Tag: bjp

bjp

  • BJP: ঘাটালে বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: ঘাটালে বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) জয়ী প্রার্থীর বাড়ি লক্ষ্য করে প্রথমে ঢিল, তারপর বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের সুলতানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাইতিচক গ্রামে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    সুলতানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কাকলি কুড়েল নামে বিজেপি (BJP)  প্রার্থী জয়ী হন। জয়ী হওয়ার পর থেকেই শাসক দলের পক্ষ থেকেই হুমকি দেওয়া হয়। ঘাটাল ব্লকের ২১ টি আসন বিশিষ্ট এই সুলতানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোটের ফলাফল ত্রিশঙ্কু হয়। তৃণমূল-১০ টি,বিজেপি-১০ টি ও নির্দল-১ টি করে আসনে জয়ী হয়। ফল, ঘোষণার পরই ঘাটাল ব্লকে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের গোপন ডেরায় রেখেছিল বিজেপি। দিন দুয়েক আগে সুতলানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাইতিচক গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন বিজেপির এই জয়ী প্রার্থী কাকলি কুড়েল। আর তারপরই শনিবার সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ বিজেপি প্রার্থীর বাড়ি লক্ষ্য করে প্রথমে বেশ কয়েকবার ঢিল ছোঁড়া হয়। তারপরই রাত নাগাদ বোমা ছোঁড়া হয় বোম ফাটার আওয়াজ পাওয়া যায়। বোমার আওয়াজ পেয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসে পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে প্রতিবেশীরা। ঢিল ছোঁড়ার জেরে প্রার্থীর টালির ছাউনির কিছু অংশ ভেঙে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে প্রার্থীর বাড়িতে যান স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    কী বললেন বিজেপির (BJP) জয়ী প্রার্থী?

    বিজেপির (BJP) জয়ী প্রার্থী কাকলি কুড়েল বলেন, ভোটে জয়ী হওয়ার পর থেকেই তৃণমূল লাগাতার হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। এতদিন বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ছিলাম। গ্রামে ফিরতেই বাড়ি লক্ষ্য করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করে। আসলে ওরা সন্ত্রাস করে আমাদের এলাকা ছাড়া করতে চাইছে। এই ঘটনায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যদিও এবিষয়ে স্থানীয় তৃনমূল নেতৃত্ব পুরো ঘটনা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda Incident: মালদাকাণ্ডে রাজ্যে আসছে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল

    Malda Incident: মালদাকাণ্ডে রাজ্যে আসছে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই মহিলাকে নগ্ন করে বেধড়ক মারধরের ভিডিও সামনে এসেছে মালদায় (Malda Incident) (যদিও এর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। মধ্যযুগীয় বর্বরতার এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দায় সরব হয়েছে সব মহল। এবার এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে ট্য়ুইট প্রকাশ্যে জাতীয় মহিলা কমিশনের (National Commission for Women)। অন্যদিকে মহিলা কমিশনের টিমও মালদায় (Malda Incident) আসবে বলে জানিয়েছেন এনসিডাব্লু-এর প্রধান রেখা শর্মা। অন্যদিকে শনিবার থেকেই মালদা জেলা পুলিশ সুপারের দফতরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিজেপি। রবিবার সকালে বিক্ষোভস্থলে ত্রিপল লাগানোর ব্যবস্থা করে বিজেপি নেতৃত্ব। অভিযোগ, সেসময় পুলিশ ব্যাপকভাবে লাঠিচার্জ করে। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, পুলিশ সুপার যতক্ষণ না দফতরে আসছেন ততক্ষণ এই বিক্ষোভ চলবে। সাংসদ খগেন মুর্মুর নেতৃত্বে চলছে ধর্না কর্মসূচি।

    কমিশনের ট্যুইট

    কমিশনের ট্য়ুইটার হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করা হয়েছে শনিবার। সেখানে বলা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গের মালদায় (Malda Incident) আদিবাসী মহিলার উপর যে নির্মম অত্যাচার হয়েছে তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার। এনসিডব্লু দ্রুত ব্যবস্থা চায়। পুলিশকে আইপিসি মেনে দোষীদের গ্রেফতার করার জন্য বলা হচ্ছে।’

    কী বললেন মহিলা কমিশনের প্রধান?

    এনসিডব্লু প্রধান রেখা শর্মা বলেন, “গত কয়েকদিনে এরকম একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। এক মহিলাকে নগ্ন করে মারধর করা হয়েছে। পুরুষ মহিলা সকলে ছিলেন সেখানে। আমি একটি দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। ওরা বলছে ওই দুই মহিলার কোনও খবর নেই। ওনারা কোথায় আছেন জানা নেই। পুলিশ ওনাদের মেডিক্যাল করেনি। যারা করেছে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের কোনও উদ্যোগও নেই। পরিবার চিন্তিত। জাতীয় মহিলা কমিশন সুয়োমোটো নিচ্ছে। আমার টিম ওখানে যাবে। সমস্যা একটাই ওখানে পুলিশ কিছু করছে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: দলীয় নেতা খুনে রবিবার ইসলামপুরে ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকল বিজেপি, কেমন প্রভাব পড়ল?

    BJP: দলীয় নেতা খুনে রবিবার ইসলামপুরে ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকল বিজেপি, কেমন প্রভাব পড়ল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোলাবাজির প্রতিবাদ করায় শনিবার দুষ্কৃতীদের হামলায় খুন হন বিজেপি যুব মোর্চার নগর মণ্ডল কমিটির সম্পাদক অসীম সাহা। এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার ইসলামপুরে ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকল বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের দাবি, অসীম সাহাকে রাজনৈতিক স্বার্থে ইচ্ছাকৃতভাবে খুন করা হয়েছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তি এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিতেই বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে।

    কী বললেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার?

    ইসলামপুরে বিজেপির বনধ ডাকার পরই শনিবার রাতে তড়িঘড়ি সাংবাদিক সম্মেলনের ডাক দেয় ইসলামপুর জেলার পুলিশ। শনিবার গভীর রাতে ইসলামপুর থানায় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল থানার আইসি সন্দীপ চক্রবর্তীকে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইসলামপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে টাকা-পয়সা লেনদেনের ঘটনা থেকেই তর্ক শুরু হয়, তারপরেই এই ঘটনা ঘটে। যদিও এখনও পর্যন্ত লিখিত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। ঘটনা ঘটার প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই অভিযুক্ত মহঃ সাহিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাকে ইসলামপুর আদালতে পেশ করা হবে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। অপরদিকে, বিজেপির আনা তোলাবাজি ও তৃণমূলের মদতের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ভিত্তিহীন অভিযোগ। এই ঘটনার সাথে রাজনৈতিক কোনও ব্যাপার নেই। টাকাপয়সা লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় থাকতে পারে। তা আমরা তদন্ত করে দেখছি। পাশাপাশি, এদিন বিজেপির ডাকা ১২ ঘন্টা ইসলামপুর বনধের বিষয়ে তিনি বলেন, “পুলিশ মোতায়েন থাকবে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জোরপূর্বক বনধ কোথাও করতে দেওয়া হবে না।”

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    ইসলামপুর শহরের বীজহাট্টি এলাকায় রতন সাহা নামে এক বস্ত্র ব্যবসায়ীর কাছে দীর্ঘদিন ধরে মহঃ তফিক নামে এক যুবক মিথ্যা গল্প সাজিয়ে বকেয়া টাকার নাম করে ওই ব্যবসায়ীকে চাপ দিতে শুরু করে বলে অভিযোগ। ওই যুবক কিছুদিন আগে তার কিছু বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে ওই বস্ত্র ব্যবসায়ীর কাছে টাকা আদায়ের জন্য দোকানে এসে ঝামেলা সৃষ্টি করে। ওই বস্ত্র  ব্যবসায়ীকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেয় অভিযুক্তরা। শনিবার  সকালে ওই বস্ত্র ব্যবসায়ীর দোকানে মহঃ সাহিল নামে অপর এক যুবক তোলা চাইতে আসে। তোলা নিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি করে। তখন দোকান মালিকের ভাগ্নে তথা বিজেপি নেতা অসীম সাহা সেখানেই ছিলেন। তিনি তোলাবাজির প্রতিবাদ করায় তাঁকে চাকু দিয়ে একাধিক জায়গায় আঘাত করে বলে অভিযোগ। তাঁকে বাঁচাতে গেলে এই ঘটনায় স্থানীয় অপর এক যুবক আহত হয়। এরপর ওই অভিযুক্ত ওই যুবক ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। আহতদের উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আহত অসীমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। পরবর্তী সময়ে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় অসীম সাহার। শনিবার বিজেপির পক্ষ থেকে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির সহ-সভাপতি সুরজিৎ সেন জানিয়েছেন, যেভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে দলীয় নেতাকে খুন হতে হল তা অত্যন্ত দুঃখের। আমরা সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করেছিলাম বনধ সফল করার জন্য। মানুষ আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছে। গভীর রাতে বনধের নোটিশ দেওয়ার কারণে অনেকেই হয়তো বনধের খবর জানে না। তাই তারা রাস্তায় নেমেছে। আমরা সাধারণ মানুষের দাবিতে ও তাদের সুরক্ষার দাবিতে শান্তিপূর্ণ বনধ ডেকেছি। আমরা রাস্তা অবরোধ করে পিকেটিং করে বনধ আরও জোরালো করতে পারতাম। কিন্তু সাধারণ মানুষের কথা ভেবে আমরা তা করছি না।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: ‘বাড়ি ঘেরাও’ কর্মসূচি! মমতা-অভিষেকের বিরুদ্ধে এফআইআর শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘বাড়ি ঘেরাও’ কর্মসূচি! মমতা-অভিষেকের বিরুদ্ধে এফআইআর শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ থেকে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও-এর নিদান দিয়েছিলেন মমতা-অভিষেক। এবার এই ঘটনায় হেয়ার স্ট্রিট থানায় শনিবার এফআইআর করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অভিযোগপত্রে বিরোধী দলনেতার দাবি, তৃণমূলের ওই কর্মসূচিতে বিজেপি নেতাদের প্রাণহানি হতে পারে। এমনকি, তাঁরও। অভিযোগপত্রে তিনি মমতা এবং অভিষেকের বক্তৃতার অংশও তুলে ধরেছেন। তাঁর মতে, এই ধরনের বক্তব্য ‘ঘৃণাভাষণ’।

    হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে দুর্নীতি সামনে আসায় তাতে অনুদান বন্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ইস্যুতে আগামী ২ অক্টোবর দিল্লি অভিযানের কর্মসূচি ঘোষণা করেন অভিষেক। পাশাপাশি তিনি, আগামী ৫ অগাস্ট বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও-এর কথাও বলেন। তিনি বলেন, ‘‘সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করে রাখবেন! একদম গণঘেরাও! বাড়ির কেউ বয়স্ক থাকলে তাঁকে ছেড়ে দেবেন। আর কাউকে ঢুকতেও দেবেন না, বেরোতেও দেবেন না।’’ এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ওই কর্মসূচিতে সামান্য বদল করেন। তিনি বলেন, বুথে নয়, প্রতি ব্লকে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও হবে। তৃণমূলের এহেন কর্মসূচিকে ‘উস্কানিমূলক’ বলে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ওয়াকিবহাল মহলও বলছে, এতে নিশ্চিতভাবে হিংসা ছড়াবে। তৈরি হবে অশান্তির বাতাবরণ।

    রবীন্দ্র সরোবর থানাতেও অভিযোগ দায়ের অভিষেকের বিরুদ্ধে

    এই ইস্য়ুতে রবীন্দ্র সরোবর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি নেতা রাজর্ষি লাহিড়ীও। রাজর্ষির অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের শহিদ দিবসের সভা চলাকালীন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ৫ অগাস্ট সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত বাংলার বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের কথা বলেন। এই বক্তব্য শুধুমাত্র গণতন্ত্র বিরোধী নয়, আইনেরও লঙ্ঘন। ভারতের পবিত্র সংবিধানে দেশের প্রতিটি নাগরিককে স্বাধীনভাবে চলাফেরার করার মৌলিক অধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই ধরনের বক্তব্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে স্বীকৃত।’’ ঘটনাক্রমে অভিষেকের ঘোষণার পরেই রাজু হালদার নামে যুবমোর্চার এক কর্মীকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রাজর্ষি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Violence Against Women: মমতা জমানায় নগ্ন করে নারী নির্যাতন! রইল অমানবিক ১০টি ঘটনা

    Violence Against Women: মমতা জমানায় নগ্ন করে নারী নির্যাতন! রইল অমানবিক ১০টি ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  নারী নির্যাতনে (Violence Against Women) পশ্চিমবঙ্গ দেশের প্রথম সারিতে রয়েছে, বিরোধীদের এই দাবিকে ইতিমধ্যে সিলমোহর দিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। অন্যদিকে নারীদের ওপর ঘটে চলা অত্যাচারও বলছে, মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে ভাল নেই বাংলার মেয়েরা। মণিপুরের জন্য কেঁদে ভাসাচ্ছেন যে তৃণমূল নেত্রী, তাঁর শাসনে কেমন রয়েছেন বাংলার নারীরা? রাজনৈতিক অরাজনৈতিক মিলিয়ে মহিলা নির্যাতন যেন রুটিন কর্মসূচি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নাম উঠে আসছে শাসকদলের মদতপুষ্ট সমাজ বিরোধীদের। ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নারী নির্যাতনের গুরুতর অপরাধগুলিকে নিয়ে বঙ্গ বিজেপির ট্য়ুইট সামনে এসেছে। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, কন্যাশ্রী ও রূপশ্রীর মুখোশের আড়ালে এ কোন বাংলা? যা নারীদের বধ্যভূমি হয়ে গিয়েছে।

    বিগত ৭ বছরে মহিলাদের ওপর হওয়া অপরাধ

    ২১ জুলাই ২০২৩, মালদা

    মালদার মানিকচকে প্রকাশ্যে নগ্ন (Violence Against Women) করে দুই মহিলাকে মারধরের মধ্যযুগীয় বর্বরতা সামনে আসে। সব থেকে আর্শ্চয্যজনক তথ্য হল, মমতার পুলিশের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

    ৮ জুলাই ২০২৩, হাওড়া

    পঞ্চায়েত ভোটের দিন বিজেপির এক মহিলা প্রার্থীকে নগ্ন করে অত্যাচার চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    ২৬ অক্টোবর ২০২২, মুর্শিদাবাদ

    মধ্যযুগীয় বর্বরতার আরও চিত্র দেখা যায় মুর্শিদাবাদে। দুইজন সমকামী মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানো হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে।

    ২৪ জুলাই ২০২২, দক্ষিণ দিনাজপুর

    একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের ভিড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার একটি স্কুলে চড়াও হয় এবং মহিলা শিক্ষিকাকে প্রায় নগ্ন করে। ওই শিক্ষিকার অপরাধ, তিনি শৃঙ্খলা শিখিয়েছিলেন ছাত্রীদের।

    ১৫ মে ২০২২, মালদা

    বাড়িতে একা পেয়ে তিন যুবক এক মহিলাকে ধর্ষণের (Violence Against Women) চেষ্টা করে। ওই মহিলা বাধা দিলে তাঁকে বিবস্ত্র করা হয় এবং নানা ভাবে মানসিক নির্যাতনও চলে সঙ্গে। এই ঘটনার পরেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীরব থাকেন।

    ১৫ জুন ২০২১, আলিপুরদুয়ার

    ৩৫ বছর বয়সী এক মহিলাকে নগ্ন করে গোটা গ্রামে ঘোরানো হয়। রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী চুপ থাকেন এই ঘটনার পরেও।

    ১৯ অক্টোবর ২০১৯, বীরভূম

    বীরভূমে এক মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়। যারা ওই মহিলাকে উদ্ধার করতে যায়, তাদের ওপরেও চড়াও হয় সমাজবিরোধীরা। এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে নারীর সম্মান।

    ১৭ মে ২০১৮, কলকাতা

    কলকাতার সেন্ট পল ক্য়াথিড্রাল কলেজে এক ছাত্রীকে জোর পূর্বক বিবস্ত্র করানো হয়। এবং পুরো ঘটনা ক্য়ামেরাবন্দী করে সোস্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল করা হয়।

    ১৮ মার্চ ২০১৭, কলকাতা

    কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি এবং বিবস্ত্রের অভিযোগ ওঠে। এক রাজনৈতিক কর্মীকে চেক করার নামে এই কাজ করে পুলিশ। যদিও কোনও বিবৃতি শোনা যায়নি পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের তরফ থেকে।

    ২৫ জুলাই ২০১৬, মালদা
     
    মালদায় এক বয়স্কা মহিলাকে বিবস্ত্র করে বাঁ হাতের দুটো আঙুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়লেও চুপ ছিলেন রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তোলাবাজির প্রতিবাদ করায় ইসলামপুরে বিজেপি নেতাকে খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: তোলাবাজির প্রতিবাদ করায় ইসলামপুরে বিজেপি নেতাকে খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোলাবাজির প্রতিবাদ করতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হলেন এক বিজেপি (BJP) নেতা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজদপুরের ইসলামপুর এলাকায়।  পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অসীম সাহা। তিনি বিজেপি যুব মোর্চার নগর কমিটির সম্পাদক ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ইসলামপুরে বস্ত্র ব্যবসায়ী রতন সাহার ভাগ্নে। বিজেপি নেতা খুন হওয়ার প্রতিবাদে দলীয় নেতা কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলায় এই খুনের ঘটনা ঘটেছে।  পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার দাবি তুলে ইসলামপুরের শিবডাঙ্গী এলাকায় বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে ৩১ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভে সামিল হন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ইসলামপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের সঙ্গে বাগ-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভের পর অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

     ইসলামপুর শহরের বীজহাট্টি এলাকায় রতন সাহা নামে এক কাপড় ব্যবসায়ীর কাছে দীর্ঘদিন ধরে মহঃ তফিক নামে এক যুবক মিথ্যা গল্প সাজিয়ে বকেয়া টাকার নাম করে জোর করে টাকার জন্য ওই ব্যবসায়ীকে চাপ দিতে শুরু করে বলে অভিযোগ। ওই যুবক কিছুদিন আগে তার কিছু বন্ধু বান্ধবকে নিয়ে ওই কাপড় ব্যবসায়ীর কাছে টাকা আদায়ের জন্য দোকানে এসে ঝামেলা সৃষ্টি করে। ওই কাপড় ব্যবসায়ীকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেয় অভিযুক্তরা। শনিবার  সকালে ওই কাপড় ব্যবসায়ীর দোকানে মহঃ সাহিল নামে অপর এক যুবক আবার টাকা আদায়ের জন্য ঝামেলা সৃষ্টি করে। তখন দোকানেই ছিলেন রতনবাবুর ভাগ্নে তথা বিজেপি (BJP) নেতা অসীম সাহা। তিনি তোলাবাজির প্রতিবাদ করায় তাঁকে চাকু দিয়ে একাধিক জায়গায় আঘাত করে বলে অভিযোগ। তাকে বাঁচাতে গেলে এই ঘটনায় স্থানীয় অপর এক যুবক জখম হন। এরপর অভিযুক্ত ওই যুবক দলবল নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। আহতদের উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। জখম বিজেপি নেতা অসীমবাবুর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরবর্তী সময়ে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় অসীম সাহার। ইসলামপুর থানার পুলিশ তদন্ত নেমে অভিযুক্ত মহঃ সাহিলকে  গ্রেফতার করে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপি (BJP) নেতার মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা এলাকা জুড়ে। এ ঘটনায় প্রতিবাদে এলাকার সমস্ত দোকানপাট বন্ধ রাখা হয় ইসলামপুর ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে। অপরদিকে স্থানীয় বিজেপির যুব নেতা রথীন দাস বলেন, নিহত অসীম সাহা বিজেপির যুব নগর কমিটির সম্পাদক পদে ছিলেন। তোলাবাজির প্রতিবাদ করায় তাঁকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হতে হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘তৃণমূলের সন্ত্রাসের জেরে ভিন রাজ্যে বিজেপির বহু জয়ী সদস্য,’ বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা

    BJP: ‘তৃণমূলের সন্ত্রাসের জেরে ভিন রাজ্যে বিজেপির বহু জয়ী সদস্য,’ বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সন্ত্রাস চলছে। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির বহু জয়ী সদস্য প্রাণ বাঁচাতে ভিন রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছে। শনিবার শিলিগুড়িতে একথা বলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি (BJP) সাংসদ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা। শিলিগুড়িতে রোজগার মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে এসেছিলেন জন বার্লা। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি। পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের ভোট লুট ও সন্ত্রাস নিয়ে সরব হন। তিনি বলেন, ভোট ঘোষণা হতেই তৃণমূল সন্ত্রাস শুরু করেছিল। এখনও সেই সন্ত্রাস চলছে। দিনে দুপুরে খুন-ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেই চলেছে রাজ্য জুড়ে। প্রশাসন বলতে কিছু নেই। এসপি, ডিএম, বিডিওরা সব তৃণমূলের দলদাস হয়ে কাজ করছে। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির বহু জয়ী সদস্য অসম, বিহার ও ওড়িশায় আশ্রয় নিয়েছেন প্রাণ বাঁচাতে।

    নির্বাচনে প্রশাসনিক আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে কী বললেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী?

    কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপিকে (BJP) হারাতে তৃণমূল ভোট লুট করেছে। তাতেও নিশ্চিত হতে পারেনি। তাই ভোটের পর থেকেই গণনার আগে পর্যন্ত রাতের অন্ধকারে পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে স্ট্রং রুমের ব্যালট বাক্স বদল করেছে তৃণমূল। গণনাতেও কারচুপি করেছে। বিডিও সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা পকেট ব্যালট পেপার নিয়ে ঘুরেছেন। তৃণমূল প্রার্থীরা পিছিয়ে থাকলে সেখানে সেই ব্যালট গুঁজে দিয়ে বিজেপিকে হারিয়েছে।

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর অধীনে ভোট হলে একটি আসনে তৃণমূল জয়ী হত না, কেন বললেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী?

    বিজেপি সাংসদ জন বার্লা বলেন, বিজেপি এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের সব আসনেই জিতত। কেননা গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে বিজেপি সব আসনেই তৃণমূলের থেকে বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। একথা জানিয়ে জন বার্লা বলেন, উত্তরবঙ্গে বিজেপির (BJP) সাতজন সাংসদ রয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর পুরো তত্ত্বাবধানে আবার পঞ্চায়েত ভোট হলে তৃণমূল একটাও আসনে জিততে পারবে না। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে জেলে পাঠিয়েছিলেন। আমি জেলের ভেতরে থাকা সত্ত্বেও আলিপুরদুয়ারে একটাও পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ তৃণমূল জিততে পারেনি। সব বিজেপির দখলে ছিল। এবারও যদি অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট হতো তাহলে তৃণমূল কোনও আসনে জিততে পারত না। এটা বুঝতে পেরেই তৃণমূল ভোট লুট ও গণনায় কারচুপি করে জিতেছে। তবে আগামী দিনে মানুষ এর জবাব দেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: বিডিও অফিস ঘেরাওকে কেন্দ্র করে পুলিশ-বিজেপির ব্যাপক সংঘর্ষ শান্তিপুরে

    Nadia: বিডিও অফিস ঘেরাওকে কেন্দ্র করে পুলিশ-বিজেপির ব্যাপক সংঘর্ষ শান্তিপুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাপক বৃষ্টির মধ্যে বিজেপির বিডিও অফিস অভিযানকে ঘিরে উত্তপ্ত শান্তিপুর (Nadia)। চলল ব্যারিকেড ভাঙচুর, পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি। গ্রেফতার বিজেপির দুই বিধায়ক সহ ৫০০ জন কর্মী। ডেপুটেশন দিতেই পারল না বিজেপি নেতৃত্ব। তীব্র উত্তেজনা জেলায়।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Nadia)?

    ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর (Nadia) ব্লকের ফুলিয়া বিডিও অফিসে। উল্লেখ্য, একুশে জুলাই উপলক্ষে যখন ধর্মতলায় ঐতিহাসিক জন সমাবেশ করছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, ঠিক তাখন পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি বিডিও অফিসে ডেপুটেশন কর্মসূচির ডাক দেয় বিজেপি। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী নদিয়া জেলার প্রতিটি ব্লক অফিসে ডেপুটেশন দেয় বিজেপি। ঠিক সেই মতো ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণে বিডিও অফিস থেকে কিছুটা দূরে মঞ্চ বাঁধে বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে একের পর এক নেতৃত্ব বক্তব্য রাখার পর ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারকে একটি ডেপুটেশন জমা দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁরা।

    পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

    তবে বিডিও (Nadia) অফিসের কিছুটা দূরে বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করে শান্তিপুর থানার পুলিশ। পুলিশকে নেতৃত্ব দেন রানাঘাট এসডিপিও প্রবীর মণ্ডল এবং শান্তিপুর সার্কেল ইন্সপেক্টর সহ শান্তিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুব্রত মালাকার। বিজেপির মিছিল ব্যারিকেডের কাছে পৌঁছাতেই বাধা দেয় প্রশাসন। এরপরেই প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। বাঁশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ধস্তাধস্তি চলার পর অবশেষে পিছু হটে বিজেপি নেতৃত্ব। প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়, শান্তিপুর ব্লকের বিডিও ডেপুটেশন নিতে অস্বীকার করেছে, সেই কারণে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া যাবে না। শুধু তাই নয়, বিধায়কসহ ৫০০ জন বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করা হল বলে পুলিশের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই বিষয়ে রানাঘাট (Nadia) বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক পার্থসারথি চ্যাটার্জি বলেন, আমরা জেলার অন্যান্য ব্লক অফিসেও আজ ডেপুটেশন দিয়েছি। কিন্তু এইরকম প্রশাসনের ব্যবহার দেখিনি। অন্যান্য ব্লক অফিসে গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আমরা কয়েকজন মিলিতভাবে ডেপুটেশন দিয়ে এসেছি। এখানে আমাদের ডেপুটেশন দিতেই দেওয়া হল না। যেহেতু শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে আমাদের দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে, সেই কারণে পুলিশ এই ধরনের ব্যবহার করছে। আমরা বলেছি যদি বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতি গঠন না করতে পারে তাহলে আন্দোলন আরও ব্যাপক হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: মহিলা বিজেপি প্রার্থীর শ্লীলতাহানি করে নগ্ন করে নির্যাতন তৃণমূলের, তোলপাড় হাওড়ায়

    Howrah: মহিলা বিজেপি প্রার্থীর শ্লীলতাহানি করে নগ্ন করে নির্যাতন তৃণমূলের, তোলপাড় হাওড়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের দিন ৮ জুলাই হাওড়ার পাঁচলায় (Howrah) এক মহিলা বিজেপি প্রার্থীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয়, এই প্রার্থীকে কাপড় খুলে নগ্ন করে অসম্মানিত করার অভিযোগও করা হয়েছে। মণিপুরের ছায়া কি বাংলাতেও! প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতারা। বর্তমানে ওই পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

    নিপীড়িত মহিলার বক্তব্য

    আক্রান্ত মহিলা (Howrah) জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। গত ৮ ই জুলাই পঞ্চায়েত ভোটের দিনে সকাল ১১ টা নাগাদ স্থানীয় বুথে তিনি যখন ভোট দিতে যান, তখন তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর তাঁর কাপড় ধরে টানাটানি করা হয়। ঠিক তারপরেই ওই মহিলা দৌড়ে বুথ থেকে বেরিয়ে আসেন। তারপর তাঁকে নগ্ন করে নির্যাতন চালানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা এবং তাঁর স্বামী তাঁকে উদ্ধার করেন। পরিবারের অভিযোগ, বুথ থেকে সব ভোট লুট করেছিল তৃণমূল। তাঁর উপর যে নির্যাতন হয়, তাতে অভিযোগের তীর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পর গোটা পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। ঘটনার এক সপ্তাহ পর মেল করে পাঁচলা থানার ওসির কাছে অভিযোগ জানায় পরিবার। এরপরই তদন্তে নামে হাওড়া জেলা গ্রামীণ পুলিশ। মহিলার বেশি চোট না থাকায় তিনি মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে অস্বীকার করেন। গোটা পরিবার এখন শান্তিতে বসবাস করতে চাইছে। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য ট্যুইট করে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।

    স্বামীর বক্তব্য

    আক্রান্ত মহিলার (Howrah) স্বামী জানিয়েছেন, তিনি পরপর দুটি পঞ্চায়েত নির্বাচন দেখলেন। বিজেপি করার জন্য তাঁর স্ত্রীকে নৃশংস ভাবে নগ্ন করে যেভাবে অত্যাচার চালিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা, সেই ঘটনার স্মৃতি মনে পড়লে তাঁরা আঁতকে উঠেছেন। তাই তাঁরা আর এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হতে চান না। তাঁদের পরিবার চায় বিজেপি এই রাজ্যে ক্ষমতায় এসে রাজ্য জুড়ে এই নারী সমাজের উপর অত্যাচার, হিংসা এবং অরাজকতার অবসান ঘটাক।

    আজকেই দিল্লিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মুজমদার এবং সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মলেন করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজেপির কর্মী-সমর্থক এবং প্রার্থীদের উপর অত্যাচারের কথায় সরব হয়েছেন। সেই সঙ্গে হাওড়ার পাঁচলায় নারী নির্যাতনের কথাকে তুলে ধরে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেন।

    পুলিশের বক্তব্য

    রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য যথারীতি বলেন, পাঁচলায় এমন ঘটনা ঘটছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি।  

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ডায়মন্ড হারবারে গর্ভবতী মহিলাদেরও ছাড়েনি তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    South 24 Parganas: ডায়মন্ড হারবারে গর্ভবতী মহিলাদেরও ছাড়েনি তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় আজ শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ডায়মন্ড হারবার থানার দক্ষিণ কুলেশ্বরে আহত বিজেপি কর্মীদের সাথে দেখা করতে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অপরদিকে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করার ডাক দিয়েছেন। আবার মঙ্গলা হাটে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বিজেপি দাবি করেছে, তৃণমূলের অন্তর্ঘাত। আর ঠিক এর পরেই হাটের পরিস্থিতি মুখ্যমন্ত্রী পরিদর্শন করে সিআইডি তদন্তের অনুমতি দিলেন। সব মিলিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র উত্তেজনা।

    আক্রান্ত কর্মীদের পাশে শুভেন্দু (South 24 Parganas)

    রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় জেলায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত। বোমাবাজি, ঘরবাড়ি, সম্পত্তি লুট, মহিলাদের উপর অত্যাচার, বোমা-বন্দুক-পিস্তলের হুমকিতে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে  সোচ্চার হয়েছে বিজেপি। ভোট পরবর্তী হিংসায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। আজ তিনি দলীয় কর্মীদের সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। পুলিশের সামনে মারধর থেকে শুরু করে ভোট পরবর্তী বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে মিথ্যা মামলা দেওয়া, বাড়ি ভাঙচুর করা, মারধর করার মতো একাধিক বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কর্মীদেরকে অভয় দিয়ে বলেন, আগামী দিনে কোনও হেনস্থার শিকার হতে হবে না, দল সম সময় কর্মীদের পাশে রয়েছে। ডায়মন্ড হারবার (South 24 Parganas) লোকসভা কেন্দ্রের বেশ কিছু তৃণমূল যুবনেতার নাম করে সাংবাদিকদের সামনে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, এই যুব তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আগামী দিনে কোর্টে যাব।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    এই এলাকার (South 24 Parganas) মানুষ অত্যন্ত সহজ সরল। শুধু বিজেপি করার জন্যই তৃণমূলের হার্মাদরা এলাকায় অত্যাচার করেছে। বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে বিজেপির কর্মীদের মারধর করা হয়। বাড়ির মহিলাদের উপর চলছে অত্যাচার। এসসি মহিলাদের কাপড় ধরে টানাটানি করছে তৃণমূলের গুন্ডারা। গণতন্ত্র নেই, কিমের রাজ্যের থেকেও খুব খারাপ অবস্থা এখানে। এলাকার মানুষ বাঁচতে চায়। শান্তিতে জীবন জীবিকা নিয়ে বসবাস করতে চায়। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয় না। শুভেন্দু আরও বলেন, ভাইপো নিজে এই এলাকাকে নোংরা করেছেন। আজ, যাঁরা কলকাতায় বসে ডিমভাতের উৎসব করছেন, তাঁরা এই এলাকার গণতন্ত্রকে হরণ করেছেন। স্থানীয় এক বিজেপি প্রার্থীর স্ত্রী গর্ভবতী, তাঁকেও পর্যন্ত অত্যাচারের শিকার হতে হয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতে। তিনি আরও বলেন, এই বাংলাকে বাঁচাতে গেলে আমাদের একসঙ্গে লড়াই করতে হবে তৃণমূলের বিরুদ্ধ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share