Tag: bjp

bjp

  • Panchayat Election: আরাবুল-পুত্রের গাড়িতে বোমা উদ্ধার! ‘বাপ কা বেটা’ বলে খোঁচা সুকান্তর

    Panchayat Election: আরাবুল-পুত্রের গাড়িতে বোমা উদ্ধার! ‘বাপ কা বেটা’ বলে খোঁচা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) মনোনয়ন ঘিরে মঙ্গলবারই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ভাঙড়। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা ছুড়তে থাকে শাসকদলের গুন্ডা বাহিনী, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। এদিনই তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিমুল ইসলামের গাড়ির ড্যাশ বোর্ড থেকে বোমা উদ্ধার হয়। যা নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। 

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত শুভেন্দুর

    কী বললেন সুকান্ত?

    আরাবুলের ছেলের নাম না করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কটাক্ষ, ‘‘বাপ কা বেটা সিপাহি কা ঘোড়া, কুছ নেহি তো থোড়া থোড়া!’’ সুকান্ত মজুমদার এদিন আরও বলেন, ‘‘কলেজের অধ্যাপিকাকে যখন জগ ছুড়ে মেরেছিল, তখনই তো পুলিশ আরাবুলকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশের সেই সাহস নেই। যতদিন তৃণমূল ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন লাফালাফি করবে। তৃণমূল ক্ষমতাচ্যুত হলে ইঁদুরের গর্তে ঢুকে পড়বে।’’ এদিন ভাঙড়ের অশান্তি প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘শওকত মোল্লা গোটা ভাঙড় নিয়ন্ত্রণ করে। আমরা আগেই বলেছিলাম পুলিশকে দিয়ে ভোট হবে না। তার কারণ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ গুলি চালাতে পারে না। সেজন্য তাদের কেউ ভয় পায় না। বোমা মারছে তাদের লক্ষ্য করে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বন্দুকের নলে মাকড়সার জাল বিছিয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে কারও ক্ষমতা ছিল না বোমাবাজি করার।’’

    ক্যানিং-এর অশান্তি নিয়ে কী বললেন বালুরঘাটের সাংসদ?

    ক্যানিংয়ের অশান্তি নিয়েও এদিন সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘ক্যানিংয়ে এদিন দলীয় নেতৃত্ব প্রার্থীদের সঙ্গে মনোনয়ন কর্মসূচিতে গেলে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী আচমকা হামলা চালায়। সজল ঘোষ, প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল সহ অনেকেই হামলায় জখম হয়েছেন। এটা নির্বাচনের নামে প্রহসন হচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই বিজেপি প্রার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ক্যানিং-এ। বিজেপির মহিলা প্রার্থী সহ বেশ কয়েকজন জখম হন তৃণমূলের হামলায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত শুভেন্দুর

    Panchayat Election: কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম কোনও পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। রাজ্যে বেড়ে চলা রাজনৈতিক হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের এই রায় তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। পঞ্চায়েত মামলায় হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট

    রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) করানোর পক্ষে মঙ্গলবারই রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ, ‘‘আপাতত স্পর্শকাতর জেলায় মোতায়েন করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাকি যে জেলাগুলিতে পর্যাপ্ত রাজ্য পুলিশ থাকবে না, সেই জেলাগুলিতেও মোতায়েন করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সব বুথে লাগাতে হবে সিসিটিভি, না হলে ডিভিয়োগ্রাফি করতে হবে।’’

    আরও পড়ুন: “টাকার বিনিময়ে চাকরির কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে”, নাম না করে মমতাকে নিশানা মোদির

    নির্দেশ নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? 

    মঙ্গলবারই রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, ডায়মন্ডহারবারের পুলিশ সুপার বিজেপি প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি সন্ত্রাস চালানোর নিদান দিয়েছেন জেলার সব আইসি-দের।‘‘ এদিনের রায় পুলিশের প্রতি হাইকোর্টের অনাস্থা’’ এমনটাই বলেন শুভেন্দু। তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘ডিভিশন বেঞ্চ যে রায় দিয়েছে, তাতে একশো শতাংশ বা আমাদের সবগুলি পয়েন্ট হয়তো বিবেচনা করতে পারেনি। কিন্তু কম-বেশি হিংসামুক্ত নির্বাচনের জন্য় তাদের মানসিকতা অর্ডারে প্রকাশ পেয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চের কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। তারা তো আইনকে লঙ্খন করতে পারে না।’’

    চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ভোটের কাজে লাগানো নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    এদিন বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘আমরা চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ভোটের (Panchayat Election) কাজে যাতে না লাগানো হয়, সেই দাবি জানিয়েছিলাম। কারণ চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেশিরভাগই তৃণমূল কর্মী। গত ১২ বছর ধরে রাজ্যে কোনও নিয়োগ হয়নি।’’

    আরও পড়ুন: রণক্ষেত্র ভাঙড়, ব্যাপক বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ আইএসএফ কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • UP News: গাড়ির মধ্যে মোদির প্রশংসা! উত্তরপ্রদেশে হিন্দু প্রৌঢ়কে পিষে দিল মুসলিম চালক

    UP News: গাড়ির মধ্যে মোদির প্রশংসা! উত্তরপ্রদেশে হিন্দু প্রৌঢ়কে পিষে দিল মুসলিম চালক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপরাধ ছিল মোদি-যোগীর কাজের প্রশংসা। তার মূল্য যে এভাবে চোকাতে হবে তা ভাবেননি উত্তরপ্রদেশের রাজেশধর দুবে (৫৯)। তাঁকে পিষে দিল বোলেরো চালক আমজাদ। নিজের বন্ধুর সঙ্গে একটি ভাড়া গাড়িতে উঠেছিলেন উত্তরপ্রদেশের (UP News) মির্জাপুরের বাসিন্দা রাজেশ। গাড়ির মধ্যে মোদিকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করাই কাল হয়ে দাঁড়ায় তাঁর জীবনে। মুসলিম গাড়িচালক নৃশংসভাবে হত্যা করেন রাজেশধরকে। ঘটনার ছ’ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত চালককে গ্রেফতার করেছে যোগী পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    জানা গিয়েছে, মির্জাপুরের (UP News) বিন্ধ্যাচল থানা এলাকার কোলহানি গ্রামে রবিবার সন্ধ্যায় নিজের ভাগ্নের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন রাজেশধর দুবে। বিয়ের অনুষ্ঠান পর্ব সম্পন্ন হলে সোমবার সকালে বাড়ি ফেরার উদ্দেশে রাজেশধর তাঁর দুই আত্মীয় লালজি মিশ্র এবং ধীরেন্দ্র কুমার পাণ্ডের সঙ্গে বাড়ি ফেরার জন্য একটি ভাড়া গাড়িতে ওঠেন। বোলেরো গাড়িটিতে ওঠার পর থেকেই শুরু হয় রাজনৈতিক আলোচনা। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের আমজাদ। গাড়িতে হাজির থাকা রাজেশের ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন, রাজনৈতিক আলোচনা ধীরে ধীরে তর্কবিতর্কে গড়ায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রসঙ্গ উঠতেই বাদানুবাদ উত্তপ্ত হতে থাকে। একটা সময় রাজেশধর দুবে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা শুরু করেন মোদি-যোগীর। আর এতেই বেজায় চটে যান আমজাদ। এরপর বাকি আত্মীয়দের বাড়ির কাছে নামিয়ে দিলেও রাজেশকে তাঁর ঠিকানা থেকে বেশ কিছুটা দূরে নামায় আমজাদ। রাজেশ বাড়ির উদ্দেশে হাঁটতে শুরু করলে তাঁকে ধাক্কা মারে আমজাদ। প্রায় ২০ মিটার পর্যন্ত রাজেশধরকে পিষে দিয়েই এগিয়ে যায় আমজাদের বোলেরো। এরপরই ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় সে।   

    কীভাবে গ্রেফতার করা হল আমজাদকে?

    ঘটনায় আত্মীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে যোগী রাজ্যের পুলিশ। ছ’ঘণ্টার মধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজ এবং আত্মীয়দের দেওয়া চালকের মুখের বর্ণনা থেকে তাঁকে পাকড়াও করতে সক্ষম হয় তদন্তকারী অফিসাররা। ইতিমধ্যেই হেফাজতে নেওয়া হয়েছে আমজাদকে।

     

    আরও পড়ুন: ৭ জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: রণক্ষেত্র ভাঙড়, ব্যাপক বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ আইএসএফ কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Panchayat Election: রণক্ষেত্র ভাঙড়, ব্যাপক বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ আইএসএফ কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। ভাঙড়-২ নম্বর ব্লকের বিজয়গঞ্জ বাজারে আইএসএফ কর্মীদের রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিডিও অফিসের কাছে  পুলিশের সামনেই মুড়ি মুড়কির মতো বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। গুলিও চালানো হয় বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হন এক আইএসএফ কর্মী। তৃণমূলীদের হামলায় বেশ কয়েকজন আইএসএফ কর্মী জখম হন। পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটান। অন্যদিকে, এদিন ক্যানিং-১ নম্বর ব্লকেও মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। তৃণমূলীদের তাণ্ডবে রক্ত ঝরল বিজেপি প্রার্থীদের। বিডিও অফিসের ভিতরে পুলিশের সামনেই বিজেপি প্রার্থীদের বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলীদের বাধায় বিজেপি প্রার্থীরা কেউ মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি (BJP) নেত্রী?

    আক্রান্ত দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল, সজল ঘোষ সহ একাধিক নেতৃত্ব। বিডিও অফিসে  জমায়েত হওয়ার পরই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল বলেন, তৃণমূল এখানে পুলিশের সামনেই তাণ্ডব চালাল। কাউকে ওরা মনোনয়ন জমা দিতে দিল না। এখানে আমরা আর মনোনয়ন জমা দেব না। বিরোধীদের কাউকে মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি। তাই, এখানকার নির্বাচন (Panchayat Election) বাতিল করার জন্য প্রশাসনকে বলব। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ রক্তাক্ত এক বিজেপি প্রার্থীকে দেখিয়ে বলেন, দলীয় প্রার্থীর অবস্থা দেখুন। ভাইপো (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) গণতন্ত্রের কথা বলেছিলেন না, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছে।

    কী বললেন আইএসএফ কর্মীরা?

    আইএসএফ কর্মী নাসির আলি মোল্লা বলেন, দলীয় প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election)  মনোনয়ন জমা দিতে  আমরা বিডিও অফিসের দিকে যাচ্ছিলাম। পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে তৃণমূলের। ওই চোরগুলো কুকুরের মতো করে বিডিও অফিসের রাস্তার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে যেতেই ওরা আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। লাঠি, লোহার রড দিয়ে পেটানোর পাশাপাশি বোমাবাজি করে গুলিও চালায়। আমাদের বহু কর্মী জখম হয়েছে। একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, এদিন অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচি রয়েছে। সেটা বানচাল করতেই আইএসএফ দুষ্কৃতীদের জমায়েত করে এই তাণ্ডব চালিয়েছে। এখন আমাদের নামে মিথ্যা অফিযোগ করছে। নির্বাচনে (Panchayat Election) মানুষ ওদের যোগ্য জবাব দেবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: প্রার্থীর বাড়ি গিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ দিচ্ছে পুলিশ! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: প্রার্থীর বাড়ি গিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ দিচ্ছে পুলিশ! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিজেপি কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মনোনয়ন না করা বা প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়ে হুমকি প্রদান করতে বলেছেন খোদ ডায়মন্ডহারবারের এসপি, এমনই দাবি বিরোধী দলনেতার। ক্যামেরার সামনে কিছু করতে নিষেধ করা হয়েছে, তবে সমস্ত আইসি ও ওসিদের এমন নির্দেশ দিয়েছেন জেলার এসপি, একথা জানান নন্দীগ্রামের বিধায়ক। প্রসঙ্গত, ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ, বসিরহাট পুলিশ জেলার এসপি সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জের পুলিশকে শাহজাহানের কথায় চলতে বলেছে। 

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    জেলায় জেলায় মনোনয়ন ঘিরে অশান্তি চলছেই। মঙ্গলবার দুপুর থেকেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ভাঙড়। ক্যানিং-এ বিজেপির মহিলা কর্মীদেরও মারধর করে তৃণমূলের বাহিনী। গত চারদিন ধরে এটাই সার্বিক চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলার। ইতিমধ্যে রাজভবন ও আদালতের জোড়া নজরে কারণ না দেখালে কোনও প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার নয় বলে ঘোষণা করেছে কমিশন। জেলায় জেলায় মনোনয়ন ঘিরে যে ভাবে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে, তার মধ্য়েই এই নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের। এনিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘আগে মনোনয়ন জমা পড়লে তার পরে তো প্রত্যাহার নিয়ে কথা ওঠে।’’ পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘ডায়মন্ডহারবারের এসপি, জেলার সমস্ত ওসি-আইসিদের মিটিং করে বলেছেন, ক্যামেরার সামনে যেন কিছু না হয়। তবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মনোনয়ন যাতে জমা না পড়ে বা মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হয়, তা সুনিশ্চিত করতে হবে।’’

    বসিরহাটের পুলিশ সুপার শাহজাহানকে সন্ত্রাসের ছাড়পত্র দিয়েছেন, দাবি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক এদিন বলেন, ‘‘’ভাইপো’-র কাছে টিকে থাকতেই এমন নির্দেশ দিয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের এসপি।’’ পাশাপাশি বসিরহাট পুলিশ জেলার এসপি, জন টমাসের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। তাঁর কথায়, ‘‘তিনি সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জে শাহজাহানের কথায় পুলিশকে চলতে বলেছেন। শাহজাহানকে বলেছেন, তুমি রাতে মারো। সেই জন্যই ন্যাজাটে, গতকাল রাতে আমাদের দলীয় দফতর পোড়ানো হয়েছে।’’

    আদালতে দারস্থ হওয়ার কথা বলেছেন শুভেন্দু

    এমন পক্ষপাত আচরণ যে রেয়াত করা হবেনা তা বুঝিয়ে দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘‘এমন শিক্ষা দেব, আপনারা দেখতে থাকুন। আমরা মহামান্য প্রধান বিচারপতির আগামীকালের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছি। এটা গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই…।’’

    আরও পড়ুন: রাজ্যপাল নিযুক্ত অন্তবর্তীকালীন উপাচার্যদের বেতন ও ভাতা বন্ধের নির্দেশ রাজ্যের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election:  উপযুক্ত কারণ না দেখালে মনোনয়ন প্রত্যাহার নয়! ঘোষণা কমিশনের

    Panchayat Election: উপযুক্ত কারণ না দেখালে মনোনয়ন প্রত্যাহার নয়! ঘোষণা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী মাসের ৮ তারিখ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শুরু হয়েছে মনোনয়ন পর্ব। তানিয়েও বিস্তর অভিযোগ বিরোধীদের। কোথাও প্রশাসনিক কর্তারা বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন কোথাও বা সন্ত্রাস করছে শাসক দল। কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেছে। এবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর তা নিয়ে এল বিশেষ নিয়ম। কমিশন জানিয়েছে, যদি ২০২৩ পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হিসাবে কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে চান, তাহলে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে হবে। সোমবার কমিশনের তরফে এমনই নির্দেশ এসেছে রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসকদের কাছে। প্রশাসনিক কর্তারা প্রথমে দেখে নেবেন, যিনি আবেদন প্রত্যাহার করতে এসেছেন তিনি আসল প্রার্থী কিনা! 

    আরও পড়ুন: বারাকপুরে মনোনয়নে এগিয়ে বিজেপি, এখনও প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে পারল না তৃণমূল

    বিরোধীদের চাপেই কি কমিশনের এমন সিদ্ধান্ত?

    ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, বিরোধীদের লাগাতার চাপের ফলেই কমিশন এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। রাজভবন থেকে আদালত প্রতিটি সংস্তাই এখন কড়া নজর রাখছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে। নজর দিচ্ছে মানবাধিকার কমিশনও। তাই রাজ্য নির্বাচন কমিশন অনেকটা বাধ্য হয়েই এমন সিদ্ধান্তগুলি নিচ্ছে, মত বিরোধী রাজনৈতিক মহলের একাংশের। ১৪৪ ধারা লাগু করার পরেও রোখা যায়নি রাজনৈতিক সন্ত্রাস। সোমবারই রাজ্যের একাধিক জায়গা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মনোনয়ন ঘিরে। বাঁকুড়ার সোনামুখীতে মাথা ফাটে বিজেপি বিধায়কের। 

    হাইকোর্টে বিজেপি

    পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) শাসকদলকে একতরফা সুবিধা দিতেই সর্বদলীয় বৈঠক না ডেকে নির্বাচন ঘোষণা করেছে কমিশন, এমন অভিযোগ বিজেপি গত কয়েকদিন ধরেই করে আসছে। ইতিমধ্যে মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানো সহ একাধিক দাবিতে হাইকোর্টের দারস্থও হয়েছে বিজেপি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সোমবার হাইকোর্ট জিজ্ঞেস করে, ‘‘আইনে কি কোথাও বলা আছে মনোনয়নের জন্য ৭ দিনের সময়সীমার কথা?’’ এর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের উত্তর, ‘‘ না সেরকম কোনও আইন নেই।’’ তখনই রাজ্য নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টে জানাল, ১৬ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বাড়াতে প্রস্তুত তারা।

    আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ে জেরবার রাজ্যবাসী! আচমকা বিদ্যুৎ ভবনে ‘হানা’ শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বারাকপুরে মনোনয়নে এগিয়ে বিজেপি, এখনও প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে পারল না তৃণমূল

    BJP: বারাকপুরে মনোনয়নে এগিয়ে বিজেপি, এখনও প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে পারল না তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে কে প্রার্থী হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। যার জেরে বারাকপুর মহকুমার দুটি ব্লকের একটি আসনেও এখনও প্রার্থী দিতে পারল না তৃণমূল। বিজেপি (BJP) থেকে অনেকটাই ব্যাকফুটে রয়েছে তৃণমূল। এখনও দলের নীচুতলার কর্মীরা কার হয়ে প্রচার করবে তা বুঝতে পারছেন না। ফলে, দলের অন্দরে এই বিষয় নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কবে, শাসক দলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা করবেন তা নিয়ে জল্পনা চলছে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    তৃণমূল একটি আসনেও প্রার্থী দিতে না পারলেও বিজেপি অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। বিজেপির (BJP) বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রথম দিন থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৪০ শতাংশ আসনে আমরা প্রার্থী দিয়ে দিয়েছি। আসলে তৃণমূল এখনও প্রার্থী ঠিক করতে পারেনি। দলের মধ্যেই কোন্দল চলছে।” জানা গিয়েছে, ব্যারাকপুর-১ ব্লকে বিজেপি সহ বিরোধীরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শুরু করেছেন। কিন্তু, সেখানে মাত্র একটি ডিসিআর কাউন্টার রয়েছে। ফলে, প্রার্থীদের চরম নাকাল হতে হচ্ছে। বিরোধী প্রার্থীদের বক্তব্য, ডিসিআরের কাউন্টারের সংখ্যা না বাড়ানোর কারণে মনোনয়ন জমা দিতে দেরি হচ্ছে। শাসক দলের নির্দেশে প্রশাসন এসব করছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায় সহ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক নির্মল ঘোষ সহ একাধিক জেলা নেতৃত্ব বৈঠকে বসেন। প্রার্থী নিয়ে আলোচনা হয়। জানা গিয়েছে, বারাকপুর-১ এবং বারাকপুর-২ ব্লকে মোট ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। এক একটি বুথের জন্য জেলা নেতৃত্বের কাছে একাধিক নাম জমা পড়েছিল। সেই তালিকা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে, সেখান থেকে কোনও সবুজ সংকেত না আসায় জেলা নেতৃত্ব প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে পারেনি। ফলে, মনোনয়ন জমা দেওয়ার তৃতীয় দিনেও তৃণমূলের কোনও প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা করতে পারল না। বিলকান্দা-১ পঞ্চায়েত এলাকার এক তৃণমূল কর্মী বলেন, বহুদিন ধরেই প্রার্থী তালিকা নিয়ে প্রস্তুতি চলছে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়ও শেষ হতে চলল। কবে, প্রার্থী চূড়ান্ত করবে আমরা বুঝতে পারছি না। এলাকায় প্রচারও করতে পারছি না। এই বিষয়ে জেলা নেতৃত্বের উদ্যোগ গ্রহণ করার দরকার। তৃণমূলের বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায় বলেন, “প্রার্থী তালিকা তৈরি রয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো রয়েছে। সেখান থেকে সবুজ সংকেত মিললেই আমরা তালিকা ঘোষণা করব। এক বা দুদিনের মধ্যেই সমস্ত কিছু হয়ে যাবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ব্লকে ব্লকে মনোনয়ন করালেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ব্লকে ব্লকে মনোনয়ন করালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হতেই সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুর  জেলার বিভিন্ন বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দেওয়ার তদারকি করতে দেখা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar)। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন ব্লকের বিডিও অফিসে বিজেপির প্রার্থীদের সঙ্গে করে মনোনয়ন জমা করাতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। 

    এনিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এনিয়ে বলেন, ‘‘দক্ষিণ দিনাজপুরে আমরা যথেষ্ট শক্তিশালী অন্য দল যদি মনে করে আমাদের মনোনয়নে বাধা দেবে তাহলে তার ব্যবস্থা আমরা করবো। নমিনেশনের সময় আমি নিজেও হাজির থাকছি। আমি এখন তপন বিডিও অফিসে নমিনেশন জমা করলাম এরপর গঙ্গারামপুর বিডিও অফিসে যাবো। আমরা গিয়ে দেখবো সেখানে কত বড়ো বড়ো গুন্ডা আছে।’’  গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে সন্ত্রাসের কথাও এদিন শোনা যায় বালুরঘাটের সাংসদের মুখে। রবিবার সন্ধ্যায় বালুরঘাট শহরে সান্ধ্য ভ্রমণে দেখা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। 

    রবিবার সন্ধ্যায় বালুরঘাটে জনসংযোগ সারেন সাংসদ

    শেষ কবে সন্ধ্যাবেলায় পায়ে হেঁটে নিজের শহরে ঘুরেছেন তা মনে নেই বিজেপির রাজ্য সভাপতির। তাই নিজ বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি চলে আসেন বালুরঘাট থানা মোড়ে। সেখানে একটি চায়ের দোকানে জমিয়ে আড্ডা দেন ও পরিচিতদের খোঁজ খবর নেন তিনি। সাংগঠনিক কাজে মাসের বেশির ভাগ সময়ই তাঁকে বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। পাড়ার দোকানে চা খান। তার পর পায়ে হেঁটে এলাকা ঘোরেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার । এ বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ‘‘আমি কলকাতা থেকে বালুরঘাটে আমার বাড়িতে এসেছি। আজ রবিবার সন্ধ্যায় কোনও দলীয় কর্মসূচি নেই তাই আমি হেঁটে বেরিয়েছি। বহু দিন পর সময় পেয়েছি। তাই হাঁটতে শুরু করলাম। আমার এলাকার স্থানীয় মানুষ অনেকের সঙ্গে দেখা হল। তাঁদেরও খোঁজ খবর নিলাম।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • TMC: ” চোর চোর বলে ডাকে”, ডাকযোগে বার্তা পাঠিয়ে তৃণমূল ছাড়লেন ৪ জন পঞ্চায়েত সদস্য

    TMC: ” চোর চোর বলে ডাকে”, ডাকযোগে বার্তা পাঠিয়ে তৃণমূল ছাড়লেন ৪ জন পঞ্চায়েত সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাস্তায় বের হলে চোর চোর বলে ডাকে। চায়ের দোকানে, বাজারেও গেলেও কথা শুনতে হয়। নেতৃত্ব দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।” শাসকদল সম্পর্কে এমনই মন্তব্য করলেন উত্তর দিনাজপুর রায়গঞ্জ ব্লকের ৪ নম্বর বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (TMC) চারজন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য। অভিমানে তাঁরা তৃণমূল ছাড়লেন। সোমবার  অভিনব কায়দায় তাঁরা তৃণমূল দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সমস্তরকম সম্পর্ক ত্যাগ করার পাশাপাশি তাঁদের কাছে থাকা দলের সমস্ত ফ্ল্যাগ,ফেস্টুন তাঁরা ডাকযোগে দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কাছে পাঠিয়ে দেন। তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করলেও তারা অন্য রাজনৈতিক দলে যোগদান করছেন না বলে জানিয়েছেন। তবে ওই পঞ্চায়েতে নির্দল হিসেবে নির্বাচনে লড়াই করার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল অবশ্য তাদের দলে থেকে যাবার ব্যাপারে বোঝানো হবে বলে জানিয়েছেন।

    কী বললেন দলত্যাগী পঞ্চায়েত সদস্যরা?

    জানা গিয়েছে, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রায়গঞ্জ ব্লকের বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস ৭ টিতে জয়ী হয়েছিল। পরবর্তীতে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মনসুর আলির উদ্যোগে কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করে। মনসুর আলির স্ত্রী লায়লা খাতুন ওই পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন। তার বছরখানেক পর তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ তছরুপ করার অভিযোগ ওঠার পর দলীয় সিদ্ধান্তে তাঁকে ওই প্রধান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রধান ও তাঁর কয়েকজন অনুগামী পঞ্চায়েত সদস্যের দূরত্ব বাড়তে থাকে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান চারজন সদস্য লায়লা খাতুন, মলয় সরকার, রুপো জালি ও উৎপলা বর্মন  প্রচুর সংখ্যক দলীয় কর্মী সমর্থক নিয়ে রায়গঞ্জের মুখ্য ডাকঘরে এসে তাদের কাছে থাকা দলীয় পতাকা, ফেস্টুন  খামে ভরে উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়ালার ঠিকানায় পাঠিয়ে দেন। দলত্যাগী পঞ্চায়েত সদস্যরা বলেন, আমরা একনিষ্ঠ দলীয় কর্মী হওয়া সত্ত্বেও বেশ কিছুদিন ধরে দলীয় নেতৃত্ব আমাদের প্রাপ্য  সম্মান দিচ্ছে না। এলাকার কোনও উন্নয়নমূলক কাজে আমাদের সিদ্ধান্তের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না। পঞ্চায়েতে একাধিক দুর্নীতি নিয়ে আমরা দলীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানালেও তা আমল দেওয়া হয়নি।এর প্রতিবাদেই আমরা এদিন দলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলাম। দলত্যাগী এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মনসুর আলি জানিয়েছেন,” পাড়ায়, গ্রামে, চা এর দোকানে তাদের প্রতিনিয়ত “চোর ” বলে সম্বোধন করা হয়। নেতৃত্বকে বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হয় নি। এলাকার দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভেই আমরা এদিন দলত্যাগ করেছি।তবে দলের প্রতীক ও পতাকার প্রতি আমাদের সন্মান রয়েছে।এগুলো যত্রতত্র পড়ে থাকার থেকে ফ্ল্যাগ,ফেস্টুনগুলির যাতে অবমাননা না হয়, সেই কারনেই আমরা সেগুলো ডাকযোগে এদিন জেলা সভাপতির কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি?

    তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ” ছোটখাটো মানঅভিমান থাকলে তা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া যায়। আমি তাদের দলত্যাগ না করারই কথা বলবো। তবে দলীয় পতাকার অবমাননা না হওয়ার জন্য তাঁরা যে ফেরত পাঠিয়েছে, এটা প্রশংসার। “

    তৃণমূলে (TMC) ভাঙন ধরাল বিজেপি

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে রায়গঞ্জ ব্লকের ৬ নম্বর রামপুর অঞ্চলে তৃণমূলে ভাঙন ধরাল বিজেপি। সোমবার এই পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মলয় সরকার সহ একাধিক তৃণমূল কর্মী সমর্থক যোগ দিলেন বিজেপিতে। এদিন জেলা বিজেপির কার্যালয়ে মলয় বাবু প্রায় ৩০০ জন অনুগামী নিয়ে দলবদল করলেন। সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারি মলয় সরকার বলেন, তৃণমূল দলে ক্রমশ দুর্নীতি বেড়ে চলেছে। এই পঞ্চায়েতের অধীনেও প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে। সেই দুর্নীতি মুক্ত করে স্বচ্ছ পঞ্চায়েত গড়তেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। এই যোগদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ, উত্তর দিনাজপুর জেলার জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মনোনয়ন শুরু হতেই ভাঙন তৃণমূলে! বিজেপিতে যোগ দিলেন সংখ্যালঘু নেতা

    BJP: মনোনয়ন শুরু হতেই ভাঙন তৃণমূলে! বিজেপিতে যোগ দিলেন সংখ্যালঘু নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব শুরু হতেই ভাঙন শাসক দলে। রবিবার মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করল বেশ কিছু পরিবার। এরা প্রত্যেকেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বলেই জানা গেছে। বিজেপি (BJP) এতদিন বলে এসেছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে শুধু ভোটার হিসেবেই ব্যবহার করেছে তৃণমূল। এদিন এই কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল যোগদানকারীদের কণ্ঠেও।

    জুখিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে থেকে হয় এই যোগদান কর্মসূচি

    জেলার ভগবানপুর-২ ব্লকের জুখিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগদান করলেন জুখিয়া অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি শেখ রমজান আলি। তাঁর সঙ্গে আরও বেশ কিছু পরিবার এদিন হাজির ছিল যোগদান কর্মসূচিতে। তাঁদের হাতে বিজেপির দলীয় পতাকা তুলে দেন ভগবানপুর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি। তৃণমূল ছেড়ে সংখ্যালঘু মানুষজনের বিজেপিতে যোগদানের মাধ্যমে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে কিছুটা হলেও চমক দিল বিজেপি। যদিও এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র হোম ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে”, আক্রমণ শুভেন্দুর

    কী বললেন যোগদানকারী তৃণমূল নেতা?

    এদিন শেখ রমজান বলেন, ‘‘১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল দল করতাম। কিন্তু দলটাতে আজ আর দুর্নীতি ছাড়া কিছু অবশিষ্ট নেই।’’ রাজনৈতিক সন্ত্রাস নিয়েও এদিন রমজান সরব হন তাঁর পুরনো দলের বিরুদ্ধে। তাঁর মতে, ‘‘গরিব মানুষদের ওপর তৃণমূল যে সন্ত্রাস করেছে তা এর আগে কখনও দেখা যায়নি। এই জেলায় একাধিক গরিব মানুষের বাড়ি লুঠ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করেছে তৃণমূল। বিজেপিই একমাত্র মানুষের কথা ভাবে। বিজেপিতে থেকে সাধারণ মানুষের কাজ করব।’’

    কী বললেন এলাকার বিজেপি (BJP) বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি?

    রবীন্দ্রনাথ মাইতি এদিন বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘুদের শুধু ভোটার হিসেবেই দেখেন। রাজ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কোনও উন্নয়ন হয়নি।’’

    আরও পড়ুুন: পাহাড়়ে চাপে তৃণমূল! পঞ্চায়েতে মহাজোটের পথে বিজেপি

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share