Tag: bjp

bjp

  • Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়ি কুসুম্বায় তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে জয়ী বিজেপি

    Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়ি কুসুম্বায় তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে জয়ী বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মামার বাড়ি কুসুম্বা গ্রামে ধরাশায়ী হল তৃণমূল। অথচ এতদিন এই গ্রামে তৃণমূলের একচেটিয়া আধিপত্য ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর নিজেরও নজরে রয়েছে তাঁর মামার বাড়ি। সেখানেই ঘাসফুলকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন এলাকার মানুষ। এই গ্রামে এবার পদ্মফুলের জয় জয়কার।

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মামার বাড়ির গ্রামে কটি আসন দখল করল বিজেপি?

    রামপুরহাট-১ ব্লকের কুসুম্বা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুসুম্বা গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মামার বাড়ি। এখনও এই গ্রামে তাঁর মামার বাড়ির লোকজন সপরিবারের রয়েছেন। এই পঞ্চায়েতে মোট ২১টি আসন রয়েছেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অধিকাংশ আসনেই তৃণমূল জয়ী হয়েছিল। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়ি কুসুম্বা গ্রামে তিনটি আসন রয়েছে। গতবার সবকটি তৃণমূলের দখলে ছিল। এবার এই গ্রামের তিনটি বুথের মধ্যে দুটি আসনেই বিজেপি প্রার্থী জয়ী হল। মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়়ির গ্রামে এভাবে পদ্মফুল ফোটায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন জয়ী বিজেপি প্রার্থীরা?

    কুসুম্বা গ্রামে ৩১ নম্বর এবং ৩২ নম্বর আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ৩১ নম্বর আসনে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মামা ভোটার। সেই বুথেও বিজেপি জয়ী হয়েছে। জয়ী বিজেপি প্রার্থী গঙ্গাধর হাজরা বলেন, লোকসভা ভোটে আমাদের বিনা কারণে তৃণমূল জেল খাটিয়েছিল। এলাকার মানুষ তার সাক্ষী। এই ঘটনা তারা মেনে নিতে পারেনি। আর রাজ্যজুড়ে তৃণমূল যা দুর্নীতি করেছে তার বিরুদ্ধে মানুষ এই রায় দিয়েছে। আমার স্ত্রী পাশের বুথে দাঁড়িয়েছিল। সেই বুথেই মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়়ি। সেই বুথেও আমার স্ত্রী তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হয়েছে। আর এভাবে তৃণমূলকে হারাতে পেরে খুব ভাল লাগছে। মানুষের জন্য কাজ করব। মানুষের রায়ে জয়ী হয়েছি। কোনও অবস্থাতেই আমরা তৃণমূলে যাব না। ৩১ নম্বর আসনের বিজেপি জয়ী প্রার্থী অর্চনা হাজরা বলেন, এই জয়, মানুষের জয়। মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর গ্রামে তৃণমূলকে হারাতে পেরে আমাদের খুব ভাল লাগছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: পিছিয়ে থাকায় গণনা কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট বক্সে জল ঢেলে দিলেন তৃণমূল প্রার্থী!

    Cooch Behar: পিছিয়ে থাকায় গণনা কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট বক্সে জল ঢেলে দিলেন তৃণমূল প্রার্থী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিন ব্যালট বাক্সে জল ঢেলে দেওয়া, বাক্স লুট করা এবং আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা প্রচুর ঘটেছিল। ঠিক একই ভাবে গণনার দিনেও কোচবিহারের (Cooch Behar) ফলিমারি জিপির ৪/৪১ নম্বর গণনা কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকে ব্যালটে জল ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ করেলেন কাউন্টিং অফিসার রফিকুল ইসলাম। তীব্র চাঞ্চল্য গণনা কেন্দ্রে। 

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Cooch Behar)?

    গণনা কেন্দ্রে (Cooch Behar) গণনা চলাকালীন এক তৃণমূল প্রার্থী পিছন দিয়ে ঢুকে, গণনার টেবিলে রাখা ব্যালট বক্সে আচমকা জল এবং কালি ঢেলে সমস্ত ব্যালট নষ্ট করে দিয়েছেন বলে জানা যায়। গণনা কেন্দ্রে কীভাবে অনুমতি ছাড়া ঢুকে এই অপকর্ম হল! সেই বিষয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, গণনায় ওই বুথে বিজেপি অনেক এগিয়ে ছিল, কিন্তু সেই তুলনায় তৃণমূল অনেকটাই পিছনে ছিল। তৃণমূল ভোটে হারার ভয়ে এই অপকর্ম করেছে বলে পাল্টা অভিযোগ করে বিজেপি। সেই সঙ্গে যাঁরা গণনা করছেন তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হয়, গণনা কেন্দ্র সুরক্ষিত নয়! কোনও নিরাপত্তা নেই। ভোট কর্মীরা এরপর নিরাপত্তা চেয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। গণনা কেন্দ্রে নিরপত্তার অভাবেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন ভোট কর্মীরা।

    কাউন্টিং অফিসারের বক্তব্য

    গণনা কেন্দ্রে (Cooch Behar) কাউন্টিং অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার পিছন দিয়ে এক মহিলা তৃণমূল প্রার্থী এসে ব্যালট বক্সে জল ঢেলে দেন। সেই সঙ্গে ব্যালট বক্সে জলের পর কালি ঢেলে দিয়ে সব ব্যালট পেপারকে নষ্ট করে দেন। তিনি আরও বলেন, এই কেন্দ্রে কোনও পুলিশ নেই। আমরা যখন ঢুকি তখন আমাদের কত কিছু পরীক্ষা করে ঢোকানো হয়। আর গণনা শুরু হতেই বেপাত্তা পুলিশ। অত্যন্ত অসুরক্ষিত বোধ করছি!

    বিজেপির বক্তব্য

    বুথের (Cooch Behar) বিজেপির এজেন্ট জিতেন্দ্র চন্দ্র দাস বলেন, ৪১ নম্বর বুথে বিজেপি গণনায় অনেক এগিয়ে ছিল। একটি বাক্সে গণনায় দেখা যায় ১০০ টি ব্যালটের মধ্যে বিজেপি ৯৭ টা ভোট পেয়েছে। আর মাত্র ৩ টি ভোট তৃণমূল পেয়েছে। এই গণনায় তৃণমূলের হার বুঝেই তৃণমূল প্রার্থী হিংসার আশ্রয় নেয়। তিনি আরও বলেন, এই ভাবে জল ঢেলে মানুষের রায়কে আটকানো যাবে না। তৃণমূলের চরিত্র সবাই বুঝে গেছে।      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তোলা হল কেন্দ্রীয় বাহিনী, জ্ঞান হারালেন বিজেপি সাংসদ, শান্তিপুরে গণনা বন্ধ

    BJP: তোলা হল কেন্দ্রীয় বাহিনী, জ্ঞান হারালেন বিজেপি সাংসদ, শান্তিপুরে গণনা বন্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত আসনেই বিজেপি (BJP) প্রার্থী এগিয়ে ছিলেন। আর এর পরই প্রশাসনের চাপে রহস্যজনক কারণে গণনা কেন্দ্র থেকে তুলে নেওয়া হল কেন্দ্রীয় বাহিনী। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়া বালিকা বিদ্যামন্দিরে। আর কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যেতেই স্ট্রং রুমের ভিতরে শুরু হয় তৃণমূলীদের তাণ্ডব। বহিরাগতরা এসে গণনা কেন্দ্রের ভিতরে কার্যত দাপিয়ে বেড়ায়। বিজেপির এক মহিলা প্রার্থীকে বেধড়ক মার দেওয়া হয়। ব্যালট বাক্স লুট চলে। কেন্দ্রীয় বাহিনী তুলে নেওয়ার প্রতিবাদে ভোট কর্মীরা কার্যত কাজ বন্ধ করে দেন। বন্ধ হয়ে যায় ভোটের গণনা। তৃণমূলীদের তাণ্ডবের প্রতিবাদে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা গণনা কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখান।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) কর্মীরা?

    বিজেপি (BJP) কর্মীদের বক্তব্য, এদিন সকাল থেকে সব কিছুই ঠিকঠাক ছিল। গণনায় অধিকাংশ আসনেই বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হয়ে যাচ্ছিলেন। আর সেটাই তৃণমূল মেনে নিতে পারল না। প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সরিয়ে নেওয়া হল। এর পরই বহিরাগতরা গণনা কেন্দ্রের দখল নেয়। ভিতরে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা কার্যত তাণ্ডব চালায়। বিজেপির মহিলা প্রার্থীকে মারধর করা হয়। আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদেই বিক্ষোভ দেখাই।

    গণনাকেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বিজেপি সাংসদ

    গণনা কেন্দ্রের সামনে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে বলতে হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তড়িঘড়ি তাঁকে ধরে ফেলেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা। কোলে তুলে দৌড়াতে দৌড়াতে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন তাঁকে। নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের স্ট্রং রুমে অভিযোগ ওঠে সেখানকার কেন্দ্রীয় বাহিনী সরিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীরা রাজ্য পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ভোট লুট করার চেষ্টা চালাচ্ছিল। সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলর আসেন বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকার। গণনা কেন্দ্রের বাইরে সে বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুপান্তর সেনগুপ্ত এবং এসডিপিও-র সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলছিলেন তিনি। এরপর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

    কী বললেন ভোট কর্মীরা?

    এদিন সকাল থেকেই গণনা কেন্দ্রের ভিতরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে গণনা চলছিল। বেশ কিছুক্ষণ গণনা হওয়ার পর দফায় দফায় প্রশাসনের আধিকারিক, পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেন। বহুবার আলোচনার পর আচমকাই কেন্দ্রীয় বাহিনী গণনা কেন্দ্র ছেড়ে চলে যায়। আর বিষয়টি জানাজানি হতেই ভোট কর্মীরা গণনা বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ভোট কর্মীদের বক্তব্য, আচমকা কী করে, কার নির্দেশে এভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী তুলে নেওয়া হল? এখন কার্যত বহিরাগতরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এই অবস্থায় গণনা করা সম্ভব নয়। আমাদের পরিবার রয়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই, কাজ বন্ধ রেখেছি। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া গণনা করব না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, পা ভাঙল প্রার্থীর, গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, পা ভাঙল প্রার্থীর, গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ধমানের কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের গণনা কেন্দ্রের সামনেই বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এমনকী আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বিজেপি (BJP) কর্মীদের এলাকাছাড়া করে দেওয়া হয়। ফলে, বিজেপি কর্মীরা কেউ গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে পারেননি। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি নেতৃত্ব আক্রান্ত কর্মীদের নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে কাটোয়া থানায় অবস্থান-বিক্ষোভ করছেন। অন্যদিকে, সিপিএম কর্মীদেরও মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) পূর্ব বর্ধমান জেলার সাধারণ সম্পাদিকা সীমা ভট্টাচার্য বলেন, ভোটের দিন তৃণমূল বহু বুথে ছাপ্পা মেরে ভোট লুট করেছে। তাতেও শান্তি হয়নি। এদিন ওরা আমাদের কাউকে গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি। মোবাইল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ওরা কার্যত তাণ্ডব চালিয়েছে। দোষীদের শাস্তির দাবিতেই আমরা অবস্থান-বিক্ষোভে সামিল হয়েছি। পাশাপাশি আমরা পুনর্নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    সিপিএম নেতাদের অভিযোগ, দলীয় কর্মীরা যখন গণনা কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন, সেই সময় তৃণমূলের লোকেরা তাঁদের গাড়ি থামিয়ে মারধর করে। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

    গলসিতে বিরোধী প্রার্থীদের উপর হামলা চালাল তৃণমূল

    বুদবুদে ভোট গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা। পা ভেঙে দেওয়া হল সিপিআইএম প্রার্থী তরুণপদ বাগদির। তিনি গলসি ১ নং ব্লকের পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েতের রানাডি গ্রামের ১৭৪ নং বুথের পঞ্চায়েত প্রার্থী। তাছাড়াও শিড়রাই গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরাতন গ্রামের কাজল মুন্সী নামে এক কংগ্রেস সমর্থককে মারধর করে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এদিকে গলসি ১ ব্লকের পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের ৬৫ নং আসনের প্রার্থী জয়শ্রী বিষ্ণুকে পুলিশের সামনেই মেরে বার করে দিল তৃণমূলের লোকজন। এমনই অভিযোগ তাঁর। স্ট্রং রুম থেকে তাঁর ব্যাগ ও পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ।

    বর্ধমানেও বিজেপি (BJP) সহ বিরোধী এজেন্টদের ঢুকতে বাধা

    বর্ধমান ১ ব্লকের বিদ্যাসাগর উচ্চ বিদ্যালয়ের গণনা কেন্দ্রে সিপিএম, বিজেপি প্রার্থী এবং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ। অভিযুক্ত তৃণমূল। পুলিশ সাহায্য করেছে না বলে অভিযোগ। গণনা কেন্দ্রের ভিতর পরিচয়পত্র ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন বিরোধীরা। হেনস্থার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক বিজেপির এজেন্ট। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অসুস্থ ব্যক্তির নাম উজ্জ্বল ঘোষ। তিনি বাঘাড় ১ পঞ্চায়েতের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। বিজেপির ৩১ নং মণ্ডল সভাপতি রাজকুমার সাউ বলেন, ওনাকে গণনা কেন্দ্রের ভিতর থেকে বারবার বের করে দেওয়া হয়। চরম হেনস্থা করা হয়। তার জেরেই অসুস্থ হয়ে যান। ঘটনার পর বিডিও নিজের গাড়িতে করে তাঁকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: গণনার দিনও ফিরল ভোটের সন্ত্রাস! জেলায় জেলায় আক্রান্ত বিরোধীরা

    Panchayat Vote: গণনার দিনও ফিরল ভোটের সন্ত্রাস! জেলায় জেলায় আক্রান্ত বিরোধীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণনার দিনও বদল হল না বাংলার চিত্র। শাসক দলের লাগামছাড়া সন্ত্রাসের সাক্ষী থাকল জেলাগুলি। গণনা কেন্দ্রগুলি থেকে বিরোধীদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কমবেশি সব জায়গাতেই। কোথাও কোথাও তৃণমূলের বিরুদ্ধে গণনা কেন্দ্রের সামনে বোমাবাজির অভিযোগও এনেছে বিরোধীরা। সব মিলিয়ে শনিবারের পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) সন্ত্রাসেরই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে জেলায় জেলায়।

    ডায়মন্ড হারবারে সকাল থেকেই বোমাবাজির অভিযোগ বিরোধীদের

    গণনার শুরুতেই উত্তেজনার খবর আসতে থাকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার থেকে। এখানকার ফকির চাঁদ কলেজে সিপিএমের এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গণনা কেন্দ্রের সামনে বোমাবাজি করে তৃণমূল, এমন অভিযোগ সিপিএম-বিজেপি নির্বিশেষে সব বিরোধীদেরই। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ সিপিএমের।

    পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরেও ব্যাপক উত্তেজনা

    পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের গণনা কেন্দ্রে ঢোকার মুখে বিরোধী প্রার্থীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ বিজেপির নেতৃত্বের। প্রতিবাদে মেদিনীপুরে জেলাশাসকের দফতরে ধর্নায় বসেছে বিজেপি।

    হুগলির জাঙ্গিপাড়াতেও পরিস্থিতি ব্যাপক উত্তপ্ত

    হুগলির জাঙ্গিপাড়াতেও সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়ায় গণনাকে কেন্দ্র করে। জানা গিয়েছে, ডিএন হাইস্কুলের গণনা কেন্দ্র থেকে সিপিএম এবং আইএসএফের এজেন্টদের মারধর করে বার করে দেয় তৃণমূল। বিরোধী প্রার্থীদের গাড়ি ভাঙচুরেরও অভিযোগ করা হয়েছে। ফুরফুরা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা জেলা পরিষদের তৃণমূল প্রার্থী শামিম আহমেদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছে বিরোধীরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। 

    হাওড়ার বাগনানেও সন্ত্রাসের অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে

    হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় গণনা কেন্দ্রে বিরোধী এজেন্টদের ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাঁদের মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে। সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, শাসকদল এবং প্রশাসন একসঙ্গে এই কাজ করছে। বাগনান, জগদীশপুর, আমতার বিভিন্ন এলাকায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত। বাগনানে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করা হয় এদিন। থানার সামনে অবস্থান বামেদের।

    হাওড়ার ডোমজুড়ে শাসকদলের ওপর হামলার অভিযোগ

    হাওড়ার ডোমজুড়ে খোদ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীর ওপর হামলা। বাড়ি ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ সিপিএমের বিরুদ্ধে। তৃণমূল প্রার্থী শেখ সুলতানার অভিযোগ, তাঁর বাড়িতে সশস্ত্র অবস্থায় হামলা চালায় একদল সিপিএম কর্মী। বাড়ি লক্ষ্য় করে ইট ছোড়া হয়। এমনকী প্রার্থীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: ভোটের দিন ছাপ্পায় বাধা! পুলিশকে বাঁশপেটা তৃণমূলের, গ্রেফতার ৭

    Panchayat Vote: ভোটের দিন ছাপ্পায় বাধা! পুলিশকে বাঁশপেটা তৃণমূলের, গ্রেফতার ৭

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) দিন নদিয়ায় পুলিশকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ছাপ্পা না দিতে পেরেই এই আক্রমণ। পুলিশকে মারের ছবি ভাইরাল হতেই নিন্দায় সরব হয় বিভিন্ন মহল। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ৭ জন। ঘটনাটি নদিয়ার গাংনাপুর থানার মাঝেরগ্রাম পোড়াবাড়ি এলাকার। 

    ঘটনার বিবরণ

    জানা গিয়েছে, গত ৮ তারিখে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Vote) দুজন কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্বে আসেন পোড়াবাড়ি এলাকার একটি বুথে। সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট চলছিল এলাকায়। কিন্তু বেলা বাড়লে ২০১৮-এর ছবির পুনরাবৃত্তি করতে থাকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। চেষ্টা চালায় অবাধে ছাপ্পা মারার। কিন্তু পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় ওই দুই কনস্টেবল। ছাপ্পা দেবার প্রতিবাদ করতেই তাঁদের আচমকা ঘিরে ধরে কুড়ি থেকে ত্রিশ জন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। কার্যত বুথের ভিতর থেকে তাদের বাইরে বের করে নিয়ে আসা হয়। এরপরেই লাঠি-বাঁশ দিয়ে চলে আক্রমণ। ঘটনার সময় একজন পুলিশ কর্মী পালিয়ে যেতে পারলেও বাকি জনকে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। নিন্দার ঝড় উঠে প্রতিটি মহল থেকেই। ভিডিও ভাইরাল হতেই গাংনাপুর থানার তরফে সাতজন অভিযুক্তকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়।

    কী বলছে বিজেপি ও তৃণমূল?

    এ বিষয়ে রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি জেলা সভাপতি পার্থসারথি চ্যাটার্জি বলেন, ‘‘নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই গোটা রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস শুরু হয়েছে। আমরা বারবার বলেছি কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া সুস্থ ভাবে ভোট হতে পারে না। যেখানে রাজ্য পুলিশের নিজেদেরই নিরাপত্তা নেই, সেখানে মানুষকে তারা কিভাবে নিরাপত্তা দেবে। যেখানে যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছে, সেখানে সুস্থ ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। গাংনাপুর থানার মাঝেরপাড়ার পোড়া বাড়িতে যে ঘটনা ঘটেছে তার আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।’’ নদিয়া দক্ষিণ জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দেবাঞ্জন গুহ ঠাকুরতা বলেন, ‘‘পুলিশের উপর যে আক্রমণ হয়েছে, আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শুনেছি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে, যেখানে পুলিশ কর্মীদের আক্রমণ করা হচ্ছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: পুনর্নির্বাচনের দিনই এনআইএ গ্রেফতার করল তৃণমূল প্রার্থীকে, চাঞ্চল্য বীরভূমে

    Birbhum: পুনর্নির্বাচনের দিনই এনআইএ গ্রেফতার করল তৃণমূল প্রার্থীকে, চাঞ্চল্য বীরভূমে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের পুনর্নির্বাচনের দিনই গ্রেফতার তৃণমূল প্রার্থী। সোমবার বীরভূমের নলহাটি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করল এনআইএ। দিন কয়েক আগে মহম্মদবাজার (Birbhum) থানা এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ জিলেটিন স্টিক-সহ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। সেই তদন্তে নেমে এনআইএ-র জালে এবার তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রার্থী। গ্রেফতারের কারণে জেলায় তীব্র শোরগোল।

    কে গ্রেফতার হলেন (Birbhum)?

    ধৃতের নাম মনোজ ঘোষ। ইতিপূর্বে তাঁকে দু’বার নোটিস পাঠিয়েছিল এনআইএ। এদিন নলহাটি (Birbhum) থানায় ডেকে পঞ্চায়েত প্রার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। তারপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেও নলহাটিতে এনআইএ হানা দিয়েছিল। একটি পাথর খাদান থেকে বিস্ফোরক জিলেটিন স্টিক, ডিটোনেটর, একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার হয়। খাদানের যে ঘর থেকে উদ্ধার হয়, সেই ঘরটি এলাকার তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী মনোজ ঘোষের। আর এই সূত্র ধরেই গ্রেফতার হলেন তৃণমূল প্রার্থী।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের স্থানীয় এক নেতার দাবি, পরিত্যক্ত ঘর (Birbhum) থেকে সামান্য কিছু জিলেটিন উদ্ধার হয়েছে। আর তাকে ঘিরেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতে চাইছে বিজেপি। এলাকায় ওরা জিততে পারবে না বলে এইভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করছে। মানুষের রায় নিয়ে বিজেপি জয়ী হতে পারবে না।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির স্থানীয় এক নেতার অভিযোগ, এই তৃণমূলের প্রার্থী পুলিশি মদতে বিস্ফোরক মজুত করে অবৈধ কারবার চালাচ্ছিল। আইনের উপরে কেউ নয়। অপরাধীরা শাস্তি পাবেই। ফলে ভোটের মুখে নলহাটির (Birbhum) বাহাদুরপুর গ্রামকে ঘিরে আলোচনা তুঙ্গে।

    নলহাটি কতটা সুরক্ষিত?

    নলহাটি (Birbhum) এলাকায় যতগুলি পাথর খাদান আছে, তার বেশিরভাগেরই কোনও সরকারি অনুমতি নেই। অথচ বেআইনি পথেই জিলেটিন, ডিটোনেটর দিয়ে খাদানের পাথরে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যবসা চলছে। কিছুদিন আগেই ওই এলাকায় রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টিম একটি বড়সড় বিস্ফোরক পাচারকারী দলকে গ্রেফতার করে। পরে যার তদন্তভার নেয় এনআইএ। সেই সূত্র ধরেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রার্থীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এক দিকে পঞ্চায়েত নির্বাচন, নির্বাচনের ফলাফল এবং অপর দিকে তৃণমূল প্রার্থী গ্রেফতারের ঘটনা ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: তৃণমূলের বোমাবাজিতে আতঙ্কিত ভোটারদের বুথে নিয়ে গেলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: তৃণমূলের বোমাবাজিতে আতঙ্কিত ভোটারদের বুথে নিয়ে গেলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুনর্নির্বাচনের দিন পুলিশ-প্রশাসন নয়, তৃণমূলের হুমকিতে আতঙ্কিত গ্রামবাসীদের গ্রামে গিয়ে অভয় দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সুকান্তবাবু স্বয়ং পাশে থাকায় বুকে বল নিয়ে গ্রামবাসীরা বুথে গিয়ে ভোট দিলেন। সোমবারই এই ঘটনার সাক্ষী থাকল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের আজমতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দাউদপুর গ্রাম।

    কেন এলাকার ভোটাররা আতঙ্কিত ছিলেন?

    এই জেলার তপন ব্লকের আজমতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দাউদপুর বুথে পুনর্নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন করে অশান্তি তৈরি হয়। রাতভর গ্রামে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কতীরা বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের বাইক বাহিনীর দাপটে আতঙ্ক ছড়িয়েছে পুরো গ্রাম জুড়ে। এদিন সকালে আতঙ্কে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারছিলেন না গ্রামের মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, রাতভর তৃণমূলের বাইক বাহিনী এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছে। ভোট পর্যন্ত হয়তো কেন্দ্রীয় বাহিনী বা পুলিশের নিরাপত্তা থাকবে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তাদের নিরাপত্তার কী হবে? এই কথা ভেবেই তাঁরা ভোট দিতে যেতে চাইছিলেন না। খবর পেয়ে দাউদপুর গ্রামে এদিন যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। আতঙ্কিত ভোটারদের তিনি ভোট কেন্দ্রে ভোট দেওয়াতে নিয়ে যান। 

    বুথে বোমাবাজি, ছুটলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    গঙ্গারামপুরের রাঘবপুর ভোট কেন্দ্রে বোমাবাজি হওয়ায় ও বিজেপির ভোটারদের যেতে না দেওয়ায় সেখানেও যান সুকান্তবাবু। বুথ থেকে ৩০০ মিটার দূরে তাঁর কনভয় আটকে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখায় বলে অভিযোগ। বিক্ষোভ চলে টানা প্রায় ৪০ মিনিট। আটকে থাকে সুকান্ত মজুমদারের কনভয়। রাস্তায় বসে পড়েন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা পথ অবরোধ করে রাখেন। তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি ও বাক-বিতণ্ডা হয়। এরপর গঙ্গারামপুর মহকুমার এসডিপিও দীপাঞ্জন ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও জেলা পুলিশ একসাথে বিক্ষোভকারীদের বোঝাতে সমর্থ হয় এবং শেষ পর্যন্ত অবরোধ উঠে যায়। শুধুমাত্র রাঘবপুর নয়, শুকদেবপুর ও জয়দেবপুরে অভিযোগ পেয়ে সুকান্তবাবু গেলে তৃণমূলীরা তাঁকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। রাঘবপুরের পাশাপাশি নির্বাচনের হাল হকিকত খতিয়ে দেখতে গিয়ে এবং দলীয় কর্মী ও প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে যাওয়ার পথে কুশুমুন্ডিতে অবরোধ ও বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    এবিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, তৃণমূল সাধারণ মানুষদের আটকে রেখে তাদেরকে ভোট দিতে দিচ্ছে না। তপনের দাউদপুরে ও গঙ্গারামপুরের রাঘবপুরের একই ঘটনা করেছে তৃণমূল। পুলিশ-প্রশাসন কোনও কিছুই করছে না। নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। ভোটারদের ভোট দিতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তৃণমূলের তরফ থেকে এমনটা করা হচ্ছে। এনিয়ে যেখানে যেখানে অভিযোগ করার তা করেছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এনিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, ভোট শান্তিতে হচ্ছে। কিন্তু বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ভোটারদের প্রভাবিত করতে বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে ঢুকছেন। যা তিনি কখনও করতে পারেন না। তিনি শান্ত জায়গা অশান্ত করছেন। তিনি যাতে ভোটারদের প্রভাবিত করতে না পারেন, তার জন্য ক্ষুব্ধ জনতা সুকান্তকে (Sukanta Majumdar) আটকে দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Birbhum: জেলাশাসকের দফতরের সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির, উত্তাল বীরভূম

    Birbhum: জেলাশাসকের দফতরের সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির, উত্তাল বীরভূম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুনঃনির্বাচনের দিনই বীরভূম (Birbhum) জেলাশাসকের দফতরের সামনে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হল। ভোট লুঠ-সন্ত্রাস-ছাপ্পা-হত্যালীলার প্রতিবাদে আগুন জ্বালিয়ে বীরভূম পুলিশ সুপারের উদ্দেশে লজ্জাজনক স্লোগান উঠল “হায়-হায়”। এভাবেই প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাল বীরভূম বিজেপি। নির্বাচনে হিংসার বিরুদ্ধে বিজেপির কর্মীরা প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে খালি গায়ে মাটিতে বসে বিক্ষোভ দেখান। ৮ ই জুলাই রাজ্যের জেলায় জেলায় যে সন্ত্রাস হয়ছে, তার জন্য একমাত্র দায়ী নির্বাচন কমিশন। কমিশনকে এই হিংসার দায়িত্ব নিতে হবে বলে দাবি করে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে খুনী এবং মুখ্যমন্ত্রীকে খুনীর প্রধান সঞ্চালক বলে দাবি করা হয়।

    বিজেপি জেলা সভাপতির বক্তব্য

    বিজেপির জেলা (Birbhum) সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ১৪ টি বুথে রিপোলিং হচ্ছে, সেখানে তৃণমূল নিশ্চিত হারছে বলে! অন্যান্য জায়গায় ১০০-১৫০ টি বুথে রিপোলিং হচ্ছে। কিন্তু বীরভূমে হচ্ছে না। এর কারণ হল তৃণমূল হেরে যাবে ভোটে। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের নামে একটা প্রহসন চলছে। আমরা বীরভূমবাসীরা সেই প্রহসনের ভাগীদার। বীরভূমের পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর। দুবরাজপুরে বিজেপির ১০০ জনকে সরকারি কাজে বাধার অজুহাত দেখিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকায় এলাকায় মহিলা, শিশুদের উপর তৃণমূলের গুন্ডারা সন্ত্রাস চালাচ্ছে। ময়নাডাল গ্রামের ভোট পড়ার সংখ্যা শূন্য দেখিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করছে কমিশন। এই বুথের মহিলা-পুরুষ শূন্য করে নির্বাচন করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, রাজ্য জুড়ে যেভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে, তার প্রতিবাদে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করা হল। এই আগুন ছোট, এরপর বড় আগুন জ্বলবে। অভিনব ভাবে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। গণতন্ত্রকে হত্যা করে প্রশাস যেমন উলঙ্গ হয়েছে ঠিক সেইভাবেই বিজেপি কর্মীরা গায়ের জামা খুলে প্রতীকী প্রতিবাদ করলেন। রাজ্যের ভোট জুড়ে সকল হিংসার দায়িত্ব এই প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। আজ নির্বাচনের নামে যে প্রহসন চলছে তাকে অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। 

    আক্রান্ত সিপিএম প্রার্থী

    হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ভয়ে গৃহবন্দি হয়ে বসে রয়েছেন সিপিএম প্রার্থী। এরকমই ঘটনার দেখা মিলল বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে। সেখানেও হচ্ছে উপ নির্বাচন। সেখানকার সিপিএমের মহিলা প্রার্থীর অভিযোগ, রবিবার রাতে এসে হুমকি দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তাঁর স্বামীর হাতে শনিবার চাকু মেরেছে গুন্ডারা। ভোটকেন্দ্রে গেলে, মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। এর জেরে মহিলা প্রার্থী ও তাঁর স্বামী যেতে পারছেন না ভোটকেন্দ্রে। যদিও এ নিয়ে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ করেননি সিপিএম প্রার্থী। তাঁর ভয়, অভিযোগ করলে ভোটের পর ঘরবাড়ি আর আস্ত থাকবে না! তাঁদেরও প্রাণ সংশয়ের মুখে পড়তে হবে। যদিও হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করেছন স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থী।

    তৃণমূল প্রার্থী সঞ্জয় দাস বলেছেন, “সিপিএম প্রার্থীর সঙ্গে লোক নেই। তিনি মিথ্যা অভিযোগ করছেন। খুব শান্তিতে ভোট হচ্ছে এখানে। কোনও অসুবিধা হয়নি।” এদিকে ময়ূরেশ্বরের ভোটাররাও ভয় দেখানোর অভিযোগ করেন। খবর পেয়ে সেন্ট্রাল ফোর্স ওই এলাকায় পৌঁছেছে এবং তারপরই ভোটাররাও ভোট দিতে বের হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ভোটের দুদিন আগে নিখোঁজ হওয়া বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: ভোটের দুদিন আগে নিখোঁজ হওয়া বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কা ছিল। আর সেটাই সত্যি প্রমাণিত হল। নির্বাচনের দুদিন আগে থেকে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে বিজেপি কর্মীর দেহ মিলল বাড়ির কিছুটা দূরে পাটের জমিতে। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার ধুবুলিয়া থানার পণ্ডিতপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বিজেপি (BJP) কর্মীর নাম অষ্টম মণ্ডল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কীভাবে নিখোঁজ হয়ে যান ওই বিজেপি (BJP) কর্মী?

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁর বউদি ১০১ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী। তিনি এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। বউদি দলের প্রার্থী হওয়ায় তিনি এলাকায় চুটিয়ে প্রচার করছিলেন। নির্বাচনের দুদিন আগে সন্ধ্যায় প্রচার করতে বেরিয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন অষ্টম। পরিবারের পক্ষ থেকে ধুবুলিয়া থানায় তাঁর নিখোঁজ থাকার একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। সোমবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা পাটের জমি থেকে ওই বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার করেন। পরে, পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    মৃত বিজেপি (BJP) কর্মীর পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, অষ্টম যাতে নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে কাজ না করতে পারে, সেই কারণে আগে থেকেই তাঁকে সরিয়ে দিয়ে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার জন্য তৃণমূল দায়ী। আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    এ বিষয়ে নদিয়া উত্তর বিজেপি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ ঘোষ বলেন, নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসের ছবি আমরা দেখেছি। বিজেপিকে যাতে দমিয়ে রাখা হয়, সেই কারণে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের কর্মীকে খুন করেছে। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি কল্লোল খাঁ বলেন, এটি বিজেপির (BJP) গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই হয়েছে। সব কিছুতেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠবে, এটা তো হতে পারে না। এই ঘটনা নিয়েও প্রশাসনকে আমরা জানিয়েছি। পুলিশ-প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share