Tag: bjp

bjp

  • Arambagh: আরামবাগ জুড়ে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য, নদী থেকে দেদার উঠছে বালি

    Arambagh: আরামবাগ জুড়ে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য, নদী থেকে দেদার উঠছে বালি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারবার অভিযোগ উঠলেও কিছুতেই কমছে না বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য। আরামবাগ (Arambagh) মহকুমা জুড়ে বিভিন্ন নদী থেকে রাতের অন্ধকারে অবৈধ ভাবে চুরি হয়ে যাচ্ছে ট্রাক্টরের পর ট্রাক্টর বালি। আবার কোথাও গরুর গাড়িতে করে চুরি হচ্ছে বালি। আরামবাগ ও গোঘাট এলাকায় এমনই বেআইনি বালি চুরিতে ক্ষতি হচ্ছে নদী বাঁধের। ফাঁকি যাচ্ছে রাজস্ব কর। তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের তুষ্ট করেই চলছে এই কারবার। ইতিমধ্যে দুদিন আগেই অভিযান চালিয়ে দুই ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করেছে আরামবাগ থানার পুলিশ। এখানেই প্রশ্ন, কেন আগে থেকে প্রশাসন কোনও ব্যাবস্থা গ্রহণ করেনি? যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব বালি মাফিয়াদের মদত দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

    কীভাবে রাতের অন্ধকারে রমরমিয়ে বালি চুরি করে মাফিয়াদের একাংশ?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোঘাট ও আরামবাগের (Arambagh) দ্বারকেশ্বর নদীতে যে সমস্ত বৈধ্য বালি খাদান ছিল তা সবই সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে। অভিযোগ, তার পরেও বেশ কয়েকটি বালি খাদান থেকে বালি চুরি হচ্ছে অবাধে। রাতের অন্ধকারে নদীতে ট্রাক্টর ও গরুর গাড়িতে করে বালি চুরি হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর এই সমস্ত বালি চুরি চলছে মাফিয়াদের একাংশের মদতে। এলাকায় তৃণমূলের দাদাদের তুষ্ট করেই বালি মাফিয়ারা এই কারবার চালাচ্ছে। প্রথমে মাফিয়াদের কাছে ট্রাক্টর পিছু ১০০০ টাকা করে তাদের তোলা দিতে হচ্ছে। তবেই ছাড় মিলছে খাদানে নামার। পরে অবশ্য বালি নিয়ে যাওয়ার আগে আরও পৃথক ভাবে তাদের শ্রমিক ও রাস্তা মেরামতি বাবদ দিতে হচ্ছে ৪০০ টাকা। এই ভাবেই প্রায় রাতের পর রাত বালি চুরি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আরামবাগে ট্রাক্টরে করে যেমন চুরির অভিযোগ উঠেছে, ঠিক তেমনি গোঘাটে গরুর গাড়িতে করে নদী থেকে বালি চুরি করে অন্য জায়গায় মজুত করা হচ্ছে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    সাধারণ মানুষের অভিযোগ, যেভাবে বালি কেটে পাচার হচ্ছে তাতে করে আরামবাগ (Arambagh) মহকুমা এলাকায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। নদী বাঁধে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। কিন্তু কেন প্রশাসন এতদিন কোনো নজরদারি চালায়নি? প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির নেতাদের বত্তব্য, শাসক দল ও পুলিশের মদতে চলছে এই বালি চুরির ঘটনা। তৃণমূলের মদতেই বালি মাফিয়াদের রমরমা শুরু হয়েছে। অবিলম্বে বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে নদী বাঁধের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rape: সপ্তাহভর লড়াই শেষ! স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মৃত্যু হল

    Rape: সপ্তাহভর লড়াই শেষ! স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মৃত্যু হল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক নাবালিকাকে অপহরণ করে গণধর্ষণ (Rape) করার অভিযোগ উঠেছিল এক সপ্তাহ আগে। ঘটনাটি কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়ি থানা এলাকার। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই নির্যাতিতা একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। গত এক সপ্তাহ ধরে লড়াই করার পর অবশেষে বুধবার ওই স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়। এই ইস্যুতে আন্দোলনে নামল বিজেপি নেতৃত্ব।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    ওই নির্যাতিতা নবম শ্রেণিতে পড়ত। গত ১৮ জুলাই সে স্কুলে গিয়েছিল। কিছুক্ষণ স্কুলে থাকার পর সে অসুস্থ বোধ করে। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে কয়েকজন যুবক অপহরণ করে তুলে নিয়ে যায়। পরে, তাকে গণধর্ষণ (Rape) করা হয় বলে অভিযোগ। সে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে উদ্ধার করে নার্সিংহোম এবং পরে হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যার পরও ওই নাবালিকা স্কুল থেকে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন চারিদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে, থানায় তারা মিসিং ডায়েরি করেন। কিন্তু, নিখোঁজ হওয়া নাবালিকাকে খোঁজার বিষয়ে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, গত এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে লড়াই করার পর তার মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার তার মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বিজেপি আন্দোলনে নামে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা নিয়ে দুদিন আগে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা কালজানি বাজারে রাস্তা অবরোধ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, স্কুল থেকে বাড়়ি ফেরার পথে অপহরণ করে গণধর্ষণ (Rape) করা হল। গত ৬ দিন ধরে ওই নাবালিকা কোথায় ছিল তা পরিবারের লোকজন জানেন না। পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরও তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে বাংলায় মেয়ের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Meeting: মধ্যরাত পর্যন্ত দিল্লিতে শুভেন্দু-সুকান্তর সঙ্গে বৈঠকে অমিত শাহ, কী নিয়ে হলো আলোচনা?

    BJP Meeting: মধ্যরাত পর্যন্ত দিল্লিতে শুভেন্দু-সুকান্তর সঙ্গে বৈঠকে অমিত শাহ, কী নিয়ে হলো আলোচনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরপর দু’দিন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah)-র সঙ্গে আলোচনায় বসলেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। সোমবারের পর মঙ্গলবারও শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) সঙ্গে বৈঠক করলেন অমিত শাহ। মঙ্গলবার রাত ১১ টা থেকে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক চলে মধ্য়রাত অবধি। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েতের ফল থেকে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা।

    রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা

    সোমবারই বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বের সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই বৈঠকে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও-র যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন,  তা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রিপোর্ট করেন সুকান্ত। দ্বিতীয় দফার বৈঠক ছিল মঙ্গলবার রাতে। আগে রাত দশটা থেকে বৈঠক শুরুর কথা ছিল। কিন্তু রাজস্থানের নেতাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে ব্যস্ত থাকায় সময় পিছিয়ে ১১টা করা হয়। সেই মতো রাত ১০টা ৪০ মিনিট নাগাদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে পৌঁছন শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার। সূত্রের খবর, দুই পর্যায়ে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক হয় শাহের। প্রথম পর্যায়ে রাজ্যের সন্ত্রাস এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে, পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং তার ফলাফলের নিরিখে সাংগঠনিক পর্যালোচনা হয়। মঙ্গলবার রাতের বৈঠকে সুকান্ত-শুভেন্দু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুনীল বনসল এবং মঙ্গল পান্ডে।

    আরও পড়ুন: মরশুমের শুরুতেই একের পর এক মৃত্যু! ডেঙ্গি সংক্রমণ হতে পারে লক্ষাধিক!

    বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। ইতিমধ্যে বাংলায় আসন সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন শাহ। লোকসভা নির্বাচনে দলকে ৩৫ আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, কয়েকঘণ্টার শাহি-বৈঠকে সংগঠন নিয়ে আলোচনা হয়। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ভাল ফল করেছিল বিজেপি। সেবার ২ থেকে একলাফে তাদের আসন বেড়ে হয়েছিল ১৮। প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: অনুব্রতর গড়ে ফের তৃণমূল কর্মীর নির্মীয়মাণ বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ, এলাকায় শোরগোল

    Bomb Blast: অনুব্রতর গড়ে ফের তৃণমূল কর্মীর নির্মীয়মাণ বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ, এলাকায় শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অনুব্রতর গড় বীরভূমে তৃণমূল কর্মীর নির্মীয়মাণ বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনা ঘটল। বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল খয়রাশোল ব্লকের লোকপুর থানার ডেমুরটিটা গ্রাম। এই গ্রামেরই একটি ফাঁকা জায়গায় স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সেখ সেরাফতের নির্মীয়মাণ বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। এই নির্মীয়মাণ বাড়িতে বালির নীচে রাখা ছিল প্রচুর পরিমাণ বোমা। আর সেই বোমাগুলোই বিস্ফোরণ হয়। ফলে এলাকা কেঁপে ওঠে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় লোকপুর থানার পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এই ঘটনার পর থেকে বাড়ির মালিক তথা তৃণমূল কর্মী পলাতক।

    কী বললেন স্থানীয় এক বাসিন্দা?

    যে জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) হয়েছে, সেই জায়গায় আরও বোমা আছে কিনা তার জন্য খবর দেওয়া হয় পুলিশের বোমা বিশেষজ্ঞদের। তারা এসে বোমা বিস্ফোরণের জায়গা মেটাল ডিটেক্টর মেশিন দিয়ে চেক করে। তাছাড়াও  বিস্ফোরণ হওয়া বাড়ি সংলগ্ন নবনির্মিত বেশ কয়েকটি বাড়িতে মেটাল ডিটেক্টর মেশিন দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। উল্লেখ্য, গ্রামে দুই গোষ্ঠী রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস ও নির্দল। সদ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই গ্রামে নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। বোমা বিস্ফোরণের বিষয়ে নির্দল সমর্থক সেখ সামিরচাঁদ বলেন, আমি সকালে উঠে বোমার বিকট শব্দ শুনি। তৃণমূল কর্মী সেখ জামালের ছেলে সেখ সেরাফতের নির্মীয়মাণ বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়। তাঁরা গ্রামকে অশান্ত করার জন্যই আনুমানিক ৭০ পিস বোমা মজুত রেখেছিল। ফাঁকা জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে বলে কোনও হতাহতের খবর নেই। বাড়ির মালিক পলাতক। তবে তাঁদের সমর্থকরা মাঠে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

    কী বললেন তৃণমূল কর্মীর পরিবারের লোকজন?

    তৃণমূল কর্মী সেখ সেরাফতের পিসি সেলিমা বিবি বলেন, যেখানে বিস্ফোরণ (Bomb Blast) হয়েছে, সেটা আমার ভাইপোর বাড়ি। কিন্তু সে বড় গাড়ি চালায়। এখানে থাকে না। ওর বাড়িতে পরিকল্পিত ভাবে বোমা রাখা হয়েছে। কারণ আমরা তৃণমূল করি। তাই আমাদের ওপরে দোষ চাপানোর জন্যই নির্দলের লোকেরা বোমগুলো রেখেছে। অন্যদিকে বিস্ফোরণ স্থলের পাশের বাড়ির মঞ্জিলা বিবি নামে এক মহিলা বলেন, আমি ঘর থেকেই বোমার আওয়াজ পেলাম। তবে কে রেখে গিয়েছে বোমাগুলো আমরা তো বলতে পারব না। এই গ্রামে এখন বিরুদ্ধ পার্টি রয়েছে। তাই এরকম ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আমরা খুব ভয়ের মধ্যেই আছি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    দুবরাজপুর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা বলেন, আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বলেছি সন্ত্রাস হবে। তাই তৃণমূল কংগ্রেস বোমা-বারুদ শিল্পে পরিণত করেছে। বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে কুলপির বিরোধী তিন প্রার্থীকে অপহরণ! অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে কুলপির বিরোধী তিন প্রার্থীকে অপহরণ! অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়তে আইএসএফের জয়ী দুই প্রার্থী এবং কংগ্রেসের এক প্রার্থীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি বিধানসভার গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের। কংগ্রেস ও আইএসএফের জয়ী প্রার্থীজোট এই পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। তাই বিরোধীদের তিনজনকে নিয়ে তৃণমূল (TMC) সেই পঞ্চায়েত দখল করতেই এমন আচরণ করছে বলে অভিযোগ।

    কেন বিরোধীদের তিন সদস্যকে তুলে নিয়ে গেল তৃণমূল (TMC)?

    জানা যায়, কুলপি বিধানসভার গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ১৫টি। নির্বাচনে ৬ টি আসনে কংগ্রেস প্রার্থীরা জয়ী হন। তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস পেয়েছে ৫ টি, আইএসএফ ২টি, বিজেপি ১টি, সিপিআইএম ১টি আসন পেয়েছে। পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে দরকার ৮ জন সদস্য। কিন্তু, তৃণমূল কংগ্রেস মোট পাঁচটি আসনে জয় লাভ করায় তাদের পক্ষে বোর্ড গঠন করা সম্ভব নয়। তাই আইএসএফের দুই জয়ী প্রার্থী এবং কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী মোজাফফর মোল্লাকে তুলে নিয়ে গিয়েছে শাসক দলের গাজিপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম মোল্লা। এমনটাই অভিযোগ দুই রাজনৈতিক দলের কর্মকর্তাদের।

    কী বললেন আইএসএফ নেতৃত্ব?

    আইএসএফের ব্লক নেতৃত্বের অভিযোগ, গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে শাসক দল (TMC) বোর্ড গঠন করতে না পেরে আইএসএফ  ও কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীদের বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তা নেওয়া হয়নি।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিরুদ্ধে ওঠা  অভিযোগ অস্বীকার করেন গাজিপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম মোল্লা। তিনি বলেন, কাউকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়নি। তাঁরা স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। নিখোঁজ জয়ী প্রার্থীদের খোঁজ না মিললেও জয়ী প্রার্থীরা ভিডিও বার্তার মাধ্যমে জানান, তাঁরা নিরাপদ জায়গায় রয়েছেন এবং নিজেদের ইচ্ছায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন। অবশ্য জয়ী বিরোধী দলের ৩ পঞ্চায়েত সদস্য কোথায় রয়েছেন, তার হদিশ নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: মারধর করে বিজেপি কর্মীর চোখ নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    South 24 Parganas: মারধর করে বিজেপি কর্মীর চোখ নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট মিটলেও সন্ত্রাস কমেনি বিন্দুমাত্র। জেলায় জেলায় (South 24 Parganas) বিরোধীদের ওপর হামলা চলছেই। এখনও ঘরছাড়া বহু বিজেপি কর্মী। সাত-আটমাসের শিশুদের নিয়েও বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের জেলা অফিসে আশ্রয় নিতে দেখা গিয়েছে। ফের একবার বিজেপির বুথ সভাপতিকে মারধর করে চোখ নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে। রায়দিঘির খাঁড়ি শাসন (South 24 Parganas) এলাকায় এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, একই ঘটনা ঘটেছিল ঠিক পঞ্চায়েত ভোটের আগে। আহত বিজেপির বুথ সভাপতির নাম গোপাল অধিকারী বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    আহত বিজেপির বুথ সভাপতির অভিযোগ, রবিবার রাতে রায়দিঘির খাঁড়ি শাসন পাড়ায় (South 24 Parganas) হঠাৎই তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা দলবল নিয়ে গোপাল অধিকারীর উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে গোপাল অধিকারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সোমবার রায়দিঘি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপির বুথ সভাপতি। অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুন: ‘উত্তরবঙ্গের প্রতি ফোকাসটা কম, পিছিয়ে পড়া মনে হয়’, একী বললেন তৃণমূলের মেয়র গৌতম দেব

    কী বলছেন আক্রান্ত?

    আক্রান্ত গোপাল অধিকারীর ডান চোখে ব্যাপক আঘাত লেগেছে। রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে চোখের আশেপাশে। হাসপাতালে বসে থেকে গোপাল বলেন, ‘‘আনোয়ার হোসেনের লোকজন দল বেঁধে হামলা চালায় আমার ওপর। পঞ্চায়েত ভোট থেকেই আমাকে টার্গেট করেছে ওরা। সেসময় এলাকায় বোমাবাজি করে চলে যায় ওরা। তবে ভোটের পরে দেখে নেওয়ার হুমকি তারা দিচ্ছিল। এদিন তারা আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে চোখে ঘুষি চালাতে থাকে। আমি বারবার বলার চেষ্টা করেছিলাম, আমি তো তোমাদের কোনও ক্ষতি করিনি, কিন্তু তাও ওরা মারতে থাকে আমাকে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: আমতায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা, শুনলেন ক্ষতিগ্রস্তদের কথা

    BJP: আমতায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা, শুনলেন ক্ষতিগ্রস্তদের কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার আমতা সহ বিভিন্ন জেলায় পঞ্চায়েত ভোটে গোলমালের কারণ খুঁজতে একের পর এক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম রাজ্যে পাঠাচ্ছে বিজেপি (BJP)। দলীয় সাংসদদের প্রতিনিধি দলের পর সম্প্রতি গেরুয়া শিবিরের মহিলা সাংসদদের প্রতিনিধিরা ঘুরে গিয়েছেন বাংলা থেকে। এ বার তফশিলি সাংসদদের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম এল আমতায়। আমতার কাঁকরোলে ভোটের পর বিজেপি কর্মীদের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তা খতিয়ে দেখতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন তফশিলি সাংসদ দলের সদস্যরা। যদিও এই প্রতিনিধি দল আসার আগে আমতায় রাস্তা আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে, তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছন।

    কী বললেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা?

    বিজেপির (BJP) তফশিলি সাংসদদের এই দলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মনোজ রাজরি, এস মুনিস্বামী। তাঁরা বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে রাজ্যে তফশিলি সম্প্রদায়ের ২৮ জন মানুষ খুন হয়েছেন। বিজেপির যে ১০ জন মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৮জন তফশিলি।’ মনোজের অভিযোগ, ‘বাংলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। পুলিশ রাজ্য সরকারের হয়ে কাজ করছে। আমতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সঙ্গে কথা বলে সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁরা জানান,  এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলেন। অথচ এই রাজ্যে গণতন্ত্রকে কিভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে তা আপনারা (সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন) সারা দেশের সামনে তুলে ধরুন। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যেই মহিলাদের উপর সব থেকে বেশি নির্যাতন চলছে। গরিব ও দলিত মানুষদের উপর সব থেকে বেশি অত্যাচার হয়েছে। তাদের অভিযোগ, পুলিশ ঠিক মতো তাদের দায়িত্ব পালন করেনি। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে সব ঘটনার পুনরায় তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে।

    প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সামনে কী বললেন ক্ষতিগ্রস্তরা?

    প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে যখন বক্তব্য রাখছিলেন তখন ক্ষতিগ্রস্ত মহিলারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সামনে তাঁরা বলেন, আমাদের ঘরবাড়ি, দোকান ঘর সবকিছু ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা কোথায় থাকব তা ভেবে পাচ্ছি না। মনোজ রাজরি তখন তাদের শান্ত্বনা দিয়ে বলেন, আপনারা চিন্তা করবেন না। সব অপরাধীরা সাজা পাবে। তিনি বলেন, এই বোনেদের চোখের জল মমতা দিদির সরকারকে ডোবাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপির কেন্দ্রীয় দল হুগলির সন্ত্রাস-কবলিত এলাকা পরিদর্শন করল রবিবার

    BJP: বিজেপির কেন্দ্রীয় দল হুগলির সন্ত্রাস-কবলিত এলাকা পরিদর্শন করল রবিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে লাগামছাড়া সন্ত্রাসের সাক্ষী থেকেছে রাজ্যবাসী। ভোট পরবর্তী ‘হিংসা’র ঘটনায় এখনও ঘরছাড়া বহু বিজেপি (BJP) কর্মী। পরিস্থিতির খোঁজ নিতে এবং সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে বাংলায় এসেছে বিজেপির আরও একটি প্রতিনিধি দল। এই দলটি তফশিলি সম্প্রদায়ের পাঁচ সাংসদ নিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

    হুগলির তারকেশ্বর ও আরামবাগের সন্ত্রাস কবলিত এলাকা পরিদর্শন

    দলটি রবিবার হুগলির তারকেশ্বর ও আরামবাগের সন্ত্রাস কবলিত কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখে। বিজেপির (BJP) অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের দিন থেকে সেই জায়গাগুলিতে ‘সন্ত্রাস’ চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, শাসকদলের হুমকির রোষে বিজেপির বহু কর্মী-সমর্থক ঘরছাড়া। ভোটের দিন যে সব দলীয় কর্মী তৃণমূলের হাতে মার খেয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে দেখা করে বিজেপির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার সংবিধান মেনে কাজ না করলে এবং বিজেপি কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।’’

    কী বলছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা 

    রবিবার বিকেল নাগাদ তারকেশ্বরের পিয়াসাড়া নাইটা মালপাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মালপাহাড়পুর ও রামচন্দ্রপুর গ্রামে যায় বিজেপির তফশিলি সম্প্রদায়ের ওই দল। দলে ছিলেন বিনোদ সোনকর, সুরেশ কশ্যপ, এস মুনিস্বামী, মনোজ রাজোরিয়া এবং বিনোদ চাবড়া। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব বলছেন, ‘‘ভোটের দিন মালপাহাড়পুরের ১৪৮ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী নীলকান্ত বাগ-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি (BJP) কর্মীর উপর হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগেই রাস্তায় তাঁদের বাঁশ, লাঠি, রড দিয়ে মারধর করা হয়। সেই ঘটনায় নীলকান্ত, তাঁর বুথ এজেন্ট সঞ্জিত মাজি এবং বিজেপি কর্মী সাগর রুইদাস গুরুতর জখম হন। তাঁদের তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয় আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে।’’ এই দলটি সঞ্জিতের বাড়িতে যায়। সেখানে তাঁর পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলে তারা। রবিবার সন্ধ্যায় আরামবাগের পার্টি অফিসেও যায় কেন্দ্রীয় দলটি। দলের সদস্য বিনোদ সোনকর বলেন, ‘‘তৃণমূলের অত্যাচারে আমাদের দলের কর্মীরা ঘরছাড়া। পুলিশের মদতে তৃণমূল কর্মীরা বিজেপির কর্মীদের হামলা করেছে। এর দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিতে হবে। কারণ, তিনিই পুলিশমন্ত্রী। সংবিধান মেনে কাজ হোক। সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক। না হলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।’’ বিনোদ সোনকরের আরও সংযোজন, ‘‘এখানে পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়ে রাখছি, তারা একটা রাজনৈতিক দলের মতো কাজ করছে। সেটা বন্ধ করতে হবে। তারা যদি এ রকম কাজ করতে থাকে, তা হলে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে যে রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও একই রকম পদক্ষেপ করা হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: ভোট বিজেপিতে, তাই হচ্ছে না রাস্তা! প্রতিবাদে অবরোধ করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

    Purba Bardhaman: ভোট বিজেপিতে, তাই হচ্ছে না রাস্তা! প্রতিবাদে অবরোধ করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি প্রভাবিত গ্রাম। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও শাসক বিরোধী ভোট পড়েছে বিজেপিতে। ঠিক এই অভিযোগে রাস্তা সারাইয়ে দ্বিচারিতা রাজ্যের তৃণমূল সরকারের। আর তাই বেহাল রাস্তা সারানোর দাবিতে অবরোধ করলেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। রবিবার ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) বুদবুদের চাকতেঁতুল পঞ্চায়েতের বনগ্রাম ও গোমহল এলাকায়।

    মূল সমস্যা কী (Purba Bardhaman)?

    বুদবুদের চাকতেঁতুল পঞ্চায়েতের (Purba Bardhaman) ডিভিসি ক্যানালের লকগেট থেকে পান্ডুদহ সেতু পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তা। সেচ ক্যানালের পাড়ে এই রাস্তার ওপর রয়েছে বনগ্রাম, গোমহল সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। এছাড়াও ওই রাস্তার ওপর নির্ভর করে রয়েছে কয়েকশো হেক্টর চাষজমিও। লাল মোরামের ওই রাস্তাটি একদশকের বেশি সময় ধরে বেহাল দশায়। খানাখন্দে ভর্তি। কোথাও আবার এক হাঁটু গর্ত। বৃষ্টিতে আরও বেহাল হয়ে পড়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীদের। বেহাল রাস্তায় সমস্যায় পড়তে হয় স্কুল পড়ুয়া থেকে রোগীদের। জানা গেছে, গত অর্থ বছরে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ থেকে ১ কিলোমিটার রাস্তা পিচ করার অনুমোদন দেয়। বাকি প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় আরও বেহাল হয়ে পড়েছে। এছাড়াও অভিযোগ, ওই রাস্তার ওপর দিয়ে অবৈধ বালি বোঝাই ট্রাক্টরের অবাধ আনাগোনা। দামোদর নদের শাঁকুড়ি, শালডাঙা ঘাট থেকে দিন-রাত চলে অবৈধ বালিবোঝাই ট্রাক্টর। তার জেরে মোরামের ওই রাস্তা ভেঙে পড়েছে। বছর দুয়েক আগেও গ্রামবাসীরা রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে সরব হয়েছিল। গোটা রাজ্য যখন রাস্তাশ্রী, পথশ্রীতে মাতোয়ারা, সেখানে এই চিত্র প্রতিহিংসার ছবি ছাড়া আর কিছুই না।

    গ্রামবাসীদের বক্তব্য

    ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা (Purba Bardhaman) জানান, “গ্রামে ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজে, হাসপাতাল ও বাজারে যাওয়ার একমাত্র অবলম্বন এই রাস্তা। বর্ষায় এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। সাইকেল মোটরবাইক নিয়ে চলাচল দূর অস্ত, পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টকর হয়ে উঠেছে।” বাসিন্দারা আরও জানান,”বনগ্রাম, গোমহল থেকে পূর্ব ও পশ্চিম দুদিকে কমপক্ষে আড়াই কিলোমিটার কর্দমাক্ত, খানাখন্দে ভরা রাস্তায় হেঁটে যেতে হয়। তারপর একটু ভালো রাস্তা পাওয়া যায়। বহুবার প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। কাজের কাজ হয়নি। চরম দুর্ভোগে গ্রামবাসীরা।”

    বিজেপির বক্তব্য

    স্থানীয় (Purba Bardhaman) বিজেপি কর্মী, বর্ণালী মাজি জানান, “রাজ্যে পরিবর্তনের সরকার ক্ষমতায় আসার পর গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ওই রাস্তাটি পাকা হবে। ১২ বছরে এখনও পাকা হয়নি। গ্রামবাসীরা বেহাল রাস্তা নিয়ে ‘দিদিকে বলো’তে অভিযোগ করেছিল, ছবি তুলেও পাঠিয়েছিল। তারপরও রাস্তাটি সারানো হয়নি।” আরেক বিজেপি নেতা প্রদ্যুত মণ্ডল বলেন,”সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোটেও ১১ টি গ্রাম সংসদে বিজেপির ভোট বেশি থাকায় রাজ্যের তৃণমূল সরকার রাস্তাটি সংস্কারে উদ্যোগ নেয়নি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূল পরিচালিত চাকতেঁতুল (Purba Bardhaman) পঞ্চায়েতের প্রাধান অশোক ভট্টাচার্য্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,”রাস্তাটি নতুন করে তৈরির জন্য জেলায় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। পর্যায়ক্রমে পিচ রাস্তা তৈরির উদ্যোগ জেলা পরিষদ নিয়েছে। ১ কিলোমিটার পিচ হয়েছে। বাকি রাস্তা খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ঢোলাহাটে বিজেপি নেতার ধানের জমিতে বিষ দেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    BJP: ঢোলাহাটে বিজেপি নেতার ধানের জমিতে বিষ দেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতার জমিতে বিষ দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাট থানার রামগোপালপুর অঞ্চলের হরেন্দ্রনগর ঠাকুরচক গ্রামে। বিজেপি নেতার নাম হরেন্দ্রনাথ কামিলা। তিনি বিজেপির স্থানীয় অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রয়েছে। ইতিমধ্যে বিজেপি নেতার পরিবারের লোকজনের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    বিজেপি (BJP) নেতা হরেন্দ্রনাথবাবুদের যৌথ পরিবার। অন্যান্য ভাইয়ের সঙ্গে তাঁদের প্রায় ৪০ থেকে ৫০ বিঘা জমি রয়েছে। সেই জমিতেই হরেন্দ্রনাথবাবু সহ অন্যরা ধান চাষ করেছিলেন। বিঘার পর বিঘা জমিতে ঘাস মারার বিষ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যার জেরে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ বিঘা চাষের জমি এখন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সকাল বেলা স্থানীয় বাসিন্দারা জমির এমন অবস্থা দেখে তড়িঘড়ি খবর দেন বিজেপি নেতা ও তাঁর দাদা বাদল কামিলাকে। সঙ্গে সঙ্গে মাঠে পৌঁছে তাঁদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। ৪০ থেকে ৫০ বিঘা জমিতে  ধান চাষের বীজ চাষ করেছিল ওই কামিলা পরিবার। সারাবছর চাষবাসের ওপর নির্ভর করেই সংসার চলে ওই চাষি পরিবারের। কিন্তু কীভাবে চলবে সারাটা বছর অঝর নয়নে কেঁদে চলেছেন বিজেপি নেতার ৯০ বছরের বৃদ্ধ মা দ্রৌপদী কামিলা।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতা?

    বিজেপি (BJP) নেতা হরেন্দ্রনাথ কামিলা বলেন, আমি বিজেপির এই অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের হয়ে কাজ করেছি। ভোট শেষ হওয়ার পরই বিঘার পর বিঘা জমির ধান নষ্ট করে দেওয়া হল। পরিকল্পিতভাবেই করা হয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই এই কাজ করেছে। এই ঘটনায় ঢোলাহাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয় নিয়ে তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চলের সহ-সভাপতি সত্যেন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, যারা দোষ করেছে তারা উপযুক্ত শাস্তি পাবে। তবে, শাসক দল এমন ঘটনায় কোনওভাবেই যুক্ত নয়। তবে, প্রশ্ন উঠছে পঞ্চায়েতে বিজেপি করার জন্যই কী পরিকল্পিতভাবে পুড়িয়ে দেওয়া হল, না এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ। তদন্ত শুরু করেছে ঢোলাহাট থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share