Tag: bjp

bjp

  • BJP: বিজেপিকে ভোট দেওয়া বহু বৈধ ব্যালট পড়ে নদীর ধারে, ভোটে জিতল তৃণমূল, বিতর্ক

    BJP: বিজেপিকে ভোট দেওয়া বহু বৈধ ব্যালট পড়ে নদীর ধারে, ভোটে জিতল তৃণমূল, বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট গ্রহণ এবং গণনা, দুটোই সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। এমনকী ফলাফলও ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, তারপরও নদীর ধারে পাওয়া গেল বিজেপি (BJP) ও বামেদের ভোট দেওয়া বৈধ ব্যালট পেপার। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ ব্লকের গণনা কেন্দ্র থেকে কুড়ি মিটার দূরে আত্রেয়ী নদীর ধারে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমারগঞ্জের গণনা কেন্দ্র থেকে ২০০ মিটার দূরে নদীর ধারে প্রায় ৪০টি ব্যালট পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সাদা কাগজের এই ব্যালটে অধিকাংশই বিজেপি প্রার্থীর ওপর ছাপ মারা রয়েছে। রেজাল্ট অনুযায়ী এই বুথে বিজেপি ৩৪১টি, তৃণমূল ৬৯৭টি, সিপিএম ৭২টি ভোট পেয়েছে। জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে তৃণমূলের প্রার্থীকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যালট উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন জেলা পরিষদের বিজেপি প্রার্থী  ও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    এই বিষয়ে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এই ঘটনা থেকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে স্ট্রং রুমে ব্যালট পরিবর্তন করা হয়েছে। বিজেপিতে ছাপ দেওয়া ব্যালট বক্স থেকে বের করে নদীতে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এইভাবে মানুষের মতামতকে যেভাবে তৃণমূল কেড়ে নিয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না। তৃণমূলকে খেসারত দিতে হবে।

    কী বললেন বিডিও?

    এবিষয়ে কুমারগঞ্জের বিডিও ছেয়াং তামাং বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের দ্বারা কড়া নিরাপত্তার সঙ্গে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। এমনটা হওয়ার কথা না। এটা রাজনৈতিক দলেরই কেউ বানাতে পারে। তবে পুরো ঘটনাটি আমরা যাচাই করে দেখব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এবিষয়ে কুমারগঞ্জ তৃণমূল ব্লক সভাপতি উজ্জ্বল বসাক বলেন, ভোট গণনার দুদিন পেরিয়ে গিয়েছে। এতদিন ব্যালট পেপার দেখা যায়নি। দুদিন পরে ব্যালট পেপার উদ্ধার হচ্ছে। আমাদের মনে হয় এটা বিজেপির চক্রান্ত। বিজেপি (BJP) যে অভিযোগ তুলছে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

    মুর্শিদাবাদে বুথে গড়াগড়ি খাচ্ছে বিরোধীদের ভোট দেওয়া ব্যালট পেপার

     মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ ব্লকের তেঁতুলিয়া পঞ্চায়েতের ইন্দ্রডাঙ্গা বেসিক প্রাইমারি স্কুলে ১৬০ নম্বর বুথে বৈধ ব্যালট পেপার গড়াগড়ি খাচ্ছে। ব্যালট পেপারে ভোটারের চিহ্ন দেওয়া জ্বলজ্বল করছে। এই সব বৈধ ব্যালট ছাড়াই কী করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হল, তা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    গত ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে এবং তার ফলাফল ঘোষণা কার্যত সারা হয়ে গিয়েছে। এরপরেও চারিদিকে গণনা পর্বে হিংসা এবং অনিয়মের অভিযোগ উঠে এসেছে। যার ফলে ভোটের ফল ঘোষণা হওয়া সত্বেও, আদালতের রায়ের দিকে জিতেও তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে। ফল ঘোষণার পর তেঁতুলিয়া পঞ্চায়েতের ইন্দ্রডাঙ্গা বেসিক প্রাইমারি স্কুলে ১৬০ নম্বর বুথে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বহু ব্যালট পেপার। বেশ কিছু ব্যালট পেপারে প্রার্থীদেরকে ভোট দেওয়া হয়েছে। আবার কিছু নতুন ব্যালট পেপার যেগুলি ভোটে ব্যাবহার করা হয়নি, সেরকম বহু ব্যালটও পড়ে রয়েছে। কিন্তু, প্রত্যেকটি ব্যালট পেপারে প্রিসাইডিং অফিসারের সই রয়েছে।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    সিপিএমের এজেন্ট সফিকুল হাসান বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন এই এলাকার সব বুথ তৃণমূলের দখলে ছিল। বুথে তৃণমূল ছাপ্পা মারে। তখনই কি সিপিএমের প্রার্থীর ব্যালট পেপারগুলি বাইরে বার করে নতুন ব্যালট পেপারগুলিতে ছাপ মেরে ব্যালট বক্সে ভরা হয়। আমাদের প্রশ্ন, কী করে সিপিএম প্রার্থীকে ভোট দেওয়া ব্যালট পেপারগুলি বাইরে এরকম ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকল? তাহলে বিডিও সাহেব গণনার দিন কী করে ব্যালট পেপারের হিসাব ঠিক করলেন। কার ভিত্তিতে ফলাফল ঘোষণা করা হল?

    কী বললেন বিডিও?

    এই বিষয়ে বিডিও প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়কে ফোনে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমার কাছে এরকম কোনও অভিযোগ নেই। যদি কেউ অভিযোগ করত তাহলে আমি অবশ্যই বলতে পারতাম। তবুও, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: ভোটের হিংসায় ফের খুন কোচবিহারের এক বিজেপি কর্মী

    Cooch Behar: ভোটের হিংসায় ফের খুন কোচবিহারের এক বিজেপি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগের দিন তুফানগঞ্জের (Cooch Behar) নয়ারহাটে শালবাড়ি-২ এর বিজেপি কর্মী জয়ন্ত বর্মনকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধারালো দা দিয়ে আক্রমণ করা হয়। গুরুতর আহত হন তিনি। এরপর ঘটনাস্থলেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। আর তার পরেই তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে তুফানগঞ্জ হাসপাতালে এবং তার পর কোচবিহারের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। পুরো ঘটনাটি তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রার্থী ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। ৭ই জুলাই আক্রান্ত হন এবং আজ ১৩ ই জুলাই মৃত্যু হয় তাঁর। ফলে ভোটের হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৮।

    পরিবারে বক্তব্য (Cooch Behar)

    মৃত বিজেপি কর্মী জয়ন্ত বর্মনের ভাই অনন্ত বর্মন বলেন, আমাদের বাড়ি শালবাড়ির বজরাগ্রামে। গত ৭ই জুলাই ভোটের আগের দিন রাত ১২ টার সময় আমার দাদাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এরপর দাদাকে ধরালো দা দিয়ে কোপানো হয়। এই আঘাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যায় দাদা। এতদিন হাসপাতালে (Cooch Behar) ভর্তি ছিলেন। আজ দুপুরের পরে মৃত্যু হয়। দাদার মৃত্যুর পর ভাই অনন্ত বলেন, যারা দাদাকে খুন করছে, তাদের কঠিন শাস্তি চাই। আরও বলেন, আমার দাদার দুই মেয়ে, একজনের বয়স ১৮ অপর একজনের বয়স ১২। এই অবস্থায় পরিবার কীভাবে চলবে! তাই সরকারি সাহায্য চাই।

    অপর দিকে একই দিনে ভোট পরবর্তী হিংসার চিত্র ধরা পড়ল মুর্শিদাবাদে। নির্দলের বাড়ির কাছেই কান্দিতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল।

    মুর্শিদাবাদে বোমা বিস্ফোরণ

    এক দিকে কোচবিহারে (Cooch Behar) যেমন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু, ঠিক তেমনি অপর দিকে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি থানার অন্তর্গত মুনিগ্রামের পশ্চিমপাড়ায় আজ বৃহস্পতিবারেই দুপুরে হঠাৎই মজুত করে রাখা বোমায় বিস্ফোরণ ঘটে। যার ফলে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয় পশ্চিমপাড়া এলাকায়। নির্দলের প্রার্থী মতিহার বিবি বলেন, আমি রান্না করছিলাম। হঠাৎ তীব্র শব্দ হয়। এরপর দেখি বিস্ফোরণ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, খুব আতঙ্কে রয়েছি আমরা। নির্দলের উপর তৃণমূলের আক্রমণ চলছে। অন্যদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কান্দি থানার আইসি সুভাষচন্দ্র ঘোষের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এরপর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানা গেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল, প্রধানের দৌড়ে এগিয়ে বিজেপি

    BJP: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল, প্রধানের দৌড়ে এগিয়ে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিকল্পনা ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে ফের তৃণমূল পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করবে। সেই মতো দলীয় নেতা কর্মীরা পঞ্চায়েত ভোটের প্রচুর পরিশ্রম করলেন। ভোটের ফল বের হওয়ার পর সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনও পেল তৃণমূল। সংখ্যালঘিষ্ঠ হয়েছে বিজেপি (BJP)। কিন্তু, প্রধান কে হবে তা নিয়ে আরামবাগের সালেপুর ১ নং পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতাদের এখন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে।

    কেন এমন পরিস্থিতি?

    বেশি আসন পেয়েও আপাতত প্রধানের আসন দখল নিতে পারল না তৃণমূল। সংরক্ষিত আসনের গেড়োয় পড়ে চরম বিপাকে এখন শাসক দল। কম আসন পেয়েও প্রধানের আসনে বসার সম্ভাবনা বিজেপির (BJP) জয়ী প্রার্থীর। আরামবাগের সালেপুর ১ নং পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ১৬ টি। তারমধ্যে ১০টি আসনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। আর বাকি ৬ টি আসন দখল করে নিয়েছে বিজেপি। বিজেপির থেকে শাসক দলের প্রার্থীরা বেশি আসনে  জয়ী হলেও প্রধানের আসন দখল নিতে পারছে না শাসক দল। সংরক্ষিত আসনের কারণেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। ওই পঞ্চায়েতের প্রধানের আসনটি এসটি মহিলা সংরক্ষিত। আর তৃণমূলের এসটি মহিলা যে প্রার্থী দাঁড়িয়েছিলেন তিনি পরাজিত হয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, বিজেপির জয়ী প্রার্থী পূর্ণিমা মাণ্ডি প্রধান হওয়ার সমস্ত যোগ্যতা রয়েছে। আইন অনুযায়ী তিনি প্রধান পদের একমাত্র দাবিদার। যাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    জেলা তৃণমূল নেতা স্বপন নন্দী বলেন, এটা একেবারে আইনের বিষয়। দলীয় নেতৃত্বকে এই বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা এই বিষয়ে যে নির্দেশ দেবে সেই মতো পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তবে, বিজেপির জয়ী প্রার্থীকে প্রধান করে বোর্ড গঠন করা নিয়ে দলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বললেন প্রধানের দৌড়ে এগিয়ে থাকা সদ্য জয়ী বিজেপি (BJP) সদস্যা?

    বিজেপি (BJP) সদস্যা পূর্ণিমাদেবী বলেন, এই পঞ্চায়েতে নিয়ম অনুযায়ী আমি প্রধানের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছি। প্রধান হলে এই এলাকায় যে সব সমস্যার কথা আমরা জানি, সেই সমস্যা সমাধান এবং পঞ্চায়েত এলাকায় সার্বিক উন্নয়ন করার চেষ্টা করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: হিংসার শিকার একাদশ শ্রেণির ছাত্র! গলা টিপে ধরার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    Paschim Medinipur: হিংসার শিকার একাদশ শ্রেণির ছাত্র! গলা টিপে ধরার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের হিংসার শিকার একাদশ শ্রেণির ছাত্র, শাসক দলের নেতার মারে গুরুতর আহতও সে। মামা বিজেপি করে, তাই স্কুলছাত্র ভাগ্নেকে ব্যাপক মারধর করা হয়। প্রতিবাদ করায় টিউশনের শিক্ষকদেরও হুমকি দেয় তৃণমূলের কর্মী। পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতেই তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত হয় বলে খবর। আর এই খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Paschim Medinipur)?

    ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলা চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের বাঁকা এলাকায়। বাঁকা এলাকার বাসিন্দা শিবনাথ ঘোষ একজন বিজেপির কর্মী। শিবনাথবাবুর অভিযোগ, তাঁর ভাগ্নে বিপ্লব খাঁড়া বুধবার সকালে টিউশন পড়তে যায়। টিউশন পড়তে গেলে তাঁর ভাগ্নেকে তৃণমূলের কর্মী অনুপ পাল ও তোতন কারক ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। মামা ঘটনাস্থলে এলে মামাকেও মারধর করা হয়। বিজেপি নেতা এবং ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় সরব হয়েছেন শিক্ষক ও সহপাঠীরা। পরে এই ঘটনার কথা ক্যামেরার সামনে স্বীকার করেছেন সকলেই।

    আক্রান্ত ছাত্রের বক্তব্য

    শিবনাথবাবুর ভাগ্নে বিপ্লব খাঁড়া বলে, আমি ছোটবেলা থেকে মামাবাড়িতে (Paschim Medinipur) থেকে পড়াশুনা করি। মামা বিজেপি পার্টি করেন। আমি টিউশন পড়তে গেলে সেখানে কয়েকজন এসে আমার মামাকে ডাকতে বলে। এরপর আমাকে চড় থাপ্পড় এবং চুলের মুঠি ধরে টানাটানি করে। আমার বই নিয়ে যাওয়ার ব্যাগটাও ছিঁড়ে দেয়, এমনকি হুমকি দেয় পড়াশুনা বন্ধ করে দেওয়ার। শেষে আমার গলা টিপে ধরে ওই লোকগুলি। বিপ্লব আরও বলে, এইভাবেই আমাকে মেরে আহত করে দেয়। মারের কারণ হিসাবে বিপ্লব জানায়, মামা কেন বিজেপি করে! এটাই মূল বিষয়। সে আরও বলে, যারা মারধর করে প্রত্যকেই তৃণমূল করে এলাকায়।

    বিজেপির বক্তব্য

    ঘটনায় বিজেপি নেতা শিবনাথ ঘোষ বলেন, এই বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিলেও, রাজনৈতিক কারণ দেখিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে গেছে। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় বুধবার রাতে বিজেপি ও তৃণমূল কর্মী, দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চন্দ্রকোনার (Paschim Medinipur) ক্ষীরপাই ফাঁড়ির পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। যদিও একজন ছাত্রকে এইভাবে মারধরের ঘটনায় ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গেছে এলাকায়।

    অপর দিকে অভিযুক্ত তৃণমূলের কর্মী অনুপ পাল বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা, আমি কেন বাচ্চা ছেলেদের মারধর করব! আমাকে বদনাম করার চেষ্টা করছে, বিজেপির লোকজন মিথ্যা কথা বলছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: পঞ্চায়েতে জেতার সার্টিফিকেট না দেওয়ায় সবংয়ে বিজেপি সদস্যাকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: পঞ্চায়েতে জেতার সার্টিফিকেট না দেওয়ায় সবংয়ে বিজেপি সদস্যাকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে উইনিং সার্টিফিকেট দিতে রাজি না হওয়ায় বিজেপির (BJP) জয়ী প্রার্থীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লকের ১৩ নম্বর বিষ্ণুপুর অঞ্চলের মকরানিচক এলাকায়। গুরুতর জখম অবস্থায় জয়ী বিজেপি সদস্য ফাল্গুনি বিজলি বেরাকে সবং গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লকের ১৩ নম্বর বিষ্ণুপুর অঞ্চলের মকরানিচক এলাকার বিজেপি (BJP) প্রার্থী ছিলেন ফাল্গুনিদেবী। এই পঞ্চায়েতে তৃণমূল ১৩টি আসনে জয়ী হয়। সঙ্গে মকরানিচক এলাকায় তৃণমূলকে হারিয়ে বিজেপি প্রার্থী ফাল্গুনিদেবী জয়ী হন। বুধবার রাতে মকরানিচক বুথ এলাকায় বিজেপির জয়ী পঞ্চায়েত প্রার্থী ফাল্গুনিদেবীর বাড়িতে এসে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাড়িতে এসে মারধরের হুমকি দিয়ে যায়। তারপরে রাতে স্বামীর অনুপস্থিতিতে তৃণমূল লোকজন ফের চড়াও হয়। বিজেপির সদস্যের কাছে থেকে উইনিং সার্টিফিকেট চায় তারা। কিন্তু, দাবি মতো সার্টিফিকেট না দেওয়ায় বিজেপির ওই মহিলা পঞ্চায়েত প্রার্থীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। বাড়িতে লুটপাট চালানো হয়। এমনকী মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা তড়িঘড়ি উদ্ধার করে। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় সবং গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। পরবর্তীতে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় সবং থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে সবং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপি (BJP) নেতা নিতাইচাঁদ মণ্ডল বলেন, তৃণমূল এই পঞ্চায়েতে প্রচুর আসন পেয়েছে। তারপরও আমাদের জয়ী প্রার্থীর কাছে থেকে উইনিং সার্টিফিকেট ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। না দেওয়ায় ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। আমরা দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তৃণমূলের সবং ব্লকের সহ-সভাপতি গণেশ প্রামাণিক বলেন, এই ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই বিজেপির (BJP) কর্মীরাই আমাদের তৃণমূল কর্মীদের মারধর করছে। আজকেও কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকে মারধর করেছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা সাজানো ঘটনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘তৃণমূলের এত সন্ত্রাসের পরও রাজ্যে বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক বেড়েছে’’, বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘‘তৃণমূলের এত সন্ত্রাসের পরও রাজ্যে বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক বেড়েছে’’, বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত পঞ্চায়েতের তুলনায় অনেক বেশি আসন বেড়েছে বিজেপির। শতাংশের বিচারে ভোটের হারও অনেক বেড়েছে। বুধবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বালুরঘাটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, তৃণমূল এত সন্ত্রাস করেও কিছু করতে পারেনি। বিজেপির ভোট ব্যাঙ্ক বিপুল বেড়েছে। এই ফল আগামী নির্বাচনে দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াবে বলে মনে করছে বিজেপির নেতৃত্ব।

    রাজ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, মঙ্গলবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা শুরু হয়েছিল। আমাদের কাছে তথ্য এসেছে যে এখনও গণনা চলছে। ভোট লুটে কিভাবে এই বাংলা এগিয়ে আছে, তা গোটা বাংলার মানুষ দেখল। বিডিওদের আমরা তৃণমূলের ব্লক প্রেসিডেন্টের মতো কাজ করতে দেখলাম। প্রশাসন ভোট লুট করার পরেও বিজেপি এখনও পর্যন্ত ৯৫১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতে জিতেছে। গণনা চলছে এখনও। ২০১৮ সালে রাজ্যে বিজেপির জেতা আসন ছিল ৫৭৭৯। এবার সেই আসন সংখ্যা অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। ২০২৩ সালে বিজেপি ২৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে। ২০০৮ সালে তৃণমূল পঞ্চায়েতে ২৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এত কিছু করার পরও বিজেপি যখন এত পরিমাণে ভোট পেয়েছে, তখন বোঝা যাচ্ছে, বাংলার মানুষ এই সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে।

    বিজেপির পাঁচজন অনুসন্ধানকারী দল প্রসঙ্গে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, প্রাক্তন মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বে আরও চার জন পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন। তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ, বাড়িঘর ভাঙচুর ও সাধারণ মানুষের উপর যেভাবে আক্রমণ হয়েছে, তা সব খতিয়ে দেখবেন। তার সার্বিক রিপোর্ট সর্বভারতীয় সভাপতির হাতে জমা দেবেন।

    ভাঙড়ে পুলিশ-আইএসএফ সংঘর্ষ নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    ভাঙড় নিয়ে সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar) বলেন, মঙ্গলবার রাতে ভাঙড়ে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে রাজ্য সরকারই পুলিশকে দিয়ে সাধারণ নাগরিকের জীবন নিয়েছে। রাজ্য সরকারের কাছে বাংলার সাধারণ মানুষের এক পয়সা দাম নেই। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ও বাংলার মানুষের গর্জে ওঠা উচিত। গণতন্ত্রের সর্ববৃহৎ উৎসবে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে এবার গোটা রাজ্যে প্রায় ৫০ জনের জীবন চলে গেল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের প্রথমে ধমক, রাজি না হলে বাড়ি-গাড়ির প্রলোভন!

    Paschim Medinipur: বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের প্রথমে ধমক, রাজি না হলে বাড়ি-গাড়ির প্রলোভন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করার জন্য বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের বাড়িতে গিয়ে ধমক দিচ্ছে তৃণমূলের নেতারা। শুধু তাই নয়, বোর্ড গঠনের জন্য বাড়ি-গাড়ি দেওয়ারও প্রলোভন দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনলেন বিজেপির বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Paschim Medinipur)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পরের দিন,পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার খড়্গপুর ১ নম্বর ব্লকের গোপালী বাজারে পৌঁছে যান খড়্গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। ১১ জন পঞ্চায়েত প্রার্থী ও একজন পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী জয়ী হওয়ায় স্থানীয় লোকেদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন তিনি। ঠিক তার পরেই বোর্ড গঠনের জন্য তৃণমূল প্রলোভন দিচ্ছে বলে বিস্ফোরক হন বিজেপির এই বিধায়ক।

    কত আসন?

    গোপালী গ্রাম পঞ্চায়েতে (Paschim Medinipur) মোট আসন সংখ্যা ২৪ টি। তৃণমূল কংগ্রেসর ১১ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। বিজেপির জয়ী হয়েছেন ১১ জন প্রার্থী। আর রয়েছেন সিপিএমের ১ জন এবং নির্দলের ১ জন প্রার্থী।

    কেন প্রলোভন?

    নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর গ্রাম পঞ্চায়েত (Paschim Medinipur) এখন ত্রিশঙ্কু অবস্থায় রয়েছে। যে দল বোর্ড গঠন করুক না কেন, অন্য দল থেকে নিজেদের দলে ২ জন পঞ্চায়েত প্রার্থীকে যোগ দেওয়ার পরেই গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করতে পারবে। এছাড়াও গোপালীতে বিজেপির ১ জন পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী জয়ী হয়েছেন বলে জানা গেছে।

    বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ কী?

    খড়গপুর (Paschim Medinipur) সদরের বিজেপির বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এখানকার কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেছিলাম। ফল প্রকাশ হওয়ার পর এখানে এসে আমরা সবাই শপথ নিলাম। চোরেদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমরা জয়ী হয়েছি। তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী গতকাল রাত থেকে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখাচ্ছে, হুমকি দিচ্ছে, প্রলোভন দেখাচ্ছে গাড়ি-বাড়ি-টাকা দেবে বলে। কিন্তু চোরেদের দলে আমরা যাব না। ওরাও ১১ টায় জয়ী হয়েছে, আমরাও ১১ টায় জয়ী হয়েছি। বোর্ড গঠনের জন্য আমাদের দল ভাঙতে ওরা এই পথ নিয়েছে। তাই আমাদের সচেতন থাকতে হবে। হিরণ আরও অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে! এটাই তো নির্বাচন কমিশনারের চরিত্র। প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলা হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইয়ের সঙ্গে উনি মদ্যপান করতে বসে যান। এই নির্বাচন কমিশনার কী করবে! পা চাটবে। এই কমিশনার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভোটে কাজে লাগায়নি‌।

    উল্টো দিকে এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব অজিত মাইতি বলেন, বিজেপির এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। পালে হাওয়া নেই, তাই এমন অভিযোগ তুলছেন বিধায়ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ভোটে হারতেই শান্তিপুরে জয়ী বিজেপি প্রার্থীকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: ভোটে হারতেই শান্তিপুরে জয়ী বিজেপি প্রার্থীকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটে জেতার কারণে বিজেপি প্রার্থীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন একাধিক বিজেপি কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর থানার বেলঘড়িয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গবাচ্চর এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনা চলে যায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। যাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা না ছাড়ায় সেই কারণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের দিন থেকেই এলাকায় অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ভোটের দিনও ওই এলাকার বিজেপি প্রার্থী গৌরাঙ্গ বিশ্বাসকে মারধরের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার ভোটের ফলাফলে গ্রাম পঞ্চায়েতে ওই এলাকায় গৌরাঙ্গ বিশ্বাস জিতে যান। অন্যদিকে ওই এলাকারই বিজেপির প়ঞ্চায়েত সমিতি প্রার্থী কামনা বিশ্বাস জয় লাভ করেন। ভোটের ফলাফল বের হওয়ার পর থেকেই এলাকায় তাণ্ডব শুরু করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বুধবার সকালে হঠাৎ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী এলাকায় চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। সেখানেই  বিজেপি প্রার্থী এবং বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বচসা বাধে। এরপরেই আচমকা গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের মাথায় বাঁশ দিয়ে বাড়ি মারে তৃণমূল কর্মীরা। পাশাপাশি ওই এলাকার বিজেপির জয়ী পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীর স্বামী সমীর বিশ্বাসকেও মারধর করা হয়। বিজেপির অন্যান্য কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়। তড়িঘড়ি তাদের উদ্ধার করে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বর্তমানে চিকিৎসাধীন বিজেপি প্রার্থী সহ আরও বেশ কয়েকজন।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থীর পরিবারের লোকজন?

    এ বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের মেয়ে পিপাসা বিশ্বাস বলেন, ভোটের পর থেকে তৃণমূল এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছিল। ভোটের দিনও ছাপ্পা ভোট মেরেছে এবং বোমাবাজি করেছে এলাকায়। এদিন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী পুতুল বিশ্বাস হেরে যাওয়ার কারণে আচমকা আমার বাবার উপর ওরা হামলা চালায়। মাথায় আঘাত করে। এর পাশাপাশি অন্য দলীয় নেতা কর্মীদের ওরা মারধর করে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী পুতুল বিশ্বাস। তাঁর বক্তব্য, গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের পরিবার তাদের উপর হামলা করেছে। তৃণমূল কোনও হামলা চালায়নি। ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: জয়ী বিজেপিকে হারিয়ে তৃণমূলকে জিতিয়েছে বিডিও, অভিযোগে সরব দেবশ্রী

    Uttar Dinajpur: জয়ী বিজেপিকে হারিয়ে তৃণমূলকে জিতিয়েছে বিডিও, অভিযোগে সরব দেবশ্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) গণনা কেন্দ্রে কারচুপি করে বিজেপির জেতা প্রার্থীদের হারিয়ে তৃণমূল প্রার্থীদের জেতানো হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গে গণনা কেন্দ্রে অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনে রায়গঞ্জ পলিটেকনিক কলেজের গণনা কেন্দ্রে বিডিও-র অস্থায়ী কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি নেতৃত্ব। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরি এবং জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার।

    গণনা কেন্দ্রে কী হয়েছে (Uttar Dinajpur)?

    বুধবার রায়গঞ্জের (Uttar Dinajpur) সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী, জেলা বিজেপি সভাপতি বাসুদেব সরকার, বিজেপি প্রার্থীরা বিডিও-র অস্থায়ী কার্যালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। ছুড়ে ফেলা হয় টেবিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই বিক্ষোভের ঘটনায় রায়গঞ্জের বিডিও শুভজিৎ মণ্ডল আহত হন বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে। আপাতত তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

    বিজেপি সাংসদ কী বললেন?

    রায়গঞ্জের (Uttar Dinajpur) সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, জেলার প্রতিটি গণনা কেন্দ্রে সারা রাত ধরে তৃণমূল কারচুপি করেছে এবং তাতে মদত দিয়েছে প্রশাসনিক কর্তারা। তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের গণনা কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কার্যত বসিয়ে রাখা হয়েছিল। বিজেপির জেতা প্রার্থীদের কমিশন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা করে বসিয়ে রেখেছে। সার্টিফিকেট দেয়নি! বিডিও নিজের মতো ইচ্ছে করে পুনরায় গণনা করে তৃণমূলের প্রার্থীদের জয়ী করেছে। বিজেপিকে কারচুপি করে হারানো হয়েছে বলে দাবি করেন রায়গঞ্জের সাংসদ। এতে মদত দিয়েছে জেলার প্রশাসনিক কর্তারাই বলে অভিযোগ দেবশ্রী দেবীর। পাশাপাশি গণনা কেন্দ্রে এই কারচুপির বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এই বিজেপি নেত্রী।

    বিডিও-র বক্তব্য

    অপরদিকে, রায়গঞ্জের বিডিও শুভজিৎ মণ্ডল বলেন, গণনা প্রক্রিয়ার কাজ চলাকালীন কিছু বোঝার আগেই তাঁর ওপরে চড়াও হয়। চেয়ার টেবিল ছুড়ে মারা হয় বলে জানান তিনি। এই নিয়ে গণনা কেন্দ্রে তীব্র উত্তেজনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: জয়ী প্রার্থীদের দেওয়া হচ্ছে না সার্টিফিকেট, মালদায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির

    BJP: জয়ী প্রার্থীদের দেওয়া হচ্ছে না সার্টিফিকেট, মালদায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়ী প্রার্থীদের সার্টিফিকেট না দেওয়ার অভিযোগ তুলে রাজ্য সড়ক অবরোধ ও ভোট গণনা কেন্দ্রের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করল বিজেপি (BJP)। আর সেই বিক্ষোভ অবস্থানে সামিল হলেন উত্তর মালদার এমপি খগেন মুর্মু, বিধায়ক সহ বিজেপি কর্মীরা। তৃণমূলের দালাল চোর বিডিও স্লোগান তুলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    জেলা পরিষদের ৩ নং আসনে দিপালী বলা এবং ৪ নং আসনে সোনালী টুডু এবং ৫ নং আসনে তারাশঙ্কর রায় নামে বিজেপি প্রার্থীরা তৃণমূলকে হারিয়ে জয়লাভ করেছেন। অথচ তাঁদের কাউকে জয়ীর সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। বিষয়টি জানাজানি হতেই বিজেপির (BJP) কর্মী-সমর্থকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। হবিবপুর ব্লকের মালদা নালাগোলা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি কর্মীরা। অবরোধের জেরে রাজ্য সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে এবং পথ অবরোধ উঠিয়ে দেয়। এবং পরে বুলবুলচণ্ডি জিএসভি হাইস্কুলে ভোট গণনা কেন্দ্রের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন বিজেপি কর্মীরা। এরপরে মালদা জেলা পরিষদের ৩ নং আসনের দিপালী বলা এবং ৫ নং আসনের তারাশঙ্কর রায়কে জয়ী হওয়ার সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। তবে, মালদা ৪ নং আসনের সোনালী টুডুকে জয়ী হওয়ার সার্টিফিকেট না দেওয়ার জন্য দীর্ঘক্ষণ ধরে বিজেপির পক্ষ থেকে অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) সাংসদ?

    উত্তর মালদার বিজেপি (BJP) সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, মালদা জেলা পরিষদের একাধিক আসনে দলীয় প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। অথচ তাঁদের জয়ী হওয়ার সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে না। এটা কাম্য নয়। কারণ, আমরা সার্টিফিকেট না পেয়ে জয়ী হচ্ছে বলতে পারছি না। তৃণমূলের কথা শুনে প্রশাসন যা খুশি তাই করছে। এসব মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share