Tag: bjp

bjp

  • BJP: বিজেপির বিডিও ঘেরাও কর্মসূচিতে উত্তেজনা জামুরিয়ায়, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

    BJP: বিজেপির বিডিও ঘেরাও কর্মসূচিতে উত্তেজনা জামুরিয়ায়, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির ডেপুটেশনকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা জামুরিয়ার বিডিও অফিস এলাকায়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বিজেপির নেতা-কর্মীদের। ব্যারিকেড ভেঙে বিডিও অফিসের মূল গেটের সামনে বিক্ষোভ। বিজেপি নেতা তাপস রায়, জামুরিয়া মণ্ডল ২ এর বিজেপি সভাপতি রমেশ ঘোষ অভিযোগ করেন, নমিনেশন থেকে শুরু করে ভোটের দিন ও গণনার দিন পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল। প্রশাসনের মদতে ভোট লুট হয়েছে। সেই বিষয় নিয়ে আগাম ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তাঁরা সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিককে স্মারকলিপি দিতে এসেছিলেন। কিন্তু তাঁরা এসে দেখেন, বিডিও অফিসের অনেকটা দূরে পুলিশ ব্যারিকেড করে রেখেছে। সেখানেই তাঁদেরকে জানানো হয় যে বিডিও অফিস চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাঁরা বিডিও অফিস যাবার চেষ্টা করেন। সেই সময় পুলিশ তাঁদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করে দেয়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী আহত বলে জানান রমেশবাবু। এই নিয়ে বিডিও জানান, কিছু দাবি নিয়ে বিজেপির এক প্রতিনিধি দল তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁদের দাবিদাওয়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

    বর্ধমান ১ বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ (BJP)

    ‘বিডিও ঘেরাও গণতন্ত্র ফেরাও’ স্লোগানকে সামনে রেখে বর্ধমান ১ বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি (BJP)। শুক্রবার দুপুরে বিজেপি কর্মীরা বিডিও অফিসে ঢুকতে গেলে তাঁদের গেটের বাইরে আটকে দেয় পুলিশ। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি (BJP) কর্মীরা। বিডিও অফিসে ঢুকতে না পেরে গেটের বাইরে বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে্ন তাঁরা। বিক্ষোভ চলাকালীন শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। বৃষ্টিতে ভিজেই চলে বিক্ষোভ, স্লোগান। এদিন বিজেপির বিডিও ঘেরাও অভিযানকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ছিল বিডিও অফিসে। বর্ধমান ১ বিডিও অফিসকে মুড়ে ফেলা হয় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। পরে বিজেপির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল বিডিও অফিসে ডেপুটেশন দেয়।

    খড়গ্রাম বিডিও অফিসে ফের নির্বাচনের দাবি (BJP)

    ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় ছাপ্পা, কারচুপি, ব্যালট লুট হয়েছে। এরই প্রতিবাদে আজ খড়গ্রাম বিডিও অফিসে ছয় দফা দাবি নিয়ে বিজেপির (BJP) এস টি মোর্চার সভাপতি আদিত্য মৌলিকের নেতৃত্বে একটি দল খড়গ্রাম বিডিও-র সঙ্গে দেখা করে। তাদের বক্তব্য, যেভাবে ভোট ভোট লুট হয়েছে এবং ভোটারদের প্রভাবিত করা হয়েছে, তাতে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানাচ্ছেন বিজেপির নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, পুনরায় যেন পঞ্চায়েত নির্বাচন করা হয় ও সেন্ট্রাল ফোর্সকে যেন কাজে লাগানো হয়। খড়গ্রামের বিডিও অরুণাভ মণ্ডল জানালেন, রাজ্য জুড়ে যে বিজেপির কর্মসূচি চলছে, তারা আজকে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে। সেটি গ্রহণ করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: হাওড়ার মঙ্গলাহাট তুলে দেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে, অগ্নিকাণ্ডের পর সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    BJP: হাওড়ার মঙ্গলাহাট তুলে দেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে, অগ্নিকাণ্ডের পর সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া ময়দানের মঙ্গলাহাটে চক্রান্ত করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ব্যাবসায়ীরা। ইতিমধ্যেই পোড়া মঙ্গলাহাটের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। শুক্রবার দুপুরে বিজেপির (BJP) হাওড়া জেলা সদরের সভাপতি মনিমোহন ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একদল বিজেপি নেতা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) রাজ্য সম্পাদক উমেশ রায় বলেন, এই হাটে ব্যবসায়ীদের থেকে মোটা টাকা তোলা হয়। আর ব্যবসায়ীদের কোনও স্বার্থ দেখা হয় না। এই হাটে কোনও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নেই। যার ফলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দলের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য আমরা ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছি। এর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের  ব্যবসা করার জায়গা দিতে হবে। বিজেপির হাওড়া জেলা সদরের সভাপতি মনিমোহন ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, মঙ্গলাহাটের বেচাকেনার দিন বদল করা হচ্ছে। এই হাটকে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। তিনি এর জন্য সরাসরি তৃণমূলকে দায়ী করেন।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এদিন সকালে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু এবং রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় আলাদাভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা জানিয়েছেন, কী কারণে আগুন লাগল তা নিয়ে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা তদন্ত করবেন। তাতে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তোলাবাজির অভিযোগ নিয়ে অরূপ রায়ের বক্তব্য, কোনও অভিযোগ থাকলে পুলিশ তদন্ত করে দেখবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    কী বললেন মঙ্গলহাটের মালিক?

     মঙ্গলহাটের মালিক শান্তিরঞ্জন দে বলেন, এই হাট নিয়ে অনেকগুলি মামলা চলছে। আমার বিরুদ্ধে যে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি এই ধরনের কোনও কাজ করিনি। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, শট সার্কিট থেকেও আগুন লাগতে পারে।

    ব্যবসায়ীদের কী বক্তব্য?

    ব্যাবিসায়ীদের অভিযোগ,এই হাটের মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গণ্ডগোল চলছিল। ৩৬ বছর আগে একবার এই হাটে আগুন ধরে যায়। তারপর থেকে এটিকে পোড়া হাট নামেই চেনেন সকলে। এই পোড়া হাট ছাড়াও আরও প্রায় ১১ টি হাট ভবন আছে এখানে। সেই সব ভবনেও আগুন নেভানোর কোনও পরিকাঠামো নেই। এসব নিয়ে বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব সরব হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: রায়দিঘিতে পরাজিত বিজেপি প্রার্থীর ভেড়িতে দিল বিষ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: রায়দিঘিতে পরাজিত বিজেপি প্রার্থীর ভেড়িতে দিল বিষ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে হেরে যাওয়া বিজেপি (BJP) প্রার্থীর মাছের ভেড়িতে বিষ দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আর পুকুরে বিষ দেওয়ার কারণে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি।  ঘটনাটি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার রায়দিঘি বিধানসভার কন কন দিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৪৬ নম্বর বুথের আড়িয়াপাড়া এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

     পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুপর্ণা  মণ্ডল বিজেপির প্রার্থী হয়ে শাসকদলের পুষ্পিতা মাঝির কাছে হেরে যায়। হঠাৎ করে বুধবার রাতে দুষ্কৃতীরা বিজেপি প্রার্থীর ভেড়িতে বিষ দিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সকালে ভেড়িতে গিয়ে বিজেপি প্রার্থীর শ্বশুর দেখতে পান, ভেড়িতে প্রচুর মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই দলমত নির্বিশেষে  কয়েক শতাধিক মানুষ ঘটনাস্থলে আসেন। দুষ্কৃতীদের শাস্তির দাবিতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করেন।  তবে ভোটে হারার পর পুকুরে বিষ পড়লেও বিরোধী দলের দিকে আঙুল তুলতে নারাজ পরাজিত প্রার্থী এবং পরিবারের লোকজন। 

    কী বললেন পরাজিত বিজেপি (BJP) প্রার্থী?

    পরাজিত বিজেপি (BJP) প্রার্থী সুপর্ণা মণ্ডল বলেন, ভোটে হেরে যাওয়ার পর ভেড়িতে এভাবে বিষ দিয়ে মাছ মেরে দেবে তা ভাবতে পারছি না। যে বা যেসব দুষ্কৃতী এসব কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা সুব্রত বর বলেন, দলীয় প্রার্থী হেরে যাওয়ার পর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যে বা যারা এই ঘটনায় যুক্ত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল প্রার্থী?

    এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী  পুষ্পিতা মাঝি বলেন, আমাদের দল এমন জঘন্য কাজ করতে পারে না। ভোট যুদ্ধে হার-জিত আছে, তাই বলে কাউকে পুকুরে বিষ দিতে হবে এমন কথা আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারেন না। তবে, যে বা যারা  করেছে তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক। এটাই প্রশাসনের কাছে আমাদের আবেদন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliyaganj: মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু কাণ্ডের তদন্তে তাঁর বাড়িতে মহকুমা শাসক, তৈরি করা হল স্কেচ

    Kaliyaganj: মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু কাণ্ডের তদন্তে তাঁর বাড়িতে মহকুমা শাসক, তৈরি করা হল স্কেচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জ (Kaliyaganj) ব্লকের রাধিকাপুর এলাকায় পুলিশের গুলিতে মৃত্যুঞ্জয়ের নিহত হওয়ার ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ হল। এর পর আজ রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি ঘটনাস্থল চাঁদগা গ্রামে পরিদর্শনে যান। মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলার পাশাপাশি মহকুমা শাসকের তত্ত্বাবধানে সেদিনের ঘটনার স্কেচ তৈরি করা হয়। তবে এদিনের তদন্ত নিয়ে মহকুমা শাসক কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে আজও ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি মহকুমা শাসকের কাছে জানানো হয়েছে।

    কীভাবে গ্রহণ হল সাক্ষ্য (Kaliyaganj)?

    এদিন রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি, কালিয়াগঞ্জের (Kaliyaganj) জয়েন্ট বিডিও এবং স্কেচ তৈরিতে পারদর্শী একজন বিশেষজ্ঞকে নিয়ে দুপুর দেড়টা নাগাদ রাধিকাপুরের চাঁদগা গ্রামে পৌঁছান। মৃত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন সহ পরিবারের বাকি সদস্যদের থেকে সেই রাতের ঘটনার সম্পূর্ণ বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন মহকুমা শাসক। পরিবারের সদস্যদের বয়ান অনুযায়ী প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি স্কেচ তৈরি করা হয়। প্রায় ঘণ্টা দেড়েক জিজ্ঞাসাবাদ করেন মহকুমা শাসক।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উচ্চ আদালত ও মানবাধিকার কমিশনের গাইডলাইন অনুযায়ী কোথাও পুলিশের গুলিতে কেউ মারা গেলে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত করতে হয়। সেই নিয়ম মেনেই পুলিশের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত করার আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতিকে এই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২২ মে এই মর্মে মহকুমা শাসক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। তাতে বলা হয়, ৬ জুন কালিয়াগঞ্জ বিডিও অফিসে ওইদিন রাধিকাপুরের চাঁদগা গ্রামে রাতে তল্লাশি অভিযানে অংশগ্রহণকারী সকল পুলিশকর্মীকে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়। এর পাশাপাশি মৃতের পরিবারের সদস্য, এলাকার বাসিন্দা, প্রত্যক্ষদর্শীদেরকেও আসার জন্য বলা হয়। ৬ জুন ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় মহকুমা শাসকের (Kaliyaganj) উপস্থিতিতে। এরপর পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য এই তদন্তের কাজ থেমে থাকে। নির্বাচন পর্ব মিটতেই এই তদন্তের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়। প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এরপর তদন্তের পরবর্তী পর্যায়ে ঘটনার দিন এই গ্রামে অভিযানে নিযুক্ত প্রত্যেক পুলিশকর্মীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। এরপর স্কেচ ফাইনাল করে মহকুমাশাসক তার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেবেন।

    পরিবারের বক্তব্য

    মৃত মৃত্যুঞ্জয় (Kaliyaganj) বর্মনের দাদা মৃণালকান্তি বর্মন জানিয়েছেন, “মহকুমা শাসকের আজকের তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করা হয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের উপর আমাদের আস্থা নেই। আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় সরকারি আধিকারিকদের যেসব ঘটনা সামনে এসেছে তাতে তো বোঝাই যাচ্ছে যে তাঁরা মমতা ব্যানার্জির সাথে মিলে রয়েছেন।  বিভিন্ন আধিকারিকরা আসছেন, সিআইডি এসেছেন। তাঁরা সব তথ্য নিয়ে গেছেন।  কিন্তু আদৌ এই সমস্ত তথ্য হাইকোর্টে পেশ করবে কিনা তা নিয়ে আমাদের সংশয় আছে।”

    অপরদিকে, মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন জানিয়েছেন, “মহকুমা শাসককে ঘটনার সম্পর্কে জানিয়েছি। কিন্তু সিআইডি কিংবা পুলিশের ওপর আমাদের ভরসা নেই। আমরা সিবিআই তদন্ত চাই।”

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: “দল ছেড়ে যাব না”, কর্মীদের শপথবাক্য পাঠ করাল তৃণমূল

    Purba Medinipur: “দল ছেড়ে যাব না”, কর্মীদের শপথবাক্য পাঠ করাল তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জিতেও স্বস্তি নেই তৃণমূল কংগ্রেসের। দল বদলের আশঙ্কায় অন্য দলে না যাওয়ার শপথবাক্য পাঠ করানো হল তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্যদের। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নির্বাচনী কেন্দ্র নন্দীগ্রামের (Purba Medinipur) খোদামবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক তরজা।

    কেন শপথবাক্য (Purba Medinipur)?

    রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফল ঘোষণার পর দল বদলের হিড়িক পড়েছে সর্বত্র। পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলায় পাঁশকুড়ায় দুই নির্দল সদস্যকে দলে নেয় তৃণমূল। পাঁশকুড়ার জয়ী সিপিএম প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দিয়ে ফের ফেরত গেছেন আবার সিপিএমেই। আবার এই পাঁশকুড়ারই দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থীদের দল বদলের আশঙ্কায় রাখা হয়েছিল গোপন ডেরায়। এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নির্বাচনী কেন্দ্র নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের খোদামবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী তৃণমূল সদস্যরা কোনও প্রলোভনে পা না দিয়ে যাতে দলত্যাগ করতে না পারে, তার জন্য রীতিমতো শপথবাক্য পাঠ করালেন এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব। এলাকার দলীয় নেতা কর্মীদের সামনে শপথ নিলেন তৃণমূলের আট নির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য। এই শপথ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সমাজিক গণমাধ্যমে। যেখানে নির্বাচিত তৃণমূল সদস্যদের বলতে শোনা যাচ্ছে, আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ হচ্ছি যে, আমরা তৃণমূল কংগ্রেসেই থাকবো। কোনও প্রলোভনে পা দেব না। আমরা বোর্ড গঠন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহার দেব।

    শুভেন্দু কী বলেছিলন!

    গত রবিবার এই নন্দীগ্রাম (Purba Medinipur) ২ ব্লকের রেয়াপাড়ার একটি অনুষ্ঠানে এসে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, উন্নয়ন করতে গেলে ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে আসতেই হবে। ১১ টা অঞ্চল আমরা পেয়েছি। উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের সঙ্গে আসতে হবে, এরপর সংখ্যা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় দেখুন। আর এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে আশঙ্কা করছেন খোদামবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের নির্বাচিত সদস্যরা।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় (Purba Medinipur) তৃণমূলের নেতা সুনীলবরণ জানা বলেন, এলাকায় নানা ধরনের গুজব চলছে, তাই কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর জন্য আমরা শপথ নিয়েছি। তৃণমূলের কর্মীরা তৃণমূলেই থাকবেন। আর এই তৃণমূল সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করানোর বিষয়টি সামনে আসায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূল, তৃণমূলের ওপর বিশ্বাস নেই তাই এই শপথবাক্য পাঠ, কটাক্ষ বিজেপির।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ঘোড়া কেনাবেচায় মরিয়া তৃণমূল! ঘাটালে গোপন ডেরায় বিজেপির জয়ী সদস্যরা

    BJP: ঘোড়া কেনাবেচায় মরিয়া তৃণমূল! ঘাটালে গোপন ডেরায় বিজেপির জয়ী সদস্যরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকার প্রলোভন আর ভয় দেখিয়ে বিজেপির (BJP) টিকিটে জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যদের দলে টানতে পারে তৃণমূল! ঘোড়া কেনাবেচার ভয়ে ঘাটাল ব্লকের ২৫ জন জয়ী প্রার্থীকে সরানো হল গোপন ডেরায়। ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সবমিলিয়ে ঘোড়া কেনাবেচা প্রসঙ্গে রীতিমতো সরগরম ঘাটালের মাটি।

    কেন এই সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফল প্রকাশের পর দেখা যায় ঘাটাল ব্লকের ইড়পালা, সুলতানপুর, মনোহরপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৫ টি আসন দখল করেছে বিজেপি (BJP)। দল ভাঙিয়ে শাসকদল যাতে বোর্ড গঠন করতে না পারে সেই কারণেই ২৫ জন জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যকেই গোপন ডেরায় সরালো বিজেপি নেতৃত্ব। এই সব পঞ্চায়েতে বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা বড় ফ্যাক্টর। বোর্ড গঠনে তাঁদের বড় ভূমিকা রয়েছে। মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে জয়ী সদস্যদের কিনে নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার ভয়ও দেখানো হচ্ছে। আর এই আশঙ্কা থেকে দলের জয়ী প্রার্থীদের গোপন ডেরায় রেখেছে বিজেপি।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপি (BJP) বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়িয়েছে শাসক দল তৃণমূল। একাধিক বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। এখনও ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে জয়ী প্রার্থীদের। পাশাপাশি টাকার প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। আর সেই কারণেই তাদের অন্যত্র সরানো হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) এই অভিযোগ মানতে নারাজ শাসক দল তৃণমূল। তৃণমূল নেতা দিলীপ মাজি বলেন, ঘোড়া কেনাবেচায় বিশ্বাস করে না শাসক দল। মানুষ যে রায় দিয়েছে তা মাথা পেতে নিয়েছে তৃণমূল। তাই দল ভাঙিয়ে পঞ্চায়েত গড়ার কোনও প্রশ্নই আসে না। তবে কোনও বিজেপি নেতা যদি লিখিতভাবে শাসক দলে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করে, তবে দলে নেওয়া হবে তাদের! এ বিষয়টিও কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছেন‌ তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: ‘আমাদের ভোটটাও দিতে দিলেন না? ছিঃ!’ পোস্টারে শোরগোল হাওড়ায়

    Howrah: ‘আমাদের ভোটটাও দিতে দিলেন না? ছিঃ!’ পোস্টারে শোরগোল হাওড়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট দিতে না পারায় কোথাও নিরবে, কোথাও সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার কোথাও রাতের অন্ধকারে পোস্টার মেরে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। হাওড়ার (Howrah) ডোমজুড় এবং জগৎবল্লভপুর এলাকায় এমনই প্রতিবাদের চিত্র ধরা পড়ল। এলাকায় কোথাও দেওয়ালে আবার কোথাও ইলেকট্রিক পোস্টে মারা হয়েছে পোস্টার। তাতে লেখা হয়েছে, ‘আমাদের ভোটটাও দিতে দিলেন না? ছিঃ’ যদিও এই পোস্টার বা কারা লাগিয়েছে তা জানা যায়নি।

    কেন পোস্টার দেওয়া হয়েছে (Howrah)?

    রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন জায়গায় এই পোস্টার মারা হয়েছে। পোস্টারের নিচে লেখা জগদীশপুর অঞ্চল গ্রামবাসীবৃন্দ। রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত ভোটের নামে প্রহসন কেমন ছিল সাধারণ তা মানুষ দেখেছেন। বহু বুথেই মানুষ ভোট দিতে গেলেও ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। আবার কোথাও মানুষ ভোট দিলেও ব্যালট ছিনতাই সহ নানা কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যজুড়ে জেলায় জেলায় রীতিমতো শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ। এমনকি প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করলে ঘটতে পারে আরও বড় বিপদ। তাই মানুষের ভুরি ভুরি অভিযোগ ও ক্ষোভ থাকলেও অনেকেই প্রকাশ্যে সেই ক্ষোভ উগরে দিতে ভয় পাচ্ছেন। তাই হাওড়ায় (Howrah) পোস্টার দিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানালেন সাধারণ মানুষ।

    হাওড়ার কোথায় পোস্টার দেওয়া হল

    জগদীশপুর (Howrah) পঞ্চায়েতের একটি অংশ চামরাইল লাগোয়া রামকৃষ্ণপাড়া, মাঝেরহাটে প্রচুর পোস্টার দেওয়া হয়েছে। ভোটের ক’দিন কাটতে না কাটতেই সেই এলাকার একাধিক বাড়ির দেওয়াল, লাইটপোস্ট, দোকানের শাটারে লাগানো হয়েছে সাদা কাগজে ছাপা সেই পোস্টারগুলি। গ্রামবাসীবৃন্দের নামে সেই পোস্টারগুলি রাতের বেলা লাগানো হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।

    বিজেপির বক্তব্য

    হাওড়া (Howrah) সদর বিজেপির সহ-সভাপতি গোবিন্দ হাজরা বলেন, গ্রামের মানুষ পঞ্চায়েতে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারায় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন পোস্টারের মাধ্যমে। তিনি আরও বলেন, ভোটের দিন যেভাবে শাসকদলের দুর্বৃত্তরা গ্রামবাসীদের মারধর করে সন্ত্রাস চালিয়েছে, দুষ্কৃতীরা ভোট না দিতে দিয়ে ভোট লুঠ করেছে, সেই ক্ষোভেরই প্রকাশ এই পোস্টারের মাধ্যমে হয়েছে। ভোটে কী হয়েছে মানুষ সবই দেখেছেন।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে, ডোমজুড় (Howrah) অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তাপস মাইতি বলেন, এই অঞ্চলে ভোট নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণ ভাবেই হয়েছে। স্থানীয় কোনও মাদকাসক্ত যুবকরা নেশা করে টাকা নিয়ে রাতের অন্ধকারে এই কাজ করেছে। বিভ্র্রান্তি তৈরি করতে পোস্টারে গ্রামবাসীদের নাম দিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • North 24 Parganas: “এই হিংসা পশ্চিমবঙ্গের লজ্জা”! দেগঙ্গা ঘুরে মন্তব্য বিজেপির মহিলা সাংসদদের

    North 24 Parganas: “এই হিংসা পশ্চিমবঙ্গের লজ্জা”! দেগঙ্গা ঘুরে মন্তব্য বিজেপির মহিলা সাংসদদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের পর দিনই দিল্লি যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন। ভোট গণনার দিন সকালেই রাজ্যে ফিরে আসেন রাজ্যপাল। ভোট-হিংসার বিভিন্ন অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে একের পর এক সন্ত্রাসের ঘটনার পর এবার রাজ্যে এল বিজেপির ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’ বা তথ্য অনুসন্ধানকারী দলের ৫ মহিলা সাংসদ। মঙ্গলবার আক্রান্ত উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas) জেলা পরিদর্শন করলেন টিমের সদস্যরা।

    ৫ মহিলা সাংসদের টিম

    ভোটে বেলাগাম সন্ত্রাস দেখতে মঙ্গলবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন বিজেপির ৫ মহিলা সাংসদ। বিজেপির মহিলা কর্মীদের উপর অত্যাচারের ‘তদন্তে’ এবার তাঁরা। বাংলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ৫ মহিলা সাংসদ রিপোর্ট দেবেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডাকে। ভোটে বিজেপি কর্মীদের উপরে অত্যাচারের চিত্র আজ দেগঙ্গায় (North 24 Parganas) খতিয়ে দেখল এই মহিলা টিম।

    তথ্য অনুসন্ধানকারী মহিলা টিমের বক্তব্য

    ৫ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম দেগঙ্গার (North 24 Parganas) গিলাবাড়ি, দাসপাড়া, হাদিপুর কলোনি এবং কালীতলা অঞ্চলের আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের গ্রাম পরিদর্শন করেন। সেখানে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন আক্রান্তদের সঙ্গে। এই পাঁচ সদস্যের টিমকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন বিজেপির আক্রান্ত পরিবারের লোকজন। দীর্ঘক্ষণ পরিবারের সাথে কথা বলার পর টিমের সদস্যরা বলেন, বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে এই রাজ্যের মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে। এই টিমের পক্ষ থেকে বলা হয়, পঞ্চায়েতে মানুষের ভোটে তৃণমূল ক্ষমতায় আসেনি, ভয় দেখিয়ে ভোট লুট করে ক্ষমতায় এসেছে। গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছি আমরা। এই বিষয়ে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে রিপোর্ট পেশ করব। বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখালে পার্টি বরদাস্ত করবে না। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে টিম জানায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামের সঙ্গে কাজের কোনও মিল নেই। পশ্চিমবঙ্গের এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি রয়েছে তা গোটা দেশে নেই। পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। প্রত্যেকটি বিজেপি কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে সন্ত্রাস চালানো হয়েছে। বাদ যায়নি বাড়ির মহিলারা পর্যন্ত। এই হিংসা পশ্চিমবঙ্গের লজ্জা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: ভোটার ৭৪০, ভোট পড়েছে ৬০৬, তৃণমূল প্রার্থী জিতলেন ১০৮৬ ভোট পেয়ে!

    Panchayat Election 2023: ভোটার ৭৪০, ভোট পড়েছে ৬০৬, তৃণমূল প্রার্থী জিতলেন ১০৮৬ ভোট পেয়ে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারের পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election 2023) নানা মজার ঘটনার সাক্ষী। ভোট লুট করার জন্য যে কত অভিনব পন্থা অবলম্বন করা যায়, তা দেখিয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। সিপিএমের সায়েন্টিফিক রিগিংকে তৃণমূল নিয়ে গিয়েছে উন্নততর রিগিংয়ে। তাই তো ভোটের পরও বিভিন্ন জায়গায় মিলছে গোছা গোছা ব্যালট। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, মঙ্গলবার সিল করা ব্যালট বাক্সও পাওয়া গেছে, যেখানে তৃণমূল প্রার্থীকে ইতিমধ্যেই জয়ী ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, ভোট গণনাই যেখানে হয়নি, সেখানে একজন প্রার্থী জয়ী হলেন কী করে? এসব নিয়ে একাধিক মামলাও হচ্ছে হাইকোর্টে। এবার এমন ঘটনা সামনে এল, যা রীতিমতো অবাক করার মতো। সোনারপুরে একটি বুথে মোট ভোটারের থেকে প্রায় দেড়গুণ ভোট পেয়ে জিতে গেলেন তৃণমূল প্রার্থী। এ নিয়ে ফের হাইকোর্টে মামলা করতে চলেছেন বিজেপি প্রার্থীরা।

    কী ঘটেছে (Panchayet Election 2023)?

    দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সোনারপুর ব্লকের প্রতাপনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের একের পর এক বুথের ব্যালট বক্সের ব্যালট পেপারের (Panchayet Election 2023) হিসাব মিলছে না বলে অভিযোগ তুললেন বিরোধীরা। তার মধ্যে ২০১ এ ২০১ বি- এই দুটি বুথের দুজন বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, বুথের যা মোট ভোটার, তার চেয়ে প্রায় দেড়গুণের মতো ভোট কীভাবে পেয়ে জিতে গেল শাসকদলের প্রার্থী? তাই ওই বুথে পুনরায় ভোটের দাবি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করতে চলেছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, তাঁরা প্রথম জিতে গিয়েছিলেন। পরে তাঁদের মেরেধরে গণনা কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। পরে ঘোষণা করা হল, ওই দুটি বুথে তৃণমূল প্রার্থী বিজয়ী।

    কী অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীদের (Panchayet Election 2023)?

    ২০১ এ-র বিজেপি প্রার্থী আলোমতি হালদার (সরদার) জানান, তাঁর বুথের (Panchayet Election 2023) ভোটার সংখ্যা হল ৭৪০, ভোট পড়েছে ৬০৬, সেখানে ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল প্রার্থী ১০৮৬ ভোট পেয়ে জিতে গিয়েছেন। অন্যদিকে ২০১ বি বুথের বিজেপির প্রার্থী অষ্টম কুমার নস্কর জানান, তাঁর বুথের ভোটার ৭২০, ভোট পড়েছে ৬১৪ সেখানে তৃণমূল প্রার্থী ১০৮৪ ভোট পেয়ে জিতে গেছেন। এই দুই প্রার্থীর অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে বাইরে থেকে ব্যালট পেপারে ছাপ মেরে ব্যালট বক্সে দিয়ে তৃণমূল প্রার্থীকে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তাঁরা আদালতের শরণাপন্ন হবেন নতুন করে ভোটের দাবি নিয়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি হারাতে পারলে আপনারাও পারবেন, বললেন শুভেন্দু

    South 24 Parganas: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি হারাতে পারলে আপনারাও পারবেন, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় মগরাহাট (South 24 Parganas) উড়াল চাঁদপুর এলাকায় দলীয় কর্মীদের সাথে দেখা করতে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মগরাহাটের একাধিক জায়গায় বিজেপির দলীয় কর্মীদেরকে মারধর করা হয়েছে, বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এলাকায় আক্রান্ত সমস্ত দলীয় কর্মীদের সাথেই আজ দেখা করার পাশাপাশি তাঁদের আশ্বস্ত করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

    মগরাহাটে কী বললেন শুভেন্দু (South 24 Parganas)?

    রাজ্যে শাসক দল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোট যেমন লুট করেছে, তেমনি লুটের পর গণনায় চুরি করে হুমকি দিয়ে সন্ত্রাস চালিয়েছে সমগ্র রাজ্যে। বিজেপি প্রার্থী এবং কর্মীদের বাড়িতে রাজনৈতিক হিংসাত্মক আক্রমণ করেছে বলে অভিযোগ। শুভেন্দু অধিকারী আজ সকালে মগরাহাটে (South 24 Parganas) গিয়ে, এই এলাকার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সেলিম লস্কর, মগরাহাট থানার ওসি আব্দুল সামাদ আনসারী এবং বিডিও শেখ আব্দুল্লাহকে উদ্দেশ্য করে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি আরও বলেন, গোটা মগরাহাট জুড়ে ভোটের সন্ত্রাস চলেছে, ভোট লুট করা হয়েছে। এই লুণ্ঠনে সরকারি আমলারা তৃণমূলের এজেন্ট হয়ে কাজ করেছেন।

    শুভেন্দু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি যখন হারাতে পেরেছি আপনারাও পারবেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে লড়াই করতে হবে। অত্যাচারীদের ভয় সারা জীবন থাকবে না! এই হিংস্র সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী। ওরা বাইক বাহিনী নিয়ে আক্রমণ করবে, মাথায় বন্দুক, পিস্তল ঠেকাবে। কিন্তু আমাদের সাহস রাখতে হবে। সাহস আর বিশ্বাস রাখুন, বিজেপি আপনাদের পাশে আছে। কেন্দ্র কোনও টাকা আটকায়নি, কেন্দ্র তৃণমূলের চুরি আটকেছে। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সিপিএম এখানে শাসক দলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, আর অপর দিকে এই সিপিএমের পলিটব্যুরো নেতৃত্ব সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মিটিং করছেন। সিপিএম এবং তৃণমূল পয়সার এপিঠ আর ওপিঠ। আর তাই রাজ্যে এই সন্ত্রাসকে মুক্ত করতে গেলে একমাত্র দল বিজেপিকেই ক্ষমতায় আসতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share