Tag: bjp

bjp

  • Yogi Adityanath: সড়ক আটকে করা যাবেনা ধর্মীয় অনুষ্ঠান! ইদের আগে নির্দেশ যোগী সরকারের

    Yogi Adityanath: সড়ক আটকে করা যাবেনা ধর্মীয় অনুষ্ঠান! ইদের আগে নির্দেশ যোগী সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সড়ক আটকে কিংবা সাধারণ মানুষের চলাফেরায় অসুবিধা করে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা যাবে না উত্তরপ্রদেশে। বুধবার এই নির্দেশিকা জারি করল উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার (Yogi Adityanath)। দু’দিন পরেই ইদ, তার আগে যোগী সরকারের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। পাশাপাশি ইদ এবং অক্ষয় তৃতীয়ার আগে যোগী সরকারের (Yogi Adityanath) সিদ্ধান্ত, অশান্তি এড়াতে ধর্মীয় স্থান এবং সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হবে।

    আরও পড়ুন: টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের পদ বিক্রি! নাম জড়াল বিধায়ক সোহমের আপ্ত সহায়কের

    স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর

    উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রসচিব সঞ্জয় প্রসাদ এবং পুলিশের ডিজি আরকে বিশ্বকর্মা এদিন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে জেলা স্তরের পুলিশ এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘‘কোনও অবস্থাতেই রাস্তা আটকে বা যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং শোভাযাত্রা করা যাবে না। উপাসনাস্থল বা নির্ধারিত জায়গাতেই অনুষ্ঠান সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।’’

    আরও পড়ুন: মিশনারিদের বিরুদ্ধে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ! পৃথিবীর মধ্যে দ্রুত খ্রিস্টান জনসংখ্যা বাড়ছে নেপালে

    সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে কী বলা হল

    সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘‘যে কোনও ধর্মীয় শোভাযাত্রার জন্য পুলিশ-প্রশাসনের অনুমতি বাধ্যতামূলক। কেবল মাত্র ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় শোভাযাত্রাগুলিকেই অনুমতি দেওয়া হবে।’’ প্রসঙ্গত, গত শনিবার প্রয়াগরাজে মেডিক্যাল করাতে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের হেফাজতে মাফিয়া আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই খুন হন, এরপর পরই রাজ্য জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন উত্তরপ্রদেশ সরকার। উৎসবের মরসুমে বিষয়টি নিয়ে যাতে নতুন করে অশান্তি ছড়াতে না পারে, তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল।

    আরও পড়ুন: আজও চলবে তাপপ্রবাহ! বৃষ্টি শুরু হচ্ছে কবে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘অপেক্ষা করুন, সব ফাঁস করব’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘অপেক্ষা করুন, সব ফাঁস করব’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে ফোন করার জন্য আপনি একটি ল্যান্ডলাইন ব্যবহার করেছেন। অপেক্ষা করুন। সঠিক সময়ে সব ফাঁস করব। আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) আমার উপযুক্ত উত্তরের জন্য অপেক্ষা করুন। বুধবার ট্যুইট-বার্তায় এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় দলের তকমা হারানোর পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সিঙ্গুরের সভা থেকে এই মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নিশানা…

    এর প্রেক্ষিতেই তৃণমূল সুপ্রিমোর পাল্টা দাবি, প্রমাণ করে দেখাতে পারলে মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেবেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পরেই ট্যুইট-বাণ নিক্ষেপ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ইয়ে ডর মুঝে আচ্ছা লাগা। আপনি আমার জন্য কিম্ভূত, কিমাকার শব্দ ব্যবহার করেছেন। এটা লজ্জাজনক। এর আগে আপনি এরকমই অবমাননাকর শব্দ বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রীকেও। এর পরেই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, দিল্লিতে ফোন করার জন্য আপনি একটি ল্যান্ডলাইন ব্যবহার করেছেন। অপেক্ষা করুন। সঠিক সময়ে সব ফাঁস করব। আগামিকাল আমার উপযুক্ত উত্তরের জন্য অপেক্ষা করুন।

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, আপনি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, মালদা, মেদিনীপুরের কথা বারবার বলতে থাকেন কেন জানেন? কারণ অবচেতনে আপনি ঠিকই জানেন, ২০১১ সালে আপনি ক্ষমতায় এসেছিলেন, কারণ আমি তখন ওই জেলাগুলোর দায়িত্বে ছিলাম। আপনার মূল্যহীন ভাইপো তখন কোথাও ছিল না। ২০১১ সালের জুলাইয়ের পরে তাঁর প্রবেশ।

    আরও পড়ুুন: ‘কোনওদিন তৃণমূলে ছিলাম না, ইস্তফা দেওয়ার প্রশ্নই নেই’, বললেন মুকুল

    প্রসঙ্গত, বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ওই অভিযোগ (অমিত শাহকে ফোন) মিথ্যা। শুভেন্দুকে ভুঁইফোড় এবং কিম্ভূতকিমাকার সম্বোধন করে মমতা বলেন, দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। পরিকল্পনামাফিক ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। জনগণের সমর্থন নেই বলেই এসব মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mukul Roy: ‘কোনওদিন তৃণমূলে ছিলাম না, ইস্তফা দেওয়ার প্রশ্নই নেই’, বললেন মুকুল

    Mukul Roy: ‘কোনওদিন তৃণমূলে ছিলাম না, ইস্তফা দেওয়ার প্রশ্নই নেই’, বললেন মুকুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC)-সঙ্গ অস্বীকার করলেন প্রবীণ নেতা তথা কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় (Mukul Roy)। সোমবার রাতে আচমকাই দিল্লি উড়ে যান মুকুল। বুধবার সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি কোনওদিন তৃণমূলে ছিলাম না। তাই ইস্তফা দেওয়ার প্রশ্নই নেই।

    মুকুল রায় (Mukul Roy)…

    তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে দূরত্ব হেতু ২০১৭ সালে ঘাসফুল শিবির থেকে সরে আসেন মুকুল রায়। পরে যোগ দেন বিজেপিতে (BJP)। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ১৮টি আসন পায় বিজেপি। ২ থেকে ১৮টিতে পৌঁছানোর জন্য রাজনৈতিক মহলের একাংশ মুকুল ফ্যাক্টরের পক্ষেই সওয়াল করে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তরে প্রার্থী হন মুকুল। জয়ীও হন। বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে পরেই তৃণমূলে ফেরেন মুকুল। তৃণমূল ভবনে গিয়ে দলীয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ছেলে শুভ্রাংশুকে নিয়ে তিনি (Mukul Roy) ফেরেন ঘাসফুল শিবিরে। পুরস্কার স্বরূপ মুকুলকে দেওয়া হয় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদ। এনিয়ে বিধানসভায় হইচই হয় বিস্তর।

    আরও পড়ুুন: পাখির চোখ কর্নাটক বিধানসভার ভোট, তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    মুকুলের এই ‘দলবদলে’র কারণে স্পিকারের কাছে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানান বিজেপি নেতৃত্ব। এমতাবস্থায় স্ত্রী বিয়োগ হয় মুকুলের। তারপর বেশ কিছুদিন আর সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি মুকুলকে। বুধবার সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক বলেন, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছি আমি। আমি সব সময় বিজেপির সঙ্গে থাকব। দল আমাকে যে কাজ দেবে, তাই করব। মুকুল দিল্লি যাওয়ার পরে মিসিং ডায়েরি করেন পুত্র শুভ্রাংশু। তাঁর দাবি, তাঁর বাবার মানসিক অসুস্থতার সুযোগ নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাঁর বদনাম করার চক্রান্ত হচ্ছে বলেও দাবি শুভ্রাংশুর। ছেলের দাবি উড়িয়ে দিয়ে মুকুল (Mukul Roy) দাবি করেন, সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karnataka Assembly: পাখির চোখ কর্নাটক বিধানসভার ভোট, তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    Karnataka Assembly: পাখির চোখ কর্নাটক বিধানসভার ভোট, তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাখির চোখ কর্নাটক বিধানসভা (Karnataka Assembly) নির্বাচন। দক্ষিণের এই রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তারকা প্রচারক কারা, সোমবার তার তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি (BJP)। ১০ মে হতে চলেছে কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচন। সেই কারণেই কোমর কষে নামছে পদ্ম শিবির। জানা গিয়েছে, তারকা প্রচারকের তালিকায় নাম রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, দলের সভাপতি জেপি নাড্ডা সহ বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতানেত্রীর। এদিন যে ৪০ জন তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ করেছে গেরুয়া শিবির, তা থেকে স্পষ্ট, কর্নাটকে ক্ষমতায় ফিরতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি।

    কর্নাটক বিধানসভা (Karnataka Assembly) নির্বাচন…

    উত্তর ভারতে একের পর রাজ্য দখল করতে সক্ষম হলেও, দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে সেভাবে দাঁত ফোটাতে পারেনি পদ্ম শিবির। কর্নাটককে (Karnataka Assembly) বলা হয় দক্ষিণের গেটওয়ে। তাই কর্নাটকে ক্ষমতায় ফিরতে কোমর বেঁধে নামছেন বিজেপি নেতারা। তালিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পাশাপাশি নাম রয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীশ গড়করি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ, কেন্দ্রীয় সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি প্রমুখের। তালিকায় রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যের নামও। বিজেপির ওই তারকা প্রচারকের তালিকায় নাম রয়েছে কর্নাটকের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিংহ চৌহান, মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশেরও।

    আরও পড়ুুন: কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের ছেলের ১১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    তামিলনাড়ুর বিজেপি সভাপতি কে আন্নামালাই, কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা, কেএস এসারাপ্পাও রয়েছেন ওই তালিকায়। বর্তমানে কর্নাটকে (Karnataka Assembly) প্রচারে রয়েছেন বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা। দু দিনের সফরে কর্নাটকে রয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর এই প্রথম কর্নাটক সফরে গিয়েছেন নাড্ডা। ২১ এপ্রিল থেকে তিনদিনের কর্নাটক সফরে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই রাজ্যে দুটি রোড শোয়ে অংশ নেবেন শাহ। গত মাসে নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর এই প্রথম কর্নাটক সফরে যাচ্ছেন শাহও। এদিনই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাই এবং ইয়েদুরাপ্পার ছেলে বিওয়াই বিজয়েন্দ্রের। প্রসঙ্গত, কর্নাটক বিধানসভার আসন সংখ্যা ২২৪। ভোট হবে এক দফায়। ফল বেরবে ১৩ মে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ২০ এপ্রিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘শ্বশুর-জামাই মিলে কোটি কোটি টাকা লুঠ করেছেন’! সুকান্তর নিশানায় সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা

    Sukanta Majumdar: ‘শ্বশুর-জামাই মিলে কোটি কোটি টাকা লুঠ করেছেন’! সুকান্তর নিশানায় সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা ও তাঁর জামাই তথা সাগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি স্বপন প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আনলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mazumdar)। সোমবার পাথরপ্রতিমার ব্রজবল্লভপুরের সভা থেকে দুর্নীতি ইস্যুতে বঙ্কিম হাজরা ও তাঁর জামাই স্বপন প্রধানকে তীব্র আক্রমণ করেন সুকান্ত।

    সুকান্তের দাবি 

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার ব্রজবল্লভপুরে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mazumdar) বলেন, ‘এখানকার সবথেকে বড় মহাপুরুষ মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা ও তাঁর জামাই স্বপন প্রধান লুটেপুটে খাচ্ছেন। সাগরে স্নানঘাটের জন্য ৫৬ কোটি টাকা এসেছিল। কিন্তু ৫৬টি ইট পর্যন্ত গাঁথা হয়নি। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় শ্বশুর-জামাই মিলে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন। আপনাদের কাছে কোনও তথ্য থাকলে আমাদের জমা দিন। আমরা সেগুলি নিয়ে আদালতে যাব। ইডি, সিবিআই তদন্তের দাবি জানাব।’

    আরও পড়ুন: ‘কে পুরুষ, কে মহিলা, তা শুধু যৌনাঙ্গ দিয়ে বিচার করা যায় না!’ অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Mazumdar) বক্তব্য, ‘এই জামাই আর শ্বশুর মিলে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করেছে, আমার কাছে খবর এসেছে। আপনারা তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করে, আমার কাছে জমা করুন। আমি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করব এই জামাই আর শ্বশুরের বিরুদ্ধে সিবিআই করানোর জন্য, ইডি করানোর জন্য। আমরা নাটবোল্টু টাইট দেব, আর সিবিআই আসবে। সিবিআই দেখলে এখন নেতা-মন্ত্রীরা পাঁচিল টপকে পালাচ্ছে। ও তো সমুদ্রের মধ্যে কুমিরের সামনে ঝাঁপ দেবে। তা ছাড়া উপায় থাকবে না।’ পাল্টা সাগরের তৃণমূল বিধায়ক তথা সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেছেন, ‘পার্টিকুলারলি আমাকে নিশানা করেছে। সাহস থাকলে প্রমাণ করুক। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mazumdar) যে অভিযোগ করেছেন, তা পুরো মিথ্যা, ভিত্তিহীন।’ বিধায়কের জামাই স্বপন প্রধানও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • TMC: ভোটে প্রার্থী হতে চান না তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য, প্রার্থী করতে চান না স্ত্রীকেও! কেন?

    TMC: ভোটে প্রার্থী হতে চান না তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য, প্রার্থী করতে চান না স্ত্রীকেও! কেন?

    নিউজ মাধ্যম ডেস্ক: সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। ভোটে প্রার্থী হওয়ার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল (TMC) কর্মীদের মধ্যে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে। কোথাও আবার বোমাবাজির ঘটনাও ঘটছে। দলীয় কর্মী খুন হওয়ার নজিরও রয়েছে। সেখানে আলিপুরদুয়ারে একেবারে অন্য চিত্র ধরা পড়ল। আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের মাঝেরডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ পানিয়ালগুড়ি গ্রামের তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য রবি দাস আর ভোটে দাঁড়াতে চান না। এই আসনটি এবার মহিলা সংরক্ষিত। তিনি স্ত্রীকেও এবার ভোটে প্রার্থী করতে চান না।

    পঞ্চায়েতে প্রার্থী হতে চান না কেন তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য?

    আলিপুরদুয়ার ২ পঞ্চায়েত সমিতির দক্ষিণ পানিয়ালগুড়ি গ্রাম। গ্রামের পাশ দিয়ে কল কল করে বয়ে গেছে পাহাড়ি নদী কালকূট। গ্রামের অধিকাংশ মানুষই কৃষিজীবী। কিন্তু, পাহাড়ি কালকূট নদীর ভাঙনে বিঘার পর বিঘা জমি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। এর আগে পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে রবিবাবু এলাকাবাসীকে ভাঙন প্রতিরোধে উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিয়েও ভোটারদের কাছে তা রাখতে পারেননি। সেই লোকলজ্জায় আর মানুষের কাছে ভোট চাইতে যেতে পারবেন না তিনি। দলকে সেই কথা জানিয়েও দিয়েছেন। তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য রবি দাস বলেন, “এবার আমার এলাকার পঞ্চায়েতের আসন মহিলা সংরক্ষিত হয়েছে। দল স্ত্রীকে প্রার্থী করার কথা বলেছিল, না করে দিয়েছি। অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েও নদীভাঙন রোধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই অবস্থায় আমার পক্ষে আর ভোটের সময় গিয়ে মানুষের কাছে ভোট চাওয়ার মুখ নেই। তাই, আমি ও আমার পরিবারের কেউ পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি-র আলিপুরদুয়ার জেলার সাধারণ সম্পাদক মিঠু দাস বলেন, “তৃণমূল নেতারা দুর্নীতি করে নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত। তারা আর এলাকার উন্নয়ন করবে কিভাবে? ভাঙন প্রতিরোধ করার বিষয়ে কারও কোনও উদ্যোগ নেই। দেরি হলেও ওই পঞ্চায়েত সদস্য সেটা বুঝতে পেরেছেন জেনে ভাল লাগছে।”

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ার জেলার কার্যকরি সভাপতি শান্তনু দেবনাথ বলেন, “খোঁজ নিয়ে দেখুন, ওই নদীবাঁধ নির্মাণের জন্য টাকা এসেছিল। তৃণমূল নেতারা সেই টাকা দুর্নীতি করে খেয়ে ফেলেছেন। নাহলে ওই এলাকায় আধিকারিকরা বার বার যাওয়ার পরেও বাঁধ নির্মাণ হবে না কেন?”

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক অবশ্য বলেন, “কে প্রার্থী হবেন আর কে হবেন না, তা ঠিক করবে দল। তবে, ওই এলাকায় আমি গিয়েছিলাম। সমস্যার কথা জানি। ভাঙন প্রতিরোধে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে, কাজ  হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: দণ্ডিকাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি, পুরসভায় দিনভর অবস্থান-বিক্ষোভ

    BJP: দণ্ডিকাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি, পুরসভায় দিনভর অবস্থান-বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দণ্ডিকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকদিন আগেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে, নতুন করে এই ঘটনায় আর কেউ গ্রেফতার হয়নি। দণ্ডিকাণ্ডে দুজনকে গ্রেফতারির ঘটনায় খুশি নয় বিজেপি (BJP)। এর আগেও অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে গ্রেফতাদের দাবিতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বালুরঘাটসহ সব থানায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিজেপি (BJP)। এমনকী, জাতীয় এসটি কমিশনকে চিঠি দিয়ে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবি করেছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই একই দাবিতে ১৭ এপ্রিল বনধ ডেকে ছিল আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান। দুই দিনাজপুরে বনধে ভালো সাড়া পড়েছিল। সেই জের কাটতে না কাটতে মঙ্গলবার ফের আন্দোলনে নামল বিজেপি (BJP) ।

    পুরসভায় অবস্থান করে কী দাবি জানাল বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    দণ্ডিকাণ্ড ইস্যুতে মঙ্গলবার বালুরঘাট পুরসভায় অভিযান চালায় বিজেপি (BJP)। বালুরঘাট টাউন বিজেপির পক্ষ থেকে এদিন দুপুরে বালুরঘাট পুরসভার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়। এদিন বিক্ষোভ কর্মসূচির আগে বালুরঘাটে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। এদিনের প্রতিবাদ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির-র বালুরঘাট টাউনের সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত, বিজেপির (BJP) প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। মিছিল শেষে পুরসভায় অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়। বিজেপি-র টাউন সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত বলেন, দণ্ডিকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করতে হবে। পাশাপাশি বালুরঘাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে তাঁকে বরখাস্ত করতে হবে। তা না হলে আগামী দিনে আমরা আরও বড় আন্দোলনে নামব। এর পাশাপাশি ৮ দফা দাবিও ছিল। অবস্থান বিক্ষোভের পর পুর কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা দাবিদাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছি। মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমাদের আন্দোলন থামবে না।

    বিজেপি-র (BJP) আন্দোলন নিয়ে কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    দণ্ডিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ্তা চক্রবর্তী পুরসভায় আসছেন না। এই প্রসঙ্গে পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, পুরসভার কাজকর্মে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। আর দাবিদাওয়া যে কেউ করতেই পারে। আইন আইনের পথে চলবে। এই বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: অনুমতিদানের পরেও পুলিশি বাধা! অবশেষে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে সুকান্তর সভা হচ্ছে কেশপুরে

    BJP: অনুমতিদানের পরেও পুলিশি বাধা! অবশেষে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে সুকান্তর সভা হচ্ছে কেশপুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেশপুরে সভার অনুমতি না পেয়ে বিচারপতি মান্থার এজলাসেই মামলা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতি সুকান্তকে সভা করার অনুমতি দিলেন। প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগে শুভেন্দুর চন্দ্রকোনার সভা নিয়েও একইরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেসময় বিরোধী দলনেতাও হাইকোর্টের দারস্থ হন। মেলে সভার অনুমতি। আজও ঘটনাক্রম একই থাকল। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের চাপেই পুলিশ বারবার সভার অনুমতি বাতিল করছে। প্রসঙ্গত, আজ মঙ্গলবার দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে একটি পথসভা রয়েছে বিজেপির। সেই সভায় বক্তব্য রাখার কথা সুকান্ত মজুমদারের। সভার ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে সভাস্থল নিয়ে আপত্তি জানায় পুলিশ। বিজেপি (BJP) সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন হওয়া সুশীল ধাড়ার পরিবারের হাতে চেক তুলে দেওয়ার কথা সুকান্তর।

    কেন আপত্তি পুলিশের

    উল্লেখ্য, আজ দুপুর কেশপুরের বিশ্বনাথপুর বাজার এলাকায় একটি পথসভার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়ার কথা সুকান্ত মজুমদারের। কিন্তু সভাস্থলে নিয়ে আপত্তি জানায় পুলিশ। কেশপুর থানা থেকে বিজেপির (BJP) কেশপুর দক্ষিণ মণ্ডল সভাপতিকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। সেই চিঠিতে পুলিশ জানায়, সভার অনুমতি চেয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়েছে। ওই জায়গায় সভা করা নিয়ে দুটি পৃথক আপত্তির কথা পুলিশের কাছে এসেছে। পরে আরও একটি আপত্তি পুলিশের কাছে আসে গ্রাম কমিটির তরফে। সেই কারণে আগামীকাল ওই জায়গায় সভা করতে নিষেধ করা হয়েছে পুলিশের তরফে। অন্তিম মুহুর্তে বিজেপি দারস্থ হয় হাইকোর্টের, অবশেষে মিলল অনুমতি।

    কী বলল হাইকোর্ট

    এরপরই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন রাজ্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, কেন অনুমতি দেওয়া হয়নি সভার?
    বিচারপতি মান্থা প্রশ্ন করেন, র‍্যালির ব্যাপারে অন্তত মাসখানেক আগে জানানো হয়েছে। এখন কেন আপত্তি করা হচ্ছে একেবারে শেষ মুহুর্তে, কেন? রাজ্যের তরফে বলা হয়, হাটচালা বাজার কমিটি আপত্তি করেছে।
    অভিযোগ, প্রথমে বাজার কমিটির প্রেসিডেন্ট মধুসুদন কারক অনুমতি দেন, কিন্তু পরে তিনিই আপত্তি জানান। কিন্তু কেন আপত্তি জানানো হল তা তদন্ত করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, দু’সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত করে দেখে রিপোর্ট দিতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tarapith: অমিত শাহের সভায় যাওয়ার ‘অপরাধে’ অটো বন্ধের ফতোয়া! ধুন্ধুমার তারাপীঠে, বিক্ষোভ বিজেপির

    Tarapith: অমিত শাহের সভায় যাওয়ার ‘অপরাধে’ অটো বন্ধের ফতোয়া! ধুন্ধুমার তারাপীঠে, বিক্ষোভ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমিত শাহের সভায় যাওয়ার ‘অপরাধে’ বেশ কয়েকজন অটোচালককে অটো চালাতে দিচ্ছে না তৃণমূল। এই অভিযোগ ঘিরে সোমবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল তারাপীঠ (Tarapith)। বিজেপির পক্ষ থেকে এদিন আটলা মোড়ে রাস্তার ওপর বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিজেপি-তৃণমূল বচসায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুপক্ষের হাতাহাতিও হয়। পুলিস গিয়ে কোনওরকমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সাধারণ যাত্রীরা পড়েন দুর্ভোগে।

    বিজেপির মূল অভিযোগ কী?

    বিজেপি নেতা তারক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল ইউনিয়নের নেতা বলেছে, তারাপীঠে (Tarapith) রামনবমীর পতাকা সব খুলে ফেলতে হবে। আমরা সব দেখে নেবো। অমিত শাহর সভায় যাওয়ার জন্য নাকি দুজন অটোচালককে অটো লাগাতে দেবে না। গরিব, খেটেখাওয়া মানুষের পেটে লাথি মারার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস? পশ্চিমবঙ্গবাসী দেখুন, কোন জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যটাকে নিয়ে যাচ্ছে। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, ওরা আমাদের ওপর হামলাও চালিয়েছে। এ নিয়ে আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি তিনি দিয়েছেন।

    অভিযোগের উত্তরে কী বললেন তৃণমূল ইউনিয়নের নেতা?

    তৃণমূল পরিচালিত অটো ইউনিয়নের সেক্রেটারি নাশির শেখের বক্তব্য, এটা ভুল ধারণা। পাটির কোনও ব্যাপারে গাড়ি বন্ধ করা হয়নি। তারাপীঠে (Tarapith) ইউনিয়নের একটা সিস্টেম আছে। সেই অনুযায়ীই গাড়ি বন্ধ করা হয়েছিল সাতদিন। ইউনিয়নের নিয়মভঙ্গ করার জন্য ওদের সাসপেন্ড করা হয়েছিল। অনেকেই আছে, বেলাইনে ভাড়া খাটে। ওদের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। সেটা নিয়ে বিজেপি এরকম করবে, আমরা ভাবতে পারিনি। এই সমস্যার সমাধান আমরা কালই করে দিয়েছিলাম এবং ওদের লাইনে গাড়ি লাগাতে বলেছিলাম। তা না করে ওরা আজ অত্যাচার শুরু করে দিল। ওরা আমাকেও মারধর  করেছে। দোষীকে গ্রেফতার করা না হলে তাঁরাও অটো চলাচল বন্ধ করে দেবেন বলে হুমকি দেন।

    কী বললেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা অশিস বন্দ্যোপাধ্যায়

    অবরোধ, ধর্মঘট এসব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতির বিরুদ্ধে। তাই যারা ধর্মঘট করবে বলেছিল, আমি তাদের তা না করার জন্য অনুরোধ করেছি। ওরা সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে। একইসঙ্গে আমি পুলিশকেও অনুরোধ করেছি, যারা দোষী, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। বিজেপির অমিত শাহের সভায় যাওয়ার জন্যই তারাপীঠে (Tarapith) অটো চালাতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এর জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ তদন্ত করে দেখুক না, কোনটা সত্যি, কোনটা মিথ্যা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে তৃণমূলে গৃহযুদ্ধ তুঙ্গে, সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসে বিধায়ককে তোপ উপপ্রধানের

    TMC: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে তৃণমূলে গৃহযুদ্ধ তুঙ্গে, সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসে বিধায়ককে তোপ উপপ্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, তৃণমূলের (TMC) পূর্ব বর্ধমানের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে ততই অস্বস্তিতে জেলা নেতৃত্ব। সোশ্যাল মিডিয়ায় ১৫ মিনিটের ওপর লাইভ করে পূর্বস্থলী পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পঙ্কজ গাঙ্গুলি এলাকার বিধায়ককে প্রকাশ্যে নানাভাবে আক্রমণ করেছেন। পঙ্কজ গাঙ্গুলি জানান, এরপর হয়তো তাঁকে গাঁজার কেস দিয়ে জেলে ঢোকাতেও পারেন বিধায়ক। পাশাপাশি তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কাও করছেন। স্বাভাবিকভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে এইভাবে বিধায়কের বিরুদ্ধে উপপ্রধানের নানারকম বক্তব্য অস্বস্তিতে ফেলেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলকে।

    কেন এই বিতর্ক?

    গত কয়েকদিন ধরে পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রায়শই বিতর্ক দানা বাঁধছে পূর্বস্থলী পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পঙ্কজ গাঙ্গুলির। পূর্বস্থলী পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজ বিনা টেন্ডারে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় কালনা মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানান। তারপর থেকেই এই বিতর্কের সৃষ্টি।

    কী বলেছেন তৃণমূলের উপপ্রধান?

    শুক্র এবং শনি, পরপর দুদিন ফেসবুক লাইভে আসার পর পঙ্কজ গাঙ্গুলি আজও ফেসবুক লাইভে এসে পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভার বিধায়ক (TMC) তপন চট্টোপাধ্যায়ের নামে কুৎসা করেন। পাশাপাশি পঙ্কজ গাঙ্গুলি জানালেন, দুমাস আগে তাঁর সিকিউরিটি ছিল। সেগুলি পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভার বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করে তুলে নেন। ফলে যে কোনও সময় তাঁর ওপর আক্রমণ হতে পারে। তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলাটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়।

    কী প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের জেলা সভাপতির?

    এই সমস্যার কথা জেলা সভাপতি (TMC) রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে জানাতে তিনি বলেন , উপপ্রধানের উচিত হয়নি সোশ্যাল মিডিয়ায় এরকম বক্তব্য রাখা। যদি কোনও বক্তব্য থাকে, তাহলে দলকে জানাতে পারতেন।

    আক্রমণে বিজেপি

    অপরদিকে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশে আসতেই আক্রমণ হেনেছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির কাটোয়া জেলা সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় জানান, এটা নতুন কোনও ঘটনা নয়।। বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় আগে বিজেপির কর্মীদের বহুবার গাঁজার কেস দিয়ে জেলে দিয়েছে। এবার খোদ উপপ্রধানকে এই কেস দিলে দিতেও পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share