Tag: bjp

bjp

  • Rajya Sabha Election: পঞ্চায়েতের মাঝেই দামামা রাজ্যসভার নির্বাচনের! ভোট কবে?

    Rajya Sabha Election: পঞ্চায়েতের মাঝেই দামামা রাজ্যসভার নির্বাচনের! ভোট কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের মাঝেই দামামা রাজ্যসভার ভোটের (Rajya Sabha Election)। জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে সাতটি রাজ্যসভা আসনে ভোট হবে আগামী ২৪ জুলাই। ভোটগণনা হবে ওই দিন সন্ধেতেই। মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, ছ’জন রাজ্যসভা সাংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে এই নির্বাচন হচ্ছে। অন্য দিকে, তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত হয়েছিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো। মেয়াদ শেষের আগেই দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ইস্তফা দেন তিনি। ২০২১ সালের তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষের মেয়াদ শেষ হলে সেই কোটায় পাঠানো হয় গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। তাই ওই সপ্তম আসনটিতে উপনির্বাচন হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ, চারদিন ধরে পুরুষশূন্য গ্রাম

    ২০১৭ সালে এই আসনগুলিতে নির্বাচন হয়েছিল

    প্রসঙ্গত, রাজ্যসভার (Rajya Sabha Election) সাংসদদের মেয়াদ থাকে ৬ বছরের জন্য। ২০১৭ সালের নির্বাচনে ছ’টি আসনে নির্বাচন হয়। যার মধ্যে পাঁচটিতে জিতেছিল তৃণমূল। ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন, সুখেন্দুশেখর রায়, শান্তা ছেত্রী এবং মানস ভুঁইয়া। পরে মানস ইস্তফা দেন। সেই আসনে জেতেন তৃণমূলের সুস্মিতা দেব। ২০২৩ সালে তাঁদের সকলের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। অন্য দিকে, ২০১৭ সালে জয়ী কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্যেরও মেয়াদ শেষ হচ্ছে এই দফায়। প্রসঙ্গত, বাম কংগ্রেসের একজনও বিধায়ক নেই এরাজ্যে। তাই রাজ্যসভার নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

    একটি আসনে জয়ের জন্য ৪২ জন বিধায়কের সমর্থন দরকার

    প্রসঙ্গত, একটি আসনে জয়ের জন্য সরাসরি ৪২ জন বিধায়কের সমর্থনের প্রয়োজন। ফলে বিধানসভার সংখ্যার ভিত্তিতে তৃণমূল পাঁচটি এবং বিজেপি একটিতে জিততে পারে।  বাংলার পাশাপাশি ২৪ জুলাই গুজরাতের তিন এবং গোয়ার একটি রাজ্যসভা আসনেও ভোটগ্রহণ এবং গণনা হবে বলে এদিন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন।

    আরও পড়ুন: “পাকিস্তান, বাংলাদেশে তিন তালাক নেই কেন?” মধ্যপ্রদেশের জনসভায় প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদায় বিজেপি কর্মীকে ছুরি মেরে খুনের চেষ্টা, রাজনৈতিক আক্রোশই কি কারণ?

    Malda: মালদায় বিজেপি কর্মীকে ছুরি মেরে খুনের চেষ্টা, রাজনৈতিক আক্রোশই কি কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত থেকেই নিখোঁজ। তার পর আজ বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে এক বিজেপি কর্মীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হল। ওই বিজেপি কর্মীকে ছুরি মেরে খুন করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মী মালদা (Malda) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Malda)?

    ঘটনাটি ঘটেছে মালদার বৈষ্ণবনগর (Malda) থানার সব্দলপুর এলাকায়। জানা গেছে, ওই বিজেপি কর্মীর নাম অজিত মণ্ডল। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর কাকা অনিল মণ্ডল, বাখরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী। রাজনৈতিক আক্রোশের কারণেই এই ঘটনা হতে পারে, অনুমান পরিবারের। তবে সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয় পরিবারের সদস্যদের কাছে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর পরিবারের অভিযোগ, গতকাল রাতে বাড়ি ফেরেননি অজিত মণ্ডল। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে দূরে শ্মশান কালী মন্দিরের পাশের রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। এরপর উদ্ধার করে প্রথমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং পরে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এই ঘটনায় বৈষ্ণবনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।‌

    পরিবারের বক্তব্য

    আক্রান্ত বিজেপি (Malda) কর্মী অজিত মণ্ডলের মেয়ে সীমা মণ্ডল বলেন, বাবা বিজেপি করতেন। সকাল বেলা আমার ঠাকুমা মাঠে গেলে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় বাবা পড়ে রয়েছে। গতকাল রাতে ভোটের কাজে বেরিয়েছিলেন, তারপর বাবা বাড়িতে আর আসেননি। এরপর আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে কিছুই জানতে পারিনি। বাবাকে দুষ্কৃতীরা পেটের মধ্যে চাকু দিয়ে আঘত করেছে এবং অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সীমা। বাবা নিজে নির্বাচনের প্রার্থী না হলেও ভোটের প্রচারের কাজে যেতেন। তবে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সেই বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি তিনি। অজিত মণ্ডলের স্ত্রী বলেন, উনার শরীরের অবস্থা ভালো নয়। আমরা খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: পঞ্চায়েত নির্বাচনে পিসেমশাইয়ের বিরুদ্ধে শালাবাবুর ছেলের লড়াই জমে উঠেছে

    Panchayat Election: পঞ্চায়েত নির্বাচনে পিসেমশাইয়ের বিরুদ্ধে শালাবাবুর ছেলের লড়াই জমে উঠেছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন প্রবীণের সঙ্গে নবীনের লড়াই। পিসেমশাইয়ের সঙ্গে লড়ছেন শালাবাবুর ছেলে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) এমনই ছবি দেখা গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের মুন্ডাপাড়ার ১৯৪ নম্বর বুথে। এই বুথে এবার পিসেমশাই ও ভাইপোর লড়াই জমে উঠেছে। আর এ লড়াই দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। গোটা এলাকা জুড়ে এই বুথ নিয়েই শুধু চর্চা হচ্ছে।

    কে কোন দলে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন?

    গত পঞ্চায়েতে (Panchayat Election) এই বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে জিতেছিলেন বর্তমানে বিজেপির প্রার্থী সুরজিৎ দাসের পিসিমা মঙ্গলা সাউ। এবছর ওই বুথে তাঁর স্বামী সজল সাউ দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে। গত পাঁচ বছর এই বুথে শাসকদলের লাগামছাড়া দুর্নীতি নিজে চোখে দেখেছেন বর্তমান বিজেপির প্রার্থী সুরজিৎ দাস। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিজের পিসেমশাইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন তিনি। ভোটে দাঁড়িয়ে পিসেমশাইয়ের পায়ে হাত দিয়ে আশীর্বাদ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন তিনি।

    কী বললেন তৃণমূল প্রার্থী?

    বিজেপির প্রার্থী তৃণমূলের দিকে দুর্নীতির আঙুল তুলেছেন। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সজল সাউ বলেন, আমাদের দলের কিছু মানুষ অসৎ, তাই তাঁরা শাস্তি পাচ্ছেন। সব মানুষ খারাপ নয়। দিদির যে উন্নয়ন এলাকার মানুষ চোখে দেখেছেন, তাই এবার পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) তারা বিজেপিকে হারাবেন। আর দুজনের মধ্যে রাজনৈতিক লড়াই হলেও তাতে সম্পর্কের কোনও অবনতি হবে না।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    পিসেমশাইয়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে বিজেপি প্রার্থী সুরজিৎ দাস বলেন, পিসেমশাইয়ের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের কোনও অবনতি হবে না। তবে রাজনীতির ময়দানে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নই। মানুষ দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত (Panchayat Election) গড়তে বিজেপিকে ভোট দেবেন।

    কী বললেন সিপিএম প্রার্থী?

    পিসেমশাই এবং শালাবাবুর ছেলের এই লড়াইয়ের মাঝে ঘোলা জলে মাছ ধরতে মাঠে নেমে পড়েছেন সিপিএম প্রার্থী  জিয়াউল কাজি। তিনি বলেন, রাজ্যের পিসি-ভাইপোকে যেমন দেখছি এখানেও পিসেমশাই-শালাবাবুর লড়াই জোট বেঁধেছে। গত পাঁচ বছর ধরে বিজেপি প্রার্থীর পিসি খেয়েছে. আর এবার পাঁচ বছর পিসির ভাইপোকে খাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। কিন্তু, সেটা হবে না। মানুষ পঞ্চায়েত  ভোটে (Panchayat Election) সিপিআইএমকে ভোট দেবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে বাড়ি বাড়ি জনসংযোগে বিজেপি, তৃণমূল ব্যস্ত কোন্দলেই

    Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে বাড়ি বাড়ি জনসংযোগে বিজেপি, তৃণমূল ব্যস্ত কোন্দলেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) শাসক দল যখন প্রার্থী নিয়ে কোন্দল সামাল দিতে বেসামাল অবস্থায়, তখন গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগে ব্যস্ত থাকছেন। বড় বড় জনসভার উপর নজর না দিয়ে ছোট ছোট কর্মী-বৈঠক ও ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রার্থীদের হয়ে প্রচারেই জোর দিয়েছে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। জেলায় বিজেপি ভীষণ আত্মবিশ্বাসী বলে জানা গেছে।

    কেমন চলছে ভোটের প্রচার (Alipurduar)?

    নিজেদের খাস তালুকে (Alipurduar) ভোট প্রচারে বেশি হইচই না করে মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েই বাজিমাত করার ছক করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির জেলা সভাপতি ভূষণ মোদক বলেন, আগামী ৫ই জুলাই জেলায় কেন্দ্রীয়ভাবে একটি নির্বাচনী জনসভা করা হবে। সেখানে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন। তবে কারা কারা সেই সভায় আসবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে প্রার্থী ও কার্যকর্তারা জনসংযোগের উপরেই বেশি জোর দিয়েছেন। বাড়ি বাড়ি প্রচারে গিয়ে তাঁরা ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।

    তৃণমূলের দলীয় কোন্দল

    বিজেপি কয়েক মাস আগেই দলীয় প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে রেখেছিল। সেই মতো ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই মনোনয়ন জমা করতে থাকেন বিজেপির প্রার্থীরা। অপর দিকে শাসক-শিবিরে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar)  প্রার্থী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তুমুল বিক্ষোভ হয়েছিল বলে জানা গেছে। ঘোষিত প্রার্থীদের বদলও করতে বাধ্য হয়েছে শাসক দল। কিন্তু তাতেও পুরোপুরি বিক্ষোভ তারা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। শাসক দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অনেক নেতাকর্মী শেষ পর্যন্ত টিকিট না পাওয়ায় নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন।

    বিজেপি ঘর গুছিয়ে নিয়েছে

    শাসকদলের প্রার্থীদের নিয়ে চাপা বিক্ষোভ থাকলেও গেরুয়া শিবিরের ছবিটা উল্টো বলেই মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল। প্রার্থী নিয়ে তেমন দ্বন্দ্বের কথা নজরে আসেনি। গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) মানুষ একচেটিয়া ভাবে বিজেপির প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন। শাসক দল ধরাশায়ী হলেও পঞ্চায়েত ভোটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। যদিও গেরুয়া শিবির নিজেদের শক্ত ঘাঁটিকে আরও মজবুত করতে প্রার্থীদের নিয়ে সরাসরি জনসংযোগে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে বলে জানা গেছে। বিজেপির দাবি, পঞ্চায়েত ভোট যদি নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণ হয়, তাহলে বিজেপির প্রার্থীরা এবারেও ভালো ফল করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: “বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ” তৃণমূলের দেওয়াল লিখনে শোরগোল

    Dakshin Dinajpur: “বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ” তৃণমূলের দেওয়াল লিখনে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ এক অন্যরকম ভোট প্রচারের দেওয়াল লিখন। ‘নির্দল, আরএসপি, বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর  ভান্ডার বন্ধ।’ শাসকদল তৃণমূলের এমন দেওয়াল লিখনে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) রাজনৈতিক মহলে। উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই বর্ধমানের ভাতারে এক জায়গায় দেওয়াল লিখনে এমনই ঘটনা চোখে পড়েছিল। সেখানেও লেখা ছিল, তৃণমূলকে ভোট না দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার মিলবে না। এই নিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন। এবার একই দেওয়াল লিখনের চিত্র মিলল তপনে।

    কোথায় ঘটেছে ঘটনা (Dakshin Dinajpur)?

    দেওয়াল লিখন নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে তপনের ব্লক করদহে। তপন ব্লকের রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ করদহ গ্রামে (Dakshin Dinajpur) তৃণমূলের তরফে বেশ কিছু দেওয়াল লেখা হয়েছে। এর মধ্যে একটি দেওয়ালে প্রার্থীদের নাম লিখে ঘাসফুল চিহ্নে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি লেখা হয়েছে নির্দল, আরএসপি ও বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হবে। এই নিয়ে বিরোধীদের বক্তব্য, দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে ভোটারদের ‘ব্ল্যাকমেল’ করা হচ্ছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে যাওয়ায়, আপাত ভাবে শাসক দল নিজেদের দেওয়াল লিখন মুছে দেওয়ার উদ্যোগ শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

    গ্রামবাসীদের বক্তব্য

    এক গ্রামবাসী (Dakshin Dinajpur) বলেন, ‘আমার যে প্রার্থীকে পছন্দ হবে, আমি তাঁকেই ভোট দেব। কিন্তু বিরোধীদের ভোট দিলে লক্ষ্মীর  ভান্ডার বন্ধ! এমন দেওয়াল লিখন দেখে অবাক হচ্ছি। মনে হচ্ছে, এমন দেওয়াল লিখে কি গ্রামের মানুষকে ব্ল্যাকমেল করতে চাইছে তৃণমূল?’

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির জেলা (Dakshin Dinajpur) সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, ‘শাসকদল আসলে বোঝে না সরকার আর দল কী। সরকার তো জনগণের জন্য। কিন্তু ভোট না দিলে সরকারি সুযোগসুবিধা যদি বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে তো গণতন্ত্রের অবমাননা হয়। বিষয়টি তাঁরা নির্বাচন কমিশনের নজরে আনবেন বলে জানান এই বিজেপি নেতা।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যদিও জেলা (Dakshin Dinajpur) তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, এই ধরনের প্রচারকে তৃণমূল কখনও মান্যতা দেয় না। যদি জেলার কোথাও এই ধরনের প্রচার কেউ করে থাকেন, তবে তাঁদের আমরা নিষেধ করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দিনহাটায় বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৫, মৃত্যু এক তৃণমূল কর্মীর

    TMC: দিনহাটায় বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৫, মৃত্যু এক তৃণমূল কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতেই মুর্শিদাবাদের ডোমকলে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাতে ৬ জন তৃণমূল (TMC) কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই মঙ্গলবার ভোররাতে কোচবিহারের দিনহাটা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠল। ঘটল বিজেপি- তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা।  জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    প়ঞ্চায়েত প্রার্থী দেওয়া নিয়ে দিনহাটা-১ নম্বর ব্লকের গিতালদহের জারিধরলা দরীবস গ্রামে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছিল। বিজেপি এবং তৃণমূল (TMC) কর্মীদের মধ্যে গণ্ডগোল লেগেই রয়েছে। সোমবার ভোররাতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ বাধে। আর তাতেই এলোপাথাড়ি গুলি চলে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন ৫ জন এবং বাবু হক নামে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যে জখমদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে। এছাড়াও মৃত ব্যক্তি বাবু হকের দেহ রয়েছে জারিধরলা দড়িবসে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের (TMC) সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভোর রাতে নির্মমভাবে তৃণমূল কর্মীদের উপর আক্রমণ চালায়। বাবু হককে কুপিয়ে এবং গুলি করে খুন করা হয়। বারবার সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করে বিজেপি ভোটে জিততে চাইছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। বিজেপির দিনহাটা ব্লক শহর মণ্ডলের সভাপতি ‌অজয় রায় বলেন, মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত যারা তাদের মধ্যেই সংঘর্ষ হয়। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতীরা এসে এই গণ্ডগোল করেছে। পাচারকারীদের মদতকারী উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। পাচারের আমরা বিরুদ্ধে। ফলে, তৃণমূল (TMC) এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের নাম জড়াচ্ছে তা ঠিক নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP:  ঝাড়গ্রামে ক্যান্সার আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থীকে সপাটে চড় থানার ওসির, ভাইরাল ভিডিও

    BJP: ঝাড়গ্রামে ক্যান্সার আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থীকে সপাটে চড় থানার ওসির, ভাইরাল ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যান্সার আক্রান্ত বিজেপি (BJP) প্রার্থীকে মারধর করছে সাঁকরাইল থানার ওসি। কয়েক মিনিটের এমনই একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর হইচই  পড়েছে ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে। যদিও ভাইরাল হওয়া ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    ঘটনাটি ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের তুঙ্গাধুঁয়া গ্রামের। আহত বিজেপি (BJP) প্রার্থী শুভঙ্কর মাহাতকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার রাতে তাঁকে দেখতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যান বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি তুফান মাহাত। রবিবার শুভঙ্করের এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগ করেছিল তৃণমূল। সেই ঘটনার তদন্তে গিয়েছিলেন সাঁকরাইল থানার ওসি খন্দকার সাইফুদ্দিন আহমেদ। তারপরই ওই পুলিশ অফিসার বিজেপি প্রার্থীকে চড়় মাড়েন বলে অভিযোগ। বিজেপির দাবি, ওই গ্রামে চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের ১১ নং আসনের বিজেপি প্রার্থী শুভঙ্কর মাহাত। বাড়ি থেকে বেরিয়ে পুলিশের সঙ্গে প্রথমে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ওই বিজেপি প্রার্থী। এরপরই বিজেপি প্রার্থীকে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা চড় মারেন বলে অভিযোগ।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) প্রার্থীর পরিবারের লোকজন?

    বিজেপি (BJP) প্রার্থীর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ‘মনোনয়ন পর্ব থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিয়েছিল পুলিশ। এলাকায় গণ্ডগোল হচ্ছে শুনে সেখানে গিয়েছিল। একটি বিষয় নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা হতেই চড় মেরেছে পুলিশ অফিসার।’

    কী বললেন অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার ও পুলিশ সুপার?

    সাঁকরাইল থানার ওসি খন্দকার সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ওই গ্রামে গণ্ডগোলের খবর পেয়ে সেখানে যাই। তারপর আমাকে গালিগালাজ করা হয় এবং অশ্লীল ভাষায় কটূক্তি করে উত্যক্ত করা হয়। সকলের সামনেই এই ধরনের মন্তব্য করায় পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছিল। ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা বলেন, ‘এক মিনিটের একটি ভিডিও দেখেছি। কী পরিস্থিতিতে এহেন ঘটনা ঘটল, তা বিভাগীয় তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) ঝাড়গ্রাম জেলার সহ-সভাপতি দেবাশিস কুণ্ডু বলেন, ‘ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের ১১ নং আসনের বিজেপি প্রার্থী শুভঙ্কর মাহাতকে সাঁকরাইল থানার ওসি মারধর করেছে। আমাদের প্রার্থী নিজে ক্যান্সার আক্রান্ত। এই মুহূর্তে গুরুতর জখম অবস্থায় তিনি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আমরা আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে লিখিতভাবে অভিযোগ জানাব।’

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম জেলা সহ সভাপতি প্রসূন সড়ঙ্গী বলেন, “ওই এলাকায় তৃণমূল শক্তিশালী। প্রশাসন নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করছে। কী কারণে কী ঘটনা ঘটেছে, তা প্রশাসন বলতে পারবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘পঞ্চায়েত ভোটের পরই তৃণমূল দলটা ভেঙে যাবে’, বিস্ফোরক দাবি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘পঞ্চায়েত ভোটের পরই তৃণমূল দলটা ভেঙে যাবে’, বিস্ফোরক দাবি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরই তৃণমূল দলটা ভাঙবে। হাজার হাজার কর্মী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি সহ অন্য দলে যোগ দেবেন। সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘিতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে একথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, তৃণমূল দলটাই গোষ্ঠীকোন্দলে জর্জরিত। রাজ্যের সর্বত্র নির্দল দাঁড়িয়েছে। পঞ্চায়েতের পর তৃণমূল ভাঙবে। আমরা বিচার করব, কাদের দলে নেওয়া যাবে।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের সন্ত্রাস নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, তৃণমূল রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাস করছে। ডায়মন্ডহারবার, মথুরাপুর সহ একাধিক জায়গায় আমাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। বহু জায়গায় মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। আসলে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক মানুষের প্রাণ যাবে। তৃণমূল যদি মনে করে বিজেপি বা সিপিএম বা বিরোধীদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে তারা দেখবে। তারা ভুল ভাবছে। কারণ, সেই আগুনে তৃণমূলকে পুড়তে হবে।

    বিজেপি কর্মীর বাড়িতে সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    মথুরাপুর থানার কালিকাপুর এলাকার বিজেপি কর্মী সঞ্জীব পাইকের সঙ্গে এদিন দেখা করতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে ওই বিজেপি কর্মীর বাড়়িতে তৃণমূলের লোকজন বোমা মজুত করে রাখে বলে অভিযোগ। পরে, পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই বিজেপি কর্মীকে আটতক করে। তখনই এলাকার মানুষ বিক্ষোভ দেখালে পুলিশ ওই বিজেপি কর্মীকে ছেড়ে দেন। বিজেপি কর্মী সঞ্জীব পাইক বলেন, পরিকল্পিতভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা আমার বাড়িতে বোমা রেখে  ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আসলে আমি বিজেপি প্রার্থীর হয়ে এলাকায় প্রচার করছি। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য। ওরা বলেছিল। সেটা মেনে তৃণমূলে যোগ দিইনি বলেই ওরা এই কাজ করেছে। আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এদিন তাঁর বাড়িতে আসেন। পরিবারের লোকের সঙ্গে কথা বলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভয় না পেয়ে বিজেপির পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। তিনি বলেন, দলীয় কর্মীদের বাড়িতে বোমা রেখে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। আমরা সবসময় দলীয় কর্মীর পাশে রয়েছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: পাখির চোখ লোকসভা ভোট! মঙ্গলবার ১০ লক্ষ বুথে কর্মীদের পাঠ দেবেন মোদি

    Narendra Modi: পাখির চোখ লোকসভা ভোট! মঙ্গলবার ১০ লক্ষ বুথে কর্মীদের পাঠ দেবেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। তার প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, সারা দেশে বিরোধীরা অনেকটাই কোনঠাসা। মোদি সরকারের (Narendra Modi) ৯ বছর পরেও প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বইছে বিপুল হাওয়া। এবার বুথ কর্মীদের পাঠ দেবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার ২৭ জুন মধ্যপ্রদেশ থেকে ভার্চুয়ালি ১০ লক্ষ বুথে পৌঁছাবে মোদির ভাষণ। সারা দেশের বুথ কর্মীদের প্রধানমন্ত্রী দিশা দেখাবেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে।

    সম্পূর্ণ কর্মসূচির বিবরণ

    ২৭ জুন মধ্যপ্রদেশ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বিজেপি সূত্রে খবর, দু’দিনের এই সফরে আয়ুষ্মান ভারত (Ayushman Bharat) প্রকল্পের কার্ড বিতরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি দেশ জুড়ে বিজেপির ১০ লক্ষ বুথের কর্মী ও নেতাদের সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গ থেকে এই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন ৯ জন নেতাকর্মী। পাশাপাশি, ২৭ জুন মধ্যপ্রদেশের ভোপালে একটি রোড শো করারও কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এই রোড শোয়ের মাধ্যমেই মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজাতে চলেছে বিজেপি। জানা গিয়েছে, শাহদোলে বীরাঙ্গনা দুর্গাবতী যাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠানেও যোগদান করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    কী বলছে বিজেপি?

    বিজেপির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দেশ জুড়ে ১০ লক্ষ বুথের কর্মীদের ভার্চুয়াল মাধ্য়মে পাঠ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi)। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে, “মেরা বুথ, সবসে মজবুত”। বৈঠকে একদিকে প্রধানমন্ত্রী যেমন প্রতিটি রাজ্যের বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে সাংগঠনিক অবস্থা, পরিকল্পনা ও কর্মসূচি, রাজ্যগুলির আঞ্চলিক ইস্যু জানবেন, তেমনই আসন্ন বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে কীভাবে সংগঠন মজবুত করা যায়, সেই পাঠও দেবেন। মোদির ভোপাল সফরের একদিন আগে ২৬ জুন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ভোপালে যাবেন। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শেষ ভাগেই মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অঞ্চল সভাপতির পদ! তৃণমূলের জেলা সভাপতির ভিডিও ভাইরাল

    TMC: ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অঞ্চল সভাপতির পদ! তৃণমূলের জেলা সভাপতির ভিডিও ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি দেওয়ার নামে দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূলের (TMC) তপনের ব্লক সভাপতির টাকা নেওয়ার ভাইরাল ভিডিও নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল জেলা। এবারে খোদ তৃণমূলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অঞ্চল সভাপতি করে দেওয়ার নামে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করার অভিযোগ উঠল। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে কী রয়েছে?

    বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি মৃণাল সরকারের তিনটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে জেলা সভাপতি মৃণাল সরকারকে দলের অঞ্চল সভাপতি করে দেওয়ার নামে টাকাপয়সার কথা বলতে শোনা যায়। অন্য একটি ভিডিওতে মদের আসরে বসে রয়েছেন শাসক দলের জেলা সভাপতি। অন্য একটি ভিডিওতে বারের মধ্যে মহিলাদের নাচানাচি করতে দেখা যাচ্ছে। তবে, সেখানে তৃণমূলের জেলা সভাপতির কোনও ছবি নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া তিনটি ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি?

    বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার। তিনি বলেন, এটা দীর্ঘদিন আগেকার একটা ঘটনা, তখন আমি ব্লক সভাপতি ছিলাম। সেই সময় কেউ এটা তুলে থাকবেন। আমি  ঘুমোচ্ছিলাম। তখন কেউ একজন এসব বলে, প্রশ্ন করে ও টাকা দিতে চায়। আমি তার কোনও উত্তর দিইনি। বিজেপির আইটি সেল ভোটের আগে বদনাম করার জন্যই এরকম ভিডিও ভাইরাল করছে। আমি আইনি পদক্ষেপ নেব। প্রসঙ্গত, এবারের পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট বিলি নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে জোর কোন্দল বেধেছে। বিশেষ করে গঙ্গারামপুর মহকুমার বিভিন্ন ব্লকে গোঁজ প্রার্থী নিয়ে চিন্তায় পড়েছে তৃণমূল। রবিবারই রাজ্যের নির্দেশে ১৯ জন বিদ্রোহীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। আর তারপরেই এই ভিডিও ভাইরাল হওয়াকে কেন্দ্র করে তোলপাড় জেলা রাজনীতি।  

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এটা তৃণমূলের (TMC) নতুন কিছু নয়। এই দলের টিকিট থেকে পদ, সবই টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়। দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল জেলা সভাপতিও তাই টাকা চাইবেন, এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। এটা তৃণমূলের ব্যবসা। টাকা দিয়েই পদ নেবেন, আবার সেই টাকা তুলবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share