। তিনি বলেন, “গত কুড়ি বছর ধরে যে সমাজসেবামূলক কাজ করছি, তার ফল স্বরূপ এই টিকিট। বিজেপি প্রকৃত মানুষ চিনতে ভুল করে না।” বিজেপির এক নেতাও বলছেন, “উনি জনপ্রিয় কার্যকর্তা নন। তাই ওঁকে কেন টিকিট দেওয়া হল, তা স্পষ্ট নয়। তবে হতে পারে উনি মহিলা, হতে পারে উনি সুবক্তা, মুসলিম মহিলাদের নিয়ে কাজ করছেন, সেটাও হতে পারে। অবশ্য দল ওঁর পাশে রয়েছে। আমরা এবার শক্তপোক্ত লড়াই দেব (Lok Sabha Elections 2024)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: “জয় শ্রীরাম বলায় পিটিয়ে খুন”, তৃণমূলকে তোপ দাগলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার

    Ranaghat: “জয় শ্রীরাম বলায় পিটিয়ে খুন”, তৃণমূলকে তোপ দাগলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোরপূর্বক সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে এক দম্পতিকে বাড়িতে ঢুকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গৃহবধূকে মারধর করে পুড়িয়ে খুন করা হয়। এমনকী তাঁর স্বামীকেও মারধর করা হয়। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রানাঘাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে রানাঘাট (Ranaghat) থানার পায়রাডাঙা এলাকায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রশাসনকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Ranaghat)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রানাঘাট (Ranaghat) থানার পায়রাডাঙা এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে এই দম্পতির সঙ্গে প্রতিবেশী বেশ কয়েকজন যুবক ও মহিলার মনোমালিন্য চলছিল। পরে পাড়ার ছেলেদের খেলাকে কেন্দ্র করে আবার গন্ডগোল শুরু হয়। অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় অঞ্জলি কর্মকারের বাড়িতে চড়াও হয় অভিযুক্তরা। ওই দলে মহিলারাও ছিল। এরপরই বাড়িতে আগুন ধরিয়ে বাড়ি ভাঙচুর চলে। শুরু হ দম্পতিকে বেধড়ক মার। ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, প্রতিবেশী বলছেন, “প্রথমে ধরে নিয়ে এসে মারে, পালিয়ে গিয়েছিল মহিলাটা। তারপর কাঁথা কম্বল চাপিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমরা তো দেখিনি দূরে ছিলাম, আমরা কাছে আসতে আসতেই পালিয়ে যায়।” মৃতার স্বামী সুবল কর্মকারকেও পিছ মোড়া করে বেঁধে রাখার অভিযোগ ওঠে। পুলিশ যতক্ষণে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়, মৃত্যু হয় ওই মহিলার। ঘটনায় গুরুতর জখম ওই মহিলার স্বামী সুবল কর্মকার। বর্তমানে রানাঘাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় যুক্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে রানাঘাট পুলিশ।

    “জয় শ্রীরাম” বলায় হামলা

    এই ঘটনায় এদিন হাসপাতালে দেখা করতে যান রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। তিনি বলেন, আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সুবল সরকার ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান। তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। “জয় শ্রীরাম” বলাতে তার ওপর এই ধরনের দুষ্কৃতী হামলা। পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁর স্ত্রীকে মেরে ফেলা হয়েছে। যারা এই নির্মম অত্যাচার চালালো প্রত্যেকেই তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতী। অভিযুক্তদের  বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, পুলিশ প্রশাসন যদি অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তি না দেয় তাহলে বৃহত্তম আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: রানিমাকে দেখতে উপচে পড়ল ভিড়, চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    বিজেপি-র অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জেলা পরিষদের সদস্য তথা ওই অঞ্চলের তৃণমূল নেতা দীপক বসু বলেন, ওই পরিবার বিজেপির সঙ্গে যুক্ত নয়, ভোটের আগে জগন্নাথ সরকার সস্তার রাজনীতি করছে। মস্তিষ্ক বিকৃত না হলে এই ধরনের মন্তব্য একজন প্রার্থী করতে পারে না। ওই পরিবারের স্বামী স্ত্রী দুজনেই মানসিক ভারসাম্যহীন, আর যে “জয় শ্রীরাম” স্লোগান নিয়ে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। পুলিশ গতকাল রাতেই কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার মূল কারণ জানতে তদন্ত করছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bomb Threat: বোমা মেরে স্কুল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি মেইল, নেপথ্যে কারা জানেন?

    Bomb Threat: বোমা মেরে স্কুল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি মেইল, নেপথ্যে কারা জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এবার এল মেইল (Bomb Threat)। স্কুল কর্তৃপক্ষকে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। মেইলগুলির সত্যতা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মেইলে লেখা হয়েছে, ‘এই বার্তা সবার জন্য। শ্রেণিকক্ষের বাইরে বোমা রাখা আছে। আগামিকাল সকালে যখন স্কুলে বাচ্চারা থাকবে, তখন বোমাগুলি ফাটবে। আমাদের লক্ষ্য বেশি সংখ্যক মানুষকে রক্তস্রোতে ভাসিয়ে দেওয়া।’ বার্তার শেষে লেখা হয়েছে, ‘ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে দুই সন্ত্রাসবাদী চিং ও ডল।’

    হুমকি মেইল (Bomb Threat)

    পুলিশের তরফে অবশ্য এ (Bomb Threat) ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। তবে ভাইরাল হওয়া এক স্ক্রিনশটে দেখা গিয়েছে, ‘হ্যাপিহটডগ১০১’ নামের মেইল আইডি থেকে ওই হুমকি মেইল পাঠানো হয়েছে। মাধ্যম অবশ্য স্ক্রিনশটটির সত্যতা যাচাই করেনি। তবে কোন কোন স্কুল এই হুমকি মেইল পেয়েছে, তা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। কলকাতার পাশাপাশি শিলিগুড়ির কয়েকটি স্কুলও, এই হুমকি মেইল পেয়েছে বলে খবর। কলকাতার একটি স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল মেইল প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বোমা মেরে স্কুলটি উড়িয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

    কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই হুমকি মেইল!

    লোকসভার নির্বাচন দোরগোড়ায়। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ১৯ এপ্রিল। গোটা দেশের কয়েকটি কেন্দ্রের সঙ্গে সঙ্গে এ রাজ্যেরও তিনটি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এদিন। তার জেরে আঁটসাঁট নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা রাজ্য। নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে বিভিন্ন জায়গায় চলছে নাকা চেকিং। তার মধ্যেই বিভিন্ন স্কুলে পাঠানো হয়েছে হুমকি মেইল।

    আরও পড়ুুন: “এই ধরনের রিপোর্ট লেখার সাহস ওসি পেলেন কী করে?”, ভূপতিনগরকাণ্ডে প্রশ্ন আদালতের

    প্রসঙ্গত, বাংলায় এনআরসি হলে মতুয়াদের ঠাকুরবাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হবে বলে এদিনই হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ, চিঠিটি পাঠিয়েছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লক্সর-ই-তৈবা। সোমবার দুপুর দুটো নাগাদ পোস্টঅফিসের মাধ্যমে তাঁদের কাছে চিঠিটি এসেছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের। এ নিয়ে শাসক দল তৃণমূলকে আক্রমণ (Bomb Threat) শানিয়েছেন ঠাকুরবাড়ির এই বিজেপি নেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: রানিমাকে দেখতে উপচে পড়ল ভিড়, চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়

    Nadia: রানিমাকে দেখতে উপচে পড়ল ভিড়, চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) তেহট্টে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের প্রতিষ্ঠিত মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করলেন কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কৃষ্ণনগর উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস। এলাকায় চুটিয়ে প্রচার করেন তিনি। রানিমাকে দেখতে এলাকায় ভিড়ও হয় প্রচুর।

    রানিমা-র সামনে এসে হাতজোড় করে প্রণাম করলেন অনেকেই (Nadia)

    এদিন নদিয়ার (Nadia) তেহট্টের হাউলিয়া মোড়ের সবজি আড়ৎ থেকে শুরু করে একাধিক বাজারে জনসংযোগ যাত্রা করেন অমৃতা রায়। মূলত বাজারের ক্রেতা বিক্রেতারদের সঙ্গে তিনি জনসংযোগ সারেন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের নদিয়া জেলার ওপর যে অবদান রয়েছে সেই অবদান তিনি তুলে ধরেন। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প চুরি করার যে প্রবণতা সেই সম্পর্কে তিনি বলেন, কেন্দ্র সরকারের প্রকল্প চুরি করে নিজেদের নামে চালাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে তিনি বলেন, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের এই তেহট্টের অনেক অবদান রয়েছে। এখানে একটি পুরানো মন্দিরও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। তেহট্টে সেই মন্দির এখন অনেকটাই জাগ্রত। এলাকায় জনসংযোগ করার সময় রানিমাকে সামনে পেয়ে অনেকে হাতজোড় করে প্রণাম জানিয়েছেন। তেহট্টবাসীর ভালোবাসা পেয়ে আপ্লুত হয়েছেন রানিমা।

    আরও পড়ুন: “এই ধরনের রিপোর্ট লেখার সাহস ওসি পেলেন কী করে?”, ভূপতিনগরকাণ্ডে প্রশ্ন আদালতের

    বিজেপির জয় নিশ্চিত

    বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় বলেন, অন্যান্য এলাকার পাশাপাশি তেহট্টের (Nadia) মানুষের সঙ্গে কথা বলে সাহস অনেকটাই বাড়ল। তার কারণ আমাকে প্রচার করতে দেখে সকলেই উৎসাহের সঙ্গে এসে আমাকে আশীর্বাদ করছেন। তেহটের মানুষের উৎসাহ দেখে বোঝা যাচ্ছে এবার বিজেপির জয় নিশ্চিত। তিনি আরও বলেন, গত পাঁচ বছরে তেহট্ট এলাকায় কোনও কাজ করেনি প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এখানে গ্রামের রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে অনেক কাজ বাকি রয়েছে। এখানকার ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, বিভিন্ন বাজারেও বেশ কিছু উন্নয়ন করার প্রয়োজন রয়েছে। আমি সকলকে কথা দিয়েছি, আগামী পাঁচ বছর তাঁদের দাবি মতো প্রতিটি কাজ আমি করার চেষ্টা করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • HC On Bhupatinagar: “এই ধরনের রিপোর্ট লেখার সাহস ওসি পেলেন কী করে?”, ভূপতিনগরকাণ্ডে প্রশ্ন আদালতের

    HC On Bhupatinagar: “এই ধরনের রিপোর্ট লেখার সাহস ওসি পেলেন কী করে?”, ভূপতিনগরকাণ্ডে প্রশ্ন আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই ধরনের রিপোর্ট লেখার সাহস ওসি পেলেন কী করে?” পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর থানার ওসিকে এই ভাষায়ই প্রশ্ন করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত (HC On Bhupatinagar)। সোমবার বিচারপতি সেনগুপ্তের সিঙ্গল বেঞ্চে চলছিল ভূপতিনগরকাণ্ড মামলার শুনানি। সেখানে ‘আদালতের রক্ষাকবচের ফলে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করতে পারে অভিযুক্তরা’, এই মর্মে রিপোর্ট দেওয়া হয় ভূপতিনগর থানার তরফে।

    ক্ষুব্ধ বিচারপতির প্রশ্ন (HC On Bhupatinagar)

    র পরেই ক্ষুব্ধ বিচারপতি সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেন, “ওসিকে বলতে হবে আদালতের রক্ষাকবচের ফলে কবে, কোথায় বানচাল হয়েছে নির্বাচন?” আগামী চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ওসিকে এই রিপোর্টের ব্যাখ্যা দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেয় আদালত। এর পরেই ওসির সাহস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। ভূপতিনগর থানার (HC On Bhupatinagar) ওসিকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। আগামিকাল মঙ্গলবার ফের হবে এই মামলার শুনানি। এদিন পর্যন্ত মামলাকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও কড়া আইনি পদক্ষেপ করতে পারবে না বলেও মৌখিক নির্দেশ দেন বিচারপতি সেনগুপ্ত।

    বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা!

    তপন মিদ্দে নামে বিজেপির এক স্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে গত তিন বছরে ২৬টি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে ভূপতিনগর থানার পুলিশ। এর মধ্যে ১৫টিতে ইতিমধ্যেই দাখিল করা হয়েছে চার্জশিট। মামলাকারীর দাবি, তাঁর নামে কোনও এফআইআর নেই। কোন কোন মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তা নিয়ে আদালতের নির্দেশে এদিন রিপোর্ট দেওয়া হয় ভূপতিনগর থানার তরফে। প্রসঙ্গত, ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে সব মিলিয়ে মোট ২০ জন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে পুলিশ মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে, এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট বিজেপি নেতারা।

    আরও পড়ুুন: ভারতের জাতীয় পতাকাকে অপমান মলদ্বীপের সাসপেন্ডেড মন্ত্রীর!

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর ভূপতিনগরের এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তৃণমূলের এক নেতা ও তাঁর ভাই-সহ মোট তিনজনের। একজনের ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার হয়। তবে তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। বিরোধীদের অভিযোগ, ঘটনায় আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে তৃণমূলের নাম। সেদিক থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই বিজেপি কর্মীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে (HC On Bhupatinagar) পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: রাজ্যপালের পায়ে ধরে সুবিচারের আর্জি জানালেন নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের লোকজন

    CV Ananda Bose: রাজ্যপালের পায়ে ধরে সুবিচারের আর্জি জানালেন নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের লোকজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে পশ্চিম মেদিনপুরের পিংলায় বাড়়ির কাছে ধান খেত থেকে বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তৃণমূলের লোকজন তাঁকে খুন করেছে বলে অভিযোগ করেছিলেন পরিবারের লোকজন। সোমবার নিহত সেই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যান রাজ্যপাল  সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। কথা বলেন পরিবারের লোকজনের সঙ্গে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত বিজেপি কর্মীর নাম শান্তনু ঘড়ুই। তিনি এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। ২৩ মার্চ, পিংলার বাড়বাসি গ্রামে বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে ধান খেত থেকে উদ্ধার হয় বিজেপি কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ। তৃণমূলের ভোট-সন্ত্রাসে খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ করে নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার। তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলে নিহতের পরিবার ও বিজেপি নেতৃত্ব। নিহতের বাড়িতে যান ঘাটাল লোকসভার বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। হিরণের অভিযোগ, প্রথমে এফআইআর নিতে চায়নি পুলিশ। স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে বলে লিখিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা হয়। ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেবকেও নিশানা করেছেন হিরণ। সিবিআই তদন্তের দাবি জানান ঘাটাল লোকসভার বিজেপি প্রার্থী। সোমবার শালিমার থেকে ইস্ট কোস্ট এক্সপ্রেসে চড়ে পিংলায় নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যান রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)।

    আরও পড়ুন: “চায়ে পে চর্চা” কর্মসূচিতে দিলীপ ঘোষকে বাধা, বিজেপি কর্মীকে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) পায়ে ধরে সুবিচারের আর্জি

    এদিন দুপুরে ট্রেন থেকে নেমে সড়ক পথে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) পিংলায় নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যান। রাজ্যপালকে সামনে পেয়ে পা জড়িয়ে ধরেন পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, নিহত বিজেপি কর্মীর মুখে রক্ত এবং পেটে ছেঁকার দাগ ছিল। বিজেপি করায়, বছর ৩২-এর ওই যুবককে হাত-পা বেঁধে মেরে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল তৃণমূলের লোকজন। তাঁরাই খুন করেছে। নিহত বিজেপি কর্মীর দেহ পুনুরায় কেন্দ্রীয় কোনও হাসপাতাল থেকে ময়না তদন্তের আর্জি জানান তাঁরা। এমনকী সিবিআই তদন্তের আর্জি জানান। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে পাশে থাকার আশ্বাস দেন রাজ্যপাল।

    রাজ্যপাল কী বললেন?

    রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলেন, নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বললাম। তাঁরা কিছু আবেদন জানিয়েছেন, সেই বিষয়টি আমরা নিয়ম মেনে পদক্ষেপ গ্রহণ করব। সামনে নির্বাচন। আমরা চাই, বাংলায় এই ধরনের ঘটনা আর যাতে না হয়। আর আবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হোক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC attacks on BJP: বীরভূমে বিজেপি কর্মীকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের

    TMC attacks on BJP: বীরভূমে বিজেপি কর্মীকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট, হাতে গুনে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ইতিমধ্যেই ভোট প্রচারের মাধ্যমে সাধারণ ভোটারদের মন জয় করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সব দলের প্রার্থীরাই। আর এরই মধ্যে আবারও মারধরের অভিযোগ উঠল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রাতের অন্ধকারে বিজেপির (TMC attacks on BJP) তিন জন কর্মীকে আক্রমণ করা হয়। ঘটনা ঘটেছে বীরভূম জেলায়।

    ঘটনা বীরভূমের কোথায় ঘটেছে (TMC attacks on BJP)?

    ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে বীরভূমের (birbhum) মহম্মদ বাজার এলাকায়। মহম্মদ বাজারের (mohammad bazar) কপিস্টার গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারকাটা গ্রাম থেকে দলীয় বৈঠক করে বাড়ি ফেরার সময় তিন বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরেই রবিবার রাতে আহত বিজেপি কর্মীদের ভর্তি করা হয়েছে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। আহতদের দেখতে গিয়েছেন জেলা বিজেপির নেতারা। তবে ঘটনায় তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুনঃ ভোটে বাংলায় এক নম্বর দল হতে চলেছে বিজেপি, অনুমান পিকে-র

    বাঁশ ও রড দিয়ে মারের অভিযোগ

    ঘটনায় বিজেপির অভিযোগ হল, অন্ধকার রাস্তায় বাইক নিয়ে আসার সময় কয়েকজন তৃণমূলের (TMC) আশ্রিত দুস্কৃতীরা আচমকা হামলা করে। প্রথমে পথ আটকায়, এরপর বাঁশ ও রড দিয়ে মারধর (TMC attacks on BJP) করা হয়। এরপর কোনক্রমে সেখান থেকে আহত বিজেপি কর্মীরা পালিয়ে আসে মহম্মদ বাজারে। পরে তাদের আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয় সিউরি হাসপাতালে।

    বিজেপির বক্তব্য

    ঘটনার খবর পৌঁছাতেই আহতদের দেখতে রাতেই হাসপাতালে পৌঁছান বীরভূম বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা (Dhruba saha)। তবে কেবল জেলা সভাপতি নয়, সোমবার সকাল হতেই আহতদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিজেপি প্রার্থী দেবাশিষ ধরও (Debashis dhar)। এই প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “জেলার সাধারণ সম্পাদক নরেন মিস্ত্রী, তিনি মিটিং করে ফিরছিলেন, সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আক্রমণ (TMC attacks on BJP) করে। আমাদের সভাপতি প্রসেনজিৎ দত্ত ও আমদের যুব নেতাও আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। অভিযুক্তদের কালকের মধ্যে যদি গ্রেফতার (arrest) না করা হয়, ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।” অপর দিকে বিজেপি প্রার্থী দেবাশিষ ধর বলেন, “তৃণমূল হারার ভয়ে এই আচরণ করছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে যাবো। কর্মীদের পাশে সব সময় রয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share