Tag: bjp

bjp

  • Purba Medinipur: খেজুরি পঞ্চায়েতে স্থায়ী সমিতি গঠন ঘিরে ব্যাপক বোমাবাজি, বিডিও অফিসে ভাঙচুর

    Purba Medinipur: খেজুরি পঞ্চায়েতে স্থায়ী সমিতি গঠন ঘিরে ব্যাপক বোমাবাজি, বিডিও অফিসে ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) খেজুরি ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির নির্বাচন স্থগিত হয়ে গেল। বিডিও অফিসে ঘটল শাসক দলের দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব। চলল ব্যাপক বোমাবাজি, ভাঙচুর করা হল অফিস এবং গাড়ি। আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কিছু বিজেপি কর্মী। স্থায়ী সমিতির গঠনকে নিয়ে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হওয়ায় ঝুলে রইল সমিতির নির্বাচন।

    ঘটনা কী ঘটেছে?

    খেজুরি (Purba Medinipur) ২ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন ছিল আজ। আর তাকে ঘিরে ব্যাপক বোমাবাজি, বিডিও অফিস এবং সরকারি গাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সেই সঙ্গে চলে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচি। ফলে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। খেজুরি ২ পঞ্চায়েত সমিতির ১৫ জন সদস্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খেজুরি ২ ব্লকের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচজন পঞ্চায়েত প্রধান, খেজুরির বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক ও কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী। ঘটনাস্থলে ছিল প্রচুর পুলিশ, জল কামান। শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক শোরগোলে শেষ পর্যন্ত স্থায়ী সমিতির নির্বাচন স্থগিত হয়ে গেল।

    সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারীর বক্তব্য

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যে আইনের শাসন নেই। শাসক দলের দৌরাত্ম্য চলেছে সর্বত্র। গায়ের জোর দেখিয়ে এলাকা (Purba Medinipur) দখল করতে চাইছে তৃণমূল। শাসক দল বাইরে থেকে লোক ভাড়া করে শান্ত এলাকাকে অশান্ত করার অপচেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, একটি পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠনকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি করে, এলাকার মানুষের মনে ভয়ের বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা করছে তৃণমূল। মানুষ সবই দেখছেন। এরপর সাংবাদিকরা ভিতরে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শিশির অধিকারী আছেন বলে জিজ্ঞাসা করলে উত্তরে সৌমেন্দু বলেন, আইনশৃঙ্খলা মেনেই সব কাজ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না যায় সেই জন্যই আমরা আছি বলে জানান তিনি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    খেজুরি (Purba Medinipur) ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শ্যামল মিশ্র পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, বিজেপিকে উস্কানি দিয়ে গেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এখানে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং সহ সভাপতি তৃণমূলের, তাই তৃণমূলই পরিচালনা করবে এই পঞ্চায়েত সমিতিকে। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, স্থায়ী সমিতি গঠনের নামে বিজেপি সন্ত্রাস তৈরি করছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাংসদ শিশির অধিকারীকে এক কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে এখানে। তারপর ভোটাভুটি করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করছে বিজেপি। বিজেপি ভয় পেয়ে এই আচরণ করছে।

    পুলিশের বক্তব্য

    কাঁথির মহকুমার পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেন, বিডিও সাহবের উপরে আক্রমণ করা হয়েছে। অফিসে ভাঙচুরও হয়েছে। তবে কে বা কারা আক্রমণ করছে তাদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। তদন্ত শুরু হয়েছে, তবে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে। বিল্ডিং এর বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে আপাতত। বিডিও সাহেবকে হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri: ‘ধূপগুড়িতে গেরুয়া ঝড় হবে’, ভোট দিয়ে বললেন সদ্য তৃণমূলত্যাগী প্রাক্তন বিধায়ক

    Dhupguri: ‘ধূপগুড়িতে গেরুয়া ঝড় হবে’, ভোট দিয়ে বললেন সদ্য তৃণমূলত্যাগী প্রাক্তন বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট দিলেন সদ্য তৃণমূলত্যাগী প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায়। ভোট দিয়ে বেরিয়েই তিনি বললেন, ধূপগুড়িতে (Dhupguri) গেরুয়া ঝড় হবে। তৃণমূলের ফের ভরাডুবি হবে। মঙ্গলবার সকালে অন্যান্য ভোটারদের সঙ্গে লাইনে দাড়িয়ে ভোট দিলেন তিনি।

    শাসক দলের প্রার্থীকে ভোট না দেওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন তৃণমূলত্যাগী প্রাক্তন বিধায়ক? (Dhupguri)

    এদিন ভোট দিতে এসে তিনি বলেন, মানুষ বিজেপির পক্ষেই রায় দেবেন। তৃণমূল সরকারের এই দুর্নীতি, ধূপগুড়ি (Dhupguri) পুরসভার দুর্নীতি, পঞ্চায়েত ভোটের সময় মানুষকে ভোট দিতে না দেওয়া, সব মিলিয়ে মানুষ তৃণমূলকে প্রত্যাখ্যান করবে এবারও। দুহাত ভরে মানুষ বিজেপিকে আশীর্বাদ করবে। ভোট দিতে এসেই ভোট কেন্দ্রের ভিতরের অব্যবস্থা দেখে চটে যান সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী প্রাক্তন বিধায়ক। ভোট কেন্দ্রের ভিতরে ইভিএমের সামনে পর্যাপ্ত আলো নেই বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ভোটারদের সমস্যা হচ্ছে। এর পিছনে তিনি সরাসরি চক্রান্তের অভিযোগ এনে বলেন, মানুষ যখন ভোট দিতে যাচ্ছে, তখনই আলোর সমস্যা হচ্ছে। যার ফলে সঠিকভাবে ভোট দিতে পারছে না। মানুষের ভোট সঠিক জায়গায় পড়ছে না। পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করার জন্য প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে তিনি দাবি জানান। বুথের ভিতরে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর প্রিসাইডিং অফিসারের কাছ থেকে টর্চ নিয়ে এসে তিনি ভোট দেন। পাশাপাশি তিনি ভোটারদেরও বলেন, সঠিক আলো হলেই যেন তাঁরা ভোট দেন। এই বিষয়টি নিয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছেও অভিযোগ করেন।

    বুথের বাইরে জমায়েত নিয়ে কী বললেন প্রাক্তন বিধায়ক?

    বুথের বাইরে তৃণমূলের লোকজন জমায়েত করেছিলেন। সেই বিষয়ে মিতালি রায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে নালিশ করেন। পরে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর হস্তক্ষেপে জমায়েত সরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার জন্য তিনি সরাসরি তৃণমূলের দিকে আঙুল তোলেন। বলেন, বুথগুলির আলো, জল সব কিছুর বরাত পেয়েছে তৃণমূলের ছত্রচ্ছায়ায় থাকা কিছু ঠিকাদার। জমায়েত করে, বুথের ভিতরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না করে কারচুপি করে তৃণমূল জেতার চেষ্টা করছে। কিন্তু, এই সব করে লাভ হবে না কিছুই। ধূপগুড়ি (Dhupguri) উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায়ই বিপুল ভোটে জিতবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: আরামবাগে সংখ্যালঘু পরিবারের লোকজন তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Arambagh: আরামবাগে সংখ্যালঘু পরিবারের লোকজন তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আরামবাগে (Arambagh) সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসাল বিজেপি। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিল ১৫ টি সংখ্যালঘু পরিবার সহ শতাধিক কর্মী। আরামবাগের জেলা কার্যালয়ে তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিধায়ক মধুসূদন বাগ। এমনিতেই আরামবাগ মহকুমা জুড়ে গত বিধানসভা ভোটের পর থেকে বিজেপির ভাল ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় এই এলাকায় বিজেপির সংগঠন আরও মজবুত হবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    বিজেপিতে যোগদানকারীদের কী বক্তব্য? (Arambagh)

    বিজেপিতে যোগদানের পর যোগদানকারীরা বলেন, তৃণমূল দুর্নীতিগ্রস্ত দল। তারা এলাকায় কোনও উন্নয়ন করেনি। বরং, রাস্তাঘাটের জন্য বরাদ্দ টাকা পকেটে পুড়েছে তৃণমূলের নেতারা। দিনের পর দিন বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। পাশাপাশি তাঁরা আরও বলেন, এনআরসি-র কথা বলে আমাদের মনে ভয় ঢোকানো হয়েছিল। বাংলাদেশ বা পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়েছিল। আমরা তো ভারতীয়, তাই আমাদের কোনও সমস্যা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে বিজেপি। ফলে, তৃণমূল এতদিন আমাদের ভুল বুঝিয়ে আসছিল। ভুল ভাঙতেই আমরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। আর আরামবাগ (Arambagh) এলাকার উন্নয়নের বিষয়টি তো রয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এ নিয়ে বিজেপির আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে এই ভুল ভেঙেছে। সবকা সাথ সবকা বিকাশের কথা মানুষ বুঝতে পারছে। সে জন্যই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সংখ্যালঘুরা বিজেপির ছাতার তলায় আসছে। তৃণমূল এতদিন তাঁদের ভুল বুঝিয়ে নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ক করে রেখেছিল। সেটা তারা বুঝতে পেরেই আমাদের দলে যোগ দিয়েছে। আগামীদিনে আরও অনেকেই আমাদের দলে আসবেন।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই যোগদানের প্রসঙ্গে আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, বিজেপি টাকা পয়সার লোভ দেখিয়ে কিছু লোকজনকে দলে টানছে। পতাকা ধরিয়ে নাটক করছে। যাঁরা যাচ্ছেন তাঁরা নিজেরাই পরে ভুল বুঝতে পেরে আবার তৃণমূলে ফিরে আসবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: দলের সভায় যাওয়াও ‘অপরাধ’! বারুইপুরে বাঁশ, রড, লাঠি দিয়ে মার বিজেপি কর্মীকে

    South 24 Parganas: দলের সভায় যাওয়াও ‘অপরাধ’! বারুইপুরে বাঁশ, রড, লাঠি দিয়ে মার বিজেপি কর্মীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সভায় যাওয়ার ‘অপরাধে’ বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর (South 24 Parganas) থানার বেদবেরিয়া বিদ্যাধরী পল্লিতে। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে এলাকায়। শাসক দলের দৌরাত্ম্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল?

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গুরুতর আহত বিজেপি কর্মী খোকন বিশ্বাস। গতকাল বিজেপির একটি সভায় গিয়েছিলেন তিনি। আর সেই অপরাধেই আজ, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বিজেপির এই কর্মীর উপর চড়াও হয়। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাঁশ, রড, লাঠি সহ একাধিক অস্ত্র দিয়ে তাঁকে মারধর করতে থাকে। আর তা দেখতে পেয়ে, তাঁর স্ত্রী ও মা বাঁচাতে এলে তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতা হীরেন রায়।

    আহত বিজেপি কর্মীর বক্তব্য (South 24 Parganas)

    আহত বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, এলাকায় হীরেন রায় দুষ্কৃতীদের প্রত্যক্ষ মদত দিচ্ছে। বিজেপি করার অপরাধেই তাঁকে হুমকি এবং বেপরোয়া মারধর করা হয়। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ঘুটিয়ারি শরিফ হাসপাতলে নিয়ে যায়। এরপর তাঁর অবস্থার অবনতি হলে, তাঁকে বারুইপুর (South 24 Parganas) মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসক।

    থানায় দায়ের অভিযোগ

    আহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় বারুইপুর (South 24 Parganas) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর আগেও একাধিকবার দেখা গেছে বিরোধী দল করার অপরাধে শাসকদলের নেতাকর্মীরা বিরোধী কর্মীদের মারধর করে কন্ঠরোধ করার চেষ্টা করেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর্ব থেকে এই ঘটনা আরও বেশি করা দেখা গেছে। এবার সেই ছবি আরও একবার প্রকাশ্যে এল বারুইপুরে।

    বিধায়কের বক্তব্য

    তবে এই বিষয়ে বারুইপুর (South 24 Parganas) পূর্বের বিধায়ক বিভাস সর্দার জানান, এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস কোনও ভাবেই জড়িত নয়। বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি। স্থানীয় বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুলিশ-প্রশাসন এই ঘটনায় যদি কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে আগামী দিনে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: নজর দেয়নি তৃণমূল, কোদাল হাতে রাস্তা মেরামতির কাজ করলেন বিজেপি বিধায়ক

    Bankura: নজর দেয়নি তৃণমূল, কোদাল হাতে রাস্তা মেরামতির কাজ করলেন বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার (Bankura) শালতোড়া বিধানসভা এলাকার বিজেপি বিধায়কের গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের গ্রামের রাস্তা দীর্ঘদিন বেহাল। বারবার প্রশাসনে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। অভিযোগ, ওই গ্রামে বিজেপি বিধায়ক থাকায় রাস্তা মেরামতির সামান্যতম উদ্যোগ নেয়নি তৃণমূল পরিচালিত স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত। শেষ পর্যন্ত বিধায়ক নিজে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে ঝুড়ি-কোদাল হাতে রাস্তা মেরামতির কাজ করলেন। বিধায়কের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এলাকাবাসী।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Bankura)

    বেহাল রাস্তা নিয়ে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল। চন্দনা বাউড়ি বিজেপির বিধায়ক। নিজের বিধায়ক উন্নয়ন তহবিলের বরাদ্দ থেকে রাস্তা মেরামতির উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু, অভিযোগ, শুধুমাত্র বিরোধী দলের বিধায়ক হওয়ায় তাঁকে সেই কাজ করতে দেওয়া হয়নি। বর্ষার সময় দিনের পর দিন বেহাল রাস্তার কারণে এলাকার মানুষ খুব কষ্ট করে যাতায়াতে বাধ্য হচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত নিজের হাতেই রাস্তার হাল ফেরাতে মাঠে নামলেন চন্দনা। স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে ঝুড়ি-কোদাল হাতে কোমর বেঁধে রাস্তা মেরামতির কাজে নেমে পড়লেন। হাত লাগালেন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরাও।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বক্তব্য, বাঁকুড়া (Bankura) জেলা প্রশাসনের সব জায়গায় বার বার জানানো সত্ত্বেও শাসকদলের চাপে প্রশাসন ইচ্ছাকৃত ভাবে রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি।’ তাই নিজের বেতনের টাকায় পাথর, মোরাম এবং মাটি আনিয়ে রাস্তার হাল ফেরানোর চেষ্টা করেছি। আসলে বিধায়ক হওয়ার আগে স্বামী শ্রবণ বাউড়ি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। আর আমি জোগাড়ের কাজ করতাম। পাশাপাশি, পেট চালাতে ১০০ দিনের কাজও করেছি দু’জনে মিলে। তাই ঝুড়ি-কোদাল হাতে রাস্তায় মাটি ফেলতে আমাদের কোনও অসুবিধাই হয়নি। দ্বিধা-সংকোচের প্রশ্নই নেই।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বিধায়কের উদ্যোগ স্থানীয় মানুষের বিপুল প্রশংসা কুড়িয়েছে। চন্দনার অভিযোগ উড়িয়ে ‘সবটাই নাটক’ বলে কটাক্ষ করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল-পরিচালিত গঙ্গাজলঘাটি পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি নিমাই মাজি বলেন, বাঁকুড়া (Bankura) জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পথশ্রী প্রকল্পে ওই রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। তারপরেও বিধায়ক এসব করে মানুষের কাছে জনপ্রিয় হওয়ার নাটক করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: সনাতন ধর্মকে ডেঙ্গির সঙ্গে তুলনা স্ট্যালিন পুত্র উদয়নিধির, তীব্র প্রতিক্রিয়া শাহের

    Amit Shah: সনাতন ধর্মকে ডেঙ্গির সঙ্গে তুলনা স্ট্যালিন পুত্র উদয়নিধির, তীব্র প্রতিক্রিয়া শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্মকে ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের পুত্র উদয়নিধি স্ট্যালিনের। এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। প্রসঙ্গত তামিলনাড়ু সরকারের মন্ত্রী উদয়নিধি স্ট্যালিনের মন্তব্য ছিল, ‘‘কিছু জিনিসের প্রতিবাদ করা যায় না। সেগুলির অবলুপ্ত ঘটানো দরকার। আমরা ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া কিংবা করোনার বিরোধিতা করতে পারি না। আমরা সেটা নির্মূল করি। ঠিক সেভাবেই আমাদের সনাতন ধর্মকে নির্মূল করতে হবে।’’ জুনিয়র স্ট্যালিনের আরও দাবি ছিল যে সামাজিক ন্যায় এবং সাম্যের বিরুদ্ধে রয়েছে সনাতন ধর্ম। তাই সমাজ থেকে যেকোনও মূল্যে এই ধর্মকে উপড়ে ফেলতে হবে।

    সনাতন ধর্ম বিরোধী এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া অমিত শাহের (Amit Shah)

    ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক ডিএমকে নেতার এই মন্তব্যে তোপ দাগলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। রাজস্থানে বিজেপির সাংগঠনিক কর্মসূচি পরিবর্তন যাত্রার অনুষ্ঠানে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠান থেকেই উদয়নিধি স্ট্যালিনের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘উদয় নিধি স্ট্যালিন যে কথা বলেছেন তা আসলে ইন্ডিয়া জোটের প্রত্যেক শরিকের মনের কথা।’’ অমিত শাহের (Amit Shah) আরও সংযোজন, ‘‘ওই জোট হিন্দু ধর্মের বিরোধী এবং হিন্দুত্বকে ঘৃণা করে।’’ জুনিয়র স্ট্যালিনের এই মন্তব্য যে সনাতন ভারতীয় ঐতিহ্যকে আঘাত করেছে তাও এদিন স্পষ্ট করে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।  অমিত শাহের (Amit Shah) আরও সংযোজন, ‘‘উদয়নিধি স্ট্যালিনের মন্তব্য লস্কর-ই-তৈবার থেকেও ভয়ঙ্কর।’’

    কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকেও একহাত নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    এদিন কংগ্রেস নেতার রাহুল গান্ধীকেও এক হাত নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) এবং তিনি বলেন, ‘‘বিরোধীদের এই জোট সাম্প্রদায়িক তোষণের রাজনীতি করছে।’’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah) আরও সংযোজন, ‘‘জোটের নেতারা বলছেন মোদি পুনরায় ক্ষমতায় এলে সনাতন ধর্মের রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। তাদের জানা উচিত সনাতন ধর্ম মানুষের হৃদয়ে রয়েছে। কেউ সেটাকে সরাতে পারবে না। প্রসঙ্গত বিজেপি নেতা অমিত মালব্য উদয়নিধি স্ট্যালিনের এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন। অমিত মালব্যর, দাবি স্ট্যালিন পুত্র গণহত্যারও ডাক দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rajasthan Woman Stripped Case: আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ঘটনায় প্রবল চাপে রাজস্থানের গেহলট সরকার

    Rajasthan Woman Stripped Case: আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ঘটনায় প্রবল চাপে রাজস্থানের গেহলট সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ঘটনায় তোলপাড় রাজস্থান (Rajasthan Woman Stripped Case)। এই বর্বরোচিত ঘটনায় কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডা। সমানেই রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচন। আর তাই এই নারী নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র চাপে পড়েছে রাজস্থান কংগ্রেসের গেহলট সরকার। তড়িঘড়ি তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।

    ঘটনা কী ঘটেছ (Rajasthan Woman Stripped Case)?

    রাজস্থানের প্রাতপগড় এলাকার শ্বশুরবাড়ির পরিবার, এক বিবাহিতা আদিবাসী মহিলাকে নগ্ন (Rajasthan Woman Stripped Case) করে ঘোরানোর ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা। ঘটনাকে নিন্দা জানিয়ে কংগ্রেস চালিত সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হয়েছে বিজেপি। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা এবং নারী সুরক্ষার বিষয় নিয়ে বারবার গেহলট সরকারকে কাঠগড়ায় তুলছে বিজেপি। পাশাপাশি সমানেই রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচন, তাই নির্বাচনে নারী সুরক্ষার বিষয় প্রাধান্য পাবে বলে মনে করছেন অনেকেই।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা রাজস্থানের সরকারকে তীব্র সমালচনা করে বলেন, রাজস্থান সরকার কেবল মাত্র দিল্লির এক বিশেষ পরিবারকে খুশি করতেই ব্যস্ত। সাধারণ মানুষ এবং জনজীবনের কোনও মূল্য নেই গেহলট সরকারের কাছে। মহিলা নিরাপত্তা নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নন তাঁরা। তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, রাজস্থানের কোনও আদিবাসী পরিবারের মা বোনেরা সুরক্ষিত নন (Rajasthan Woman Stripped Case)। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কড়া জবাব দেবে রাজস্থানের সাধারণ মানুষ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বলেন, রাজস্থান সরকার ভণ্ডামি করছে। তিনি আরও বলেন, মণিপুরের ঘটনা নিয়ে রাহুল গান্ধী সোচ্চার হলেও রাজস্থানের মা বোনেদের উপর অত্যাচার নিয়ে মৌন রয়েছেন। তাঁর মতে, মণিপুরের মতো রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাওয়া উচিত।

    চাপে পড়ে কঠোর কংগ্রেস সরকার

    ঘটনা জানাজানি হতেই রাজস্থান কংগ্রেস সরকার বিষয়টি নিয়ে কড়া মনোভাব নিয়েছে। মুখ্যন্ত্রী অশোক গেহলট তীব্র নিন্দা করছেন। পুলিশের ডিজিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয় সম্পর্কে দ্রুত ভূমিকা পালনের কথা বলেছেন। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত এবং অভিযুক্তদের দ্রুত চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দেওয়ার কথা বলেন। স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক নাগরাজ মীনা জে্শাতহোসক এবং পুলিশ সুপারের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেন। ঘটনায় আদিবাসী মহিলার (Rajasthan Woman Stripped Case) স্বামী সহ আরও সাতজনকে ইতি মধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করছে বলে জানা গেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri: তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক যোগ দিলেন বিজেপিতে, ধূপগুড়িতে বড়সড় ধাক্কা খেল শাসকদল

    Dhupguri: তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক যোগ দিলেন বিজেপিতে, ধূপগুড়িতে বড়সড় ধাক্কা খেল শাসকদল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধূপগুড়়ি উপ নির্বাচনেই ঠিক আগেই বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার সকালে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করলেন তৃণমূলের ধূপগুড়ির (Dhupguri) প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায়। গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে এই আসনে জয়লাভ করেছিল বিজেপি। ফলে, এমনিতেই এই আসনে তৃণমূল ব্যাকফুটে রয়েছে। শাসকদলের প্রাক্তন বিধায়ক দল বদল করায় তৃণমূল আরও ব্যাকফুটে চলে গেল বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছে।

    বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন প্রাক্তন বিধায়ক? (Dhupguri)

    ২০১৬ – ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি ধূপগুড়ির (Dhupguri) বিধায়ক ছিলেন। ২০২১ সালে ফের তৃণমূল তাঁকে বিধানসভার টিকিট দিয়েছিল। সেই ভোটে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন। তারপর থেকে তাঁকে দলে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন মিতালি রায়। পাশাপাশি তিনি বলেন, রাজবংশী সমাজকে বাড়তে না দেওয়া এবং তাদের বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখার উদ্দেশ্যেই তৃণমূল আমাকে কোণঠাসা করে রেখেছিল। ২০২১ এর ভোটের পর থেকেই আমি একপ্রকার ঘরেই বসেছিলেন। এবারের নির্বাচনেও আমি তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রচারে নামেননি। মাঝে একদিন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের অনুরোধে আমি প্রচারে বেড়িয়েছিলাম। শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাতেও আমি মঞ্চে ছিলাম। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর সমর্থনে বক্তব্যও রেখেছিলাম। কিন্তু, মঞ্চেই আমি বুঝতে পারি, আমার সঙ্গে সঠিক ব্যবহার করা হচ্ছে না। তখনই আমি দলত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিই। এলাকার মানুষের স্বার্থে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, কেন আমাকে টিকিট দেবেনা তৃণমূল?  কামতপুর আন্দোলনে জড়িত ছিলেন, সেখান থেকে তৃণমূল আমাকে তাদের দলে নিয়ে আসে, জেলার মহিলা সভানেত্রীর পদ দেয়। আমিও মানুষের জন্য কাজ করেছি। তাহলে কেন আমার সঙ্গে দ্বিচারিতা করা হল? বানারহাটের হাতিনালা খালের পাকাপাকি সমাধানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। এই সব কিছু চিন্তা করে আমি বিজেপিতে যোগদান করেছি।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ভোটের আগে এটা আমাদের মাস্টার স্ট্রোক। এতেই তৃণমূল ধরাশায়ী হবে। ধূপগুড়িতে (Dhupguri) বিজেপি অনেক ভাল ফল করবে। গত বিধানসভার থেকেও অনেক বেশি মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    মিতালি রায়ের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজেশ সিং বলেন, এতে আমাদের কোনও ক্ষতি হবে না। উল্টে লাভ হবে। কে গেলো আর কে এলো সেটা কোনও ব্যাপারই না। দলের চিহ্ন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই ধূপগুড়িতে (Dhupguri) ভোট দেবে মানুষ। তার বিজেপিতে যোগদান করায় তৃণমূল আরও বেশী ভোটে জিতবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ৫০০ টাকায় গ্যাস দেব, অভিষেকের মন্তব্যে বিরক্ত জোট শরিক বাম-কংগ্রেস

    Abhishek Banerjee: ৫০০ টাকায় গ্যাস দেব, অভিষেকের মন্তব্যে বিরক্ত জোট শরিক বাম-কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়া জোট জিতলেই গ্যাসের দাম হবে ৫০০ টাকা, এমন ঘোষণা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। অন্যদিকে, জোটের অপর দুই শরিক কংগ্রেস এবং সিপিএম নেতারা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদের (Abhishek Banerjee) একতরফা ঘোষণাকে ভালভাবে নিচ্ছেন না। উপরন্তু তাঁদের বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে। চলতি মাসের ৫ তারিখে উপনির্বাচন রয়েছে ধূপগুড়িতে। সেখানে নির্বাচনী প্রচারে এমন ঘোষণা করতে শোনা যায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। যা নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে ইন্ডিয়া জোটের ভিতরেও। 

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) মন্তব্যে ক্ষোভ জোটের অন্দরেই

    প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ে বিজেপি বিরোধী জোটের সমন্বয় কমিটির সদস্য হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল অবশ্য বলছে, ‘‘কো-অর্ডিনেশন বা সমন্বয় কমিটিতে যেহেতু রয়েছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee), তাই সেই ক্ষমতাবলে নাকি তিনি এমন ঘোষণা করতেই পারেন।’’ কিন্তু কংগ্রেসের নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য অভিষেকের (Abhishek Banerjee) একতরফা ঘোষণার বিরোধ করেছেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘এটা ওর ব্যক্তিগত মতামত। মুম্বইয়ে কমিটি গঠন হয়ে গিয়েছে। তাই এই সংক্রান্ত বিষয়ে একক ভাবে কোনওরকম মতামত প্রকাশ না করাই ভাল। যে (Abhishek Banerjee) যার মত কথা বলতে শুরু করলে, তাতে ভালো বার্তা যাবে না আমার মনে হয়। সবার মত নিয়েই আলোচনা করা উচিত।’’ অন্যদিকে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) এই মন্তব্যের বিরোধ করেছে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিও। পলিটব্যুরো সদস্য হান্নান মোল্লা বলেন, ‘‘এটাতো ফ্যাশন হয়ে গিয়েছে। যে যার মতো দান করে বেড়াচ্ছে। এমন উদ্ভট কথার কোনও মানে হয় না। তাই এ কথার আমি কোনও জবাব দেব না।’’ 

    জমে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি

    এই আবহে বেশ জমে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি,  রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বাম-কংগ্রেস শিবির। তৃণমূলের সঙ্গে এক মঞ্চে বসতে দেখা গিয়েছে বাম-কংগ্রেস নেতাদের। যা নিয়ে জোটকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “বাংলায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কুস্তি করবেন। আর দিল্লিতে সীতারাম ইয়েচুরি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাশাপাশি বসে বৈঠক করবেন, এটা কী ধরনের ব্যাপার। এটা তো চলতে পারে না। এখানে কুস্তি, দিল্লিতে দোস্তি আর মহারাষ্ট্রে মস্তি, এটা বেশিদিন চলবে না। বাংলার মানুষ ঝাঁটা নিয়ে তাড়া করবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিরোধী জোট শোচনীয় ভাবে পরাস্ত হবে লোকসভা ভোটে, তোপ বিজেপির

    BJP: বিরোধী জোট শোচনীয় ভাবে পরাস্ত হবে লোকসভা ভোটে, তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বইয়ে বিরোধী জোটের বৈঠককে তীব্র আক্রমণ শানাল বিজেপি (BJP)। সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির (BJP) দাবি, লোকসভা ভোটে শোচনীয়ভাবে পরাস্ত হবে তথাকথিত বিরোধী জোট। বিজেপির (BJP) সদর দফতরে সাংবাদিক সম্মেলনে দলের নেতা রবি শঙ্কর প্রসাদ তোপ দাগেন বিরোধী জোটের বৈঠককে এবং তিনি বলেন, ‘‘তথাকথিত বিরোধীদের বৈঠকে আলোচনায় উঠে আসেনি কৃষক, মহিলা এবং শিশুদের নিয়ে কোনও প্রসঙ্গ। তাদের কোনও রকমের নীতি দেখা যায়নি ভারতের সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে, কোনও রকমের রূপরেখা তারা তৈরি করেনি দারিদ্র উন্নয়নের ক্ষেত্রে।’’ 

    জগাখিচুড়ি জোট পরস্পরবিরোধী দলে ভর্তি

    রবি শঙ্কর প্রসাদের আরও দাবি, মুম্বইয়ের তথাকথিত বিরোধী জোটের তৃতীয় বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ এ সমস্ত কিছু নিয়েও কোনও রকমের আলোচনা হয়নি। বিজেপির (BJP) আরও কটাক্ষ, ‘‘তিন তিনটে বৈঠক হয়ে যাওয়ার পরেও বিরোধী জোটের কোনওরকমের কনভেনার ঘোষণা করা হল না। কোনও কমিটিও তৈরি করা হল না।’’ প্রসঙ্গত, ওয়াকিবহাল মহলের মতে পরস্পর বিরোধী দলগুলি একত্রিত হয়েছে বটে কিন্তু  রাজ্যে রাজ্যে তাদের মধ্যে কোনও রকমের জোট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যেমন ইতিমধ্যে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি জানিয়ে দিয়েছে যে কেরলে তাদের সরাসরি লড়াই কংগ্রেসের সঙ্গে হবে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস এবং সিপিএমের জোটের সম্ভাবনা নেই। আবার দিল্লির আম আদমি পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের লোকসভা ভোটে কোনও রকমে জোটের সম্ভাবনা নেই। অর্থাৎ এই জগাখিচুড়ি জোট লোকসভায় কতটা দাগ কাটতে পারবে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

    জোটে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের ভিড়

    এদিন রবিশঙ্কর প্রসাদ আরও বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদি (BJP) হলেন বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় নেতা। যিনি তাঁর দূরদর্শিতা এবং নীতির মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। জনমুখী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে উন্নয়ন হচ্ছে দেশে। অন্যদিকে বিরোধী জোটের নেতা-নেত্রীদের না আছে কোন নীতি না আছে কোন দূরদর্শিতা।’’ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বিরোধী জোটের নেতাদেরও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রবিশঙ্কর প্রসাদ। তাঁর মতে, ২জি স্ক্যাম, কয়লা কেলেঙ্কারি এ সমস্ত কিছুতে অভিযুক্ত কংগ্রেস। অন্যদিকে, পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির পরে আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদবকেও সেখানে দেখা যাচ্ছে (BJP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share