Tag: bjp

bjp

  • Nadia: বিজেপি প্রার্থীর গাড়িতে হামলা, কর্মীদের মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Nadia: বিজেপি প্রার্থীর গাড়িতে হামলা, কর্মীদের মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রচারে বেরিয়ে নদিয়ার (Nadia) রানাঘাটে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলার মুখে পড়েন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার চাকদা বিধানসভার এক নম্বর চাঁদুড়িয়া এলাকায়। বাধা দিতে গিয়ে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ছিঁড়ে নেওয়া হয় এক বিজেপি কর্মীর সোনার চেন। পরিকল্পিতভাবেই এই হামলা বলে অভিযোগ করেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার।

     ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    রবিবার নদিয়ার (Nadia) চাকদা বিধানসভার এক নম্বর চাঁদুড়িয়া মালাপাড়া মোড়ে স্থানীয়দের উদ্যোগে হরিনাম সংকীর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে যোগ দিতে যান রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি পৌঁছতেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর গাড়ির ওপর চাড়াও হয়। গাড়ির ওপর চল, কিল,ঘুসি মারতে থাকে। গাড়ির ভিতরেই ছিলেন জগন্নাথবাবু। বিজেপি কর্মীরা এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়। বেশ কয়েকজন কর্মীকে, ছিঁড়ে দেওয়া হয় জামাকাপড়। এছাড়াও সোনার চেন ছিনতাই করার চেষ্টা করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পরে, বিজেপি প্রার্থীর নিরাপত্তা রক্ষীরা হামলাকারীদের সরিয়ে দেন। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। অভিযোগ পুলিশ প্রশাসনকে জানানো সত্ত্বেও কোনওরকম পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। এই ঘটনার পিছনে প্রশাসনের মদত আছে বলে অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। দুষ্কৃতীদের মারে আহত বিজেপির বুথ সভাপতি নীলকান্ত হালদার বলেন, বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার আমাদের আমন্ত্রনে হরিনাম সংকীর্তন এ উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু, আচমকা তাঁর গাড়িতে হামলা চালানো হয়। আমরা প্রতিবাদ করাই আমাদের বেধড়ক মারধর করে তৃণমূলের লোকজন।

    প্রশাসনের মদতেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে

    এ বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, সম্পূর্ণ প্রশাসনের মদতে হামলা চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আর এই ঘটনার জন্য চাকদা (Nadia) থানার আইসি দায়ী। শুধু আমার গাড়িতে হামলা হয়েছে তা নয়, আমাদের একাধিক কর্মীকে মারধর করেছে। পাশাপাশি গলার সোনার চেন সহ একাধিক জিনিস লুট করার চেষ্টা করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। আমার সামনেই দলীয় কর্মীদের বেধড়ক মারল তৃণমূলের লোকজন।

    আরও পড়ুন: শুভেন্দুর হাত ধরে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের ছেলে যোগ দিলেন বিজেপিতে

     তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    এ বিষয়ে নদিয়ার (Nadia) জেলা তৃণমূল নেতা সনৎ চক্রবর্তী বলেন, সামনে ভোট বিজেপি প্রার্থী নিজেও জানেন এবারে তিনি পরাজিত হচ্ছেন। সেই কারণে তারা নিজেরাই এই ঘটনা ঘটিয়ে তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: অধীরগড়ে ভোটের মুখে  ৫০ হাজার কণ্ঠে গীতা পাঠ, জেলায় শোরগোল

    Murshidabad: অধীরগড়ে ভোটের মুখে ৫০ হাজার কণ্ঠে গীতা পাঠ, জেলায় শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অধীর চৌধুরীর খাসতালুক মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরে জনপ্রিয় চিকিৎসক নির্মল সাহাকে প্রার্থী করে মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছিল বিজেপি। এবার সেই বহরমপুরে লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে ৫০ হাজার লোক নিয়ে গীতা পাঠের আসর করল পদ্ম শিবির। কয়েক মাস আগেই কলকাতায় মহাসমারোহে বসেছিল লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের আসর। যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির তাবড় তাবড় সব নেতারা। এবার বহরমপুরে সেরকমই গীতাপাঠের সেই আয়োজন করা হল। জেলাস্তরের বিজেপি নেতারা সেখানে অংশগ্রহণ করেন।

    চৈতন্যদেবের জন্মতিথিতে ৫০ হাজার কণ্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর শহরের ফরাসডাঙ্গা লাগোয়া এলাকায় রবিবার ৫০ হাজার কণ্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন করা হয় চৈতন্যদেবের জন্মতিথি উপলক্ষে। উদ্যোক্তা স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ। সূত্রের খবর, ব্রিগ্রেডের গীতা পাঠের অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন এই প্রদীপ্তানন্দ। এদিন অনুষ্ঠান শুরু হতেই জেলার সমস্ত প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ ঐতিহাসিক এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য আসেন। সুমন্ত গনাই নামে শক্তিপুরের বাসিন্দা বলেন, ব্রিগেডের অনুষ্ঠানে আমি গিয়েছিলাম। এদিনও আমি বহরমপুরে এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছি। এত মানুষ এসেছে, দেখে খবু ভাল লাগছে। গীতা পাঠে আগ্রহ বাড়ছে দেখে আমাদের বেশ ভাল লাগছে।

    আরও পড়ুন: শুভেন্দুর হাত ধরে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের ছেলে যোগ দিলেন বিজেপিতে

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    ভোটের মুখে গীতা পাঠ প্রসঙ্গে বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, কী বলব আর। আমি তো আর মানা করতে পারি না। গীতা পাঠের জন্য নির্বাচনের মরসুম বেছে নেওয়ার পিছনে রাজনৈতিক কারণ আছে। এটার মধ্য দিয়ে কী ভাল চাইছে জানি না। বহরমপুরে ওদের গীতা পাঠের অনুমতি কে দিল জানি না। আমাদের তো একটা মিটিং করতে দেওয়া হয় না। এমপি ল্যাডের কাজ সেটা করতে দেওয়া হয় না।আমরা যদি কোনও জায়গায় কাজ করি তাহলে সেখানে আমাদের নাম ঢেকে দেওয়া হয়। কিন্তু, নির্বাচনের সময় হঠাৎ করে গীতা পাঠের মাধ্যমে কি বার্তা দিতে চাইছে? আমার বাড়িতে গীতা আছে। সেই গীতা পাঠ আমি বাড়িতে করি। বহরমপুর সাংগঠনের জেলা বিজেপির সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, “গীতাপাঠের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আমি অধীরবাবুকে আমন্ত্রণ করছি। উনি নিজেও আসুন। গীতা পাঠ সবার। গীতা পাঠ সব রাজনৈতিক দলের। অফিসিয়ালি ওনাকে কার্ড দিয়ে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। কিন্তু, তিনি আসবেন না। তিনি ভাবছেন গীতা পাঠে গেলে ওনার কিছু ভোট কমে যাবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: শুভেন্দুর হাত ধরে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের ছেলে যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Howrah: শুভেন্দুর হাত ধরে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের ছেলে যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। প্রথমদফায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়ে গিয়েছে বিজেপির। চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। এই আবহে জেলায় জেলায় তৃণমূল ছে়ড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার হাওড়ার (Howrah) জগৎবল্লভপুরের প্রাক্তন বিধায়কের ছেলে যোগ দিলেন বিজেপিতে। ২০০১ সালে ভোটে জিতে জগৎবল্লভপুরের বিধায়ক হন বিমান চক্রবর্তী। তাঁরই ছেলে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অনিকেত চক্রবর্তী শনিবার বিজেপিতে যোগ দিলেন। তাঁর সঙ্গে প্রায় সাড়ে ৫০০ জন যোগ দেন বিজেপিতে।

    বিজেপি এবার ভাল ফল করবে (Howrah)

    শনিবার হাওড়ার (Howrah) জগৎবল্লভপুরের বড়গাছিয়া হসপিটাল মাঠে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিতি বিজেপিতে যোগ দেন অনিকেত। বিজেপিতে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, দল যেভাবে কাজ করতে বলবে, সেভাবেই কাজ করব। ছোট থেকে জগৎবল্লভপুর কেন্দ্র দেখে এসেছি। বাবাকে বিধায়ক দেখেছি, সভাপতি হিসাবে থাকতে দেখেছি। আমিও দীর্ঘদিন দায়িত্ব নিয়ে পদে থেকে কাজ করেছি। শ্রীরামপুর লোকসভার সার্বিক ফল নিয়ে বলার যোগ্যতা আমার আছে বলে মনে করি না। তবে, এটুকু বলতে পারি জগৎবল্লভপুরের ১৭টা অঞ্চলে বিজেপি কোনওদিন যে ফল করেনি তা এবার করবে।”

    আরও পড়ুন: বুকে-পেটে বিড়ির ছ্যাঁকা, ধানখেতে বিজেপি কর্মীর দেহ, খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    জগৎবল্লভপুর (Howrah) পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য রঞ্জন কুণ্ডু বলেন, “জগৎবল্লভপুরে তৃণমূল একটা অটুট পরিবার। এখানে মাদার, মহিলা, যুব, সব একসঙ্গে রয়েছে। আর যিনি দল ছেড়েছেন বলে শুনছি তাঁকে নিয়ে বলার কিছু নেই। তিনি জগৎবল্লভপুরের তৃণমূলের এক সময়ের সদস্য ছিলেন। বছর দুই হয়ে গেল তিনি রাজনীতি থেকে এক প্রকার বিদায় নিয়েছিলেন। তাঁর মনে হয়েছে বিজেপিতে গেলে কিছু পাওয়ার আছে, তাই গিয়েছেন। বিশেষ কিছু এ নিয়ে বলার নেই। ফলে, তৃণমূলের বড় কেউ বিজেপিতে যোগ দেন নি।  আর ৫০০ জনের বেশি যোগদানের যে কথা বলা হচ্ছে তা ঠিক নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বুকে-পেটে বিড়ির ছ্যাঁকা, ধানখেতে বিজেপি কর্মীর দেহ, খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বুকে-পেটে বিড়ির ছ্যাঁকা, ধানখেতে বিজেপি কর্মীর দেহ, খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়ার পর পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা। ভোটের মুখে ফের বিজেপি (BJP) কর্মীকে খুনের অভিযোগ। ধানখেত থেকে উদ্ধার হল বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ। ঘটনার জেরে শনিবার পিংলা বিধানসভা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়াল। মৃতের নাম শান্তনু ঘোড়াই। তাঁর বাড়ি পিংলার বাড়বাশী এলাকায়। ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

    বিজেপি করলে খুন করার হুমকি দেওয়া হত! (BJP)

    গত কয়েকদিন দলের নির্বাচনী প্রচারপর্বে এলাকায় দেওয়াল লিখন-সহ নানা কর্মসূচিতে তিনি অংশ নিয়েছেন। কিছুদিন আগেই বিজেপি (BJP) ছেড়ে দেওয়ার জন্য তৃণমূলের তরফে তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এরপর শুক্রবার রাত থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার সকালে ধানখেত থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের দাবি, শুক্রবার সন্ধ্যা অবধি বাড়ি ফেরেননি শান্তনু। এরপর খোঁজ খবর শুরু করে বাড়ির লোকেরা। রাত হয়ে গেলেও ফেরেননি বাড়ি। এরপর শনিবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ খবর আসে মাঠে একটা দেহ পড়ে আছে। গিয়ে দেখেন শান্তনুর রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। বুকে, পেটে বিড়ির ছ্যাঁকা, ছাল উঠে গিয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। শান্তনুর বাবা বলেন, “বিজেপি করে বলেই ছেলেকে জীবন দিতে হল। বারবার বলা হতো বিজেপি করবে না। বিজেপি করলে মুশকিল আছে। মেরে দেওয়ার হুমকি দিত।”

    আরও পড়ুন: কৃষ্ণনগরের পর করিমপুরে মহুয়ার বাড়িতে হানা দিল সিবিআই

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির (BJP) সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, ‘পিংলার বাড়বাশী এলাকায় শান্তনু ঘোড়াই আমাদের বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মী শান্তনুকে খুন করে ফেলে রেখে গেছে। ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এটা ২০১৯, ২০২১ নয়। মানুষ আন্দোলন করলে পালাবার পথ পাবে না তৃণমূল। খুনের রাজনীতি বন্ধ হওয়া দরকার। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। আসলে দেবের সভায় হাজার হাজার মানুষ দেখে এসব মৃতদেহকে হাতিয়ার করছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Himachal Pradesh Crisis: হিমাচলে বিজেপিতে যোগ দিলেন কংগ্রেসের ৬ বিদ্রোহী বিধায়ক

    Himachal Pradesh Crisis: হিমাচলে বিজেপিতে যোগ দিলেন কংগ্রেসের ৬ বিদ্রোহী বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh Crisis) ছ’জন বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কের পাশাপাশি তিন নির্দল এমএলএ শনিবার যোগ দিলেন গেরুয়া শিবিরে। শিমলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের উপস্থিতিতে মোট ৯ বিধায়ক যোগ দিলেন বিজেপিতে। জানা গিয়েছে, ছ’জন কংগ্রেস বিধায়ক এবং তিন নির্দল এমএলএ ইস্তফা দিয়ে উপনির্বাচনের মুখোমুখি হবেন।

    বিজেপিতে আসা কংগ্রেস বিধায়করা

    বিজেপিতে যোগদানকারী (Himachal Pradesh Crisis) বিধায়করা হলেন— রবি ঠাকুর (লাহুল-স্পিতি), রাজেন্দ্র রানা (সুজনপুর), সুধীর শর্মা (ধরমশালা), ইন্দ্রদত্ত লক্ষণপাল (বারসার), চৈতন্য শর্মা (গগরেট), দেবেন্দ্র ভুট্টো (কুটলেহা)-কে প্রার্থী করবে বলে দলের একটি সূত্র জানিয়েছে। পাশাপাশি, তিন নির্দল— আশিস শর্মা (হামিরপুর), হোশিয়ার সিংহ (দেহরা) এবং কৃষ্ণলাল ঠাকুর (নালাগড়)। ছ’জন কংগ্রেস বিধায়ককে বরখাস্ত করেন হিমাচলের স্পিকার কুলদীপ সিংহ পঠানিয়া। তাঁর এহেন সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল, বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চে। তবে সেই আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের ওই নির্দেশের পরেই গত ১৮ মার্চ নির্বাচন কমিশন জানায় আগামী ৭ মে ওই ছ’টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হবে।

    রাজ্যসভায় ‘ক্রস ভোটিং’

    হিমাচল বিধানসভায় কংগ্রেস (Himachal Pradesh Crisis) সরকারের বাজেট প্রস্তাব সংক্রান্ত অর্থবিলের পক্ষে ভোট না-দেওয়ার কারণে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ‘দলত্যাগ বিরোধী আইনে’ স্পিকার বিদ্রোহী ছ’জন বিধায়কের পদ খারিজ করেছিলেন। তবে তার ঠিক ২ দিন আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভা ভোটের সময় ওই ছ’জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপির প্রার্থী হর্ষ মহাজনের সমর্থনে ‘ক্রস ভোটিং’ করেছিলেন বলে জানা যায়। তাঁদের সঙ্গেই বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন কংগ্রেস সরকারের সমর্থক তিন নির্দলও। নির্বাচনে ‘ক্রস ভোটিং’-র জেরে কংগ্রেস প্রার্থী তথা আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি হেরে যান। ৬৮ সদস্যের হিমাচল বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ‘জাদুসংখ্যা’ ৩৫। এই মুহূর্তে কংগ্রেসের রইলেন ৩৪ জন বিধায়ক। বিজেপির রয়েছে ২৫ বিধায়ক। বিজেপির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন অনেক কংগ্রেস বিধায়কই (Himachal Pradesh Crisis)। এমনটাই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বাড়িতে শুধু সিবিআই তল্লাশি নয়, গ্রেফতার হতে পারেন মহুয়া, স্পষ্ট ইঙ্গিত সুকান্তর

    BJP: বাড়িতে শুধু সিবিআই তল্লাশি নয়, গ্রেফতার হতে পারেন মহুয়া, স্পষ্ট ইঙ্গিত সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার পর কৃষ্ণনগরেও তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের পার্টি অফিসে হানা দিয়েছিল সিবিআই। হানা বা তল্লাশি নয়, গ্রেফতার হতে পারেন মহুয়া মৈত্র। শনিবার দিল্লি যাওয়ার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একইসঙ্গে তিনি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহকে জেলে ভরারও কথা বলেন। 

     মহুয়া গ্রেফতার হতে পারেন! (BJP)

    কলকাতার পর কৃষ্ণনগরে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের ফ্ল্যাটে সিবিআই হানা দেওয়ায় সর্বত্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি এটা প্রত্যাশিত বলেই মনে করেন। এপ্রসঙ্গে এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুকান্ত মজুমদার বলেন, মহুয়া মৈত্র তার লগইন পাসওয়ার্ড টাকার বিনিময়ে এমন একজনকে দিয়েছিলেন যিনি একটি ব্যবসায়ী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। বিদেশ থেকে তিনি সংসদের ওয়েবসাইট লগইন করেছেন। এটা অত্যন্ত অন্যায় কাজ। এ কাজের জন্য সিবিআই তাঁর ফ্ল্যাটে তল্লাশি কেন গ্রেফতার করতে পারে।

    আরও পড়ুন: মহুয়ার কৃষ্ণনগরের পার্টি অফিসের সামনে সিবিআই-এর গাড়ি ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের

    তৃণমূলে চোরে ভরে গিয়েছে

    সিবিআই, ইডি-র তদন্ত নিয়ে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি বলেন, তৃণমূলে চোরে ভরে গিয়েছে। সারাবছরই নানা দুর্নীতির তদন্তে ইডি, সিবিআইকে অভিযান চালাতে হচ্ছে। এ রাজ্যে ঘনঘন ভোট হয়। পঞ্চায়েত এবং পুরসভার ভোট আলাদা হয়। বিধানসভা, লোকসভার ভোটও হয় আলাদা সময়ে। এজন্যই কারও কারও মনে হয় ভোটের অঙ্কে ইডি, সিবিআই’র তদন্ত হচ্ছে। কিন্তু, বাস্তবে তা নয়। আর এই জন্যই তো আমরা বলছি এক দেশ, এক ভোট হোক।

     উদয়নকে নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    দিনহাটা অশান্ত হয়ে ওঠার জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহকেই দায়ী করলেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, দিনহাটায় যতদিন উদয়ন গুহ নামে গুন্ডা থাকবে, ততদিন অশান্তি থাকবে। উদয়ন গুহকে জেলে ভরলেই দিনহাটা শান্ত হয়ে যাবে। তাঁর জন্মদিন কেন রাস্তায় পালন করা হবে। তিনি কোন মহাপুরুষ। তিনি কি পদ্মশ্রী’ পেয়েছেন?  আমাদেরও তো জন্মদিন হয়, আমরা তো ঘরের মধ্যে করি। তাহলে উনি রাস্তায় জন্মদিন করতে এসেছিলেন কেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Purba Bardhaman: মেমারীতে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে ব্যাপক মারামারি, প্রচার না করেই ফিরেতে হল প্রার্থীকে

    Purba Bardhaman: মেমারীতে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে ব্যাপক মারামারি, প্রচার না করেই ফিরেতে হল প্রার্থীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের প্রথম প্রচারেই বিরাট অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হল তৃণমূল প্রার্থীকে। শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের কারণে দলীয় প্রার্থীকে ফিরতে হল কার্যত প্রচার না করেই। শনিবার পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) মেমারীর গন্তারে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় চরম বিপাকের মধ্যে পড়ে অস্বস্তি বোধ করলেন বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শর্মিলা সরকার। যদিও তৃণমূলের পক্ষে ঘটনার কথা অস্বীকার করা হয়েছে।

    তৃণমূলের দুই পক্ষের হাতাহাতির (Purba Bardhaman)

    লোকসভা ভোটের নির্বাচনী প্রচারে এলাকার (Purba Bardhaman) কর্তৃত্ব থাকবে কার হাতে? প্রার্থী শর্মিলা সরকারের উপস্থিতিতেই মেমারীর বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির অনুগামীদের মধ্যে প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা যায়। শুধু তাই নয়, কার্যত হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায় ঘটনা। দুই পক্ষের অনুগামীদের ধ্বস্তাধস্তি এবং মারামারিতে কার্যত প্রচার করতে পারলেন না প্রার্থী। এদিন পূর্ব নির্ধারিত প্রচার কর্মসূচী অনুযায়ী শনিবার সকালে মেমারীর গন্তার এলাকায় প্রচারে আসেন বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। সেখানে মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য ও মেমারী ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নিতাই বন্দোপাধ্যায়ের অনুগামীদের মধ্যে ধ্বস্তাধস্তিতে বাধে। এরপরই কার্যত প্রচার না করেই এলাকা ছাড়তে হয় প্রার্থীকে। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।

    আরও পড়ুনঃ‘গনি খান চৌধুরী ঈশ্বর নন’, তৃণমূল প্রার্থীর মন্তব্যে অস্বস্তিতে দল

    তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্য?

    বর্ধমান পূর্বের (Purba Bardhaman) তৃণমূল প্রার্থী শর্মিলা সরকার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “কোনও রকম বচসা আমি দেখতে পাইনি। মারামারি হয়নি। দলীয় কর্মীদের নিয়ে একসঙ্গে বসে চা খাচ্ছিলাম। প্রচারের মাঝে একটু রেস্ট নিয়ে ছিলাম। সব ঠিক আছে।” আবার জেলার তৃণমূল মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “আমাদের লোকসভা প্রার্থী এসেছেন প্রচার হয়েছে। ঝামেলার কোনও ঘটনা ঘটেনি।”

    বিজেপির বক্তব্য

    জেলা (Purba Bardhaman) বিজেপির মুখপাত্র শান্তরূপ দে বলেন, “তৃণমূলের কাজ হল তোলাবাজি করা। এলাকা কাদের হাতে থাকবে এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল হয়। মূলত প্রচার করা উদ্দেশ্য নয়। এলাকা কাদের দখলে থাকবে, তাই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘাত হয়। তৃণমূল ভালো করে জানে যে তারা হারবে। তাই প্রচারের নামে মানুষের মনে ভয় তৈরি করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘মাফলারের পর এবার হাওয়াই চটির পালা’, নাম না করে মমতাকে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘মাফলারের পর এবার হাওয়াই চটির পালা’, নাম না করে মমতাকে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘আগামীদিনে জেলে কে ঢুকবে আর কে ঢুকবে না তা জানি না। তবে, কর্মরত মুখ্যমন্ত্রী যে গ্রেফতার হতে পারেন তার জ্বলন্ত উদাহরণ হলেন কেজরিওয়াল ও হেমন্ত সোরেন। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে নিশ্চয়ই আগামীদিনে তিনি গ্রেফতার হবেন।’ শুক্রবার রাতে বালুরঘাটে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে একথা বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি আরও বলেন, ‘যতই কর কান্নাকাটি, মাফলারের পর এবার হাওয়াই চটির পালা। হাওয়াই চটি রেডি হয়ে যাক।’ মূলত, নাম না করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সুকান্ত তোপ দেগেছেন বলে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।

    রাজ্যের ক্যাবিনেট মিটিং জেলে হতে পারে! (Sukanta Majumdar)

    গঙ্গারামপুর ব্লকের বেলবাড়ি পঞ্চায়েতের বসাকপাড়া এবং শুকদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মালিপাড়ায় কর্মীসভা করেন সুকান্ত। তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলীয় নেতা প্রদীপ সরকার, গৌতম রায় সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারি নিয়ে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের পদ্ম প্রার্থী বলেন, ‘কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পর অনেকের খুব কষ্ট হচ্ছে বলে শুনছি। দোষ করলে শাস্তি তো পেতেই হবে। আইন সবার জন্য সমান।’ আগামীতে দেশে অন্য কোনও মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির সম্ভাবনা রয়েছে কি? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে সুকান্ত বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে নিশ্চয়ই আগামীদিনে তিনি গ্রেফতার হবেন।’ কেজরিওয়ালের জেল থেকে সরকার চালানো প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতির (Sukanta Majumdar) বক্তব্য, ‘মুখ্যমন্ত্রী জেল থেকে সরকার চালাচ্ছেন এমন দৃশ্য হয়তো বিরোধীদের সৌজন্যে দেখতে হতে পারে। এরপর হয়তো পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত ক্যাবিনেট মিটিং জেলে হচ্ছে, এমনটাও দেখতে হতে পারে।’

    কেন্দ্রের পাঠানো ৬৪ কোটি টাকা কোথায় গেল?

    এদিনের নির্বাচনী সভা থেকে একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগের সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তাঁত শিল্প অধ্যুষিত বসাকপাড়া এলাকার কর্মীসভা থেকে গঙ্গারামপুরে তাঁত শিল্পের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, ‘আমি সাংসদ হওয়ার আগে গঙ্গারামপুরে তাঁত শিল্পের উন্নয়নে ৬৪ কোটি টাকা পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু, সেই টাকা কোথায় গেল, আমরা কেউ জানি না। আগামীদিনে তাঁত শিল্পের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হব।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে মানুষের অধিকার ফেরাতে বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কার ক্যাম্পে ব্যাপক সাড়া

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে মানুষের অধিকার ফেরাতে বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কার ক্যাম্পে ব্যাপক সাড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে শিবির করে জনজাগরণের কাজ করছেন বিজেপির নেত্রী আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা ট্রিব্রেওয়াল। উল্লেখ্য গত সপ্তাহে শিবির করেছেন তিনি। ফের একবার আজ শনিবার আইনি সহায়তা দিতে সামাজিক শিক্ষা কেন্দ্রের মাঠে একটি ক্যাম্প করেন। এলাকার শত শত মানুষ নিজেদের অভিযোগের কথা জানিয়েছেন এই ক্যাম্পে। তাদের এইসব অভিযোগ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে। এলাকার মানুষ নিজেদের অভিযোগ জানিয়ে সমস্যার দ্রুত সমাধান চেয়েছেন। 

    এলাকায় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান-শিবু-উত্তম-সিরাজদের দৌরাত্ম্যে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। জোর করে জমি দখল, বাড়ির মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন থেকে শুরু করে সম্পত্তি দখল, এককথায় সব কিছু করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও এলাকার মানুষ কোনও সমস্যার সমাধান পাননি। এবার এই বিজেপি নেত্রীর ক্যাম্পে এলাকার মানুষের নিজেদের অভিযোগ জানিয়েছেন। ফলে লোকসভার আগে এই এলাকার হওয়া যে ঘুরছে, সেই কথা রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন। 

    ক্যাম্পে ছিলেন ২০ জন আইনজীবী (Sandeshkhali)

    গতকাল ফের সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) বিজেপি নেত্রী আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা ট্রিব্রেওয়ালের নেতৃত্বে ২০ জন আইনজীবী এই ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন। এই ক্যাম্পে সন্দেশখালির সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অভিযোগ সংগ্রহ করেন তাঁরা। সারা দিনে এই ক্যাম্পে প্রচুর মানুষ নিজেদের অভিযোগ লিখিয়েছেন। এলাকার মানুষ ছোট ছোট টোকেন লিখে ক্যাম্পে এসে লাইন দিয়েছেন। এই শিবিরকে ঘিরে মানুষের এখন ব্যাপক আশা। 

    আরও পড়ুনঃ দেবের সামনেই ভোটের প্রচারে তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল গোন্ডগোল

    কী বললেন প্রিয়াঙ্কা?

    আজ শনিবার এই ক্যাম্পে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান। যাঁরা যাঁরা অভিযোগ জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে সকলেরই জমি তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান (Sandeshkhali) জোর করে দখল করে নিয়েছে। এখনও বহু জমি তৃণমূল নেতাদের দখলেই। এই ক্যাম্পে প্রিয়াঙ্কা বলেন, “এই সমস্ত অভিযোগ কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা আকারে জমা করা হবে। এখানকার মানুষের প্রধান ভরসাস্থল হলাম আমরা। আমরা মানুষের অধিকার নিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াই করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia:  লোকসভা ভোটের মুখে পুরুলিয়ায় বিজেপি কর্মী খুন! অভিযুক্ত তৃণমূল

    Purulia: লোকসভা ভোটের মুখে পুরুলিয়ায় বিজেপি কর্মী খুন! অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির যুবনেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার (Purulia) কাশীপুর থানার জোড়থল গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম হরনাথ মণ্ডল (২২)। বাড়ির কাছের একটি গাছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃত যুবকের মুখে কাপড় গোঁজা ছিল। বিজেপির দাবি, লোকসভা ভোটের মুখে দলের যুবনেতাকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। বিজেপির জেলা নেতৃত্বের দাবি, মৃত হরনাথ দলের যুবমোর্চার মণ্ডল সম্পাদক ছিলেন।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন? (Purulia)

    দলের যুবনেতার মৃত্যুর খবর পেয়ে গ্রামে যান পুরুলিয়ার (Purulia)  বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো ও বিভাগ আহ্বায়ক বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী-সভ অন্য নেতারা। তাঁরা মৃত যুবকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। মৃতের বাবা মনসারাম মণ্ডল বলেন, ‘আমার ছেলে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটিতে কাজ করত। বাড়ি থাকলে বিজেপির সঙ্গে ঘোরাঘুরি করত। আজ সকালে গলায় গামছা জড়ানো মৃত অবস্থায় ছেলেকে পাওয়া গিয়েছে। কীভাবে ছেলের মৃত্যু হয়েছে, জানি না। আমরা চাই, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করুক।’ মৃতের ভাই শচীন মণ্ডল বলেন, ‘গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দাদার দেহ পাওয়া গিয়েছে। মৃতদেহের অবস্থান দেখে আমাদের অনেক কিছু সন্দেহ হচ্ছে। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে মন্ত্রীর বাড়িতে ১৪ ঘণ্টা তল্লাশি ইডি-র, বাজেয়াপ্ত জমির দলিল-নথিপত্র

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি জেলা সভাপতি বিবেক রাঙা বলেন, “হরনাথ আমাদের দলের যুব সংগঠনে নেতা ছিলেন। দলের হয়ে ভালো কাজ করছিলেন। স্থানীয় মানুষের দেওয়া বিবরণ অনুযায়ী, হরনাথের মৃত্যুর ঘটনাটি আমাদের কাছে অত্যন্ত সন্দেহজনক। ভোটের আগে আমাদের যুব নেতাকে খুন করেছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জড়িত রয়েছে। আমরা অতীতে বহুবার এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি। আমরা ঘটনার প্রকৃত তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।” শাসকদল তৃণমূল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুরুলিয় (Purulia) লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো বলেন, ‘যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। তাই বলে যে কোনও ঘটনায় রাজনৈতিক রং লাগানো উচিত নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share