Tag: bjp

bjp

  • Hooghly: পঞ্চায়েতের ফলাফল ঘোষণা হতেই হিংসা আরামবাগে, অনেক বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া

    Hooghly: পঞ্চায়েতের ফলাফল ঘোষণা হতেই হিংসা আরামবাগে, অনেক বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরই তৃণমূলের সন্ত্রাস আরামবাগের (Hooghly) মলয়পুরের পূর্বপাড়া এলাকায়। মারধর, গাড়ি ভাঙচুর ও গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শাসক দলের দৌরাত্ম্যে ঘরছাড়া বহু বিজেপি কর্মী। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুরো ঘটনায় এলাকায় (Hooghly) দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আরামবাগ থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। এই ঘটনার জেরে এখনও এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। এলাকায় চলছে পুলিশি টহল। এলাকার লোকজন বলছেন, সিপিএমের আমলে যে ঘটনা ঘটত, তৃণমূলের জমানায় তার কোনও পরিবর্তন হল না!

    আরামবাগের (Hooghly) ফলাফল কেমন?

    আরামবাগের (Hooghly) মলয়পুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ১৭টি। এর মধ্যে বিজেপির দখলে ৮টি আসন এবং বাকি ৯টি দখল করেছে তৃণমূল। তবে মলয়পুরের পূর্বপাড়া বুথে এবারে জয়ী হয়েছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, ফলাফল ঘোষণার পর অনেক বিজেপি কর্মীকে ঘরছাড়া করেছে তৃণমূল। শাসক দলের সন্ত্রাসে ভীত এলাকাবাসী।

    বিজেপির বক্তব্য

    আরামবাগের (Hooghly) বিজেপির বিধায়ক মধুসূদন বাগ বলেন, তৃণমূলের লোকজন বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে এলাকায় অশান্তি করতে এসেছিল। আর তাই গ্রামের মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে! ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে হিংসার কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপির বিধায়ক বলেন, তৃণমূলের সন্ত্রাসে আমাদের অনেক বিজেপি কর্মীরা ঘরছাড়া হয়ে আছেন। শাসক দল যেখানে যেখানে জয়ী হয়েছে, সেখানে সেখানে তীব্র সন্ত্রাস চলছে। 

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিজেপিই হামলা চালিয়েছে। দুষ্কৃতীদের প্রত্যেকের হাতে ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোটা, বন্দুক ছিল। এমনকী জেলার সহ সভাপতির গাড়ির উপর হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় তাঁর গাড়ি। অন্যান্য তৃণমূল কর্মীদের পিছনে ছুটে ধাওয়া করে দুষ্কৃতীরা। কোনও রকমে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয় সকলে। তৃণমূল প্রার্থী (Hooghly) শ্যামসুন্দর কোয়ালের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে। বেধড়ক মারধর করা হয় তৃণমূল প্রার্থীর বাবা নিমাই কোয়ালকে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর বউমাকে হারিয়ে পঞ্চায়েত সমিতিতে বাজিমাত বিজেপির

    Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর বউমাকে হারিয়ে পঞ্চায়েত সমিতিতে বাজিমাত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মামার বাড়ি কুসুম্বা গ্রামে পঞ্চায়েতে ধরাশায়ী হয়েছিল তৃণমূল। এবার পঞ্চায়েত সমিতির আসনও তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নিল বিজেপি। আর তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রীর মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী পম্পা মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে বিজেপি প্রার্থী সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায় জয়ী হন। অথচ এই পঞ্চায়েত সমিতিতে বরাবরই তৃণমূলের দাপট ছিল।

    ভোটে হেরে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী?

    রামপুরহাট-১ ব্লকের কুসুম্বা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুসুম্বা গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মামার বাড়ি। এই পঞ্চায়েতে মোট ২১টি আসন রয়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অধিকাংশ আসনেই তৃণমূল জয়ী হয়েছিল। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়ি কুসুম্বা গ্রামে তিনটি আসন রয়েছে। গতবার সবকটি তৃণমূলের দখলে ছিল। এবার এই গ্রামের তিনটি বুথের মধ্যে দুটি আসনেই বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়। মঙ্গলবার রাতে গণনার পর বিজেপি প্রার্থী জয়ী হন। জানা গিয়েছে, ৬ ভোটে জয়ের খবর পেয়ে আনন্দে মেতেছিলেন পম্পাদেবী। কিছুক্ষণ পর খবর পান, তিনি ৩৬ ভোট পরাজিত হয়েছেন। এরপর ফের তিনি রামপুরহাট কলেজের গণনা কেন্দ্রে পৌঁছন। এনিয়ে গণনা কেন্দ্রে চাপা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিজেপির কাছে ৩৬ ভোট পরাজিত হন মুখ্যমন্ত্রীর মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী পম্পা মুখোপাধায়। ওই আসনে বিজেপির সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায় জয়লাভ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয় পম্পা মুখোপাধ্যায় বলেন, আমি জিতেছিলাম। তারপর শুনছি, আমি হেরে গিয়েছি। আমি ফের গণনার দাবি জানাচ্ছি। এই ঘটনা নন্দীগ্রামের মতো হয়ে গেল।

    কী বললেন জয়ী বিজেপি প্রার্থী?

    কুসুম্বা গ্রামে ৩১ নম্বর এবং ৩২ নম্বর আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ৩১ নম্বর আসনে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মামা ভোটার। সেই বুথেও বিজেপি জয়ী হয়েছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয় পরাজিত হলেন। বিজেপির জয়ী প্রার্থী সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায় বলেন, ভোটের সম্পূর্ণ ফল না জেনেই তৃণমূল জিতে গিয়েছে বলে নাচতে নাচতে ওরা বাড়ি চলে যায়। কিন্তু, বাস্তবে গণনার পর দেখা যায়, আমরা ৩৬ ভোটে পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী হয়েছি। গত ১৫ বছর ধরে মানুষ ওদের দেখেছে। মানুষ আর ওদের মেনে নিতে পারছে না। তৃণমূলকে হারানোর জন্য মানুষ তৈরি ছিল। মানুষের ভালোবাসায় আমি জয়লাভ করেছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: গণনার দিনেও উত্তপ্ত রায়দিঘি, প্রাণ গেল এক তৃণমূল কর্মীর

    South 24 Parganas: গণনার দিনেও উত্তপ্ত রায়দিঘি, প্রাণ গেল এক তৃণমূল কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট শেষেও জারি মৃত্যু মিছিল। ভোট পরবর্তী হিংসায় দুষ্কৃতীদের আক্রমণে এবার প্রাণ গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) আরও এক তৃণমূল কর্মীর। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে রক্ত ঝরেছে সারা পশ্চিমবঙ্গে। এই নির্বাচনে অবশ্য সবচেয়ে বেশি রক্ত ঝরেছে শাসক দলেরই। এই আবহে ফের আরও এক শাসক দলের কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল।

    কোথায় খুনের ঘটনা ঘটল (South 24 Parganas)?

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) রায়দিঘি বিধানসভার কাশীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদপাশা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতের নাম বিপ্লব হালদার। জানা গিয়েছে, বিপ্লবের বুথে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হন। এরপরই দুষ্কৃতীরা এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূলের অভিযোগ, দুই দলের সংঘর্ষের আবহে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিপ্লবকে কুপিয়ে খুন করে। যদিও খুনের ঘটনা অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির বক্তব্য, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষেই খুন হন এই তৃণমূল কর্মী। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। বিপ্লবের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে খুন হয়েছিল বাসন্তীতেও

    এর আগে ভোটগ্রহণ চলাকালীন দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বাসন্তীতে প্রাণ হারিয়েছিলেন এক ভোটার। মৃত ব্যক্তির নাম আনিসুর রহমান। দাবি করা হয়, তিনি তৃণমূল প্রার্থীর আত্মীয়। বোমার আঘাতে প্রাণ হারান তিনি। উল্লেখ্য, যুব ও তৃণমূলের মূল সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে এর আগেও বাসন্তীর মাটি রক্তে লাল হয়েছিল। সেখানে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল নিজে। ভোটের দিনও রক্তাক্ত হয় বাসন্তী! যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উড়িয়ে দেয় ঘাসফুল শিবির। এবার ভোটপর্বের সময়ই বাংলার মোট ৪২ জনের প্রাণ গিয়েছে। ভোটের দিন মারা গিয়েছিলেন ১৬। ভোটের দিনের হিংসায় জখম আরও দুই ব্যক্তি মারা যান পরে। আর এবার ভোট পরবর্তী হিংসার বলি আরও এক তৃণমূল কর্মী। অপর দিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমাতেও দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব চলল।

    পাথরপ্রতিমায় বাড়িতে ঢুকে হামলা

    ভোট শেষেও হিংসা অব্যাহত জেলার বিভিন্ন জায়গায়। পাথরপ্রতিমায় (South 24 Parganas) তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পাথরপ্রতিমার পূর্বশ্রীধর নগর বালিখালপাড়া এলাকায়। স্থানীয় তৃণমূল জানায়, মঙ্গলবার রাতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অর্ধেন্দু ভূঁইয়া সহ একাধিক তৃণমূল কংগ্রেসের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায় বিজেপির দুষ্কৃতীরা। তারা বাঁশ, রড থেকে শুরু করে একাধিক অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। আর তার ফলেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অর্ধেন্দু ভূঁইয়া সহ ৮ থেকে ৯ জন কর্মী গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় পাথরপ্রতিমা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকেরা। অন্যদিকে এই ঘটনার দায় অস্বীকার করা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। বিজেপির অভিযোগ, যুব তৃণমূল এবং মাদার তৃণমূলের সংঘর্ষের কারণেই এই হিংসার ঘটনা ঘটে। তবে এই ঘটনায় পাথরপ্রতিমা থানা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গোটা বিষয়ের তদন্ত শুরু করেছে পাথরপ্রতিমা থানার পুলিশ।

    বিজেপির বক্তব্য

    মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি প্রদ্যুৎ কুমার বৈদ্য বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ফলেই রায়দিঘিতে মৃত্যু হয়েছে। বিজেপি বুথে জিতলেও আমরা কোনও হিংসার আশ্রয়কে বিশ্বাস করি না। তিনি আরও বলেন, পাথরপ্রতিমাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ প্রতিরোধ হয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: এগরার খাদিকুলে বিস্ফোরণের জের, তৃণমূলকে হারিয়ে পঞ্চায়েতে বাজিমাত বিজেপির

    BJP: এগরার খাদিকুলে বিস্ফোরণের জের, তৃণমূলকে হারিয়ে পঞ্চায়েতে বাজিমাত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধ বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ কাণ্ডে ১২ জনের মৃত্যু হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা থানার খাদিকুল গ্রামে। বিস্ফোরণের প্রতিবাদে এলাকার মানুষের জনরোষ এবার গিয়ে পড়ল ভোটের বাক্সে। খাদিকুল গ্রামে এবার জয়লাভ করল বিজেপি (BJP)। শুধু তাই নয়, সাহাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নিল বিজেপি। খাদিকুলে ৮২ ভোটে জয়ী হলেন বিজেপি প্রার্থী পুষ্পলতা সাউ। আর তিনি হারিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী শান্তিলতা দাসকে। তিনি এলাকায় দাপুটে তৃণমূল নেত্রী হিসেবে পরিচিত। পাশাপাশি তিনি সাহাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’বারের প্রাক্তন প্রধান। শান্তিলতা দাসকে শিপুর গ্রামসভাতে ৮২ ভোটে পরাজিত করল বিজেপি। এই শান্তিলতা দাসের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা এনেছিল নির্দল এবং তৃণমূল। পরে নির্দলের প্রধান হন তিনি। এবার এই পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করল। ১৭ টি আসনের সাহাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২ টি আসনে জয়লাভ করেছে বিজেপি।

    কী বললেন বিজেপির (BJP) জয়ী প্রার্থী?

    বিস্ফোরণে ভয়াবহ ভাবে অগ্নিদগ্ধ কারখানার মালিক কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানুর মৃত্যু হয় ওড়িশার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। এলাকার সক্রিয় তৃণমূল নেতা ভানু বাগের কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত শ্রমিকদের পরিবারের লোকজন ও এলাকার মানুষ সে সময় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব মানস ভুঁইয়া, দোলা সেন সহ একাধিক নেতাকে। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ দিলীপ ঘোষ সহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বিজেপির (BJP) জয়ী প্রার্থী পুষ্পলতা সাউ বলেন, তৃণমূল প্রচার করেছিল উন্নয়নের নিরিখে ভোট হবে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে এসে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছিলেন। কিন্তু, এত কিছু করেও তৃণমূল এই আসন ধরে রাখতে পারল না। কারণ, দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলকে শিক্ষা দিতে এলাকার মানুষ জোট বেঁধেছিল। এই জয় এলাকার মানুষের জয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: গণনা শেষ হতেই বিজেপি প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: গণনা শেষ হতেই বিজেপি প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফল বের হওয়ার পর বারাকপুর-১ ব্লকের কাউগাছি-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি (BJP) প্রার্থীর বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকী আগুন লাগানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। পরে, বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পাশাপাশি বেলে শংকরপুরে সিপিএমের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালানোর ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতা?

    বিজেপির (BJP) বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ফল বের হওয়ার পরই তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী এলাকায় তাণ্ডব চালাতে শুরু করে। আমাদের দলীয় প্রার্থী মৌসুমী মিত্রের বাড়িতে ভাঙচুর করে ওরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আসলে বিজেপি বহু জায়গায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। তাতেই তৃণমূল এসব করে বেড়াচ্ছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, বিজেপির (BJP) অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে রাজনৈতিক কারণে কোনও ভাঙচুর করা হয়নি। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। আর বেলে শংকরপুর এলাকায় সিপিএমের কার্যালয়ে ভাঙুচর হয়েছে। তবে, সেটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আর এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না।

    বিজেপি (BJP) প্রার্থীকে গণনা কেন্দ্র থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ

    বারাকপুর মহকুমায় পানপুর মাখনলাল ও ঘোলা শশীভূষণ স্কুলে মঙ্গলবার সকাল থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। পানপুরে মামুদপুর গণনাকেন্দ্র কিছুক্ষণের জন্য বেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিজেপি প্রার্থী বরুণ সরদার দাবি করেন, যেসব ব্যালটে প্রিসাইডিং অফিসারের পুরো সই নেই, সেগুলি বাতিল করতে হবে। এই নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বিতণ্ডা বেধে যায়। নৈহাটি টাউন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সনৎ দে অভিযোগ করেন, তিনি মদ খেয়ে বেলেল্লাপনা করছেন। এই নিয়ে গণনা কেন্দ্রের মধ্যেই অশান্তি বেধে যায়। পরে তৃণমূল নেতাদের কথা মতো পুলিশ ওই বিজেপি প্রার্থীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে গণনা কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: জয়ী ঘোষণার পরেও বিজেপি প্রার্থীদের হারিয়ে দেওয়ার অভিযোগ! সরব সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: জয়ী ঘোষণার পরেও বিজেপি প্রার্থীদের হারিয়ে দেওয়ার অভিযোগ! সরব সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়ী ঘোষণার পর ফের বিজেপি প্রার্থীদের হারিয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এনিয়ে সরব বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বালুরঘাটের বিডিও তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন, বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের শংসাপত্রে দেওয়া হচ্ছে না সিলমোহর, এমনই অভিযোগ বিজেপির। বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২টি আসনের মধ্যে বিজেপিকে ১৫টি ও তৃণমূলকে ৭টি আসনে জয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে দেখা যায় বিজেপি ও তৃণমূলকে টাই করে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও তৃণমূলের এমন দুর্নীতির প্রতিবাদে গণনার দিন বিকালে বালুরঘাটে জেলাশাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পরে এনিয়ে জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণার সঙ্গে দেখাও করেন তিনি।

    ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ

    জানা গিয়েছে, ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯ ও ১২ নম্বর বুথের দুই প্রার্থী মুক্তি মার্ডি ও স্বপ্না পাহানকে প্রথমে জয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে আবার ঘোষণা করা হয়, তারা হেরে গেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গণনা কেন্দ্রে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তোলে বিজেপি। মঙ্গলবার বিক্ষোভ-অবস্থান চলতে থাকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে। সেখানে সামিল হন তপনের বিজেপি বিধায়ক বুধরাই টুডু। সুকান্ত মজুমদার জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগ জানান। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের তরফে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

    কী বলছেন সুকান্ত মজুমদার?

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘ভাটপাড়া পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থীদের কারচুপি করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভাটপাড়া পঞ্চায়েতে ১৫ টি সিটে জয়লাভ করেছিল আমাদের প্রার্থীরা। কিন্তু মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের বাইরে বের করে দিয়ে পরে ফলাফল পাল্টে দেয় তারা। আমাদের প্রার্থীদের জোর করে হারিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’ মঙ্গলবার রাতে সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ‘‘জেলাশাসককে আমরা যখন অভিযোগ জানাই, তখন ১১ জন প্রার্থীকে জয়ের সার্টিফিকেট দিয়েছিল প্রশাসন। কিছুক্ষণ পরে ওয়েবসাইটে দেখা যায়, তৃণমূল ১২ পেয়েছে, বিজেপি পেয়েছে ১০। এই চালাকি গোটা রাজ্য জুড়ে হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে বিজেপির জেতা মেম্বারকে হারিয়ে অন্যকে জেতানো হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত জায়গায় তৃণমূল এই ভাবে ভোট করিয়েছে। নির্বাচন নয়, প্রহসন করা হচ্ছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর গড়ে গেরুয়া ঝড়, আবির মেখে উচ্ছ্বাস বিজেপি কর্মীদের

    Purba Medinipur: নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর গড়ে গেরুয়া ঝড়, আবির মেখে উচ্ছ্বাস বিজেপি কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুভেন্দুর বিধানসভা (Purba Medinipur) কেন্দ্রে দুটি ব্লকের ১৭ টি অঞ্চলের মধ্যে দশটি অঞ্চলে জয় বিজেপির। আর বাকি সাতটি অঞ্চল তৃণমূলের দখলে গেল। নন্দীগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় খেলা হল গেরুয়া আবির। নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটের আগে প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ফলাফলের পর এলাকায় জয়ের তীব্র উত্তেজনা দেখা গেল।

    নন্দীগ্রামের (Purba Medinipur) ফলাফল কেমন হল বিজেপির?

    ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে ১৯৫৬ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ৮ই জুলাই ভোটের দিন নন্দীগ্রামের (Purba Medinipur) বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসের খবর উঠে আসছিল বিরোধীদের মুখে। নন্দীগ্রামে ১০ই জুলাই পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তার পরেই মঙ্গলবার সকাল থেকে থমথমে পরিবেশ ছিল নন্দীগ্রামে। নন্দীগ্রাম বিধানসভার দুটি ব্লক। নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লক ও রিয়াপাড়া ব্লক। নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকে দশটি অঞ্চল এবং রেয়াপাড়া ব্লকে ৭ টি অঞ্চল। নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকে ১০ টি অঞ্চলের মধ্যে ৫ টি অঞ্চল তৃণমূলের দখলে ও বিজেপি বাকি ৫ টি অঞ্চল দখল করে। রেয়াপাড়া ব্লকের ৭ টি অঞ্চলের মধ্যে তৃণমূল ২ টি অঞ্চল ও বিজেপি ৫ টি অঞ্চল দখল করেছে। নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকে হরিপুর অঞ্চলে খাতা খুলতে পারল না তৃণমূল। এখানে ১৫ টি আসনের মধ্যে ১৫ টিই বিজেপির দখলে।

    অন্য দিকে কাঁথিতেও জয়ী বিজেপি

    অপর দিকে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) কাঁথিতেও উড়ল গেরুয়া আবির। কাঁথি ১ নং ব্লকের ৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছে বিজেপি। তাই জয়ের পরেই শান্তিকুঞ্জের সামনে অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা গেরুয়া আবির মেখে উল্লাসে মেতে ওঠে। সবার মুখেই একটাই কথা ‘শুভেন্দু ম্যাজিক’ কাজে লেগেছে। রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি পাঁচটি অঞ্চল দখল করেছে। এখন দেখার বিষয় জেলার ২৫ টি পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ কার দখলে যায়!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: “দাদা আমাকে বাঁচান”, নিশীথ প্রামাণিকের পা জড়িয়ে অঝোরে কান্না বিজেপি প্রার্থীর

    Cooch Behar: “দাদা আমাকে বাঁচান”, নিশীথ প্রামাণিকের পা জড়িয়ে অঝোরে কান্না বিজেপি প্রার্থীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিতাই ব্লকে (Cooch Behar) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের পা জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী। ওই মহিলা বললেন, তাঁর বাড়ি ভেঙে দেওয়া হতে পারে। বোমা মারার হুমকিতে আতঙ্কে আছেন তিনি। ফলাফল ঘোষণার পর এইভাবেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন ওই বিজেপি প্রার্থী। ভোটে হেরেছেন। তার জন্য তৃণমূলকে দিতে হবে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা। না হলে মেয়েকে তুলে নিয়ে যাবে তৃণমূলের গুন্ডারা। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

    কেন পায়ে ধরে সুরক্ষা চাইলেন (Cooch Behar)?

    সিতাই বিধানসভার (Cooch Behar) ৬/১০৪ নম্বর বুথে বিজেপির মহিলা প্রার্থী ছিলেন বিউটিবালা দাস। নির্বাচনে কারচুপি করে তাঁকে হারানো হয়েছে। আর এর পর থেকেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে ব্যাপক হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের পা জড়িয়ে ধরে আশ্রয় চান তিনি! প্রার্থী বলেন, দাদা আমাকে বাঁচান! মন্ত্রীর পায়ে ধরে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন এই বিজেপি প্রার্থী। প্রার্থী আশঙ্কা করছেন, নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর বাড়িতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা করবে। বাড়িঘর ভাঙচুর করবে! ইতিমধ্যেই লুটপাটের হুমকি আসছে বলে অসহায় হয়ে আশ্রয় চাইলেন। প্রার্থী আরও বলেন, গণনা কেন্দ্রে আমাদের না ডেকেই গণনা করা হয়েছে। একতরফা আমদের ঢুকতে না দিয়ে জোর করে নিজেদের জয়ী বলে ঘোষণা করেছে তৃণমূল। মন্ত্রী পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। এমনকি তিনি আরও জানান, যদি মন্ত্রী তাঁর পাশে না দাঁড়ান, তাহলে তাঁর আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না। যদিও দলীয় প্রার্থীর মুখে এমন আর্তনাদ শুনে তাঁর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক।

    কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বক্তব্য

    এত সন্ত্রাসের পরে এই ফল! সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Cooch Behar) বলেন, এত সন্ত্রাসের চোখ রাঙানি, বোমা-বারুদ, মারামারি-হানাহানি-লড়াইয়ের মধ্যেও মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে লড়াইতে নেমেছেন, এটা কম বড় বিষয় নয়। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় বড় কথা নয়। কিন্তু সাহস দেখিয়ে চোখে চোখ দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাটাই আসল কথা। তৃণমূল যেখানে যেখানে ছাপ্পা মেরেছে, সেখানে সেখানে জয়ী হয়েছে। প্রশ্ন করা হয়, ছাপ্পা হবে বুঝতে পেরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কেন প্রতিরোধ করতে পারল না বিজেপি? উত্তরে নিশীথ বলেন, যেখানে পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে সন্ত্রাস করে, সেখানে সাধারণ মানুষ কীভাবে লড়াই করবে! প্রশাসন দুষ্কৃতীদের প্রত্যক্ষ মদত দেয়, বিরোধীদের মিথ্যা কেসে তুলে নিয়ে যায়। তৃণমূলের গুন্ডাদের সঙ্গে লড়াই সম্ভব। কিন্তু পুলিশের সঙ্গে লড়াই কী করে সম্ভব? সুতরাং তৃণমূলের শাসন শেষ না হলে এই ব্যবস্থার বদল ঘটবে না। তিনি আরও বলেন, আগামী লোকসভার ভোটে তৃণমূল ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কর্মীদের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বার্তা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কর্মীদের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বার্তা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের দিন এক বুথ থেকে অন্য বুথে ছুটে বেড়িয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দলীয় প্রার্থীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। মনোবল বাড়িয়েছিলেন কর্মী-সমর্থকের। এবার গণনার দিনও এলাকা চষে বেড়ালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কথা বলেছেন বিজেপির গণনা কেন্দ্রের এজেন্টদের সঙ্গে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর সহ বিভিন্ন গণনা কেন্দ্র চত্বরে যান তিনি। শুধু দক্ষিণ দিনাজপুর নয়, উত্তর দিনাজপুরেও ছুটেছেন তিনি।

    কর্মীদের কী বার্তা দিলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar) গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কর্মীদের লড়াই জারি রাখার বার্তা দিয়েছেন। গণনা কেন্দ্রে এজেন্টরা যাতে মাঝ পথে উঠে চলে না আসে, তাই প্রতিটা গণনা কেন্দ্রে গিয়ে একই বার্তা দিচ্ছেন রাজ্য সভাপতি। মূলত, কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ বাড়াতেই বিভিন্ন এলাকায় ছুটেছেন তিনি। তিনি বলেন, ভোট যা হয়েছে তাতে আমাদের কর্মীদের একটাই কর্তব্য, শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়া। কাউন্টিং হলগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি  উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ও ইটাহারে যান তিনি। গত কয়েকদিন থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেই রয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন এবং পুনর্নির্বাচনের দিন বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেছেন তিনি। যেখানেই গিয়েছেন, সেখানেই দলীয় কর্মীরা তৃণমূলের সন্ত্রাসের অভিযোগ নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। সুকান্তর দাবি, ভোটের নামে প্রহসন হচ্ছে সারা রাজ্যেই।

    প্ররোচনা পা না দেওয়ার বার্তা বিজেপির রাজ্য সভাপতির (Sukanta Majumdar)

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, আমাদের কার্যকর্তারা তৈরি আছে লড়াইয়ের জন্য। আমরা খুব ভালো করে লড়েছি। পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে জেলা পরিষদে বিজেপির পতাকা উড়বে। বিজেপি বহু জায়গায় ভাল ফল করেছে। আরও ভাল ফল করবে। দলীয় কর্মীদের বলেছি কোনওরকম ভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের প্ররোচনায় পা দেবেন না। এবং গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা যেন গণনা কেন্দ্র না ছাড়েন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপির ক্যাম্প অফিসে হামলা, কর্মীদের বেধড়ক মার, গাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বিজেপির ক্যাম্প অফিসে হামলা, কর্মীদের বেধড়ক মার, গাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার শালতোড়ার নেতাজি কলেজের ভোট গণনা কেন্দ্রে বিজেপির (BJP) ক্যাম্প অফিসে বিধায়কের সামনেই কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বিজেপির লোকজনের গাড়ি এবং মোটর বাইক ভাঙচুর করা হয়। ইট, পাথর ছোড়ে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা। কয়েকজনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের সামনে হামলা চালানো হলেও তারা কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    নিয়ম মেনেই বিজেপির (BJP) কর্মী-সমর্থকরা গণনা কেন্দ্রে ছিলেন। আর গণনা কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪০০ মিটার দূরে বিজেপির পক্ষ থেকে ক্যাম্প অফিস করা হয়। সেখানে বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি সহ বহু বিজেপি কর্মী-সমর্থক মজুত ছিলেন। ক্যাম্প অফিসের পাশে রাখা ছিল গাড়ি, একাধিক বাইক। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, আচমকা দল বেঁধে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের উপর চড়াও হয়। আমাদের বেধড়ক পেটায়। আমাদের গাড়ি, বাইকে ভাঙচুর চালায়। ওরা কার্যত এলাকায় তাণ্ডব চালায়।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?

    শালতোড়ার বিজেপি (BJP) বিধায়ক চন্দনা বাউরি বলেন, বিজেপির লোকজন গণনা কেন্দ্র থেকে ৪০০ মিটার দূরে ক্যাম্পে বসেছিলেন। আচমকা তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডা বাহিনী বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের ওপর চড়াও হয়। পুলিশের সামনেই হামলা চালানো হয়। বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ায়  চন্দনা দেবী হামলার হাত থেকে বাঁচেন।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের শালতোড়ার ব্লক সভাপতি সন্তোষ মণ্ডল বলেন, চন্দনা বাউরির আনা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। আসলে বিজেপির (BJP) নিজেদের দলীয় কোন্দল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে চাপাতে চাইছে। বরং ওরাই আমাদের কয়েকজনের ওপর হামলা করে। পাথর ছোঁড়ে। তৃণমূল এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। নিজেদের কোন্দল ঢাকতে তৃণমূলের উপর ওরা এখন দায় চাপাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share