Tag: bjp

bjp

  • BJP: বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করে লাগানো হল আগুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করে লাগানো হল আগুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি করাটাই কি অপরাধ? বিজেপি করার অপরাধে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার খিদিরপুর গ্রামে বিজেপি (BJP)  কর্মী মোহন দাসের বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নার খিদিরপুর গ্রামে মোহন দাস বিজেপির (BJP) সক্রিয় কর্মী। নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের জয়ী করার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছেন। শাসক দলের নেতারা তাঁর এই ভূমিকা মেনে নিতে পারেননি। এর আগেও তিনি শাসক দলের নেতা-কর্মীদের চোখ রাঙানির মুখে পড়েছেন। তবে, তিনি থেমে থাকেননি। সোমবার রাতের অন্ধকারে বিজেপির ওই কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনার সময় মোহনবাবু দলীয় কাজে বাইরে ছিলেন। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী শিবানী দাস দুই শিশুকে নিয়ে ঘরের মধ্যে শুয়েছিলেন। রাত ১১ টা নাগাদ একদল দুষ্কৃতী এসে আচমকা তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। আতঙ্কে চিৎকার করে ওঠেন বিজেপি কর্মীর স্ত্রী। তাঁর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি আশিস মণ্ডল বলেন, মোহন আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী। বাকচা দখলের জন্যই তৃণমূল মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। আমাদের দলীয় কর্মীর বাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করছে তৃণমূল।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাজীব বাছাড়ি বলেন, এই এলাকায় তৃণমূলের ভাল সংগঠন নেই। আমরা খিদিরপুর এলাকায় সোমবারই প্রচার করেছি। বিজেপি (BJP) আমাদের দলীয় পতাকা সব খুলে ফেলে দিয়েছে। ওরা এলাকায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। আর নিজেরা বাড়িতে আগুন লাগিয়ে আমাদের নামে বদনাম দিচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘বিজেপিকে ভোট দিতেই কেরল থেকে ছুটে এলাম’, রাজমিস্ত্রিকে কুর্ণিশ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘বিজেপিকে ভোট দিতেই কেরল থেকে ছুটে এলাম’, রাজমিস্ত্রিকে কুর্ণিশ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুদূর কেরল থেকে শুধুমাত্র বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য কাজ থেকে ছুটি নিয়ে নাগরাকাটা এসেছেন মনুলাল খেরোয়ার। নাগরাকাটার বাসিন্দা তিনি। এখানে কাজ নেই। পেটের টানে বাধ্য হয়েই তিনি পাড়ি দিয়েছেন কেরল রাজ্যে। সেখানে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তার সঙ্গে এলাকার আরও বহু যুবক পাড়ি দিয়েছেন রুজি রুটির টানে। নিজের গাঁটের কড়ি খরচ করে এখানে এসেছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য।

    শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) সামনে পেয়ে কী বললেন কেরল থেকে আসা রাজমিস্ত্রি?

    সোমবার নাগরাকাটায় শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)  সভা ছিল। সেখানে বক্তব্য রাখার পর তিনি শিলিগুড়ি যাওয়ার পথে গাড়ির মধ্যে দাঁড়িতে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। তখনই মনুলাম খেরোয়ার শুভেন্দুবাবুকে ভিড়ের মাঝে চিৎকার করে বলেন, আমি নাগরাকাটার বাসিন্দা হলেও পেশার টানে সুদূর কেরলে থাকি। নাগরাকাটায় এসেছি পঞ্চায়েতের ভোট দিতে। বিজেপিকে ভোটে জেতাতে এবং আমাদের এলাকাকে তৃণমূল এবং দূর্নীতি মুক্ত করতে আমি ভোট দিতে এসেছি। বিজেপিকে সমর্থন করার পাশাপাশি আমি আপনার (শুভেন্দু অধিকারী) বড় ভক্ত। আপনাকে কাছে থেকে দেখতে পেয়ে খুব ভাল লাগছে। এক কষ্ট করে কেরল থেকে আসা  আমার স্বার্থক হয়েছে। বিজেপির প্রার্থীদের জেতাতে বিজেপির হয়ে মাঠেও নামবেন বলে তিনি জানান। মনুলালের কথা শুনে তাঁকে সকলের সামনে কুর্নিশ জানান শুভেন্দু অধিকারী।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আদালতের রায়কে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    সোমবার জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির সভা শেষ করে নাগরাকাটায় সভা করতে যান শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৮ সালে তারা জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদ দখল করেছিলেন। কিন্তু গণনার সময় তৃণমূলের এক মন্ত্রীর উপস্থিতিতে  ব্যালট গুলির মধ্যে বিজেপি প্রার্থীর পাশে ছাপ দেওয়া থাকলেও তৃণমূলের প্রার্থীর পাশে আরেকটি ছাপ দিয়ে তাদের ব্যালটগুলি বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। যার ফলে তাদের প্রার্থীরা জেতা পরেও হেরে যান। কিন্তু এবার সেই অবকাশ নেই। সোমবার হাইকোর্টের  নির্দেশে রাজ্যে আসতে চলেছে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী। ফলে এবার বুথ থেকে গণনা কেন্দ্র সব জায়গাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। এদিনের হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি নির্বাচনের পর আরও ১৫ দিন এই বাহিনী থাকছে যাতে কোনো গণ্ডগোল না হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপি প্রার্থীর বাড়ির কাছে বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপি প্রার্থীর বাড়ির কাছে বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপি (BJP) প্রার্থীর বাড়ির কাছেই বোমাবাজি করার অভিযোগ উঠল দৃষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বারাকপুর মহকুমার শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সোমবার তদন্তে এসে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি তাজা বোমা উদ্ধার করে। ভোটের আগে বিজেপি প্রার্থীর বাড়ির কাছে বোমাবাজি এবং বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে আচমকাই শিউলি পঞ্চায়েতের সালামপুর এলাকা বোমার আওয়াজে কেঁপে ওঠে। রাতে কেউ ভয়ে বের হতে না পারলেও সকালে স্থানীয়রা কাজে বের হতে গিয়ে দেখেন, এলাকায় একটি তাজা বোমা পড়ে রয়েছে। খবর পেয়ে মোহনপুর থানার পুলিশ বোমাটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কে বা কারা শিউলি পঞ্চায়েতের ৫ এবং ৬ নম্বর লাগোয়া বুথে এই বোমাবাজি করল, তা নিয়ে বেশ চাপানউতোর শুরু হয়েছে শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, আচমকাই গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। আমরা ভয়ে কেউ বের হইনি। এদিন ফের বোমা উদ্ধার হয়। এই ঘটনার পর আমরা আতঙ্কিত।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দলের প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি অলক জানার স্ত্রী ৫ নম্বর বুথের প্রার্থী। তাঁর বাড়ির কাছেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করে। আসলে এই এলাকায় বিজেপির অবস্থা ভালো। তাতে শাসক দল ভয় পেয়ে গিয়েছে। তাই, এভাবে বোমাবাজি করে প্রার্থী ও কর্মীদের মনোবল ভেঙে দিতে চাইছে তৃণমূল। কিন্তু, এসব করে কোনও লাভ হবে না।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    অন্যদিকে, এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা অরুণ ঘোষ বলেন, এই এলাকায় তৃণমূল বরাবরই ভালো ভোট পায়। ফলে, এসব বোমাবাজির অভিযোগ ভিত্তিহীন। এটা বিরোধীদের চক্রান্ত। ওরা নিজেরা এসব করে আমাদের দলকে বদনাম করার চেষ্টা করছে। আমরা চাই, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দেখে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘স্ট্রং রুম যাওয়া পর্যন্ত ব্যালট বাক্স পাহারা দিন’, কর্মীদের নির্দেশ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘স্ট্রং রুম যাওয়া পর্যন্ত ব্যালট বাক্স পাহারা দিন’, কর্মীদের নির্দেশ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোরমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ে তুলতে হবে। তার জন্য বিকল্প একমাত্র বিজেপি। জলপাইগুড়িকে তৃণমূল মুক্ত করতে হবে। তাই এবারের ভোটে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের সব আসনেই বিজেপির প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোমবার জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে নির্বাচনী জনসভায় এসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, গোটা রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। এই সন্ত্রাসকে রুখতেই হবে, নিজেদেরকেই এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। কারণ তৃণমূল পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এই কাজ করছে।

    লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    এদিন বক্তব্যের মাঝে কালিয়াগঞ্জের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, কালিয়াগঞ্জে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে পুলিশ গুলি করে খুন করেছে। পুলিশ এখন রক্ষকের চাইতে ভক্ষকের ভূমিকা বেশি পালন করছে। বৃষ্টি ভেজা দিনে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে প্রচুর মানুষ এসেছিলেন ধূপগুড়ির সভায়। বক্তব্যে ছিল তৃণমূলের জন্য কড়া হুঁশিয়ারি। তিনি বলেন. যদি কারও লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা বন্ধ হয় তাহলে সেই অ্যাকাউন্ট নম্বর আমার কাছে পাঠাবেন। সুদ সমেত সেই টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা আমি করে দেব। ২০২৪ শের লোকসভা ভোটের পর তৃণমূল সরকারের পতন নিশ্চিত। বিজেপি সরকার গড়বে, তখন লক্ষ্মীর ভান্ডারে প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ২০০০ টাকা করে দেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

    ব্যালট বাক্স নিয়ে বিজেপি কর্মীদের কী সতর্ক করলেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে ৩৩ লক্ষ শূন্য পদ রয়েছে। মেধার ভিত্তিতে সেই পদে চাকরি দেওয়া হবে। প্রতি বছর এসএসসি হবে, সেখানেও স্বচ্ছভাবে নিয়োগ হবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, মানুষ এখন শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপিকে চেনে। রাজ্য সরকার দ্বিচারিতা করে পিছিয়ে পড়া মানুষদের খুন করেছে। শুধু তাই নয় উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য কিছুই করেনি রাজ্য সরকার। তাই কোনওভাবেই তৃণমূলকে ভোট দেওয়া যাবে না। সেই সঙ্গে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, নকল ব্যালট ছাপা হচ্ছে। স্ট্রং রুমে নিয়ে যাওয়ার সময় সেই ব্যালট পালটে দেওয়া হবে। তাই ব্যালট বাক্স স্ট্রং রুম যাওয়া পর্যন্ত বিজেপি কর্মীদেরই পাহারা দিতে হবে। পাশাপাশি ব্যালট বাক্সে পদ্মফুলের ছাপ দিয়ে দিতে হবে, যাতে কোনও ভাবেই ব্যালট বাক্স পাল্টানো না হয়। সব শেষে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান, নো ভোট টু মমতা। ধূপগুড়ির সভা সেরে অন্য একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে নাগরাকাটা যান শুভেন্দু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: ভাতারে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে লাঠি, বাঁশ নিয়ে চড়াও! অভিযুক্ত তৃণমূল

    Purba Bardhaman: ভাতারে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে লাঠি, বাঁশ নিয়ে চড়াও! অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে দলবল নিয়ে হুমকি ও মারধরের অভিযোগ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) ভাতারের বড়বেলুন গ্রামে। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। আপাতত পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।

    ঘটনা কী ঘটল (Purba Bardhaman)?

    বিজেপির অভিযোগ, ভাতার ব্লকের (Purba Bardhaman) বড়বেলুন গ্রামের ৯২ ও ৯৮ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী বিমল দাস এবং তাঁর স্ত্রী মমতা দাস। ঘটনার দিন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী অভিষেক পালের নেতৃত্বে ১০-১২ জন তৃণমূল কর্মী বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে লাঠি, বাঁশ নিয়ে চড়াও হয়। বিজেপি প্রার্থী বিমল দাস বাড়িতে না থাকায় তাঁর স্ত্রী ও কন্যাদের প্রথমে হুমকি এবং এরপর নির্যাতন চালায়। বিজেপির পক্ষ থেকে ভাতার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর পর এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

    বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্য

    বিজেপি প্রার্থী বিমল দাস বলেন, আমরা মনোনয়ন করার পর থেকেই তৃণমূল থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, কেন বিজেপির প্রার্থী হলাম? আমি প্রচারের কাজে ছিলাম, সেই সময় অভিষেক পালের নেতৃত্বে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে (Purba Bardhaman) লাঠি, বাঁশ নিয়ে স্ত্রী, কন্যাকে হুমকি দিয়ে যায়। এরপর থেকে আমার পরিবার আতঙ্কিত। জেলার বিজেপি নেতা রাজকুমার হাজরা বলেন, আমরা অভিযোগ জানিয়ে কোর্টে যাব।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের জেলার নেতা প্রসেনজিত দাস বলেন, বিরোধীদের অভিযোগ মিথ্যা। জেলার (Purba Bardhaman) যেখানে যেখানে বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে, সেখানে এখন প্রচারের জন্য লোক খুঁজে পাচ্ছে না। আর তাই সব দোষ তৃণমূলের ওপর চাপাচ্ছে। কিন্তু এই ভাবে তৃণমূলের বদনাম করেও বিজেপি জয়ী হতে পারবে না।  ওদের পরাজয় নিশ্চিত। তাই তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার জন্য নানা পথ অবলম্বন করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মানবাজারে বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু, সিবিআই তদন্তের দাবি

    BJP: মানবাজারে বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু, সিবিআই তদন্তের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগে ফের পুরুলিয়ায় বিজেপি (BJP) কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার হল। সোমবার এই জেলায় যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই এদিন সকালে বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল পুরুলিয়া মানবাজার-২ ব্লকের বোরো থানার কেন্দাডি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বঙ্কিম হাঁসদা। তাঁর বাড়ি কেন্দাডি গ্রামে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মানবাজারের হেঁসলা অঞ্চলের ২০২ বুথের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বঙ্কিম হাঁসদা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে এলাকায় তিনি দিনরাত পরিশ্রম করছিলেন। রবিবার রাত ১০ টা নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তারপর থেকে আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন চারদিকে খোঁজ করলেও কোনও হদিশ মেলেনি। সোমবার সকালে গ্রামের অদূরে তাঁর মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। গোটা ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে এলাকায়। স্থানীয় বিজেপি (BJP) কর্মীরা পুলিশ কুকুর নিয়ে এসে ঘটনার তদন্তের দাবি জানান। কিন্তু, পুলিশ দাবি না মেনে ওই বিজেপি কর্মীকে ঘটনাস্থল থেকে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে যায়। স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, পুলিশ কুকুর নিয়ে এলে খুনি কে তা জানা যেত। কিন্তু, পুলিশ তা হতে দিল না।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    দলীয় কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধারের বিষয়টি জানার পরই এদিন বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি বিবেক রাঙ্গা, সাংসদ জ্যোর্তিময় সিং মাহাত সহ একাধিক জেলা নেতৃত্ব ঘটনাস্থলে যান। বিজেপি সাংসদ বলেন, তৃণমূল আদিবাসীদের উপর অত্যাচার করছে। খুন করছে। ওই বিজেপি কর্মী আমাদের দলের ভাল সংগঠক। তাঁকে পরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয়ছে। এই মৃত্যুর জন্য তৃণমূলই একমাত্র দায়ী। এই এলাকায় বিজেপির শক্তি বেশি থাকায় দলীয় কর্মীদের মনে আতঙ্ক ছড়াতে তৃণমূল এই কাজ করেছে। আমরা এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের রক্তদান শিবিরে রক্তদাতাদের প্রেসার কুকার ও বিরিয়ানির প্যাকেট!

    TMC: তৃণমূলের রক্তদান শিবিরে রক্তদাতাদের প্রেসার কুকার ও বিরিয়ানির প্যাকেট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) আয়োজিত রক্তদান শিবিরে উপঢৌকন দেওয়া হল রক্তদাতাদের। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিজেপির দাবি, এভাবে উপঢৌকন দিয়ে কারও কাছে রক্ত নেওয়া বেআইনি। রবিবার ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারির উপস্থিতিতে হাওড়ায় রক্তদান শিবির আয়োজিত হয়। সেখানেই রক্তদাতাদের প্রেসার কুকার ও বিরিয়ানির প্যাকেট দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও মন্ত্রীর দাবি, উপহার দেওয়ার যে কথা বলা হচ্ছে, তা ঠিক নয়।

    উপঢৌকন দিয়ে রক্তদান শিবির

    রবিবার মধ্য হাওড়ার ক্ষীরোদতলা বাস স্ট্যান্ডের সামনে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানে রক্তদাতারা জানিয়েছেন, রক্ত দেওয়ার পর তাঁদের উপহার হিসাবে দেওয়া হয়েছে প্রেসার কুকার এবং বিরিয়ানির প্যাকেট। পরানো হয়েছে দলীয় উত্তরীয়। এতে ভালোই লাগছে বলে জানান রবিন হাজরা নামে এক রক্তদাতা। এই শিবিরে হাজির ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ও শিবপুর কেন্দ্রের বিধায়ক মনোজ তিওয়ারি। তিনি মঞ্চে রক্তদাতাদের উত্তরীয় এবং ব্যাজ পরিয়ে সম্মান ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।

    কী বলছে তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    উপহার প্রসঙ্গে মনোজ তিওয়ারি বলেন, ‘‘আমরা সারা বছরই রক্তদান শিবির করি। সেখানে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রক্ত দিতে আসেন। এখানেও মানুষ রক্ত দিতে এসেছেন। তবে কোনও উপহার দেওয়ার শর্ত ছিল না। তবে কেউ কেউ নিজে থেকে যদি উপহার দিয়ে থাকে, সেটা অন্য ব্যাপার। তবে উপহার দেওয়ার কথা ঠিক নয়।’’

    কী বলছে বিজেপি?

    বিজেপি এই উপঢৌকন দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছে। বিজেপির হাওড়া সদরের সভাপতি মনিমোহন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রক্তদান শিবিরে উপহার দেওয়া সম্পূর্ণ বেআইনি। যেভাবে মন্ত্রীর উপস্থিতিতে রক্তদাতাদের উপহার দেওয়া হয়েছে, তা ঠিক নয়। মন্ত্রী নিশ্চয়ই জানতেন রক্তদাতাদের এভাবে উপহার দেওয়া যায় না। আসলে তৃণমূলের সঙ্গে আর কেউ থাকতে চাইছে না। তাই প্রলোভন দেখিয়ে কাছে টানার চেষ্টা করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: কে পুলিশ, কে রাজীব, আর কে তৃণমূল? চেনা মুশকিল! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Alipurduar: কে পুলিশ, কে রাজীব, আর কে তৃণমূল? চেনা মুশকিল! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) শেষ রবিবারের প্রচারে ঝড় তুললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার জেলার তিন জায়গায় সভা করেন তিনি। বীরপাড়ার জুবিলি ক্লাবের মাঠ থেকে প্রচার শুরু করেন। সাধারণ মানুষকে চোরদের ভালো করে চিনে নিতে হবে এবং পঞ্চায়েতকে চোরমুক্ত করতে হবে বলে হুঙ্কার দেন শুভেন্দু অধিকারী।

    বীরপাড়াতে (Alipurduar) কী বললেন শুভেন্দু?

    বীরপাড়া (Alipurduar) জুবিলি ক্লাবের মাঠ থেকে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ শুরু করেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গের মানুষের আশা-আকাঙ্খা ততদিন পূরণ হবে না, যতদিন রাজ্যে বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে কোয়ার্টার ফাইনাল। এই নির্বাচনে পিসি-ভাইপোর কোম্পানিকে বিদায় দিতে হবে। দুর্নীতিগ্রস্ত এই দলকে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে পরাজিত করতে হবে। এদিন শুভেন্দু প্রশ্ন তোলেন, শিলিগুড়িতে মিনি মহাকরণ হওয়ার কথা ছিল! কিন্তু কী হয়েছে সেখানে? কেউ কি কোনও জায়গা থেকে শিলিগুড়িতে প্রতিদিন কাজ করতে যান?

    অভিষেকের উদ্দেশে কী বললেন?

    এদিন ফালাকাটায় (Alipurduar), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা অভিযোগকে খণ্ডন করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, অভিষেক বলেছেন আমরা দিল্লি গিয়ে রাজ্যের পাওনা বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা রাজ্যের পাওনা বন্ধ করিনি। আমরা এই রাজ্যের ভ্রষ্টাচার, দুর্নীতি বন্ধ করেছি। আমরা জনগণের টাকা নয়ছয় করতে দিতে পারি না! এদিন বীরপাড়ার সভার পর কালচিনির থানা মাঠে সভা করেন শুভেন্দু। এরপর সেখান থেকে কুমারগ্রামের বারোবিশা বিবেকানন্দ ক্লাবের মাঠে শুভেন্দুর সভা হয়।

    বঞ্চিত উত্তরবঙ্গ সম্পর্কে কী বললেন?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) তিনি বলেন, রাজ্যের চা বাগানের শ্রমিকদের প্রাপ্য পারিশ্রমিক দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গের নদীর বালি, পাথর চুরি করে অবৈধ ভাবে চালান করছে সরকারের আশ্রিত মাফিয়ারা। জঙ্গলের গাছ পাচার হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের দিকে নজর নেই তৃণমূল সরকারের। লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনে এই এলাকার মানুষ বিজেপিকে আশীর্বাদ দিয়েছেন। কিন্তু এলাকার জন প্রতিনিধিদের এই তৃণমূল সরকার কাজ করতে দিচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, সরকারি যে কোনও কাজে বিজেপির জন প্রতিনিধিদের ডাকা হয় না। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে রাহুল নামক এক তৃণমূলের মাফিয়াকে দিয়ে গরু পাচারের কাজ করছে ভাইপো। পুলিশ প্রত্যক্ষভাবে সমস্ত অবৈধ কাজের অনুমোদন দিয়ে দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে টাকা খাচ্ছে। তিনি খুব স্পষ্ট করে বলেন, উত্তরবঙ্গে রাজ্য লটারি খেলাকে ঘিরে অবৈধভাবে তৃণমূলের নেতারা দুর্নীতি করে চুরি করেছে। কে পুলিশ! কে রাজীব! আর কে তৃণমূল! চেনা মুশকিল!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: উত্তপ্ত বারাকপুরের পাতুলিয়া, ভোটের আগে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে জখম ২

    BJP: উত্তপ্ত বারাকপুরের পাতুলিয়া, ভোটের আগে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে জখম ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল বারাকপুর-২ ব্লকের পাতুলিয়া এলাকা। রবিবার এখানে বিজেপি (BJP)-তৃণমূল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুপক্ষের মোট দুজন জখম হয়েছেন। দুই দলের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাতুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫২ নম্বর বুথের বিজেপি (BJP) প্রার্থী মহেশলাল প্রজাপতিকে মারধর এবং প্রার্থীর মা-বাবার উপর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগ ওঠে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, শম্ভু সাউ নামে এক তৃণমূল কর্মী পাম্পে কাজ করছিলেন। তখনই বিজেপি প্রার্থী দলবল নিয়ে এসে হামলা চালায়। তাতে শম্ভু সাউ জখম হন। তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি (BJP) প্রার্থী?

    বিজেপি (BJP) প্রার্থী মহেশলাল প্রজাপতি বলেন, সকাল বেলা আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার সময় শম্ভু সাউ নামে এক তৃণমূল কর্মী আমাকে রাস্তায় আটকায়। আমার মা, বাবার নামে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে, প্রতিবাদ করলে আমাকে মারধর করে। এর আগেও ওই তৃণমূল কর্মী হুমকি দিয়েছিলেন। বেশ কিছু দিন আগে রহড়া থানায় গিয়ে ওই তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে আমি নালিশ করেছিলাম। এটাই আমার অপরাধ। তাই, এদিন আমার উপর হামলা চালানো হয়।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা কিশোর বৈশ্য বলেন, এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটের প্রচার চলছে। কোথাও কোনও সমস্যা নেই। বিজেপির ওই প্রার্থী দল বেঁধে এসে আমাদের দলীয় কর্মীকে পাম্প হাউসে এসে মারধর করে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করি। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপির প্রচারে হামলা, বোমা মেরে প্রাণনাশের হুমকি, এলাকায় অগ্নিমিত্রা

    BJP: বিজেপির প্রচারে হামলা, বোমা মেরে প্রাণনাশের হুমকি, এলাকায় অগ্নিমিত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জ থানার জে কে নগর এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে আক্রান্ত হলেন বিজেপি (BJP) প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা। বিজেপি নেতা ব্রিজমোহন, মহিলা নেত্রী সিন্টু বাউরি, মিঠু মাঝি নামে বিজেপির কর্মীর উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    রবিবার জে কে নগর এলাকায় বিজেপি (BJP) কর্মী-সমর্থকরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার করছিলেন। মূলত ভোটারদের বাড়়ি বা়ড়ি গিয়ে বিজেপির পক্ষে জনগণের সমর্থন চাইছিলেন কর্মী-সমর্থকরা। এমন সময় এলাকার তৃণমূল নেতা বিনোদ নোনিয়ার নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়। এমনকী বোমা মেরে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে কয়েকজন কর্মী-সমর্থক মিলে দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচার করছিলাম। তখনই ওরা আমাদের উপর হামলা চালাল। ওদের হামলার জেরে আমাদের প্রচার ভেস্তে গেল।

    কী বললেন বিজেপি নেতা?

    এই হামলার খবর শুনে আসানসোলের দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্য বিজেপি (BJP) নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল জে কে নগর এলাকায় যান। দলীয় প্রার্থী ও নেতা কর্মীদের উপর হামলার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে ধর্নায় বসেন। তিনি বলেন, বিজেপিকে তৃণমূল এতটাই ভয় পাচ্ছে যে এলাকায় প্রচার পর্যন্ত করতে দিচ্ছে না। এসব চলতে পারে না। অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা বিনোদ নোনিয়া বলেন, এই এলাকায় বিজেপির (BJP) কোনও জায়গা নেই। এখানে উন্নয়নের নিরিখে মানুষ ভোট দেবে। বিজেপি অকাণে বাজার গরম করতে এসেছিল। দলনেত্রীকে চোর চোর বলছিল। মানুষ প্রতিবাদ করেছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনও হামলা চালানো হয়নি। ওরা অকারণে আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share