Tag: bjp

bjp

  • Hooghly: খানাকুলে বিজেপি বোর্ড গঠন করা মাত্রই তৃণমূলের বহিরাগত দুষ্কৃতীদের আক্রমণ

    Hooghly: খানাকুলে বিজেপি বোর্ড গঠন করা মাত্রই তৃণমূলের বহিরাগত দুষ্কৃতীদের আক্রমণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির (Hooghly) খানাকুলের রামমোহন ১ নং পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন ঘিরে আজ পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জমায়েত হয়েছিল তৃণমূল এবং বিজেপির প্রচুর কর্মী সমর্থক। টসে জিতে বোর্ড গঠন করে বিজেপি, আর এরপর শুরু হয় এরপর তীব্র উত্তেজনা। বিজেপি কর্মীদেরকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর তা থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় চারিদিকে। তৃণমূলের কর্মীরা বহিরাগত গুন্ডাদের নিয়ে চড়াও হয় বিজেপির উপরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনা স্থলে পৌঁছায় প্রচুর পুলিশ।

    কেন উত্তেজনা (Hooghly)?

    বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল বহিরাগত লোক নিয়ে অশান্তি করতে আসে। আর তার প্রতিরোধ গড়ে তোলে এলাকার সাধারণ মানুষ। গোটা ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা খানাকুলের (Hooghly) রামমোহন ১ নং পঞ্চায়েত চত্বরে। আরও জানাগেছে, এই পঞ্চায়েতে বিজেপি ও তৃণমূল ৯ টি করে মোট আসনের সমান সামন হয়ে গেছে। এইদিন বোর্ড গঠনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুপক্ষেরই মতামত নিয়েই টস করে, আর তাতে ফলাফল ঘোষণা হলে সংখ্যা গরিষ্ঠতায় বিজেপি বোর্ড গঠন করে। বিজেপি প্রধানের পদ দখল করে। ঠিক তার পরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে যায় গোটা এলাকায়। ঘটনার জেরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়।

    বিজেপির বক্তব্য

    এলাকার (Hooghly) বিজেপি নেতা অশোক মালিক বলেন, এখানে বিজেপি পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করেছে। আর তাই বিজেপি বোর্ড গঠন করায় বহিরাগত গুন্ডাদের ভাড়া করে এনে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। কিন্তু মানুষ জেগে গেছে। তৃণমূলের চোরদের মানুষ চিনে নিয়েছে। এবার আসল খেলা খেলবে বিজেপি। ইতিমধ্যেই আসন সমান সমান হওয়ার জন্য অনেক তৃণমূল কর্মী এবং বিজয়ী প্রার্থীরা বিজেপিতে যোগদান করতে চাইছে। এই চোরেদের পাশে মানুষ নেই বলে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করছে দুষ্কৃতীরা।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এলাকার (Hooghly) এক তৃণমূল নেতা সুকুমার শিকদার বলেন পাশের পঞ্চায়েতে আমার বাড়ি, আমি নিজে তৃণমূল কংগ্রেস করি। তৃণমূলের পঞ্চায়েত গঠন হবে বলে এসছি। কিন্তু এসে দেখি বিজেপির পঞ্চায়েত গঠন হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর উপরেও আক্রমণ হয়েছে বলে জানান তিনি। এই এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: আসন সংখ্যার বিচারে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও প্রধান পদে বাজিমাত বিজেপির

    Hooghly: আসন সংখ্যার বিচারে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও প্রধান পদে বাজিমাত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যা গরিষ্ঠতায় তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও আরামবাগের (Hooghly) সালেপুর ১ নং পঞ্চায়েতে প্রধান পদ দখল নিলো বিজেপি। এই নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য হুগলিতে। উপপ্রধান আসনে তৃণমূল বসলেও, সংরক্ষণের কারণে, প্রধানের আসন হাতছাড়া হলো তৃণমূলের। অপর দিকে প্রধানে বাজিমাত বিজেপির।

    আরামবাগের সালেপুর পঞ্চায়েতে কত আসন  (Hooghly)?

    সালেপুর  (Hooghly) পঞ্চায়েতে মোট ১৬ টি আসনের মধ্যে মাত্র ৬ টি আসন জয়ী হয়েছে বিজেপি। এই পঞ্চায়েত প্রধান আসন দখল নিলো বিজেপি। এখানে ৬ টি বিজেপি পেলেও, ১০ টি আসনে জয়ী হয়ে সংখ্যা গরিষ্ঠ হয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু তার পরেও সংরক্ষিত আসনের জেরে প্রধান হতে পারেনি তৃণমূল।

    আসন সংরক্ষণ কেমন?

    জানা গেছে, ওই পঞ্চায়েতের  (Hooghly) প্রধান আসন এসটি(ST) ও মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। তৃণমূল  সংখ্যা গরিষ্ঠ আসন দখল করলেও এসটি এবং মহিলা কেউ জয়ী হতে পারেনি। আর তার জেরেই কম আসন পেয়েও প্রধানের আসনে বসলেন বিজেপির জয়ী প্রার্থী পূর্ণিমা মান্ডি। যদিও উপপ্রধান পদে বসেন তৃণমূলের সত্যজিত চক্রবর্তী। এইদিনে বোর্ড গঠনে পঞ্চায়েতের সামনে জমায়েত হয় প্রচুর বিজেপি ও তৃণমূলের সমর্থকরা। মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশ।

    বিজেপির বক্তব্য

    প্রধান বিজেপির হতেই আনন্দে উচ্ছ্বাসে বিজেপি সমর্থকদের। গেরুয়া আবির খেলায় মেতে ওঠেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। সালেপুর পঞ্চায়েতে  (Hooghly) প্রধান নির্বাচিত হয়ে পূর্ণিমা মান্ডি বলেন যে এলাকায় অনেক কাজ করতে হবে। এলাকার রাস্তাঘাট, ড্রেন এবং পানীয় জলের সমস্যাগুলিকে আগে মেটাতে হবে। যাঁদের ঘর বাড়ি নেই তাঁদের ঘরের ব্যবস্থা করতে হবে। বর্ষায় জমা জলে ডেঙ্গির প্রভাব থেকে সকলকে সচেতন করতে হবে। জনগণের জন্য সরকারের সকল প্রকল্পের সুভিধা গুলিকে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতে হবে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই ব্লকের এক তৃণমূল নেতা বলেন, প্রধান প্রার্থী আদিবাসী সমাজের জন্য সংরক্ষিত। শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হয়েছে এখানে। আমরা তৃণমূল মাত্র ৫ ভোটে পরাজিত হয়েছি। আমাদের তৃণমূল দলের নির্দেশে উপপ্রধান পদের জন্য একজনকে স্থির করা হয়েছে। আগামী দিনে পঞ্চায়েত চালাতে গিয়ে বিজেপি যদি অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করে, তাহলে আমাদের ১০ জন সদস্যদের নিয়েই প্রশাসনের সহযোগিতায় কাজ করব। আশাকরি প্রধান সহযোগিতা করবেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gram Panchayat Election: বোর্ড গঠনের দিন বিজেপি বিধায়কের গাড়ি ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল, প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ

    Gram Panchayat Election: বোর্ড গঠনের দিন বিজেপি বিধায়কের গাড়ি ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল, প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলি জেলার খানাকুলে বিজেপি (BJP) বিধায়কের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর করা হয়েছে বিধায়কের গাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে খানাকুলের কিশোরপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েতের সামনে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চা়ঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Gram Panchayat Election)

    খানাকুলের কিশোরপুর-১ নং পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ১৩ টি। তার মধ্যে তৃণমূলের দখলে ৮ টি। আর বিজেপি জয়ী হয় ৫ টি আসনে। সেই জয়ী প্রার্থীদের শপথ গ্রহণ করাতে গিয়েছিলেন খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। অভিযোগ, সেখানেই তৃণমূল নেতা নঈমুল হকের নেতৃত্বে বিধায়ককে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। ইট ছোঁড়া হয়। সেই ইটের আঘাতে জখম হন বেশ কয়েকজন বিজেপি (BJP) কর্মী। পাশাপাশি বিধায়কের গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। তারপরেই জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে খানাকুল থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ বসেন বিজেপি বিধায়ক। দোষীদের গ্রেফতারের দাবি করা হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত গ্রেফতার না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই অবস্থান বিক্ষোভ চলবে। পাশাপাশি আরামবাগ -গরেরঘাট ও কলকাতা,তারকেশ্বর ১৬/২০ রুটে খানাকুল বাসস্টপে রাস্তার ওপর টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু করেন।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিজেপি (BJP) বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, দলীয় জয়ী প্রার্থীদের (Gram Panchayat Election) নিয়ে যাওয়ার সময় ওরা এই হামলা চালিয়েছে। তৃণমূল বোর্ড গঠনের দিনই সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে। আসলে এলাকায় ওরা তাণ্ডব করতেই এই হামলা চালিয়েছে। আমরা ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। এই ঘটনায় যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা নঈমুল হক বলেন, বিজেপি (BJP) বিধায়ক আমাদর দলের জয়ী প্রার্থী নিজের দলে টানার চেষ্টা করছিলেন। সেটা এলাকার মানুষ বুঝতে পেরে প্রকাশ্যে প্রতিরোধ করেছে। সাধারণ মানুষ সরব হয়েছে। এরসঙ্গে তৃণমূলের কোনও সংযোগ নেই। ওরা আমাদের নামে এসব অভিযোগ করে মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Krishna Nagar: নদিয়ায় বিজেপির প্রধানকে অপহরণ, অভিযুক্ত তৃণমূল, প্রতিবাদে জাতীয় সড়়ক অবরোধ

    Krishna Nagar: নদিয়ায় বিজেপির প্রধানকে অপহরণ, অভিযুক্ত তৃণমূল, প্রতিবাদে জাতীয় সড়়ক অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোর্ড গঠনের পর বিজেপির (BJP) নির্বাচিত প্রধানকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে কৃষ্ণনগর-২ নম্বর (Krishna Nagar) ব্লকের ধুবুলিয়া-১ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) ধুবুলিয়া-১ নম্বর পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন ছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ধুবুলিয়া-১ নম্বর পঞ্চায়েতের ২১টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ১১টিতে জয় লাভ করে বিজেপি। ৮ টি পায় তৃণমূল। ২টি আসনে সিপিএম জয়লাভ করে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার কারণে বৃহস্পতিবার শাসকদলের হাত থেকে পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিয়ে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। অভিযোগ,বোর্ড গঠনের পর বিজেপির নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান পঞ্চায়েত ভবন থেকে বাইরে বেরিয়ে আসার সময়  জোরপূর্বক অপহরণ করার অভিযোগ ওঠে শাসকদল  তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজনের বিরুদ্ধে। বিজেপি মনোনীত প্রধানকে অপহরণের পরেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন উপস্থিত বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। যার ফলে উভয়পক্ষের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে তীব্র বচসার সৃষ্টি হয়। এবং ধুবুলিয়ায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের চোখের সামনে তৃণমূলের লোকজন এই  কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করে বিজেপি। এছাড়াও খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রমণের শিকার হতে হয় সংবাদ কর্মীদের। দুর্বৃত্তদের হাতে মার খেয়ে মোবাইল ফোন ভেঙে যায় একজন সংবাদকর্মীর। এছাড়াও সংবাদ কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সবটাই পুলিশের সামনে ঘটলেও পুলিশ নির্বিকার ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ ওঠে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে। পরে, এদিন বিকেলের পর বিজেপির প্রধানকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিজেপির (BJP) প্রধান গৌতম সরকার বলেন, বোর্ড গঠনের পর আমাকে নিয়ে টানাটানি হয়। তাতে আমার চোট লাগে। তারপর আমার আর কিছু মনে নেই।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব? (Krishna Nagar)  

    বিজেপি (BJP) নেতা সৈকত সরকার বলেন, বিজেপি বোর্ড গঠন করেছে বলে ওরা আমাদের প্রধানকে অপহরণ করেছিল। তৃণমূলের সন্ত্রাসের প্রতিবাদে আমরা রাস্তা অবরোধ করেছিলাম। আমরা অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, বিজেপি (BJP) সংখ্যগরিষ্ঠতা পেলেও ওরা ভোটাভুটিতে হেরে যাচ্ছিল দেখে এসব নাটক করেছিল। অপহরণের ঘটনায় তৃণমূল জড়িত নয়। ওদের সবই বানানো গল্প।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Board: বোর্ড হাতছাড়া হচ্ছে দেখে এবার বিজেপির জয়ী প্রার্থীর শংসাপত্র ছিঁড়ে টপাটপ মুখে!

    Panchayat Board: বোর্ড হাতছাড়া হচ্ছে দেখে এবার বিজেপির জয়ী প্রার্থীর শংসাপত্র ছিঁড়ে টপাটপ মুখে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় গণনা কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থীকে হারাতে ব্যালট খেয়ে নিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটি। সিপিএম প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদারের এমন অভিযোগে চক্ষু চড়ক গাছ হয়েছিল ভোটারদের। শেষে কিনা তাঁদের জনমত পেটে! এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। এবার সেই অবাক করা ঘটনার পুনরাবৃত্তি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে (Panchayat Board)৷ তৃণমূল সদস্যা এবার খেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু ব্যালট নয়। তাঁর পেটে গেল বিজেপি প্রার্থীর জয়ের শংসাপত্র। আর এহেন ন্যক্কারজনক ঘটনায় তোলপাড় উত্তর দিনাজপুর জেলা৷

    কীভাবে ঘটল এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা (Panchayat Board)?

    জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ ব্লকের ১৪ নং কমলাবাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বোর্ড গঠন (Panchayat Board) প্রক্রিয়া ছিল। ফলে সকাল থেকেই টান টান উত্তেজনার পরিবেশ ছিল। কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় শুরু হয় যাবতীয় প্রক্রিয়া। অথচ বেলা বাড়তেই আচমকা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷ পঞ্চায়েত দফতরের ভিতরে যখন প্রধান নির্বাচনের জন্য ভোটাভুটি চলছিল, তখন হঠাৎ তৃণমূলের এক সদস্যা বিজেপির জয়ী সদস্যর শংসাপত্র হাত থেকে কেড়ে টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে টপাটপ মুখে পুড়ে নেন। যা দেখে হতভম্ব হয়ে যান সেখানে উপস্থিত অন্যান্য পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এমন ঘটনা মনে করিয়ে দিল গত মাসে সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা কেন্দ্রে ব্যালট খেয়ে নেওয়ার ঘটনা। উত্তর ২৪ পরগনার সেই ঘটনা নিয়ে রাজ্যবাসী নিন্দায় মুখর হয়। এবার সেই ছায়া উত্তর দিনাজপুরে পড়ল।

    কী জানালেন বিজেপির সদস্য, কী জবাব দিল তৃণমূল?

    বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য দুলাল সরকারের অভিযোগ, পঞ্চায়েতে প্রধান নির্বাচন (Panchayat Board) প্রক্রিয়া যখন শেষ পর্যায়ে, তখন তৃণমূল সদস্য সোনা টোপ্পা তাঁদের এক সদস্যর হাত থেকে শংসাপত্র ছিনিয়ে খেয়ে নেন। বোর্ড হাতছাড়া হতে দেখে এমনই পথ বেছে নেয় তৃণমূল, যাতে বিজেপি বোর্ড গঠন করতে না পারে৷ কিন্তু তৃণমূলের সেই অপচেষ্টা রুখে দিয়ে বিজেপি বোর্ড গঠন করতে পেরেছে। যদিও বিজেপির আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের সোনা টোপ্প৷ তাঁর দাবি, বিজেপি ভোটাভুটি করতে চাইছিল না। সে কারণে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে৷

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Board: খেজুরিতে বোর্ড গঠনে বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ ৩ বিজেপি কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Panchayat Board: খেজুরিতে বোর্ড গঠনে বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ ৩ বিজেপি কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি-২ ব্লকের নিজ কসবা এলাকায় পঞ্চায়েতে বোর্ড (Panchayat Board) গঠনকে কেন্দ্র করে এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। বিজেপির জয়ী প্রার্থী সহ দলীয় কর্মী সমর্থকদের লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমাবাজি এবং গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তিনজন বিজেপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হন বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে এসে গণ্ডগোলের মধ্যে পড়ে একাধিক পুলিশ কর্মী জখম হন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    নিজ কসবা গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ২৮টি। তারমধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ১২টি আসন। আর বিজেপি পেয়েছে ১৬টি আসন। বৃহস্পতিবার এই পঞ্চায়েতে বোর্ড (Panchayat Board) গঠনের দিন ধার্য করা হয়। সেই মতো বিজেপি এবং তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীরা দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জমায়েত হন। উত্তরদিকে তৃণমূল কর্মীরা জমায়েত হন। আর দক্ষিণদিকে জমায়েত হন বিজেপি কর্মীরা। প্রথমে দুই দলের কর্মীদের নিয়ে বচসা শুরু হয়। সেটা বাড়তে বাড়তে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে,  পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ব্যাপক বোমাবাজি করা হয়। চলে গুলিও। বিজেপির জয়ী প্রার্থীর স্বামী সহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন থাকায় পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে পুলিশ কর্মীও জখম হন। পরে, ভোটাভুটিতে বিজেপি বোর্ড গঠন করে। বিজেপির জয়ী সদস্য মৌসুমী মণ্ডল প্রধান নির্বাচিত হন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক বলেন, তৃণমূলই এদিন জমায়েত করে এলাকায় সন্ত্রাস করেছে। আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। ৩ জন কর্মী আমাদের গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমরা  হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। আহত তিন বিজেপি কর্মীকে শিল্যাবেড়িয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় মোতায়ন করা হয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী। জখম একাধিক পুলিশ কর্মীকে জনকা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি দেবাশিস দাস বলেন, বোর্ড (Panchayat Board) গঠনের দিনে বিজেপি গণ্ডগোল পাকানোর জন্য ব্যাপক জমায়েত করেছিল। ওরাই এলাকায় বোমাবাজি, গুলি চালিয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই যুক্ত নয়।

    হুগলির ফুরফুরায় পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন ঘিরে বোমাবাজি

    হুগলির জাঙ্গিপাড়ার ফুরফুরায় পঞ্চায়েত বোর্ড (Panchayat Board)  গঠন ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। জানা গিয়েছে, ফুরফুরার পঞ্চায়েত গেটে তালা ঝোলানো ছিল। আইএসএফ এই তালা দিয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ তালা খুলতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়। পরে, বোমাবাজি করার অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়। আইএসএফের অভিযোগ, এই পঞ্চায়েতে আইএসএফ জয়ী হয়েছে। তৃণমূল দাবি করছে তারা জয়ী হয়েছে। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এই অবস্থায় বোর্ড গঠন করা ঠিক নয়। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, আইএসএফ এলাকায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করে রেখেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Board: খানাকুলে তৃণমূলকে সংখ্যালঘু করে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি

    Panchayat Board: খানাকুলে তৃণমূলকে সংখ্যালঘু করে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের বোর্ড (Panchayat Board) গঠন করা শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল। কারণ, হুগলির আরামবাগ মহকুমার খানাকুলের অরুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল তৃণমূল। কিন্তু, বোর্ড গঠনের দিন এরকম রাজনৈতিক চমক তৃণমূল নেতৃত্ব আশা করেনি। বোর্ড গঠনের দিনই আচমকাই তৃণমূল  ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দান করল। আর তাতেই পঞ্চায়েত বাজিমাত করল তৃণমূল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই বিজেপিতে যোগদান করেন ৩ জন তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী। সংখ্যাগরিষ্ঠ থেকেও বোর্ড গঠন করতে পারল না তৃণমূল। এই পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ২৩ টি। তার মধ্যে বিজেপি ৯ টি আসনে জয়ী হয়েছিল। আর তৃণমূল পেয়েছিল ১৪টি আসন। কিন্তু,বৃহস্পতিবার বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই চমক দেয় বিজেপি। তিন জন তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী বিকাশ দাস, দেবাশিস সিং ও অসীমা কারক বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিমান ঘোষের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন। তারপরই পাল্লা ভারী হয় বিজেপির। ৯ টি আসন থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ১২ টি। আর তৃণমূলের আসন কমে দাঁড়ায় ১১ টি। তারপরেই প্রার্থীদের নিয়ে পঞ্চায়েতে বোর্ড (Panchayat Board) গঠনের জন্য হাজির হয় বিজেপি। পঞ্চায়েত মোড়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা জমায়েত করে রয়েছে। রয়েছে পুলিশও।

    বিজেপিতে যোগ দেওয়া জয়ী প্রার্থী কী বললেন?

    বিজেপিতে যোগ দেওয়া জয়ী প্রার্থী বিকাশ দাস দলেন, তৃণমূল দুর্নীতিগ্রস্ত দল। এই দলের সঙ্গে থাকা যায় না। আমরা এলাকায় উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূল ছেড়়ে বিজেপিতে যোগ দিলাম। কারণ, মানুষ বিজেপির সঙ্গে রয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা বিমান ঘোষ বলেন, আগে মুচলেকা দিয়েছে প্রার্থীরা, তারপর যোগদান করানো হয়েছে। আসলে তারা আমাদের দলকে ভালবেসে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। কোনও ভয় দেখানো হয়নি। তৃণমূল  দুর্নীতিগ্রস্ত দল। তাই, কেউ ওই দলের সঙ্গে থাকতে চাইছে না। বিজেপি এই পঞ্চায়েতে বোর্ড (Panchayat Board) গঠন করেছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা দুখীরাম দলুই বলেন, টাকার লোভেই তারা বিজেপিতে গিয়েছে। দলকে ভালবাসলে ওদের তৃণমূলের ফিরে আসা দরকার। এভাবে দল বদল করে মানুষের আস্থা পাওয়া যায় না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: প্রশাসনের কর্মীদের আটকাল তৃণমূল, ময়নাগুড়িতে ঝুলে রইল বোর্ড গঠন, আন্দোলনে বিজেপি

    BJP: প্রশাসনের কর্মীদের আটকাল তৃণমূল, ময়নাগুড়িতে ঝুলে রইল বোর্ড গঠন, আন্দোলনে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিকে (BJP) ঠেকাতে মরিয়া চেষ্টা চালায় তৃণমূল। প্রথমে প্রশাসনের কর্মীদের রাস্তা আটকে পঞ্চায়েতে আসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। আর তৃণমূলের জয়ী সদস্যরা পঞ্চায়েত অফিসে না যাওয়ায় বৃহস্পতিবার কার্যত বোর্ড গঠন ঝুলে রইল জলপাইগুড়ির রামশাই গ্রাম পঞ্চায়েতে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    বৃহস্পতিবার  দিন ধার্য্য থাকলেও বোর্ড গঠন ঝুলে রইল ময়নাগুড়ি ব্লকের রামশাই অঞ্চলে। এই গ্রামপঞ্চায়েতের মোট আসন ২৪টি। বিজেপি এবং তৃণমূল পেয়েছে ১২ টি করে আসন। টসের মাধ্যমে বোর্ড গঠন হওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ, বোর্ড গঠনের জন্য ব্লক অফিসের আধিকারিক এবং কর্মীদের মাঝ পথেই এদিন তাঁদের আটকে দেয় তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। বিজেপি (BJP) নেতা কর্মীরা তাদের জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে বোর্ড গঠনের জন্য আসলেও তৃণমূলের কোনও জয়ী প্রার্থী না আসায় বোর্ড গঠন আপাতত স্থগিত থাকে। এদিকে বিজেপি নেতা কর্মীরা গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে যেতে গেলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের তর্ক বিতর্ক শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের পুলিশ জানিয়েছে, ব্লক অফিসের আধিকারিক এবং কর্মীদের নিয়ে আসার ব্যবস্থা করছে তারা। পুলিশের কথা শুনে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা তাদের আন্দোলনের মাত্রা কিছুটা কমিয়ে দেন। তবে, এদিন দুপুর পর্যন্ত এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন ঝুলে রয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব কেউ মুখ খুলতে চায়নি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) ময়নাগুড়ি ব্লকের উত্তর মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক শান্ত স্বরূপ বিশ্বাস বলেন, আমরা শান্তিপূর্নভাবে এদিন বোর্ড গঠনের জন্য এসেছিলাম। কিন্তু, তৃণমূলের লোকজন ব্লক অফিসের আধিকারিক এবং কর্মীদের আটকে দেয়। তার ওপর নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ায় এদিন আর বোর্ড গঠন হবার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে গেল। এদিন বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আমরা এই গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরের সামনে অবস্থান করব, যাতে তৃণমূল অন্যায়ভাবে এসে বোর্ড গঠন করতে না পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: গ্রেফতার করিয়েও শেষরক্ষা হল না তৃণমূলের, টসে জিতে মেখলিগঞ্জে বোর্ড গঠন বিজেপির

    BJP: গ্রেফতার করিয়েও শেষরক্ষা হল না তৃণমূলের, টসে জিতে মেখলিগঞ্জে বোর্ড গঠন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোর্ড গঠনে তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে পুলিশ বিরোধী জয়ী প্রার্থীদের পুরানো মামলার সূত্র ধরে গ্রেফতার করে আটকে রাখছে। বোর্ড গঠনের সময় থেকে রাজ্যজুড়ে এই ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতেও বোর্ড গঠনের আগে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। বোর্ড গঠনের এক দিন আগে বিজেপির (BJP) জয়ী সদস্যকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বিজেপির সেই জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যই হয়ে গেলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।

    কেন গ্রেফতার বিজেপির জয়ী সদস্য?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন গণনাকেন্দ্রের সামনে ঝামেলা করার অভিযোগ ওঠে বিজেপি (BJP) নেতা রমানাথ বর্মনের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগেই সোমবার গভীর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে হলদিবাড়ি থানার পুলিশ। পঞ্চায়েত নির্বাচনে পার মেখলিগঞ্জ পঞ্চায়েতে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়ে জিতে যান তিনি। বিজেপির অভিযোগ, বোর্ড গঠনে তৃণমূলকে সুবিধা করে দিতেই পুলিশ তৃণমূলের কথা মতো মিথ্যা মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে।

    কী করে বিজেপি বোর্ড গঠন করল?

    হলদিবাড়ি ব্লকের পার মেখলিগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ১৪টি। এবার ভোটে বিজেপি (BJP) জয়ী হয়েছে ৭টি, তৃণমূলের দখলে আসে ৬টি আসন এবং ফরওয়ার্ড ব্লক পায় একটি আসন। যদিও পরবর্তীতে ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী তৃণমূলে যোগদান করায় তৃণমূল ও বিজেপির আসন সংখ্যা সমান সমান হয়ে যায়। সে কারণেই একজন জয়ী প্রার্থীকে গ্রেফতারির পর বিজেপির অভিযোগ ছিল, বোর্ড গঠনে তৃণমূলকে সুবিধা করে দিতেই মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এদিকে ঘাসফুল ও পদ্ম শিবিরের আসন সংখ্যা সমান হয়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত ঠিক হয় টসেই ঠিক হবে প্রধান। সেই টসে জিতে পঞ্চায়েতের প্রধান হয়ে যান বিজেপির জয়ী সদস্য রমানাথবাবু। বোর্ড গঠন করেছে বিজেপি। উপপ্রধান হয়েছেন ডলি রায়। এদিকে গ্রেফতারির পর পুলিশ রমানাথকে আদালতে তুললে মেখলিগঞ্জ মহকুমা আদালত থেকে তিনি জামিন পেয়ে যান। অংশ নেন বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ায়। লটারিতে রাতারাতি তাঁর ভাগ্য ফিরে যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে বিডিও অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির

    South 24 Parganas: ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে বিডিও অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নামখানা (South 24 Parganas) ব্লকের শিবরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে আজ প্রধান গঠন ছিল। আর সেখানেই শাসক দলের হয়ে নির্বাচন অফিসার ছাপ্পা ভোট করিয়েছে এমনই অভিযোগ তুলে বিডিও অফিস ঘেরাও করল বিজেপি। সেই সঙ্গে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিডিও অফিসের সামনে। অপর দিকে বোর্ড গঠনের পর ফের বোমাবাজিতে উত্তপ্ত ভাঙড়। বোমায় আহত ৫ আইএসএফ কর্মী, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে।

    কেন তালা লাগানো হলো (South 24 Parganas)?

    মূলত শিবরামপুর (South 24 Parganas) পঞ্চায়েতে মোট ২৮ টি সিট রয়েছে। যার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস দখল করেছে ১৭ টি, অন্যদিকে বিজেপি দখল করেছে ১০ টি এবং সিপিআইএম ১টি। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রধান, উপপ্রধানের নাম ঘোষণা করা হলেও বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী অনিতা মন্ডলের নাম ঘোষণা করা হয়। আর সেখানেই নির্বাচন অফিসারের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তোলে বিজেপি। এরপর বিডিও’র বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বিক্ষোভ দেখিয়ে বিডিওর অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা।

    বিজেপির বক্তব্য

    মূলত বিজেপির অভিযোগ, বিডিও (South 24 Parganas) হলেন বোর্ড গঠনের নির্বাচন অফিসার, তিনি শাসকদলেকে মদত করতে, শাসক দলের হয়ে ছাপ্পা ভোট করান। ফলে শাসকদলের মনোনীত অর্চনা মাইতিকে প্রধান ও দেবাশীষ দাসকে উপপ্রধান হিসেবে নাম ঘোষণা করেছেন বিডিও। বিজেপিকে বোর্ড গঠনে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এবং ভোটদান করতেও দেওয়া হয়নি। আর এই নিয়ে আজ বুধবার দিন নামখানা বিডিও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। পাশাপাশি পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের পর ভাঙড় আবারও উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

    ফের বোমাবাজি ভাঙড়ে

    পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের পর আবারো উত্তপ্ত ভাঙড় (South 24 Parganas)। পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের পরে আইএসএফ কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনই ঘটনা ঘটেছে কাশিপুর থানার মাঝেরহাট গ্রামে। বোর্ড গঠনের পরে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কাশিপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তৃণমূল কর্মীদের মারা বোমের আঘাতে পাঁচ জন আইএসএফ কর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি। আহতদের উদ্ধার করে জিরান গাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে মাঝেরহাট গ্রামের আইএসএফ কর্মীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share