Tag: bjp

bjp

  • Dakshin Dinajpur: চাপে পড়ে ১০০ টাকার অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করল কলেজ কর্তৃপক্ষ

    Dakshin Dinajpur: চাপে পড়ে ১০০ টাকার অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করল কলেজ কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে চাপে পড়ে ১০০ টাকায় অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) তপনের নাথানিয়াল মুর্মু কলেজের অতিথি অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই, সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। মাত্র ১০০ টাকায় অধ্যাপক! শিক্ষার এই মূল্যায়ন! কলেজের ওয়েব সাইট থেকে সারানো হল এই নিয়োগের বিজ্ঞাপন। বিরোধীরা বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষার কোনও সম্মান নেই। একই ভাবে কিছুদিন আগে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস প্রতি ৩০০ টাকায় অতিথি অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞাপনকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল।পাশাপাশি একে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থার চরম খারাপ সময় বলে উল্লেখ করল বিজেপি।

    কলেজের বিজ্ঞাপনে কী বলা হয়েছিল (Dakshin Dinajpur)?

    এই সেপ্টেম্বর মাসের ১১ তারিখে কলেজে অতিথি অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞাপনে বলা হয়, চারটি বিষয়ে মোট অধ্যাপক নিয়োগ হবে ছয় জন। নিযুক্ত শিক্ষকদের প্রতি ক্লাসের জন্য ১০০ টাকা করে দেওয়া হবে। বিজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, প্রতি সপ্তাহে ১৫টির বেশি ক্লাস করতে পারবে না। অধ্যাপকদের যাতায়াতের জন্য কোনও ভাড়া দেওয়া হবে না। ফলে অতিথি অধ্যাপকদের মাসিক বেতনের পরিমাণ মোট দাঁড়ায় মাত্র ৬০০০ টাকা। এত কম টাকায় অধ্যাপকদের পারিশ্রমিককে ঘিরে শিক্ষামহলে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। আর এরপরই কলেজ কর্তৃপক্ষ (Dakshin Dinajpur) এই বিজ্ঞাপন ওয়েবসাইট থেকে তুলে নেয়।

    কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি অমলকুমার রায় বলেন, কলেজে অধ্যাপকের সংখ্যা বেশ কম। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্লাসের সংখ্যাও অনেক বেশি করাতে হচ্ছে। তাই অতিথি অধ্যাপক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই পদের জন্য ক্লাস প্রতি ১০০ টাকা খুবই কম  বলে মনে করছেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের কলেজ ফান্ড থেকে এই বেতন দিতে হবে। 

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সামজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেন, “কলেজের অতিথি অধ্যাপকদের বেতন ১০০ দিনের কাজের থেকেও কম। এর থেকে লজ্জার আর কী হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী স্পেনে হারমোনিয়াম বাজাচ্ছেন। শিক্ষামন্ত্রী নিখোঁজ। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে”।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “বিজেপির হয়ে খুব পোস্ট করছিস” বলেই নেতার মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ

    Birbhum: “বিজেপির হয়ে খুব পোস্ট করছিস” বলেই নেতার মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের হয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করায় বিজেপি নেতার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারল দুষ্কৃতীরা। তিন জন দুষ্কৃতী মুখে গামছা বেঁধে, নিজেদের মুখ আড়াল করে বিজেপির নেতাকে গুরুতর আঘাত করে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় বীরভূম (Birbhum) জেলায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিজেপির তরফ থেকে শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে ঠিক কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Birbhum)?

    জানা গেছে, বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন বীরভূমের (Birbhum) মাড়গ্রাম থানার তপন এবং সুরফুলা গ্রামের কাছেই এক বিজেপি কর্মীকে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এই বিজেপি কর্মী যুবমোর্চার মণ্ডল সভাপতি। আহত কর্মীর নাম সুজিত হালদার। মুখে কাপড় বেঁধে পেছন থেকে আঘাত করলে ব্যাপক ভাবে রক্তাক্ত হন তিনি। এরপর স্থানীয়রা তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান।

    আহত বিজেপি কর্মীর বক্তব্য

    গতকাল রাত ন’টার সময় সুজিত হালদার রামপুরহাট (Birbhum) থেকে মোটর সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এই সময়ে আচমকা চারজন দুষ্কৃতী মুখের কাপড় বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথার পেছন দিকে কোপ দেয়। এছাড়াও তাঁর শরীরে আরও বেশ কিছু জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। আঘাতের ফলে শরীরে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় সুজিত হালদার বলেন, “আঘাত করার সময় দুষ্কৃতীরা বলেছে, তুই বিজেপির হয়ে সামাজিক মাধ্যমে খুব পোস্ট করছিস। খুব বড় বিজেপির নেতা হয়েছিস না। ঠিক এই কথা বলতে বলতে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে আমাকে।”

    পুলিশে অভিযোগ

    এই ঘটনার কথা জানিয়ে প্রাথমিক ভাবে মাড়গ্রাম (Birbhum) থানায় অভিযোগ জানানো হয়। বিজেপির দাবি, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুজিত বিজেপির হয়ে প্রচুর কাজ করেছেন। আর এই জন্যই শাসক দল তাঁকে আটকাতে এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। সুজিত সামজিক মাধ্যমে তৃণমূল শাসকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হলে তাঁকে শাসক দল নিশানা করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Vishwakarma: “পিএম বিশ্বকর্মা কার্যকর না হলে রাজ্যবাসী তৃণমূলকে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলবে” তোপ অশ্বিনী চৌবের

    PM Vishwakarma: “পিএম বিশ্বকর্মা কার্যকর না হলে রাজ্যবাসী তৃণমূলকে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলবে” তোপ অশ্বিনী চৌবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা (PM Vishwakarma) যোজনা রূপায়িত না করলে, পশ্চিমবঙ্গবাসী রাজ্যের সরকারকে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলে দেবে।’ দুর্গাপুরে সিআরপিএফ ক্যাম্পে পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার ভার্চুয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসে, রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে এইভাবে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় খাদ্য গণবন্টন, বন, আবহাওয়া ও পরিবেশ বিষয়ক রাষ্ট্রমন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে। একই সঙ্গে “তৃণমূল নিজের কবর নিজের খুঁড়ছে” বলে সরকারকে আক্রমণ করলেন বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কী বললেন (PM Vishwakarma)?

    পিএম বিশ্বকর্মা (PM Vishwakarma) প্রকল্প প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে বলেন, “এই যোজনায় ১৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। তাতে কামার, কুমোর, ছুঁতোর, মুচি, দরজি সহ ১৮ টি বংশ পরম্পরার শিল্প সম্প্রদায়ের লক্ষাধিক পরিবার উপকৃত হবেন। রেজিস্ট্রেশন করার পর তাঁদের ৫ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাতে ৫০০ টাকা করে পারিশ্রমিক পাবেন। এছাড়াও প্রশিক্ষণ শেষে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। ১৫ হাজার টাকার নিজেদের পেশায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির সুবিধা পাবেন। প্রশিক্ষণের পর নিজের ব্যবসার জন্য ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ সহজ সুদে ঋণ নেওয়া যাবে বলে বলা হয়েছে। এমএসএমই বিভাগ এই প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে।”

    তিনি আরও বলেন, “আগামী ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এই প্রকল্প, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে মতো যদি রাজ্যে বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গবাসী রাজ্যের সরকারকে তুলে  বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলে দেবে।’

    কী বললেন সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া?

    এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া বলেন,”এই প্রকল্প (PM Vishwakarma) হল ১০০ শতাংশ কেন্দ্রের অনুদান। রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত, পুরসভাগুলি উপভোক্তাদের শংসাপত্র যাচাই করে দেবে। তাতে বাধা দিলে অসহায় মানুষগুলো বঞ্চিত হবেন। এর বিরোধিতা করা মানে তৃণমূল নিজের কবর নিজেই খুঁড়বে।”

    বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল বলেন,” যেভাবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় রাজ্যের তৃণমূল সরকার স্বজনপোষণ করে প্রকৃত প্রাপকদের বঞ্চিত করেছে, আশঙ্কা করছি, সেরকমই এই প্রকল্পে রাজ্য সরকার গরিব অসহায় পরিবারগুলিকে বঞ্চিত করতে পারে। নিজের দলের লোকেদের এই সব সম্প্রদায়ের সাজিয়ে প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেটা হলে পশ্চিমবঙ্গবাসী তৃণমূলকে ক্ষমা করবে না। লোকসভা ভোটেই তৃণমূলকে ছুড়ে ফেলে দেবে।”

    পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পে কী ঘোষণা হল?

    রবিবার ১৭ সেপ্টম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদির জন্মদিন। পাশাপাশি একদিন পরেই বিশ্বকর্মা পুজো। দেশের নাপিত, ছুতোর, কামার, দরজি সহ ১৮ টি বংশ পরম্পরার শিল্প সম্প্রদায়ের পারিবারিক পেশার উন্নতিতে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা প্রকল্প (PM Vishwakarma) চালু করেছেন। এইদিন দ্বারিকা থেকে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই রাজ্যে কোলকাতা, শিলিগুড়ি ছাড়াও দূর্গাপুরে এই প্রকল্পের ভার্চুয়াল মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন দুর্গাপুরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে। এছাড়াও ছিলেন সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই, অজয় পোদ্দার, দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, সিআরপিএফ আইজি বিদ্যৎ সেনগুপ্ত, ডিআইজি দেবব্রত ভট্টাচার্য  প্রমুখ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: জন্মদিনে মোদির মঙ্গল কামনায় পুজো দিলেন শুভেন্দু, হাসপাতালে ফল বিতরণে সুকান্ত

    PM Modi: জন্মদিনে মোদির মঙ্গল কামনায় পুজো দিলেন শুভেন্দু, হাসপাতালে ফল বিতরণে সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) জন্মদিন। মোদি ৭৪ বছরে পদার্পণ করলেন। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে মোদির দীর্ঘায়ু এবং শুভ কামনা জানাতে রাজ্যের বিরোধী দলের দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামের মন্দিরে পুজো দিলেন। অপর দিকে বালুরঘাটে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বুড়িমা কালীমায়ের মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্য জানালেন মঙ্গল কামনা। সারা দেশের মতো এই রাজ্যেও প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন অত্যন্ত উচ্ছ্বাসের সঙ্গে পালন করা হল। 

    জানকীনাথ মন্দিরে পুজো দিলেন শুভেন্দু (PM Modi)

    বিশ্বনেতা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) জন্মদিনে শুভ কামনা জানিয়ে শুভেন্দু পুজো দিলেন নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের জানকীনাথ মন্দিরে। শুভেন্দু মোদির একটি ছবি নিয়ে মন্দিরে পুজো দিলেন। সেই সঙ্গে লাড্ডু প্রসাদ বিতরণ করলেন সকলের মধ্যে। জন্মদিনকে কেন্দ্র করে পাশেই একটি স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানে চলে কর্মীদের রক্তদান শিবির। যাঁরা রক্তদান করেছেন, তাঁদের হাতে তুলে দিলেন গোলাপ ফুল। রীতিমতো ঢাকঢোল বাজিয়ে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে জন্মদিনের আনন্দ এবং কুশল বিনিময় করলেন শুভেন্দু। বিজেপি কর্মীদের মধ্যে এই নিয়ে ব্যাপক উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    বুড়িমা কালীমন্দিরে পুজো দিলেন সুকান্ত

    দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) জন্মদিনে বালুরঘাটের বুড়িমা কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে দীর্ঘায়ু কামনা করলেন রাজ্যের বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রক্তজবা এবং মিষ্টি দিয়ে নিজের পরিবারকে সঙ্গে করে মায়ের মন্দিরে মোদির দীর্ঘায়ু কামনায় পুজো করলেন সুকান্ত। মোদির জন্ম দিনে শুভ কামনার সঙ্গে এই রাজ্যের জন্যও মঙ্গল কামনা করেন তিনি। 

    হাসপাতালে ফল বিতরণ করলেন সুকান্ত

    প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে মন্দিরে পুজো দিয়ে সুকান্ত মজুমদার, বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের রোগীদের আরোগ্য কামনায় ফল বিতরণ করলেন। সেই সঙ্গে রোগীদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন তিনি। রোগীদের বলেন, “যদি মনে হয় শিলিগুড়ি বা কলকাতায় নিয়ে যেতে হবে তাহলে অবশ্যই যেন জানান”। সবরকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন সুকান্ত মজুমদার। এছাড়াও হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীরা কেমন আছেন, তা জানতে রোগীদের সঙ্গেও কথা বলেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indi Block: ‘ইন্ডি’ জোটে অনৈক্য! বাতিল হল প্রথম জনসমাবেশ, কটাক্ষ বিজেপির

    Indi Block: ‘ইন্ডি’ জোটে অনৈক্য! বাতিল হল প্রথম জনসমাবেশ, কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাঁকজমকপূর্ণভাবে প্রথম জনসমাবেশের দিনক্ষণ ঘোষণা আগেই হয়েছিল। পরস্পর বিরোধী নেতারা মঞ্চে বসে ঐক্য দেখানোর চেষ্টা করলেও ‘ইন্ডি’ জোটের (Indi Block) নেতাদের অনৈক্যের ছবি ষ্পষ্ট হয়ে উঠল জনসমাবেশ বাতিল হতেই। প্রসঙ্গত, এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের বাড়িতে ‘ইন্ডি’ জোটের প্রথম বৈঠকে স্থির হয়েছিল ভোপালের সভার কথা। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে বিরোধী নেতা-নেত্রীরা নাকি জনসভা করবেন ভোপালে! সে পরিকল্পনা ভেস্তে গেল শনিবারই। কংগ্রেস নেতা কমল নাথ এই জনসমাবেশ বাতিলের কথা ঘোষণা করেন। তবে পরবর্তী জনসমাবেশ কোথা হবে! আদৌ হবে কিনা! তা নিয়ে কিছু জানাতে পারেননি জোট নেতৃত্ব। বিরোধী জোটের জনসমাবেশ বাতিল হতে কটাক্ষ করেছে বিজেপি শিবির।

    কী বলছে বিজেপি?

    মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এনিয়ে বলেন, ‘‘সনাতন ধর্মকে যারা অবমাননা করেছেন, তাঁদের জনসমাবেশ বাতিল হবে এটাই তো স্বাভাবিক। মধ্য প্রদেশের মানুষ সনাতন ধর্মের এই অপমান মেনে নেবে না। আমাদের বিশ্বাসে আঘাত এনেছে ওরা। এই আঘাত সহ্য করা হবে না। মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ফলে এই জনসমাবেশ বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে তারা। মানুষ এই ব়্যালি হতে দেবে না।’’ কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে শিবরাজ সিং চৌহান আরও বলেন, ‘‘গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিতে বড্ড গন্ডগোল। পোস্টারে কার ছবি থাকবে আর কার থাকবে না, তা নিয়েও ওদের মধ্যে ঝামেলা। ওরা যখন এইসবে মগ্ন (Indi Block) তখন বিজেপি প্রচারে জোর বাড়িয়ে ফেলেছে।’’

    বিরোধীদের (Indi Block) অনৈক্যর ছবি ষ্পষ্ট

    ওয়াকিবহাল মহল অবশ্য মনে করছে যে বিরোধীরা ইস্যুভিত্তিক ঐক্যবদ্ধ না হতে পারার কারণেই তাদেরকে জনসমাবেশ বাতিল ঘোষণা করতে হল। সামনেই বিধানসভা ভোট রয়েছে মধ্যপ্রদেশে। তার আগেই বিরোধী জোটের এই সমাবেশ বাতিল হল। বিজেপি কটাক্ষ করে বলছে, যাঁরা একসঙ্গে একটা জনসমাবেশ করতে পারছেন না, তাঁরা একসঙ্গে দেশ চালানোর স্বপ্ন কীভাবে দেখছেন! প্রসঙ্গত বিরোধী জোট (Indi Block) নিয়ে ইতিমধ্যে নানা প্রশ্ন শুরু হয়েছে! যে এই জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন? আসন সমঝোতা কীভাবে হবে? ইত্যাদি নানা প্রশ্নের মাঝে বাতিল হল জনসমাবেশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিযুক্ত আবু তাহের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করলেন

    Nandigram: ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিযুক্ত আবু তাহের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করলেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসায় নাম জড়িয়েছিল নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা আবু তাহেরের। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে হলদিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন তিনি। জানা গিয়েছে, তাঁর নামে হুলিয়াও জারি হয়ে গিয়েছিল। এরই মাঝে গ্রেফতারি এড়াতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আবু তাহের (Nandigram)। সেখানেও মেলেনি রক্ষাকবজ। পরের সুপ্রিম কোর্টে যান ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিযুক্ত এই তৃণমূল নেতা। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত তাঁকে ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেয়। শনিবার আত্মসমর্পণ করেন আবু তাহের। জানা গিয়েছে, ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শনিবার দুপুর নাগাদ আবু তাহের (Nandigram) তাঁর পুত্র এবং আইনজীবীকে নিয়ে হলদিয়া কোর্টে আসেন।

    বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতিকে হত্যায় নাম জড়ায় আবু তাহেরের

    প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের (Nandigram) ফল প্রকাশের পরে রাজ্যজুড়ে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ উঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। বহু বিজেপি কর্মী নিহত হন শাসক সন্ত্রাসে। ঘরছাড়া হন প্রায় লক্ষাধিক বিরোধী কর্মী। অবাধে রাজ্যজুড়ে লুট হতে থাকে একের পর বিজেপি কর্মীর বাড়ি। নন্দীগ্রামের চিল্লাগ্রামে বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতিকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দেবব্রতকে ভর্তি করা হয় কলকাতার হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় নাম জড়ায় নন্দীগ্রামের (Nandigram) তৃণমূল নেতা আবু তাহেরের।

    মামলা দায়ের ৩০২ ধারায়

    ভোট পরবর্তী হিংসাযর তদন্তভার হাইকোর্টের নির্দেশ মতো সিবিআই গ্রহণ করে। সেই তদন্তে উঠে আসতে থাকে একের পর এক শাসকদলের নাম। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজেন্ট ছিলেন শেখ সুফিয়ান তাঁর নামও উঠে আসে। জানা গিয়েছে, সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে (Nandigram) ছিল আবু তাহেরের নাম। সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ তিনি এড়িয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু রেহাই মিলল না। শনিবারই আত্মসমর্পণ করতে হল তাঁকে। আবু তাহেরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum News: বীরভূমে কোন্দল শাসক দলে, কাজল শেখ দায়িত্ব পেতেই ছাঁটাই কেষ্ট-ঘনিষ্ঠরা?

    Birbhum News: বীরভূমে কোন্দল শাসক দলে, কাজল শেখ দায়িত্ব পেতেই ছাঁটাই কেষ্ট-ঘনিষ্ঠরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের গৃহযুদ্ধ চরম আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে জেলবন্দি রয়েছেন জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর অনুপস্থিতিতে জেলা পরিষদের সভাধিপতির দায়িত্বভার রাজ্য নেতৃত্ব দিয়েছে অনুব্রতর বিরোধী নেতা বলে পরিচিত কাজল শেখকে (Birbhum News)। এবার জেলা পরিষদের সভাধিপতির দায়িত্ব পাওয়া মাত্রই অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের ছাঁটতে শুরু করেছেন কাজল শেখ, এমনই অভিযোগ শোনা যাচ্ছে জেলা তৃণমূলের অন্দরে।

    প্রথমবার জিতেই জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ

    বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ চৌধুরিকে সরিয়ে ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সভাধিপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় কাজল শেখকে (Birbhum News)। এবার জেলা পরিষদের কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ কর্মাধ্যক্ষদের সরানোর তোড়জোড় শুরু করেছেন কাজল শেখ, এমনই অভিযোগ অনুব্রত গোষ্ঠীর। এ নিয়ে তৃণমূলকে রীতিমতো কটাক্ষ করেছেন জেলা বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা। কাজল শেখ অবশ্য বলছেন, যে কাজ করবে সেই স্থান পাবে। পুরনোরা কি সারাজীবন থেকে যাবে? নতুনরা কি চান্স পাবে না? খুব স্বাভাবিকভাবে অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের সরানোর সিদ্ধান্ত যে সঠিক, তা আকারে-ইঙ্গিতে এভাবেই বুঝিয়ে দিচ্ছেন কাজল শেখ। জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদে ছিলেন অনুব্রত অনুগামী নারায়ন হালদার এবং রবি মুর্মু। তাঁরা নিজেরাই চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরা পদে থাকতে চাইছেন না। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ হিসেবে কাজল শেখ (Birbhum News) ইতিমধ্যে তাই নাম ঘোষণা করেছেন নুরুল ইসলামের।

    গোষ্ঠী কোন্দল জেলা তৃণমূলে (Birbhum News)

    বীরভূম তৃণমূলের অন্দরের এই কোন্দল অবশ্য জনগণের কাছেও ধামাচাপা থাকেনি। কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই বিভিন্ন কাট-আউটে দেখা যেত অনুব্রত মণ্ডলের ছবি। কিন্তু হাল আমলে অনুব্রতর ছবি বাদ গেছে। সর্বত্র দেখা যাচ্ছে কাজল শেখের ছবি। বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার দাবি, ‘‘দাদার ভক্ত হবে না ভাইজানের ভক্ত হবে, এই লড়াই যত দিন যাবে, তত সামনে আসবে। শুধু এলোমেলো করে দে মা, লুটেপুটে খাই। এই ব্যবস্থাই চলছে (Birbhum News) তৃণমূলের।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Smriti Irani: হাওড়া থেকে গৃহ সম্পর্ক অভিযানে স্মৃতি ইরানি, চুটিয়ে জনসংযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    Smriti Irani: হাওড়া থেকে গৃহ সম্পর্ক অভিযানে স্মৃতি ইরানি, চুটিয়ে জনসংযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে হাওড়া থেকে গৃহ সম্পর্ক অভিযান শুরু করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)। বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে জগৎবল্লভপুরে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। হাওড়ার রাজাপুর দক্ষিণ বাড়িতে বিজেপি কর্মী পলাশ মালিকের বাড়ি থেকে গৃহ সম্পর্ক অভিযান শুরু করেন। এই উপলক্ষ্যে গ্রামের ওই কর্মীর বাড়িতে সকাল থেকেই রান্নাবান্না সহ অতিথি আপ্যায়নের বিভিন্ন আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই দুপুরে পাত পেড়ে খান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    এরপর স্মৃতি (Smriti Irani) যেন পরিবারের মেয়ে-বউদের সঙ্গে মিশে গেলেন। মাটিতে বসে স্মৃতির সঙ্গে খেলেন দলের হাওড়ার নেতারাও। তাই সকাল থেকে রান্নাবান্না চলছিল পলাশ মালিকের বাড়িতে। ভাত, ডাল, বেগুনি, পটল চিংড়ি, শুক্তো, সর্ষে ইলিশ, রুই মাছের কালিয়া, চাটনি, পাঁপড়। আর শেষ পাতে ছিল মিষ্টি। খেতে বসার আগে দলের জেলার নেতাদের থালায় করে খাবার পরিবেশনও করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই উপলক্ষ্যে পরিবারের মহিলা সদস্যা রুমা মালিক বলেন, আমরা তফশিলি সম্প্রদায়ের মানুষ। আমাদের বাড়িতে মন্ত্রী আসবেন, কল্পনা করতে পারিনি। আমরা খুবই খুশি। তাঁর জন্য আমরা ঘরে বাঙালি খাবারের আয়োজন করেছি। 

    গ্রাম থেকে মাটি সংগ্ৰহ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Smriti Irani)

    মা-কাকিমা সকলে মিলে আমরা রান্নার আয়োজন করেছি। আরেক মহিলা সদস্যা সুচিত্রা হাজরা বলেন, বাঙালি রান্নার আয়োজন আমরা করেছি। খুবই আনন্দিত যে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Smriti Irani) তিনি আমাদের মতো গরিবের বাড়িতে এলেন। পনেরো বছর হল এখানে দক্ষিণ বাড়িতে এসেছি। কিন্তু এত বড় মাপের কোনও মন্ত্রী আমাদের গ্রামে আসেনি। বিশেষ করে আমাদের বাড়িতে উনি আসছেন। এটা ভেবেই আমরা খুব আনন্দিত। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি হাওড়ার জগৎবল্লভপুর সহ চামরাইল, জগদীশপুর বিভিন্ন অঞ্চলে একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নেন। পার্টি কার্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক, তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসম্পর্ক স্থাপন করেন। আমার মাটি আমার দেশ সম্পর্ক অভিযানের কর্মসূচি হিসেবে গ্রাম থেকে মাটি সংগ্ৰহ করেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে শাসক দল, অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    BJP: ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে শাসক দল, অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে শাসক দল, এই অভিযোগে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বঙ্গ বিজেপি (BJP)। মঙ্গলবার বিজেপির ৩ জনের প্রতিনিধি দল এবিষয়ে অভিযোগ জানাতে যায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির আইনজীবী লোকনাথ চট্টোপাধ্যায় ও দলের নেতা শিশির বাজোরিয়া। শাসক দলের ঘনিষ্ঠ ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের নির্বাচনের কাজে না লাগানোর দাবিও জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।

    কী দাবি জানাল বিজেপি (BJP)?

    বিজেপির (BJP) দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে শাসক দলের মদতে জেলা প্রশাসন মৃত ব্যক্তিদের নাম রেখে দিচ্ছে ভোটার তালিকায়। যাতে নির্বাচনে শাসক দল কারচুপি করতে পারে। প্রসঙ্গত বছর ঘুরলেই রয়েছে লোকসভা ভোট। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলের বিরুদ্ধে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠে। কোথাও কোথাও তো মোট ভোটারের থেকে বেশি ভোটও পড়তে দেখা যায়, যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় রাজ্য জুড়ে। কারচুপি সংক্রান্ত একাধিক মামলায় হাইকোর্টে চূড়ান্ত ভর্ৎসনার মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। এবার লোকসভার সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশের আগেই কারচুপির অভিযোগে সরব রাজ্য বিজেপি। 

    বিজেপির (BJP) আরও অভিযোগ

    বিজেপির (BJP) আরও অভিযোগ, ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’ এবং ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ নামের দুটি প্রকল্প রাজ্য সরকার চালাচ্ছে, যা বাইরের সংস্থাকে টেন্ডার দিয়ে চালানো হচ্ছে। এই সংস্থার কর্মীরাও শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। দলের দাবি, ওই দুই প্রকল্পের কর্মীদের যেন কোনওভাবেই ভোটার তালিকার কাজে না রাখা হয়। এদিন বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া বলেন, ‘‘শাসক দলের মদতে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল করা হচ্ছে ভোটার তালিকায়। আমি এটাকে ভুল বলব না, এটা হল এক ধরনের চুরি। এনিয়ে আমরা অভিয়োগ জানিয়েছি।’’ বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, নির্বাচনে যাতে কারচুপি না হয়, তাই স্বচ্ছ ভোটার তালিকার দাবিতে তাঁরা কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন।  প্রসঙ্গত, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী প্রকল্পে যে ফোন নং ব্যবহার করা হচ্ছে তা দিদিকে বলো কর্মসূচির ফোন নং। এনিয়ে দলের অভিযোগ, পার্টির কর্মসূচির ফোন নং সরকারি কাজে ব্যবহার করছে শাসক দল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Shantipur: তৃণমূলে যোগ না দেওয়ার জের! বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার সিভিক ভলান্টিয়ার স্বামীকে বরখাস্ত

    Shantipur: তৃণমূলে যোগ না দেওয়ার জের! বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার সিভিক ভলান্টিয়ার স্বামীকে বরখাস্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি করার জন্য এরকম ঘটনা ঘটবে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি শান্তিপুর (Shantipur) থানার সিভিক ভলান্টিয়ার কার্তিক হালদার। তাঁর বাড়ি শান্তিপুরের নৃসিংহপুরে। বিজেপির টিকিটে স্ত্রী জয়লাভের পর তাঁর সঙ্গে ঘরছাড়া হতে হয়েছিল তাঁকে। চাপের কাছে মাথানত না করায় এবার চাকরি গেল তাঁর। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শেষ একমাস অনুপস্থিত থাকার কারণেই ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে অপসারণ করা হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Shantipur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্তিকবাবুর স্ত্রীর নাম সুপর্ণা বর্মন। তিনি ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। দু’বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুপর্ণা বর্মন বিজেপির টিকিটে পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়লাভ করেন। সুপর্ণাদেবী জয়লাভ করলেও স্বামীকে নিয়ে উধাও হয়ে যান। চাপ থাকলেও তিনি তৃণমূলে পরে যোগদান করেননি। এই প্রসঙ্গে বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা সুপর্ণাদেবী বলেন, ‘‘শান্তিপুর (Shantipur) থানার পুলিশ-প্রশাসন থেকে শুরু করে দুষ্কৃতীরা তৃণমূলে যোগদান করার জন্য আমার বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়িতে ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করার জন্য নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে আমার ভোটপ্রচারে একদিনও স্বামীকে পাইনি। বোর্ড গঠনে অংশ নেওয়ার পর তিনি ভেবেছিলেন, এবার বুঝি কিছুটা স্বস্তি মিলবে। কিন্তু, রবিবার রাতে থানা থেকে আমার স্বামীর সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি থেকে বরখাস্তের চিঠি এসেছে।’’

    কাজ চলে যাওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী?

    বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী কর্তিকবাবু বলেন, ‘‘এখন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ডিউটিতে অনিয়মিত যোগদানের। কিন্তু, গত ১০ বছর ধরে চাকরিতে কোনও ছুটি পর্যন্ত নিইনি। শান্তিপুর (Shantipur) থানার ওসি সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন। তাতে কোনও অন্যায় হয়নি। আমার স্ত্রী বিজেপির সদস্য বলেই আমার চাকরি চলে গেল।’’

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    আসলে নদিয়া জেলার মধ্যে শান্তিপুর (Shantipur) পঞ্চায়েত সমিতিই একমাত্র বিজেপির দখলে। সঙ্গে তিনটে পঞ্চায়েতও। আর সেই জয়ের পর বিশেষ পুলিশি অত্যাচার নেমে এসেছিল। জানা গিয়েছে, শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে ২৯টি আসনের মধ্যে ১৬টিতে জয় পেয়েছে বিজেপি। ১৩টি তৃণমূলের। অভিযোগ, বোর্ড ঘোরানোর খেলায় তৃণমূলের সঙ্গে নেমেছিল পুলিশ-প্রশাসনও। শুধুমাত্র বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী বলে তাঁরা নিজেদের আত্মগোপন রেখেও বোর্ড গঠনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, তৃণমূলে যোগ না দেওয়ার কারণে ওই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের স্বামীর চাকরি চলে গেল।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, তাঁরা নিজেদের আত্মগোপন করেই রেখেছিলেন, তাহলে আর চাপ দেওয়া কীভাবে সম্ভব! সিভিক ভলান্টিয়ারের অপসারণের সিদ্ধান্ত প্রশাসনিক বিষয়। তাতে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share