Tag: bjp

bjp

  • Suvendu Adhikari: “প্রাক্তন না করতে পারলে আমরা ক্ষুদিরামের দেশের লোক নই”, শুভেন্দুর তোপ মমতাকে

    Suvendu Adhikari: “প্রাক্তন না করতে পারলে আমরা ক্ষুদিরামের দেশের লোক নই”, শুভেন্দুর তোপ মমতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশে পিংবনিতে সভা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন তিনি। বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের শাসক শিবিরকে কড়া ভাষায় নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। ওবিসিতে বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে কেবল মাত্র ভোটের অঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) তোপ মমতাকে

    পিংবনির সভা থেকে শুভেন্দু রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র তোপ দাগলেন। এই আক্রমণের প্রধান তির ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। তিনি বলেন, ‘‘রানিমা হেলিকপ্টারে করে জঙ্গলমহলে কুম্ভকার-দলিতরা কেমন আছেন, তা দেখতে এসেছেন। সাধারণ জনগণের ট্যাক্সের টাকা খরচ করে ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী সভা করছেন। আপনারা না চিনলেও আমি পিসিকে হারে হারে চিনি। ২১ বছর সঙ্গে ছিলাম। জঙ্গলমহলে ঢোকার রাস্তা খুঁজে পাননি। কীভাবে লালগড় যেতে হয়, সেই রাস্তাটাও জানতেন না। ২০০৯ সালে আমি রাস্তা চিনিয়েছিলাম।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘হারিয়েছি নন্দীগ্রামে, আদালতে ফাইনও জমা করেছিলেন তিনি। তাই মুখ্যমন্ত্রী আপনাকে যদি প্রাক্তন না করতে পারি, ক্ষুদিরামের দেশের লোক নই আমরা। আপনার আদরের দুলালটি জেলে যাবে। বালি, পাথর, গরুর পর এখন ব্যালট খায় তৃণমূল।’’

    ওবিসিদের নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    পিংবনি সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘এই রাজ্যে তোষণ ও দুর্নীতির জন্য সবচেয়ে বেশি অবহেলিত ওবিসিরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ওবিসিতে বিশেষ ধর্মের মানুষকে অতিরিক্ত সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন। সংরক্ষণ নীতিকে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছেন। এই ওবিসিদের মধ্যে আছেন কুড়মি, কুম্ভকার, স্বর্ণকার। কিন্তু তাঁরা বঞ্চিত।‘‘ চাকরি দুর্নীতি কাণ্ড নিয়েও সরব হয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘এই রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থার বারোটা বাজিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অষ্টম তফসিলে সাঁওতালি ভাষার মর্যাদা দিয়েছেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। মুখ্যমন্ত্রীর মারাং প্রকল্পের সমালোচনা করেন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রীর কথিত অলচিকি ভাষা আদতে লিপি। তাই শুভেন্দু বলেছেন, ওসব ভুলভাল, মারাং কী জিনিস মমতা জানেন না, আদতে মুখ্যমন্ত্রী অশিক্ষিত। রাজেশ মাহাতো বিক্রি হতে পারেন, তবে মাহাতো সমাজ বিক্রি হওয়ার লোক নয়। কুড়মিরা বিক্রি হওয়ার লোক নয়।‘‘

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বোর্ড গঠনের দিনই পঞ্চায়েত অফিস লক্ষ্য করে বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বোর্ড গঠনের দিনই পঞ্চায়েত অফিস লক্ষ্য করে বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে বোমাবাজির ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থানার মোস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েত দফতর। বুধবার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের অনন্তপুর, মোস্তাফানগর ও ধনকৈল গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন স্থির করেছিল জেলা প্রশাসন। সেই মতো এদিন নির্ধারিত সময়ে বোর্ড গঠনের জন্য ব্লক প্রশাসনের তরফে তোড়জোড় শুরু হয়। কিন্তু আচমকাই মোস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে বাইরে শুরু হয় ব্যাপক বোমাবাজি। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ভেঙে যায় দফতরের জানলার কাচ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    জানা গিয়েছে, ৮ নম্বর মোস্তফানগর গ্রাম পঞ্চায়েত মোট আসন ৩০ টি। ম্যাজিক ফিগার ১৬টি। তার মধ্যে তৃণমূল জয়ী হয় ১৩ টি আসনে। বিজেপি (BJP) পেয়েছে ৮ টি,কংগ্রেস ৩ টি, সিপিএম ২ টি ও নির্দল ৪ টি আসনে জয়লাভ করে। ২০১৮ সালে এই গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি বোর্ড গঠন করলেও ২০২৩ সালের নির্বাচনে এই পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু হয়। এদিন পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের দিন ধার্য্য করেছিল ব্লক প্রশাসন। কিন্তু, বোর্ড গঠন শুরুর মুহূর্তে পঞ্চায়েত দফতরে বোমাবাজি চালায় দুষ্কৃতীরা। বোমার আঘাতে কেউ হতাহত না হলেও জানলার কাঁচ ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কালিয়াগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি (BJP) নেতা গৌরাঙ্গ দাস বলেন, বোর্ড গঠনে বাধা দিতেই তৃণমূল এই গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করেছে। পেট্রোল বোমা ছোঁড়া হয় পঞ্চায়েত দফতরে। গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে গিয়েছে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

    বোর্ড গঠনের দিনই বিজেপি প্রার্থীদের অপহরণের অভিযোগ

    অন্যদিকে, বোর্ড গঠনের আগে রাস্তা থেকেই বিজেপির (BJP) ৩ ও ১ নির্দল সদস্যকে অপহরণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের ধনকৈল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। জানা গিয়েছে অপহৃত চার পঞ্চায়েত সদস্যর নাম ধীরেন রায়,অষ্টমি রায়, আদোরি বর্মন ও পঞ্চমী রায়৷ এদের মধ্যে পঞ্চমী রায় নির্দল জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    এদিন বোর্ড গঠন উপলক্ষ্যে চার জন সদস্য গাড়ি করে পঞ্চায়েত দফতরে যাচ্ছিলেন। সেই সময় ডালিমগাঁ পেট্রোল পাম্পের সামনে থেকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের রাস্তা থেকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনার পর থেকে এখনও কোনও খোঁজ নেই বিজেপির ৩ ও নির্দল পঞ্চায়েত সদস্যর। উল্লেখ্য ধনকৈল গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ২৮ টি। ২০২৩ সালে ধনকৈল গ্রাম পঞ্চায়েতে সর্বাধিক আসনে জয়ী হয় বিজেপি (BJP)। তাদের মোট আসন ১২ টি। অন্যদিকে তৃণমূলের দখলে যায় ১১ টি আসন। বাকী সিপিএম ২ টি, কংগ্রেস ২ টি ও নির্দল ১ টি আসনে জয়লাভ করে। এদিন বোর্ড গঠনের আগেই বিরোধী চার পঞ্চায়েত সদস্যকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির নেতা কর্মীরা।

    অপহরণ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি (BJP) নেতা গৌতম বিশ্বাস বলেন, বিজেপি যাতে বোর্ড করতে না পারে সেজন্য দলের পঞ্চায়েত সদস্যদের অপহরণ করেছে তৃণমূল। এদিকে এই ঘটনায় পালটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে তোপ দেগেছে তৃণমূল। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সাধন সরকার বলেন, বিজেপির প্রধান কে হবেন তা নিয়েই গোলমালের সূত্রপাত। বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের দুই জয়ী সদস্য যোগ দিলেন বিজেপিতে, বোর্ড গঠনের পথে গেরুয়া শিবির

    BJP: মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের দুই জয়ী সদস্য যোগ দিলেন বিজেপিতে, বোর্ড গঠনের পথে গেরুয়া শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ জেলাতেও তৃণমূলের জয়ী সদস্যরা দল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিচ্ছে। বহরমপুর জেলা কার্যালয়ে বেলডাঙ্গা-১ ব্লকের চৈতন্যপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের দুজন জয়ী তৃণমূলের সদস্য বিজেপিতে যোগদান করলেন। তৃণমূলে ধস নামিয়ে এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে বাজিমাত করতে চলেছে বিজেপি।

    পঞ্চায়েতে বিজেপির আসন সংখ্যা কত হল?

    চৈতন্যপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১৪টি আসন রয়েছে। এরমধ্যে ৫টি আসন পেয়েছে তৃণমূল। ৬টি বিজেপির (BJP) দখলে রয়েছে। বাকী ৩ টি আসন বিরোধীদের দখলে রয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে জেলা বিজেপি কার্যালয়ে দলের জেলা সভাপতি শাখারাভ সরকারের হাত থেকে  বেলডাঙ্গা -১ নম্বর ব্লকের চৈতন্যপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের দুই জয়ী প্রার্থী শ্যামলী হালদার এবং সুফল দাস বিজেপির পতাকা গ্রহণ করেন। দুজন জয়ী প্রার্থী বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় এই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে হল ৮ জন। আর তৃণমূলের আসন কমে হল ৩ জন। বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে জয়ী প্রার্থী সুফল দাস বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলাম।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি শাখারাভ সরকার বলেন, জেলার প্রতিটি অঞ্চল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা বলে আমার কাছে ফোন আসছে। তৃণমূল সন্ত্রাস করে ভোটে জয়ী হয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্ত এই দলে কেউ থাকতে চাইছে না। তাই, বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছে। চৈতন্যপুর-২ পঞ্চায়েতে আমরা সব থেকে বেশি আসন পেয়েছিলাম। কিন্তু, বোর্ড গঠনের জায়গায় ছিলাম না। দুজন সদস্য যোগ দেওয়ায় এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    নওদার তৃণমূল বিধায়ক সাইনা মমতাজ বেগম বলেন, আসলে মানুষের লোব। মোটা টাকা লোভ দেখিয়ে বিজেপি (BJP) ওদের দলে টেনে নিয়েছে। এসব করে মানুষের মনে ওরা জায়গা করতে পারবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: পিংবনিতে শুভেন্দুর সভা পুলিশ বাতিল করলেও অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    Paschim Medinipur: পিংবনিতে শুভেন্দুর সভা পুলিশ বাতিল করলেও অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুভেন্দু অধিকারীর সভা নিয়ে টালবাহানা অব্যাহত। গোয়ালতোড় কলেজ (Paschim Medinipur) মাঠের পর পিংবনিতেও সভার অনুমতি বাতিল করল পুলিশ। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে এই কারণ দেখিয়ে বাতিল করা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি। সভা বাতিল করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ বিজেপির। পাল্টা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। আজ হাইকোর্ট থেকে বিচারতি জয় সেনগুপ্ত সময় বেঁধে দিয়ে পিংবনিতে শুভেন্দুর সভা করার অনুমতি দিলেন। 

    মূল অভিযোগ কী (Paschim Medinipur)?

    উল্লেখ্য ৯ আগস্ট বিশ্ব আদিবাসী দিবসের দিন, একদিকে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রামে সভা করবেন, ঠিক সেই সময় গোয়ালতোড়ে (Paschim Bardhaman) সভা করার কথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। প্রথমে জেলা বিজেপির তরফে গোয়ালতোড় কলেজ মাঠে সভা করার কথা ঠিক করা হয়। কিন্তু পুলিশ তাতে অনুমতি দেয়নি। এরপর পিংবনিতে এই সভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিজেপির দাবি, ইচ্ছে করেই শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি প্রত্যাহার করেছে পুলিশ। গোটা বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি, এমনটাই খবর বিজেপি সূত্রে।

    জেলা সভাপতির বক্তব্য

    জেলার (Paschim Medinipur) বিজেপি সহ-সভাপতি শংকর গুচ্ছাইত বলেন, পুলিশ অনৈতিক ভাবে সভা বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছেন। পিংবনির মাঠের কর্তৃপক্ষ লিখিত ভাবে আমাদের সভার অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ বারবার সভাকে বাতিল কারার কথা বলছেন। শুভেন্দু অধিকারীর সভা বলেই পুলিশ বাধা প্রদান করছেন। তিনি আরও বলেন, পুলিশ জোর করে সভাকে বাতিল করার অপচেষ্টা করছেন। বিজপির সভাকে নিয়ে দলদাস পুলিশ তৃণমূলের মতন আচরণ করছেন। এই সভায়, রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা জনজাতি সমাজের মানুষকে সম্মানিত করবেন। আর তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই সভা বাতিলের চেষ্টা করছেন পুলিশ। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, আমরা হাইকোর্টে এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করব। অবশেষে আজ হাইকোর্ট পিংবনিতে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সভা করার অনুমতি দিয়েছেন। 

    তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটের অজিত মাইতি বলেছেন- সবার অনুমতি দেবে কি দেবে না তা পুলিশের ব্যাপার। এর সাথে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • BJP: তৃণমূলের সন্ত্রাস! বোর্ড গঠনের আগে নিরাপদ আশ্রয়ে বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা

    BJP: তৃণমূলের সন্ত্রাস! বোর্ড গঠনের আগে নিরাপদ আশ্রয়ে বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিকবড়াইকের খাসতালুক কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি শাসকদল। সেখানে বিজেপিই (BJP) কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত ক্ষমতা দখলের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছে শাসকদলকে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের বোর্ড গঠনের আগে পর্যন্ত ঠিকানা দলের জেলা কার্যালয়। দলের কোনও সদস্যকেই ভয়-ভীতি দেখিয়ে বা কোনও প্রলোভন দিয়ে শাসক দল তাদের দিকে টানতে না পারে তারজন্যই পঞ্চায়েত সদস্যদের বোর্ড গঠনের অনেক আগেই রবিবার রাত থেকে দলের জেলা কার্যালয়ে সেভ জোনে রাখা হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি মনোজ টিগ্গা বলেন, কুমারগ্রামে জয়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ পঞ্চায়েত সদস্যরা বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন। এখানে নির্বাচিত সদস্যরা নির্দিষ্ট সময়ে বোর্ড গঠন করতে যেতে পারলে বিজেপির দখলেই আসবে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত। তৃণমূলের সন্ত্রাস তো চলছে। তারা প্রভাব খাটিয়ে প্রলোভন দিয়ে যাতে দলের কোনও সদস্যকেই ভাঙ্গাতে না পারে তারজন্যই আমরা দলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যদের নিরাপদ জায়গায় রেখেছি।

    কুমারগ্রাম পঞ্চায়েতে আসন সংখ্যা কত?

    কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ২২। এখানে তৃণমূল কংগ্রেস ৯টি, বিজেপি-৮টি, সিপিএম ২টি, নির্দল-১টি এবং কেপিপি ২টি আসনে জয়ী হয়েছে। জানা গিয়েছে, বোর্ড গঠনে সিপিএম অংশগ্রহণ করবে না। নির্দল জয়ী প্রার্থী বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী। স্বাভাবিকভাবে নির্দল প্রার্থী এবং কেপিপি-র জয়ী প্রার্থী তৃণমূলের দিকে রয়েছে। ফলে, বোর্ড গঠনে বিজেপির (BJP) পাল্লা ভারী। গেরুয়া শিবিরের নেতাদের দাবি, বিরোধী শিবিরের অন্যান্য নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যদের সমর্থন তাদের পক্ষেই রয়েছে। তারা গেরুয়া শিবিরকেই বোর্ড গঠনে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। আগামী ১৪ আগস্ট কুমারগ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হবে। তার আগে দলের নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যরা দলের জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নেওয়ায় তাদের সঙ্গে দেখা করেন দলের জেলা সভাপতি মনোজ টিগ্গা।  কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত কে বিজেপি পাখির চোখ করেছে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতটি দখল করে গেরুয়া শিবির তৃণমূলের জেলা সভাপতিকেই কার্যত রাজনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে চাইছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক  বড়াইক দাবি করেছেন, কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে কোনও প্রভাব প্রতিপত্তি না খাটিয়েই শেষ পর্যন্ত শাসক দল সেখানে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করবে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উন্নয়নের স্বার্থেই সেখানে নব নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও তৃণমূলকে বোর্ড গঠন করতে সহযোগিতা করবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: হুগলির বিজেপি নেতার মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি পরিবারের

    BJP: হুগলির বিজেপি নেতার মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতার মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন স্ত্রী। মৃত বিজেপি নেতার নাম সুদীপ ঘোষ। তাঁর বাড়ি হুগলির গুড়াপে। ধনেখালি-২ মণ্ডলের সভাপতি ছিলেন তিনি। ৫ অগাস্ট নদিয়ার কল্যাণীর একটি হোটেল থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?

    গত ৪ অগাস্ট চুঁচুড়ায় বিজেপির (BJP) হুগলি জেলা কার্যালয়ে নতুন মণ্ডল সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না সুদীপ। ৩ অগাস্ট বিকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। পরিবারের লোকজনকে ফোনে ওই বিজেপি নেতা জানিয়েছিলেন মগরায় রয়েছি। ৫ অগাস্ট বাড়ি ফিরব। সেদিনই পরিবারের লোকজনের কাছে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে। সুদীপের দুই সন্তান আছে। সুদীপের স্ত্রী অঞ্জলি ঘোষ বলেন, ‘যারা আমার স্বামীকে খুন করেছে, তারা শাস্তি পাক। প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত করুক। শ্বশুর-শাশুড়ি সহ আমি অনেকবার বলেছিলাম পার্টি ছেড়ে দিতে। শুধু দলকে ভালবাসত বলে বিজেপি করত। দলকে ভালবাসতে গিয়ে নিজের প্রাণটাই চলে গেল। প্রশাসনের কাছে আমার দাবি, আমার স্বামীকে যারা হত্যা করেছে তারা যেই হোক না কেন, যেন শাস্তি পায়। সুদীপের বাবা সুফল ঘোষ বলেন, ‘ছেলে বিজেপি দলের সক্রিয় কর্মী। এলাকায় ভাল সংগঠন তৈরি করেছিল। আর তার এই উত্থানে শাসকদল বিপদে পড়ে যাচ্ছিল। তাদের সংগঠনের লোক কমে যাচ্ছিল। তাই ছেলেকে সরিয়ে দিতে পারলে শাসকদলের সংগঠন চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলে আমার ধারণা। ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।’

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    হুগলি জেলা বিজেপির (BJP) সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, ‘পুলিশকে না জানিয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ মৃতদেহ নামিয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেও তার মাথায় একটি দাগ ছিল, পায়েতেও কালশিটে দাগ। তাই আমরা কোনওভাবে মনে করছি না এটা স্বাভাবিক মৃত্যু। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক থেকে দলের রাজ্য নেতৃত্বেকে বিষয়টি জানিয়েছি। ওই রাতের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনতে হবে।’

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অরিন্দম গুইন বলেন, ‘এই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। তৃণমূল কংগ্রেসের এত দুর্দিন আসেনি যে বিজেপির (BJP) কোনও মণ্ডল সভাপতিকে মারতে যাবে। এসব ফালতু কথা। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বাড়ির সামনে গুলি চালিয়ে ছেলেকে অপহরণের চেষ্টা!

    Murshidabad: বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বাড়ির সামনে গুলি চালিয়ে ছেলেকে অপহরণের চেষ্টা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরমপুরে (Murshidabad) বিজেপির নবনির্বাচিত সদস্যের বাড়িতে গভীর রাতে হামলা করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। বহরমপুরে ১৩ নম্বর সংসদের প্রার্থী উপেন মণ্ডলের বাড়িতে হামলা করে গুলি চালায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এর প্রতিবাদে, গভীর রাতে বহরমপুর থানায় বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারাভ সরকারের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এই নিয়ে তীব্র শোরগোল জেলায়।

    মূল অভিযোগ কী (Murshidabad)?

    মূল অভিযোগ হল, পঞ্চায়েত স্তরে তৃণমূল কংগ্রেস যেখানে পরাজিত হয়েছে, সেই সব জায়গায় জয়ী প্রার্থীদের বাড়িতে (Murshidabad) হামলা, গুলি চালানো, বাড়ির মেয়েদের শ্লীলতাহানি এবং অপহরণের চেষ্টা করছে তৃণমূল। গতকাল রাতে বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বাড়িতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা গিয়ে ভাঙচুর চালায় এবং তাঁর ছেলেকে অপহরণ করার চেষ্টা করে। রাতে চিৎকার চেঁচামেচিতে বাড়ির বাইরে গুলি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করার জন্য ক্রমাগত তৃণমূল কংগ্রেস হিংসার পদ্ধতি অবলম্বন করেছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ভূপেন মণ্ডলের বাড়িতে হামলার আগে সাত নম্বর পঞ্চায়েতের চন্দনের বাড়ি এবং বিজেপির মেম্বার মামনী সাহার বাড়িতেও হামলা করে দুষ্কৃতীরা।

    নব নির্বাচিত প্রার্থীর বক্তব্য

    জয়ী বিজেপি প্রার্থী উপেন মণ্ডল বলেন, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়িতে (Murshidabad) গিয়ে প্রথমে ভাঙচুর চালায়। বাড়ির বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে মারধর করে, বাড়ির মহিলাদের শ্লীলতাহানি করে এবং তাঁর ছেলেকে অপহরণ করার চেষ্টাও করে। দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি করেন তিনি। উপেন মণ্ডলের স্ত্রী সোমা মণ্ডল জানিয়েছেন, গভীর রাতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়িতে (Murshidabad) এসে হুমকি দেয় এবং বাড়ির সামনে কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায়। বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে।

    জেলা বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার সভাপতি শাখারভ সরকার জানিয়েছেন, রবিবার গভীর রাতে বহরমপুর ব্লকের মণীন্দ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’ জন বিজেপির নবনির্বাচিত সদস্যের বাড়িতে ভাঙচুর ও হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এমনকি নির্বাচিত সদস্যের ১২ বছরের ছেলেকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ওই রাতেই বিজেপি সদস্যের বাড়িতে পৌঁছায় জেলা নেতৃত্ব। দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে শাস্তি দিতে, বিজেপির নির্বাচিত সদস্য ও দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে রাত দুটো থেকে বহরমপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের ধর্নাকে ‘চোরেদের ধর্না’ বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের ধর্নাকে ‘চোরেদের ধর্না’ বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচিকে তীব্র কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রবিবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার কথা বলতে চোরের দলেরা আজ ধর্নায় বসেছেন। তাঁরা বলছেন, বৈমাত্রিক আচরণ করছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁদের উচিত দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিবস পালন করা। প্রধানমন্ত্রী রাজনীতি নয়, রাজধর্ম পালন করেন। উত্তরপ্রদেশের পর রেল দফতরের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের ৩৭টি রেল স্টেশনে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা খরচ করে আধুনিকরণ করার সূচনা করেছেন। অন্যদিকে, তৃণমূলের এদিনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, তৃণমূল সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিতে জড়িত। তাঁদের এই সব ধর্না করা সাজে না।

    প্রয়াত বিজেপির বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের স্মরণ সভায় বিরোধী দলনেতা

    ধূপগুড়ি বিধানসভার প্রয়াত বিজেপির বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের স্মরণ সভায় যোগ দিতে ধূপগুড়িতে যান রাজ্যের বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি (Suvendu Adhikari)। রবিবার ধূপগুড়ি শহরের জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে ধূপগুড়ির বিধানসভার ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে এক স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। সেই স্মরণ সভাতেই উপস্থিত হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এদিন প্রথমে তিনি বিধায়কের বাসভবনে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। বেশ কিছুটা সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু। এরপর তিনি স্মরণ সভায় যোগ দেন। বিধায়কের শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিরোধী দলনেতা। এদিনের স্মরণ সভায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিজ্ঞা,ফালাকাটার বিধানসভা দীপক বর্মন, নাগরাকাটার বিধায়ক পুনা ভেংরা,জলপাইগুড়ির জেলার বিজেপির সভাপতি বাপি গোস্বামী সহ নেতৃত্ব বৃন্দ। স্মরণ সভায় দলীয় নেতাদের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে দলীয় কর্মী সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত ২৫শে জুলাই মঙ্গলবার কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ধূপগুড়ির বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়।

    চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    এদিন এই স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফের একবার রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পরিষেবা নিয়ে কটাক্ষ করেন। সবার আগেই রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, যে রাজ্যের সাংসদ আমেরিকাতে চোখ দেখাতে যায়, সেখানে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বলেও কিছু  আছে? পাশাপাশি যে দেশের রাষ্ট্রপতির চিকিৎসা হয় সেনা হাসপাতালে, সেই দেশের সাংসদকে আমেরিকা যেতে হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amrit Bharat Project: অমৃত ভারত প্রকল্পে রাজ্যে বহু স্টেশনে ঢালাও উন্নয়নের ঘোষণা, খুশির হাওয়া

    Amrit Bharat Project: অমৃত ভারত প্রকল্পে রাজ্যে বহু স্টেশনে ঢালাও উন্নয়নের ঘোষণা, খুশির হাওয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমৃত ভারত প্রকল্পের (Amrit Bharat Project) মাধ্যমে রাজ্যে বদলে যেতে চলেছে বহু স্টেশন। একের পর এক স্টেশন সেজে উঠবে। বদলে যাবে পরিষেবা। উন্নতমানের একের পর এক নয়া রেল স্টেশন তাক লাগাবে দেশজুড়ে। রবিবার সকালে রাজ্যের বিভিন্ন স্টেশনে এই প্রকল্পকে ঘিরে ছিল আলাদা উন্মাদনা।

    রাজ্যে কোন স্টেশনে কত টাকা বরাদ্দ?

    প্রথম দফায় ভার্চুয়ালি দেশের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন স্টেশনে এই অমৃত ভারত প্রকল্পের (Amrit Bharat Project) ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে পূর্ব রেলের আওতায় একাধিক স্টেশনের পুনর্গঠনের শিলান্যাস হল। আসানসোল, হাওড়া, মালদা, শিয়ালদহ ডিভিশনের বহু স্টেশন রয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের স্টেশনগুলিতে কতটাকা খরচ হবে? জানা গিয়েছে, আসানসোলের স্টেশনের জন্য খরচ হবে ৪৩১ কোটি টাকা। বর্ধমান স্টেশনে খরচ হবে ৬৪.২ কোটি টাকা। মালদা টাউন স্টেশনের জন্য খরচ ৪৩ কোটি টাকা। রামপুরহাটের জন্য খরচ ৩৮.৬ কোটি টাকা। কাটোয়া জংশনের জন্য খরচ ৩৩.৬ কোটি টাকা। শিয়ালদহ স্টেশনের জন্য খরচ ২৭ কোটি টাকা। বারাকপুর স্টেশনের জন্য ২৬.৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আজিমগঞ্জ স্টেশনের জন্য ৩১. ২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। অত্যাধুনিক স্টেশন পুনর্গঠনের মধ্যে থাকবে এস্কালেটর ব্যবস্থা। থাকবে পার্কিংয়ের অত্যাধুনিক সুবিধা। যাত্রী পরিষেবার পাশাপাশি এলাকার মানুষের সুবিধার জন্য এই প্রকল্প। স্টেশনগুলি পুনর্গঠনের ফলে আরও ভাল হবে যাত্রী পরিষেবা।

    অমৃত ভারত প্রকল্পে হাজির হয়ে কী বললেন বিজেপি সাংসদ, বিধায়করা?

    এদিন আজিমগঞ্জ রেল স্টেশনে অমৃত ভারত প্রকল্পের (Amrit Bharat Project) অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় উপচে পড়েছিল। রেল আধিকারিকদের পাশাপাশি বিজেপি বিধায়ক গৌরীশংকর ঘোষ হাজির ছিলেন। তিনি বলেন, এই প্রকল্প কার্যকরী হলে এই স্টেশনের ভোল বদলে যাবে। শান্তিপুর স্টেশনে হাজির ছিলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তিনি বলেন, এই রাজ্যে শুধু প্রতিহিংসার রাজনীতি হয়, উন্নয়ন কিছু হয় না। প্রধানমন্ত্রী বাংলার জন্য কী করছেন তা কিছুদিনের মধ্যে এখানকার মানুষ তা বুঝতে পারবেন। আগামীদিনে বিজেপি ভাল ফল করলে আরও উন্নয়ন হবে। আসানসোল স্টেশনে এই প্রকল্পের অনুষ্ঠানে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। তিনি বলেন, এই রাজ্যের জন্য সব সময় প্রধানমন্ত্রী বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে রয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপিকে ভোট, ছাত্রীকে কন্যাশ্রী ফর্ম না দেওয়ার হুমকি অশিক্ষক কর্মীর

    BJP: বিজেপিকে ভোট, ছাত্রীকে কন্যাশ্রী ফর্ম না দেওয়ার হুমকি অশিক্ষক কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশম শ্রেণীর ছাত্রীর পরিবার বিজেপি (BJP) করে। এটাই তার অপরাধ। আর সেই অপরাধে কন্যাশ্রীর ফর্ম না দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্কুলের এক অশিক্ষক কর্মী রামেশ্বর রায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ময়নাগুড়ি ব্লকের পানবাড়ি ভবানী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন অভিভাবক স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীনেশ সিনহাকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    জানা গিয়েছে, টুম্পা হাজরা নামে এক স্কুল ছাত্রী কয়েকদিন আগেই কন্যাশ্রীর ফর্ম নেওয়ার জন্য স্কুলে আসে। সে স্কুলে এসে অভিযুক্ত রামেশ্বর রায়ের কাছে ফর্ম চায়। অভিযোগ সেই সময় অভিযুক্ত রামেশ্বর রায় ছাত্রীকে বলেন, তোমরা যেখানে সেখানে ভোট দেবে আর কন্যাশ্রীর জন্য আমার কাছে আসবে? পরবর্তীতে নিরুপায় হয়ে স্কুলছাত্রী বাড়িতে এসে সমস্ত কথা জানায়। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী বলে এলাকায় পরিচিত। অভিযুক্ত রামেশ্বর রায় বলেন, তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। ২০১৫ সাল থেকে আমি অস্থায়ী ক্লার্ক হিসাবে কাজ করছি। আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। এটা বিজেপির (BJP)  চক্রান্ত।

    কী বললেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক?

    স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীনেশ সিনহা বলেন, বেশ কয়েকজন এসেছিল আমাকে অভিযোগ জানিয়েছে। আমার তো মনে হয় এসব ভিত্তিহীন কথা। যারা অভিযোগ জমা দিয়েছে তারা কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি। তবে, যেহেতু অভিযোগ এসেছে, সেটা তদন্ত করা হবে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    একটি স্কুলে কীভাবে রাজনীতি করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপির ময়নাগুড়ি বিধানসভার কো-অর্ডিনেটর নিতাই রায়। তিনি বলেন অন্যান্য ক্ষেত্রে তো তৃণমূল  রাজনীতি করছেই এবার ছাত্রদের ক্ষেত্রেও তাঁরা রাজনীতি ঢুকিয়ে দিল। যা খুব নিন্দনীয় বিষয়। বিজেপি নেতা জয়ন্ত রায় বলেন, বিজেপি (BJP) করার অপরাধে কন্যাশ্রীর ফর্ম দেওয়া যাবে না, এটা তাজ্জব বিষয়। আমার স্ত্রী রত্না রায় এবার ভোটে জিতেছে। সেই ছাত্রীর বাবা বিজেপি করতেই পারে। এটাই কি তার অপরাধ। অভিযুক্ত ছাত্রছাত্রীদের কাছে থেকে কন্যাশ্রী করে দেওয়ার নাম করে টাকার দাবি করেন। অভিযুক্তর শাস্তির দাবিতে  বিষয়টি আমরা প্রধান শিক্ষকের কাছে  লিখিত আকারে দিয়েছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    অন্যদিকে,তৃণমূলের ময়নাগুড়ি ১নং ব্লক সভাপতি মনোজ রায় জানান, বিজেপি (BJP) বিষয়টি পরিকল্পিত ভাবে সাজিয়েছে। তৃণমূলকে কলুষিত করার জন্য এই রকম মিথ্যা অভিযোগ এনেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share