Tag: bjp

bjp

  • Nandigram: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে আইসি বদল নন্দীগ্রামে! কী বলছেন শুভেন্দু?

    Nandigram: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে আইসি বদল নন্দীগ্রামে! কী বলছেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে নন্দীগ্রামের (Nandigram) আইসি সুমন রায় চৌধুরিকে ছুটিতে পাঠাল রাজ্য। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হল জেলা ডিআইবি দফতরের কাশীনাথ চৌধুরিকে। আজই তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে নন্দীগ্রামের (Nandigram) আইসি সুমন রায় চৌধুরি ১৫ দিনের ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। কাশীনাথ চৌধুরি আগেও নন্দীগ্রাম থানার দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

    ভোটের আগে আইসি বদলে প্রশ্ন

    ভোটের আগেই এই আইসি বদলকে ঘিরে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। রাজনৈতিক মহলেও পড়ে গিয়েছে শোরগোল। এক্ষেত্রে নির্বাচন শান্তিতে সম্পন্ন হবে কি না, সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই নন্দীগ্রাম রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলেছে। এখানেই পরাস্ত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশের বিরুদ্ধে শাসক দলের হয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে বার বার সরব হয়েছেন নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
    এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে হাইভোল্টেজ এলাকা বলে চিহ্নিত নন্দীগ্রাম। বিরোধীদের উপর হামলার বার বার অভিযোগ আসছে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বার বার অভিযোগ তুলেছেন, রাজ্য সরকার পুলিশকে কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করে চলেছে। বিরোধীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে বলেও সরব শুভেন্দু। শান্তিপূর্ণ ভোটের আবেদন জানাচ্ছেন বিরোধীরা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে পুলিশের এই পরিবর্তনে কি শান্তিতে ভোট হবে বাংলা তথা নন্দীগ্রামে।

    আইসি বদল নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    এই ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘কোনও লাভ হবে না। এই আইসি ওদের ক্যাডার ছিল। এগুলো করে কোনও লাভ নেই। থানার টেবিল-চেয়ার-কম্পিউটার সব আমার সঙ্গে আছে। থানার প্রতিটা ইট আমার সঙ্গে আছে। ফলে কোনও একজন ব্যক্তিকে বদলে, এখানে কেন, কোথাও কোনও সুবিধা হবে না। আমরা ভারতীয় জনতা পার্টি পুলিশ নির্ভর রাজনীতি করি না। পুলিশ নির্ভর রাজনীতি করে চোর তোলামূল। তাদের লাগে পুলিশ। আমাদের লাগে না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: সবংয়ে বিজেপির বুথ সভাপতিকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    BJP: সবংয়ে বিজেপির বুথ সভাপতিকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবং-এর বলপাই এলাকায় বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতির ঝুলন্ত দেহ ঘিরে চাঞ্চল্য। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করেছে সবং থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই এলাকার তৃণমূল নেতারা রাজনৈতিক হুমকি, সন্ত্রাস চালাচ্ছিল এই পরিবারের ওপর। তাঁর জমিতে তৃণমূল দীর্ঘদিন চাষ বন্ধ করে দিয়েছিল। এই ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে। তারা জানিয়েছে, রাজ্য পুলিশের তদন্তে তাদের কোনও আস্থা নেই। এই ঘটনার পর পরিবারে উঠেছে কান্নার রোল। এলাকা জুড়েও শোকের ছায়া। গোটা ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

    কী অভিযোগ করল বিজেপি (BJP)?

    বিজেপির দাবি, সবং-এর বলপাই ৯ নম্বর অঞ্চলের বুথ সভাপতি দীপক সামন্তকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির (BJP) তরফে অভিযোগ আনা হয়েছে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়নি। তাঁকে খুন করা হয়েছে। ২০২১ সালের ২ মে, আমরা যখন বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাই, তখন থেকে এঁর চাষ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এঁর ওপর প্রচণ্ড অত্যাচার করা হয়েছে। আমরা মানবাধিকার কমিশনে জানিয়েছি। আমাদের কাছে সেই সংক্রান্ত সমস্ত আবেদনপত্র আছে। এখনও পর্যন্ত তাঁর জমি আটকে রাখা হয়েছে, চাষ করতে দেওয়া হয়নি। তিন-চার দিন আগে আমাদের নেতারা যখন ওখানে প্রচারে গিয়েছিল, তখন উনিও সেই প্রচারে ছিলেন। এরপর তাঁকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়, যদি তিনি তৃণমূলে না আসেন, তা হলে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। ওনার স্ত্রীকে পর্যন্ত সাদা থান পরানোর হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেই ভিডিও আমাদের কাছে আছে। গত ২৫ তারিখ উনার বাবা মারা গেলে দাহ পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। এরপর এলাকার তৃণমূল নেতা তাঁর বাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক নির্যাতন চালায়। তারপরই উদ্ধার হল দেহ।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (BJP)?

    উল্লেখ্য, বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় থেকেই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠে আসছে। কোথাও বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা না দিতে দেওয়া, আবার কোথাও বিরোধী প্রার্থীদের মারধর এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। সবংয়ে বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত মজুমদার বলেন, গোটা রাজ্য জুড়ে শাসক দল রক্তের হোলি খেলছে। আর তারা যদি এই খেলা বন্ধ না করে, তাহলে বিজেপিও বাধ্য হয়ে এই খেলায় নামবে। তখন যেন প্রশাসন বা কমিশন বিজেপিকে কিছু না বলতে আসে।

    কী জবাব দিল তৃণমূল?

    যদিও এই ঘটনায় অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল। জেলা তৃণমূল কো-অর্ডিনেটের অজিত মাইতির দাবি, এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা। একটি মৃত্যুকে সম্পূর্ণ রাজনীতির রং লাগানোর চেষ্টা করছে বিজেপি (BJP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তৃণমূল রক্তের হোলি খেললে বিজেপিকেও সেই খেলায় নামতে হবে, চরম হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    BJP: তৃণমূল রক্তের হোলি খেললে বিজেপিকেও সেই খেলায় নামতে হবে, চরম হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যদি তৃণমূল কংগ্রেস ভাবে রক্তের হোলি খেলবে, তাহলে বিজেপিকেও (BJP) সেই খেলায় নামতে হবে। তখন যেন আমাদের কেউ দোষ না দেয় যে বিজেপি আইন-শৃঙ্খলা মেনে চলছে না। কমিশন ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি বাধ্য হবে ব্যবস্থা নিতে। বৃহস্পতিবার নদিয়ার নবদ্বীপে একটি নির্বাচনী মিছিলে এসে রাজ্যে শাসক দল ও কমিশনকে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন নবদ্বীপের শ্যামপুর বাজার থেকে রাওতারা পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তা দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে মিছিল করেন তিনি।

    ঠিক কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (BJP)?

    উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরেই গোটা রাজ্য জুড়ে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রচারে নেমে পড়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় থেকেই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠে আসছে। কোথাও বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা না দিতে দেওয়া, আবার কোথাও বিরোধী প্রার্থীদের মারধর এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। গতকাল মেদিনীপুরের সবংয়ে বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সেই প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত মজুমদার বলেন, গোটা রাজ্য জুড়ে শাসক দল রক্তের হোলি খেলছে। আর তারা যদি এই খেলা বন্ধ না করে, তাহলে বিজেপিও বাধ্য হয়ে এই খেলায় নামবে। তখন যেন প্রশাসন বা কমিশন বিজেপিকে কিছু না বলতে আসে।

    উদয়ন গুহ এবং মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ

    কোচবিহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকা জুড়ে যত তৃণমূলের নেতা রয়েছেন, সবাই চোরাচালানোর সঙ্গে যুক্ত। তারা চায় জোর করে পঞ্চায়েত দখল করতে। কারণ বিএসএফের নিয়ম অনুসারে জন প্রতিনিধিদের কথা কিছুটা হলেও তাদের শুনতে হয়। আর এর মাথায় রয়েছেন উদয়ন গুহ। তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত এই গুন্ডা তৃণমূলে থাকবে, ততদিন এই চোরাকারবার এবং সংঘর্ষ চলবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (BJP) বলেন, তিনি সব সময় বিএসএফ থেকে শুরু করে আর্মিদেরও টার্গেট করে মন্তব্য করেন। কিন্তু জীবন বাঁচানোর সময় এলে আর্মি বাঁচায়। মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার বিপদে পড়েছিল। তখন আর্মি ক্যাম্পে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নামতে হয়েছিল। আবার বলতে হল আমার ছোটবেলায় আর্মিতে কাজ করা খুব ইচ্ছে ছিল। যার ইচ্ছা থাকবে, সে কখনও আর্মি সম্পর্কে এই ধরনের কথা বলে? যখন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছিল, তখন ইমরান খান এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মিলে গিয়েছিল।

    পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অসুস্থতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী যত দ্রুত সম্ভব সুস্থ হয়ে রাজনীতির ময়দানের নামুক। ভালো খেলোয়াড় না হলে খেলে মজা হয় না। উনাকে মুখ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় হারাবো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: প্রচার করা যাবে না, দেওয়া যাবে না এজেন্ট, তৃণমূলের ফরমান বিজেপি প্রার্থীকে

    Panchayat Vote: প্রচার করা যাবে না, দেওয়া যাবে না এজেন্ট, তৃণমূলের ফরমান বিজেপি প্রার্থীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি যে একের পর এক সন্ত্রাসের ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বিগ্ন, সে কথাও জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তার পরেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন অন্ত নেই। ফের বিজেপি প্রার্থীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় কাঁকসার বনকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat Vote) ডাঙাল এলাকায়।

    কী অভিযোগ (Panchayat Vote) বিজেপি প্রার্থী এবং নেতৃত্বের?

    কাঁকসার বনকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১ নম্বর বুথের বিজেপি মনোনীত প্রার্থী বিনয় বিশ্বাসের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে তৃণমূল কর্মীরা এলাকায় প্রচারে বেরিয়ে তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে নানাভাবে হুমকি দেয়। বিজেপি প্রার্থী হলেও এলাকায় প্রচার না করার জন্য এবং নির্বাচনের দিন বুথে কোনও রকম এজেন্ট না বসানোর কথাও বলেছে তৃণমূল কর্মীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বিনয় বিশ্বাস ও তার পরিবারের লোকজন। ঘটনার কথা দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানানোর পর কাঁকসা থানার দ্বারস্থ হন তিনি।
    বর্ধমান সদরের বিজেপির জেলার সহ-সভাপতি রমন শর্মার অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দলের পায়ের তলায় মাটি নেই। সেই কারণেই চারদিকে খুন, সন্ত্রাস, হুমকি চলছে। বাদ যায়নি কাঁকসা এলাকা। কাঁকসায় তাঁদের প্রার্থীদের (Panchayat Vote) নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ। তিনি জানিয়েছেন, প্রশাসনকে এই বিষয়ে জানানোর পর যদি কোনও রকম ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, তবে আগামী দিনে তাঁরা নিজেরাই নিজেদের ব্যবস্থা করবেন।

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব (Panchayat Vote)?

    যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ (Panchayat Vote) অস্বীকার করেছেন কাঁকসা ব্লকের তৃণমূলের সহ-সভাপতি হিরন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, যে বিজেপি প্রার্থী অভিযোগ করছেন যে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, সেই বিজেপি প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন এবং তৃণমূলে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। যেহেতু তাঁকে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়নি এবং কোনওভাবে প্রার্থী করা হয়নি, সেই কারণেই বিজেপির ওই প্রার্থী তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তুফানগঞ্জে বিজেপির প্রার্থী সহ একাধিক কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: তুফানগঞ্জে বিজেপির প্রার্থী সহ একাধিক কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত কোচবিহার। এবার কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জের রামপুর এলাকা উত্তপ্ত হল। বিজেপির পঞ্চায়েত প্রার্থী সহ মোট চারজন বিজেপি কর্মীর (BJP) বাড়ি ও একটি দোকানে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বাইক বাহিনীর বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বক্সিরহাট থানার জোরাই ফাঁড়ির পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের, রামপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের গড়ভাঙা ও ঢোঢারকুঠি  এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও বিজেপি (BJP) সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি তথা জেলা পরিষদের প্রার্থী নিরঞ্জন সরকারের নেতৃত্বে বাইক বাহিনী টহল দেয় গোটা রামপুর এলাকায়। সেই সময় প্রথমে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢোঢারকুঠি ৯/৫৫ নম্বর বুথে সুব্রতলাল সরকারের ধান ঝারাই করার দোকানে বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ ভেঙে ফেলা হয়। তাঁর দোকানের সামনে রাখা বাইক ভাঙচুর চালিয়ে নয়ানজুলিতে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঠিক তার পরেই ৯/৫০ নম্বর বুথের গড়ভাঙ্গা বাতানবাড়ি এলাকার বিজেপি পঞ্চায়েত প্রার্থী দুলালী সাহা, বিজেপি কর্মী অখিল সাহা, গোপাল সাহা, নিখিল বিশ্বাসের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বাইক বাহিনীর বিরুদ্ধে। ভাঙচুর চালানো হয় ওই বিজেপি কর্মীদের ঘরে থাকা আলমারি, টিভি, ঘরের টিনের বেড়া সহ সমস্ত আসবাবপত্রে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এলাকায়। বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পাশাপাশি এলাকার লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি (BJP) কর্মী?

    আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সুব্রতলাল সরকার বলেন, বিজেপি (BJP)  করা আমার অপরাধ। সেই কারণে আমার দোকানে হামলা চালায় তৃণমূলের তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি তথা জেলা পরিষদের প্রার্থী নিরঞ্জন সরকার ও তার দলবল। হামলা চালানোর পাশাপাশি আমাকে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয়।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বিষয়টি নিয়ে তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি নিরঞ্জন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়। এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই। বিজেপি (BJP) আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: পঞ্চায়েত ভোটের আগে জলপাইগুড়িতে তৃণমূলে ফের ভাঙন, বিজেপিতে যোগদান বহু পরিবারের

    BJP: পঞ্চায়েত ভোটের আগে জলপাইগুড়িতে তৃণমূলে ফের ভাঙন, বিজেপিতে যোগদান বহু পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলকে একদমই পছন্দ নয়। সেই কারণে জলপাইগুড়ির বারোপাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক বিজেপিতে (BJP) যোগদান করলেন। বারোপাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ফাটাপাড়া এলাকায় এই যোগদান পর্ব হয়। অন্যদিকে, বুধবার ময়নাগুড়িতে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সহ বহু দলীয় কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন। ভোটের আগে তৃণমূলের এই ভাঙনে শাসক দলের নিচুতলায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) কারা যোগদান করলেন?

    বৃহস্পতিবার বারোপাটিয়া অঞ্চলের পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের বিজেপি প্রার্থীরা বোদাগঞ্জের মা ভ্রামরী দেবী মন্দিরে পুজো দেন। সেখানেই এই যোগদান পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এদিন মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর মন্দিরের মুখ্য পূজারি লালবাবার আশীর্বাদ গ্রহণ করেন তাঁরা। এরপর ফাটাপাড়া ১৮/১৭০ নম্বর বুথে বিজেপির যোগদান সভা হয়। সেখানেই স্থানীয় কুড়িটি পরিবারের লোকজন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দেন। অন্যদিকে, একই ইস্যুতে বুধবার ময়নাগুড়ি ব্লকেও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেয় বেশ কিছু পরিবার। ময়নাগুড়ি ব্লকের দোমহনী ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬/৬০ নং বুথে এই যোগদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়, ওই অঞ্চলের তৃণমূলের অঞ্চলের ছাত্র কমিটির সভাপতি ছিলেন শ্রীবাস চন্দ। কিন্তু তাঁদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ এবং দুর্নীতির প্রতিবাদে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ক্ষুব্ধ তৃণমূল যুবনেতারা বিজেপিতে (BJP) যোগদান করেন। এদিন প্রায় ২৩ টি পরিবারের সঙ্গে শতাধিক কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেন। যোগদানের পর শাসক দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন তাঁরা। যোগদানকারীদের একজন গৌতম রায় বলেন, গত পাঁচ বছরে তৃণমূল যা দুর্নীতি করেছে সেই দুর্নীতি আমরা কোনও ভাবেই মানতে পারছি না। তাই দুর্নীতিমুক্ত এলাকা গড়ে তুলতে বিজেপিতে যোগদান করেছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা জয়ন্ত রায় বলেন, যারা বিজেপিতে (BJP) যোগদান করেছেন, তাঁরা কেন করেছেন সেটা আমার জানা নেই। এতে আমাদের দলের কোনও ক্ষতি হবে না। কারণ, তৃণমূল এলাকায় যা উন্নয়ন করেছে, সেই নিরিখে মানুষ তৃণমূলের পক্ষেই ভোট দেবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিষয়টি নিয়ে বিজেপির (BJP) রাজগঞ্জ ব্লকের ১১ নম্বর আসনের বিজেপি প্রার্থী পরিবহণ মণ্ডল বলেন, বিজেপিতে যোগ দিয়ে তৃণমূলের দুর্নীতি, অত্যাচারের বিরুদ্ধে যোগদানকারীরা প্রতিবাদ জানালেন। দলে তাঁদের স্বাগত জানাই। তৃণমূল রাজ খতম করতে রাজ্যের সব জায়গাতেই এই ভাবে মানুষ তৃণমূলে যোগদান করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nisith Pramanik: দিনহাটায় গুলিতে মৃত তৃণমূল কর্মী আন্তর্জাতিক অপরাধী, দাবি নিশীথ প্রামাণিকের

    Nisith Pramanik: দিনহাটায় গুলিতে মৃত তৃণমূল কর্মী আন্তর্জাতিক অপরাধী, দাবি নিশীথ প্রামাণিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য জুড়ে উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র উত্তাল। জেলায় জেলায় বোমাবাজি, হুমকি, হানাহানি এবং গুলি চলছে। শাসক দলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিরোধীরা সরব হয়েছেন সর্বত্র। এরই মধ্যে দিনহাটায় ফের চলেছে গুলি। মারা গেছেন এক তৃণমূল কর্মী। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) জানিয়ে দিলেন, ‘মৃত কর্মী একজন আন্তর্জাতিক অপরাধী।’  

    কী বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক?

    দিনহাটার গিতলদহের জারিধরলা গ্রামে গত মঙ্গলবার তৃণমূলের আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গ্যাংওয়ারেই ওই তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) সাংবাদিকদের সামনে এদিন মন্তব্য করেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, মৃত ব্যক্তি একজন আন্তর্জাতিক দুষ্কৃতী। তার নামে অনেক মামলা ইতিমধ্যেই চলছে বলে জানা গেছে। মৃত তৃণমূল কর্মী বাংলাদেশের নাগরিক ছিল। বাংলাদেশের পরিচয়পত্র অনুযায়ী নাম মহঃ আব্দুর রহমান। বাবা-মা দুজনেই বাংলাদেশে থাকে। মন্ত্রী আরও বলেন, মৃত তৃণমূল কর্মীর ভারতীয় আধার কার্ড অনুযায়ী নাম বাবু রহমান। সে একাধিকবার ভারতে এবং বাংলাদেশের সীমান্ত বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছে। মূলত সীমান্তে চোরা কারবারে প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব দিত এই তৃণমূল কর্মী। নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং ভাগের মাল বণ্টন নিয়ে প্রথমে বিবাদ হয় এবং এরপর নিজদের সঙ্গে লড়াইতে মৃত্যু হয় তার। এর উত্তরে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন ঘোষ নিশীথ প্রামাণিকের পদত্যাগ দাবি করে বলেন, বি এস এফ তো কেন্দ্রের অধীনে। তারা থাকা সত্ত্বেও অপরাধীরা এদেশে এসে থেকে গেল কীভাবে?  

    সকালেও গুলি চলেছিল এই দিনহাটাতেই

    অন্যদিকে, বুধবার সকালেও ফের রাজনৈতিক হিংসা ছড়ায় দিনহাটায়। এবারও সেখানে গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূল প্রার্থীর ভাই শাহিনুর হক। জানা গিয়েছে, দিনহাটা গিতলদহ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোড়াম এলাকায় গুলি চলার ঘটনা ঘটেছে। যার জেরে আক্রান্ত ওই তৃণমূল কর্মী। তিনি শাসকদলের গ্রাম পঞ্চায়েত (Panchayat Vote) পদপ্রার্থী বিজলী খাতুনের ভাই। জানা গিয়েছে, রাত এগারোটা নাগাদ প্রচার সেরে বাড়ি ফিরছিলেন শাহিনুর। সেই সময় আচমকা তাঁর উপর অতর্কিতে আক্রমণ হয়। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গীতলদহ। সকালেই এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ঢুকে পরপর গুলি করার অভিযোগ ওঠে। পুলিশ সূত্রে খবর, বাবু হক নামে একজন নিহত হন এই ঘটনায়। জখম হন পাঁচ জন। তাঁদেরকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে ফের হিংসা ছড়াল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: “বিধায়ক উপেক্ষা করেন!” পশ্চিম মেদিনীপুরে ফের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    Paschim Medinipur: “বিধায়ক উপেক্ষা করেন!” পশ্চিম মেদিনীপুরে ফের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভাঙন তৃণমূলে। এবার নারায়ণগড়ে (Paschim Medinipur)। নির্বাচনী প্রচার সভায় দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বহু তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দিলেন। এলাকায় দল আরও শক্তিশালী বলে দাবি বিজেপির। অপর দিকে রাজ্যপালকে ঘিরে তৃণমূলের বিক্ষোভকে অনৈতিক বললেন দিলীপ।

    যোগদান বিষয়ে বিজেপির বক্তব্য

    যোগদান সভায় (Paschim Medinipur) তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি। তাঁর সঙ্গে তৃণমূল থেকে প্রায় ৫০০ জন কর্মী দিলীপ ঘোষের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। যোগদান প্রসঙ্গে নারায়ণগড়ে বিজেপির উত্তর মণ্ডল সভাপতি সত্যজিৎ দে বলেন, চার নম্বর কুণালপুর অঞ্চল তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি পূর্ণচন্দ্র দে সহ ২৭ জন অঞ্চল নেতৃত্ব সভায় এসে যোগদান করেছেন। দীর্ঘ দুমাস ধরে বিজেপিতে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তাঁরা। আর এদিন দিলীপ ঘোষের হাত ধরে যোগদান করানো হল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দল অনেকটাই শক্তিশালী বলে দাবি করলেন বিজেপির নেতৃত্ব। বিজেপিতে যোগদান করে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য চন্দন দাস বলেন, বর্তমান শাসকদল দুর্নীতিগ্রস্থ। আমাদের কোনওরকম সুযোগ-সুবিধা দেয়নি শাসক দল। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই আমাদের দলের মধ্যে অচ্ছুৎ করে রাখা হয়। এলাকার তৃণমূল বিধায়ক আমাদের উপেক্ষা করেন। তাই আমরা আজ তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করলাম।

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ?

    পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) নারায়ণগড়ের শিয়ারা গ্রামে বিজেপির নির্বাচনী গ্রামসভা আয়োজিত হয়েছিল। সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, উত্তরবঙ্গে রাজ্যপালকে ঘিরে যেভাবে শাসক দলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হল, তা অনভিপ্রেত। বিক্ষোভ দেখিয়ে কী হবে! রাজ্যপাল ভোট দেবেন না যেমন, ঠিক তেমনি তিনি ভোট নেবেনও না। এমনকী ভোট পরিচালনাও করবেন না তিনি। দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, অত্যাচার হয়েছে এমন সাধারণ মানুষের পাশে উনি দাঁড়াচ্ছেন। আর তাই রাজ্যপালকে তৃণমূল সহ্য করতে পারছে না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘৩ মাসের মধ্যে বিদায় দেব চোরেদের সরকারকে’, ভোটপ্রচারে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘৩ মাসের মধ্যে বিদায় দেব চোরেদের সরকারকে’, ভোটপ্রচারে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মেয়াদ ৩ মাস বেঁধে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পাশাপাশি ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে এরাজ্য থেকে বিজেপির সাংসদ সংখ্যা দ্বিগুণ হবে বলেও দাবি করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। বুধবার পটাশপুরের জনসভা থেকে তাঁর আরও দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকার জনসমর্থন হারিয়েছে। এরই সঙ্গে শুভেন্দু বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনে পুলিশ বিজেপি নেতাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর সবরকম চেষ্টা করবে। এদিন পটাশপুরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার সারেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর সভায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শুভেন্দু অধিকারীর গড় বলে পরিচিত। বামফ্রন্ট জমানাতেও ২০০৮ সালে জেলা পরিষদ দখল করতে সমর্থ হন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ব্যাপক সাফল্যের ব্যাপারে তাই আশাবাদী গেরুয়া শিবির।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    এদিন পটাশপুরের নির্বাচনী প্রচার সভা থেকে শুভেন্দু বলেন, ‘‘ ১০০ দিনের কাজের নামে কোটি কোটি টাকা লুঠ করেছে তৃণমূলের নেতারা। ১ কোটি ভুয়ো জব কার্ডের হদিশ মিলেছে। বিজেপি ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করেনি, চুরি বন্ধ করেছে।’’ শুভেন্দুর দাবি, তৃণমূলের কোনও কোনও গোষ্ঠী তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং তারাও বলছে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে বিজেপিই জিতবে। বিরোধী দলনেতার আরও সংযোজন, ‘‘চোরমুক্ত পঞ্চায়েত গড়াই হল বিজেপির লক্ষ্য।’’ 

    বিজেপি নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে প্রশাসন

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, বিজেপি নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে প্রশাসন। নন্দীগ্রামের বিধায়ক এদিন বলেন, ‘‘জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে আমার বিধানসভা এলাকার ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে ২৮ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে থানায় দেখা করার কথা বলা হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিরোধীদের জেলবন্দি করার ষড়যন্ত্র চলছে। আগাম বুঝতে পেরে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে রক্ষাকবচ নিয়েছি। তাই বিরোধীদেরও বলব, যাঁরা বুঝতে পারছেন পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারে তাঁরা যেন আগাম আদালতের রক্ষা কবচ নিয়ে রাখেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

     

  • BJP: ‘নির্লজ্জ, বেহায়া’! অভিষেকের চ্যালেঞ্জের জবাবে তীব্র আক্রমণ বিজেপি সাংসদের

    BJP: ‘নির্লজ্জ, বেহায়া’! অভিষেকের চ্যালেঞ্জের জবাবে তীব্র আক্রমণ বিজেপি সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অভিষেক নির্লজ্জ বেহায়া। কয়লা, বালি চুরিতে নিজেকে বাঁচাতে ব্যস্ত। তাই ও চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছে না।” গতকাল প্রকাশ্য জনসভা থেকে বিজেপি সাংসদকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন অভিষেক। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ভাষাতেই পাল্টা আক্রমণ করলেন বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

    কী ঘটেছে?

    উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার অভিযানে নেমেছে। তৃণমূলের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন জেলায় প্রচার অভিযান শুরু করেছেন। গতকাল নদিয়ার হাঁসখালি ব্লকের বাদকুল্লা অনামি ক্লাবের মাঠে একটি প্রকাশ্য জনসভা করে তৃণমূল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নাম করে বলেন, চার বছর আগে রানাঘাট কেন্দ্রের মানুষ প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে জগন্নাথ সরকারকে জিতিয়েছিলেন। কিন্তু এই চার বছরে তিনি কোনও উন্নয়ন করেননি। রানাঘাটবাসীর জন্য কোনও মন্ত্রীর সঙ্গে উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছেন, এমন তথ্য কেউ যদি দিতে পারে, তাহলে আমি চ্যালেঞ্জ করে যাচ্ছি, আমি জীবনে আর রানাঘাটে পা রাখবো না।

    বিজেপি (BJP)  সাংসদের বক্তব্য

    গতকাল তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রানাঘাটে সভার পর বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি অভিষেকের মতো বড় বড় বাতেলা মারি না। কয়লা চুরি থেকে শুরু করে বালি চুরির বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট আর হাইকোর্টে যেতে যেতে মাথা খারাপ হয়ে গেছে অভিষেকের। সেই কারণে চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছে না। রানাঘাটবাসীর উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে তিনি বলেন, অভিষেকের জানা উচিত ভারতবর্ষের কোনও কৃষক রেল তার মন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলে আনা যায় না।। আমি রানাঘাটে কৃষক রেল চালু করেছি। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে ২০০০ লাইটের ব্যবস্থা করেছি রানাঘাট কেন্দ্রে। তার মূল্য কি কোনওদিন তৃণমূল হিসাব করে দেখেছে? অন্যদিকে তিনি আরও বলেন, প্রতিবন্ধীদের জন্য আমি যে গাড়ির ব্যবস্থা করেছি, তা তৃণমূলের কোনও সাংসদ আজ পর্যন্ত করতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সঙ্গে কথা বলে ফুলিয়ায় ৬০ কোটি টাকার প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হতে চলেছে। তৃণমূলের কোনও সাংসদ এমন কাজ করতে পেরেছেন! পাল্টা চ্যালেঞ্জ করেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share