Tag: bjp

bjp

  • Nadia: নদিয়া থেকে হেঁটে অযোধ্যার রামমন্দির পাড়ি দিলেন গোপাল, কুর্ণিশ এলাকাবাসীর

    Nadia: নদিয়া থেকে হেঁটে অযোধ্যার রামমন্দির পাড়ি দিলেন গোপাল, কুর্ণিশ এলাকাবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি। নিজের স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে পায়ে হেঁটে প্রায় ১৮০০ কিলোমিটার অতিক্রম করে অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্দেশে রওনা দিলেন নদিয়ার (Nadia) চাকদার গোপালবাবু। চলতি মাসের গত ৬ তারিখে রওনা দেন তিনি। বর্তমানে তিনি রয়েছেন শিমলাগড়ে। ৪৫ বছর বয়সে তাঁর এই উদ্যোগ দেখে কুর্ণিশ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

    প্রতিবেশীরা কী বললেন? (Nadia)

    নদিয়ার (Nadia) চাকদা পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ঘোষপাড়ার বাসিন্দা অরিন্দম সিংহরায়। এলাকায় তিনি গোপাল নামেই পরিচিত। তিনি ছাড়া পরিবারে রয়েছেন ৬৫ বছরের বৃদ্ধা মা। গোপালবাবু এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। প্রতিবেশীরা বলেন, পায়ে হেঁটে অতটা পথ যাওয়া যায়, তা আমরা ভাবতেই পারছি না। নিজের স্বপ্নপূরণের জন্য তাঁর এই উদ্যোগকে আমরা কুর্ণিশ জানাই। তিনি যেন সুস্থ এবং স্বাভাবিকভাবে পবিত্র রাম মন্দির দর্শন করে বাড়ি ফিরে আসতে পারেন, এটাই আমরা চাই।

    প্রতিদিন ৩০ কিলোমিটার করে হাঁটছেন গোপালবাবু

    গোপালবাবু বলেন,  ২০০৮ সাল থেকেই আমার মনের ভেতরে অযোধ্যার রাম মন্দিরে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। পায়ে হেঁটে অযোধ্যায় গিয়ে রামের পবিত্র চরণ ধূলিতে পদার্পণ করার ইচ্ছে মনে মনে ভেবে রেখেছিলাম। পরবর্তীকালে সেই ইচ্ছার কথা এলাকাবাসীর কাছে প্রকাশও করেছিলাম। প্রতিবেশীরাও আমাকে উৎসাহ দিয়েছিলেন। এবার সেই স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যেই পথ চলা শুরু করেছি। তিনি বলেন, প্রতিদিন ৩০ কিলোমিটার হাঁটার পরিকল্পনা রয়েছে। পথ চলতি মানুষেরও এই দুদিনে উৎসাহ অনেক উৎসাহ পেয়েছি। কেউ টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন, কেউ বা আবার আমাকে খাওয়ানোর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। ফলে, রাস্তায় থাকা, খাওয়ার অভাব এখনও হয়নি।  রাস্তায় পরিচিত অপরিচিতরা ডেকে নিয়ে গিয়ে থাকার জায়গা দিচ্ছেন, খাওয়ার সুব্যবস্থাও করছেন তারা। কেউ আবার অনলাইনে আর্থিক সাহায্য করছেন। ৯০ দিনে অযোধ্যা মন্দিরে প্রবেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে। যে রাস্তা ধরে আমি যাচ্ছি তাতে প্রায় ১৮০০ কিলোমিটার বা তার বেশি পথ আমাকে যেতে হতে পারে। গোপাল বাবুর এই উৎসাহ এবং উদ্যোগ দেখে প্রতিবেশীরাও সাধুবাদ জানিয়েছেন।  তবে গোপালবাবু জানিয়েছেন তিনি পায়ে হেঁটে অযোধ্যায় রওনা দিলেও বাড়ি ফেরার সময় ট্রেনে করে বাড়ি ফিরবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী মামলার হুঁশিয়ারি দিলেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা থামবে না’, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী মামলার হুঁশিয়ারি দিলেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা থামবে না’, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মঙ্গলবার বিকেলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি বাজার এলাকায় বিজয়া সম্মেলনীতে উপস্থিত হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, একাধিক দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্য সরকারের একের পর এক মন্ত্রীরা সবাই জেলে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতিগ্রস্তদের আড়াল করছেন। নিজের মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের আগলে রাখতে এবং নির্দোষ প্রমাণ করতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কিন্তু, যতই ভয় দেখাক না কেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা থামবে না। রাজ্য সরকারের যে পাহাড় সমান দুর্নীতি, সেই দুর্নীতির মুখোশ এবার সাধারণ মানুষের সামনে খুলে গিয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলার রাজনীতিতে অবদান হল অশিক্ষিত লোকেদের রাজনীতিতে আনা। মুখ্যমন্ত্রী এই মন্ত্রে বিশ্বাস করেন “কাজের সময় কাজী, আর কাজ ফুরালেই পাজি”। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যেখানে সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ্যে বলছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সব জানেন, তাদেরকে জেরা করা প্রয়োজন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা বলছেন, তিনি কিছু জানেন না। দশ বছর ধরে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক চুরি করে যাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রী জানেন না এই কথা বললে আর কেউ বিশ্বাস করবে না।

    দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    আগামী লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে নিজেদের ঘর গোছাতে শুরু করে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় পদ্ম ফোটাতে মরিয়া প্রচেষ্টা শুরু করে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। কর্মীদের চাঙা করতে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) এদিন বলেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি প্রার্থী ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করবে। মানুষ এই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে আর দেখতে চাইছে না। বিজেপি একমাত্র পারবে দুর্নীতিমুক্ত বাংলা গড়ে তুলতে। তাই, জোটবদ্ধ হয়ে কর্মীদের এখন থেকে লড়াই করার ডাক দিলেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ‘বিরোধীদের বুথে কোনও কাজ করবে না তৃণমূল’, প্রকাশ্য মঞ্চে নিদান বিধায়ক শওকত মোল্লার

    South 24 Parganas: ‘বিরোধীদের বুথে কোনও কাজ করবে না তৃণমূল’, প্রকাশ্য মঞ্চে নিদান বিধায়ক শওকত মোল্লার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ব্যাপক সন্ত্রাস চলেছিল ভাঙড়ে। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে ভাঙড়ে আসতে হয়েছিল। এত কিছুর পরও তৃণমূলকে হারিয়ে একাধিক বুথে বিরোধীরা জয়ী হয়। এবার সেই বিরোধীরা যে সব পঞ্চায়েতে জিতেছে, সেখানে কীভাবে কাজ হবে তা নিয়ে দলের অবস্থান ঠিক করে দিলেন তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক? (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকে বিজয়গঞ্জ বাজারে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘ভাঙড়ে আমাদের ৯টা অঞ্চলে যে সমস্ত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, পঞ্চায়েত সদস্য আছেন তাঁদেরকে বলব, যখন পঞ্চায়েত সমিতি ও পঞ্চায়েতের মিটিং হবে দলবদ্ধ ভাবে বিরোধীদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে নিজেদের প্রস্তাব পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে অনুমোদন করাতে হবে। যে পঞ্চায়েতগুলো ওরা জিতেছে ওরা কাজ করে দেখাক। আমাদের পঞ্চায়েত ওই সমস্ত বুথে কোনও কাজ করবে না।’ বিরোধীদের গঠিত পঞ্চায়েতে অসহযোগিতার বার্তা স্পষ্ট হয়েছে শওকতের ওই বক্তব্যে। দলীয় কর্মীদের দেওয়া এই নির্দেশ ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। শওকত যখন এমন কথা বলছেন, তখন মঞ্চে তাঁর পাশেই বসেছিলেন আরাবুল ইসলাম- সহ তৃণমূলের স্থানীয় একাধিক নেতা।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

     শওকতের এই মন্তব্যের পর তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি বিরোধীরা। এ নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বিজেপি নেতা উত্তম কর বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্য মঞ্চে শওকতের বিষয়ে বলেছিল, তুই তো বোম বাঁধিস। তাই, একজন বোমা বাঁধে এরকম নেতার থেকে এর বেশি কী আশা করব আমরা। একজন বিধায়ক বলছেন, বিরোধীদের পঞ্চায়েতে কাজ করতে দেব না। তিনি যে দল করেন, এটা সেই দলের মনোভাবেরই প্রতিফলন। মানুষ এর বিচার করবে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “ভোট চাইতে এলে বিজেপি কর্মীদের গাছে বেঁধে রাখুন” তৃণমূল নেতার হুমকিতে তীব্র বিতর্ক

    Birbhum: “ভোট চাইতে এলে বিজেপি কর্মীদের গাছে বেঁধে রাখুন” তৃণমূল নেতার হুমকিতে তীব্র বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট চাইতে এলে বিজেপি কর্মীদেরকে গাছে বেঁধে রাখার নিদান দিলেন তৃণমূলের নেতা। বীরভূমের (Birbhum) রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজয়া সম্মেলনের আয়োজন হয়েছিল। আর এই সম্মেলনের সভা থেকে বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের নেতা বাবু দাস হুমকি দিয়ে বলেন, “সামনে লোকসভার ভোট। তাই এবার বিজেপি ভোট চাইলে গাছে বেঁধে রাখবেন।” এই মন্তব্যে জেলায় তীব্র শোরগোল পড়েছে। রাজ্যে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের হুমকির ঘটনা নতুন কিছু নয়। গত ২০২১ সালের বিধানসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল রাজ্য জুড়ে। ফলে বিজেপিকে হুমকির ঘটনায় আরও একবার কাঠগড়ায় উঠল তৃণমূল।

    তৃণমূলের বক্তব্য (Birbhum)

    বিজেপিকে হুমকি দিয়ে তৃণমূল নেতা বাবু দাস (Birbhum) বলেন, “মাত্র হাতে গোনা কয়েকমাস পরেই লোকসভার নির্বাচন। সকল দলের নেতারা ভোট চাইতে আসবেন। বুথের সমস্ত কর্মীদের বলে দিচ্ছি, বিজেপি যদি ভোট চাইতে আসে তাহলে তাঁদের গাছে বেঁধে রাখবেন। গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে ১০০ দিনের টাকার হিসাব চাইবেন। বাংলাকে কেন বঞ্চনা করা হচ্ছে জানতে চাইবেন।”

    আর কী বলেন?

    কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা বলে কার্যত বিজেপি কর্মীদের আতঙ্কিত করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ। তবে বোলপুর- শ্রীনিকেতন ব্লকের (Birbhum) নেতা বাবু দাস নিজের বক্তব্যে স্থির থেকে বলেন, “কে কীভাবে নিচ্ছে আমি জানিনা। বিজেপি যদি একে হুমকি হিসাবে নেয় তাহলে মন্তব্যের বিশ্লেষণ ভুল করা হবে। এলাকায় ভোট চাইতে গেলে ১০০ দিনের কাজের টাকা দিতে হবে। কাজ করাবে অথচ টাকা দেবেনা এমন টা চলতে পারেনা।”

    বিজেপির বক্তব্য

    এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূম (Birbhum) জেলার বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “তৃণমূল দলের এটাই সংস্কৃতি। তৃণমূল কু কথা না বললে, ভোটে জয়ী হতে পারে না তাই ওঁদের কু কথা বলতেই হয়। সমানে লোকসভার ভোট তাই বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই মন্তব্যকে আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: থানায় গিয়ে আইসিকে ‘উপহার’ দিলেন তৃণমূলের মন্ত্রী, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Malda: থানায় গিয়ে আইসিকে ‘উপহার’ দিলেন তৃণমূলের মন্ত্রী, জেলাজুড়ে শোরগোল

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশ দলদাস। শাসক দলের হয়ে কাজ করে পুলিশ। এমনই অভিযোগ করে বিরোধীরা। আর সেই শাসকদলের হয়ে সারা বছর ধরে কাজ করা পুলিশকে ‘ভেট’ দেওয়া হবে না, সেটা কি হয়! আর তাই এবার পুজোর সময় মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি দেবদূত গড়মের হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন তৃণমূলের প্রতিমন্ত্রী তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তাজমুল হোসেন। নবমীর রাতের সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আর এতে তৃণমূল এবং পুলিশ দুপক্ষই চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে।

    ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে? (Malda)

    জলপাই পোশাকে হাসি হাসি মুখে দাঁড়িয়ে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর আইসি দেবদূতবাবু। তাঁর দিকে হাসি মুখে উপহার এগিয়ে দিচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তাজমুল হোসেন। বিধায়কের পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তির হাত থেকে নতুন জামাও নিলেন আইসি। যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। জানা গিয়েছে, নবমীর রাতে  হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় গিয়ে আইসি-কে ‘পুজোর উপহার ’দেন মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক তাজমুল। বিরোধীদের বক্তব্য, পুলিশ এবং শাসকদলের নেতাদের মধ্যে যে দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক, তা এই ভিডিওতেই পরিষ্কার। আমাদের প্রশ্ন, এর পরও বিরোধীরা কী ভাবে আশা করবেন যে কোনও রাজনৈতিক অশান্তিতে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করবে পুলিশ? গোটা বিতর্কে মুখ খুলতে নারাজ জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপ যাদব।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    এই বিষয় নিয়ে অহেতুক জলঘোলা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তাজমুল-ঘনিষ্ঠরা। তাজমুল হোসেন বলেন, এটা সৌজন্য। পুজো উপলক্ষে সামান্য উপহার দিয়েছি আইসিকে। তবে এই ভাবে উপহার দেওয়া যায় কি না, সেটা আমার জানা নেই।

    হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি?

    হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি উপহার নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, সামান্য পুষ্পস্তবক দিয়েছেন মন্ত্রী। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা মন্ত্রীর এলাকার মধ্যে পড়ে। তাই প্রায়ই তিনি এখানে আসেন। এর বেশি কিছু বলতে অস্বীকার করেছেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এ নিয়ে বিজেপির দক্ষিণ মালদা (Malda) সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, পুলিশ আর তৃণমূল নেতাদের মধ্যে কোনও দূরত্ব নেই। লুকোছাপা নেই। কোথাও পুলিশই তৃণমূল দল  চালাচ্ছে। কোথাও তৃণমূল নেতারা পুলিশকে চালাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের এটাই এখন পরিস্থিতি। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মমতা-অভিষেকের ছবি দেওয়া বিল ছাপিয়ে তোলাবাজি তৃণমূলের, জেলা জুড়ে শোরগোল

    Mamata Banerjee: মমতা-অভিষেকের ছবি দেওয়া বিল ছাপিয়ে তোলাবাজি তৃণমূলের, জেলা জুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলের এখন ল্যাজেগোবরে অবস্থা। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জেলের ঘাঁনি টানছেন। এরমধ্যেই তৃণমূলের কাটমানি খাওয়া আর তোলাবাজি করা নিয়ে সারা রাজ্যে চর্চা চলছে। এবার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য নিজের দোকান বিক্রি করতে গিয়ে তৃণমূলের তোলাবাজির শিকার হলেন উৎপল বারিক নামে এক গরিব মানুষ। রীতিমতো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে বিল ছাপিয়ে তোলাবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ব্লকের শিবরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৩১ নম্বর বুথের রাধানগর গ্রামে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Mamata Banerjee)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা উৎপল বারিকের স্ত্রীর কঠিন অসুখের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ী কমিটি ও এলাকার মানুষের সহযোগিতায়  নিজের দোকান বিক্রি করেছিলেন। আর সেখানেই থাবা বসায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত পড়ুয়া ও পঞ্চায়েত সদস্যের ভাই পঞ্চানন পড়ুয়া। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিসহ পার্টির বিল ছাপিয়ে একরকম জোর করে ৭ হাজার টাকা তোলা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। ফলে, এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে ওই এলাকার তৃণমূল কর্মী আশরাফিল খানসহ গ্রামের মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে একজন দোকান বিক্রি করার জন্য কারও কাছে এভাবে তোলা নেওয়া যায়। উৎপলবাবু বলেন, ইচ্ছে না থাকলেও আমাকে টাকা দেওয়া হয়েছে।

    কী বললেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা?

    তৃণমূলের বুথ সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত পড়ুয়া  বলেন, আমরা কোনও তোলাবাজি করিনি। আমাদের দলের এক সমর্থক পার্টি ফান্ডের জন্য ৭ হাজার টাকা আমাকে দিয়েছেন। আমি সেই টাকা নেওয়ার  পার্টির রসিদ দিয়েছি। রসিদে মমতা (Mamata Banerjee) -অভিষেকের ছবি রয়েছে। ফলে, কোথাও কোনও কারচুপি করা হয়নি। এতে অন্যায় কিছু নেই। তোলাবাজি করলে তো পুরো টাকাটি রসিদ না দিয়ে পকেটে রেখে দিতে পারতাম। সেটা করিনি। ফলে, কেউ আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে অপপ্রচার করছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার নেতা অরুনাভ দাস বলেন, পিসি-ভাইপোর ছবি দেওয়া চালান দিয়ে তোলা আদায়ের কৌশল অভিনব। তৃণমূল দলটাই তো কাটমানি, তোলাবাজিতে ভরে গিয়েছে। তাই, একজন অসহায় মানুষের কাছে থেকে তোলা আদায় করতে এদের হাত কাঁপে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: কোচবিহারে বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতে হামলা, ভাঙচুর করা হল মঞ্চ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Cooch Behar: কোচবিহারে বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতে হামলা, ভাঙচুর করা হল মঞ্চ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই সংগঠনকে ঢেলে সাজানো ও শক্তিশালী করে তুলতে ময়দানে নেমেছে বিজেপি। রাজ্যের শাসকদল যেমন দিনহাটা মহকুমার বিভিন্ন স্থানে বিজয়া সম্মিলনী করে চলেছে, তেমনই পিছিয়ে থাকছে না গেরুয়া শিবিরও। বিজেপির সেই বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে। বুধবার কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা-১ নম্বর ব্লকের আটিয়াবাড়ি-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলতলা এলাকায় বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানস্থলে এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে, পুলিশি নিরাপত্তায় বিজয়া সম্মিলনী হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Cooch behar)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের আটিয়াবাড়ির বেলতলা এলাকায় বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীর প্রস্তুতি চলছিল। তৃণমূলের একদল দুষ্কৃতী লাঠিসোঁটা নিয়ে বাইকে চেপে সেখানে এসে তাণ্ডব চালাতে থাকে। তারা মঞ্চ ছাড়াও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। অনুষ্ঠানের হাঁড়ি-কড়াই নিয়ে চলে যায়। বিজেপি কর্মীরা তাদের দেখে সেখান থেকে কার্যত পালিয়ে যান। খবর পেয়ে দিনহাটা থানার বিশাল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিশ পৌঁছতেই দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালায়। এরপর পুলিশের নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বিজেপির পূর্বনির্ধারিত বিজয়া সম্মিলনী সম্পন্ন হয়।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপির দিনহাটা মণ্ডলের সহ-সভাপতি রফিক খান বলেন, ‘সন্ত্রাস করে বিজেপির বিজয়া সম্মিলনী ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। রাজ্যের শাসকদলের কর্মী-সমর্থকরা এসে অনুষ্ঠানস্থলে ভাঙচুর করে, দলীয় পতাকা ছিঁড়ে দেয়। দলীয় কর্মী-সমর্থকরা প্রতিবাদ করায় তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়।’

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    অপরদিকে তৃণমূলের আটিয়াবাড়ি ২ নম্বর অঞ্চল সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন, একশো দিনের কাজের টাকা না পেয়ে সেই টাকা সম্পর্কে জানতে গিয়েছিল। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।’ অন্যদিকে সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, ‘বিজয়া সম্মিলনীর মধ্য দিয়ে বিজেপি কর্মীরা নিজেরাই গন্ডগোল করে। তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে লোকসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে। এতে লাভ কিছু হবে না।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘মন্ত্রীদের জেল যাত্রায় সাংবিধানিক সংকট তৈরি হলে হস্তক্ষেপ করবে কেন্দ্র’’, জানালেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘‘মন্ত্রীদের জেল যাত্রায় সাংবিধানিক সংকট তৈরি হলে হস্তক্ষেপ করবে কেন্দ্র’’, জানালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের জেলযাত্রা শুরু হয়েছে গত বছর থেকেই। সম্প্রতি, রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেপ্তার করা হয় রাজ্যের আরেক মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। ‘‘পরপর মন্ত্রীদের এমন জেল যাত্রায় যদি সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়, তাহলে হস্তক্ষেপ করবে কেন্দ্র।’’ সোমবার সল্টলেকে দলের রাজ্য দফতরে বসে একথা বলতে শোনা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar)। এর পাশাপাশি বালুরঘাটের সাংসদের দাবি, এরপরে পালা রয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। কারণ সেখানেও দেদার দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?

    এদিন দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্যের শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ করেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, ‘‘আমরা তো কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করবোই। কিন্তু যে পরিস্থিতির দিকে বাংলা যাচ্ছে, আগামী দিনে বাংলার সরকার কোথা থেকে চলবে এটা সব থেকে বড় প্রশ্ন। জেলের ভিতর থেকে না জেলের বাইরে থেকে? কালীঘাট থেকে চলবে, না তিহাড় থেকে চলবে, না কি প্রেসিডেন্সি থেকে চলবে, সেটা আগামী দিনে বাংলার মানুষ দেখবে। বাংলা সাংবিধানিক সংকটের সম্মুখীন হলে কেন্দ্র অবশ্যই পদক্ষেপ নেবে। তখন তো কেন্দ্রের পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া আর কোনও জায়গা থাকবে না।’’

    স্বাস্থ্য দফতরের দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্যপালকে চিঠি সুকান্তর

    রাজ্যের প্রায় সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজে দুর্নীতি ও অনিয়ম চলছে বলে অভিযোগ সুকান্তর। স্বাস্থ্য ভবনেও দেদার দুর্নীতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ। স্বাস্থ্য দফতরে হওয়া দুর্নীতির তদন্তের আর্জি জানিয়ে সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘রাজ্যে বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে দালাল রাজ চলছে। তৃণমূলের নেতাদের মধ্যেও দ্বন্ধ রয়েছে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সুপারের বিরুদ্ধে রয়েছে হাজার হাজার অভিযোগ তবু তাঁকে সেখানে রাখা হয়েছে। আগামীদিনে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জেলে যেতে পারেন এতো দুর্নীতির কারণে। এই কারণে আমি সব অভিযোগ ও তথ্য জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি লিখেছি।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amrit Kalash: তৈরি হবে ‘অমৃত বাগান’, বাংলার মাটি নিয়ে দিল্লি রওনা হলেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা

    Amrit Kalash: তৈরি হবে ‘অমৃত বাগান’, বাংলার মাটি নিয়ে দিল্লি রওনা হলেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবসেই ‘মেরি মাটি, মেরি দেশ’ (Amrit Kalash) কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত ৩০ জুলাই নিজের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রথমবারের জন্য এই কর্মসূচির পরিকল্পনা জানিয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ‘মেরি মাটি, মেরি দেশ’ কর্মসূচি রাজ্য জুড়ে পালিত হয় ‘আমার দেশ, আমার মাটি’ হিসেবে। জেলায় জেলায় বিজেপি কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন কর্মসূচিতে। রবিবারই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মাটি নিয়ে বিজেপি কর্মীরা রওনা হন দিল্লির উদ্দেশে।

    ‘মেরি মাটি, মেরি দেশ’ কর্মসূচি কী?

    দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এবং পবিত্র স্থানের মাটি এবং গাছ দিয়ে দিল্লিতে তৈরি হবে একটি নতুন বাগান। যার নাম হবে ‘অমৃতবাটিকা’। জানা গিয়েছে, নয়াদিল্লির জাকির হোসেন মার্গের ‘ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল’ প্রাঙ্গণে এই বাগানের মাটিতে (Amrit Kalash) মিশে থাকবে সারা ভারতের মাটি। কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের কাজে শহিদ হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের গ্রামে  শিলালিপিও স্থাপন করা হয়েছে। এবার এই কর্মসূচির দুদিনের সমাপ্তি অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে সোমবার। মঙ্গলবার সেই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে রওনা দিলেন হাজারেরও (Amrit Kalash) বেশি বিজেপির নেতা-কর্মী।

    রবিবার বিজেপির ‘অমৃত কলস যাত্রা’

    রবিবার কলেজ স্ট্রিট থেকে অমৃত কলস (Amrit Kalash) নিয়ে একটি মিছিল করে বিজেপি নেতৃত্ব ধর্মতলায় আসে। সেখানে বক্তব্য রাখেন সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ সমেত অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। বিকাল ৪ টে ৫৫ মিনিট নাগাদ কলকাতা স্টেশন থেকে  বিশেষ ট্রেনে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন বাংলার বিজেপি নেতা-কর্মীরা। জানা গিয়েছে, ট্রেনটি দিল্লি পৌঁছাবে সোমবার বিকাল ৩ টে ২০ নাগাদ। সেখানে বিজেপি কর্মীদের স্বাগত জানাতে হাজির থাকবেন বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। এরপরেই অমৃতবাটিকায় যাবে রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এবং পবিত্র স্থানের মাটি। বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্যের নেতা-কর্মীরা বৃহস্পতিবারের ট্রেনে দিল্লি থেকে রওনা হবেন এবং পশ্চিমবঙ্গে ঢুকবেন শুক্রবার রাতে। জানা গিয়েছে, সারা দেশ থেকে ২০ হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি ৭৬৬ জেলা থেকে অংশগ্রহণ করবেন। ৮ হাজারেরও বেশি অমৃত কলস (Amrit Kalash) পৌঁছাবে দিল্লিতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mukul Roy: মুকুলের একাকী, নিঃসঙ্গ ছবি সামনে আসতেই কটাক্ষের ঝড় নেটিজেনদের, কী বললেন শুভ্রাংশু?

    Mukul Roy: মুকুলের একাকী, নিঃসঙ্গ ছবি সামনে আসতেই কটাক্ষের ঝড় নেটিজেনদের, কী বললেন শুভ্রাংশু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা সময় শুধু মিটিং, মিছিল নয়, ঘরোয়া  বৈঠকে তাঁকে ঘিরেই সবসময় থাকতেন অনুগামীরা। তাঁকে বাংলার রাজনীতির চাণক্য বলা হত। সেই মুকুল রায় (Mukul Roy) এখন কার্যত একাকী, নিঃসঙ্গ। রাজনৈতিক প্লাটফর্মেও আর তাঁর সেভাবে দেখা মেলে না। বাড়িতে তাঁকে ঘিরে অনুগামীদেরও আর কোনও ভিড় নেই। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় মুকুল রায়ের অসুস্থ, জীর্ণ ছবি সামনে আসতেই একের পর এক প্রশ্ন বাণে বিদ্ধ করা হয় তৃণমূলের প্রাক্তন সেকেন্ড ইন কমান্ডকে।

    মুকুলের ছবি দেখে কী লিখলেন নেটিজেনরা? (Mukul Roy)

    দলের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে মুকুল রায় তৃণমূলে ছিলেন। তিনি রাজ্যসভার সাংসদ মনোনীত হয়েছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পুলিশ প্রশাসন, আমলাদের নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে দলের অন্দরে চর্চিত ছিল। এমনকী বিধায়ক বা সাংসদের টিকিট পেতে গেলেও তাঁর সবুজ সংকেতের প্রয়োজন হত। কাঁচরাপাড়ায় আসলে তাঁকে ঘিরে থাকতেন এক ঝাঁক অনুগামী। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতা আসার কিছুদিনের মধ্যে তাঁর সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে থাকে। দলের অন্দরে গুঞ্জন রয়েছে, তৃণমূলে অভিষেকের উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে দলে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েন তিনি।  পরবর্তীতে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। তিনি গত বিধানসভায় নদিয়ার কৃষ্ণনগর বিধানসভা থেকে বিজেপি প্রতীকে জয়ী হয়ে বিধায়ক নির্বাচিত হন। কয়েকমাস পরই তিনি ছেলে শুভ্রাংশু রায়কে নিয়ে তিনি অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন। পরবর্তীতে তিনি নিজে একাই দিল্লি গিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তৃণমূল দলটা আর করা যায় না বলে তিনি উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। ফলে, তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান এখনও স্পষ্ট নয়। এরই মাঝে নতুন করে তাঁর এই ছবি সামনে আসতেই নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন অনেকে। সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর এই ছবি পোস্ট করে অনেকে নানা ধরনের কমেন্ট লিখেছেন। দুদিন আগে বাঁকুড়া জেলার এক বিধায়ক হরকালী প্রতিহার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। মুকুল রায়ের এই ছবি পোস্ট করে একজন সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘বাঁকুড়ার দলত্যাগী বিধায়ক হরকালী প্রতিহারেরও একদিন এই হাল হবে।’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘পাপ বাপকেও ছাড়ে না।’ কেউ লিখেছেন, ‘মুকুল ঝড়ে পড়েছে।’

    বাবার ছবি নিয়ে নেটিজেনদের কী প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু?

    পরিস্থিতি এতটাই জটিল আকার নিয়েছে পরিবারের লোকজন চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন। মুকুল (Mukul Roy) পুত্র শুভ্রাংশু এই সোশ্যাল মিডিয়াকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘বর্তমানে বাবার অসুস্থতা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি প্রকাশিত করেছে, সেই ছবি নিয়ে অনেকে অনেক কিছু বলছেন। হ্যাঁ, তিনি সত্যিই অসুস্থ, ২৫ বছর ধরে ব্লাড সুগারের সঙ্গে লড়াই চালাতে চালাতে তিনি এখন ডিমেনশিয়া, পারকিনসন ও লিভারের সমস্যায় ভুগছেন এবং তার সঙ্গে বয়সজনিত কারণে মুত্রথলিতেও একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে। হ্যাঁ, তিনি সত্যিই খুবই অসুস্থ। আমি তার পুত্র হিসাবে এর মধ্যে থেকে বলতে বাধ্য হচ্ছি, কিছু লোক তাদের শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। ….আর খোঁজ নেওয়ার প্রশ্নে এইটুকু বলে রাখতে পারি যে,আমাদের দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী শত ব্যস্ততার মধ্যেও নিজে বাবার খোঁজ নেন প্রতিটি সময়ে। আমাদের নেতৃত্ব অভিষেক ব্যানার্জি ও তার ব্যস্ততার ফাঁকে বাবার খোঁজ নেন সবসময়। সকলের কাছে আমার করজোড়ে নিবেদন, শুধু আমার বাবা কেন, কোনও অসুস্থ মানুষের অসুস্থতা নিয়ে ছেলেখেলা করবেন না, কটাক্ষ করবেন না। এইটুকুই বলার ছিল।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share