Tag: bjp

bjp

  • Barasat Road Show of Narendra Modi: কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বারাসত পর্যন্ত ১১ কিমি রোড শো করবেন মোদি

    Barasat Road Show of Narendra Modi: কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বারাসত পর্যন্ত ১১ কিমি রোড শো করবেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে ফের দ্বিতীয় দফায় পশ্চিমবঙ্গে আসছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আগামী ৬ মার্চ বুধবার বারাসতে (Barasat) মহিলা সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন তিনি। ৫ মার্চ মঙ্গলবার সন্ধেবেলায় কলকাতায় আসবেন। এরপর তিনি রাজভবনে রাত্রিবাস করবেন। রাজ্যে সন্দেশখালির নারী নির্যাতনের কথা বিশেষ ভাবে আলোচনায় প্রধান্য পাবে বলে মনে করা হচ্ছে এই সভায়। আবার একই সঙ্গে ৬ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস, ফলে সবটা মিলিয়ে ভোটের আগে এই সভার গুরুত্ব ব্যাপক হতে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ।

    আন্তর্জাতিক নারী দিবসে মোদির সভা (Barasat Meeting)

    ইতি পূর্বে সরকারি প্রকল্পের একাধিক শিলন্যাস এবং উদ্বোধন করতে গত ১ এবং ২ মার্চ রাজ্যের এসেছিলেন মোদি (Narendra Modi)। সেই সঙ্গে কৃষ্ণনগর এবং আরামবাগে বিশাল জনসভা করেন। সভায় রাজ্যের তৃণমূল শাসনের দুর্নীতির একাধিক বিষয়কে তুলে ধরে তীব্র আক্রমণ করেছেন তিনি। একই ভাবে রাজ্যের নারী নির্যাতন এবং সন্দেশখালি প্রসঙ্গে মমতার সরকারকে তোপ দেগেছেন। এবার ৬ তারিখ বারাসতের কাছারি ময়দানে সভা করবেন। উত্তর ২৪ পরগনার নারী নির্যাতনের বিষয়কে হাতিয়ার করে আরও আক্রমণ তীব্র করতে দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল শাসনের অগণতান্ত্রিক আচরণ প্রধান্য পাবে তাঁর বক্তব্যে। বিমান বন্দর থেকে বারাসত (Barasat) পর্যন্ত মোট ১১ কিমি এলাকা রোড শো করবেন মোদি। জেলার প্রত্যেক মণ্ডল মণ্ডলে এই সভার লাইভ সম্প্রসারণ হবে। সারা দেশের মোট ৬ হাজার জায়গা থেকে লক্ষাধিক মহিলারা ভার্চুয়ালি অংশ গ্রহণ করবেন। জানা গিয়েছে হাওড়া ময়দান-এসপ্লানেড মেট্রো ইস্ট ওয়েস্ট উদ্বোধন করবেন মোদি।

    বিজপির বক্তব্য

    সোমবার রাতে বারাসতের (Barasat) সভাস্থল পরিদর্শন করতে আসনে বিজপির সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি বৈজয়ন্ত জয় পান্ডা এবং কেন্দ্রীয় মহিলা মোর্চার নেত্রীরা। বৈজয়ন্ত জয় পান্ডা মোদির সভা সম্পর্কে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নেতৃত্বে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও, লাখপতি দিদি সহ একাধিক নারী উন্নয়নের কাজ হয়েছে। এই কাজ আগে কখনও হয়নি। তাই প্রধানমন্ত্রীর সভায় এই জেলার সকল মা-বোনদের আহ্বান জানাচ্ছি। এই সভায় রাজ্যের মহিলা সংগঠক, কর্মী ও সমর্থকরা যোগদান করবেন।”    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok sabha Elections 2024: তৃণমূলকে টেক্কা! যাদবপুরে প্রচার শুরু বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Lok sabha Elections 2024: তৃণমূলকে টেক্কা! যাদবপুরে প্রচার শুরু বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘর সামলাতে ব্যস্ত তৃণমূল। এখনও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি ‘ইন্ডি’ জোটের অন্যতম এই শরিক। এদিকে, বিজেপির তরফে প্রকাশ করা হয়েছে (Lok sabha Elections 2024) প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা। ১৯৫ জনের এই তালিকায় রয়েছেন বাংলার ২০ জনও। এরই একটি কেন্দ্র হল যাদবপুর লোকসভা। সোমবার বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার গোয়ালবাড়িয়া শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করলেন পদ্ম প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়।

    প্রচারে বিজেপির প্রার্থী

    গত লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন অনুপম হাজরা। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী। সেবার অবশ্য হেরে যান পদ্ম প্রার্থী। তবে এবার যে তিনি জিততে চলেছেন, তা জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। প্রচারে (Lok sabha Elections 2024) বেরিয়ে তিনি বলেন, “নারী সুরক্ষা ও দুর্নীতিমুক্ত রাজ্য গড়ার সংকল্প নিয়েছে বিজেপি।” এদিন ভোটারদের নানা অভাব-অভিযোগের কথাও শোনেন অনির্বাণ। তিনি বলেন, “আরামবাগের রাজনৈতিক জনসভায় এসে প্রধানমন্ত্রী সন্দেশখালির ঘটনার নিন্দে করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে। শাহজাহান বাহিনীর মহিলাদের ওপর অত্যাচারের পর মুখ্যমন্ত্রীকে কিছু বলতে শোনা যায়নি। এই সব কিছুকে ইস্যু করেই এবার প্রচারে নেমেছি।”

    কে এই অনির্বাণ?

    অনির্বাণ ডঃ শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ট্রাস্টি। পুদুচেরির শ্রী অরবিন্দ ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার অফ এডুকেশন থেকে প্রাথমিক শিক্ষা নেন। অধ্যয়ন করেন ভাষা, দর্শন, ইতিহাস ও সঙ্গীত। ইংরেজি, ফরাসি, সংস্কৃত ও বাংলায় দক্ষ। গুজরাটি বোঝেন কিছুটা। তামিল ও ওড়িয়া ভাষায় কথা বলতে পারেন। অনির্বাণ খেলাধুলোয়ও পারদর্শী। আন্নামালাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে স্নাতকোত্তর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা ও পিএইচডি করেছেন। কলেজে পড়ার সময়ই আরএসএসের সংস্পর্শে আসেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: “একটাও বোমাবাজির কথা যেন শুনতে না হয়”, সাফ কথা কমিশনের

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক প্রচার করেন তিনি। ‘মোদির জন্য বাংলা, বাংলার জন্য মোদি’ এই বিশেষ প্রচারে নেতৃত্ব দেন তিনি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বোলপুর-শান্তিনিকেতন বিধানসভা কেন্দ্রে পদ্ম প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। ৯৪ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন অনির্বাণ (Lok sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “তাপস দা-কে দিয়ে শুরু, আরও হবে”, কীসের ইঙ্গিত দিলেন দিলীপ?

    Dilip Ghosh: “তাপস দা-কে দিয়ে শুরু, আরও হবে”, কীসের ইঙ্গিত দিলেন দিলীপ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তৃণমূলে মূল্যবোধ শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই তাঁদের (তাপস রায়ের মতো রাজনীতিকদের) পক্ষে দলে টিকে থাকা কষ্টের।” সোমবার তাপসের তৃণমূল-সঙ্গ ত্যাগ প্রসঙ্গে কথাগুলি বললেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এদিনই তৃণমূলের সঙ্গে ২৩ বছরের সম্পর্ক চুকিয়েছেন তাপস। ইস্তফা দিয়েছেন বিধায়ক পদেও। এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে দিলীপ বলেন, “তাপস দার মতো ওই জেনারেশনের রাজনীতিকরা দলে থাকতে পারছেন না। তৃণমূলে মূল্যবোধ শেষ হয়ে যাচ্ছে, তাই তাঁদের পক্ষে দলে টিকে থাকা কষ্টের। উনি অনেক চেষ্টা করেছেন, পারেননি।” তিনি (Dilip Ghosh) বলেন, “যাদের হাতে দল গিয়েছে, তারা মূল্যবোধ শেষ করে দিয়েছে। তাপস দা-কে দিয়ে শুরু হল, আগামীতে আরও অনেক এরকম দৃশ্য দেখা যাবে।”

    “মাথা উঁচু করে কাজ করবেন”

    তাপসের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে জানিয়ে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন, “অনেকবারই তাপস দা এরকম কথা বলেছেন। দলের অবস্থানের বাইরে গিয়ে মনের কথা বলেছেন। আজও তা-ই করেছেন। ওঁর মতো রাজনীতিক নিশ্চয়ই ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেবেন। ভবিষ্যতে মাথা উঁচু করে কাজ করবেন।” তিনি বলেন, “তাপস রায়ের মতো প্রবীণ নেতারা দলে প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছেন। তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তাই তাঁদের পক্ষে দলে থাকা সম্ভব হচ্ছে না।”

    তাপসের তৃণমূল ছাড়ার কারণ

    প্রসঙ্গত, প্রায় দু’ মাস ধরে ইডি তল্লাশি চালাচ্ছে তাপসের বাড়িতে। তৃণমূল ছাড়ার কারণ হিসেবে তাপস বলেন, “৫২ দিন হয়ে গেল। ইডি অভিযানে বিধ্বস্ত আমি ও আমার পরিবার। ভেবেছিলাম, মুখ্যমন্ত্রী পাশে দাঁড়াবেন। অন্য কারও বাড়িতে গেলে বলেন ইডি কৌটো নাড়াল। আমারও স্ত্রী-পুত্র রয়েছে। এগুলো হৃদয়কে নাড়াচাড়া করে।” তিনি বলেন, “বিধানসভায় মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শেখ শাহজাহানকে ইডি টার্গেট করেছে বললেন, অথচ আমার বাড়িতে ইডির হানার কথা উল্লেখই করলেন না। আমি আহত, আঘাতপ্রাপ্ত।” তৃণমূলের এই প্রাক্তন সেনানী বলেন, “বাহান্ন দিন আমি মুখ্যমন্ত্রীর ডাক পাইনি। আমার স্ত্রী, কন্যাও ডাক পায়নি। উনি সকলের পাশে দাঁড়িয়ে যান। আমিও আশা করেছিলাম, ক্রিয়েটেড ইডি রেইডের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাবেন। কিন্তু তা হয়নি (Dilip Ghosh)।”

    আরও পড়ুুন: “একটাও বোমাবাজির কথা যেন শুনতে না হয়”, সাফ কথা কমিশনের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha election 2024: ঘাটালে শুভেন্দুর হাতে ধরেই লোকসভার প্রচার শুরু হিরণের

    Lok Sabha election 2024: ঘাটালে শুভেন্দুর হাতে ধরেই লোকসভার প্রচার শুরু হিরণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার নির্বাচনের (Lok Sabha election 2024) দিন ঘোষণার আগেই প্রচারে নেমে পড়েছে রাজ্য বিজেপি। বিজপির তরফ থাকে প্রথম দফায় প্রার্থী তালিকায় পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত বাংলায় ২০টি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থীদের নামের তালিকায় প্রকাশ করেছে বিজেপি। ইতি মধ্যেই কোথাও সাংবাদিক সম্মেলন, দেওয়াল লিখন আবার কোথাও মিছিল করে প্রার্থীরা প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    ঘাটালে প্রচার হিরণের (Lok Sabha election 2024)

    আজ থেকেই লোকসভা ভোটের (Lok Sabha election 2024) প্রচার শুরু করে দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে এই প্রচার অভিযানে লক্ষ্য করা গিয়েছে নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। দুজনকে হাত ধরে এক সঙ্গে হাঁটতে দেখা যায় মিছিলে। এদিন ঘাটালে পদযাত্রা করার পর একটি সভাও অনুষ্ঠান করেন তাঁরা। একই সঙ্গে দলের নেতা কর্মীরা যোগদান করে বিজেপিকে জয় যুক্ত করার প্রচারে অংশ গ্রহণ করেন।

    মালদায় প্রচার শ্রীরূপার

    অপর দিকে ইংরেজ বাজার লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন শ্রীরূপা মিত্র। তিনি দক্ষিণ মালাদা লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রচার অভিযান শুরু করে দিয়েছেন তিনি। সকাল থেকে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মাধ্যমে নিজে প্রচার (Lok Sabha election 2024) শুরু করেন তিনি। মালদা শহরের মধ্যে পোস্ট অফিসের সামনে শ্যামাপ্রসাদের মূর্তিতে মাল্যদান করে এলাকা সাফাই অভিযানে নামেন তিনি। আবার আগামী ৫ মার্চ বিকেলে কলকাতায় আসবেন নরেন্দ্র মোদি। বিজেপির মহিলা মোর্চার শক্তি বন্দনা কর্মসূচির সমাপ্তি ভাষণ দেবেন। অপরে ৬ মার্চ বারাসতে কাছারি ময়দানে সভা করবেন মোদি। অপরে আবার ৯ মার্চ বিকেলে ৫ টায় শিলিগুড়িতে সরকারি প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে একটি জনসভা করবেন বলে জানা গিয়েছে।

    তৃণমূলের প্রচার শুরু

    অপর দিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে নিউটাউন, রাজারহাট, জ্যাংড়া, হাতিয়াড়া এলাকায় নির্বাচনী (Lok Sabha election 2024) দেওয়াল লেখন শুরু হয়েছে। যদিও তাদের দলের তরফ থেকে প্রার্থী নামের তালিকা ঘোষণা করা হয়নি। তাই প্রার্থীর নামের জায়গা ফাঁকা রেখে দেওয়াল লেখনের কাজ করছে এলাকার তৃণমূলের নেতারা।      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “সচেতন মানুষদের রাজনীতিতে আসা উচিত” বার্তায় নির্বাচনী প্রচার শুরু নির্মল সাহার

    Murshidabad: “সচেতন মানুষদের রাজনীতিতে আসা উচিত” বার্তায় নির্বাচনী প্রচার শুরু নির্মল সাহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন ডাক্তার নির্মল সাহা। তিনি একজন বিশিষ্ট সমাজসেবী এবং পেশায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ডাক্তার বলে পরিচিত। গত ২ মার্চ শনিবার দিল্লির সদর দফতর থেকে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে আসন্ন লোকসভার ১৯৫ জনের পদ প্রার্থী নামের তালিকা ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে বাংলায় মোট ২০ জনের নাম ঘোষণা হয়েছে। একই ভাবে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী গৌরিশঙ্কর ঘোষ।

    বহরমপুর কেন্দ্রে আগের বারের জয়ী প্রার্থী ছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি। তিনি এখানে ৫ বারের কংগ্রেস সাংসদ। এদিন সাংগঠনিক বৈঠক করে বিজেপি প্রার্থী ডাক্তার নির্মল সাহা জয় বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন।

    কী বললেন নির্মল সাহা (Murshidabad)

    বিজেপি প্রাথী নির্মল সাহা (Murshidabad) বলেন, “দল আমাকে প্রার্থী করেছে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। সমাজের নানা বর্গের মানুষ, শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবী, বিজ্ঞানী সকল সচেতন মানুষদের রাজনীতিতে আসা উচিত। মানব সম্পদের উন্নয়ন হোক, সুস্থ সমাজ চাই। মানুষের জন্য মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চাই। নিজের ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়াকে উপেক্ষা করে সমাজের মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চাকরি ইত্যাদি নিয়ে কাজ করতে হবে। মানব সম্পদকে ৫০০ টাকা দিয়ে ঘরে বসিয়ে রাখা যাবে না। মানুষকে প্রলোভনের নামে শোষণ করা যাবে না। ভুলকে সব সময় ভুল বলতে হবে। নিজেদের প্রয়োজনে সঠিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে হবে।”

    লড়াই মোদি বনাম ইন্ডি

    উল্লেখ্য এই বহরমপুরের (Murshidabad) বিধানসভা থেকে জনসংঘ দলের হয়ে হরিপদ ভারতী জয়ী হয়েছিলেন। এই কথা প্রসঙ্গ স্মরণ করে নির্মল সাহা আরও বলেন, “এই লোকসভার লড়াই হল মোদি বনাম ইন্ডির। রাজনীতিতে সামাজিক ভাবে সচেতন মানুষদের আসতে হবে। দায়িত্বশীল মানুষেরা রাজনীতিতে আসলে ব্যবস্থার পরিবর্তন অবশ্যই হবে। পরের প্রজন্মের জন্য আমরা এক সুন্দর সমাজ উপহার দিতে পারব। যেভাবে এই সমাজ চলছে সমাজ অবক্ষয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই অবক্ষয় থামানো দরকার। সকল মানুষের কাছে পৌঁছানোই আমাদের একমাত্র কর্তব্য।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Modi Ka Parivar: লালুর কটাক্ষের জবাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘মোদি কা পরিবার’ স্লোগান শাহ-নাড্ডাদের

    Modi Ka Parivar: লালুর কটাক্ষের জবাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘মোদি কা পরিবার’ স্লোগান শাহ-নাড্ডাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লালু প্রসাদ যাদবের কটাক্ষের জবাব দিল বিজেপি। সোমবার তারা অনলাইনে প্রচার শুরু করল ‘মোদি কা পরিবার’ (Modi Ka Parivar)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও নিশানা করেছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এক্স হ্যান্ডেলে মুখের মতো জবাব দিয়েছেন লালুকে।

    কী বলেছিলেন লালু?

    প্রসঙ্গত, রবিবার পাটনার এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে লালু বলেন, “তিনি (প্রধানমন্ত্রী) তো প্রকৃত হিন্দুও নন। হিন্দু ঐতিহ্য অনুসারে একজন ছেলে তাঁর বাবা-মায়ের মৃত্যুর পরে মাথা মুড়িয়ে ফেলেন, দাড়ি কেটে ফেলেন। কিন্তু যখন মা মারা গেলেন, তখন মোদি এটা করেননি (Modi Ka Parivar)।” লালু বলেন, “ওঁর যদি পরিবার না থাকে, আমরা কী করতে পারি? উনি রাম মন্দির নিয়ে বড়াই করেই চলেছেন।”

    প্রধানমন্ত্রীর জবাব

    লালুকে জবাব দিতে তেলঙ্গানার আদিলাবাদের জনসভাকেই বেছে নেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “আমি ওঁদের পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন করেছি। তার উত্তরে ওঁরা বলছেন, মোদির পরিবার নেই। আমার জীবন তো একটা খোলা বই। আমি আমার দেশের জন্য বাঁচব। আমার ভারত আমার পরিবার।”

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল ছাড়লেন তাপস রায়, ইস্তফা বিধায়ক পদেও, ওগরালেন একরাশ ক্ষোভ

    বিজেপি নেতা তথা সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, “ইন্ডি ব্লকে তো কোনও হিন্দুই নেই। তাঁদের কাছে হিন্দু মানে হল দলিত, সাবর্ন, উত্তর ভারতীয়রা, দক্ষিণ ভারতীয়রা, কন্নড়, তামিল, তেলুগু, মারাঠি, পাঞ্জাবি, বাঙালি এমনকী হিন্দিভাষীরা। কিন্তু হিন্দু নয়। কারণ তারা ভারতকে টুকরো টুকরো ভাবে দেখতে চায়। একটি পরিবার দেশ ভাগ করেছিল রাজনীতি করতে। আর আজ, তারা যাদের সঙ্গে রয়েছে, তারাও দেশকে ভাগ করতে চায়। তারা এটা চায় কারণ দেশের একটি অংশও যদি তারা শাসন করতে পারে!”

    বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় কুমার সিনহা বলেন, “লালুর মন্তব্য থেকেই বোঝা যায় রাজনীতি তাঁদের কাছে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। তাঁরা দেশের সনাতন ধর্মকেই অপমান করছেন। লালু, যিনি নিজেই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত, তিনি যে ভাষায় কথা বলছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে, তাতে স্পষ্ট তাঁরা সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে। তাঁরা দেশের শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসা ঐতিহ্যের বিরোধী (Modi Ka Parivar)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: “গতবারের তুলনায় ডবল মার্জিনে আমরা জয়ী হব”, বিজেপি প্রার্থী হয়ে বললেন লকেট

    Hooghly: “গতবারের তুলনায় ডবল মার্জিনে আমরা জয়ী হব”, বিজেপি প্রার্থী হয়ে বললেন লকেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার টিকিট পেয়েই সক্রিয় বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। লোকসভার পদপ্রার্থী হওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিজেপি নেত্রী। হুগলি (Hooghly) লোকসভার ১৮ লক্ষ মানুষের আওয়াজ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো লোকসভায় যেতে বদ্ধপরিকর লকেট। তাঁর নাম গত শনিবার প্রেস কনফারেন্সে প্রকাশিত হতেই দলীয় পার্টি অফিসে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়। উল্লেখ্য, আসন্ন লোকসভা উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় বিজেপি প্রথম দফায় সারা দেশে ১৯৫ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করেছে। তার মধ্যে এই রাজ্যের রয়েছেন ২০ জন প্রার্থী। এই ২০ জনের মধ্যে দেখা যায় হুগলি থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায় পুনরায় টিকিট পেয়েছেন।

    কী বললেন লকেট (Hooghly)?

    হুগলিতে (Hooghly) প্রেসমিট করে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গতবারের তুলনায় ডবল মার্জিনে আমরা জয়ী হব। তৃণমূল রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপি কর্মীদের উপর ব্যাপক অত্যাচার করেছে। আমরা সেই ধাক্কা সামলে নিজেদের ঘর গুছিয়ে নিয়েছি। আমাদের কর্মীরা এলাকায় ভীষণ ভাবে সক্রিয় রয়েছেন। আমি প্রধানমন্ত্রী এবং দলের নেতৃত্বকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। আমরা এবার ৩৫টি আসন বাংলা থেকে উপহার দেবো। আমি আমার রাজ্যের কথা সংসদে বলতে সক্ষম হয়েছি। লোকসভার আগে তৃণমূলের অন্দরে কোন্দল শুরু হয়েছে, সরকার ভেঙে যেতে পারে। এলাকায় তৃণমূলের মদতে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে কিন্তু আমাদের সংগঠন অনেক মজবুত রয়েছে। এই বারে সংসদে ৪০০ আসন পাবে বিজেপি।”

    শুরু দেওয়াল লেখন

    রবিবার দুপুর থেকেই হুগলীতে (Hooghly) লকেটের সমর্থনে দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছে। লকেটের সমর্থনে এলাকায় বিজপি কর্মীরা নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। এদিন চুঁচুড়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পিপুলপাতি এলাকায় দেওয়াল লেখার সূচনা করেন খোদ প্রার্থী। পাশাপাশি কর্মীসভা, চায়ে পে চর্চার মাধ্যমে সারাদিনই ব্যস্ত থাকেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। জনসংযোগের মাধ্যমে অন্য দলগুলির তুলনায় প্রথম রাউন্ডে এগিয়ে থাকাই যে তাঁর লক্ষ্য তা তিনি এদিন বুঝিয়ে দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মমতার সভার আগেই শুভেন্দু গড়ে ধরাশায়ী তৃণমূল, সমবায় বোর্ড দখল বিজেপির

    BJP: মমতার সভার আগেই শুভেন্দু গড়ে ধরাশায়ী তৃণমূল, সমবায় বোর্ড দখল বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমোর পূর্ব মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা করার আগেই তৃণমূলকে জোর ধাক্কা দিল বিজেপি (BJP)। সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে জিতল বিজেপি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুর ব্লকের বৃন্দাবনপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের এড়াশাল সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে বিজেপি। লোকসভা ভোটের আগে শুভেন্দুর গড়ে জোর ধাক্কা খেল তৃণমূল।

    সমবায়ের ৬টি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি (BJP)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চণ্ডীপুর ব্লকের বৃন্দাবনপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের এড়াশাল সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটকে ঘিরে সকাল থেকে উত্তেজনা ছিল। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন করা হয় চণ্ডীপুর থানার পুলিশ। ওই সমিতিতে মোট ৯টি আসন। সব আসনেই প্রার্থী দেয় দুইপক্ষ। সমবায় সমিতি নির্বাচনে কোনও প্রতীক না থাকলেও সকাল থেকে লড়াই ও উত্তেজনা ছিল চরমে। ৯টি আসনের মধ্যে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি (BJP) ৬টি আসন পায়। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ৩টি আসনে জয়লাভ করে। জয়ের পর আবির খেলায় মেতে উঠেন জয়ী সমবায় সমিতির সদস্যরা থেকে বিজেপি কর্মীরা। আবির ও বাজি ফাটিয়ে উল্লাস করেন তাঁরা। এই জয় লোকসভা নির্বাচনের আগে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতি তরজা

    স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এখানে কোনও প্রতীক থাকে না। বিজেপি অহেতুক উল্লাস করছে। প্রতীক থাকে না, তাই ব্যক্তি কেন্দ্রিক ভোট হয়। তাই, লোকসভায় এর কোনও প্রভাব পড়বে না। তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপির (BJP) সহ- সভাপতি পুলক কুমার গুড়িয়া বলেন, “সব থেকে পুরনো সমবায় সমিতি। ১০৪ বছরের বেশি পুরনো। সেখানেই তৃণমূল ও সিপিএম যেভাবে দুর্নীতি করে গিয়েছে তা বাঁচানোর জন্য এলাকার নেতৃত্ব থেকে ও স্থানীয় বাসিন্দারা গর্জে উঠেছেন। মানুষ তৃণমূলকে মেনে নিতে পারছেন না। তাই, লোকসভা ভোটের আগে দলীয় কর্মীদের কাছে এই ফল বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Elections 2024: শিলিগুড়িতেও সভা করবেন মোদি! কবে, কখন কী বললেন সুকান্ত?

    Loksabha Elections 2024: শিলিগুড়িতেও সভা করবেন মোদি! কবে, কখন কী বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনকে (Loksabha Elections 2024) সামনে রেখে ফের বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার বারাসতের সভার পর আগামী শনিবার উত্তরবঙ্গে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপি সূত্রে খবর, সব ঠিক থাকলে ৯ মার্চ শিলিগুড়িতে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আরামবাগ, কৃষ্ণনগরের মতো শিলিগুড়িতেও কিছু সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করবেন তিনি। এছাড়াও ওই দিন সেখানে একটি জনসভা করার কথা তাঁর। উল্লেখ্য, বারাসতে সভার আগে মঙ্গলের রাতেই কলকাতায় পা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi in Bengal)। তিনি রাজভবনে রাত কাটাবেন।

    শিলিগুড়িতে মোদি!

    রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গ সফর আপাতত ৬ মার্চ শেষ হচ্ছে না। আগামী মঙ্গলবার কলকাতায় চলে আসবেন প্রধানমন্ত্রী। রাজভবনে রাত্রীবাস করার কথা তাঁর। তারপর আগামী ৯ মার্চ উত্তরবঙ্গ সফরে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। শিলিগুড়িতে সরকারি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি চব্বিশের লোকসভা ভোটের প্রচারে রাজনৈতিক জনসভাও করবেন নরেন্দ্র মোদি। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষে বা তৃতীয় সপ্তাহের শুরুতেই লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে বলা যায়, ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই বাংলায় অন্তত হাফ ডজন সভা করে ফেলতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। শনিবার শিলিগুড়ির সভা হলে নয় দিনে চারটি সভা করে ফেলবেন তিনি। 

    বারাসতে মোদি

    আগামিকাল, মঙ্গলবার রাতেই ফের কলকাতা আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তিনি থাকবেন রাজভবনে। রাত্রিবাসের পর বুধবার, ৬ মার্চ সকালে কলকাতায় সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে বারাসতের উদ্দেশে রওনা দেবেন। সূত্রের খবর, ওড়িশায় কর্মসূচি সেরে বিমানে করে দমদম আসবেন মোদি ৷ সেখান থেকেই রাজভবনে যাবেন তিনি। এসপিজির কড়া নিরাপত্তায় গাড়ি চেপে রাত আটটা নাগাদ তাঁর ঢোকার কথা। বারাসতের সভায় সন্দেশখালির ‘নির্যাতিতা’ মহিলাদের সঙ্গেও আলাদা করে কথা বলতে পারেন মোদি। এদিনই প্রধানমন্ত্রী নদীর তলা দিয়ে দেশের প্রথম মেট্রো রুটের উদ্বোধন করবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রীর বার্তা নিয়ে মোদির দূত হিসেবে বাড়ি বাড়ি যাবেন বিজেপি কর্মীরা

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রীর বার্তা নিয়ে মোদির দূত হিসেবে বাড়ি বাড়ি যাবেন বিজেপি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১০০ দিন প্রতিটি গ্রামে যেতে হবে, প্রতিটি বাড়িতে যেতে হবে। গিয়ে বলতে হবে নরেন্দ্র মোদি আপনাদের প্রণাম পাঠিয়েছেন, আপনাদের আশীর্বাদ চাইছেন। শনিবার নদিয়ার  কৃষ্ণনগরে জনসভা থেকে বিজেপি কর্মীদের এই বার্তা দিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেই বার্তা মাথায় রেখে রবিবার থেকেই জেলায় শুরু হচ্ছে সেই কর্মসূচি।

    বাড়ি বাড়ি যাবেন মোদির দূত (PM Modi)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা জেলা জুড়ে প্রতিটি বুথে বুথে এই কর্মসূচি চলবে। শনিবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরে একটি প্রকাশ্য জনসভা করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লোকসভা ভোটের আগে তাঁর এই রাজনৈতিক কর্মসূচি যথেষ্ট তাৎপর্য ছিল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। মূলত এই কর্মসূচি থেকে দলীয় কর্মীদের কি বার্তা দেন পাশাপাশি রাজ্যের জন্য কি কি বরাদ্দ করেন সেদিকে তাকিয়ে ছিলেন রাজ্যবাসী এবং বিজেপি কর্মীরা। জনসভা থেকে নরেন্দ্র মোদি বেশ কিছু আর্থিক বরাদ্দের কথা ঘোষণা করেন রাজ্যবাসীকে। পাশাপাশি তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্প রাজ্যে বাস্তবায়িত হতে দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। অন্যদিকে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্প গুলি নিজেদের নামে প্রচার করার চেষ্টা করছে এই সরকার। তিনি বলেন, লোকসভা ভোটের আগের দিন পর্যন্ত গ্রামে গ্রামে প্রতিটি বাড়িতে যাবেন। বলবেন, নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) আপনাদের প্রণাম এবং আশীর্বাদ চেয়েছেন। এবার সেই বার্তা নিয়ে মাঠে নামতে চলেছে বিজেপির জেলা স্তর থেকে শুরু করে বুথ স্তরের কর্মীরা। রবিবার নদিয়ার উত্তর সাংগঠনিক জেলার একটি মিটিং হতে পারে। সেখানেই এই কর্মসূচি নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলবে। এদিন থেকে এই জেলার মোদির দূত হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় বাড়িতে বাড়িতে যাবেন বিজেপি কর্মীরা।

    বিজেপি-র জেলা সভাপতি কী বললেন?

    নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি-র সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, ইতিমধ্যেই আমরা বিস্তর আলোচনা করেছি এই বিষয় নিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর বার্তাকে সামনে রেখে আমরা প্রতিটি বুথ স্তরে কর্মীদের নিয়ে প্রতিটি গ্রামে এবং বাড়িতে বাড়িতে যাব। প্রধানমন্ত্রী এই বার্তা আমরা সকলের কাছে পৌঁছে দেব এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।  প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) জনসভার পরেই দিল্লি থেকে বিভিন্ন রাজ্যে লোকসভার প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। নদিয়ার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা না হলেও রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র সহ বেশ কয়েকটি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। তাই লোকসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভা এবং তাঁর এই বার্তা অনেকটা কর্মীদের উৎসাহ যোগাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share