Tag: bjp

bjp

  • Sukanta Majumdar: ‘তৃণমূল নেতারা নিজেদের বাড়িতে টাকা রাখেন না,’ কেন বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: ‘তৃণমূল নেতারা নিজেদের বাড়িতে টাকা রাখেন না,’ কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতারা নিজেদের বাড়িতে টাকা রাখেন না। কেউ বান্ধবী, কেউ আবার আপ্তসহায়কের বাড়িতে টাকা রাখেন, কেউ আবার পরিচিত ব্যবসায়ীর বাড়িতে টাকা রাখেন। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে ইডি হানা প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে একথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, জ্যোতিপ্রিয়বাবুর পার্থবাবুর মত বান্ধবী জোটেনি। সে কারণে আপ্তসহায়ক এর বাড়িতে তিনি টাকা রাখতে পারেন, সেজন্য ইডি তল্লাশি চলছে।

    বাকিবুরের সম্পত্তি নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? (Sukanta Majumdar)

    ইডি তল্লাশি অভিযান নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, এটা হবারই কথা ছিল। কারণ, বাকিবুর রহমানের বিপুল সম্পত্তি। অবাক হয়ে যাচ্ছি তার বলে হাজার বিঘার উপর জমি রয়েছে। বাকিবুরের একার জমি নয়, আসল বাকিবুর অন্য জায়গায় বসে আছে সেটা সবাই জানে সেখান দিয়ে জ্যোতি বেরোচ্ছে, জ্যোতি দেখা যাচ্ছে। ইডি-র অনেক আগেই হানা দেওয়া উচিত ছিল। বাকিবুর রহমানের নামে তৃণমূল নেতারা পয়সা খাটায়, এই পয়সা শুধু বাকিবুরের না। অপরাধীদের বাড়িতে বা অফিসে শুধু হানা দিলেই হবে না। অভিযুক্তদের জেলের ভেতরে ঢোকাতে হবে।

     এথিক্স কমিটির তদন্ত নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, লোকসভার এথিক্স কমিটির কাজ হচ্ছে কোনও সংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে সেই বিষয়টি তদন্ত করে দেখার। স্বাভাবিকভাবে সেই কমিটি তদন্ত করছে এতে যদি দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে সাংসদ পথ খারিজ হবে। কিন্তু, আমার মনে হয় শুধুমাত্র এইটুকুতেই শেষ করলে হবে না। কারণ এর পেছনে বিদেশি কোনও চক্র কাজ করতে পারে। উদ্দেশ্য ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে টার্গেট করে ভারতীয় অর্থনীতিকে দুর্বল করা। আদানি,আম্বানি নাম শুধুমাত্র উপলক্ষ, প্রধান উদ্দেশ্য ভারতীয় অর্থনীতিকে দুর্বল করা। ভারতীয় জিডিপি ভালো হচ্ছে তা আমাদের শত্রু দেশগুলোর সহ্য হচ্ছে না। তারা এই সমস্ত কাজ করতে পারে, সেই কারণেই বড় মাপের তদন্ত হওয়ার প্রয়োজন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Telangana Assembly Election 2023: তেলেঙ্গানায় ফের বিজেপি প্রার্থী কট্টর হিন্দুত্বের মুখ টাইগার রাজা

    Telangana Assembly Election 2023: তেলেঙ্গানায় ফের বিজেপি প্রার্থী কট্টর হিন্দুত্বের মুখ টাইগার রাজা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনের (Telangana Assembly Election 2023) প্রথম দফায় ৫২ জনের একটি প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করছে বিজেপি। সেই তালিকায় নাম প্রকাশ পেয়েছে টাইগার রাজা সিং-এর। এই টাইগার সিং, রাজ্যের দাপুটে হিন্দুত্ববাদী নেতা। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে অন্যতম প্রধানমুখ হিসাবে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ। উল্লেখ্য, এই নির্বাচনে আরও মোট তিনজন সাংসদকে বিধানসভায় টিকিট দিয়েছে বিজেপি। তাঁদের মধ্যে একজন সাংসদকে দুটি কেন্দ্র থেকে টিকিট দেওয়ার কথা জানা গেছে। আপাতত টাইগারের টিকিটে শোরগোল তেলেঙ্গানা রাজ্যের রাজনীতিতে।

    কে এই টাইগার সিং (Telangana Assembly Election 2023)?

    বরাবর তেলেঙ্গানা রাজ্যে হিন্দুত্ব নিয়ে ব্যাপক চর্চায় থাকতেন এই টাইগার রাজা। রাজ্যে গো-রক্ষা থেকে শুরু করে হিন্দু সনাতন ধর্মের অপামানকারীদের বিরুদ্ধে তীব্র সরব ছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে দেশের যথার্থ ইতিহাসবোধ, জোরপূর্বক ধর্মান্তরিতকরণ, লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে বেশ সক্রিয় থাকতেন এই নেতা। সূত্রে জানা গেছে, এই নেতার নির্বাচনী কেন্দ্র হল ঘোষমহল কেন্দ্র। উল্লেখ্য ২০১৮ সালে এই কেন্দ্র থেকেই বিজেপি আসনটিতে জয়ী হয়েছিল। এইবারের নির্বাচনে তাই হিন্দুত্ববাদী নেতাকেই প্রার্থী করা হয়েছে। আর তাই তাঁর সমর্থকদের মধ্যে লক্ষ করা গেছে বেশ উৎসাহ।

    টাইগার সিং বিতর্কিত কেন?

    নুপুর শর্মার মন্তব্যের বিতর্ক যখন তুঙ্গে ছিল, সেই সময় নুপুর শর্মার পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন করেছিলেন টাইগার সিং। ২০২২ সালে নুপুরকে সমর্থন করায় বিতর্ককে আরও উস্কে দেন, বলে মনে করেছিলেন বিরোধী রাজনীতির লোকেরা। সেই সময় দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে, তাঁকে বিজেপির তরফ থেকে সাময়িক সাসপেন্ড করা হয় বলে জান যায়। কিন্তু এবার বিধানসভার নির্বাচনের (Telangana Assembly Election 2023) আগে বিজেপি, টাইগারের সাসপেনশেন তুলে নেয় এবং তারপর তাঁকে নির্বাচনী টিকিট প্রদান করা হয়। বিরোধী পক্ষের লোকেরা তাঁর টিকিটে খুব একটা খুশি নয় তাও জানা গিয়েছে।

    বিজেপির শৃঙ্খলা কমিটির বক্তব্য

    বিজেপির কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির পক্ষ থেকে টাইগার রাজা সম্পর্কে বলা হয়, “টাইগারের প্রতিক্রিয়া দলের কমিটি বিবেচনা করেছে। আর তারপর তাঁর উত্তরের পরিপ্রেক্ষিতে শৃঙ্খলা কমিটি অবিলম্বে সাসপেনশেন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” উল্লেখ্য তাঁর সাসপেনশেন তুলে নেওয়ার পরই প্রার্থীপদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।     

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: বালুরঘাটের ক্লাবের পুজোয় পরিবারের সঙ্গে অঞ্জলি দিলেন সুকান্ত

    Dakshin Dinajpur: বালুরঘাটের ক্লাবের পুজোয় পরিবারের সঙ্গে অঞ্জলি দিলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মহাঅষ্টমীর অঞ্জলি দিলেন বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) মৈত্রীচক্র ক্লাবে। যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে শাসক বনাম বিরোধীদের লড়াই, প্রত্যেক দিনের অঙ্গ, তাই বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে নানান কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকতে হয়। রাজ্য রাজনীতি নিয়ে শত ব্যস্ততার মধ্যেও পরিবারকে সময় দিতে অষ্টমী থেকে পুজোর কয়েকটা দিন তিনি বালুরঘাটেই থাকবেন বলে জানা গেছে। পুজো সেরে রাজ্যে হিংসামুক্ত সমাজ গড়ে তোলার বার্তা দিলেন বালুরঘাটের সাংসদ। 

    অষ্টমীর অঞ্জলি দিলেন সুকান্ত (Dakshin Dinajpur)

    অষ্টমীর দিন বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচীর আগেই স্ত্রী কোয়েল চৌধুরী মজুমদার এবং দুই কন্যা সৃজা ও শ্রীময়ীকে নিয়ে পাড়ার মৈত্রী চক্র ক্লাবে (Dakshin Dinajpur) অঞ্জলি দেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। পুজো দিয়ে, রাজ্যের সকলর জন্য অশুভ শক্তিকে পরাজয় করে, শুভ শক্তি জাগরণের মাধ্যমে মঙ্গল কামনা করলেন।

    কী বলেন সুকান্ত

    বালুরঘাটে (Dakshin Dinajpur) পুজো দিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “সংগঠন দেখার কাজে বিভিন্ন কর্মসূচি করে বাড়িতে সময় দিতে পারি না। তাই পুজোয় এসেছি অঞ্জলি দিতে। সেই সঙ্গে স্ত্রী কন্যাদেরকে কাজের ফাঁকে কিছুটা সময় দেওয়াটাও প্রয়োজন।” তবে তিনি পরিবার বলতে সমগ্র জেলার তথা রাজ্যেরবাসীর কথা বোঝাতে চেয়েছেন। তিনি আরও বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে অসুরের সংখ্যা বেড়ে গেছে, তাই পশ্চিমবঙ্গকে সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রার্থনা জানাই মা দুর্গার কাছে।” পাশাপাশি রাজ্যপালের বক্তব্যের পালটা কুনাল ঘোষের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, “বর্তমানে হিংসা মুক্ত, দুর্নীতি মুক্ত পশ্চিমবঙ্গ একান্ত প্রয়োজন।”

    পুজো হল জনসংযোগের মাধ্যম

    সুকান্তর বালুরঘাটে (Dakshin Dinajpur) পুজোতে অঞ্জলি দেওয়াকে বড় জনসংযোগের মাধ্যম হিসাবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। হাতে গোনা কয়েকটা মাস পরেই লোকসভার ভোট। এ রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাদের গতবারের থেকে বেশি আসনের প্রত্যাশা। আর তাই রাজনৈতিক প্রচার এবং জনসমর্থন নিয়ে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে কেন্দ্রীয় নেতারা বার বার পরামর্শ দিতে আসছেন রাজ্যে। পুজোর দ্বিতীয়ার দিন রাজ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এসেছেন। আবার সপ্তমীর দিন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা কলকাতায় এসে পুজো দর্শন করেন। সেই সঙ্গে ভিতরে ভিতরে দলকে আরও শক্ত-মজবুত করার বার্তা দেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে দুর্নীতির অসুর নিধনের বার্তা নিয়ে বঙ্গবাসীকে রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: আরও বেকায়দায় মহুয়া মৈত্র, সরে দাঁড়ালেন নিজের আইনজীবীই!

    Mahua Moitra: আরও বেকায়দায় মহুয়া মৈত্র, সরে দাঁড়ালেন নিজের আইনজীবীই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে কাটমানি, চাল চুরি, ত্রিপল চুরি, বালি চুরি, কয়লা চুরি, গরু চুরি এবং চাকরি চুরির মতো নানা অভিযোগে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের বারবার বিরোধীদের আক্রমণ করতে শোনা গেছে। এবার সংসদ ভবনে টাকা নিয়ে নাকি প্রশ্ন করেন, এমন অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে। আর এর ফলে গোটা দেশে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে গত সপ্তাহে তৃণমূলের এই সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে, সাংসদ পদ বাতিলের দাবি তোলেন। পাল্টা বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে তৃণমূল সাংসদ দিল্লি হাইকোর্টে মানহানির মা্মলা দায়ের করেন। কিন্তু এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন মহুয়া মৈত্রের আইনজীবী। সবটা মিলিয়ে তৃণমূল সাংসদ চাপের মুখে এবং আরও বেকায়দায়। আগামী ৩১ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ।

    মামলা থেকে কেন সরে গেলেন আইনজীবী? (Mahua Moitra)

    সূত্রে জানা গেছে, মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) আইনজীবী গোপাল শঙ্কর মানহানির মামলা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। অবশ্য এর কারণ হিসাবে স্বার্থের কথা উল্লেখ করেছেন গোপাল শঙ্কর। অনুদিকে বিপক্ষের আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদরাই দিল্লি হাইকোর্টে বলেন, বৃহস্পতিবার মহুয়ার আইনজীবী গোপাল শঙ্কর আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেন, মহুয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যদি প্রত্যাহার করে নিই, তাহলে পোষ্য কুকুর হেনরিকে ফেরত দিয়ে দেবেন। এই ঘটনার কথা জানিয়ে আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদরাই, দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সচিন দত্তের কাছে প্রশ্ন করেন, “মহুয়ার আইনজীবী শঙ্কর মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছেন। তাঁর কি এই মামলায় দাঁড়ানোর অধিকার আছে।” উত্তরে বিচারপতি বলেন, “এর উত্তর আপনাদের দেওয়া উচিত”। ঘটনার সত্যতা জানতে বিচারপতি মহুয়ার আইনজীবীর কাছের জানতে চান, কথা বলেছেন কিনা। জাবাবে গোপাল শঙ্কর বলেন, “তাঁর মক্কেল জয় অনন্তকে ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন, তাই কথা বলেছেন।” এরপর বিচারক মহুয়ার আইনজীবীকে মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন।

    প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল

    মহুয়ার (Mahua Moitra) প্রাক্তন প্রেমিক ছিলেন বিরোধী আইনজীবী জয় অনন্ত দেহরাই। কিন্তু টাকা নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ করার পর থেকেই, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক জয় অনন্তকে প্রেমে হতাশ বলে দাবি করেন। সেই সঙ্গে আইনজীবী প্রেমিক, তাঁর বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন মহুয়া। সূত্রে আরও জানা গেছে, সম্পর্ক ভাঙার পর থেকে এই প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে পোষ্য কুকুরকে নিয়ে বিবাদ চলছিল। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে, মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার পরই আইনজীবী জয় অনন্ত, সেই অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণ সরবরাহ করেন বলে জানা গেছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা নীতিশের, দূরত্ব বাড়ছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সঙ্গে?

    Nitish Kumar: মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা নীতিশের, দূরত্ব বাড়ছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সঙ্গে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের রাজনীতিতে কখনও বিজেপির হাত ধরেছেন নীতিশ (Nitish Kumar) তো কখনো বা আরজেডির। বর্তমানে আরজেডির সঙ্গে জোটে থাকা নীতিশের কি দূরত্ব বাড়ছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সঙ্গে? কারণ বৃহস্পতিবার বিহারের মতিহারিতে এক অনুষ্ঠান মঞ্চে থেকে বিজেপির প্রশংসা করতে শোনা গেল বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে। তার সঙ্গে নিতীশের আরও বার্তা ভারতীয় জনতা পার্টির উদ্দেশে, যে তাঁর সঙ্গে এখনও বন্ধুত্ব শেষ হয়ে যায়নি বিজেপির। এনিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে সারা দেশজুড়ে। 

    মোদি সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নীতিশ

    রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মূর পাশে বসে পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে নিশানা শানিয়েছেন নীতিশ (Nitish Kumar)। এর পাশাপাশি বর্তমান মোদি সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘২০০৭ সালে মনমোহন সিং সরকার বিহারে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা ঘোষণা করেছিলেন। সরকারের কাছে আমি আবেদনও জানিয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য। তবে সেসময় আমার কোনও আবেদনই মান্যতা পায়নি। ২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবেদন মান্যতা পায়। ২০১৬ সালে মতিহারিতে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কাজ শুরু হয়।’’ এদিনের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় বিহারের বিজেপি নেতা উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁদের উদ্দেশে নীতিশ বলেন যে যতদিন বেঁচে থাকবো সবার সম্পর্কে বজায় থাকবে। সবাই একসঙ্গে কাজও করব।

    দূরত্ব বাড়ছে ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে?

    নীতিশ কুমারের (Nitish Kumar) এই মন্তব্যে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে কি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ফের একবার পদ্ম শিবিরের হাত ধরতে চলেছেন? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার নাম নিয়েই প্রথম থেকে ক্ষুদ্ধ ছিলেন নীতিশ (Nitish Kumar)। তাঁকে অন্ধকারে রেখেই নাম ঠিক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।  বিরোধী জোট করার ক্ষেত্রে প্রথমে তৎপর হয়েছিলেন নীতিশই এবং সেই মতো তিনি কলকাতাতে এসে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনাও সারেন নবান্নে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারনা যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নীতিশের নাম ঘোষণা না হওয়াতেও তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: সপ্তমীর পুজোতে আসছেন জে পি নাড্ডা, কোন কোন মণ্ডপে যাবেন জানেন কি?

    JP Nadda: সপ্তমীর পুজোতে আসছেন জে পি নাড্ডা, কোন কোন মণ্ডপে যাবেন জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তমীতে শহরে আসছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডা (JP Nadda)। কলকাতা শহরের বেশ কিছু দুর্গা পুজো মণ্ডপ ঘুরে দেখবেন। সূত্রের খবর, এই বাংলার জামাই শহরের তিনটি পুজোতে বিশেষ ভাবে উপস্থিত থাকবেন। তিনটির মধ্যে দুটি জানা গেছে, যার একটি হাওড়ার উলুবেড়িয়ার দুর্গা পুজো এবং আরেকটি সল্টলেকের বি জে ব্লকের পুজো। তাই বঙ্গ বিজেপির মধ্যে তাঁর আগমনকে ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে।  

    পুজোতে শহরে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি (JP Nadda)

    অমিত শাহের কলকাতা ঘুরে যাওয়ার পর, জে পি নাড্ডার (JP Nadda) কলকাতা আসার বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। সামনেই লোকসভার নির্বাচন। ২০১৯ সালের লোকসভার নির্বাচনে এই রাজ্যে বিজেপি ১৮ টি আসনে জয়ী হয়েছিল। এবার বিজেপির সর্ব ভারতীয় নেতা পশ্চিমবঙ্গকে পাখির চোখ করে, বাংলার বিজেপি নেতাদের বিশেষ বার্তা দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। একদিকে পুজো এবং অপর দিকে কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমনকে সামনে রেখে, রাজ্য বিজেপিও জনসংযোগের করে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছেন, বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

    পুজোর উদ্বোধনে এসেছিলেন অমিত শাহ

    পুজোর দ্বিতীয়ার দিনে কয়েক ঘণ্টার জন্য কলকাতায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি শিয়ালদার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গা পুজোতে প্রদীপ প্রজ্বলন করে উদ্বোধন করেন। সেই সঙ্গে তিনি বার্তা দিয়ে বলেছিলেন, “২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অয্যোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে, কিন্তু কলকাতাবাসীরা বাংলায়, দুর্গাপুজোতেই রামমন্দির নির্মাণ করে উদ্বোধন করে ফেলেছেন। সবাইকে অভিনন্দন জানাই। আজকের দিনে কোনও রাজনীতির আলোচনা করবো না। বাংলা, দুর্নীতি থেকে মুক্তি লাভ করুক এটাই মায়ের কাছে কামনা করি।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমি বাংলায় বার বার আসবো এবং বাংলার রাজনীতির সমস্যা নিয়ে কথাও বলবো। বাংলার পরিবর্তন হওয়াটা একান্ত প্রয়োজন।” এবার আসবেন বিজেপি সর্ব ভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda) তাই রাজ্য বিজেপির মধ্যে প্রস্তুতির ব্যস্ততা চলছে ব্যাপক ভাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: আদালতে জামিন নামঞ্জুর, তৃণমূল যুব সভাপতির পুজো কাটবে জেলেই

    Jalpaiguri: আদালতে জামিন নামঞ্জুর, তৃণমূল যুব সভাপতির পুজো কাটবে জেলেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো এবার হাজতেই কাটবে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের। দু’দিনের পুলিশি হেফাজত কাটিয়ে আদালতে তোলা হলে, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাশ তাঁর জামিন নাকচ করে, ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আগামী ১ নভেম্বর তাঁকে আবার আদালতে তোলা হবে বলে জানা গেছে। জামিন নামঞ্জুর হওয়ার ফলে পুজোর কয়েকটা টা দিন জেলেই কাটবে। অপর দিকে জামিন নাকচ হতেই জেলে যাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সেই সঙ্গে বিচারকের সঙ্গে অভব্য আচরণের কথা বলে, তোপ দেগেছেন বিজেপি বিধায়ক।

    সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য (Jalpaiguri)

    সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশের তদন্তে বেশ কিছু নতুন তথ্য উঠে এসেছে। তাই আদালত জামিনের আবেদন খারিজ করে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে পুলিশ নতুন করে পুলিশি হেফাজতে রাখার আবেদন আদালতে জানায় নি।”

    অভিযোগ কী ছিল?

    সমাজসেবী দম্পতিকে আত্মহাত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে অভিযুক্ত তৃণমূল যুব নেতা সৈকত চট্টোপাধ্যায়। আবার এই মৃত দম্পতি, বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের নিকট আত্মীয়। গতকাল শুনানির সময় আদালতে উপাস্থিত ছিলেন এই বিধায়ক। তিনি বলেন, “শাসক দলের এই তৃণমূল নেতা এতদিন জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) প্রভাব খাটিয়েছেন। মানুষকে ভয় দেখিয়ে নিজের প্রভুত্বকে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন সৈকত। এমনকী বিচারকের সঙ্গে ধমকের সুরে চোখ রাঙ্গিয়ে কথা বলেন এই যুব নেতা। আমাদের আইনের উপর বিশ্বাস রয়েছে, বিচারক বিচক্ষণ ব্যক্তি। এই তৃণমূল নেতা দোষী, তাই শাস্তি হোক এটা আমরা চাই।”

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    যুব তৃণমূল নেতা অভিযুক্ত সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমি আদালতের উপর ভরসা রেখেছি। বিজেপি বিধায়ক আদালতে সিন ক্রিয়েট করার চেষ্টা করছেন।” সেই সঙ্গে তাঁর আইনজীবী সঞ্জীব দত্ত জানিয়েছে যে সুপ্রিমকোর্টে আগে আবেদন করা হইয়েছিল, কিন্তু তা আগেই খারিজ হয়ে গিয়েছিল। আর সেই জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে জামিন খারিজ হয়ে যায়। আগামীকাল আমরা আবার জাজেস কোর্টে (Jalpaiguri) আবেদন করব।

    পাশাপাশি জেল হেফাজতে যাওয়ার পর সৈকত চট্টোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবশ্য বিজেপির দাবি, জামিন না পেয়ে নাটক করছেন তৃণমূল যুব নেতা।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: চতুর্থীর দিনে পুজো দিয়ে শুরু হল হাটজনবাজারে উড়ালপুলের কাজ, খুশির আবহ সিউড়িতে

    Birbhum: চতুর্থীর দিনে পুজো দিয়ে শুরু হল হাটজনবাজারে উড়ালপুলের কাজ, খুশির আবহ সিউড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিউড়ি (Birbhum) হাটজনবাজারে বহু প্রতিক্ষিত উড়ালপুলের কাজ পুজো অর্চনার মধ্যে দিয়ে শুরু হল। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় এবং সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রেলের ওভার ব্রিজের ঠিকাদার সহ জেলার বিজেপি কর্মীরা। এই ব্রিজের কাজ শুরু হওয়ায় এলাকার মানুষের মধ্যে বেশ উৎসাহ লক্ষ করা গেছে। তবে প্রশাসনিক আধিকারিকদের উপস্থিতি না থাকায় কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।

    শুরু হল ব্রিজ নির্মাণের কাজ (Birbhum)

    সিউড়ির (Birbhum) হাটজনবাজারের রেল ওভারব্রিজের কাজের ক্রেডিট নিয়ে বিতর্ক কার্যত জিইয়েই রইলো। প্রায় ৭ বছর ধরে অসমাপ্ত হয়ে থাকা ওভারব্রিজের কাজ, বুধবার পুনরায় শুরু হল বিশ্বকর্মা পুজোর মধ্য দিয়ে। আর সেই পুজোতেই নারকেল ফাটিয়ে রেল ওভারব্রিজের কাজের উদ্বোধন করলেন, বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।

    বিজেপির বক্তব্য

    সিউড়িতে (Birbhum) রেলের ব্রিজ তৈরি করার কাজ সূচনার পুজোতে যোগদান করতে এসে, রাজ্যের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “নবরাত্রির চতুর্থীর দিনে বিশ্বকর্মা পুজো করার মাধ্যমে কাজের শুভ সূচনা হল। রেল দফতর ইতিমধ্যে ১০ মাসের মধ্যে কাজ করার কথা বলেছে। কিন্তু আগামী ছয় মাসের মধ্যেই বিজেপি প্রকল্পের কাজ শেষ করবে। মানুষের কাছে কেন্দ্রের মোদি সরকার একান্তভাবে দায়বদ্ধ। এলাকার তৃণমূল সাংসদ এবং বিধায়করা সিউড়ির টোটো সমস্যা সমাধান করলে ভালো কাজ করবেন। রেলের সিঙ্গেল এন্ট্রি প্রোজেক্ট, ফলে এখানে রাজ্য সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। উল্লেখ্য, এখানে তিন তিনটি ঠিকাদার, স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের তোলাবাজির কারণে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তাই রাজ্য সরকার, রেলের প্রকল্প, উড়ালপুল, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, বিমান পরিষেবাকে বিজেপির উপরে ছেড়ে দিলেই ভালো করবে। কন্যাশ্রী প্রকল্পে তৃণমূল সরকার রাজ্যের কোষাগার থেকে ৩৫০-৪০০ কোটি টাকা, শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনের জন্য খরচ করে। বিজ্ঞাপনের জন্য খরচ করার নীতি হল তৃণমূলের সংস্কৃতি। বিজেপি এই ধরনের কাজে বিশ্বাস করে না।”

    কটাক্ষ তৃণমূলের

    ঘটনায় তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “কীভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি কাজের উদ্বোধন করেন বিজেপি নেতা? আসলে উনি নিজেকে প্রশাসনিক আধিকারিক মনে করছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: দাদাগিরি তৃণমূল পুরপিতার, অমান্য আদালতের নির্দেশ! জমি উদ্ধারে ব্যর্থ পুলিশ

    North 24 Parganas: দাদাগিরি তৃণমূল পুরপিতার, অমান্য আদালতের নির্দেশ! জমি উদ্ধারে ব্যর্থ পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবিলম্বে জমির মালিককে তাঁর জমি ফিরিয়ে দিতে হবে এমনই নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। আর তা পালন করতে গিয়ে তৃণমূলের পুরপিতার বাধার মুখে পড়তে হল পুলিশকে। এমনই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার (North 24 Parganas) সদর শহর বারাসতে। তৃণমূলের পুরপিতা সমীর কুণ্ডুর বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগ তুলেছেন জমির মালিক। আর তাই জমির মালিককে জমি ফিরিয়ে না দিয়েই ফিরতে হল পুলিশকে। তবে পুরপিতার পালটা জবাব, তিনি কোনও অন্যায় কাজ করেননি।

    জমি দখল করে নিয়েছিল কারা (North 24 Parganas)?

    বারাসত (North 24 Parganas) পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বারাসত মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন যশোর রোডের ধারে জমি দীর্ঘদিন দখল করে নেয় কয়েকজন দোকানদার। এই জমি আজমিরা খাতুনের পৈতৃক জমি। জমি ফিরে পেতে, তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াইয়ের পর আদালত, তাঁর পক্ষে রায় দেন। কিন্তু সেই জমি ফেরত পেতে এসে পুরপিতার বাধার মুখে দাঁড়াতে হলো পুলিশকে। অবশেষে জমি উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হয় পুলিশকে।

    জমির মালিকের বক্তব্য

    এই প্রসঙ্গে জমির মালিক আজমিরা খাতুন বলেন, “এসডিইএম আদালত স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রশাসনকে পৈতৃক জমি জবরদখল মুক্ত করতে হবে। আদালতের নির্দেশের এই কপি বারাসত থানা (North 24 Parganas), পুরসভা, এমনকী জেলার পুলিশ সুপারকেও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই অবস্থায় আদালতের এই নির্দেশে জমি জবরদখলমুক্ত করতে যায় বারাসত থানার পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার-সহ প্রশাসনের অন্য আধিকারিকরাও। বুলডোজার দিয়ে জবরদখল মুক্ত করার কাজ শুরু করে প্রশাসন। কিন্তু তৃণমূল নেতারা এসে দাদাগিরি করে সববন্ধ করে দেয়।” তিনি আরও বলেন, “আমার বাবা বেঁচে থাকাকালীন জবরদখলকারীরা ওই জমি হাতিয়ে নিয়েছিল। সেই জমির প্রকৃত মালিক আমরাই। আদালতের রায় আমাদের পক্ষে গিয়েছে। তাও আমরা এদিন পৈতৃক জমি ফিরে পেলাম না। পাশের ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সমীর কুণ্ডু পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছেন ।

    পুরপিতার বক্তব্য

    খবর পেয়ে তখনই সেখানে দলবল নিয়ে হাজির হন তৃণমূলের পুরপিতা সমীর কুণ্ডু। পুরপিতাকে আদালতের নির্দেশের কপি দেখালেও, তিনি কোনও কথা শোনেন নি। পুরপিতা বলেন, “এইভাবে কাউকে তোলা যাবে না। শুধু তাই নয়, আদালতের নির্দেশের বিষয়টি কেন পুরসভার চেয়ারম্যান (North 24 Parganas), ভাইস-চেয়ারম্যান, আইএনটিটিইউসি নেতৃত্বকে জানানো হয়নি।”

    বিজেপি নেতার বক্তব্য

    অবশেষে কাজ অসমাপ্ত রেখেই ফিরতে হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে। আর এতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। যা নিয়ে শাসকদলের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় বিজেপির নেতারা। এই বিষয়ে এলাকার (North 24 Parganas) বিজেপি নেতা প্রতীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আদালতের নির্দেশ পালন করতে না দেওয়ায়, তৃণমূল কাউন্সিলরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি জানাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: তৃণমূল প্রধানের সই নকল করে কীভাবে চলছে পঞ্চায়েত অফিস! জানেন কি?

    Birbhum: তৃণমূল প্রধানের সই নকল করে কীভাবে চলছে পঞ্চায়েত অফিস! জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমে (Birbhum) তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত অফিসে প্রধান অফিসে আসেন না। প্রধান রূপে কাজ করেন তাঁর ভাশুর। ভাশুরও আবার দাপুটে তৃণমূল নেতা। প্রধানের সই নকল করেই তিনি সরকারি কাজ করে চলেছেন। অফিসে বসে নানান দুর্নীতির কাজ করছেন বলে, তাঁর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামজিক মাধ্যমে। ফলে প্রকাশ্যে আসে তৃণমূলের দুর্নীতির কথা। কিন্তু পঞ্চায়েত প্রধানের চেয়ারে বসে কীভাবে কাজ করছে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান স্বামীর দাদা? এই প্রশ্ন এখন জেলায় আলোচনার ভরকেন্দ্র। স্থানীয়রা সরাসরি মুখ খুলতে নারাজ হলেও, জানা যায়, এই ঘটনা একদিনের না। এরপর এই নিয়ে সামজিক মাধ্যমে লিখে একটি ভিডিও পোষ্ট করে বিজেপি। এরপর, এই বিষয় নিয়ে বিজেপি আর তৃণমূলের মধ্যে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়।

    ঘটনা কোথায় ঘটল (Birbhum)?

    ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূম (Birbhum) জেলার রাজনগর ব্লকের গাংমুড়ি জয়পুর অঞ্চলের পঞ্চায়েত কার্যালয়ে। এই অঞ্চলের প্রধান হলেন একজন মহিলা, নাম তাপসী মন্ডল সাহা। তিনি বর্তমানে কলকাতায় থাকেন। শপথ গ্রহণের পর মাত্র কয়েকদিন পঞ্চায়েত প্রধান অফিসে আসেন। তারপর থেকে বেপাত্তা। এরপর তাঁর ভাশুর দীলিপ সাহা প্রধানের চেয়ারে বসেন এবং অফিসে প্রধানের সই নকল করে কাজ শুরু করেন। এই খবর জানাজানি হতেই চরম স্বস্তিতে তৃণমূল। ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি প্রধান কোথায় জানতে চাইলে, ভাশুর বলেন, “কৈফিয়ত কাউকে দেবো না, এটা ফাজলামি করার জায়গা নয়। অফিস থেকে বেরিয়ে যান।”

    বিজেপির বক্তব্য

    দুবরাজপুরের (Birbhum) বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা এই প্রসঙ্গে বলেন, “পঞ্চায়েত দপ্তরের উচিত সাধারণ মানুষের স্বার্থে কাজ করা। নিয়মবহির্ভূত বেআইনী কাজ করে নিজের স্বার্থকে পরিপূর্ণ করলে আইনানুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। তৃণমূল সরকারের রক্তে মিশে রয়েছে দুর্নীতি। চোরেরা যে কোনও জায়গায় বসেই চুরি করতে পারেন। অবিলম্বের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।” 

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অপরদিকে এই অভিযোগকে খণ্ডন করে তৃণমূলের জেলা (Birbhum) মুখপাত্র মলয় মুখার্জি বলেন, “ভিডিওতে যাদের দেখা যাচ্ছে তারা গ্রামের লোক না। ওরা বিজেপির কর্মী। বিজেপি এলাকায়, উন্নয়নের জন্য কোনও কাজ করতে পারে না। আর তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা প্রচার করছে। মানুষ আগামীদিনে যোগ্য জবাব দেবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share