Tag: bjp

bjp

  • Purulia: কাজের মজুরি নিয়ে প্রশ্ন করায় বিজেপি কর্মীকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর তৃণমূল নেতার

    Purulia: কাজের মজুরি নিয়ে প্রশ্ন করায় বিজেপি কর্মীকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মজুরি নিয়ে প্রশ্ন করায় এক বিজেপি কর্মীকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে পুরুলিয়ার (Purulia) হুড়া থানার মৌরাংডি গ্রাম এলাকায়। মারের আঘাতে জখম হয়েছেন সত্যবান মাহাতো নামক এক বিজেপি কর্মী। তাঁর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় স্থানীয় মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনের আদর্শ নিয়ম লাগু হয়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের কর্মীদের ব্যাপক মারধরের অভিযোগে সরব হয়েছিল বিজেপি। রাজ্যের আবার নির্বাচন আসন্ন, তাই শাসক দলের দৌরাত্ম্য এবং মানুষের মত প্রকাশের অধিকার কতটা অবাধ হবে, তা নিয়ে রাজনীতির একাংশের মানুষ প্রশ্ন তুলেছেন।  

    পরিবারের অভিযোগ

    ঘটনায় আহত সত্যবানের স্ত্রী ঝর্না স্থানীয় (Purulia) থানায় অভিযোগ করে বলেন, “স্বামী একশো দিনের কাজ করে নিজের মজুরি টাকা পাননি। কিন্তু এমন অনেকে আছে, যারা কাজ করেনি অথচ টাকা পেয়েছে। এরপর তৃণমূলের দুই নেতা অসিত মাহাতো এবং দীপক মাহাতো এসে প্রথমে বচসা করে এবং এরপর অসিত ছুটে গিয়ে রড নিয়ে এসে স্বামীর মাথার উপর আঘাত করে। এরপর চিৎকার শুনে আশেপাশের মানুষ ছুটে আসেন।” ইতিমধ্যে ঘটনায় পুলিশ মামলা রুজু করেছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    পুরুলিয়ার (Purulia) জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলিম আনসারি বলেন, “যে দুই তৃণমূলের নেতা মারধর করেছে, তাদের মধ্যে একজন গ্রামের পুকুর সংস্কারের কাজ করেছে। ফলে মজুরির কথা ওদের গায়ে লেগেছে।” একই ভাবে লোকসভার বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো বলেন, “নির্বাচন ঘোষণা হতেই এলাকায় এলাকায় তৃণমূলের গুন্ডারা সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করেছে। নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাবো।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, “ব্যক্তিগত ঝামেলা হয় ওখানে। বিজেপি ইচ্ছে করে রাজনৈতিক রঙ দিয়েছে। নির্বাচনের আগে ঝামেলা করার চেষ্টা করা হয়েছে।” আবার হুড়া ব্লকের সভাপতি প্রসেনজিৎ মাহাতো বলেন, “ঝামেলার খবর শুনেছি। কী ঘটেছে খোঁজ নেবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নতুন সংবিধান লেখার পরামর্শ সুকান্তর, কেন?

    Sukanta Majumdar: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নতুন সংবিধান লেখার পরামর্শ সুকান্তর, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নতুন সংবিধান লেখার পরামর্শ দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সেই সঙ্গে গার্ডেনরিচ কাণ্ডে কলকাতার মেয়র রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দুঃখ প্রকাশ করা নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি। সম্প্রতি, শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের মাতৃ বিয়োগ হয়েছে। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে শঙ্কর ঘোষের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

     মুখ্যমন্ত্রীকে কেন নতুন সংবিধান লেখার পরামর্শ সুকান্তর? (Sukanta Majumdar)

    তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন তাঁর ট্যুইটে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে লোকসভা নির্বাচন করার আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন বিজেপির নির্দেশেই আধিকারিক নিয়োগ করছে। নির্বাচন কমিশন বিজেপির ক্যাম্প অফিস হয়ে উঠেছে। এনিয়ে এদিন প্রশ্ন করা হলে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “ডেরেক ও’ব্রায়নের এত ঝামেলা করার কোনও দরকার নেই। আমি তাঁকে বলবো বাজার থেকে একটা মোটা গোব্দা খাতা কিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতে। সেই খাতায় মুখ্যমন্ত্রী নতুন করে সংবিধান লিখুন। ডেরেক ও’ব্রায়েন সেটা সংশোধন করে ইংরেজিতে তর্জমা করবেন। তাহলে তাদের সব ঝামেলা মিটে যাবে।” নাগরিকত্ব সংশোধন আইন লাগু করার ক্ষেত্রেও তৃণমূল বিরোধিতায় নেমেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই  সংবিধান না জেনে তৃণমূল কেন্দ্রীয় সরকারের কাজের বিরোধিতা করছে। সে জন্যই তৃণমূলকে তাদের পছন্দ মতো সংবিধান রচনার পরামর্শ  দিয়েছেন বলে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

     গার্ডেনরিচ কাণ্ড নিয়ে ফিরহাদ হাকিমকে কটাক্ষ সুকান্তর

    গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙ্গে পড়ার ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভা ও রাজ্যের তৃণমূল সরকারের ব্যর্থতার দিকটি প্রমাণিত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্বীকার করেছেন, ওই বহুতল এই নির্মাণ অবৈধভাবে হচ্ছিল। তাতে সমালোচনার ঝড়ের মুখে কলকাতার মেয়র ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। মেয়রের সাফাই,  যাদের ওপর ভরসা করেছিলেন তারা তাঁর কথা শোনেনি। এ প্রসঙ্গে এদিন প্রশ্ন করা হলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, দুঃখ প্রকাশ করে লাভ নেই। এটাই তৃণমূল সরকারের কালচার। দুঃখ প্রকাশ করে এককালীন কিছু টাকা দিয়ে তৃণমূল মানুষের জীবনের মূল্যায়ন করে। ব্যর্থতা,অনিয়ম আড়াল করার জন্য  এই দুঃখ প্রকাশের কোনও মূল্য নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: “অসমে ৩-৬ লাখ মানুষ আবেদন করবেন সিএএতে”, বললেন হিমন্ত

    Himanta Biswa Sarma: “অসমে ৩-৬ লাখ মানুষ আবেদন করবেন সিএএতে”, বললেন হিমন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অসমে ৩ থেকে ৬ লাখ মানুষ সিএএ-র জন্য আবেদন করবেন।” জানিয়ে দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। সপ্তাহখানেক আগেই দেশজুড়ে লাগু হয়েছে সিএএ। নাগরিকত্ব সংশোধনী এই আইনকে হাতিয়ার করেই ভোট কুড়োতে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তবে সিএএ যে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য, কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, তা বারংবার জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তার পরেও সিএএ নিয়ে রাজনীতি করতে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে বলে অভিযোগ।

    প্রসঙ্গ এনআরসি (Himanta Biswa Sarma)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “অন্ততঃ পক্ষে পাঁচ লাখ বাংলাভাষী হিন্দু, দু’লাখ আদিবাসী অসমিয়া এবং দেড় লাখ গোর্খা এনআরসিতে বাদ পড়েছেন। এঁদের মধ্যে তিন থেকে ছ’লাখ মানুষ নাগরিকত্ব পেতে সিএএতে আবেদন করবেন।” তিনি জানান, এনআরসিতে অনেকেই বাদ পড়েছেন। নাগরিকত্ব প্রমাণে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে না পারায় বাদ পড়েছেন তাঁরা। তাই সিএএতে আবেদন করার বদলে তাঁরা যাবেন ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে।

    প্রসঙ্গ সিএএ

    হিমন্ত জানান, সিএএ লাগু হয়েছে গত সপ্তাহে। ১৯ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করতে হবে। আমাদের হাতে প্রায় ৪০ দিন সময় রয়েছে। প্রকৃত ছবিটা বুঝতে এই সময়টা যথেষ্ট। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ইতিমধ্যেই সিএএতে গুজরাটে নাগরিকত্ব পেয়েছে ১৩টি হিন্দু পরিবার। কিন্তু অসমে এখনও পর্যন্ত খুব বেশি মানুষ আবেদন করেননি। অনেক পরিবার, বিশেষত হিন্দু বাঙালি, বাংলাদেশ থেকে অসমে ঢুকেছিল ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পরেও। তাঁদের মধ্যেই অনেকে ফিরে গিয়েছেন।” প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পরে যাঁরা অসমে এসেছেন, তাঁদের শরণার্থী বলে গণ্য করছে না অসম সরকার।

    আরও পড়ুুন: গ্যাস, জ্বালানির পর এবার ডালের দাম কমাতেও উদ্যোগী মোদি সরকার

    হিমন্ত বলেন, “এরকম অনেক পরিবার রেশন কার্ড নিতে অস্বীকার করেছিলেন। তাই তাঁদের কাছে নথি বলতে রয়েছে কেবল রিফিউজি রেজিস্ট্রেশন কার্ড, যেটা ইস্যু করেছিলেন সীমান্ত কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রতীক হাজেলা (প্রাক্তন এনআরসি কো-অর্ডিনেটর) এনআরসি আপডেট করার সময় এই কার্ড গ্রহণ করেননি। তাই অনেক নাম বাদ গিয়েছে, প্রায় ১৬ লাখ। এনআরসির ফাইনাল ড্রাফট যা প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে, তাতে এঁদের নাম ছিল না।” তিনি (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “তাই আমার মনে হয় সিএএতে আবেদন করবেন এ রাজ্যের ৩ থেকে ৬ লাখ মানুষ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Elections 2024: বিহারে আসনরফা চূড়ান্ত, কত আসনে লড়বে বিজেপি, জানেন?

    Lok Sabha Elections 2024: বিহারে আসনরফা চূড়ান্ত, কত আসনে লড়বে বিজেপি, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাগটবন্ধনের সরকারের মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে নীতীশ কুমার ফিরেছেন এনডিএ শিবিরে। তাই প্রয়োজন ছিল বিজেপির সঙ্গে নীতীশের দলের আসন রফার। সেই রফা হয়ে গেল। জানা গিয়েছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections 2024) বিহারের ১৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বিজেপি।

    কার ভাগে ক’টি আসন?

    আর এনডিএর শরিক জনতা দল ইউনাইটেড লড়বে ১৬টি কেন্দ্রে। সোমবার বিজেপি-জেডিইউয়ের আসন রফার এই খবর জানিয়েছেন বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওদে। এনডিএর আর এক শরিক লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস) লড়বে ৫টি আসনে। এদিন সংবাদ মাধ্যমে তাওদে বলেন, “বিজেপি ১৭টি আসনে লড়বে। জনতা দল ইউনাইটেড প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ১৬টি আসনে। লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস) লড়বে ৫টি আসনে। একটি আসনে লড়বে রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা।” বিহার (Lok Sabha Elections 2024) লোকসভার আসন সংখ্যা ৪০। বিজেপির বিহারের প্রেসিডেন্ট রাজু তিওয়ারি বলেন, “লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস)-কে পাঁচটি আসন ছাড়া হয়েছে। বিহারের ৪০টি লোকসভা আসনেই আমরা জিতব।”

    নীতীশের ঘরওয়াপসি

    চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই এনডিএ শিবিরে ফিরে এসেছেন নীতীশ কুমার। দেড় বছর আগে এনডিএ সঙ্গ ছেড়ে তিনি ভিড়েছিলেন মহাগটবন্ধনের সরকারে। ঘরওয়াপসি হল জানুয়ারিতে। চলতি মাসের প্রথম দিকে ঔরঙ্গাবাদে এনডিএর একটি সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই নীতীশ ঘোষণা করেন, তিনি চিরকালের জন্য এনডিএতে থাকবেন। ওই সমাবেশে জনতা দল ইউনাইটেড সুপ্রিমো বলেছিলেন, “আপনি (প্রধানমন্ত্রী) আগেও এসেছিলেন। আমি কিছুদিনের জন্য অদৃশ্য (এনডিএ থেকে) হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমি আপনার সঙ্গে রয়েছি। আমি আপনাকে আশ্বস্ত করছি এই বলে যে, আমি আর এখান-সেখান হব না। আমি আপনার সঙ্গেই থাকব।”

    আরও পড়ুুন: “দায়বদ্ধতা থেকেই সিএএ চালু করা হয়েছে”, আমেরিকাকে ‘বার্তা’ জয়শঙ্করের

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এবং জনতা দল ইউনাইটেড প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল ১৭টি করে আসনে। সেবার ৪০টি আসনের মধ্যে এনডিএ জিতেছিল ৩৯টিতে। ২০২২ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ছেড়ে তিনি হাত ধরেছিলেন লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডির। জানুয়ারিতে ফিরেছেন এনডিএ শিবিরে (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ‘‘গণতন্ত্রের সবথেকে বড় উৎসব’’, লোকসভা নির্বাচনকে স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    Lok Sabha Election 2024: ‘‘গণতন্ত্রের সবথেকে বড় উৎসব’’, লোকসভা নির্বাচনকে স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। শনিবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানান, ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যান্ত সাত দফায় হবে নির্বাচন।  ভোট ঘোষণার পরই নিজের এক্স হ্যান্ডল থেকে এক গুচ্ছ পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে দেশবাসীকে ভোট উৎসবে মেতে ওঠার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে গত কয়েক বছরে তাঁর সরকার কী কী জনকল্যাণকর কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তাও জানান তিনি। 

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    লোকসভা ভোটের ঘোষণার পর মোদি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “গণতন্ত্রের সবথেকে বড় উৎসব শুরু হয়ে গেল। জাতীয় নির্বাচন কমিশন ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের ঘোষণা করেছে। বিজেপি-এনডিএ এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য পুরোপুরি তৈরি। ভালো প্রশাসন এবং জনতার সেবার জন্য ৯৬ কোটির বেশি ভোটারের আশীর্বাদ তৃতীয় বারের জন্য আমাদের ক্ষমতায় আনবে।” তাঁর সরকার ৪০০ আসন জিতবে বলে দাবি করে তিনি লিখেছেন, “প্রত্যেক ভারতীয় বুঝতে পারছেন সৎ, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং শক্তিশালী সরকার কত কিছু করতে পারে। আমাদের সরকারের থেকে দেশবাসীর প্রত্যাশাও অনেক বেড়েছে। সে জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে, সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে আওয়াজ উঠছে- এই বার, ৪০০ পার।”

    এর পরই বিরোধীদের আক্রমণ করে তিনি লিখেছেন, “এখন বিরোধীদের না আছে ইস্যু, না আছে দিকনির্দেশ। তাদের একটিই অ্যাজেন্ডা পড়ে রয়েছে- আমাদের হেনস্থা করা এবং ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করা। জনতা এখন পারিবারিক মানসিকতা এবং সমাজে বিভেদের চক্রান্তকে প্রত্যাখ্যান করছে।” নাম না নিয়ে কংগ্রেসকেও আক্রমণ করে মোদি লিখেছেন, “দশকের পর দশক করে যাঁরা দেশকে শাসন করেছে গর্ত তৈরি করেছে। গত ১০ বছরে আমরা সেই গর্ত পূরণ করেছি। এই ১০ বছরে দেশবাসী আরও সমৃদ্ধ এবং আত্মনির্ভর হয়েছে।”

    তৃতীয়বারে এনডিএ সরকার কোন কোন বিষয়ে কাজ করবে, তার ইঙ্গিত দিয়ে মোদি লিখেছেন, “এনডিএ সরকারের তৃতীয় টার্মে গরিবি এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরালো হবে। আমরা ভারতে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করব। তরুণদের স্বপ্নপূরণের জন্য আমাদের চেষ্টা জারি থাকবে।”

    নাড্ডা-শাহর বার্তা

    নির্বাচন নিয়ে পোস্ট করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। তিনি এক্সে লিখেছেন, ‘‘আমি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। এই নির্বাচন গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় উৎসব। এই নির্বাচনই সুশাসন এবং উন্নয়নের পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যম। আমি সারা দেশের মানুষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, আপনারা প্রচুর সংখ্যায় ভোট দিতে আসুন এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের ভিত আরও সুদৃঢ় করুন।’’ 

    এক্সে পোস্ট করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তিনি লিখেছেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এই দেশ সুশাসন, নিরাপত্তা এবং সর্ব ক্ষেত্রে সংস্কৃতির পুনর্গঠনের ইতিহাস তৈরি হতে দেখেছে। উন্নয়নের পথে ভারতের এই যাত্রায় শান্তি বজায় রাখতে এমন ব্যক্তিকে ভোট দিন, যিনি দেশের উন্নতির জন্য কাজ করেন। এ বছর এনডিএ জোট ৪০০ আসন পার করার স্লোগান নিয়ে এগিয়েছে। আমার বিশ্বাস, দেশের মানুষ এই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে আমাদের সাহায্য করবেন।’’

     

    আরও পড়ুন: দেশে ৭ দফায় ভোট, লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anuradha Paudwal: বিজেপিতে যোগ দিলেন কিংবদন্তী সঙ্গীত শিল্পী অনুরাধা পড়োয়াল

    Anuradha Paudwal: বিজেপিতে যোগ দিলেন কিংবদন্তী সঙ্গীত শিল্পী অনুরাধা পড়োয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগেই বিশিষ্ট আধ্যাত্মিক সঙ্গীত শিল্পী অনুরাধা পড়োয়াল (Anuradha Paudwal) বিজেপিতে যোগদান করলেন। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার ঠিক আগে অনুরাধা শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ বিজেপির দিল্লি সদর দফতরে পৌঁছে যান। বিজেপির দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন। প্রথম বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বললেন, “আধ্যাত্মিক সনাতন ভাবনার জগতে অনেক দিন ধরে কাজ করছি। এই বিজেপিরও সনাতন ভাবনার সঙ্গে গভীর যোগ রয়েছে।” 

    বিজেপিতে যোগদান করে কী বললেন (Anuradha Paudwal)?

    শনিবার বিজেপিতে যোগদান করে অনুরাধা (Anuradha Paudwal) বলেন, “আমি খুব খুশি। আমাদের আধ্যাত্মিক ভাবনা এক। গত ৩৫ বছর ধরে এই আধ্যাত্মিক জগতে কাজ করছি। আজকের ভারতবর্ষে সনাতনীদের কাছে একটি সুবর্ণযুগ। আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়াটা দায়িত্ব। ভোটের প্রার্থী বিষয়ে আমি কিছু জানি না। দল যা পরামর্শ দেবে তাই করব।” উল্লেখ্য এই গায়িকা নয়ের দশকে ভক্তিগীতি গেয়ে শ্রোতাদের মনে বিরাট জায়গা তৈরি করেছেন। হিন্দি ছবিতে অনেক গান গেয়েছেন অনুরাধা। এছাড়াও বাংলায় অনেক সঙ্গীত গেয়েছেন তিনি। গত ২২ জানুয়ারি রামলালার মন্দির উদ্বোধনের দিনে ভজন কীর্তন গেয়েছিলেন তিনি। 

    জন্ম কর্নাটকে

    কর্নাটকের কোঙ্কন পরিবারে জন্ম অনুরাধার (Anuradha Paudwal)। তাঁর প্রথম জীবনে নাম ছিল অলকা নাদকার্নি। ১৯৭৩ সালে প্রথম সঙ্গীতের কেরিয়ার জীবন শুরু হয় তাঁর। সেই সময় ‘অভিমান’ ছবিতে সংস্কৃতিতে একটা শ্লোক গেয়েছিলেন। এরপর মারাঠি সিনেমায় গান গেয়েছিলেন। ছবির সঙ্গে ভক্তিগীতি প্রচুর সংখ্যায় গেয়েছেন। বর্তমানে তাঁর বয়স ৬৯ বছর। ১৯৬৯ সালে অরুণ পড়োয়ালের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। যদিও ১৯৯১ সালে স্বামী মারা যান। শচীনদেব বর্মণের সঙ্গে কাজ করে ছিলেন তিনি। তাঁর এক ছেলে আদিত্য এবং মেয়ে কবিতা। যদিও সম্প্রতি কয়েক বছর আগে ছেলের মৃত্যু হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: লোকসভার আগে তৃণমূলে বিরাট ভাঙন, বিষ্ণুপুরে ৩০০ তৃণমূল কর্মীর যোগদান বিজেপিতে

    Bankura: লোকসভার আগে তৃণমূলে বিরাট ভাঙন, বিষ্ণুপুরে ৩০০ তৃণমূল কর্মীর যোগদান বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার আগে তৃণমূলে ব্যাপক ভাঙন! তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন বেশকিছু বড় নেতা সহ ৩০০ জন কর্মী। ঘটনায় বাঁকুড়া (Bankura) জেলায় রাজনৈতিক উত্তাপ এখন ব্যাপক। বিজেপির দাবি, সংগঠন আরও শক্তিশালী হল। পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপিকে ব্যাপক সমালোচনা করা হয়। 

    লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি বৈঠকে যোগদান (Bankura)

    লোকসভার নির্বাচনের ঢাক বেজে উঠেছে। ইতি ইতিমধ্যে ত্রিন্মুল-বিজেপির পক্ষ থেকে বাঁকুড়া (Bankura) জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে। প্রচারের আবহেই তৃণমূল দলে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। তৃণমূলের পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ এবং সংখ্যা লঘু সেলের নেতা সহ মোট ৩০০ জন তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করলেন আজ। বিষ্ণুপুরের যদুভট্ট মঞ্চে বিজেপির লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি বৈঠকের আয়োজন করেছিল বিজেপি। এখানেই যোগদান অনুষ্ঠান হয়। সেখানে বিজেপি সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা ট্রিব্রেওয়াল। বিজেপিতে যোগদান করে তাঁর হাত থেকেই পতাকা নিয়েছেন তৃণমূলের নেতারা।

    সদ্য যোগ দেওয়া তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    এদিন বাঁকুড়ায় বিজেপির সভায় যোগদান করে তৃণমূল নেতা স্বপন কুমার ধীবর বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে গোটা দেশে চলা উন্নয়নের কাজে যোগদান করতেই আজ তৃণমূলকে বিদাই জানালাম। দিকে দিকে তৃণমূল দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত। বিজপির শক্তি আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। উন্নয়নের পক্ষে সকলে আমরা।”

    জেলা বিজেপির বক্তব্য

    বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অমরনাথবাবু বলেন, “আগামী লোকসভার নির্বাচনে বিষ্ণুপুরে বিজেপির জয়ী হবে দ্বিগুণ মার্জিনে। মোদির কাজে খুশি হয়ে তাঁরা বিজেপিতে যোগদান করেছেন। সংখ্যালঘু নেতা ৩০ জন এবং বাকি তৃণমূল কর্মী ৩০০ জন।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়ে বিষ্ণুপুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মহাদেব মাল বলেছেন, “বিষ্ণুপুরে বিজেপির ২০০ জন লোক নেই। আর যারা যোগদান করেছে তাদের দল থেকে আগেই বহিষ্কার করা হয়েছে।” কিন্তু লোকসভার আগে এই যোগদান জেলায় বিজেপির সংগঠনকে যে আরও শক্ত করবে সেই কথা অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাই মনে করছেন।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “হিন্দু হোক বা মুসলিম, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা ভারতীয়”, বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “হিন্দু হোক বা মুসলিম, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা ভারতীয়”, বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর (POK) ভারতের অংশ এবং এখানকার জনগণ হিন্দু হোক বা মুসলিম তাঁরা ভারতীয়ই। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা তাঁদের ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ভারতীয়ই, বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এক অনুষ্ঠানে শুক্রবার এই দাবি করেন শাহ। 

    প্রসঙ্গ সিএএ

    ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের জন্য এ দেশে আসা সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ওই দেশগুলি থেকে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি সিএএ-তে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও এই আইনে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্তদের কথা বলা হয়নি, এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “তিনটি দেশই ইসলামিক রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং মুসলমানরা নিপীড়নের মুখোমুখি হতে পারে না।” 

    সকলেই ভারতীয়

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, দেশভাগের সময় প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু সহ কংগ্রেস নেতারা বলেছিলেন যে, পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের ভারতে স্বাগত জানানো হবে। দেশভাগের সময় পাকিস্তানে হিন্দু জনসংখ্যা ২৩ শতাংশ ছিল। সেখান থেকে কমে এখন ৩.৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে, ১৯৫১ সালে বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যা ২২ শতাংশ ছিল। ২০১১ সালে তা কমে ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ১৯৯২ সালে আফগানিস্তানে শিখ ও হিন্দুদের সংখ্যা ২ লাখ ছিল। আজ মাত্র ৫০০-তে ঠেকেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশ্ন, কোথায় গেলেন বাকিরা? ভারতে তো তাঁরা আসেননি। অর্থাৎ, জোরপূর্বক ধর্মান্তরণ হয়েছে। কংগ্রেস নেতারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদি সরকার তা পূরণ করেছে। কিন্তু পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) ক্ষেত্রে এই বিষয়টি খাটে না বলেও মত দেন শাহ। তিনি বলেন, “পাক অধিকৃত কাশ্মীর হামারা হ্যায়। ওটা ভারতের, তাই ওখানকার সকল বাসিন্দা, হিন্দু হোক বা মুসলিম তাঁরা সকলেই ভারতীয়।”

    আরও পড়ুন: আরএসএস-এর শিবিরগুলির প্রশিক্ষণ পদ্ধতিতে এল বেশ কিছু পরিবর্তন

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর প্রসঙ্গ

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) ভারতের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রসঙ্গে অতীতে একাধিকবার শোনা গিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের কথায়। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় ২৪টি আসনও সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে গত কয়েক বছর ধরেই আন্দোলন চলছে। এমনকি বালুচিস্তানেও এ ধরনের একাধিক প্রতিবাদ হয়েছে। পাকিস্তান নয় ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার দাবিও উঠেছে পিওকে থেকে। ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর কাশ্মীরে পরিস্থিতির যে উন্নতি হয়েছে, সে কথাও স্মরণ করিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু তার জন্য আতঙ্কবাদকে কোনও ভাবেই রেয়াত না করার কথা শোনা গিয়েছে শাহের বক্তব্যে। ভারতের ক্ষতি করার কেউ চেষ্টা করলে পাল্টা জোরাল জবাব দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ফের বিজেপিতে অর্জুন, ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেন দিব্যেন্দু

    Lok Sabha Election 2024: ফের বিজেপিতে অর্জুন, ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেন দিব্যেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নানা জল্পনায় সিলমোহর পড়ল শুক্রবার। লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে আবার বিজেপিতে ফিরলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। একইসঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিলেন  শুভেন্দু অধিকারীর ভাই এবং পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে এক অনুষ্ঠানে বিজেপিতে যোগ দিলেন তাঁরা। শুক্রবার দিল্লিতে এই যোগদান পর্ব হয় দুষ্মন্ত  গৌতম, অমিত মালব্যের উপস্থিতিতে। 

    কেন বিজেপিতে দিব্যেন্দু

    শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari Joined BJP) তমলুকের তৃণমূল সাংসদ। শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই অধিকারী পরিবার তৃণমূলের থেকে দূরত্ব বাড়িয়েছে। বিজেপিতে যোগ না দিলেও তৃণমূলেও যে তিনি নেই, সেরকমটাই ভাবা হচ্ছিল। অবশেষে লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিলেন দিব্যেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘দিব্যেন্দু অধিকারী কোনও টিকিটের জন্য নয়, বিজেপিতে কাজ করবেন বলেই, কর্মী হিসেবে যোগ দিলেন।’ বিজেপিতে যোগ দিয়ে দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, “আজ আমার জন্য খুব শুভ দিন। আমি আজ বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হলাম।”শুভেন্দু অধিকারীর নামও এদিন শোনা গেল দিব্যেন্দুর মুখে। বলেন, “উনি বিধানসভার ভিতরে এবং বাইরে লড়ে যাচ্ছেন। আমাদের লক্ষ্য নিয়ে অমিত মালব্য বলেছেন। আমরা বাংলা বাঙালি মা দুর্গা, মা কালীর পুজো করি। সন্দেশখালিতে যা হয়েছে মহিলাদের প্রতি এর নিন্দার কোনও ভাষা নেই। সারা দেশের ইস্যু এখন সন্দেশখালি। বিজেপির কর্মী হিসাবে মাঠে নেমে বিজেপিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য।”

    কেন ফিরলেন অর্জুন

    অর্জুন সিং প্রসঙ্গে অমিত মালব্য বলেন, মাঝে কিছু কারণে পার্টির সঙ্গে তিনি  যোগাযোগ রাখতে পারেননি। এখন আবার পার্টির মুখ্য ধারায় যুক্ত হতে চান। অর্জুন সিং এদিন বলেন, “২০২১ সালে যেভাবে ভোট পরবর্তী অশান্তি বাংলায় হয়েছে, যেভাবে খুন রাহাজানি হয়েছে সেখানে সবথেকে বেশি আমার এলাকায় লোকজন অত্যাচারিত হন।  ৫০এর বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। দলের কর্মীদের বাঁচানোর জন্য আমাকে সাময়িক সময়ের জন্য দলবদল করতে হয়েছিল।’’ অর্জুন (Arjun Singh) আরও বলেন, ‘‘সন্দেশখালির ঘটনার পর আমি দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছি। কারণ মহিলাদের উপর ওই অত্য়াচার আমি সহ্য করতে পারিনি। প্রশাসন এবং গুণ্ডা একসঙ্গে অপরাধ করেন বাংলায়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: তৃণমূলের পর এবার প্রার্থী ঘোষণা করল বামেরাও, কারা রয়েছেন তালিকায়?

    Lok Sabha Elections 2024: তৃণমূলের পর এবার প্রার্থী ঘোষণা করল বামেরাও, কারা রয়েছেন তালিকায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections 2024) বিজেপিকে ধরাশায়ী করতে হয়েছিল জোট গঠন। ‘ইন্ডি’ নামের সেই জোটকে এড়িয়েই একতরফাভাবে রাজ্যের ৪২টি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে কংগ্রেস। আর বৃহস্পতিবারের বারবেলায় প্রথম দফার ১৬টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিল বামফ্রন্ট।

    প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা (Lok Sabha Elections 2024)

    এদিন বিকেলে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। এদিন যে ১৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে, তার মধ্যে ১৩টিতে লড়বে সিপিএম। বাকি তিনটি আসনে লড়বেন বাম শরিকরা। তৃণমূলের পর বামেরাও প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়ায় বাংলায় প্রশ্ন উঠছে জোটের ভবিষ্যৎ নিয়েই। লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections 2024) প্রথম দফায় ১৯৫জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বিজেপি। তার পরেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে তৃণমূল। এদিন ১৬টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিল বামেরাও। যে জেলাগুলির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলি হল, কোচবিহার, বালুরঘাট, জলপাইগুড়ি, কৃষ্ণনগর, আসানসোল, বর্ধমান পূর্ব, হুগলি, শ্রীরামপুর, দমদম, যাদবপুর, বাঁকুড়া, কলকাতা দক্ষিণ, হাওড়া সদর।

    তালিকায় কারা?

    দমদমে সুজন চক্রবর্তী, যাদবপুরে সৃজন ভট্টাচার্য, কলকাতা দক্ষিণে সায়রা শাহ হালিম, কৃষ্ণনগরে এসএম সাদি, আসানসোলে জাহানারা খান, হাওড়া সদরে সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান পূর্বে নীরব খাঁ, তমলুকে আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলিতে মনোদীপ ঘোষ, শ্রীরামপুরে দীপ্সিতা ধর, বাঁকুড়ায় নীলাঞ্জন দাশগুপ্ত, বিষ্ণুপুরে শীতল কৈবদ্য, জলপাইগুড়িতে দেবরাজ বর্মনকে প্রার্থী করেছে সিপিএম। বালুরঘাটে দাঁড় করানো হয়েছে আরএসপির জয়দেব সিদ্ধান্তকে। মেদিনীপুর আসনে লড়বেন সিপিআইয়ের বিপ্লব ভট্ট। কোচবিহারে প্রার্থী হচ্ছেন ফরওয়ার্ড ব্লকের নীতীশচন্দ্র রায়।

    আরও পড়ুুন: “ভারতের গণতন্ত্রে ঐতিহাসিক দিন”, এক দেশ এক ভোট প্রসঙ্গে বললেন শাহ

    বামেদের প্রথম দফার প্রার্থিতালিকায় মহিলা রয়েছেন তিনজন। যে ১৬ জনের নাম এদিন ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১৪জনেরই ‘হাতেখড়ি’ হচ্ছে লোকসভা নির্বাচনে। যদিও এঁদের মধ্যে কয়েকজন প্রার্থী হয়েছিলেন গত বিধানসভা নির্বাচনে। এদিকে, রাজ্যের ৮টি আসনে লড়াই করবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন আইএসএফ সুপ্রিমো নওসাদ সিদ্দিকি। আগে জানিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারে তিনি স্বয়ং প্রার্থী হবেন তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। এদিন জানিয়ে দিলেন প্রার্থী হচ্ছেন না তিনি (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share