Tag: bjp

bjp

  • Asansol: সাত মাসের কন্যা সন্তানকে নিয়ে মনোনয়ন দাখিল বিজেপি দম্পতির

    Asansol: সাত মাসের কন্যা সন্তানকে নিয়ে মনোনয়ন দাখিল বিজেপি দম্পতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে যখন মনোনয়নপর্ব ঘিরে বিরোধীদের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটে চলেছে, ঠিক তখনই অন্য চিত্র দেখা গেল আসানসোলের (Asansol) রানীগঞ্জে। সমস্ত ভয় কাটিয়ে এবার বিজেপির হয়ে প্রার্থী হয়েছেন রানীগঞ্জের এক দম্পতি।

    আসানসোলের (Asansol) কোথায় মনোনয়ন হল?

    সাত মাসের কন্যা সন্তানকে নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করলেন দম্পতি। জানা গিয়েছে, রানীগঞ্জ (Asansol) ব্লকের বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন বিকাশ ঢাং ও তাঁর স্ত্রী চন্দ্রমুখী ঢাং। জানা যায়, মা চন্দ্রমুখী তাঁর সাত মাসের কন্যা সন্তানকে সঙ্গে নিয়েই রানীগঞ্জ বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এই দম্পতি জানিয়েছেন, বিজেপির হয়ে তাঁরা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন। আগামী দিনে বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি এবং বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রচার করবেন বলে জানিয়েছেন দম্পতি।

    দম্পতি আর কী বললেন?

    মনোনয়ন জমা করে বিকাশ ঢাং বলেন, আমরা ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে প্রার্থী হয়েছি। আমি ২৭৯ নম্বর বুথের (Asansol) এবং আমার স্ত্রী ২৭৮ নম্বর বুথের প্রার্থী হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিরোধীরা মনোনয়ন করতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছে। রাজ্যের সর্বত্র আতঙ্কের পরিস্থিতি চলছে। শাসক দলের হাতে লাঠি, বাঁশ, রড, বন্দুক, বোমা। কিন্তু তারপরেও আমরা মাঠে নেমে বিরোধী রাজনীতি করব বলে মনোনয়ন করেছি। হিংস্র শাসকের অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি এবং বঞ্চনার বিরুদ্ধে কাউকে না কাউকে তো লড়াই করতেই হবে। আর তাই এই লড়াইতে আমি এবং আমর স্ত্রী ভোটের ময়দানে নেমেছি। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এই রাজ্যে বিরোধী রাজনীতি করা এবং গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু তার পরেও আমরা ঘরে (Asansol) ঘরে গিয়ে তৃণমূল শাসকের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আমাদের বক্তব্য প্রচার করব।

    স্ত্রী চন্দ্রমুখী ঢাং বলেন, সাত মাসের বাচ্চা কোলে নিয়ে অন্য কাজ করাটা খুব কঠিন। কিন্তু প্রচার না করলে সাধারণ মানুষ কেনই বা ভোট দেবেন! আর তাই আমরা আমাদের শত বাধা অতিক্রম করে, তৃণমূল শাসক কীভাবে পঞ্চায়েত স্তরে সাধারণ মানুষের অধিকারের সঙ্গে বঞ্চনা করছে, সেই কথাই সর্বত্র প্রচার করব। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয়টা বড় কথা নয়, নির্বাচনী ময়দানে লড়াই করাটাই একটা বড় প্রচেষ্টা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: ‘‘এমন দিন আসবে তৃণমূলকে নৌকা, সাইকেল প্রতীক বাছতে হবে’’, খোঁচা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘এমন দিন আসবে তৃণমূলকে নৌকা, সাইকেল প্রতীক বাছতে হবে’’, খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী মাসের ৮ তারিখ পঞ্চায়েত নির্বাচন। বৃহস্পতিবারই ছিল মনোনয়নে শেষ দিন। ঘটনাক্রমে কয়েক মাস আগেই জাতীয় দলের তকমা খুইয়েছে ঘাসফুল শিবির। এনিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর মতে, এমন দিন আসবে যেদিন তৃণমূলকে কলাগাছ নারকেল গাছ প্রতীক হিসেব বেছে নিতে হবে।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক এদিন ট্যুইটারে লেখেন, ‘‘আঞ্চলিক তোলামূল দল বিজেপির সঙ্গে গোয়া, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে টক্কর দিতে গিয়েছিল। এরপর তারা জাতীয় দলের মর্যাদা হারিয়েছে। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তোলামূল পার্টির দলীয় প্রতীক চিহ্ন আঞ্চলিক দলের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে।’’

    শুভেন্দু আরও লিখেছেন, ‘‘এমন দিন আসবে যখন আঞ্চলিক তোলামূল পার্টি থেকে কেউ ভোটে লড়তে চাইলে তাঁদের নৌকা, সাইকেল রিকশ, নারকেল বা কলাগাছের মতো প্রতীক চিহ্ন, যা ফ্রি সিম্বল, সেটাই বেছে নিতে হবে।’’

    পঞ্চায়েত ভোটে আঞ্চলিক দল ও জাতীয় দল

    এবারের পঞ্চায়েত ভোটে লড়াইয়ের জন্য ৬টি জাতীয় দল রয়েছে। আম আদমি পার্টির ঝাড়ু, বহুজন সমাজ পার্টির হাতি, ভারতীয় জনতা পার্টির পদ্মফুল, সিপিআই(এম)-এর কাস্তে-হাতুড়ি-তারা, কংগ্রেসের হাত ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির বইয়ের চিহ্ন রয়েছে। আঞ্চলিক দলের তালিকায় তৃণমূলের ঘাসফুলের পাশাপাশি রয়েছে সর্বভারতীয় ফরওয়ার্ড ব্লকের সিংহ।

     

    আরও পড়ুুন: অগ্নিগর্ভ ভাঙড়, পুলিশি এসকর্টে চলল গুলি, আইএসএফ কর্মী সহ মৃত ২

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: কোন্দলে ভাঙন শাসক দলে, বিজেপিতে যোগদান ৩০০ তৃণমূল কর্মীর

    Paschim Medinipur: কোন্দলে ভাঙন শাসক দলে, বিজেপিতে যোগদান ৩০০ তৃণমূল কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) নারায়ণগড়ে গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে ভাঙন শাসক দল তৃণমূলে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি, বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ সহ ৩০০ জন তৃণমূল কর্মী। দলের তরফে রাজ্য নেতৃত্বের উপস্থিতিতে প্রাক্তন তৃণমূল কর্মীদের হাতে পতাকা তুলে দিলেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, যে সমস্ত নেতাকর্মীরা আজ বিজেপিতে যোগ দিলেন, তাঁদের মধ্যে ২০ জন আজই মনোনয়ন জমা দিলেন বিজেপির পক্ষ থেকে।

    নারায়ণগড়ে (Paschim Medinipur) কী ঘটেছে?

    উল্লেখ্য, নারায়ণগড়ে (Paschim Medinipur) শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল বার বার প্রকাশ্যে এসেছে সাম্প্রতিককালে। নারায়ণগড়ের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও প্রকাশ্যে মুখ খুলতে দেখা যায়। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই কোন্দল যে কোনও ভাবেই মেটানো গেল না, বৃহস্পতিবারের ঘটনা ফের তা প্রমাণ করল।

    বিজেপির বক্তব্য

    জেলার (Paschim Medinipur) বিজেপি নেতা লক্ষ্মীকান্ত সাউ বলেন, এলাকায় তৃণমূলের কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে ভালো মানুষগুলো বিজেপিতে যুক্ত হয়েছেন। তার কারণ, তাঁরা ভালো করে জানেন, তৃণমূলের শাসনে রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। মাত্র ৮ দিন সময়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন চলছে। আমরাও বিরোধী হিসাবে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই করছি। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে পশ্চিম মেদিনীপুরে বিজেপি শক্তিশালী হল বলে দাবি করলেন এই বিজেপির নেতা।

    তৃণমূল বিধায়কের প্রতিক্রিয়া

    যদিও এ প্রসঙ্গে নারায়ণগড়ের (Paschim Medinipur) তৃণমূল বিধায়ক সূর্য অট্টর দাবি, আজ যারা বিজেপিতে যোগদান করেছে, তারা এর আগেও বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল। পরে অবস্থা অনুকূল নয় বুঝতে পেরে তারা আবার তৃণমূলে ফিরে এসেছিল। দীর্ঘদিন ধরেই তারা দলের সাথে দূরত্ব তৈরি করেছিল। তিনি আরও বলেন, প্রায় চার বছর আগে ২০১৯ সালে ওরা সবাই বিজেপিতে যুক্ত হয়েছিল! এখন আবার এই সময় যুক্ত হল। একই মানুষকে কতবার যুক্ত করবে বিজেপি? এই প্রশ্নের উত্তর বিজেপিই জানে। বিধায়ক আরও বলেন, ওরা বিজেপিতে চলে যাওয়াতে এলাকায় শান্তি ফিরে আসবে। সব মিলিয়ে মনোনয়নের শেষ দিনে যোগদান প্রসঙ্গে রীতিমতো রাজনৈতিক তরজা জারি জেলা জুড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মনোনয়ন কেন্দ্রে তৃণমূলের বিধায়ক-পত্নীকে দেখেই ‘চোর চোর’ স্লোগান

    Murshidabad: মনোনয়ন কেন্দ্রে তৃণমূলের বিধায়ক-পত্নীকে দেখেই ‘চোর চোর’ স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের প্রার্থী তালিকায় নাম নেই। অথচ বৃহস্পতিবার দেখা গেল, দলেরই সিম্বলে মনোনয়নপত্র জমা করলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার স্ত্রী টগরী সাহা। আর এর পরই বিরোধীরা ‘চোর চোর’ স্লোগানে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিধায়ক-পত্নীকে।

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) মনোনয়নপত্র জমা করতে গিয়ে কী ঘটল?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা করার আজ বৃহস্পতিবার ছিল শেষ দিন। ইতিমধ্যেই সর্বত্র মনোনয়ন জমা দেওয়াকে ঘিরে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে। মনোনয়নকে ঘিরে কোথাও চলেছে বোমা, আবার কোথাও চলেছে গুলি। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির টিকিটে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের স্ত্রীকে দেখা গেল মনোনয়নপত্র জমা করতে। উল্লেখ্য, এই জীবনকৃষ্ণ সাহাকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামালায় সিবিআই-ইডি গ্রেফতার করেছে। বর্তমানে তিনি জেলে রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা করে বেরিয়ে আসছিলেন। ঠিক সেই সময় ব্লক অফিসের ভিতরেই মনোনয়ন দাখিলের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা বিরোধী দলের বিজপি প্রার্থীরা বিধায়কের স্ত্রী টগরী সাহাকে দেখেই চোর চোর স্লোগান তোলেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে বিরোধী প্রার্থীরা লাইনে দাঁড়িয়ে মনোনয়নপত্র জমা করতে পারছিলেন না। অথচ বিধায়ক-পত্নী কোনও লাইন না দিয়েই নিজের মনোনয়ন জমা করেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের। বিধায়ক-পত্নী মনোনয়ন জমা করতে এসে থেমে থাকেননি। তিনি সুযোগ পেয়ে মনোনয়ন কেন্দ্রের ভিতরেই বিরোধীদের কুকুর-ছাগলের মতো আচরণ করেন বলে অভিযোগও শোনা গেছে। আর এই নিয়ে প্রশাসনের কাছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগও করা হয়।

    বিজেপির অভিযোগ

    ভারতীয় জনতা পার্টির স্থানীয় বুথ সহ সভাপতি ইলিয়াস শেখ বলেন, এতকাল এই তৃণমূল বিধায়ক (Murshidabad) কেবল চুরিই করে গেলেন, প্রাপ্য সুযোগসুবিধা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করলেন! আজ সেই বিধায়কের পত্নী পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন করলেন। আমরা সকাল থেকে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি, আমাদের সময়ের কোনও দাম নেই। অথচ একজন বিধায়কের পত্নীর জন্য সব সুবিধা প্রশাসন দিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বললেন, একজন দুর্নীতিগ্রস্ত বিধায়কের পত্নীকে মনোনয়ন জমা করতে এসে লাইনে দাঁড়াতে হল না। ব্লক অফিসের আধিকারিকরা বিরোধী দলের প্রতি অসহযোগিতা করছেন। তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে প্রশাসন, এমনটাই অভিযোগ করেন ইলিয়াস শেখ।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী নেই! জাল শংসাপত্র বিলি করছে শাসক দল, অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী নেই! জাল শংসাপত্র বিলি করছে শাসক দল, অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না তৃণমূল, সেখানে জেনারেল ক্যাটিগরির মানুষজনদের প্রার্থী করার জন্য জাল কাস্ট সার্টিফিকেট বিলি করছে শাসক দল। তৃণমূলকে এভাবেই নজিরবিহীন আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে একথা লেখেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এই উদ্দেশ্যে মহকুমা শাসকদের একাংশকে চাপ দিয়ে জাল জাতিগত শংসাপত্র বিলিরও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ গ্রেফতার হতেই গণ-ইস্তফা! প্রকাশ্যে তৃণমূলের কোন্দল     

    কী লিখলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বুধবার ট্যুইটারে লেখেন, ‘‘সূত্র মারফত জানতে পেরেছি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আদিবাসী কল্যাণ এবং অনগ্রসর জাতি উন্নয়ন দফতরের ইনসপেক্টরেরা মহকুমা শাসকদের চাপের মুখে তৃণমূলের প্রার্থীদের ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁরা যাতে তফসিলি জাতি ও জনজাতির প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে লড়তে পারেন, সেই উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ।’’

    আদিবাসী কল্যাণ এবং অনগ্রসর জাতি উন্নয়ন দফতরে অনিয়ম  

    বিরোধী দলনেতার মতে, সরকারের আদিবাসী কল্যাণ এবং অনগ্রসর জাতি উন্নয়ন দফতর তফসিলি জাতি ও জনজাতি এবং ওবিসি সমাজের সামাজিক, অর্থনৈতিক সাংস্কৃতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করবে। এটাই হওয়া উচিত। জাতিগত শংসাপত্র বিলি করা এবং পরিষেবা দেওয়াই তাদের কাজ কিন্তু তার বদলে অনিয়মে অংশ নিতে বাধ্য করা হচ্ছে দফতরকে।

    আরও পড়ুুন: গভীর রাত পর্যন্ত তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ, প্রকাশ্যে কোন্দল

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘সন্ত্রাসী শাসকের আমলে কোনও নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে না’’, ফেসবুকে খোঁচা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘সন্ত্রাসী শাসকের আমলে কোনও নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে না’’, ফেসবুকে খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়নের পঞ্চম দিনেও অশান্তি অব্যাহত রাজ্য জুড়ে। ভাঙড় থেকে ক্যানিং সর্বত্র। বাদ যায়নি তৃণমূল কর্মীরাও। ক্যানিং-এ মনোনয়নে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে গুলিবিদ্ধ দলেরই এক কর্মী। এনিয়ে এবার ফেসবুকে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    কী লিখলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নিজের ফেসবুক পোস্টে বুধবার শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে যতদিন এই দুর্নীতিগ্রস্ত, সন্ত্রাসী শাসক দল ক্ষমতায় আছে, কোনওদিনই কোনও নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হবে না। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনও তার ব্যতিক্রম হবে না। বর্তমান সরকারের আমলে শাসক দলের সন্ত্রাসের হাত থেকে নিস্তার নেই বিরোধী দলের প্রার্থীদের।”

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সংযোজন, ‘‘ভয়মুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু ভাবে মনোনয়ন দাখিল করতে পারছেন না বিরোধী প্রার্থীরা’। শুভেন্দু অধিকারীর কথায়,’ বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড় – ১ এবং ২ নম্বর ব্লক ও ক্যানিং–১ এবং ২ নম্বর ব্লক; বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুর, পাত্রসায়র, ইন্দাস; বীরভূম জেলার লাভপুর ও নানুর; উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সন্দেশখালি–১ এবং ২ নম্বর ব্লক ও মিনাখাঁ; হাওড়া জেলার উদয়নারায়ণপুর ও বাগনান–২ নম্বর ব্লক সহ রাজ্যের অন্যান্য ব্লকে। বিডিও অফিস তথা মনোনয়ন কেন্দ্রগুলি সন্ত্রাসের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।’’

    তৃণমূল আছে সন্ত্রাসেই!

    প্রথম কোনও পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট! মনোনয়ন কেন্দ্রগুলিতে জারি থাকছে ১৪৪ ধারা। কিন্তু তাতে কী! এদিনই সুকান্ত মজুমদার বিজেপির পঞ্চায়েতের প্রার্থীদের বাসে করে বসিরহাট থেকে কলকাতায় নিয়ে এসে রাজ্য নির্বাচন দফতরের সামনে উপস্থিত হন। কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন সুকান্ত। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর এসেছে প্রত্যেক দিন। দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ভাঙড়, ক্যানিং, ইন্দাস, ডোমকল। রাজ্য জুড়ে প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্তি লেগেই রয়েছে। আর পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে লাঠিচার্জ পর্যন্ত করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: পুলিশের গুলিতে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বউদিকে প্রার্থী করল বিজেপি

    BJP: পুলিশের গুলিতে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বউদিকে প্রার্থী করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে রাধিকাপুরের চাঁদগাও গ্রামের রাজবংশী যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মন খুন হয়েছিলেন। এবার তাঁর বউদি কণিকা রায় বর্মনকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী করল বিজেপি (BJP)। বুধবারই দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে তিনি বিডিও অফিসে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজবংশী পরিবারের বধূকে প্রার্থী করে বিজেপি মাস্টার স্ট্রোক দিল বলে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এই আসনে বিজেপির জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা বলে এলাকাবাসীর দাবি।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) প্রার্থী?

    গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী কণিকাদেবীর স্বামী বিষ্ণু বর্মন এতদিন বিজেপির (BJP) পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ছিলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মির্জাগর এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির আসনটি মহিলা প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। তাই বিজেপির পক্ষ থেকে তাঁর স্ত্রীকে প্রার্থী করা হয়। এদিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর বিজেপি প্রার্থী কণিকাদেবী বলেন, আমার দেওরকে পুলিশ নৃশংসভাবে গুলি করে খুন করেছে। রাজ্যবাসী তা জানেন। বিজেপি আমার স্বামীর পর আমার উপর আস্থা রেখেছে। এই এলাকার সাধারণ মানুষও আমার উপর ভরসা রাখবে। এলাকাবাসীর সঙ্গে আমি সবসময় থাকব।

    কী বললেন মৃত্যুঞ্জয়ের দাদা?

    কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার রহস্যমৃত্যু ও পরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায় তাণ্ডবের ঘটনায় বিজেপির (BJP) পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিষ্ণু বর্মণকে ধরতে যায় পুলিশ। সে সময় তল্লাশি অভিযানে তাঁর খুড়তুতো ভাই মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে পুলিশ গুলি করে খুন করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তোলপাড় হয়ে ওঠে রাজ্য। এদিন বিষ্ণু বর্মন বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে আমি মানুষের সঙ্গে ছিলাম। আমি বিজেপি করি বলে পুলিশ আমাকে ধরতে এসেছিল। আমাকে না পেয়ে আমার ভাইকে পুলিশ গুলি করে খুন করেছে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। আর আমাদের এই লড়াইয়ে এলাকার মানুষ সঙ্গে রয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিজেপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ব্যাপক লাঠিচার্জ, আক্রান্ত বিধায়ক

    Bankura: মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিজেপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ব্যাপক লাঠিচার্জ, আক্রান্ত বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ায় (Bankura) বিরোধীদের মনোনয়ন দাখিলে বাধা দিতে পুলিশকে নিয়ে ময়দানে নেমেছে রাজ্যের শাসক দল। আর এই অভিযোগ তুলে মনোনয়নের প্রথম দিন থেকেই সরব গেরুয়া শিবির। আজ ইন্দাসে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র পুলিশের সাথে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় গেরুয়া বাহিনীর। আক্রান্ত হন বিজেপির বিধায়ক নির্মলকুমার ধাড়া।

    বাঁকুড়ায় (Bankura) অভিযোগ কী?

    বুধবার ইন্দাস (Bankura) বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু পুলিশ বিজেপিকে বাধা দেয়। বিজেপির অভিযোগ, মিছিল আটকাতে পাল্টা ইন্দাসের পিরতলায় জমায়েত করে তৃণমূল। পাশাপাশি, সেখানে আগে থেকেই মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। বিজেপির মিছিলকে জোর করে আটকে দেয় পুলিশ। প্রতিবাদে সেখানেই ধর্ণা ও বিক্ষোভ শুরু করে দেন তাঁরা।

    পুলিশের ভূমিকা

    এরপর ইন্দাসের (Bankura) বিজেপি বিধায়ক নির্মলকুমার ধাড়া দলবল নিয়ে মিছিল করে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিডিও অফিসের দিকে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়। আর তাতেই ছড়ায় উত্তেজনা। মুহূর্তের মধ্যে বিজেপি ও পুলিশে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। বিধায়কের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি চলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে। লাঠির আঘাতে বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। পাশাপাশি, ইটের আঘাতে বিষ্ণুপুরের এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খান সহ বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে  জানানো হয়েছে। বিধায়ক নিজেও আহত হন বলে দাবি করেছে বিজেপি।

    আক্রান্ত সাংসদও

    এদিকে ইন্দাস যাওয়ার পথে কাঁকরডাঙ্গায় আক্রান্ত হন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, তৃণমূলের লোকজন এমনকী মহিলারা মিলে তাঁর উপর হামলা চালায়। তাঁর গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে কোনও রকমে বাঁচিয়েছেন। পাশাপাশি, তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ বিধায়ক নির্মল ধাড়ার ওপর আক্রমণ চালায়। এবং এই ঘটনায় তিনি বিষ্ণুপুরের (Bankura) এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খানকে তীব্র ধিক্কার জানান। তিনি অভিযোগ তোলেন, এই অফিসার বিজেপি বিধায়ক, সাংসদ, নেতা-কর্মীদের মেরে ফেললেও মনোনয়ন দেওয়া থেকে আটকাতে পারবেন না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নে যদি এই পরিস্থিতি হয়, নির্বাচনের দিনে কী হবে? তা নিয়ে চিন্তিত এলাকার মানুষ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: ঘর ওয়াপসি, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক  

    Jalpaiguri: ঘর ওয়াপসি, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাল (Jalpaiguri), রাজগঞ্জ এবং ধূপগুড়ি ব্লকের অনেকেই তৃণমূল ছাড়লেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিনগুলিতে বড় চমকের ঘটনা ঘটল জলপাইগুড়ি জেলায়। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত মাল পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি রীনা বরা নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দিলেন। আবার খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বিবেকানন্দ পল্লি এলাকার বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্যা অঞ্জলি সরকার সহ শতাধিক তৃণমূলকর্মী বিজেপিতে ফিরলেন। একই সঙ্গে ধূপগুড়িতে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে প্রায় ৩৫ টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করল। জলপাইগুড়ি জেলায় সব মিলিয়ে একদিকে তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক এবং অপরদিকে বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জেলার রাজনীতি বেশ সরগরম।

    জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কেন তৃণমূল ছাড়লেন?

    তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত মাল পঞ্চায়েত (Jalpaiguri) সমিতির জন্য দলের প্রার্থী তালিকা এখনও ঘোষণা হয়নি। অথচ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগেই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ব্যক্ত করে গত সোমবার সরাসরি এসে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দেন। মনোনয়ন জমা দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রীনা বরা বলেন, আমি একজন মহিলা। দলের ব্লক সভাপতি সুশীল প্রসাদের অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি, অনশন-ধর্নায় বসেছিলাম, দলের নেতৃত্বের কাছেও জানিয়েছি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি আমাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু সাময়িক ভাবে সুশীল প্রসাদকে সরিয়ে দিলেও আবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে তাঁকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে! বিচার না পেয়ে আমি তৃণমূল ছেড়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছি।

    ধূপগুড়ি ব্লকে ৩৫ টি পরিবারের বিজেপিতে যোগদান

    ধূপগুড়ি ব্লকের (Jalpaiguri) ঝাড় আলতা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মমতা রায়ের বুথে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে প্রায় ৩৫ টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করে। এদিনই তৃণমূল দল ছাড়লেন রাজগঞ্জের শিকারপুর অঞ্চলের প্রধান রঞ্জিতা রায়। তাঁর সঙ্গে শতাধিক কর্মী-সমর্থক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে জয়লাভ করে শিকারপুর অঞ্চলের প্রধান হিসেবে রঞ্জিতা রায় কাজ করেছেন। কিন্তু তাঁকে শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করতে দেওয়া হয়নি, একের পর এক দুর্নীতি হয়েছে শিকারপুর অঞ্চলে। আর যার কারণে সোমবার তিনি তৃণমূল দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলে দাবি করেন।

    মেটেলি বাজার এলাকায় তৃণমূলে ভাঙন

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে মেটেলি বাজার এলাকায় তৃণমূলে ভাঙন। বিজেপিতে যোগ দিলেন মেটেলি (Jalpaiguri) বাজারের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সহ একাধিক তৃণমূল নেতা। মেটেলি বাজার হাটখোলায় ওই যোগদান সভা হয়। মেটেলি বাজারের শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য বিজয় মাহাতো, ইনডং মাটিয়ালি অঞ্চলের তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি মনোজ মন্ডল, তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা রাজেন লোহার সহ একাধিক তৃণমূল নেতা এদিন বিজেপির ঝান্ডা হাতে তুলে নেন বলে জানা গেছে।

    খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বিবেকানন্দ পল্লিতে শতাধিক ‘ঘর ওয়াপসি’

    জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বিবেকানন্দ পল্লি এলাকার বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্যা অঞ্জলি সরকার, তাঁর স্বামী প্রশান্ত সরকার সহ শতাধিক মানুষ বিজেপিতে ফিরলেন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন অঞ্জলি সরকার। পরে তিনি ও তাঁর স্বামী তৃণমূলে যোগ দেন। অভিযোগ, চাপ দিয়ে তাঁদের তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছিল। আজ সেই চাপ দূরে সরিয়ে রেখে অনুগামীদের নিয়ে ঘর ওয়াপসি করলেন তাঁরা। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে স্বাগত জানান বিজেপি নেতা সৌজিৎ সিংহ, জীবেশ দাস, অলীক দত্ত। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই অভূতপূর্ব যোগদানে এই জেলা থেকে তৃণমূল নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb: ফোনে ফোনে দেওয়া হচ্ছে বোমার অর্ডার! দুটি গাড়ির চালক সহ আটক ৮

    Bomb: ফোনে ফোনে দেওয়া হচ্ছে বোমার অর্ডার! দুটি গাড়ির চালক সহ আটক ৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার মধ্যেই ব্যাগ ভর্তি বোমা (Bomb) সহ দুটি গাড়িকে আটক করল বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার পুলিশ। পাটরাইয়ের দিক থেকে বাঁকুড়ার ইন্দাসে যাওয়ার পথে বাঁধেরপাড় এলাকায় গাড়ি দুটিকে আটক করে তল্লাশি করতেই ব্যাগ ভর্তি বোমার হদিশ পায় পুলিশ।

    কতজনকে আটক করল পুলিশ?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মনোনয়নে গন্ডগোল পাকাতে ইন্দাসে গাড়িতে করে বোমা (Bomb) আনা হতে পারে, এমন খবর মঙ্গলবার রাতেই পুলিশের কাছে পৌঁছায়। এর পরই সতর্ক করা হয় ইন্দাস থানার সবকটি নাকা পয়েন্টকে। বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার আশপাশে দুটি গাড়ি পাটরাইয়ের দিক থেকে ইন্দাসের দিকে যেতে দেখে সেগুলিকে থামিয়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। সেই সময়ই গাড়ি দুটির একটির মধ্যে থেকে এক ব্যাগ ভর্তি সুতলি বোমা উদ্ধার হয়। এর পর গাড়ি দুটিকে আটক করে ইন্দাস থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। আটক করা হয় দুই চালক সহ দুটি গাড়িতে থাকা আটজনকে।

    বোমা (Bomb) উদ্ধার নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খান বলেন, ফোনে ফোনে বরাত পেয়ে বোমাগুলি (Bomb)  ইন্দাসে আনা হচ্ছিল। কে বা কারা এবং কেন এই বোমার বরাত দিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুজনের নাম আমরা জানতে পেরেছি। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। এই চক্রে কারা জড়িত রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

    বোমা (Bomb) উদ্ধার নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    ইন্দাসের বিজেপি বিধায়ক নির্মলকুমার ধাড়া বলেন, গাড়িগুলিতে করে বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে ইন্দাসের বিডিও অফিসে যাচ্ছিলেন। সেই সময় চক্রান্ত করে তৃণমূল গাড়িগুলিকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। গাড়িগুলিতে বোমা (Bomb) রেখে উদ্ধারের নাটক করা হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্ব এই ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছে। ইন্দাস ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শেখ হামিদ বলেন, যে ফেঁসে যায়, সে-ই ফাঁসানোর গল্প বলে। নাকা চেকিংয়ের সময় পুলিশ পেয়েছে। ফলে, আমাদের বিরুদ্ধে ফাঁসানোর অভিযোগ এনে কোনও লাভ নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share