Tag: bjp

bjp

  • Cooch Behar: উদয়নের এলাকাতেও রাত ১২ টায় তৃণমূল পার্টি অফিসে ডাক পড়ত মহিলাদের

    Cooch Behar: উদয়নের এলাকাতেও রাত ১২ টায় তৃণমূল পার্টি অফিসে ডাক পড়ত মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির পর এবার জানা গেল, রাতে পার্টি অফিসে মহিলাদের ডাক পড়ত কোচবিহারেও (Cooch Behar)। পিঠে বানানোর নামে রাত ১২ টায় তৃণমূল পার্টি অফিসে ডেকে নিয়ে যাওয়া হত, আর না গেলেই বাড়ি ভাঙচুর করা হত বলে অভিযোগ মহিলাদের। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর এলাকা দিনহাটায় এই অভিযোগে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। পাল্টা মন্ত্রী বলেছেন, “বিজেপি নতুন কাহিনি নির্মাণ করছে।”

    মূল অভিযোগ কী (Cooch Behar)?

    দিনহাটা (Cooch Behar) বুড়িরহাট অঞ্চলের স্থানীয় নিপীড়িত এক মহিলা অভিযোগ করে বলেন, “তৃণমূল নেতা বিশু ধর, দিলীপ ভট্টাচার্যের গুন্ডাবাহিনী আমাকে রাত ১২ টার সময় পার্টি অফিসে ডাকত। আমি প্রতিবাদ করে বলি, রাত ১২ টায় কেন যাবো? আমি রাজি হইনি। আমার কি কোনও সম্মান নেই। আমাকে কি বাঁচতে দেওয়া হবে না! বাড়িতে বিকেল ৪ টের সময় তৃণমূল বুথ সভাপতি আসেন এবং আমার উপর ফরমান জারি করেন। আমি হাত জোড় করে না বলে দিই, সমাজে আমার একটা সম্মান রয়েছে নষ্ট করবেন না। আমি ওই ধরনের মহিলা নই। কিন্তু পার্টি অফিসে না যাওয়ার জন্য রাতে গুন্ডারা এসে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়িঘর ভাঙচুর করে।” তবে এই রকম ঘটনার শিকার এই মহিলা নন, আরও অনেকে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

    মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকি

    এই গ্রামের (Cooch Behar) আরও এক মহিলা তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “পার্টির গুন্ডারা রাতবিরেতে আমাদের পার্টি অফিসে যেতে বলে। পার্টি অফিসে পিঠে বানানোর নামে আমাদের ভোগ করতে চায়। ওদের মতলব অত্যন্ত খারাপ। আমি ঘটনা অস্বীকার হলে রাত ৯ টার সময় আমাদের বাড়িতে এসে আমার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে আক্রমণ করে এবং তারপর বাড়িতে ভাঙচুর চালায়।” ঠিক এমনই অভিযোগের কথা বলে আরও এক মহিলা বলেন, “ভোটের গণনার পর দিন আমাদের বাড়ির দরজা ভাঙে। এরপর আমার স্বামীকে না পেয়ে আমাকে ধরে।” গত কয়েক মাসের এই অভিযোগে ব্যাপকভাবে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কিন্তু তৃণমূল নেতাদের ভয়ে কেউ মুখ খোলেনি। সন্দেশখালির প্রতিবাদী মহিলাদের সাহসে দিনহাটায়ও প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে এদিন।

    উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর বক্তব্য

    ঘটনায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ (Cooch Behar) বলেন, “সন্দেশখালির প্রসঙ্গে বিজেপি নতুন পিঠেকাহিনি নির্মাণ করেছে। পিঠে খাওয়ার বয়স এখন নেই। কোনও নেতা ১০ টার পর বাড়ির বাইরে থাকেন না। যদি মনে হয় আমি করতে পারি, তাহলে আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন।”

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজপির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “কোচবিহারের (Cooch Behar) অভ্যন্তরে অনেক জায়গায় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে। উদয়নবাবু প্ররোচনামূলক মন্তব্য করেন। অভিযোগ খতিয়ে না দেখে অভিযোগ করছেন। নিজেরাই সর্বত্র সন্দেশখালি মডেল তৈরি করেছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম তৈরির জন্য রেলমন্ত্রীর দরবারে সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম তৈরির জন্য রেলমন্ত্রীর দরবারে সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে রেলের জমিতে উত্তরবঙ্গের খেলাধুলোর প্রসারে আন্তর্জাতিক মানের কেন্দ্রীয় স্টেডিয়াম গড়ার উদ্যোগ নিলেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ক্রীড়া মন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যেই এই স্টেডিয়াম গড়ার বিষয়ে ছাড়পত্র মিলেছে। তবে, জমি পাওয়ার ক্ষেত্রে রেলের ছাড়পত্র না মেলায় এই প্রকল্প এখনও বাস্তবায়ন করা যায়নি। তাই ওই ছাড়পত্র দ্রুত দেওয়ার আর্জি নিয়ে দিল্লিতে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করেন সুকান্ত মজুমদার। বুনিয়াদপুরে রেলের যে জমি রয়েছে, সেখানে জাতীয় উৎকর্ষ কেন্দ্র বা স্টেডিয়াম তৈরির বিষয়ে তাঁর হাতে চিঠি তুলে দেন তিনি।

    রেলের জমিতেই স্টেডিয়াম! (Sukanta Majumdar)

    শিল্পবিহীন সীমান্ত জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরে কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১২ সালের ৩০ অগাস্ট বুনিয়াদপুরে রেলের ওয়াগন কারখানার শিলান্যাস করেছিলেন। দ্বিতীয় ইউপিএ আমলে রেলমন্ত্রী হয়ে মমতা যে ১৭টি বড় মাপের রেল কারখানা ঘোষণা করেছিলেন, তার মধ্যে ছিল বুনিয়াদপুরের কারখানাটি। জানা গেছে, ২০১০-১১ সালে ঘোষিত ওই প্রকল্পটি গড়ে তুলতে ১৩২.৮২ কোটি টাকা খরচ ধরেছিল রেল। শুধু প্রতিশ্রুতিই ছিল। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শিলান্যাসের পর থেকেই নানা কারণে প্রকল্পটি ঠান্ডা ঘরে চলে যায়। আদৌ কোনওদিন ওই জমিতে ফ্যাক্টরি গড়া হবে কিনা, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। তাই ওই রেলের জমিকেই কাজে লাগাতে এবার উদ্যোগী হলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। আর পরিকল্পনা মতো এই এলাকায় আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম গড়ার কাজ সম্পূর্ণ হলে এলাকার হাল বদলে যাবে বলে আশা সুকান্তবাবুর।

    বিজেপি সাংসদ কী বললেন?

    বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, বুনিয়াদপুরে রেলের জমিতে একটি স্টেডিয়াম তৈরি করার বিষয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ক্রীড়ামন্ত্রক স্টেডিয়াম করার ছাড়পত্র দিয়েছে। কিন্তু, জমির জন্য ইতিমধ্যেই ক্রীড়া দফতর রেল দফতরকে চিঠি দিয়েছে। রেলের জমির এনওসি পাওয়ার পর সেখানে একটি স্টেডিয়াম গড়ে তোলা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidbad: শহিদ বরকতের জন্মভিটায় পালিত হল একুশে ফেব্রুয়ারি

    Murshidbad: শহিদ বরকতের জন্মভিটায় পালিত হল একুশে ফেব্রুয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের আজকের দিনেই এই বাংলা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন রফিক, জাব্বার, সালাম, বরকাত এবং নাম না জানা আরও অনেকে। এইসব শহিদদের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য একুশে ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় মর্যাদায় পালন করা হয় শহিদ দিবস হিসেবে। বাংলা ভাষার উপর উর্দু চাপানোর অপচেষ্টা করা হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তানে। তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। প্রতিবাদে এর বিরুদ্ধে পাক সরকার গুলি করলে নিহত হন এই ভাষাবীরেরা। উল্লেখ্য এই ভাষাবীরদের মধ্যে ছিলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidbad) পুত্র বরকত।

    মুর্শিদাবাদে জন্ম বরকতের (Murshidbad)

    মুর্শিদাবাদ (Murshidbad) জেলায় সালারের বাবলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বাংলা ভাষার সৈনিক বরকত। আজ তাঁর জন্মভিটেতে প্রচুর মানুষ উপস্থিত হন। তাঁর স্মৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করার জন্য আয়োজন হয় বিরাট অনুষ্ঠানের। জেলাবাসী তাঁর ত্যাগে গর্বিত। এলাকার মানুষের বক্তব্য, বাংলাকে ভালোবেসেছিলেন বলেই ওঁরা জীবন দিয়ে আমাদের ভাষাকে রক্ষা করেছেন। আমাদের জীবনে অমৃত রসের স্পর্শ দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের এই আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বাংলা স্বীকৃতি পেয়েছে। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ফ্রান্সের প্যারিসে ইউনেস্কোর সাধারণ পরিষদ এই একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘোষণা করেছে।

    আন্দোলনের ইতিহাস

    ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের করাচিতে প্রথম গণপরিষদের অধিবেশন শুরু হয়, সেখানে ভাষা হিসেবে গৃহীত হয়েছিল উর্দু এবং ইংরেজি। এরপর বাংলাকে গণপরিষদের ভাষা হিসাবে গ্রহণ করার জন্য দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সহ মুসলিম লিগের নেতারা এই বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি দেননি। যার ফলে ২ মার্চ ঢাকার ফজলুল হক মুসলিম হলে এই বাংলা ভাষার পক্ষে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন হয়। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ সাধারণ ধর্মঘটের আহ্বান করেন এবং ছাত্ররা শোভাযাত্রা নিয়ে রাজপথে নামেন। এই শোভাযাত্রায় তৎকালীন পুলিশ নির্বিচারে লাঠি চালায়। ফলে বহু ছাত্র আহত হন। ঘটনার প্রতিবাদে ১৩ থেকে ১৫ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    পরবর্তী সময়ে ১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ আলি জিন্নাহ ঢাকায় আসেন এবং তিনি রেসকোর্স ময়দানে একুশে মার্চ একটি জনসভায় উর্দুকে জাতীয় ভাষা হিসাবে স্বীকৃতির কথা বলেন। প্রতিবাদে ২৬ মার্চ ঢাকায় ধর্মঘট পালন করা হয়। ১৯৪৮ সালের ১৭ নভেম্বর রাষ্ট্রভাষা কর্ম পরিষদ ঢাকায় গঠিত হয়। ১৯৫০ সালে গণপরিষদে ভাষণ দিতে গিয়ে লিয়াকাত আলি খান জিন্নাহকে অনুসরণ করে আবার বলেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। এর প্রতিবাদে রাজপথ উত্তাল হয়ে ওঠে, ৩০ জানুয়ারি পালিত হয় ধর্মঘট। আরও পরে ১৯৫২ সালেই সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষার সংগ্রাম পরিষদ একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবস পালন এবং হরতালের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিন্তু তৎকালীন পাক সরকার ১৪৪ ধারা জারি করেছিল। কিন্তু ছাত্র সমাজ তাকে ভঙ্গ করে রাজপথে শামিল হন। পালটা পাক পুলিশ ছাত্রদের উপর নির্মমভাবে গুলিবর্ষণ করে। সেই গুলিতে শহিদ হয়েছিলেন রফিক, জাব্বার, সালাম, বরকত এবং অনেক নাম না জানা মানুষ। আজকের দিনকে মনে রেখে মুর্শিদাবাদে (Murshidbad) পালিত হল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: বিজেপি কর্মীর চোখের মণিতে গুলি! অভিযুক্ত শাহজাহানের ফাঁসি চান স্ত্রী

    Sandeshkhali: বিজেপি কর্মীর চোখের মণিতে গুলি! অভিযুক্ত শাহজাহানের ফাঁসি চান স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তপ্ত সন্দেশখালি (Sandeshkhali), ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ। জমিজমা, বাড়ি-ঘর, চাষের জমি থেকে শুরু করে মাছের ভেড়ি লুট করে অত্যাচার চালিয়েছে তৃণমূলের নেতা শেখ শাহজাহান-শিবু-উত্তমরা। শুধু তাই নয়, নিজেদের শারীরিক চাহিদা মেটাতে বাড়ির সুন্দরী বউদের রাতবিরেতে পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে দিনের পর দিন যৌননিগ্রহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়ে সোচ্চার হয়েছেন গ্রামের মহিলারা। ঠিক একই অত্যাচারের কথা মনে করিয়ে দেয় ২০১৯ সালে এক বিজেপি কর্মীর নির্মম হত্যার ঘটনা। শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সরব হলেন এবার বিজেপির নির্যাতিত পরিবার। চোখের মণিকে লক্ষ্য করে পরপর ৮টি গুলি চালিয়ে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডলকে। এখন নিহত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী কঠোর শাস্তি চান এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।

    জামাইষষ্ঠীর দিনেই নৃশংস হত্যাকাণ্ড (Sandeshkhali)

    নৃশংসতার বর্ণনা দিয়ে স্বামীহারা পত্নী এদিন বলেন, “দিনটি ছিল ২০১৯ সালের জামাইষষ্ঠী। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ৫৬ নম্বর বুথের হাটগাছি অঞ্চলের ঘটনা। শেখ শাহজাহান প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার লোক নিয়ে আক্রমণ করে আমাদের বাড়িতে। চারজন পুলিশ অন ডিউটি ছিল। আমার স্বামী প্রদীপকে লক্ষ্য করে চোখের মণিতে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। শরীরের সব জায়গায় অজস্র ভোজালির কোপ। আমার স্বামী এই ভয়ানক অত্যাচারের শিকার হন। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হলেন শেখ শাহজাহান, কাদের মোল্লা, আখের আলি গাইন, জিয়াউদ্দিন মোল্লা, আইফুল মোল্লা সহ আরও অনেকে।” কিন্তু পরে মামলার চার্জশিট হলে নিহত প্রদীপবাবুর স্ত্রী বলেন, “সিআইডি মামলার চার্জশিট জমা দিয়েছে, এফআইআর-এ এক নম্বরে নাম ছিল শাহজাহানের। কিন্তু এই নাম বাদ দেওয়া হয়েছে ষড়যন্ত্র করে। খুব নগণ্য দুই ব্যক্তির নাম দেওয়া হয়েছে। আর তাই সিআইডি-কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি।”

    শাহজাহানের ফাঁসি চাই

    কিন্তু কেন স্বামীকে এইভাবে খুন হতে হল? প্রশ্ন প্রদীপের স্ত্রীর। প্রদীপ মণ্ডল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) একজন সক্রিয় বিজেপি কর্মী ছিলেন। ২০১৯ সালের লোকসভায় হাটগাছি অঞ্চলে বুথে বিজেপি জয়ী হয়েছিল। এই নির্বাচনের ফলাফলের পরই শাহজাহান বাহিনী আক্রমণ করে। স্বামীর এই নৃশংস হত্যার পর নিহত প্রদীপের স্ত্রী আতঙ্কে ছিলেন। ২০২১ সাল পর্যন্ত শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন প্রদীপের স্ত্রী। সেখানে মাছের ভেড়িতে ফিশারি চালাতেন। কিন্তু ২০২১ সালের বিধানসভার নির্বাচনের ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে তাঁদের ফিশারিতে ব্যাপক লুটপাট চালায় তৃণমূলের গুন্ডারা। এরপর বাড়িছাড়া হন তাঁরা। দুই সন্তান নিয়ে অন্যত্র আত্মগোপন করে আছেন তাঁরা। শেখ শাহজাহানের ফাঁসি চান নিহত বিজেপি কর্মী প্রদীপবাবুর পত্নী।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: রক্ষকই ভক্ষক! আদিবাসী তরুণীর শ্লীলতাহানি, কাঠগড়ায় পুলিশ

    Purulia: রক্ষকই ভক্ষক! আদিবাসী তরুণীর শ্লীলতাহানি, কাঠগড়ায় পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়ায় (Purulia) আদিবাসী তরুণীকে শ্লীতাহানির করার অভিযোগ পুলিশেরই বিরুদ্ধে। বাড়িতে ঢুকে মারধর এবং টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার জেরে ক্লোজ করা হয়েছে কোটশিলা থানার এক পুলিশ আধিকারিককে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত প্রক্রিয়া। অপর দিকে তরুণীর সঙ্গে দেখা করেছেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত এবং সেই সঙ্গে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। ঘটনায় জেলায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    মূল অভিযোগ কী (Purulia)?

    অভিযোগ জানিয়ে তরুণী বলেন, “রাত সাড়ে দশটা নাগাদ কোটশিলা থানার (Purulia) এক আধিকারিক এবং আরও দুজন আমাদের বাড়িতে ঢোকেন। এরপর ঘরে মদ রয়েছে বলে মিথ্যা অভিযোগ করে আমাকে মারধর করা হয়। আমাদের ঘরে রাখা টাকাও তুলে নিয়েছেন তাঁরা। আমরা বিচার চাই।” সেই সঙ্গে অভিযোগপত্রে তরুণী আরও বলেন, “আমার সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করা হয়। সেই সঙ্গে আমার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়। থানার বড়বাবু আমাকে বলেন, “নিচু জাতির মেয়ে, তোরা অনেক বেড়ে গিয়েছিস। এই ভাবে তোদের জব্দ করব। থানায় গিয়ে জানালে আবার এই ভাবে এসে মারবো।”

    বিজেপির অভিযোগ

    এই ঘটনায় পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত বলেন, “গত রবিবার রাতে তরুণীর বাড়িতে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে পুলিশ। বাড়ি থেকে চল্লিশ হাজার টাকা ছিনতাই করেছে পুলিশ। বাড়িতে মদ রাখার মিথ্যা অভিযোগ তুলে এই ধরনের অভব্য আচরণ করা হয়। আমরা অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের শাস্তি চাই। রক্ষকই ভক্ষের ভূমিকা পালন করছে।”

    পুলিশের বক্তব্য

    মঙ্গলবার থেকে ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণের চাপ তৈরি হওয়ায় তদন্ত শুরু হয়। জেলার পুলিশ সুপার (Purulia) অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ঘটনার কথা জানতে পেরেই আমরা অ্যাডিশনাল এসপিকে তদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই অভিযুক্ত পুলিশকে ক্লোজ করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ইতিমধ্যে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।” যদিও ঘটনায় তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “গুন্ডারা জেলে যাবে, মমতার দিন শেষ”, সন্দেশখালিতে গিয়ে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “গুন্ডারা জেলে যাবে, মমতার দিন শেষ”, সন্দেশখালিতে গিয়ে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিভিশন বেঞ্চের অনুমতির পরেই সন্দেশখালিতে পৌঁছালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে পেয়ে নির্যাতিত মানুষ যেন বটবৃক্ষের আশ্রয় পেলেন। উলুধ্বনি, পুষ্পবর্ষণ করে স্বাগত জানালেন এলাকার মানুষ। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা, উত্তমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তাঁরা। একে একে শুভেন্দু শুনলেন সব অত্যাচার, নির্যাতনের কথা। সেই সঙ্গে নিপীড়িত মানুষকে আশ্বাস দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আপনারা পাশে থাকুন। সন্দেশখালির সব কিছুর পরিবর্তন হবে।”

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    সন্দেশখলিতে পা রেখে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “সংবিধানের জয়, গণতন্ত্রের জয়, সন্দেশখালির মা-বোনের জয়। গুন্ডারা জেলে যাবে। মমতার দিন শেষ, ফিনিশ। পরিবর্তনের ভরকেন্দ্র হচ্ছে আজকের সন্দেশখালি। তৃণমূলের পিঠে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়েছে এই জনজাগরণ। নন্দীগ্রামে আমরা ভয় পাইনি, আপনারাও ভয় পাবেননা। এলাকার মানুষ শান্তি চায়। শেখ শাহজাহানের ফাঁসি চায় মানুষ। ওর পালানোর উপায় নাই।” শেখ শাহজাহান সম্পর্কে এলাকার মানুষ বলেন, “আমরা জীবন দেব, কিন্তু আন্দোলন থামাব না।” স্থানীয় এক মহিলা বলেন, “আমার ৭ বিঘা জমি কেড়ে নিয়ে গেস্ট হাউস বানিয়েছে ওরা। আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে টানাটানি করেছে তৃণমূলের নেতারা। মমতা ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমরা কোনও ভোট দিতে পারিনি এলাকায়।”

    হাইকোর্টের বক্তব্য

    এদিকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) যাওয়ার আগেই এলাকার ১২টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষ উঠল ১৪৪ ধারা। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশিন বেঞ্চের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়ে বলেন, “রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সন্দেশখালিতে যেতে পারবেন। তবে এলাকায় যাতে কোনও রকম শান্তিভঙ্গ না হয়, নজর রাখতে হবে। সবটাই দেখার দায়িত্ব পুলিশের।” অপর দিকে রাজ্যের পুলিশ শেখ শাহজাহানকে রক্ষা করছে বলে হাইকোর্টের বিচারপতি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। প্রধান বিচারপতি এই তৃণমূল নেতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “এমন ব্যক্তিকে রক্ষা করা হচ্ছে কি না জানি না, তবে মনে হয় রাজ্য পুলিশ তাঁকে রক্ষা করছে। তাঁকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ জারি করব। আশা করি পুলিশ আদালতকে সাহায্য করবে।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অবশেষে সন্দেশখালি পৌঁছালেন শুভেন্দু, ফুল ছড়িয়ে, শাঁখ বাজিয়ে নেতাকে বরণ

    Suvendu Adhikari: অবশেষে সন্দেশখালি পৌঁছালেন শুভেন্দু, ফুল ছড়িয়ে, শাঁখ বাজিয়ে নেতাকে বরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশ মেনেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)  সন্দেশখালির পথে রওনা দেন। যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে পারেন বলে তিনি আশঙ্কা করেছিলেন। তাঁর সেই আশঙ্কা সত্যি হল। সন্দেশখালি যাওয়ার পথে ধামাখালিতে আদালতের নির্দেশকে অমান্য করে শুভেন্দু অধিকারী কে আটকালো পুলিশ। সেখানেই দলের অন্যান্য বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসে যান বিরোধী দলনেতা। সন্দেশখালি যেতে বাধা নেই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হীরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। শর্তসাপেক্ষে শুভেন্দু ঢুকতে পারবেন সন্দেশখালি। শুভেন্দুর সঙ্গে কেবল যেতে পারবেন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। আদালতের অনুমতি পেতেই শঙ্কর ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারী সন্দেশখালি যান। বিরোধী দলনেতা বললেন, “এটি সংবিধানের জয়।” আর শুভেন্দু সন্দেশখালির পথে যেতেই উচ্ছাসে ফেটে পড়লেন বিজেপি কর্মীরা।

    শাঁখ বাজিয়ে শুভেন্দুকে বরণ সন্দেশখালিতে (Suvendu Adhikari)  

    সন্দেশখালি পৌঁছতেই ফুল ছড়িয়ে, শাঁখ বাজিয়ে বরণ শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। মানুষের ভিড়ে কার্যত এগোতে পাচ্ছেন না তিনি। টোটোয় চড়ে গ্রামের মানুষের কাছে যান বিরোধী দলনেতা। শোনেন অভাব অভিযোগ। শুভেন্দু অধিকারী গ্রামে প্রবেশ করতেই বেরিয়ে এলেন বাড়ির মহিলারা। নিজেদের অভাব-অভিযোগ জানালেন বিরোধী দলনেতাকে। একই সঙ্গে বরণ করে নিলেন তাঁকে। কেউ কেউ আবার পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন। শুভেন্দু তাঁদের কাছে জানতে চাইলেন, তাঁরা এখন কেমন আছেন? লড়াই চালানোর বার্তাও দিলেন বিরোধী দলনেতা। এরপর সন্দেশখালির মাটিতে বসে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, শাহজাহান সিপিএমের প্রোডাক্ট। এর আগে বৃন্দা কারাট শাহজাহানের সঙ্গে মিটিং করে গিয়েছেন। বামেদের নিচুতলার কর্মীরা বিজেপিকে সমর্থন করে। জানা গিয়েছে, আদালতের অনুমতি পেতেই বৃন্দা কারাট ও সিপিএম-এম মহিলা ব্রিগেডও সন্দেশখালিতে যায়।

    সন্দেশখালির একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আসার আগে তৎপর পুলিশ প্রশাসন। মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্দেশখালিতে নতুন করে ১২টা জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয় বলে জানালেন বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার   মেহেদী হাসান রহমান। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে সন্দেশখালি থানার পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯ টি পয়েন্টে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে চারটি জায়গা থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়। জানা গেছে , মঙ্গলবা আবার নতুন করে ১২টি জায়গায় ফের ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এই মুহূর্তে মোট ২৭ টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তৃণমূলের দাদাগিরি! তেরঙ্গা ঝান্ডা লাগিয়ে অসহায় বৃদ্ধার জমি দখল, হুঁশ নেই পুলিশের

    South 24 Parganas: তৃণমূলের দাদাগিরি! তেরঙ্গা ঝান্ডা লাগিয়ে অসহায় বৃদ্ধার জমি দখল, হুঁশ নেই পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতাদের দাদাগিরি জেরেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপে এক বৃদ্ধার তাঁর বাস্তু-সহ ২৬ শতক মূল্যবান জমি হারাতে বসেছে। জমিতে বেড়া দিয়ে ঘিরে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দখল নেওয়ার অভিযোগ। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে প়ড়েছে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছেন কমলা প্রধান নামে ওই বৃদ্ধা।

    ঠিক কীভাবে তৃণমূল দখল নিল জমি? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কমলাদেবীর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপের বুধাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজনগর-শ্রীনাথ গ্রামে। দু’বছর আগে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়। বাড়িটিও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর অসুস্থতার জন্য বাড়ি ছেড়ে পাথরপ্রতিমায় বাপেরবাড়ি চলে যান তিনি। অভিযোগ, তাঁর বাস্তু ও লাগোয়া চাষজমির ওপর নজর পড়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের। কারণ,জমিটি স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড ও বাজার লাগোয়া হওয়ায় বাজারদর বেশ চড়া। সবমিলিয়ে জমির পরিমান ২৬ শতক। এই জমির মূল্য অনেক। অভিযোগ,সেই মূল্যবান জমিটি দখল করার জন্য বারে বারে চাপ দিচ্ছিলেন শাসকদল তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা। কিন্তু, ওই বৃদ্ধা সেই জমি দিতে রাজি হননি। অভিযোগ, তাতেই বাড়ি, জমি বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে জোর করে দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ। অসহায় বৃদ্ধা বলেন, থানায় অভিযোগ করার পর পুলিশ এলাকা থেকে ঘুরে গিয়েছে। কিন্তু জমির বেড়া ও পতাকা কিছুই সরানোর উদ্যোগ নেয়নি তারা।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বুধাখালি অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি বাবলু প্রধান বলেন, এই ঘটনা আমার জানা নেই। এরকম হয়ে থাকলে দল যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। এই ধরনের অন্যায় কাজকে দল সমর্থন করে না। বিজেপির কাকদ্বীপ মণ্ডল ২ ইনচার্জ শিবপ্রসাদ প্রামাণিক বলেন, সন্দেশখালির মতো শেখ শাহজাহান সব জায়গায় রয়েছে। সন্দেশখালিতে যেভাবে জমি হাতানো হয়েছে, এখানেও সেই চেষ্টা করছে তৃণমূল নেতারা। আমরা চাইছি অবিলম্বে এফআইআরে নাম থাকা নেতাদের গ্রেফতার করুক পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: দিল্লিতে বিজেপির রাষ্ট্রীয় অধিবেশন, কর্মীদের উদ্দেশ্যে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    BJP: দিল্লিতে বিজেপির রাষ্ট্রীয় অধিবেশন, কর্মীদের উদ্দেশ্যে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার নয়া দিল্লির ভারত মণ্ডপমে শুরু হয়েছে বিজেপির রাষ্ট্রীয় অধিবেশন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পার্টি কর্মীদের নির্দেশ দেন যে বিজেপি (BJP) নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার গঠন করতে আগামী ১০০ দিন তাঁদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন যে ৩৭০ শুধুমাত্র একটি সংখ্যা নয়, যেটা আমরা লোকসভায় পেতে চাই। কিন্তু এটা হল দলের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী এবং তাঁর আদর্শকে সম্মান জানানো।

    মহিলারা বিজেপির কাছে মা বোন

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন আরও বলেন যে মহিলারা শুধুমাত্র বিজেপির (BJP) কাছে ভোটার নয়। তারা হলেন বিজেপির কাছে মা এবং বোন। আশা করা যায় তাঁরাও তাঁদের আশীর্বাদ বর্ষিত করবেন আগামী লোকসভা ভোটে। প্রসঙ্গত আজ রবিবার বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক রয়েছে। সে বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি সভাপতি বিজেপি নাড্ডা। ভারত মণ্ডপমে বিকাল ৩:৩০ নাগাদ এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ওই বৈঠকে আগামী লোকসভা ভোটের রণনীতি ঠিক করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। কীভাবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ডাবল ইঞ্জিন সরকার এগিয়ে চলেছে সেটাও তুলে ধরা হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে।

    উঠে এল রাম মন্দির প্রসঙ্গ

    শনিবারে বিজেপির (BJP) রাষ্ট্রীয় অধিবেশনে উঠে আসে রাম মন্দির প্রসঙ্গ। দিল্লিতে দলের সভাপতি জেপি নাড্ডা প্রাণ প্রতিষ্ঠার মুহূর্তকে উল্লেখ করেন এবং তিনি বলেন, ‘‘আমরা সেই সময়টাও দেখেছিলাম যে সময়ে পালমপুরে ১৯৮৯ সালে রাষ্ট্রীয় অধিবেশন বসেছিল এবং সেখানেই প্রস্তাব পাস হয়েছিল রাম মন্দিরের নির্মাণের। কিছু মানুষ ভেবেছিলেন যে এটা হয়তো সম্ভব হবে না এবং তাঁরা আমাদের জিজ্ঞাস করতেন যে তোমরা তারিখ বলো! আমরা এখন বলতে পারি যে সেটা ২২ জানুয়ারি ২০২৪ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছেন।’’ শনিবারে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের সম্মোধন করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তিনি বলেন যে ভারতবর্ষ পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম সুস্থিত অর্থনীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতবর্ষের অর্থনীতি বর্তমানে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে। আমরা জাপান, জার্মানি, ব্রিটেনের পরেই এই স্থান পেয়েছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “তোকে বিধবার কাপড় খুব তাড়াতাড়ি পরতে হবে”, হুমকি দিয়েছিলেন উত্তম সর্দার

    Sandeshkhali: “তোকে বিধবার কাপড় খুব তাড়াতাড়ি পরতে হবে”, হুমকি দিয়েছিলেন উত্তম সর্দার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডির ওপর হামলার পরই ফেরার শেখ শাহজাহান। এখনও খোঁজ নেই শাহজাহানের। তবে, শাহজাহানের অন্যতম অনুগামী শিবু হাজরা-উত্তম সর্দারের অত্যাচারের কাহিনি সামনে আসতে শুরু করেছে। পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে সুন্দরী মহিলাদের কীভাবে যৌন নির্যাতন চালানো হত, তা নিয়ে এর আগে মহিলারা গর্জে উঠেছেন। যদিও উত্তম এখন জেলে রয়েছেন। আর শিবু ফেরার। এবার উত্তমের বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সন্দেশখালির মহিলারা।

    বিজেপি সদস্যের স্ত্রীকে হুমকি! (Sandeshkhali)  

    বিরোধী রাজনীতি করলে উত্তম যে তার কী হাল করতেন, তা নিয়ে মুখ খুললেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলারা। শোনালেন জীবনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। কীভাবে একপ্রকার জোর করেই তাঁদের তৃণমূল করতে বাধ্য করা হয়, সেকথা বললেন মহিলারা। পঞ্চায়েত ভোটের সময় তাঁর এলাকায় বিজেপির দিকে পাল্লা ভারী ছিল। জিতেও গিয়েছিল বিজেপি ওই এলাকায়। এরপরই ওই বিজেপি প্রার্থীর স্ত্রীকে উত্তম সর্দার হুমকি দিয়েছিলেন। এক মহিলা বলেন, “বিরোধী পার্টি করার সাহস ছিল না কারও। বিজেপি প্রার্থী ভোটে জয়ী হওয়ায় উত্তমের চক্ষুশূল হয়ে ওঠে। যিনি ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রীকে উত্তম বললেন, তোকে বিধবার কাপড় খুব তাড়াতাড়ি পরতে হবে। আমি উত্তম সর্দার।” এমন নয় যে আড়ালে-আবডালে হুমকি দেওয়া হয়েছে। সবার সামনেই বন্দুক দেখিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি সন্দেশখালির ওই মহিলার। তিনি বললেন, ‘লোকজনের সামনে বন্দুক দেখিয়ে উত্তম বলে গেল, আমি কিন্তু ওকে মার্ডার করে দেব। ২৭টা করেছি, ওকে নিয়ে ২৮টা হবে। তুই সাবধান হয়ে যা।’ এ তো গেল হুমকির কথা। এছাড়া ভোটের সময় দেদার ছাপ্পা চলত বলেও অভিযোগ ওই মহিলার। উত্তম-শিবু মতো শাহজাহান বাহিনী সন্দেশখালি জুড়ে তাণ্ডব চালাত। জোর করেই তৃণমূলের পক্ষে ভোট করাত। সন্দেশখালি জুড়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিল ওরা।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share