Tag: bjp

bjp

  • Purba Bardhaman: দলীয় কর্মী সম্মেলনে অসম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন তৃণমূলের নেতারা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Purba Bardhaman: দলীয় কর্মী সম্মেলনে অসম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন তৃণমূলের নেতারা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় কর্মী সম্মেলনে অসম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে। মঞ্চে মন্ত্রীর সামনেই এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা নিয়ে শাসকদলকে একহাত নিয়েছে বিজেপি। চরম অস্বস্তিতে শাসকদল। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) মেমারিতে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Purba Bardhaman)

    লোকসভার প্রার্থীকে নিয়ে যুব তৃণমূলের কর্মী সম্মেলন ছিল মেমারি (Purba Bardhaman) শহরে। মেমারি শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে পূর্ব বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শর্মিলা সরকারকে নিয়ে কর্মী সম্মেলন করা হয়। মেমারি শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ঝাপানতলা‌য় এই কর্মী সম্মেলনে প্রার্থীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাণী সম্পদ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, মেমারি বিধানসভার বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য, মেমারি পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন বিষয়ী ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিয় সামন্ত সহ কাউন্সিলরবৃন্দ। সভার শেষ দিকে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। একটি ভাইরাল ফুটেজে (যাচাই করেনি মাধ্যম) দেখা যাচ্ছে, জাতীয় সঙ্গীত একটা পর্যায়ে এসে শেষ হয়ে যায়। অসম্পূর্ণ অবস্থায় কোনওরকমে শেষ করা হয় জাতীয় সঙ্গীত। বিষয়টি নিয়ে মেমারির তৃণমূল বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য বলেন, ‘ নিজে মঞ্চে ছিলাম। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। এর জন্য আমরা অনুশোচনা প্রকাশ করছি। সকলের কাছে অনুরোধ, এটি যেন মার্জনার চোখে দেখা হয়। দ্রুততার সঙ্গে বিষয়টি খেয়াল রাখা সম্ভব হয়নি।’

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই নিয়ে শাসকদলের কঠোর সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র। তিনি বলেন, এইসব বয়স্ক লোকেরা ভুলভাবে জাতীয় সঙ্গীত গাইছেন। এরা কী মানুষের কাজ করবেন? এরা কি জাতীয়তাবাদী মানুষ? এরা নির্বাচিত হয়ে কীভাবে দেশের উন্নয়ন করবেন? ভুলভাবে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।  তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘ আমি ওখানে ছিলাম না। দলে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। জাতীয় সংগীত আমাদের গর্বের ব্যাপার। তবে, আজকাল বৈদ্যুতিন মাধ্যমের যুগে অনেক কিছু ভাইরাল হয়।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Saumitra Khan: লোকাল ট্রেনে চেপে চুটিয়ে প্রচার সারলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ

    Saumitra Khan: লোকাল ট্রেনে চেপে চুটিয়ে প্রচার সারলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকাল ট্রেনে চেপে চুটিয়ে প্রচার সারলেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। একেবারে হালকা মেজাজে ছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী। সোমবার ট্রেনে চেপে মশাগ্রাম যাওয়ার পথে প্রচার সারলেন। ট্রেনের ঝালমুড়ি কিনে খান। ঝালমুড়ি খেতে খেতে শুনলেন ট্রেন যাত্রীদের কথা। তিনি বলেন, “ট্রেনের টিকিট কেটে বাঁকুড়া থেকে সোনামুখী বিধায়কের সঙ্গে সফর একটা আলাদা অনুভূতি।”

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী? (Saumitra Khan)

    এদিন বিধায়ক দিবাকর ঘরামি ও কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সোনামুখী স্টেশনে পৌঁছে গেছিলেন বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র (Saumitra Khan)। অন্যান্য যাত্রীদের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটেন তিনি। স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষাও করতে দেখা যায় তাঁকে। ট্রেনে ওঠার পরে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন সৌমিত্র। কেন্দ্রীয় সরকারে উন্নয়নের কাজগুলি তুলে ধরেন তিনি। সৌমিত্রর কথায়, “জনতা বলছে মোদি গ্যারান্টি।” আমরা বার বার বিষয়টি নিয়ে দরবার করেছিলাম। মোদীজি গ্যারেন্টি দিয়েছিলেন মশাগ্রাম হয়ে হাওড়া পর্যন্ত পৌঁছবে ট্রেন। সেই কথা রেখেছেন। আগামী ৩০ মার্চ হাওড়ার সঙ্গে মশাগ্রাম হয়ে বাঁকুড়ার রেল পরিষেবাকে যুক্ত করতে চলেছে রেল। এতে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরত্ব কমে আসবে। আগামী পাঁচ বছরে বাঁকুড়ার রেল পরিষেবা নিয়ে আরও পরিকল্পনাও রয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সোনামুখী-মশাগ্রাম ডবল লাইন করা। আর বেশ কিছু এক্সপ্রেস ট্রেন এবং লোকাল ট্রেন চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

    যাত্রীরা কী বলেন?

    মনোজ সিনহা নামে এক যাত্রী বলেন, মশাগ্রাম হয়ে হাওড়া ট্রেন চলাচল করলে আমাদের মতো বাঁকুড়াবাসীর অনেক সুবিধা হবে। সৌমিত্রবাবু (Saumitra Khan) আমাদের কাছে এসে আমাদের সমস্যার কথা জানতে চান। আমরা এলাকার কিছু সমস্যার কথা বলেছি। তিনি সব শুনেছেন। আমার মতো অনেক যাত্রীর সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। সাধারণ যাত্রীর মতোই লোকাল ট্রেনে দাঁড়িয়ে সকলের সঙ্গে কথা বলেছেন বিজেপি প্রার্থী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Arambagh: প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হলেও আরামবাগে প্রচারে, দেওয়াল লিখনে এগিয়ে বিজেপি

    Arambagh: প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হলেও আরামবাগে প্রচারে, দেওয়াল লিখনে এগিয়ে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হলেও আরামবাগে (Arambagh) প্রচারে, দেওয়াল লিখনে এগিয়ে বিজেপি। এই লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকা জুড়ে এমনই চিত্র। আরামবাগে দেওয়াল লিখন নিয়ে টক্করে তৃণমূল -বিজেপির। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের প্রার্থী মিতালি বাগের নাম ঘোষণা করেছে। আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে মোট সাতটি বিধানসভা রয়েছে। চারটি বিধানসভা রয়েছে বিজেপির দখলে,তিনটি রয়েছে তৃণমূলের দখলে।

    দেওয়াল লিখন-প্রচারে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি (Arambagh)

    লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে আরামবাগ (Arambagh) কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকা জুড়ে। আর সেই দেওয়াল লিখন, প্রচারে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস উদ্দীপনা চোখে পড়ার মতো হাতের রং তুলি নিয়ে খোশ মেজাজেই ছুটছে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। এই মুহূর্তে আরামবাগ মহকুমার অলিতে গলিতে যেদিকে ঘুরবেন বিজেপির প্রতীক পদ্মফুল দেওয়ালে ফুটে উঠেছে। যদিও এখনও বিজেপির দলীয়ভাবে কোন প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি। একপ্রকার বলা যায়, নির্বাচনী প্রচারে বিজেপির দেওয়াল লেখনে টক্কর দিচ্ছে তৃণমূলকে। রাজ্যের শাসক দলের ক্ষমতায় তৃণমূল থাকলেও একপ্রকার বলাই যায় আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্র এখন বিজেপির দখলে। কারণ, এই লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার মধ্যে আরামবাগ মহাকুমার চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভায় এখন বিজেপির দখলে। যার জেরে একপ্রকার তৃণমূল অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে। যদিও বিজেপির দাবি তারা ইতিমধ্যেই লোকসভা কেন্দ্রের বেশিরভাগ অংশই দেওয়াল লিখন এর কাজ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে গেছে।

    আরও পড়ুন: লোকাল ট্রেনে চেপে চুটিয়ে প্রচার সারলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ

    ১৬ হাজার দেওয়াল লিখন সম্পূর্ণ

    গেরুয়া শিবিরের দাবি, ইতিমধ্যে ১৬ হাজার দেওয়াল-লিখন হয়ে গিয়েছে। আরও হবে। ১০ লক্ষ মানুষের সঙ্গে ‘সম্পর্ক স্থাপন’ও সম্পূর্ণ। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, “দু’মাস সময় পাওয়ায় তৃণমূলের ফাঁকফোকর আরও বাড়বে। মানুষকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে যে সব ভুল ওরা বোঝাচ্ছে, তা নিয়ে আমরা সঠিক তথ্য-সহ আরও প্রচারের সময় পাচ্ছি।” বিমানের দাবি, গত ৫ দিনেই ৭২টি পথসভা করা হয়েছে। তা ধারাবাহিকভাবে চলবে। দু‘মাস সময় পাওয়ায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে আরও জোর দেওয়া হবে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী  বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে হাজার পাঁচেক দেওয়াল-লিখন সম্পূর্ণ হয়েছে। বাকি আরও প্রায় হাজার দশেক দেওয়ালে রং হয়ে গিয়েছে। আগামী দু’দিনের মধ্যে দেওয়াল লিখনে ভরে যাবে লোকসভা কেন্দ্র।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তৃণমূলে মোহভঙ্গ,ভোটের মুখে একঝাঁক ছাত্র-যুব নেতা যোগ দিলেন বিজেপিতে

    BJP: তৃণমূলে মোহভঙ্গ,ভোটের মুখে একঝাঁক ছাত্র-যুব নেতা যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকেই জেলায় জেলায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগদানের হিড়িক শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেক জেলায় সংখ্যালঘুরা ঝাঁকে ঝাঁকে বিজেপিতে যোগদান করছেন। এবার পূর্ব বর্ধমান জেলায় তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসালো বিজেপি। লোকসভা ভোটের মুখে তৃণমূলের ছাত্র-যুব নেতারা বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় দলীয় কর্মীরা চাঙা হয়ে উঠেছেন।

    কেন বিজেপিতে? (BJP)

    সন্দেশখালি সহ নানা জায়াগায় মহিলাদের অসম্মান ও দলের কার্যকলাপে বীতশ্রদ্ধ হয়ে ‘ সোমবার বিজেপি’তে যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কিছু ছাত্র-যুব নেতা। বিজেপি জেলা দফতরে তাদের দলে যোগদান করান বিজেপি-র বর্ধমান জেলার সভাপতি অভিজিৎ তা। সোমবার দুপুরে ৫০ জন ছাত্র ও যুব নেতা তৃণমূল থেকে যোগ দিলেন বিজেপিতে (BJP)। এদের মধ্যে আছেন বর্ধমান রাজ কলেজের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সুরজ ঘোষ সহ অনেকে। বিজেপিতে যোগদানকারী নেতা সুরজ ঘোষ বলেন, ‘চাকরির নামে দুর্নীতি। সব কিছুতেই দুর্নীতি তৃণমূলে। আত্মসন্মান নিয়ে তৃণমূল দলটা করা যায় না। তাই, আমরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার সঙ্গে তৃণমূলের ছাত্র-যুব নেতা সহ ৫০ জন বিজেপিতে যোগ দিলেন। আগামীদিনে আরও অনেকে বিজেপিতে যোগ দেবেন।’

    আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল পরিচয় দিয়ে ভোট চাইতে লজ্জা পাচ্ছেন কর্মীরা’, বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা

    বিজেপি’র জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা জানান,’মোদিজীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এরা দলে যোগ দিলেন। তৃণমূলের প্রতি তাঁরা তিতি বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন। এরা এতই আগ্রহী ছিলেন যে তড়িঘড়ি এদের দলে নেওয়া হল। সামাজিক রাজনৈতিক কাজে এরা যুক্ত হবেন।’ দলবদলের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি স্বরাজ ঘোষ বলেন, যাদেরকে আমরা ছুঁড়ে ফেলে দিই, তাদেরকে বিজেপি (BJP) নিচ্ছে দলে। তাতে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না। বিজেপির  বর্ধমান জেলায় কোন সংগঠন নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Laxmi Bhandar: কোড অফ কনডাক্টকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-জব কার্ডের ফর্ম ফিলাপ

    Laxmi Bhandar: কোড অফ কনডাক্টকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-জব কার্ডের ফর্ম ফিলাপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এবার এই কমিশনের বিজ্ঞাপনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে সরকারি ফর্ম ফিলাপ। গত শনিবার থেকেই মডেল কোড অফ কনডাক্টকে উপেক্ষা করে রাজ্যের তৃণমূল সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, জব কার্ডের জন্য প্রকাশ্যে করে চলেছে আবেদন পত্র গ্রহণ। ঘটনায় ব্যাপক ভাবে সরব হয়েছে বিজেপি। ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman)।

    মমতার ছবি লাগিয়ে চলেছে ফর্ম ফিলাপ? (Laxmi Bhandar)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) গলসি ১ নম্বর উচ্চগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কোলকোল শিক্ষা নিকেতনে গতকাল রবিবার একাধিক সরকারি প্রকল্পের ফর্ম ফিলাপের (Laxmi Bhandar) কাজ সম্পন্ন হয়েছে। একেবারে সরকারি স্কুলে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা লাগিয়ে এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগিয়ে জয় বাংলা ফর্ম ফিলাপ করেন তৃণমূলের নেতারা। এই ফর্ম পূরণের জন্য ১০ টাকা করে নেওয়া হয়।

    তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার বক্তব্য

    স্থানীয় (Purba Bardhaman) সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মাত্র দুই দিন আগেই এলাকায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Laxmi Bhandar) এবং কর্মশ্রী অর্থাৎ পঞ্চাশ দিনের জব কার্ডের জন্য মাইকিং করা হয়। জানা গিয়েছে, এই প্রচারের পিছনে রয়েছে গলসি ১ নম্বর ব্লকের উচ্চগ্রাম অঞ্চল সভাপতি নিখিল রায়। তিনি দায়িত্ব নিয়ে তৃণমূল দলের হয়ে এই প্রচার করেন। পঞ্চায়েত সদস্যা দুলালী বাউরি বলেন, “এদিনের ফর্ম ফিলাপের কাজ সরকারি দফতরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে হয়েছে। আমাকে ওই ফর্ম অঞ্চল সভাপতি দিয়েছেন। সরকারি প্রকল্পের ফর্ম ফিলাপ করতে শুধু মাত্র ১০ টাকা করে নেওয়া হয়।” অপরদিকে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি নিখিল রায় জানান, “ফর্ম ফিলাপের সম্পর্কে কিছু জানিনা। কিছু মানুষের টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকছে না। রবিবারে এমন কাজের কোনও অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে তদন্ত করতে বলব।

    বিজেপির বক্তব্য 

    ঘটনায় কথা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে স্থানীয় (Purba Bardhaman) বিজেপি নেতা বলেন, “নির্বাচন ঘোষণার পর মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তোলাবাজি করা হচ্ছে। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা অভিযোগ করব।” জেলা শাসক বিধান রায় বলেন, “খোঁজ নিয়ে দেখবো। প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ‘নির্বাচন কমিশনকে বসিয়ে, জলটল দিয়ে দেবেন’, কেষ্টর বুলি মালদার তৃণমূল প্রার্থীর গলায়

    Malda: ‘নির্বাচন কমিশনকে বসিয়ে, জলটল দিয়ে দেবেন’, কেষ্টর বুলি মালদার তৃণমূল প্রার্থীর গলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট আসলেই বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের গলায় গরমাগরম ডায়গল শোনা যেত। গরু পাচার কাণ্ডে তিনি এখন তিহার জেলে রয়েছেন। কেষ্টকে দেখেও শিক্ষা হয়নি তৃণমূলের নেতাদের। এবার লোকসভা ভোটের প্রচারে মালদা (Malda) উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও কেষ্টর বুলি শোনা গেল। নির্বাচন কমিশনকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রাক্তন এই আইপিএস। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্যের বিরোধিতা করে নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল প্রার্থী? (Malda)

    এমনিতেই তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে বড় কোনও নেতা প্রচারে নামা শুরু করেননি। বিশেষ করে তৃণমূল নেত্রী মৌসুম বেনজির নূরকে এখনও পর্যন্ত প্রচারে সেভাবে দেখা যায়নি। ফলে, দলের মধ্যে কোন্দল একেবারে সামনে চলে এসেছে। এই অবস্থায় অনুব্রতের মতো গরামগরম বুলি বলে তৃণমূল প্রার্থী বাজিমাত করতে চাইছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। হরিশচন্দ্রপুরে উত্তর মালদার (Malda) তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে গিয়েছিলেন। এই প্রসূনকে এক সময় মালদাবাসী পুলিশকর্তা হিসাবে চিনতেন। এবার তিনি ভোটের প্রার্থী। ভোট প্রচারে নেমে প্রসূন কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “প্যারামিলিটারি যদি ভয় দেখায় আমার নাম প্রসূন ব্যানার্জি। ম্যায় হুঁ না। নির্বাচন কমিশনকে বসিয়ে রাখতে হবে এখানে। ভাল করে জলটল দিয়ে দেবেন। ওদের অযত্ন করবেন না। ওনারাও চাকরি করেন। কোনও অযত্ন করবেন না। শুধু বলবেন প্রসূন ব্যানার্জি খেলতে এসেছে। বুটের দপদপানি, একে-৪৭ দিয়ে কোনও লাভ নেই। বুঝে নেবো সব। আইনকানুন, অবজারভার বুঝে নেবে। সকলকে সম্মান দেবেন। প্রতিপক্ষকে সম্মান দেবেন, কাউকে কুকথা বলবেন না।”

    আরও পড়ুন: রচনার কর্মিসভায় গরহাজির বহু তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    মালদা (Malda) উত্তরের বিদায়ী সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ” যিনি আজ এখানে ধমকাচ্ছেন, ভাবছেন সকলে ঘরে ঢুকে যাবে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। আমরা তৃণমূলের প্রতিটা চমকানো ধমকানো নিয়ে নির্বাচন কমিশনে জানাব।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: ‘তৃণমূল পরিচয় দিয়ে ভোট চাইতে লজ্জা পাচ্ছেন কর্মীরা’, বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    North 24 Parganas: ‘তৃণমূল পরিচয় দিয়ে ভোট চাইতে লজ্জা পাচ্ছেন কর্মীরা’, বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা এখন জেলে। জেলায় জেলায় কাটমানি, তোলাবাজি চালানোর অভিযোগ উঠছে শাসক দলের নেতা -কর্মীদের বিরুদ্ধে। দোসর এখন সন্দেশখালি কাণ্ড। রাস্তাঘাটে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে ছি ছি করছেন সাধারণ মানুষ। এই অবস্থায় তৃণমূল কর্মীরা নিজেদের পরিচয় দিতে লজ্জা বোধ করছেন। ভোট চাইতে কর্মীদের লজ্জা হচ্ছে। এটা বিরোধীরা প্রচার করছেন এমন নয়। খোদ উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী দলীয় কর্মীদের সম্পর্কে প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন, ‘দলীয় কর্মীরা ভোট চাইতে লজ্জা পাচ্ছেন’। বিধায়কের এই মন্তব্যে চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক? (North 24 Parganas)

    শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) অশোকনগরের রাজীবপুর-বিড়া এলাকায় হাবড়া ২ ব্লক তৃণমূলের কর্মিসভা ছিল। সেখানেই কর্মীদের উদ্দেশে নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘দলের অনেক কর্মী রয়েছেন, প্রকাশ্যে যাঁরা নিজেদের তৃণমূল কর্মী পরিচয় দিতে লজ্জা বোধ করছেন। ট্রেনে বাদাম বিক্রেতা যদি বাদাম নিয়ে চুপ করে থাকেন, যদি ভাবেন সম্মান নষ্ট হবে, তা হলে তাঁর বাদাম বিক্রি হবে? তৃণমূল কর্মী মানে ফেরিওয়ালা। কিন্তু পাড়ার লোককে গিয়ে তৃণমূলকে ভোট দিন বলতে লজ্জা পাচ্ছি’! তৃণমূল বিধায়কের এই ভিডিও (সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম) ‘ভাইরাল’ হয়েছে। নারায়ণ পরে অবশ্য দাবি করেন, আমার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “কিছু বুথে কর্মীদের নিষ্ক্রিয়তার জন্য হার হয়। তাঁদের উৎসাহিত করতে ওই কথা বলেছি। তার মানে কি তৃণমূল খারাপ?” ওই কর্মিসভায় নারায়ণের সঙ্গে ছিলেন বারাসত কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারও। তিনি বলেন, “এটা ওঁর ব্যক্তিগত মত।”

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস মিত্র বলেন, “নারায়ণবাবু যে কথাটা বলেছেন, তা রাজ্যের মানুষের মনের কথা। তিনি কর্মিসভায় প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন, তৃণমূল দলটা করলেও অনেকে পরিচয় দিতে লজ্জা পান। এর থেকে প্রমাণিত হয়, রাজ্যের মানুষ তৃণমূলকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তৃণমূলের নেতারা রাস্তায় বের হলে সাধারণ মানুষ ‘চোর’ বলে দেগে দিচ্ছেন। এতদিন পর আসল সত্যিটা বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক।”

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বালুরঘাট-দিল্লি ট্রেন ঘোষণার পর ‘রূপকার’ সুকান্তকে সামনাসামনি পেয়ে বেজায় খুশি ভোটাররা

    BJP: বালুরঘাট-দিল্লি ট্রেন ঘোষণার পর ‘রূপকার’ সুকান্তকে সামনাসামনি পেয়ে বেজায় খুশি ভোটাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট থেকে সোজা দিল্লি যাবে ট্রেন। শনিবারই তা ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার বালুরঘাট তহ বাজারে ভোট প্রচারে সুকান্ত মজুমদারকে পেয়ে খুশি ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর প্রথম রবিবারের সকালেই প্রচারে বেরিয়ে পড়লেন বালুরঘাটের বিজেপি (BJP) প্রার্থী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন একটানা প্রায় দেড় ঘণ্টা জনসংযোগ করেন বিজেপি প্রার্থী।

    জন সংযোগে সুকান্ত (BJP)

    সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী সকলের সঙ্গে কথা বলেন বিজেপি (BJP) প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে হাতের কাছে পেয়ে বালুরঘাটের সাধারণ মানুষ তাদের অভাব অভিযোগ দাবির কথা জানান। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেছেন বালুরঘাটে যে সমস্ত সমস্যা রয়েছে, সেগুলি নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর সেখানে আলোচনা করে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা হবে। এদিন সকালে বালুরঘাটের তহ বাজারে সুকান্ত মজুমদারকে কাছে পেয়ে খুশি ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে শনিবার বালুরঘাট -দিল্লি ট্রেন ঘোষণা হওয়ায় খুশি জেলাবাসী।

    ৫০ হাজার ভোটে লিড

    গত লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষকে হারিয়েছিলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। জয়ের ব্যবধান ছিল ৩০ হাজারের বেশি। এবার বালুরঘাট থেকেই অন্ততপক্ষে পঞ্চাশ হাজার ভোটে লিড নেবেন বলে আশাবাদী সুকান্ত মজুমদার। একদিকে রেলের  একাধিক প্রকল্প, অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষিত নানা সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। সাংসদকে সংসদে বলতে দেখা গেছে বারবার। যে কারণে সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্বতে তিনি কোনওরকম খামতি রাখেননি বলে মত প্রকাশ করেছেন তিনি।

    বালুরঘাট-দিল্লি ট্রেন ঘোষণা হতে খুশি এলাকাবাসী

    রবিবাসরীয় প্রচারে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলকে দেখা যায়নি বালুরঘাটে। বিপ্লব মিত্র তৃণমূল প্রার্থী তার কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে মিটিং করেছেন তাঁর বাসভবনে। বামফ্রন্টের তরফ থেকে আরএসপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হলেও এখনও বামপন্থীদের সেভাবে প্রচারে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমি মানুষের অভাব অভিযোগের কথা শুনেছি। তাঁদেরকে আশ্বস্ত করি বালুরঘাটে যে সমস্ত সমস্যা আছে সবগুলো সমাধান করার। এছাড়া বালুরঘাট-দিল্লি ট্রেন ঘোষণা হবার পর মানুষের মধ্যে আলাদা আনন্দ এসেছে।

    তৃণমূলের ঢোল ফেটে গিয়েছে!

    সারা দেশের মধ্যে বাংলা, বিহার ও উত্তরপ্রদেশে ৭ দফায় ভোট। ৭ দফা ভোট প্রসঙ্গে বিজেপি (BJP) প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ৭ দফা ভোট তো কম হয়েছে আমার মতে আট, দশ দফায় ভোট হলে আরো ভালো হতো। এক একটি লোকসভা একটা দফায় ভোট হলে পশ্চিমবঙ্গে  ঠিক মতো ভোট করানো সম্ভব হতো। তবে, ৭ দফায় ভোটে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। তৃণমূল তো পুলিশ ও গুন্ডা বাহিনী দিয়ে ভোট লুট করার চেষ্টা করবে। ৭ দফায় হলে অতটা তারা পারবে না। আমরা ভোট লুট হতে দেব না। আমরা লড়াই করবো। লোকসভায় প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যে একাধিক তৃণমূল নেতা বিদ্রোহ ঘোষণা করছেন। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন,বাংলায় একটা গান আছে ফেটে গেলো কালিরামের ঢোল। তৃণমূলের ঢোল ফেটে গেছে। কোনও কিছু আর সুরে আর তালে মেলে না। সবই এখন বেসুরো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ভোট ঘোষণা হতেই জেলায় জেলায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    BJP: ভোট ঘোষণা হতেই জেলায় জেলায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারই লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এরইমধ্যে জেলায় জেলায় বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে এই হামলা চালানোর অভিযোগ উঠছে। ভোটের মুখে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে তৃণমূল এসব করছে বলে বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের অভিযোগ।

    বিজেপি কর্মীর দোকানে আগুন (BJP)

    পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরে বিজেপি কর্মীর দোকানে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, শনিবার গভীর রাতে পাণ্ডবেশ্বরের ১৯ নম্বর বুথের জামাই পাড়ার এবিপিট এলাকায় পাণ্ডবেশ্বর মণ্ডল- ১ এর মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রীনা ঠাকুরের দোকানে আগুন লাগানো হয়। রীনা দেবী বলেন, ছয় মাস আগে বিজেপি যোগদান করেছি। তারপর থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি (BJP) ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য জোর করা হচ্ছে। অন্যথায় বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া এবং প্রাণেও মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হত। তৃণমূলের সেই দাবি না মানায় আমার দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। অবিলম্বে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

    ১০০দিনের কাটমানি নেওয়ার প্রতিবাদ করে আক্রান্ত বিজেপি নেতা

    ১০০ দিনের বকেয়া মেটানোর উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই টাকা প্রাপকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকলে সঙ্গে সঙ্গে কাটমানি চাওয়া হচ্ছে। রাজ্যের একাধিক জেলায় তৃণমূল নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। মালদার চাঁচলে যে সব জবকার্ড প্রাপকদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতে শুরু করেছে, সেখানকার চাঁচলের রায়পাড়া বুথের তৃণমূলের সভাপতি তাপস নুনিয়া কাটমানি দাবি করতে থাকেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী তথা বিজেপি (BJP) নেতা সন্তোষ রায় এই অন্যায়ের প্রতিবাদ জানান। এরপরই তৃণমূল নেতার অনুগামীরা তাঁর ওপর চড়াও হয়। এমনকী ধারালো অস্ত্রে মাথায় কোপ মারা হয়। আক্রান্ত বিজেপি নেতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যদিও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শেখ আফসার আলি বলেন, এই হামলার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। দলকে বদনাম করার জন্য এসব করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi News: লন্ডনে মোদির সমর্থনে গাড়ি মিছিল প্রবাসী ভারতীয়দের, হাজির ব্রিটিশ সাংসদও

    PM Modi News: লন্ডনে মোদির সমর্থনে গাড়ি মিছিল প্রবাসী ভারতীয়দের, হাজির ব্রিটিশ সাংসদও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সমর্থনে গাড়ি মিছিল দেখা গেল লন্ডনে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi News) সমর্থনে এই মিছিলের আয়োজন করেন প্রবাসী ভারতীয়দের সংগঠন ‘ওভারসিজ ফ্রেন্ডস অফ বিজেপি’। প্রসঙ্গত ‘ওভারসিজ ফ্রেন্ডস অফ বিজেপি’ হল ব্রিটেনের প্রবাসী ভারতীয়দের একটি সংগঠন, যা সেখানকার ভারতীয় সমাজের মধ্যে কাজ করে। গাড়ি মিছিলে অন্যতম অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন ব্রিটিস সাংসদ বব ব্ল্যাকম্যান। লন্ডনের পাতিদার সমাজ কমপ্লেক্স থেকে এই মিছিল শুরু হয়। এবং শেষ হয় বিএপিএস স্বামীনারায়ণ মন্দির চত্বরে। চোখ বাঁধানো এই মিছিলে আয়োজন করা (PM Modi News) হয়েছিল নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও।

    মিছিলে ছিল ২৫০ গাড়ি

    মিছিলের উদ্যোক্তা সংগঠনের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘অত্যন্ত সুশৃংখলভাবে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।’’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজিত এই মিছিলে অংশগ্রহণ করে ২৫০টি গাড়ি। স্লোগানে-পোস্টারে, বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির (PM Modi News) প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানান মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা। মিছিলে ভারতের জাতীয় পতাকা যেমন ছিল, তেমনই ছিল বিজেপিরও পতাকা। ব্রিটেনের সাংসদ তথা পদ্মশ্রী প্রাপক বব ব্ল্যাকম্যান মিছিল শেষে স্বামীনারায়ণ মন্দিরে প্রাঙ্গণে উপস্থিত সদস্যদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। গোটা মিছিলের তাৎপর্য, তথা দেশের ভবিষ্যত গঠনে প্রবাসী ভারতীয়দের ভূমিকার ওপরে তিনি ভাষণ দেন।

    ব্রিটিশ সাংসদের মুখেও শোনা গেল ‘আবকি বার-৪০০ পার’-এর কথা 

    প্রসঙ্গত, শনিবারই নির্বাচন কমিশন দেশে সাত দফায় ভোট ঘোষণা করেছে। এবং ওই দিনই এমন মিছিলের আয়োজন করেন প্রবাসী ভারতীয়রা। নিজের ভাষণে বব ব্ল্যাকম্যান বলেন, ‘‘ভারতের নির্বাচন একটি বড় নির্বাচন। এই নির্বাচনে আপনারা (বিজেপি) ৪০০-র অধিক আসনে (PM Modi News) জয়লাভ করবেন, এমনটাই ধারণা আমার। ভারত এবং ব্রিটেনের বন্ধুত্ব আগামী দিন আরও শক্তিশালী হবে।’’ প্রসঙ্গত, ভারতের অর্থনীতি বিশ্বে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। ভারতের অর্থনীতির এই বৃদ্ধি প্রসঙ্গ উঠে আসে ব্রিটিশ সাংসদের বক্তব্যে। এবং তিনি বলেন, ‘‘গোটা ব্রিটেন ভারতকে একটি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশের চোখেই দেখে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share