Tag: bjp

bjp

  • BJP: মনোনয়ন তুলে নিতে হুমকি! বিজেপি প্রার্থীদের বাড়িতে তাণ্ডব, মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: মনোনয়ন তুলে নিতে হুমকি! বিজেপি প্রার্থীদের বাড়িতে তাণ্ডব, মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন এলাকা। এবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার-১ নম্বর ব্লকের কানপুর ধানবেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার ধানবেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি বুথের বিজেপি প্রার্থীদের বাড়িতে গিয়ে শনিবার রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ব্যাপক তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য হুমকিও দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, গৌরীপুরের হাসডোগরা বুথের বিজেপি প্রার্থী দীনেশ মণ্ডলের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি তাঁকে মারধর করা হয়। সব ক্ষেত্রেই বিজেপি প্রার্থীদের অবিলম্বে মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি (BJP) প্রার্থীরা?

    ডায়মন্ড হারবার ১ নম্বর ব্লকের ধনবেরিয়া কানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি (BJP) প্রার্থী মঙ্গল দাস ও জয়দেব দাসের বাড়ি শনিবার রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। তাঁদের বক্তব্য, শনিবার রাতে বেশ কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বাড়িতে এসে হামলা চালায়। পরে, মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য বাড়ির লোকজনদের নানাভাবে হুমকি দেয় তারা। অপরদিকে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের গৌরীপুরের হাসডোগরা বুথের বিজেপি প্রার্থী দীনেশ মণ্ডল বলেন, বাইক করে দুষ্কৃতীরা বাড়িতে চড়াও হয়। বাড়়িতে তাণ্ডব চালানোর পাশাপাশি আমাকে মারধর করে। যদি প্রশাসন আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে, তাহলে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদলের থেকেও ভালো ফল করবে বিজেপি।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    এ বিষয়ে ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি নেতা দীপক হালদার বলেন, রাজ্যের শাসক দল ভয় পেয়েছে, সেই জন্যই দুষ্কৃতীদের দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় আমাদের প্রার্থীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। আমরা এই বিষয়ে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানাব। এই ঘটনা খুবই নিন্দনীয়।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    শাসকদলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের বিধায়ক পান্নালাল হালদার। তিনি বলেন, শাসকদলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। তৃণমূল কংগ্রেস সন্ত্রাস ও হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা কেন্দ্রের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়লাভ করবে তৃণমূল। মানুষ তৃণমূলের উন্নয়নের পাশে আছে। বিজেপির (BJP) পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে। তাই উল্টোপাল্টা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: তৃণমূলের ভুলে গঙ্গারামপুরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিজেপি

    Dakshin Dinajpur: তৃণমূলের ভুলে গঙ্গারামপুরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের ভুলের কারণে একটি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হলেন বিজেপি প্রার্থী। অপর দিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আরও দুই বুথে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। শনিবার মিষ্টি মুখ করে বিজয়োল্লাসে মাতলেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা।

    কোন আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিজেপি?

    মনোনয়ন পত্রের পরীক্ষার শেষে দেখা যায়, গঙ্গারামপুর (Dakshin Dinajpur) ব্লকের উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের নাকোইর বুথে বিজেপি প্রার্থী অপর্ণা বর্মন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে উচ্ছ্বসিত পদ্ম শিবির। এই পঞ্চায়েতের ৪১ নম্বর বুথের দুটি ভাগ রয়েছে। ৮ নং ও ৯ নং বুথে তৃণমূল প্রার্থীরা দুটি ক্ষেত্রেই ৯ নং বুথের উল্লেখ করেছে। যার ফলে এক জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। আর যার ফলস্বরূপ ৮ নম্বর বুথে শুধুমাত্র বিজেপি প্রার্থীরই মনোনয়ন গ্রাহ্য হয়েছে।

    কোন আসনে জয়ী তৃণমূল?

    অন্যদিকে গঙ্গারামপুর (Dakshin Dinajpur) ব্লকের জাহাঙ্গিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২৪ নম্বর বুথে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী। পাশাপাশি নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ নম্বর বুথেও তৃণমূল প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন। এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা (Dakshin Dinajpur) সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, দলের কর্মীদের ভুলের কারণেই বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করতে পেরেছে৷ ফর্ম ফিলাপের সময় দুজন প্রার্থী একই বুথ নম্বর দেওয়ায় একজনের নমিনেশন বাতিল হয়ে গিয়েছে। আবার জেলার সহ-সভাপতি সুভাষ চাকির বলেন, আগামী ২০ তারিখের মধ্যে আরও অনেক নাম প্রত্যাহার হবে। অনেক সিটেই তৃণমূল কংগ্রেস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করবে।

    বিজেপির বক্তব্য

    তবে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও। এই বিষয়ে বিজেপির জেলা (Dakshin Dinajpur) সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, “শাসকদল তৃণমূল সাংগঠনিকভাবে পিছিয়ে রয়েছে এই এলাকায়৷ আজ স্ক্রুটনি শেষে দেখা যায় গঙ্গারামপুর ব্লকের উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪১ নম্বর বুথ বিজেপি বাদে কোনও রাজনৈতিক দল প্রার্থী দেয়নি। যার ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী অপর্ণা বর্মন।” নির্বাচন নিয়ে জেলায় আমরা আশাবাদী বলে জানান বিজেপির এই নেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট করলে ঘরবাড়ি জ্বালানোর হুমকি, গ্রাম জুড়ে পোস্টার!

    TMC: তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট করলে ঘরবাড়ি জ্বালানোর হুমকি, গ্রাম জুড়ে পোস্টার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে রাজ্য জুড়েই শাসক দলের বিরুদ্ধে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে। গত এক সপ্তাহের মধ্যে একাধিক রাজনৈতিক কর্মী খুন হয়েছেন। শনিবার রাতে বহরমপুরে মনোনয়ন প্রত্যাহার করার জন্য বিজেপি প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। এবার মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার রানীনগর অঞ্চলের ভদ্রাপাড়া গ্রাম জুড়ে একটি পোস্টার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী লেখা রয়েছে পোস্টারে?

    রঘুনাথগঞ্জ থানার রানীনগর অঞ্চলের ভদ্রাপাড়া গ্রামে তৃণমূলের নামে দেওয়া পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। রবিবার সকালে বাড়ির দেওয়ালে পোস্টার দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে যদি কেউ ভোট করার চেষ্টা করিস, তাহলে তোদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেব। মা-বোনেদের তুলে নিয়ে যাব। আর তোদের গ্রামছাড়া করব। কোনও পুলিশ তোদের বাঁচাতে পারবে না।’ অন্য একটি পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘টিএমসির বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিস, সাদা কাপড় পাঠালাম, মা বোনেদের পরিয়ে দিস।’ এরকম একাধিক  বাড়িতে পোস্টারকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এই গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাদের এলাকায় কোনও গণ্ডগোল হয় না। কিন্তু, এই ধরনের হুমকি পোস্টার দেখে আতঙ্ক লাগছে। ভোটে ঝামেলার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা চাই, এই বিষয়ে প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলা নেতা লাল্টু দাস বলেন, এই ধরনের হুমকি পোস্টার তৃণমূলই (TMC) দিতে পারে। কারণ, তারা বিরোধীদের ভয় পাচ্ছে। আমরা এই ধরনের পোস্টারের তীব্র বিরোধিতা করছি। যে বা যারা এই ধরনের হুমকি পোস্টার ওই গ্রামে দিয়েছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে এই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া পঞ্চায়েত ভোট হওয়া সম্ভব নয়। এই ধরনের হুমকি পোস্টারে তা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েতের প্রার্থী দিবাকর দাস বলেন, আমি এদিন সকালে এই পোস্টার দেখতে পাই। আমি নিজে অবাক হয়ে যাই। এই ধরনের কাজ তৃণমূল করেনি। আসলে দলের মধ্যে প্রার্থী হতে না পেরে আমারই বিপক্ষ গোষ্ঠীর লোকজন এই কাজ করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Peace Room: রাজভবনে চালু হল ‘শান্তিকক্ষ’! জানানো যাবে পঞ্চায়েত ভোটের অশান্তির অভিযোগ

    Peace Room: রাজভবনে চালু হল ‘শান্তিকক্ষ’! জানানো যাবে পঞ্চায়েত ভোটের অশান্তির অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যবাসী সাক্ষী থেকেছে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের। কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে রাজভবনও। মনোনয়ন পর্বে রাজনৈতিক অশান্তির সাক্ষী ভাঙড় আর ক্যানিংয়ের পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই পরিদর্শন করে এসেছেন তিনি। এবার হিংসা ঠেকাতে রাজভবনে চালু হচ্ছে কন্ট্রোল রুম। যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘শান্তিকক্ষ’ (পিস রুম)।

    শান্তিকক্ষের (Peace Room) হেল্পলাইন…

    রাজ্যে কোথাও অশান্তির ঘটনা ঘটলে তা সঙ্গে সঙ্গে জানানো যাবে শান্তিকক্ষতে। সেই মতো রাজভবন যোগাযোগ করবে রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে। ফোন করে বা ই-মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ জানানো যাবে। ‘পিস রুম’-এর ফোন নম্বর হল, 03322001641। আর ই-মেইল আইডি হল OSD2w.b.governor@gmail.com। শনিবার রাতে এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে রাজভনের তরফে।

    ভাঙড় ও ক্যানিং সফর রাজ্যপালের

    বৃহস্পতিবার মনোনয়নের শেষ বেলায় অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল ভাঙড়-২ ব্লক। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়ছিল, চলেছিল গুলিও। প্রাণ গিয়েছিল তিন জনের। গত সপ্তাহের শুক্রবার সেই এলাকা পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল। পরে সেখানে বলেছিলেন, ‘‘আমি বাংলার মানুষকে আশ্বস্ত করছি, এই ভোটে হিংসাই বলি হবে। হিংসাকে নির্মূল করতে হবে। যারা হিংসা ঘটাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে সংবিধান এবং আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ শনিবার ক্যানিংয়ে যান রাজ্যপাল। বুধবারই, মনোনয়নের চতুর্থ দিনে ক্যানিংয়ে শাসক তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছিল। ক্যানিংয়ের সেই হিংসা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখার পর তাঁর মন্তব্য, “গণতন্ত্রে ভয়ের কোনও জায়গা নেই।”

    শনিবারই তলব করা হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে

    শনিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ করেন বালুরঘাটের সাংসদ। সুকান্ত রাজভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর পরই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে তলব করেন রাজ্যপাল। পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করতেই রাজভবনে তলব করা হয় রাজীবকে। ভাঙড়ের সংঘর্ষের পর বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্য নির্বাচন কমিশন নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এহেন আবহে হওয়ার কথা ছিল রাজীব-রাজ্যপাল বৈঠক। যদিও এদিন বেলার দিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের তরফে রাজ্যপালকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্ক্রুটিনিতে ব্যস্ত থাকায় শনিবার তিনি দেখা করতে যেতে পারছেন না রাজ্যপালের সঙ্গে। তবে অন্য কোনও দিন ডেকে পাঠানো হলে, তিনি যেতে পারবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপি প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রাণনাশের হুমকি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বিজেপি প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রাণনাশের হুমকি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের খাস তালুক মুর্শিদাবাদে এখন বিজেপিকে (BJP) কি ভয় পাচ্ছে তৃণমূল? আর সেই কারণেই পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থীদের বাড়়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠছে শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। আক্রান্ত প্রার্থীদের নিয়ে বহরমপুর থানায় অবস্থান-বিক্ষোভ করেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।

    তৃণমূলের হামলা নিয়ে কী বললেন বিজেপির (BJP) প্রার্থী?

    বিজেপির (BJP) মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ জেলার সভাপতি শাঁখারভ সরকারের নেতৃত্বে শনিবার রাত ১১ টা নাগাদ বহরমপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, শনিবার রাতে বিজেপি প্রার্থীদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। এমনকী হুমকি দেওয়া হয়েছে। মণীন্দ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০৮ নম্বর কেন্দ্রের প্রার্থী মামণি সর্দার এবং হাতিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৩৯ নম্বর কেন্দ্রের প্রার্থী পাপিয়া মণ্ডলের বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই নানা ভাবে টাকার প্রলোভন দেওয়া হচ্ছে। মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য বার বার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিজেপি প্রার্থী পাপিয়া মণ্ডল বলেন, শনিবার রাত দশটা নাগাদ ১০টি বাইকে করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়িতে আসেন। আমার স্বামীকে ডাকে। স্বামী বের না হলে ওরা বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। ভয়ে আমরা কেউ বের হইনি। মনোনয়ন প্রত্যাহার করার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র বের করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায়। আমরা এই ঘটনার পর চরম আতঙ্কে রয়েছি।

    কী বললেন বিজেপির (BJP) জেলা নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ জেলার সভাপতি শাঁখারভ সরকার বলেন, দলীয় প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অনেকের বাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে। এসব করে আমাদের দমানো যাবে না। কোনও প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করবে না। আমরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করি। অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

     বহরমপুর থানায় বিজেপি নেতৃত্ব লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। বহরমপুর থানার আইসি রাজা সরকার বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমে শাসক দলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত বিরোধীরা, কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    Birbhum: বীরভূমে শাসক দলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত বিরোধীরা, কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বীরভূমের (Birbhum) দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবার বীরভূমে না থাকলেও থেমে নেই বিরোধীদের উপর শাসক ঘনিষ্ঠ দুষ্কৃতীদের অত্যাচার। জেলা জুড়ে বিজেপি কর্মীদের উপর চলছে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের অত্যাচার। একের পর এক স্থানে হচ্ছে বোমা উদ্ধার। পাশাপাশি চলছে রাতের অন্ধকারে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে দুষ্কৃতীদের হুমকি। একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে বীরভূমের বিজেপি জেলার পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে। অন্য দিকে জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের সুযোগে, ঘর গুছিয়ে নিচ্ছে বিজেপি।

    নির্বাচন কমিশনের কাছের বীরভূম (Birbhum) জেলার বিজাপি

    মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে এক দিকে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। আবার জেলায় (Birbhum) যেভাবে বোমা উদ্ধার হচ্ছে, এইসব একাধিক বিষয় নিয়ে আজ বিজেপির জেলা প্রতিনিধি দল এলেন জেলা নির্বাচন আধিকারিক দপ্তর জেলা প্রশাসন ভবনে। বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, অনুব্রত না থাকলেও বীরভূমের অবস্থার কোনও বদল ঘটেনি। তিনি বলেন, নানুরে দেখেছেন আপনারা কীভাবে আমাদের জেলার দায়িত্ত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তার গাড়িকে ভাঙচুর করা হয়েছে! আমাদের প্রার্থীদের উপর দুষ্কৃতীরা দিকে দিকে হিংসাত্মক আক্রমণ করছে। জেলার মধ্যেই কিছু পুলিশের উদ্যোগে বোমা বারুদ অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। রাজ্যে কোনও রকম ভাবেই গণতন্ত্রের পরিবেশ নেই বললেন তিনি। গোটা বীরভূম জেলায় এখনও প্রচুর বোমা বারুদ বন্দুক লুকিয়ে রাখা হয়েছে। নির্বাচনের দিন এই বিপুল অবৈধ সামগ্রী ব্যবহার করা হবে বলে বিশেষ অভিযোগ করেন ধ্রুববাবু। রাজ্যের এই নির্বাচন যাতে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ হয়, এই কথা জানিয়ে আমরা জেলার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে এসেছি বলে জানান তিনি।

    ঘর গুছিয়ে নিচ্ছে বিজেপি

    রাজ্যে শাসক দলের দুর্নীতি এবং বঞ্চনার অভিযোগে বিরোধীরা নির্বাচনে সরব হয়েছেন। অপর দিকে, শাসক দলের মধ্যেও তৃণমূলের অন্দরে বঞ্চনার কথা বলে গোষ্ঠী কোন্দলের ফলে একে একে অনেক তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করছেন। কেউ কেউ আবার তৃণমূলে টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে যোগদান করে নির্বাচনে লড়াই করছেন। বীরভূমের (Birbhum) সাংসদ অসিত মালের ভাইপো এবং তাঁর ঘনিষ্ঠরা সম্প্রতি বিজপিতে যোগদান করছেন। সুতরাং গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের সুযোগে, বিজেপি জেলায় নিজের ঘরকে গুছিয়ে নিয়ে আরও শক্তিশালী হতে চাইছে বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশ। এখন বীরভূমের পঞ্চায়েত নির্বাচন কতটা শান্তিপূর্ণ হয়, সেটাই দেখার বিষয়।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nisith Pramanik: বিজেপি প্রার্থীদের বেধড়ক মার, আক্রান্ত মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Nisith Pramanik: বিজেপি প্রার্থীদের বেধড়ক মার, আক্রান্ত মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিডিও অফিসের ভিতরে বিজেপি প্রার্থীদের বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের দিনহাটার সাহেবগঞ্জ বিডিও অফিসে। এমনকী  হামলার খবর পেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) ঘটনাস্থলে গেলে তাঁর কনভয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মন্ত্রীর সামনে বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    শনিবার দিনহাটার- ২ নম্বর ব্লকে সাহেবগঞ্জ বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্রের স্ক্রুটুনির কাজ চলছিল। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় থেকে বিডিও অফিস চত্বর ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ১৪৪ ধারার নিয়ম মেনে বিজেপি প্রার্থীরা বিডিও অফিসে যান। তাঁদের হাতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল। বিডিও অফিসের ভিতরে ঢুকতেই বিজেপি প্রার্থীদের বেধড়ক পেটানো হয় অভিযোগ। দলীয় এক প্রার্থীকে বিবস্ত্র করে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। প্রার্থীদের হাতে থাকা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। তিনি যাওয়ার পর পরই তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী আরও মারমুখী হয়ে ওঠে। মন্ত্রীর গাড়ি লক্ষ্য করে তির ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মীরা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে, পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)?

    বিজেপির অভিযোগ, বিডিও অফিস দখল করে সেখানে প্রায় হাজার খানেক তৃণমূল কর্মীকে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। মন্ত্রীর নির্দেশে তৃণমূল কর্মীরা বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন ছিঁড়ে ফেলেন বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক বলেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করা যায়। কিন্তু, প্রশাসনের সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব নয়। এখানে প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে। আমার গাড়ি লক্ষ্য করে তির ছোঁড়া হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তির ছোড়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। তিনি এই ঘটনার পাল্টা কটাক্ষ করে বলেন, “যে তির ছুঁড়ছে, সে কি জানে না যে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর (Nisith Pramanik) গাড়ি বুলেটপ্রুফ? সেখানে তির ছুড়ে কিচ্ছু হবে না। আসলে ১৫০ টি আসনেও বিজেপি মনোনয়ন জমা করতে পারেনি। আর যেগুলো করেছে সেগুলি ভুলে ভরা। তাই, বাতিল হয়ে যাচ্ছে। এখন এসব হামলার মিথ্যা অভিযোগ করছে। আর ১৪৪ ধারা আমি শুধু নয়, তৃণমূল কর্মীরা কেউ ভঙ্গ করেনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barasat: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্যা বিজেপিতে

    Barasat: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্যা বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাসতে (Barasat) বিজেপির কার্যালয়ে জেলা সভাপতি তাপস মিত্রর হাত থেকে দলীয় পতাকা গ্রহণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্যা পুষ্পারানি বৈদ্য (মজুমদার)। সেই সঙ্গে একই দিনে এলাকার ২০০ জন তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী বিজেপিতে যোগদান করলেন। পুষ্পারানি ২০০৩ সালে হাবড়া ২ নম্বর ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যা ছিলেন। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি হাবড়া ২ নম্বর ব্লকেরই ১৯ নম্বর জেলা পরিষদ আসনে বিজেপির প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা গেছে।

    কী বললেন বিজেপির প্রতীকে লড়াই করা প্রার্থী

    বিজেপির জেলা কার্যালয়ে (Barasat) শ্রীমতি পুষ্পারানি বৈদ্য (মজুমদার) বলেন, রাজ্য জুড়ে কোনও গণতন্ত্র নেই। সন্ত্রাসের আবহ চলছে, চারদিকে গণতন্ত্রকে রোজ হত্যা করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে অপশাসন চলছে। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই আমরা রাজ্যে হাজার হাজার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিছনে হেঁটেছি। ৩৪ বছরের সিপিএমের অত্যাচারের বিরুদ্ধে এক সঙ্গে লড়াই করেছি। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর যে স্বপ্ন নিয়ে সমাজ পরিবর্তনের কথা মানুষ ভেবেছিল, তা বাস্তবায়িত হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের বিশ্বাসের সঙ্গে বঞ্চনা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

    একজন জন প্রতিনিধি হিসাবে কী বললেন?

    ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি একজন জন প্রতিনিধি (Barasat) ছিলেন। কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে দল তাঁর সঙ্গে বঞ্চনা করেছে বলে তাঁর অভিযোগ। তিনি বলেন, আমি গত পাঁচ বছর ধরে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। রাজনীতি আমার রক্তে বইছে, রাজনীতি থেকে আমার পক্ষে দূরে থাকা সম্ভব নয়। আমি বুঝেছি, মানুষের কাছে এবং মানুষের পাশে থেকে কাজ করাটাই আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন, কেউ বলতে পারবেন না, আমি জনগণের একটা টাকাও কাটমানি বা চুরি করেছি। কোনও ঠিকাদার বলতে পারবেন না, কাজের বিনিময়ে টাকা নিয়েছি। বরং আমি বলেছি রাস্তাটা ঠিক নেই, ঠিক করে দাও। কাজের বিনিময়ে প্রাপ্য অধিকার সকলকে দিয়েছি। কিন্তু আজ তৃণমূলের কাছে যোগ্য মানুষের কোনও গুরুত্ব নেই। আজ যে মমতা দিদিকে দেখছি, তিনি এখন অনেক বদলে গেছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আত্মনির্ভর ভারত গঠনের ভাবনা এবং নরেন্দ্র মোদির সুশাসনকে দেখছি আমি। মনে মনে দলের প্রার্থী হিসাবে নয়, সাধারণ সৈনিক হিসাবে কাজ করতে চাই। বাংলার জন্য কিছু করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। দল যেভাবে আমাকে ব্যবহার করবে, আমিও ঠিক সেই ভাবেই কাজ করব।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩ জনের মৃত্যুর পর থমথমে চোপড়া, গ্রেফতার ১৭

    Panchayat Election: গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩ জনের মৃত্যুর পর থমথমে চোপড়া, গ্রেফতার ১৭

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া এলাকা। বাম-কংগ্রেসের ওপর হামলার ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের শুক্রবার ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তার মধ্যে ৮ জনকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। তবে ধৃত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই দাবি করেছেন, তাঁরা নির্দোষ। কেউ আবার জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তখন পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।

    শুক্রবার কেমন রয়েছে চোপড়া?

    বৃহস্পতিবার দুপুরে পায়ে হেঁটেই মনোনয়ন জমা দিতে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া বিডিও অফিসে যাচ্ছিলেন কাঁঠালবাড়ি এলাকার সিপিএম এবং কংগ্রেসের প্রার্থী ও দলীয় নেতাকর্মীরা। সেই সময় তাঁদের ওপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সশস্ত্র হামলা চালায় বলে অভিযোগ। চলে এলোপাথাড়ি গুলি। ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মধ্যে একজনের অবস্থা সংকটজনক থাকায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে (Panchayat Election) কেন্দ্র করে মনোনয়ন পর্বে এমন ভয়াবহ সন্ত্রাসে কার্যত কেঁপে ওঠে গোটা রাজ্য। শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হয় বিরোধীরা। গতকালের এই সন্ত্রাস ও গোলাগুলির ঘটনায় শুক্রবার সকাল থেকেই থমথমে চোপড়ার বিভিন্ন এলাকা। রাস্তাঘাটে লোকজন কম রয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অন্যদিকে, শুক্রবার চোপড়া গাইসাল-২ পঞ্চায়েতের মালকাডাঙা এলাকায় নতুন করে গন্ডগোলের ঘটনা ঘটে। সাইকেলে ধাক্কাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাতে পাঁচজন জখম হয়েছেন।

    কী বললেন বিরোধী দলের নেতারা?

    বিরোধী দলের নেতাদের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনকে গ্রেফতারি দেখাতে পুলিশ আসল অপরাধীদের না ধরে নিরীহ মানুষকে ধরে নিয়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) মনোনয়ন পেশ করতে পারেনি। সিপিএম নেতা বিদ্যুৎ তরফদার বলেন, আমাদের কেউই বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা করতে পারেনি। শাসক দলের সন্ত্রাসের ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে দলের প্রার্থী, নেতা ও কর্মীরা চা বাগানে আত্মগোপন করেছিলেন। অনেকের এখনও খোঁজ নেই। একই অভিযোগ কংগ্রেস নেতা অশোক রায়ের। বিজেপি নেতা সুবোধ সরকার বলেন, পুলিশ ঠুঁটো জগন্নাথ। পঞ্চায়েত বিরোধীশূন্য করতেই শাসক দলের দুষ্কৃতীরা বোমা-গুলি নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এই এলাকায় বিরোধীদের ফের মনোনয়ন জমা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করুক প্রশাসন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: এবার শুরু মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি! কাঠগড়ায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা

    Purba Medinipur: এবার শুরু মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি! কাঠগড়ায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পটাশপুর (Purba Medinipur) ২ নম্বর ব্লকের আডগোয়াল অঞ্চলের পানিলালা বুথে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী সমীরণ ঋষির বাড়িতে রাতের অন্ধকারে হামলা চালাল তৃণমূলীরা। তাঁকে নমিনেশন তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির হয়ে কেন প্রার্থী? আমাদের নেতৃত্বের সঙ্গে কেন কোনও কথা বলেনি? অবিলম্বে নমিনেশন তুলে ফেলতে হবে। এইভাবেই চলে হুমকি। পরিবারের আরও দাবি, নমিনেশন না তুলে নিলে যে কোনও ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকারও হুঁশিয়ারি দিয়ে গেছে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা।

    বিজেপির কাঁথি (Purba Medinipur) সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতির বক্তব্য

    বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি অসীম মিশ্র বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করছে তৃণমূল কংগ্রেস। পটাশপুরে (Purba Medinipur) রাতের অন্ধকারে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে নমিনেশন তুলে নেওয়ার হুমাকি দেওয়া হচ্ছে। সমীরণবাবুকে বাড়িতে ঢুকে হুমকি দেওয়া হয়, নমিনেশন তুলে না নিলে বাড়ির কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাবে না। এটাই তৃণমূলের আসল রূপ বলে উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, যদি বাংলায় মানুষ ঠিকঠাক নিজের ভোট নিজে দিতে পারেন, তাহলে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে।

    কেন হুমকির রাজনীতি

    মনোনয়নের আগে থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলায় শাসক দলের অন্দরে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে বিরোধী দল হিসাবে বিজেপি যত মনোনয়ন করেছে, তা সুস্থ, অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট হলে তৃণমূল পায়ের নিচের মাটি একেবারেই হারিয়ে ফেলবে, বলছে বিজিপি। আর তাই এক প্রকার হারের ভয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের গ্রামে-গ্রামে, বাড়ি-বাড়ি গিয়ে বিজেপি পদপ্রার্থীদের হুমকি দেওয়ার কাজ শুরু করেছে তৃণমূল। বিরোধী শিবিরের আরও দাবি, শাসক দলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দলের জন্য অনেক তৃণমূল প্রার্থী বিজেপিকে ভোট দেবে। আর এই কারণে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব হারের ভয়ের মধ্যে রয়েছেন। এলাকায় বিজেপির দাবি, সিপিএমের হার্মাদরা আগে বাড়িতে বাড়িতে সাদা থান পাঠিয়ে হত্যার ভয় দেখাত। আর বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস রাতের অন্ধকারে বাড়িতে গিয়ে বিরোধী দল করার জন্য বিজেপিকে খুনের হুমকি দিচ্ছে। সিপিএম এবং তৃণমূলের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই বলে জানান বিজেপির স্থানীয় নেতারা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share