Tag: bjp

bjp

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন ঘরে ঘরে জ্বলবে প্রদীপ, ব্যস্ততা তুঙ্গে মৃৎশিল্পীদের

    Ram Mandir: রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন ঘরে ঘরে জ্বলবে প্রদীপ, ব্যস্ততা তুঙ্গে মৃৎশিল্পীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন অকাল দীপাবলি! মাটির প্রদীপ তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। এমনই চিত্র ধরা পড়ল উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জের কুমোর পাড়ায়। সাধারণত দীপাবলির সময়ে মাটির প্রদীপ তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন মৃৎশিল্পীরা। কিন্তু, এ বছরে অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনকে কেন্দ্র করেই মাটির প্রদীপ তৈরিতে বেজায় ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা।

    মৃৎশিল্পীরা কী বললেন? (Ram Mandir)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের দিন ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বালানোর জন্য দেশবাসীর কাছে আহ্বান করেছেন। তারই অঙ্গ হিসাবে জোর প্রস্তুতির দেখা মিলল রায়গঞ্জের কুমোরপাড়ায়। বিভিন্ন ডিজাইনের প্রদীপ তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। অন্যান্য বছরে এই সময়ে তাঁরা সাধারণত প্রদীপ তৈরি না করলেও এবছরের চিত্রটা একটু ভিন্ন। পঙ্কজ পাল নামে এক মৃৎশিল্পী বলেন, অন্যান্য বছর এই সময়ে আমরা মাটির অন্যান্য সামগ্রী তৈরি করে থাকি। তবে এ বছরে চাহিদা অনেক থাকায় মাটির প্রদীপ তৈরি করতে ব্যস্ত। সাধারণত দীপাবলীর সময়েই প্রদীপ তৈরি করার চাহিদা থাকে। কিন্তু এবছর রাম মন্দির উদ্বোধনের জন্য প্রদীপ কেনার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। অপর এক মৃৎশিল্পী কমল পাল বলেন, অন্যান্য বার এই সময় আমরা সাধারণত টব তৈরি করে থাকি। তবে এবছর প্রদীপ তৈরি করতেই সময় চলে যাচ্ছে। রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন বাড়িতে মাটির প্রদীপ জ্বালানোর জন্য ইতিমধ্যেই ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিজেপির নেতা কর্মীরাও।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য অভিজিৎ যোশি বলেন, আগামী ২২ তারিখে ঐতিহাসিক রাম মন্দিরে (Ram Mandir) প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন প্রধানমন্ত্রী ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বালানোর আহ্বান করেছেন। সেই কারণে আমরা মাটির প্রদীপের অর্ডার দিয়েছি। তবে, মাটির প্রদীপের এত চাহিদা যে শিল্পীরা আর নতুন করে অর্ডারও নিতে চাইছেন না।

    নতুন অর্ডার নিচ্ছেন না মৃৎশিল্পীরা

    সুকুমার দাস নামে এক ক্রেতা বলেন, রাম মন্দিরের (Ram Mandir) প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে প্রদীপ কিনতে এসেছি। আগে কিছু কিনে নিয়ে গিয়েছি। এখন আর নতুন করে অর্ডার দিয়ে প্রদীপ পাচ্ছি না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Saokat Molla: “জিনা হারাম করে দেব”, ভাঙড়ে তৃণমূল বিধায়কের মুখে এ কেমন কথা!

    Saokat Molla: “জিনা হারাম করে দেব”, ভাঙড়ে তৃণমূল বিধায়কের মুখে এ কেমন কথা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লার (Saokat Molla) ফের বেফাঁস মন্তব্য “জিনা হারাম করে দেব”। একজন জনপ্রতিনিধি, তাও আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূল কংগ্রসের বিধায়ক! এমন মন্তব্য কীভাবে করতে পারেন? ভাঙড়ে এক প্রকাশ্য সভায় দলীয় পতাকা লাগানোকে ঘিরে গোলমাল হলে বিরোধী দলের কর্মীদের উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করেন তিনি। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশে গণতন্ত্র নেই বলে রোজ সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, আর সেখানে তাঁর দলেরই এক বিধায়ক বিরোধী দলের কর্মীদের এই রকম হুমকি দিচ্ছেন! এই ঘটনা ভাঙড় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এলাকার মানুষের বক্তব্য, রাজনৈতিক হিংসা ছড়াতে উস্কানি দিচ্ছেন তৃণমূলের এই বিধায়ক।

    কেন করেছেন এমন মন্তব্য(Saokat Molla)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা (Saokat Molla) প্রতিবাদ সভার নামে এই মন্তব্য করেন। ভাঙড়ের বোদারা অঞ্চলের খড়গাছিতে একটি প্রকাশ্য সভায় এই রকম হুমকি দিয়ে বক্তব্য রাখেন। আরও জানা গিয়েছে, তৃণমূল এবং বিরোধীদের মধ্যে দলের পতাকা লাগানো ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল এবং সেই সঙ্গে শাসক-বিরোধী দলের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছিলেন। এরপর বিরোধীদের উদ্দেশ্যে এমন মন্তব্য করেন। 

    ঠিক কী বলেছেন?

    এই প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শওকত (Saokat Molla) বলেন, “প্রশাসন যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করে তাহলে এই এলাকার মানুষ তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করবে। বোদরা এলাকায় তাদের জিনা হারাম করে দেব। এই কথা আমি দায়িত্ব নিয়ে বলে যাচ্ছি।” এই বক্তব্যে এলাকায় শাসক দলের আগ্রাসী মনোভাবের পরিচয় যে ফুটে উঠেছে সে কথা রাজ্যের বিরোধী দলের কর্মীরা মনে করছেন। উল্লেখ্য মাত্র কয়েকদিন আগে মালাদা জেলার তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুল রহিম বক্সি বলেন, “বিরধিতা করলে সমাজ থেকে বহিষ্কার করে গ্রামছাড়া করা হবে।” আর এই মন্তব্যে রাজনীতির আঙিনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    বিরোধীদের বক্তব্য

    ঘটনায় বিরোধী দলের পক্ষ থেকে স্থানীয় বিজেপি নেতা বলেন, “মানুষ আর তৃণমূলের সঙ্গে নেই। পুলিশ এবং প্রশাসনকে ব্যবহার করে একযোগে অত্যাচার করা হচ্ছে।” ঘটনায় আইএসএফের এক তৃণমূল নেতা বলেন, “রক্তারক্তি না হলে ভাঙড়ের মাটিতে তৃণমূল থাকতে পারবে না। তাই আগে থেকে ভয় পেয়ে শওকত মোল্লারা (Saokat Molla) এই সব কথা বলেছেন। শান্তিপূর্ণ ভোট হলে ভাঙড়ে তৃণমূল একটাও ভোট পাবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kamarhati: বিজেপি করলে ভয়ঙ্কর খেলা হবে! হামলা চালিয়ে হুমকি তৃণমূলের

    Kamarhati: বিজেপি করলে ভয়ঙ্কর খেলা হবে! হামলা চালিয়ে হুমকি তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মদিনে স্বামী বিবেকানন্দের গলায় মালা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন বিজেপি কর্মীরা। হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    বিজেপি করলে ভয়ঙ্কর খেলা হবে বলে হুমকি তৃণমূলের (Kamarhati)

    বৃহস্পতিবার ছিল স্বামী বিবেকানন্দের ১৬১ তম জন্মদিন। সেই উপলক্ষে সকালে বেলঘরিয়ার নন্দননগর বাজারের কাছে থাকা বিবেকানন্দের মূর্তিতে মালা দিতে যান স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। অভিযোগ, সেখানে তাঁদের মালা দিতে বাধা দেওয়া হয় এবং তাঁদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। বিজেপির যুবনেতা সুশান্ত রায়চৌধুরীর অভিযোগ, ‘বিবেকানন্দের মূর্তিতে মালা দিতে গেলে আমাদের হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয় বিবেকানন্দ নাকি ওদের। আমরা প্রতিবাদ করাই আমাদের প্রকাশ্যে স্থানীয় কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কানু দাসের ছেলে সৈকত ওরফে জয় দাস দলবল নিয়ে আমাকে এবং আমার সঙ্গে থাকা বিজেপি কর্মীদের মারধর করে।  বাড়িতে গিয়েও শাসিয়ে আসে এবং ফোনে হুমকি দিয়ে বলে এলাকাছাড়া করে দেবে ‘। একই অভিযোগ আর এক বিজেপি কর্মী বিশ্বজিৎ মণ্ডলেরও। তাঁর অভিযোগ, কাউন্সিলরের ছেলে ফোনে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি এলাকায় বিজেপি করলে ভয়ঙ্কর খেলা হবে বলে হুমকি দেয়। বুথে এজেন্ট হয়ে বসা তো দূরের কথা বাড়ি ছাড়া করারও হুঁশিয়ারি দেয়। ঘটনায় তাঁরা যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছেন। আতঙ্কে রয়েছেন তাঁদের পরিবারও।

    প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা প্রকল্পের জন্য রেজিস্ট্রেশনে বাধা!

    প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা প্রকল্পের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে কামারহাটির (Kamarhati) নন্দননগরেরই ওল্ড নিমতা রোডে। সেখানে একটি সাইবার ক্যাফে রয়েছে নরোত্তম সিংহ  নামে এক ব্যবসায়ীর। ব্যবসায়ীর বক্তব্য, সেখানে কয়েকজন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা প্রকল্পের জন্য রেজিস্ট্রেশন করছিলেন।  অভিযোগ আচমকা কয়েকজন এসে আমাকে হুমকি দেয় এবং বলে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কিত কোনও যোজনার ফর্মফিলাপ করা যাবে না।  দোকানে যারা ছিল তাঁদের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয় এবং বেশি বাড়াবাড়ি করলে দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। দুটি ঘটনাতেই স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি নেতৃত্ব।  দুটি ঘটনার প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবারই বেলঘরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির উত্তর শহরতলি জেলার সভাপতি অরিজিৎ বক্সি। তিনি ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।  না হলে আগামীদিনে বেলঘরিয়া জুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যদিও কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল সাহা বলেন, ‘ যদি সত্যিই এরকম কিছু ঘটনা হয়ে থাকে তাহলে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।  দলের কেউ জড়িত থাকলে সে বিষয়টিও দলীয় স্তরে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। বেলঘরিয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: তৃণমূলের কার্যালয় থেকে বিলি করা হল সরকারি কম্বল! জেলাজুড়ে শোরগোল

    Jalpaiguri: তৃণমূলের কার্যালয় থেকে বিলি করা হল সরকারি কম্বল! জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার কম্বল বিতর্কে জড়াল তৃণমূল। এবার সরকারি কম্বল দলীয় দফতর থেকে বিলি করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বিরোধীদের পাশাপাশি নিন্দায় সরব হয়েছে তৃণমূলেরই একাংশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ির মাধবডাঙ্গা ১নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।

    তৃণমূলের কার্যালয় থেকে কম্বল বিতরণ (Jalpaiguri)

    ১২জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন ছিল। ঘটা করে বিবেকানন্দের জন্মদিন পালন করে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ির মাধবডাঙ্গা ১নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় থেকে বেশ কিছু কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এই কম্বল কিছুদিন আগে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে এসেছিল। এই কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ময়নাগুড়ি দুই নম্বর ব্লকের ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শিব শংকর দত্ত, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পঞ্চমী মোহন্ত সহ অন্যান্যরা। কম্বল যে দলীয় কার্যালয় থেকে বিতরণ করা হয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন পঞ্চমী মহন্ত। কিন্তু শিব শংকর দত্ত জানিয়েছেন, দলীয় কার্যালয় থেকে নয় ওই এলাকার একটি জায়গা থেকে বিলি করা হয়েছে। যার কিছুটা সামনেই দলীয় দফতর ছিল। 

    কম্বল বিলি নিয়ে দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে

    জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে রাজ্য থেকে প্রায় ৮০০ কম্বল এসেছে। ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির ৪৭ জন সদস্যের মধ্যে এই কম্বল বিতরণ করে দেওয়া হয়েছে। ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির ৪৭ জন সদস্যার মধ্যে আট জন বিজেপির। প্রত্যেক সদস্যকে সমান ভাবে কম্বল দেওয়া হয়েছে। সেই কম্বল কিভাবে দলীয় কার্যালয় থেকে বিতরণ হয় তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা ২ নম্বর ব্লকের যুব সভাপতি মনোজ দেবনাথ বলেন, তিনি কেন এমনটা করলেন তা তার জানা নেই। রাজ্য থেকে শীতকালীন বস্ত্র পাঠিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এ কম্বল দলীয় কার্যালয় থেকে বিতরণ করা ঠিক হয়নি। যে করেছে সে অন্যায় করেছে। অন্যদিকে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা পঞ্চমী মোহন্ত বলেন, আমরা স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন পালন করেছিলাম। এর পরেই দলীয় কার্যালয় থেকে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এই কম্বলগুলি আমাদের ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির থেকে দেওয়া হয়েছিল।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিষয়টি নিয়ে বিজেপির জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ বলেন, এই রাজ্যে এটাই দস্তুর। তৃণমূল আর রাজ্য প্রশাসন মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। তৃণমূল যেভাবে বলবে প্রশাসন সেই ভাবেই চলবে এবং তাদের কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে। তাই এই ঘটনায় অবাক হওয়ার কোনও ব্যাপার নেই, এটাই স্বাভাবিক। যদি দেখা যায় সব সরকারি দফতরে তৃণমূলের ঝান্ডা লাগিয়ে কাজ হচ্ছে তাতেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। তাই এদের নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: মমতার রাজত্বে এ কী হাল! গঙ্গাসাগর মেলায় যাওয়ার পথে সাধুদের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

    Purulia: মমতার রাজত্বে এ কী হাল! গঙ্গাসাগর মেলায় যাওয়ার পথে সাধুদের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গাসাগরগামী তিন সাধুর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে রাজ্যে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার (Purulia) কাশিপুরে। উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা তিন সাধুর ওপর হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর চালানো হয় তাঁদের গাড়িতে। পরে, কাশিপুর থানার পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো শুক্রবার রাত্রে কাশিপুরে গিয়ে থানা থেকে তিন সাধুকে নিজের বাসভবনে নিয়ে আসেন। শনিবার তাদের পুরুলিয়ার চকবাজারের বড় কালী মন্দিরে নিয়ে গিয়ে সসম্মানে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয় বলে জেলা বিজেপি সূত্রে খবর।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত তিন সাধু উত্তরপ্রদেশ বেরিলির বাসিন্দা। সেখান থেকেই একটি গাড়ি করে বাংলায় এসেছিলেন। তাঁদের যাওয়ার কথা গঙ্গাসাগরে। সেখানে যাওয়ার পথে রাঁচির জগন্নাথ মন্দির দর্শন করেন তাঁরা। এরপর পুরুলিয়ায় (Purulia) ঢোকেন। কাশিপুরের কাছে গোবরডিঙ্গা গ্রামে আনোয়ার নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার গুজব তৈরি করে এলাকার মানুষদের খেপিয়ে দেন বলে অভিযোগ। এরপরই তিন সাধুর ওপর হামলা চালানো হয়। তাঁদের লাঠিপেটা করা হয়। তাঁদের উপর শারীরিকভাবে চরম নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের সঙ্গে থাকা গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। আক্রান্ত সাধুরা চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যদিও পুলিশ জানতে পেরে আক্রান্ত সাধুবাবাদের উদ্ধার করে কাশিপুর থানায় নিয়ে যায়।

    আমাদের পিটিয়ে মেরে ফেলত, বললেন আক্রান্ত সাধুবাবা

    আক্রান্ত সাধুবাবা মধুর মহারাজ বলেন, আমরা কোনও ভাষা বুঝতে পারছিলাম না। তাঁর আগেই আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। পুলিশ কয়েক মিনিট দেরি করে ঘটনাস্থলে আসলে ওরা আমাদের পিটিয়ে মেরে দিত। আমাদের কী দোষ তা আমরা বুঝতেই পারিনি। অকারণে আমাদের ওপর ওরা হামলা চালাল। গাড়ি ভাঙচুর করা হল।

    মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ট্যুইট করলেন অমিত মালব্য

    এই ঘটনার পর জেলা বিজেপি নেতৃত্ব আইন শৃঙ্খলা নিয়ে সরব হয়। মাফিয়াদের কাছে সাধু সন্তরাও নিরাপদ নন বলে দাবী করেন। সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত বলেন, শেখ আনোয়ারের নেতৃত্বে এই গুজব ছড়িয়ে সাধুদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এক তৃণমূল নেতাও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ররোচনামূলক পোস্ট করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গেরুয়া পোশাক পড়ে আছে বলেই বিজেপি তকমা দিয়ে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা হয়েছে। বিজেপি-র রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তথা আইটি সেলের সর্বভারতীয় ইনচার্জ  অমিত মালব্য মমতার পুলিশের কড়া সমালোচনা করেন। আনোয়ার নামে এই সিভিক ভলান্টিয়ারের নেতৃত্ব এই হামলা হয়েছে বলে ট্যুইটও করেন।

     

     

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি কী বললেন?

    জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া অবশ্য এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আমাদের দল এই ঘটনাকে সমর্থন করে না। সাধুদের পুলিশ রক্ষা করেছে। না হলে আরও বড় ঘটনা ঘটতে পারত। বিজেপি এই ঘটনাকে নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।

    জেলা পুলিশ সুপারের কী বক্তব্য?

    পুরুলিয়ার (Purulia) পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গুজবকে কেন্দ্র করেই সাধুদের ওপর হামলা হয়। পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর কারা জড়িত রয়েছে, তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: পুলিশের বাধা ধোপে টিকল না, সুকান্তর বাইক র‍্যালিতে প্রবল উচ্ছ্বাস

    Sukanta Majumdar: পুলিশের বাধা ধোপে টিকল না, সুকান্তর বাইক র‍্যালিতে প্রবল উচ্ছ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়ম মেনে পুলিশের কাছে আবেদন করেছিল বিজেপি। কিন্তু বাইক র‍্যালির অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তৃণমূলের কথাতেই বিজেপির এই কর্মসূচি বানচাল করেছিল পুলিশ। এমনই অভিযোগ ছিল গেরুয়া শিবিরের। পুলিশের সেই বাধা উপেক্ষা করেই হল বিজেপির কর্মসূচি। শুক্রবার স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে যুব দিবসকে সামনে রেখে বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে বাইক র‍্যালি হল গঙ্গারামপুরে।

    নাকা চেকিং করে বিজেপি কর্মীদের হেনস্থা পুলিশের

    এদিন দুপুরে গঙ্গারামপুর স্টেডিয়াম চত্বর থেকে বাইক র‍্যালি বের হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), বালুরঘাট ও তপনের বিধায়ক অশোককুমার লাহিড়ী, বুধরাই টুডু, জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী, জেলা যুব মোর্চার জেলা সভাপতি শুভ চক্রবর্তী সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন গঙ্গারামপুর থেকে বাইক র‍্যালি বের হয়, যা তপন হয়ে বালুরঘাটে শেষ হয়। এদিনের বাইক র‍্যালিতে হাজার খানেক বাইক অংশগ্রহণ করে। এদিনের এই যাত্রাপথে বিশাল পুলিশ মোতায়েন ছিল। আগেই পুলিশের তরফে এই র‍্যালির কোনও অনুমোদন দেয়নি। শেষে বালুরঘাট হিলি মোড়ে বিবেকানন্দের মুর্তিতে মাল্যদান করেন সাংসদ। এদিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় চলছিল পুলিশের নাকা চেকিং। যদিও এই নাকা চেকিংকে রুটিন চেকিং বলা হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে। তবে, বিজেপির অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নাকা চেকিং শুরু করেছে পুলিশ।

    পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে, তোপ সুকান্তর

    বালুরঘাট হিলি মোড়ে কর্মসূচি শেষ করেই সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, পুলিশ বিজেপিকে অনুমতি দেয় না। গত দুদিনে আমাদের বিভিন্ন কার্যক্রমে অনুমতি দেয়নি। এদিন বালুরঘাটেও অনুমতি দেয়নি। পুলিশ যদি পুলিশের কাজ করে বিজেপি তাকে সম্মান করবে। কিন্তু, পুলিশ যদি তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করে তাহলে বারবার বিজেপি এই ভাবেই পুলিশকে নতজানু হতে বাধ্য করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: ‘জামাল কুদু’ গানে মদের গ্লাস মাথায় নিয়ে তৃণমূল নেতার চটুল নাচ

    Panihati: ‘জামাল কুদু’ গানে মদের গ্লাস মাথায় নিয়ে তৃণমূল নেতার চটুল নাচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অ্যানিম্যাল’ সিনেমার ‘জামাল কুদু’ গান এখন সুপারহিট। সোশ্যাল মিডিয়ায় সাড়া ফেলে দিয়েছে এই গান। অনেকেই মদের গ্লাস মাথায় নিয়ে সেই নাচের ছবি আপলোডও করছেন। কয়েকদিন আগে পরিচালক শ্রীজিত মুখোপাধ্যায়কে একটি পার্টিতে এই গানের তালে মদের গ্লাস মাথায় নিয়ে নাচ করতে দেখা গিয়েছিল। যদিও শেষে সেই গ্লাস মাথা থেকে নীচে পড়ে বিপত্তি বেধে যায়। এই খবর নিয়ে টলিউডে বেশ চর্চা হয়েছিল। এবার সেই বিখ্যাত জামাল কুদু-র গানের তালে মদের গ্লাস নিয়ে নাচ করতে দেখা গেল পানিহাটি (Panihati) পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বুথ সভাপতি বাবু পালকে। ভিডিও ঘুরছে লোকজনের ফোনে ফোনে। যদিও সেই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। পানিহাটি জুড়ে তৃণমূল নেতার এই চটুল নাচ নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল, কী বললেন দলীয় কাউন্সিলর? (Panihati)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পানিহাটি (Panihati) পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের পক্ষ থেকে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ওয়ার্ডের বুথ সভাপতি বাবু পাল। সঙ্গে ছিলেন বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী। বার্ষিক অনুষ্ঠানের মধ্যেই শুরু হয় হিন্দি গান। আর ‘জামাল কুদু’ গান বাজতেই সেই অনুষ্ঠানের ভাইরাল ভিডিওতে মাথায় মদের গ্লাস নিয়ে নাচতে দেখা গিয়েছে বাবু পালকে। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই চরম অস্বস্তিতে পড়ে যায় তৃণমূল। কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কাউন্সিলর সুভাষ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল তা ঠিক মতোই হয়েছে। কেউ হয়তো এটা করে ফেলেছে। তবে, এটা ঠিক হয়নি, অন্যায় করেছে। আমি দেখব এই মানুষগুলো যেন পার্টির সামনে না আসে। যদিও ঘটনায় বাবু পালের এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি নেতা জয় সাহা বলেন, এই দলটাই তো জামাল কুদুর দল। সেই দলের কর্মীরা মদের গ্লাস নিয়ে নাচবে না তো কী করবে! দলটাই তো চলছে মাতালদের নিয়ে। দলের ওপর কারও নিয়ন্ত্রণ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gangasagar: কোটালের জল ঢুকল গঙ্গাসাগর মেলায়, প্লাবিত একাধিক দোকান-ক্যাম্প

    Gangasagar: কোটালের জল ঢুকল গঙ্গাসাগর মেলায়, প্লাবিত একাধিক দোকান-ক্যাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গাসাগরে (Gangasagar) পুণ্যস্নানের আগে বড়সড় বিপত্তি! অমাবস্যার কোটালে সমুদ্রের জলে প্লাবিত হল বেশ কয়েকটি দোকান সহ অস্থায়ী ক্যাম্প। চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কারণ, মেলা চত্বরে সাগরের জল যাতে ঢুকতে না পারে, তার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোটি কোটি খরচ করে বাঁধ দেওয়া হয়েছিল। সেই বাঁধের একটি অংশ ভেঙে যায়। জলে চলে যায় কোটি কোটি টাকা।

    কত দোকান প্লাবিত হল? (Gangasagar)  

    মূলত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অমাবস্যার কোটালের কারণে সাগরের জলে গঙ্গাসাগরে (Gangasagar) প্লাবিত হয়ে যায় ৫ নম্বর ঘাট সংলগ্ন দোকান ও অস্থায়ী স্বেচ্ছাসেবী ক্যাম্প। সব মিলিয়ে ২০টি দোকানে জল ঢুকে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাঁচটি স্বেচ্ছাসেবী ক্যাম্প। তৎক্ষণাৎ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরিয়ে আনা হয় সেখানকার মানুষজনকে। তবে, পুণ্যস্নানের আগে দোকানে জল ঢুকে যাওয়ায় চিন্তিত ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, সমুদ্র এগিয়ে আসছে শুনেছিলাম। তবে, এভাবে দোকানে জল ঢুকে যাবে তা ভাবতে পারিনি।  

    গতবারের তুলনায় সাগর ২০০ মিটার এগিয়ে এসেছে

    বিপজ্জনক অবস্থায় গঙ্গাসাগরের কপিল মুনির আশ্রম (Gangasagar)। সাগর ক্রমশ এগিয়ে আসায় এই বিপদের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। গতবারের মেলায় সাগরের যা দূরত্ব ছিল, এবার এই দূরত্ব ২০০ মিটার এগিয়ে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। সাগরের আগ্রাসন ঠেকাতে পাঁচ ফুটের শালবল্লা, জিও ব্যাগ, ইট-বালি দিয়ে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে সাগরপাড়ে বাঁধ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। বাঁধের কাজ করা স্থানীয় ঠিকাদার কর্মী মানিক খাঁড়া বলেন, যেভাবে সমুদ্র এগিয়ে আসছে, তাতে আগামী দিনে বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। আগে আরও একটি মন্দির (Gangasagar) সমুদ্রগর্ভে চলে গিয়েছে। এবার কি এটাও যাবে? বৃহস্পতিবারের ঘটনা সেই আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

    সব টাকা তৃণমূল নেতাদের পকেটে গিয়েছে, কটাক্ষ বিজেপি-র

    এই বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। বিজেপি-র মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার কনভেনার অরুণাভ দাস বলেন, গঙ্গাসাগর মেলার জন্য যা খরচ করা হয়েছে, তা বিন্দুমাত্র কাজে লাগেনি। কাজও ঠিকমতো হয়নি। সমস্তটাই তৃণমূল নেতাদের পকেটে গিয়েছে। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছে মানুষ। না হলে বড়সড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: কেন্দ্র মিটিয়ে দিলেও হিলি রেল প্রকল্পের ক্ষতিপূরণের টাকা থেকে বঞ্চিত জমিদাতারা

    Dakshin Dinajpur: কেন্দ্র মিটিয়ে দিলেও হিলি রেল প্রকল্পের ক্ষতিপূরণের টাকা থেকে বঞ্চিত জমিদাতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট হিলি রেল প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই রেল জমি অধিগ্রহণের জন্য টাকা দিয়ে দিয়েছে। জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হলেও এখনও জমিদাতাদের টাকা মেলেনি। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা মিটিয়ে দিলেও রাজ্য তা দিচ্ছে বলে অভিযোগ। ফলে, জমির টাকা পেতে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) বালুরঘাট শহরে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখালেন জমিদাতারা। 

    জমিদাতারা কী বললেন? (Dakshin Dinajpur)

    দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) হিলি ব্লকের ত্রিমোহিনী, ধলপাড়া, পাঞ্জুল সহ একাধিক গ্রামের শতাধিক জমিদাতারা জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রশাসনকে জমি দেওয়ার জন্য সমস্ত নথি জমা করেছেন। কিন্তু এখনও জমির টাকা মেলেনি। জমিদাতাদের অভিযোগ, টাকা না পাওয়ায় কারও মেয়ের বিয়ে আটকে, কেউ অন্যত্র জমি কিনতে পারছেন না। ফলে, তাঁরা আর্থিক সংকটের মুখে পড়ছেন। এবিষয়ে হিলির ধলপাড়া এলাকার একজন জমিদাতা সুজন ঘোষ বলেন, রেলকে জমি দেওয়ার জন্য আমাদের কারও বসত জমি, কেউ আবাদি জমি দিয়েছে। এখন আমাদের টাকার প্রয়োজন। একবছর হতে চলল তবুও টাকা পাচ্ছি না। অনেকের বিবাহ যোগ্য কন্যা রয়েছে, টাকার অভাবে বিয়ে দিতে পারছি না। আবার কেউ অন্যত্র জমি কিনবে, তবুও পারছে না। ফলে আমরা আর্থিক সমস্যায় ভুগছি। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে আমাদের যাতে টাকা দিয়ে দেওয়া হয়, তার জন্য প্রশাসনকে চিঠি করেছি।

    জেলাশাসকের কী বক্তব্য?

    এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। যাদের কাগজ ঠিকঠাক রয়েছে, টাকাও ঢুকে যাচ্ছে। তবে একই প্লটে অনেকেই রয়েছে। সেই বিষয়গুলি ফিল্ডে গিয়ে ভালো করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভালো করে সবার কাগজ দেখেই টাকাটা দেওয়া হবে। কারণ একটা ভুল হলে পুরো প্রকল্পের ক্ষতি হতে পারে। তাই টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে না। কারও দ্রুত টাকার প্রয়োজন হলেও তা দিয়ে দেওয়া হবে।

    কেন্দ্রীয় সরকার টাকা মিটিয়ে দিলেও রাজ্য টাকা দিচ্ছে না

    এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলা বিজেপি সভাপতি স্বরুপ চৌধুরী বলেন, রেলের তরফে প্রশাসনকে ২৯৮ কোটি টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, কেন এই টাকা জমিদাতাদের অ্যাকাউন্টে এখনও ঢোকেনি, সেই বিষয় প্রশাসনই বলতে পারবে। ইচ্ছে করেই দেরি করছে প্রশাসন।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

     তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, টাকা যখন ঢুকতে শুরু করেছে, তাহলে সবাই টাকা পাবে। এনিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর কিছু নেই। এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত বলেই মনে হচ্ছে।

    প্রসঙ্গত, বালুরঘাট হিলি রেল প্রকল্পে বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত  ২৯.৭ কিলোমিটার পথ এবং ওই পথের জন্য ৩৮৬ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রেলের তরফে ২৯৮ কোটি টাকা প্রশাসনকে দিয়েছে রেল মন্ত্রক। এছাড়াও রেলমন্ত্রী ওই প্রকল্পের জন্য ৬৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা করেছে। এদিকে জেলাপ্রশাসনের তরফে জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যেই জেলাপ্রশাসনের তরফে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা জমিদাতাদের দিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, একই প্লটে অনেকের জমি রয়েছে। সেই প্লটের কারও না কারও কাগজের সমস্যা রয়েছে। ফলে, বাকিদেরও টাকা পেতে দেরি হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সুকান্তর বাইক মিছিলের অনুমতি দিল না প্রশাসন, ক্ষুব্ধ বিজেপি

    Sukanta Majumdar: সুকান্তর বাইক মিছিলের অনুমতি দিল না প্রশাসন, ক্ষুব্ধ বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) বাইক মিছিলের অনুমতি দিল না পুলিশ। আগামীকাল স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষে সাংসদের নেতৃত্বে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই বাইক মিছিলের অনুমতি দেওয়া হল না। ফলে, বিজেপি কর্মীরা ক্ষুব্ধ।

    বাইক মিছিলের অনুমতি দিল না প্রশাসন (Sukanta Majumdar)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার যুব দিবসের দিন সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে গঙ্গারামপুর থেকে বালুরঘাট বিজেপির বাইক মিছিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই কর্মসূচি কার্যকর করতে অনুমতি চেয়ে বিজেপির তরফে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হলেও তার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। লোকসভা ভোট ঘোষণা না হলেও নানা কর্মসূচির মাধ্যমে সাংসদ নিবিড় জনসংযোগের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এমনিতেই এই লোকসভায় বিজেপির শক্ত মাটি। তৃণমূলের কাছে এই আসন যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের। তাই, তাঁর জনসংযোগমূলক কর্মসূচি পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে বানচাল করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল বলেন, মিছিলের কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি।

    বাইক মিছিল করা হবে, হুঁশিয়ারি বিজেপি নেতৃত্বের

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, আগামীকাল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে গঙ্গারামপুর থেকে বালুরঘাট পর্যন্ত বাইক নিয়ে মিছিল করা হবে। নেতৃত্বে থাকবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। কিন্তু, এই জেলার পুলিশ ও তৃণমূল আমাদের এই বাইক মিছিল নিয়ে নোংরা রাজনীতি শুরু করেছে। তৃণমূল জানে যে তারা আগামীদিনে রাজ্যে থাকবে না। পুলিশ দিয়ে আমাদের মিছিল বন্ধ করার চেষ্টা করছে। আমরা আগামীকাল এই বাইক মিছিল করব।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, আগামীকাল স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন মানুষের কাছে আবেগ। প্রশাসন যদি মনে করে এমন কোনও কাজ করলে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হবে, প্রশাসনের অসুবিধা হবে বলেই অনুমতি দেয়নি। আমরা তাতে কোনও হস্তক্ষেপ করিনি।  আর বিজেপি তো কথায় কথায় হাইকোর্ট যায়, তারা হাইকোর্টে যেতেও পারে। হাইকোর্ট কী নির্দেশ দিচ্ছে তা মানুষ দেখবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share