Tag: bjp

bjp

  • Suvendu Adhikari: কেষ্টর গড়ে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে উত্খাতের ডাক দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: কেষ্টর গড়ে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে উত্খাতের ডাক দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেষ্ট কোথায়? অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে জনসভায় আসা কর্মী, সমর্থকদের প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, চড়াম-চড়াম, নকুল দানার খাওয়ানোর কথা বলতেন। বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতেন না। এখন তিনি কোথায়? কর্মী, সমর্থকরা চিত্কার করে বলে তিহারে। এরপর তিনি মুরারইয়ের তৃণমূল নেতা আলী মুর্তজা খান, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ ভকত, মুরারই ১ নম্বর ব্লক সভাপতি বিনয় ঘোষের নাম নিয়ে চোর বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “এরা মাসে ৯ হাজার কোটি টাকা ডিসিআরের নামে আদায় করে পিসি- ভাইপোকে পাঠাচ্ছে। এই টাকা পাচারের জন্য আইপিএস শ্যাম সিং কে ডি আই জি পদে নিয়ে আসা হয়েছে। ওই অফিসার সামনে পিছনে পুলিশ নিয়ে টাকা কলকাতায় পৌঁছে দিচ্ছে”। তিনি আরও বলেন,”তৃণমূলের সবাই চোর। এখনও এই জেলার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান, বিধায়ক রানা সিংহ তালিকায় রয়েছে। এরকম সমস্ত নেতা মন্ত্রী লাইনে আছেন। তবে ধেরে ইঁদুরদের আমরা দেখব”।

    এনআরসি নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    সাগরদিঘি নির্বাচনে সংখ্যালঘুরা শাসক দল তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। কেষ্টহীন বীরভূমে শাসক দলের এখন নড়বড়ে অবস্থা। গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার তৃণমূল। এই অবস্থায় এবার মুর্শিদাবাদ লাগোয়া বীরভূমের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুরারইয়ের কেস্তারা গ্রামে সৌজন্য ও সম্প্রীতি জনসভা করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে আরও চাপে ফেলে দিলেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। কারণ, এদিনের জনসভায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ভিড় উপচে পড়েছিল। এদিন তিনি (Suvendu Adhikari) গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ ও আসামের উদাহরন দিয়ে বলেন, “তৃণমূল বলছে এনআরসি হলে মুসলিমদের তাড়িয়ে দেওয়া হবে। ওই তিন রাজ্যে দেখান কতজন মুসলিমকে তাড়ানো হয়েছে? এসব বলে সংখ্যালঘু ভাইদের আর বিজেপি থেকে সরানো যাবে না। ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন”। তিনি আরও বলেন, “রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে ১০ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। সেই স্বজনহারারা আজ আমাদের সঙ্গে। আমরা বগটুই গ্রামে স্মরণ সভা করার প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলাম। আমাদের দেখে ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রামে গিয়েছিলেন। কিন্তু গ্রামবাসীরা তাকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে। এজন্য ধন্যবাদ জানায় বগটুই গ্রামের মানুষকে”।

    পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

    এদিনের সভায় সভায় দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, হজ কমিটির সদস্যা মাফুজা খাতুন, রাজ্য সম্পাদক শ্যামা পদ মণ্ডল, মহিলা মোর্চার বীরভূম সাংগঠনিক সভাপতি রশ্মি দে, জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা উপস্থিত ছিলেন। এদিন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)  বলেন, পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। আপনারা বুথ আগলে রাখুন। আর তোলামূলকে একটাও ভোট নয়। শুধু তাই নয়, তিনি নো ভোট টু মমতা লেখা গেঞ্জি মঞ্চে সকলের সামনে পড়েন। তিনি আরও বলেন,”সোমবার ঠাকুরনগরের সভায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখোশ খুলব”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডিকাটার নিদান! নেত্রীকে সরিয়ে দিল তৃণমূল, জেলা জুড়ে বিক্ষোভে বিজেপি

    BJP: আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডিকাটার নিদান! নেত্রীকে সরিয়ে দিল তৃণমূল, জেলা জুড়ে বিক্ষোভে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বিজেপি (BJP) করার শাস্তি হিসেবে তিন আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটার নিদান দিয়েছিলেন তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর  জেলার মহিলা সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। ৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় বালুরঘাট শহরে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ের আশপাশে থাকা লোকজন ও কয়েকজন তৃণমূল কর্মী এই অমানবিক ঘটনার সাক্ষী ছিলেন। আর দণ্ডি কাটার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ঘরে, বাইরে চাপে পড়ে যায় তৃণমূল নেতৃত্ব। খবর পৌঁছে যায় তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে। আর তড়িঘড়ি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নাম দিয়ে রবিবার বিকেলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রেস রিলিজ বের করা হয়। আর তাতে প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে সরিয়ে তাঁর ওই পদে স্নেহলতা হেমব্রম নামে এক আদিবাসীকে জেলা তৃণমূলের মহিলা সভানেত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। আদতে এই পদে একজন আদিবাসীকে নিয়ে এসে ওই অপকর্মের প্রায়শ্চিত করল তৃণমূল, এমনই মত রাজনৈতিক মহলের।

    দণ্ডিকাটার ঘটনা নিয়ে সরব আদিবাসী সমাজ?

    তপন ব্লকের গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের শনকৌর গ্রামের তিন আদিবাসী মহিলার বাড়ি। বিজেপি করার জন্য শাস্তি হিসেবে তাঁদের দণ্ডি কাটার নিদান দিয়েছিল তৃণমূলের মাতব্বররা। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে আদিবাসী সমাজ। ৮ টি আদিবাসী সংগঠনের যৌথ মঞ্চ রবিবার সকালে গ্রামে গিয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গেও তাঁরা এদিন কথা বলেন। গ্রামবাসীরাও আদিবাসী সংগঠনের কাছে এই ঘটনার সুবিচার দাবি করেছেন। আদিবাসী যৌথ মঞ্চের সভাপতি সুনীল বাঘয়ার বলেন, আদিবাসী বলেই ওই ধরনের ঘটনা ঘটনো হয়েছিল। প্রশাসন কী করছে দেখব, তার পরই আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব। কারণ, এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।

    গ্রামে সিপিএমের প্রতিনিধিরা গিয়ে কী করলেন?

    রবিবার আদিবাসী সংগঠনের পাশাপাশি সিপিএমের এক প্রতিনিধি দল গ্রামে যায়। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য নন্দলাল হাঁসদা বলেন, আদিবাসী সমাজকে অপমানিত করা হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এই অমানবিক ঘটনার প্রতিবাদে আমরা মিছিল করব।

    দণ্ডি কাটার প্রতিবাদে কী করল বিজেপি (BJP)  ?

    দণ্ডি কাটা ঘটনার প্রতিবাদে বালুরঘাট থানার সামনে এদিন বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। বালুরঘাট থানা সহ জেলার আটটি থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বিজেপি (BJP)। বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, জোর করে তৃণমূল এই কাজ করেছে। আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এদিন সব থানায় বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। সোমবার জেলা শাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। সেখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং সাংসদ দিলীপ ঘোষ থাকবেন।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    দলবদলুদের দণ্ডি কাটার শাস্তির নিদান নিয়ে জেলা জুড়়ে সবমহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃনাল সরকার বলেন, আমরা শনিবার ওই গ্রামে গিয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। এই ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানিয়েছি। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত নেত্রীকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: শুভেন্দুর সভার আগেই খেজুরিতে তৃণমূলীদের তাণ্ডব! একাধিক বাড়ি ভাঙচুর, আক্রান্ত বহু বিজেপি কর্মী

    BJP: শুভেন্দুর সভার আগেই খেজুরিতে তৃণমূলীদের তাণ্ডব! একাধিক বাড়ি ভাঙচুর, আক্রান্ত বহু বিজেপি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন দিনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফরে এসে খেজুরির ঠাকুরনগরে ৩ রা এপ্রিল প্রশাসনিক জনসভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল ১০ এপ্রিল সেই মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা রাজনৈতিক জনসভা করবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। প্রশাসন সভার অনুমতি না দিলেও কলকাতা হাইকোর্ট অনুমতি দিয়েছে। আর সেই সভার আগেই তৃণমূলীদের তাণ্ডব ও দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বিক্ষোভের ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হল খেজুরিতে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। জানা গিয়েছে, খেজুরি-১ ব্লকের বীরবন্দর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কন্ঠীবাড়ী গ্রামে।  রাস্তাঘাট নেই। বারবার আবেদন জানিয়েও মেলেনি সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা। ফলে, এই ক্যাম্পের কোনও প্রয়োজন নেই বলে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।  পাশাপাশি খেজুরির বারাতলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বহু বিজেপি (BJP) কর্মীর বাড়িতে ও দোকানে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, বারাতলা অঞ্চলের ১৭০ নম্বর বুথে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি (BJP)  কর্মীদের বাড়িতে চড়াও হয়। একাধিক কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করে। হামলায় একজন মহিলা কর্মী কোমরে গুরুতর চোট পেয়েছেন। হাতও ভেঙে দিয়েছে। দু- তিনজনের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে তৃণমূলীরা। আলো বালা রঞ্জিত, আঙ্গুরবালা রঞ্জিত, দিপালী পাত্র ,স্বপন মালি ,সুকুমার বেরা, সুমন মালি সহ কয়েকজন বিজেপি (BJP)  কর্মী জখম হয়ে তমলুক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

    কেন হামলা চালাল তৃণমূল?

    রাজ্যের রাজনৈতিক মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম ও তার পাশের বিধানসভা খেজুরি। গত বিধানসভা ভোটে জমি রক্ষার আন্দোলন খ্যাত নন্দীগ্রামে পরাজিত হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  পাশের বিধানসভা খেজুরিতেও পরাজিত হয়েছে তৃণমূল প্রার্থী। যে জমি আন্দোলন,  যে নন্দীগ্রাম খেজুরির হাত ধরে রাজ্যের মসনদে বসেছে তৃণমূল সেই নন্দীগ্রাম ও খেজুরি পুন:দখলই এই পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান লক্ষ্য।  উল্টোদিকে, বিধানসভা ভোটের সাফল্য ধরে রেখে নন্দীগ্রাম খেজুরি থেকে তৃণমূলকে একদমে উৎখাত করে দেওয়াই লক্ষ্য বিজেপির (BJP) । এমন প্রেক্ষাপটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সভা ও পাল্টা শুভেন্দু অধিকারীর (Subhendu Adhikari) সভা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ ক্রমে বাড়ছে খেজুরি, নন্দীগ্রাম সহ গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়।  পঞ্চায়েত ভোটের আগে হারানো মাটি ফিরে পেতে চাইছে তৃণমূল। পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভার আগে এলাকায় বিজেপি (BJP)  কর্মীদের উপর সন্ত্রাস তৈরি করতেই তৃণমূলীরা হামলা চালায়। এমনই অভিযোগ বিজেপির (BJP) ।

    কী বললেন বিজেপির বিধায়ক ?

    তৃণমূলীদের হামলার প্রতিবাদে শনিবার খেজুরির গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যাপীঠ মোড়ে বিজেপি (BJP)  কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করেন। খেজুরির বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক বলেন, এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই তৃণমূলীরা হামলা চালায়। বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলাকায় তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আসলে ভয় দেখিয়ে কেউ জনসভায় না যায়, সেই চেষ্টা করছে তৃণমূল। এসব করে আমাদের কর্মীদের ভয় দেখানো যাবে না। দলীয় সভায় কর্মীদের ভিড় উপচে পড়বে।

    হামলা নিয়ে কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের খেজুরি ২ ব্লকের সভাপতি শ্যামল মিশ্র বলেন, তৃণমূল উন্নয়ন করেছে, গন্ডগোল করার দরকার নেই। মানুষ ভালোবেসে ভোট দেবেন আমাদের। এইসব মিথ্যা অভিযোগ করে প্রচারে থাকার চেষ্টা করছে বিজেপি (BJP) ।  পঞ্চায়েত ভোটের পর এদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: সমবায় সমিতিতে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি! কারা জড়িত জানেন?

    Scam: সমবায় সমিতিতে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি! কারা জড়িত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে লোন দেওয়ার নামে কোটি,কোটি টাকার দুর্নীতির (Scam) অভিযোগ উঠল হুগলির খানাকুলের তৃণমূল নেতা তথা চিংড়া কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। জেলাশাসকের নির্দেশের পর প্রায় পাঁচ মাস কেটে গেলেও তদন্তে এলেন না সমবায় আধিকারিকরা। কতদিনে মিলবে সুরাহা? ক্ষুব্ধ খানাকুল -২ ব্লকের চিংড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কৃষকরা।

    সমবায়ের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    ২০১৭ – ১৮ আর্থিক বর্ষে খানাকুলের চিংড়া সমবায় সমিতি থেকে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের ঋণ হিসাবে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা তোলা হয়। যা নিয়ম বহির্ভূতভাবে ওই এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাদের পাশাপাশি সমবায়ের এলাকার বাইরেও বিভিন্ন তৃণমূল নেতাকে কার্যত ঋণ পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর এসব করেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা সমবায় সমিতির ম্যানেজার প্রভুনাথ পোড়েল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আর্থিক তছরুপের (Scam)  সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান কার্তিক ইশরের নেতৃত্বে এলাকার কৃষকরা গণ স্বাক্ষর করে জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দেন। গত ডিসেম্বর মাসে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন হুগলি জেলাশাসক। কিন্তু, এরপরেও সেই অর্থে কোনও তদন্তই শুরুই হয়নি বলে অভিযোগ। গত ৬ এপ্রিল রাজ্য সমবায় দফতরের অধিকারিকদের খানাকুলের চিংড়া এলাকায় দুর্নীতির (Scam)  অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আসার কথা ছিল। সেইমতো স্থানীয় কৃষকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু, অবশেষে কোনো সমবায় আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে আসতে দেখা যায়নি। ফলে, ক্ষুব্ধ এলাকার কৃষকরা।

    কী বললেন স্থানীয় কৃষকরা?

    ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছিল সমবায় দুর্নীতিতে (Scam)  খানাকুল সহ জেলা ও রাজ্যের বেশকিছু প্রশাসনিক ব্যক্তিত্ব ও ব্যাঙ্কের একাংশের কর্মীরা যুক্ত আছে। তদন্তকারীরা না আসায় সেই অভিযোগ ফের তুলতে শুরু করেন কৃষকরা। শঙ্কর সাঁতরা, দেবপ্রসাদ মাইতি নামে কৃষকরা বলেন, আমাদের টাকা নিয়ে অন্যদের লক্ষ লক্ষ টাকা লোন দেওয়া হচ্ছে। সমবায়ের ম্যানেজার দুর্নীতির (Scam)  সঙ্গে জড়িত। প্রশাসনের একটি অংশ জড়িত থাকায় কেউ তদন্ত পর্যন্ত করতে আসছে না।

    কী বললেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান?

    স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান কার্তিক ইশর বলেন, এই দুর্নীতিতে (Scam)  সমবায়ের ম্যানেজার শুধু নয় আরও অনেক প্রভাবশালী যুক্ত আছেন। তবে, প্রধানের বিরুদ্ধেও লোনের নামে টাকা আত্মসাত্ করার অভিযোগ রয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি লোন নিয়েছিলাম। তা পরিশোধও করছি। পাশাপাশি খানাকুল বিধানসভার পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী মুন্সী নজিবুল করিম সহ একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেও সমবায় সমিতি থেকে লোনের নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

     কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিষয়টি নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপিও। খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, চাকরি নিয়ে তৃণমূল শুধু দুর্নীতি (Scam)  করেনি, সমবায় সমিতিতে ওরা কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি (Scam)  করেছে। সমবায়ের বাইরে লোককে টাকা পাইয়ে দিয়েছে। এই দুর্নীতির সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি আমরা।

    সমবায় সমিতির কর্মীরা কী বললেন?

    এদিকে দুর্নীতির (Scam)  বিষয়টি জানাজানি হতেই গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত ওই সমবায় সমিতির ম্যানেজার। সমবায় সমিতির কর্মীদের দাবি,তিনি কাজের জন্য অন্যত্র রয়েছেন।তবে, সূত্রের খবর,তিনি এলাকাতেই গা ঢাকা দিয়েছেন। গত কয়েকদিন আগে পর্যন্ত বহাল তবিয়তে দিদির দূত হিসাবে কাজ করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক! অ্যান্টনি পুত্রের পর আজ যোগ দিলেন রাজাগোপালাচারীর প্রপৌত্র

    BJP: লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক! অ্যান্টনি পুত্রের পর আজ যোগ দিলেন রাজাগোপালাচারীর প্রপৌত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট, তার আগে যেন বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক। ৬ এপ্রিল যোগদান করেছিলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা একে অ্যান্টনির পুত্র অনিল অ্যান্টনি। এবার ভারতের প্রথম গভর্নর-জেনারেল চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারীর প্রপৌত্র সি আর কেশবন শনিবার বিজেপিতে যোগদান করলেন। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি কংগ্রেস ত্যাগ করেছিলেন কেশবন। লোকসভা ভোটের আগে এমনিতেই ব্যাকফুটে রয়েছে কংগ্রেস। প্রতিদিনই দল ছাড়ছেন কোনও না কোনও নেতা। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন জম্মু কাশ্মীরের দলত্যাগী কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। একহাত নিয়েছেন রাহুল গান্ধীকেও। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, মোদি সরকারের জনভিত্তি এখনও অটুট। অন্যদিকে নেতৃত্বহীনতায় ভুগছে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি, তাই বিজেপিতে যোগদানের এই হিড়িক দেখা যাচ্ছে।

    কী বললেন কেশবন

    কংগ্রেস ত্যাগ করার সময় কেশবন তাঁর পদত্যাগপত্র মল্লিকার্জুন খাড়গেকে পাঠিয়েছিলেন, তাঁর অনুযোগ ছিল, কংগ্রেসে মূল্যবোধ নেই। তিনি তখন আরও বলেছিলেন, কংগ্রেসের কার্যপদ্ধতির সঙ্গে নিজেকে আমি মানিয়ে নিতে পারছিলাম না। এবার বিজেপিতে যোগদান করে তিনি বললেন, “আমি বিজেপিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, বিশ্বের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলে আমাকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। এবং এমন দিনে আমি যোগদান করলাম যখন প্রধানমন্ত্রীর তামিলনাড়ু সফরের কথা রয়েছে। এদিন প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসাও করেন তিনি। তাঁর কথায়, “প্রধানমন্ত্রী মোদির জনদরদী নীতি, দুর্নীতিমুক্ত শাসন এবং সংস্কার, উন্নয়ন ভারতকে একটি ভঙ্গুর অর্থনীতি থেকে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে নিয়ে এসেছে।

    ৬ তারিখ বিজেপিতে যোগদান করেন অনিল অ্যান্টনি

    দুদিন আগেই বিজেপিতে যোগদান করেন অনিল অ্যান্টনি। বিবিসি বিতর্কে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির পক্ষ নিয়েছিলেন। এরপরেই কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয় বলে জানা যায়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং ভি মুরালীধরনের উপস্থিতিতে তিনি  বিজেপিতে যোগদান। কেরালার বিজেপি সভাপতি কে সুরেন্দ্রনও হাজির ছিলেন ওই যোগদান অনুষ্ঠানে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Attack: বিজেপি-র যুব মোর্চার জেলা সভাপতিকে ছুরি দিয়ে হামলা! কেন জানেন?

    Attack: বিজেপি-র যুব মোর্চার জেলা সভাপতিকে ছুরি দিয়ে হামলা! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় পতাকা খোলাকে কেন্দ্র করে বচসা। বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সভাপতিকে ছুরি দিয়ে হামলা (Attack) চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।  শনিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্ধমান শহরের ঢলদীঘি মোড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। প্রকাশ্যে বিজেপি নেতার উপর হামলার (Attack)  ঘটনা দেখে সাধারণ মানুষও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে, বর্ধমান থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, একটি গন্ডগোলের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    কী নিয়ে গন্ডগোল?

    শুক্রবার বর্ধমান শহরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভা ছিল। তারজন্য সভার আগে থেকে শহরের রাস্তা  বিজেপি কর্মীরা দলীয় পতাকায় মুড়ে দিয়েছিলেন। আক্রান্ত বিজেপির জেলা যুব মোর্চার সভাপতি  পিন্টু শ্যামের বক্তব্য, শহর জুড়ে আমাদের দলীয় পতাকা ছিল। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখি কয়েকজন আমাদের পতাকা খুলে তৃণমূলের পতাকা লাগাচ্ছিল। আমি তার প্রতিবাদ করি। আর দলীয় পতাকা খুলতে তাদের বাধা দিই।  প্রথমে আমার সঙ্গে তাদের বচসা বাধে। পরে, একজন আমাকে তেড়ে আসে। সঙ্গে আরও দুজন ছুটে আসে। আমি তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ওরা আমাকে হামলা (Attack) করে। একজন আমাকে ছুরি চালিয়ে দেয়। আমি ছুটে একটি দোকানে গিয়ে আশ্রয় নিই। ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তার ফুটেজ সংগ্রহ করলেই পুলিশ জানতে পারবে কারা হামলাকারী (Attack)। আমাদের দাবি, হামলাকারীদের(Attack)  বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

    হামলা নিয়ে কী বললেন বিজেপি-র জেলা সভাপতি?

    দলীয় নেতা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন জেলা বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ তা সহ দলীয় কর্মী সমর্থকরা। জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, শুক্রবার বর্ধমানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচি ছিল। রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি  শ্যামাপদ মণ্ডল কর্মসূচিতে ছিলেন। রাতে তিনি বর্ধমানেই ছিলেন। এদিন পিন্টু তাকে বর্ধমান স্টেশনে ট্রেনে তুলে বাড়ি ফিরছিল। ওই সময়ে পিন্টু দেখে ঢলদীঘি মোড়ে কয়েকজন আমাদের দলীয় পতাকা খুলে দিচ্ছে। এই নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে তার উপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও (Attack)  হয়। ধারাল অস্ত্র নিয়ে তৃণমূলের লোকজন রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। দুষ্কৃতীরাজ চলছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, এটা মিথ্যা অভিযোগ। শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারীর সভায় ওদের লোকজন হয়নি। তাই, এসব মিথ্যা অভিযোগ করে বাজার গরম করতে চাইছে। যেহেতু আজ আমাদের মিছিল রয়েছে, তাই ওরা এসব করছে। আসলে ওদের দলের কোন্দলের জন্যই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপিতে যোগদানের শাস্তি দণ্ডিকাটা! কাঠগড়ায় তৃণমূল, কোথায় জানেন?

    BJP: বিজেপিতে যোগদানের শাস্তি দণ্ডিকাটা! কাঠগড়ায় তৃণমূল, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বিজেপিতে যোগদান করার শাস্তি  দণ্ডিকাটা! শুনতে অবাক মনে হলেও এটাই সত্যি। আর এই শাস্তির বিধানদাতা তৃণমূলের মাতব্বররা। বিজেপি (BJP) থেকে তৃণমূলে ফেরার জন্য দণ্ডি কেটে প্রায়শ্চিত করতে হয়েছে আদিবাসী তিনজন মহিলাকে। শুক্রবার সন্ধ্যায় এমনই অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকল বালুরঘাট শহরের মানুষ। যা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এই দণ্ডি কাটার দায় দলের স্থানীয় নেতাদের ওপর চাপিয়েছে। তবে, বিজেপিতে (BJP)  যাওয়ার জন্য শাসক দলের নেতাদের এই বিধান দেওয়া নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিজেপি (BJP)  নেতৃত্ব এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। শনিবার এই ঘটনার প্রতিবাদে জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে বিজেপি-র নেতা, কর্মীরা ধর্না ও বিক্ষোভ সমাবেশে বসেন।

     ঠিক কী ঘটেছিল?

    ৬ এপ্রিল দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকে প্রায় দুশো জন তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে (BJP)  যোগদান করেন। শুক্রবার দলবদলুরা সকলেই তৃণমূলে ফিরে এসেছেন বলে দাবি করেন মহিলা তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। যদিও শুক্রবার সন্ধ্যায় জনাচারেক আদিবাসী মহিলাকে তৃণমূলে যোগ দিতে দেখা যায়। আর বিজেপিতে (BJP)  যোগ দেওয়ার শাস্তি হিসেবে নাকখত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কতদূর থেকে দণ্ডি কেটে ওই কর্মীদের ফের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য প্রায়শ্চিত করতে হবে তা ঠিক করে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, বালুরঘাট কোর্ট মোড় থেকে কাঁঠালপাড়ায় অবস্থিত তৃণমূল জেলা কার্যালয় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা দণ্ডি কেটে আসেন চারজন আদিবাসী মহিলা। পরে, তাঁরা ফের তৃণমূলে যোগদান করেন। এই বিষয়ে মহিলা তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তী বলেন, এদিন কয়েকজন যোগ দিয়েছেন। বাকিরা আগামীদিনে যোগ দেবেন।

    দণ্ডি কাটার নিদান নিয়ে কী বললেন বিজেপির (BJP)  রাজ্য সভাপতি?

    এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির (BJP)  জেলা নেতৃত্ব সরব হয়েছেন। এবার এই অমানবিক ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির (BJP)  রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, জোর করে আদিবাসী ওই মহিলাদের তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছে। আর বিজেপি করার অপরাধে তাদের নাকখত দেওয়ার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আদিবাসী মহিলাদের অপমান করেছে তা আদিবাসী সমাজের অপমান। তৃণমূল আদিবাসী বিরোধী তা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল। গোটা রাজ্যের আদিবাসী সমাজকে এই অমানবিক ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর আবেদন জানাচ্ছি। অন্যদিকে, জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানা গিয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    দলবদলুদের দণ্ডি কাটার শাস্তির নিদান নিয়ে জেলা জুড়়ে সবমহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে। শাসক দল ব্যাকফুটে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃনাল সরকার বলেন, তৃণমূলে কেউ যোগ দিলে আমরা জানতে পারতাম। এরকম খবর আমাদের কাছে নেই। আর দণ্ডি কাটার ঘটনা ঘটে থাকলে তা ঠিক হয়নি। এরকম হলে দলের পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: এটাই বোধহয় তৃণমূলের উন্নয়ন! ভাঙাচোরা রাস্তার প্রতিবাদে ৩৫ টি পরিবার শাসকদল ছেড়ে বিজেপিতে

    BJP: এটাই বোধহয় তৃণমূলের উন্নয়ন! ভাঙাচোরা রাস্তার প্রতিবাদে ৩৫ টি পরিবার শাসকদল ছেড়ে বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে। কথার ফানুস উড়িয়ে যিনি সবসময়ই প্রচারের আলোয় থাকতে ভালবাসেন, এটি সেই অনুব্রত মণ্ডলের বিখ্যাত উক্তি। সত্যি, মালদহের এই গ্রামে গেলে দেখা যাবে, উন্নয়ন রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে। এখানে কবি শঙ্খ ঘোষের সেই লাইনগুলিই যেন মনে পড়ে যায়। “রাস্তাজুড়ে খড়্গহাতে দাঁড়িয়ে আছে উন্নয়ন।” আর তারই খেসারত দিতে হল শাসকদলকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে মালদহের গাজোলের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় তৃণমূলে বড়সড় ভাঙন ধরালো বিজেপি। গাজোল ব্লকের চাকনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের জাজিলাপাড়া এলাকায় তৃণমূলের প্রায় ৩৫টি পরিবারের শতাধিক কর্মী-সমর্থক দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করলেন। এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়েছিলেন গাজোল বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির বিধায়ক চিন্ময় দেববর্মন সহ স্থানীয় নেতৃত্ব। বিধায়ক নিজে উপস্থিত থেকে এদিন প্রায় ৩৫ টি তৃণমূল পরিবারের শতাধিক কর্মী-সমর্থকের হাতে বিজেপির দলীয় পতাকা তুলে দেন।

    কেন এতগুলি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে ? 

    আসুন, শোনা যাক, এক বয়স্ক মহিলা কী বলছেন। তিনি জানালেন, রাস্তার যা অবস্থা, তাতে দৈনন্দিন মারাত্মক সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলতে হচ্ছে। রাস্তা সারানোর দাবি নিয়ে গাজোলে যাওয়া হয়েছে, ডিএম অফিসে যাওয়া হয়েছে, দরবার করা হয়েছে ব্লক অফিসেও। আমাদেরকে কথা দিচ্ছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। আমাদের প্রধান সাহেবও বিষয়টা জানেন। ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারে না। ডেলিভারির জন্য মায়েদের নিয়ে যেতে পারছি না, রাস্তাতেই বাচ্চা হয়ে যাচ্ছে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা গাজোল যেতে পারছি না। সন্ধ্যার পর এখানে বাইরের কোনও গাড়ি ঢুকছে না। ওই মহিলা পরিষ্কারই বলেন, আমরা খাওয়া-দাওয়া চাইছি না, ঘরবাড়িও চাইছি না। আমরা চাইছি শুধু রাস্তাটা হোক।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক ? 

    বিজেপি বিধায়ক চিন্ময় দেববর্মন জানিয়েছেন, শাসক দলের দুর্নীতি, অনুন্নয়ন, সন্ত্রাস এসব দেখেই মানুষ এখন অসন্তুষ্ট ও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই যোগদান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আগামীদিনে আরও বহু শাসকদলের কর্মী, এমনকী নেতারাও বিজেপিতে আসার জন্য ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: কংগ্রেস জমানায় প্রায় ৫ লক্ষ কোটির দুর্নীতি! বিজেপি প্রকাশ করল ভিডিও সিরিজ, ‘কংগ্রেস ফাইলস’   

    BJP: কংগ্রেস জমানায় প্রায় ৫ লক্ষ কোটির দুর্নীতি! বিজেপি প্রকাশ করল ভিডিও সিরিজ, ‘কংগ্রেস ফাইলস’   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউপিএ জমানায় লাগাতার দুর্নীতির কথা তুলে ধরতে  বিজেপি (BJP) শুরু করল নতুন ভিডিও সিরিজ ‘কংগ্রেস ফাইলস’। ইউপিএ আমলের দুর্নীতিগুলিই এই ভিডিওতে তুলে ধরা হবে বলে জানা গিয়েছে। রবিবার এই ভিডিও সিরিজের প্রথম এপিসোডটি প্রকাশ করেছে বিজেপি। আগামী দিনে আরও বেশ কয়েকটি ভিডিও প্রকাশিত হবে বলে জানা গিয়েছে বিজেপির তরফ থেকে।

    আরও পড়ুন: আজ থেকে অনেকটাই দাম কমল রান্নার গ্যাসের! কলকাতায় কত হল জানেন? 

    বিজেপির (BJP) ট্যুইট

    রবিবার তিন মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশিত হয় বিজেপির ট্যুইটার হ্যান্ডেলে। সেখানে লেখা হয়, কংগ্রেস আর দুর্নীতি সমার্থক। ৭০ বছর তারা সাধারণ মানুষের বিপুল অর্থ লুট করেছে। ৪৮,২০,৬৯,০০,০০,০০০ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কংগ্রেস।  এই অর্থ সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারলে ২৪টি আইএনএস বিক্রান্ত বা ৩০০টি রাফালে জেট কেনা যেত।

    তবে কংগ্রেস জমানার শেষ ১০ বছরের ঘটনাবলির কথাই উল্লেখ করা হয়েছে বিজেপির এই ভিডিওটিতে। ২০০৪ থেকে ২০১৪ সালকে ‘লস্ট ডেকেড’ আখ্যা দিয়েছে গেরুয়া শিবির। কয়লা, ২-জি নেটওয়ার্ক, কমনওয়েলথ গেমস, মনরেগা- একাধিক ইস্যুতে দুর্নীতির কথা তুলে ধরেছে বিজেপির এই ভিডিও। সিরিজের প্রথম এপিসোডে সোনিয়া গান্ধী ও মনমোহন সিংকে ‘মুখ্য ভূমিকা’য় দেখা গিয়েছে।

    এই ভিডিওর শেষেই বলা হয়েছে, এটা কংগ্রেসের বিশাল দুর্নীতির ‘ট্রেলার’। পুরো সিনেমা এখনও বাকি রয়েছে। আগামী দিনে এই ভিডিওর বেশ কয়েকটি এপিসোড মুক্তি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে কংগ্রেসের তরফে এই ভিডিও নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

     

    আরও পড়ুন: দেশীয় কোম্পানিগুলির সঙ্গে প্রায় ৩২,০৮৬ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা চুক্তির অনুমোদন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fish: গঙ্গায় মাছ ধরতেও তৃণমূলকে দিতে হচ্ছে তোলা! কোথায় জানেন?

    Fish: গঙ্গায় মাছ ধরতেও তৃণমূলকে দিতে হচ্ছে তোলা! কোথায় জানেন?

     মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নদীর তীরে বড় করে হোর্ডিং লাগানো রয়েছে। তাতে ফরমান দেওয়া হয়েছে গঙ্গা থেকে মাছ (Fish) ধরতে গেলেই দিতে হবে টাকা। বলা ভাল তোলা। ডিসপ্লে বোর্ডে কত পরিমাণ তোলা দিতে হবে তার উল্লেখ রয়েছে। জাল হিসেবে মাছের দাম প্রতি ২০ শতাংশ হারে টাকা দিলেই মাছ (Fish)  ধরা যাবে। মালদহের মানিকচক ঘাটে এই ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়়েছেন মত্স্যজীবারা। কারণ, জলকরের নামে তোলা নেওয়ার অভিযোগ। তোলা না দিলে জুটছে হুমকি! শতকরা ২০ থেকে ৩০ টাকা করে তোলা নেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের একাংশের মদতেই এই কারবার চলছে বলে অভিযোগ। জেলা ও ব্লক প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন মানিকচকের মৎস্যজীবীরা।

    তোলা নেওয়া নিয়ে মত্স্যজীবীদের কী বক্তব্য? Fish

    ২০১৫ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন গঙ্গায় মাছ (Fish)  ধরতে মত্স্যজীবীদের কোনও কর দিতে হবে না। একই নির্দেশ দেয়  হাইকোর্ট। কিন্তু, কলকাতা হাইকোর্ট এবং রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা  বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তৃণমূলের ছত্রছায়াতে থাকা দালালরা অবাধে তোলাবাজি চালাচ্ছে। এই বিষয়ে মৎস্যজীবীরা ইতিমধ্যেই ব্লক প্রশাসন থেকে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।    এক মত্স্যজীবী বলেন, গঙ্গায় জাল ফেলে প্রায় ৭ হাজার টাকার মাছ (Fish)  ধরেছিলাম। মাছ নিয়ে ঘাটে আসতেই তোলাবাজরা আমাদের থেকে টাকা দাবি করে। আমরা তা দিতে অস্বীকার করলে মাছ ও জাল সব কেড়ে নেয়। পরে, তাদের দাবি মতো টাকা দিয়ে ছাড়া পাই। মোথাবাড়ি ধীবর সমবায় সমিতির কর্মকর্তা পঞ্চানন মাহাত বলেন,  সরকারি নিলামে ১১ লক্ষ ৫১ হাজার ৯৯৯ টাকায় আমি লিজ নিয়েছি। আমার কাছে জলকর আদায়ের বৈধ কাগজ আছে। সেই অনুযায়ী আমরা মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে জলকর নিচ্ছি। তবে, ২০ শতাংশ হারে নয়, ৫ শতাংশ হারে আমরা জলকর নিচ্ছি। ফলে, কোনও তোলাবাজি করছি না।

     বিজেপি নেতা গৌড় চন্দ্র মণ্ডল বলেন,  তোলা নেওয়া বন্ধ না হলে মৎস্যজীবীদের নিয়ে আন্দোলনে নামব। কারণ, যারা তোলা নিচ্ছে তাদের মাথার উপর তৃণমূল নেতাদের হাত রয়েছে। তাই, সরকারি নির্দেশকে অমান্য করার সাহস দেখাচ্ছে। অন্যদিকে, তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র বলেন, গঙ্গার উপরে মাছ (Fish)  ধরার ক্ষেত্রে কোন জলকর নেওয়া হয় না। গঙ্গা সবার। যারা ২০ টাকা, ৩০ টাকা করে জল কর আদায় করছেন তারা আইনবিরোধী কাজ করছেন। আমি ব্লক প্রশাসনকে এ বিষয়ে জানাব।    এ বিষয়ে মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, গঙ্গায় মাছ (Fish)  ধরার ক্ষেত্রে মৎস্যজীবীদের কাউকে কোনও কর দিতে হবে না। যদি কেউ নেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share