Tag: bjp

bjp

  • Sandeshkhali Incident: ‘‘মণিপুর নিয়ে শুধু কথা, সন্দেশখালিতে কী হচ্ছে?’’, কলকাতায় এসে প্রশ্ন অর্থমন্ত্রী নির্মলার

    Sandeshkhali Incident: ‘‘মণিপুর নিয়ে শুধু কথা, সন্দেশখালিতে কী হচ্ছে?’’, কলকাতায় এসে প্রশ্ন অর্থমন্ত্রী নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (SandeshKhali Incident) ইডির উপরে হামলার ৫৪ দিন অতিক্রান্ত। তবুও অধরা মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান। সেখানকার মহিলারা নির্যাতনের শিকার। বিরোধীদের সেখানে কথা বলতে দেওয়া হয় না। সর্বত্র আতঙ্কের পরিবেশ। এবার রাজ্যে এসে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে সুর চড়ালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। তিনি বলেন, ‘বলা হচ্ছে ৭ দিনে গ্রেফতার হবে শেখ শাহজাহান। তা হলে শেখ শাহজাহান কোথায়, সবাই জানে?’ লোকসভা ভোটের কয়েক মাস আগে মহানগরে দাঁড়িয়ে নির্মলা বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে এত মৃত্যু হয়েছে। তার জবাব না দিয়ে শুধুই অন্যদের আক্রমণ। মণিপুর নিয়ে এত কথা, সন্দেশখালিতে কী হচ্ছে?’

    কী বললেন নির্মলা

    জাতীয় গ্রন্থাগারের ভাষা ভবনে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নির্মলা (Nirmala Sitharaman) দাবি করেন, “ইন্ডিয়া জাস্টিস রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের পুলিশি ব্যবস্থা এবং আইন-শৃঙ্খলার তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ প্রায় নীচের দিকে।” তিনি বলেন, ‘‘গত জানুয়ারিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে কী ভাবে ইডি আধিকারিকরা উন্মত্ত জনতার দ্বারা আক্রান্ত হন। গুরুতর জখম হন। তার পরেও পুলিশ রাজনৈতিক প্রভুদের নির্দেশ মতো কাজ করে।’’ শাহজাহানের গ্রেফতার না হওয়া নিয়েও এ দিন সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন নির্মলা। তাঁর কথায়, ‘‘সন্দেশখালির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এখনও গ্রেফতার হয়নি। প্রশাসনের ঔদ্ধত্য দেখে অবাক হতে হয়!” তাঁর অভিযোগ, “সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। অথচ মন্ত্রীরা যাচ্ছেন। পুলিশের আচরণ তৃণমূলের গুন্ডাদের মতো।”

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে ‘১৭৪ ধারা’! স্থানীয় অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরতের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়

    মণিপুর প্রসঙ্গ

    রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে তুলোধনা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।  মণিপুর নিয়ে তৃণমূলের ভূমিকা মনে করিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, “সন্দেশখালির (SandeshKhali Incident) কথা বলতে গিয়ে আমার গা-হাত-পা কেঁপে ওঠে। আইন শৃঙ্খলার কেমন ছবি এটি? সংসদে মণিপুর নিয়ে কত প্রশ্ন! কেন গেলেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? তিনি তো সেখানে গিয়েছেন। শিবিরে থেকেছেন। যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার, নিয়েছেন।” কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি চলতি মাসের মাঝামাঝিই সন্দেশখালির অত্যাচার নিয়ে সরব হয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক বলেছিলেন,”শুধু জমি নয়, সন্দেশখালির মহিলাদের সম্মান লুঠ করেছে তৃণমূল।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rajya Sabha Election 2024: রোখা গেল না ক্রশ ভোটিং, হিমাচলে হার কংগ্রেস প্রার্থী সিংভির

    Rajya Sabha Election 2024: রোখা গেল না ক্রশ ভোটিং, হিমাচলে হার কংগ্রেস প্রার্থী সিংভির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার হল রাজ্যসভার (Rajya Sabha Election 2024) ১৫টি আসনে নির্বাচন। ৫৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪১জন জিতে গিয়েছিলেন আগেই। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন বিভিন্ন দলের ওই ৪১জন। বাকি আসনগুলিতে হয়েছে নির্বাচন। এই আসনগুলি উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক ও হিমাচল প্রদেশের।

    নজরে উত্তরপ্রদেশ

    জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশে রাজ্যসভার আসন খালি ছিল ১০টি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজেপি জিতেছে সাতটিতে। তিনটিতে জয়ী হতে পারে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি। কর্নাটকে রাজ্যসভার আসন রয়েছে চারটি। প্রার্থী পাঁচজন। এখানে কংগ্রেস জয়ী হয়েছে তিনটি আসনে। বিজেপি জিতেছে একটিতে। কংগ্রেসের তরফে জয়ী হয়েছেন অজয় মাকেন, জিসি চন্দ্রশেখর এবং সঈদ নাসির হুসেন। আর পদ্ম প্রতীকে জয়ী হয়েছেন নারায়ণসা কে ভাণ্ডেজ। মাকেনও জিতেছেন ক্রশ ভোটিংয়ের জেরে। বিজেপি বিধায়ক এসটি সোমশেখর ভোট দিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থীকে। ভোট দানে বিরত ছিলেন শিবরাম হেব্বার।

    হিমাচলে দোদুল্যমান কংগ্রেস!

    হিমাচল প্রদেশে (Rajya Sabha Election 2024) ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। তা সত্ত্বেও এখানে মুখ থুবড়ে পড়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী। বিজেপির চেয়ে তাদের বিধায়ক সংখ্যাও ঢের বেশি। তা সত্ত্বেও বিজেপি প্রার্থী হর্ষ মহাজন জয়ী হয়েছেন ক্রশ ভোটিংয়ের জেরে। এখানে হর্ষর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিংভি। তাঁকে জেতাতে হুইপ জারি করেছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তার পরেও রোখা যায়নি ক্রশ ভোটিং। সিংভি বলেন, “গতকাল রাত থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা।”

    আরও পড়ুুন: লোকসভা ভোটের আগেই লাগু সিএএ আইন! নোটিশ জারি কবে জানেন?

    তবে হর্ষকে অভিনন্দন জানান সিংভি। তিনি বলেন, “হর্ষ মহাজনকে অভিনন্দন জানাই। উনি জয়ী হয়েছেন। আমি শুধু ওঁর দলকে একটি কথাই বলতে চাই, আয়নায় নিজেদের দেখুন। এক নৈশভোজেই মানুষ পাল্টে যায় ভাবলে তা মূর্খের দুনিয়ায় বাস করার সমতুল।” প্রসঙ্গত, ১৩টি জেলায় ৫০টি রাজ্যসভা আসনের সাংসদদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২ এপ্রিল। ওড়িশা ও রাজস্থানের ছয় রাজ্যসভার সাংসদ অবসর নেবেন ৩ এপ্রিল (Rajya Sabha Election 2024)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CAA: লোকসভা ভোটের আগেই লাগু সিএএ আইন! নোটিশ জারি কবে জানেন?

    CAA: লোকসভা ভোটের আগেই লাগু সিএএ আইন! নোটিশ জারি কবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই যে সিএএ (CAA) চালু হবে, বিভিন্ন সময় তা দাবি করেছেন বিজেপি নেতারা। মঙ্গলবার জানা গেল, লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই লাগু হয়ে যেতে পারে সিএএ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রেই এ খবর মিলেছে। লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গেলেই চালু হয়ে যাবে আদর্শ আচরণ বিধি। জানা গিয়েছে, তার আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জারি করতে পারে সিএএ নোটিফিকেশন।

    সিএএ

    সিএএ (CAA) আইনে পরিণত হয় ২০১৯ সালে। এতদিন তা লাগু হয়নি। তবে এবার লাগু হবে ওই আইন। এবং তা হবে লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগেই। নাম প্রকাশ করা হবে না এই শর্তে এক সরকারি আধিকারিক বলেন, “শীঘ্রই জারি হতে পারে সিএএ বিধিগুলি। আইনটি কার্যকরের পাশাপাশি যোগ্যদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজও শুরু করা হবে। লোকসভা নির্বাচনের আগেই তা চালু করতে চিন্তাভাবনা করছে সরকার।” তিনি বলেন, “সিএএ আইন প্রস্তুত। তৈরি অনলাইন পোর্টালও। পুরো প্রক্রিয়াটি হবে অনলাইনে।”

    কী বললেন শাহ?

    দিন কয়েক আগে সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, “সিএএ দেশের আইন। এ ব্যাপারে অবশ্যই নোটিশ জারি হবে। নোটিশ জারি হবে নির্বাচনের আগেই। এনিয়ে কোনও দোটানা থাকার কথাই নয়।”

    দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে সংসদে সিএএ পাশ করিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। পরে বিলটিতে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করায় সেটি পরিণত হয় আইনে। এই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মতো মুসলমান ধর্মাবলম্বী দেশগুলি থেকে যদি ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে সে দেশের সংখ্যালঘুরা ভারতে আশ্রয় চান, তাহলে তা দেবে নয়াদিল্লি। উনিশে পাশ হলেও, এখনও কার্যকর হয়নি সিএএ। লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই আইনই লাগু করতে নোটিফিকেশন করতে চলেছে কেন্দ্র।

    আরও পড়ুুন: “সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে হিমাচলের কংগ্রেস সরকার”, দাবি বিজেপির

    সিএএ (CAA) নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল বিস্তর। সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োতে তড়িঘড়ি আন্দোলনে নেমে পড়ে বিজেপি বিরোধী দলগুলি। বাংলায়ও ব্যাপক আন্দোলন হয়। সেসবে আমল না দিয়েই সিএএ আইন করে মোদি সরকার। যার সুফল কুড়োবেন ভারতের তিন প্রতিবেশী দেশ থেকে ধর্মীয় উৎপীড়নের জেরে ভারতে চলে আসা শরণার্থীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Locket Chatterjee: সন্দেশখালির আওয়াজ সুনামির মতো সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়বে, আরামবাগে লকেট

    Locket Chatterjee: সন্দেশখালির আওয়াজ সুনামির মতো সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়বে, আরামবাগে লকেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির আওয়াজ সুনামির মতো সারা বাংলা জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। বাংলায় যেখানে যেখানে ছোট ছোট সন্দেশখালি হয়ে আছে আগামীদিনে তা বেরিয়ে আসবে। ১লা মার্চ প্রধানমন্ত্রীর আরামবাগে জনসভার আগে মঙ্গলবার আরামবাগে দলীয় নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠক করেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) । বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বললেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনে হুগলি থেকেই তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে আরও একবার পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলেন তিনি।  তিনি বলেন,  হুগলি থেকেই আমি দাঁড়াচ্ছি। হুগলি ছেড়ে কোথাও যাব না। হুগলি থেকে জিতেই আবার সংসদে যাব।

    সন্দেশখালিতে নিয়ে সরব বিজেপি সাংসদ (Locket Chatterjee)

    সন্দেশখালিতে ইডি-র ওপর হামলার পর থেকে শাহজাহান ফেরার। শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ থাকা মানুষ একে একে মুখ খুলছেন। জনরোষ আছড়ে পড়েছে সন্দেশখালি জুড়ে। পার্টি অফিসে ডেকে সুন্দরী মহিলাদের পর নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে গর্জে উঠেছেন মহিলারা। সন্দেশখালির এই ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ (Locket Chatterjee) বলেন, সন্দেশখালির  ঘটনা খুব দুঃখজনক।‌ সন্দেশখালিতে গণধর্ষণের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে। সাধারণ মানুষের কাছে থেকে জোর করে জমি দখল করেছিল শাহজাহান বাহিনী। সেই জমি প্রশাসনের মাধ্যমে ফেরানো শুরু হয়েছে। এটা থেকে প্রমাণিত যে সন্দেশখালির ঘটনা সত্য। যা হয়েছে তা উস্কানি নয় এবং সত্য ঘটনাই  মহিলাদের মুখ থেকে শোনা যাচ্ছে।‌

    মুখ্যমন্ত্রী তোপ দাগলেন লকেট

    লকেট (Locket Chatterjee) বলেন, বিগত ১২বছর ধরে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের সুরক্ষা দেওয়ার বদলে মহিলাদের অত্যাচারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এখান থেকে মহিলা পাচার পর্যন্ত হচ্ছে। খানাকুলে একজন মহিলাকে পুলিশ মেরেছে। এটা মেনে যাও সন্দেশখালির ঘটনার পর রাজ্যের মহিলা শক্তিকে এগিয়ে আসতে হবে। এই মহিলা শক্তিই পারবে রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে চেয়ার থেকে নামিয়ে আনতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: “সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে হিমাচলের কংগ্রেস সরকার”, দাবি বিজেপির

    BJP: “সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে হিমাচলের কংগ্রেস সরকার”, দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে রাজ্যের কংগ্রেস সরকার।” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন হিমাচল প্রদেশের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) জয়রাম ঠাকুর। গত নির্বাচনে রাজ্যের ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হন সুখবিন্দর সিং সুখু। সুখবিন্দরের নেতৃত্বে সরকারই সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে বলে দাবি বিজেপির।

    সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে সরকার

    বুধবার বাজেটে পেশ হবে হিমাচল প্রদেশ বিধানসভায়। বিরোধী দলনেতা বলেন, “আগামিকাল বাজেট পেশ হবে। আমরা বাজেট নিয়ে আলোচনা করব। তখনই আমরা পরিস্থিতি বিচার করব। কিন্তু আমি দেখতে পাচ্ছি, সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে।” মঙ্গলবার রাজ্যসভার নির্বাচন হয় হিমাচল প্রদেশে। বিজেপি প্রার্থীই জয়ী হবেন বলে আশা কেন্দ্রের শাসক দলের। রাজ্যে বিধানসভার আসন সংখ্যা ৬৮। তার মধ্যে ৬৭ জন বিধায়ক শিমলায় রাজ্যসভার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। অসুস্থতার কারণে (BJP) তিনি ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। তাই ভোট দিতে আসেননি বিধায়ক কংগ্রেসের সুদর্শন সিং বাবলু।

    রাজ্যসভায় লড়াই

    হিমাচল প্রদেশে রাজ্যসভার প্রার্থী নির্বাচনের দিকে নজর রয়েছে গোটা দেশের। এই নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভি। পদ্ম প্রতীকে লড়ছেন হর্ষ মহাজন। হর্ষ কংগ্রেসের প্রতীকে দাঁড়িয়ে তিনবার বিধানসভায় গিয়েছিলেন। হয়েছিলেন মন্ত্রীও। বাইশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেপ্টেম্বর মাসে কংগ্রেস ছাড়েন তিনি। যোগ দেন বিজেপিতে। কংগ্রেস বধে রাজ্যসভায় তাঁকেই লড়াইয়ের ময়দানে নামিয়ে দিয়েছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, বিধানসভার ৬৮টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের দখলে রয়েছে ৪০টি। তিন নির্দলের সমর্থনও রয়েছে সুখবিন্দর সিং সুখুর সরকারের সঙ্গে।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালিকাণ্ডে শর্তসাপেক্ষে সুকান্তকে ধর্নায় অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের

    সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে হিমাচল প্রদেশে বিজেপির বিধায়ক রয়েছেন ২৫ জন। তাই কংগ্রেসকে হারানো সম্ভব নয় বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। দলীয় প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভিকে জেতাতে রবিবারই বিধায়কদের হুইপ জারি করে কংগ্রেস। হুইপ মেনে কংগ্রেসের প্রত্যেক বিধায়ককে তাঁদের অথরাইজড এজেন্টকে ব্যালট দেখাতে হবে। কোনও বিধায়ক যদি ব্যালট প্রদর্শন করতে না চায়, তাহলে তাঁর ভোট অবৈধ বলে গণ্য হবে। সোমবারই বিজেপির প্রার্থী মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে কংগ্রেসের জারি করা তিন লাইনের হুইপের বিষয়ে অভিযোগ জানান। বিজেপির মতে, নির্বাচনের ক্ষেত্রে হুইপ জারি করাটা অনৈতিক। হর্ষ বলেন, “নির্বাচনের ক্ষেত্রে এমনতর হুইপ জারি করা যে কেবল অনৈতিক তা নয়, এটি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার আচরণের বিরোধীও। কারণ হুইপ জারি করা হলে তা প্রভাব ফেলবে বিধায়কদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে (BJP)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি যেতে গিয়ে গ্রেফতার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা, হাইকোর্টে দায়ের মামলা

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি যেতে গিয়ে গ্রেফতার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা, হাইকোর্টে দায়ের মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) যাওয়ার পথে আটকে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের। গ্রেফতার করা হয় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকেও। এবার এই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। মঙ্গলবার বিচারপতি কৌশিক চন্দর এজলাসে মামলা দায়ের করেছে দিল্লির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। 

    কেন আটকানো হল

    মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, “শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের যেতে দিচ্ছে পুলিশ, কিন্তু বাকিদের আটকানো হচ্ছে।” মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত রবিবার সন্দেশখালি গিয়েছিল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। সেদিন ধামাখালি হয়ে সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) পাত্রপাড়া, মাঝেরপাড়া, নতুনপাড়ায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পথেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিচারপতি নারসিমা রেড্ডি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের যুগ্ম রেজিস্ট্রার রাজপাল সিং, ওপি ব্যাস, জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের কনসালট্যান্ট ভাবনা বাজাজ এবং বর্ষীয়ান সাংবাদিক সঞ্জীব নায়ক। পথেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। টেনেহিঁচড়ে তাঁদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। কেন সন্দেশখালি যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, পুলিশের উদ্দেশে সেই প্রশ্ন করতে থাকেন তাঁরা। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হল।

    আরও পড়ুন: ‘দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন’’, ফের শামির পাশে প্রধানমন্ত্রী, ধন্যবাদ জানালেন পেসারও

    এর আগে জাতীয় মহিলা সুরক্ষা কমিশন থেকে শুরু করে এসসি কমিশন সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) এলাকা পরিদর্শন করে। সন্দেশখালি এলাকায় যান স্বয়ং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পাশাপাশি, একাধিক রাজনৈতিক দল সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়। সন্দেশখালির একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, শাসক দলের নেতারা খুব সহজেই সেখানে পৌঁছে যেতে পারছেন। এলাকায় ভয়ের পরিবেশ রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: ‘সায়নীকে হারিয়েছিল এখানকার তৃণমূলই’, দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ মমতার

    Mamata Banerjee: ‘সায়নীকে হারিয়েছিল এখানকার তৃণমূলই’, দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ মমতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সায়নীকে হারিয়েছিল এখানকার তৃণমূলই’ কার্যত লোকসভার ভোটের আগে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এইভাবেই আসানসোলে বিধানসভা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। জেলা তৃণমূলের কর্মীদের উপর এবার অসন্তোষ প্রকাশ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। উল্লেখ্য গত ২০২১ সালের বিধানসভায় তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। অপর দিকে তাঁকে পরাজিত করেছিলেন বিজেপির জয়ী প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল। মমতার (Mamata Banerjee) মন্তব্যে তৃণমূলের মধ্যেই অস্বস্থির ছায়া।

    কী বললেন মমতা (Mamata Banerjee)?

    গতকাল সোমবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি বৈঠক ছিল দুর্গাপুর সার্কিট হাউসে। বিধানসভা কেন্দ্রিক দলকে জয়ী করার লক্ষ্য মাত্রা ঠিক করা হচ্ছিল। এরপর আসানসোল দক্ষিণের কথা উঠলে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গতবারের বিধানসভায় এই কেন্দ্রের হারকে নিয়ে তিনি বলেন, “আমার কাছে সব খবর রয়েছে। জেলার তৃণমূলের নেতারা বিশ্বাস ঘাতকতা করলে কাউকেই ছেড়ে কথা বলা হবেনা।” সেই সঙ্গে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনকে নির্বাচনের সময় পিছনের সারিতে থাকার কথা বলেছেন তিনি। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, “ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ এসেছে আমার কানে। দলের কর্মীদের বাদ দিয়ে বিরোধী দলের কর্মীদের কলকারখানা, সরকারি-বেসরকারি জায়গায় কাজের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা এমন কাজ করেছেন তাঁরা ঠিক কাজ করেননি।”

    দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছিলেন সায়নী

    আসানসোলে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে পরাজয়ের পর সায়নী সেই সময় বলেছিলেন, “কিছু ভাল খেলা হয়েছে। কিছু খারাপ খেলাও হোয়েছে। তুমিও জানো আমিও জানি, কে ঠিক করে খেলেছে আবার কে ভুল খেলেছে। কে দলের হয়ে খেলেছে আবার কে দলের বিরুদ্ধে খেলেছে। সব থেকে বেশি কর্মীরাই জানেন।” তাই মমতার (Mamata Banerjee) মন্তব্যে তৃণমূলের অন্দরে কোন্দল স্পষ্ট বলে মনে করছে বিজেপি। মমতার স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, “প্রত্যেকে বিধানসভার যে সব আসনে তৃণমূলের বিধায়কেরা রয়েছেন, সেই সব আসনে লোকসভা ভোটে তাঁদেরকে দায়িত্ব নিয়ে জয়ী করতে হবে দলের প্রার্থীদের। বাকি আসনের দায়িত্ব থাকবে জেলা নেতৃত্বের।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: ‘রাম’ ধাক্কায় উত্তরপ্রদেশ, অসমে কুপোকাত বিরোধীরা, বলছে সমীক্ষা

    Lok Sabha Elections 2024: ‘রাম’ ধাক্কায় উত্তরপ্রদেশ, অসমে কুপোকাত বিরোধীরা, বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের রাম ধাক্কায় লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections 2024) উত্তরপ্রদেশে খড়কুটোর মতো উড়ে যাবেন বিরোধীরা! সাম্প্রতিক এই সমীক্ষায়ই এই তথ্য উঠে এসেছে। আর উত্তরপ্রদেশের রাশ মুঠোয় এসে গেলে বিজেপি যে বিপুল ভোটে ক্ষমতায় ফিরবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

    হিন্দি বলয়েও ব্যাপক ফল করবে পদ্ম

    কথায় বলে, উত্তরপ্রদেশের রশি যার হাতে থাকবে, কেন্দ্রের কুর্সিতেও বসবে সেই দল। সম্প্রতি প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষা করেছিল ফেডেরাল পুথিয়াথালাইমুরাই অ্যাপ্ট ২০২৪ নামে একটি সংস্থা। সেই সমীক্ষায়ই জানা গিয়েছে, গেরুয়া ঝড়ে উত্তরপ্রদেশে খড়কুটোর মতো উড়ে যাবে বিজেপি-বিরোধী দলগুলি। কেবল উত্তরপ্রদেশ নয়, হিন্দি বলয়েও ব্যাপক ফল করবে পদ্ম শিবির। উত্তর-পূর্ব ভারতের অসমেও বিজেপি চোখ ধাঁধানো ফল করবে বলে প্রকাশ সমীক্ষায়। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় দ্বারোদ্ঘাটন হয়েছে রাম মন্দিরের। এদিনই গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন বালক রাম। রাজনৈতিক মহলের মতে, এরই অ্যাডভান্টেজ পেতে চলেছে গেরুয়া শিবির।

    গেরুয়া ঝুলিতে কত আসন?

    প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় (Lok Sabha Elections 2024) জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের ৮০টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৭৮টিতে ফুটবে পদ্ম। শতাংশের হিসেবে এ রাজ্যে বিজেপি পাবে ৫৪.৩৩ শতাংশ ভোট। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে যোগী রাজ্যে বিজেপি পেয়েছিল ৬২টি আসন। সেবার গেরুয়া ঝুলিতে পড়েছিল ৪৯.৯৮ শতাংশ ভোট। উনিশের আগে লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল ২০১৪ সালে। সেবার উত্তরপ্রদেশে বিজেপি পেয়েছিল ৭১টি আসন। সমীক্ষায় প্রকাশ, আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির হাতে যাবে ৭৮টি আসনের রশি।

    আরও পড়ুুন: ‘‘হচ্ছেটা কী?’’ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের রাজ্যকে ভর্ৎসনা বিচারপতি বসুর

    এ রাজ্যে কংগ্রেস জিততে পারে একটি আসনে। আর একটি আসন দখল করতে পারে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে অখিলেশের দল পেয়েছিল মাত্র পাঁচটি আসন, কংগ্রেস একটি। এ রাজ্যের মাত্র ২০ শতাংশ ভোটার মনে করেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির চেয়ে ভালো অখিলেশ। এই সমীক্ষায়ই জানা গিয়েছে, মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টি পেতে পারে মাত্র ১৫ শতাংশ ভোট।

    বিজেপি (Lok Sabha Elections 2024) চোখ ধাঁধানো ফল করবে অসমেও। উত্তরপ্রদেশের মতো এ রাজ্যেও ভোটারদের মধ্যে বৈচিত্র্য রয়েছে। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে লোকসভার আসন রয়েছে ১৪টি। সমীক্ষা বলছে, এর মধ্যে ১০টি জিততে পারে বিজেপি। বাকি চারটি আসনে জিততে পারে কংগ্রেস।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rajya Sabha Election 2024: জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি, আজ তিন রাজ্যের ১৫ আসনে রাজ্যসভা নির্বাচন

    Rajya Sabha Election 2024: জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি, আজ তিন রাজ্যের ১৫ আসনে রাজ্যসভা নির্বাচন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন রাজ্যে রাজ্যসভার ১৫টি আসনের জন্য আজ মঙ্গলবার হতে চলেছে ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে, ১০টি আসনে লড়াই হবে উত্তরপ্রদেশে। পাশাপাশি নির্বাচন হচ্ছে হিমাচল প্রদেশ এবং দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কর্নাটকেও। উত্তরপ্রদেশে ১০টির মধ্য ৭টি আসনে বিজেপি প্রার্তীর জয় নিশ্চিত। অষ্টম আসনেও অঙ্কের বিচারে কিছুটা এগিয়েই রয়েছে পদ্ম শিবির। কর্নাটকেও লড়াই চলছে। হিমাচলের একটি আসনেও প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। সেখানে ক্রস ভোটিং হতে পারে বলে অনুমান রাজনীতির কারবারিদের। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। ৫টা থেকে শুরু হবে গণনা।

    উত্তরপ্রদেশের সমীকরণ

    সংখ্যার হিসাবে উত্তরপ্রদেশের সাতটি আসনে বিজেপি প্রার্থীর জয় নিশ্চিত। সমাজবাদী পার্টি (এসপি) শিবিরের তিন প্রার্থীর জয় চলতি মাসের গোড়া পর্যন্ত নিশ্চিত ছিল। সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় লোক দলের এনডিএ-তে যোগদান এবং দু’জন এসপি বিধায়কের প্রকাশ্যে বিজেপি প্রার্থীকে সমর্থনের ঘোষণার পরে ছবিটা পাল্টে গিয়েছে। বিজেপি প্রথমে সাত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও, বিরোধী শিবিরের দোলাচল দেখে অষ্টম আসনেও প্রার্থী দিয়েছে। বতর্মানে ৪০৩ আসনের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় চারটি আসন খালি। ভোট দেবেন ৩৯৯ জন বিধায়ক। রাজ্যসভায় এক জন প্রার্থীকে জিততে পেতে হবে ৩৭টি ভোট। আট প্রার্থীকে জেতাতে বিজেপির প্রয়োজন ২৯৬টি ভোট। তাঁদের পক্ষে ২৮৬টি ভোট নিশ্চিত। এছাড়াও বাকি ১০টি ভোট পাওয়ার ক্ষেত্রেও আশাবাদী গেরুয়া শিবির। এসপি-র দুই বিধায়ক ইতিমধ্যেই বিজেপিকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন।  এই পরিস্থিতিতে চাপে রয়েছেন অখিলেশ যাদব। নিজেদের তিন প্রার্থীকে জেতাতে সমাজবাদী পার্টির প্রয়োজন ১১১টি ভোট। তাদের বিধায়ক সংখ্যা ১০৮ হলেও অনেকে দলের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে বিজেপিকে ভোট দেবে বলে জানিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ভোটের আগে ধাক্কা কংগ্রেসে, ঝাড়খণ্ডের একমাত্র সাংসদ গীতা কোড়া গেলেন বিজেপিতে

    কর্নাটকেও ভোট

    চারটি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের তিনটি এবং প্রধান বিরোধী দল বিজেপির একটিতে জেতার কথা। কিন্তু আর এক বিরোধী দল জেডিএসের সঙ্গে জোট বেঁধে দু’টি আসনে লড়তে নেমেছে পদ্মশিবির। কংগ্রেসের অজয় মাকেন, সৈয়দ নাসির হুসেন এবং জি সি চন্দ্রশেখর ভোটে লড়ছেন। বিজেপি-র প্রার্থী নারায়ণসা ভেন্ডেজ। কর্নাটকে ২২৪ জন বিধায়ক। এর মধ্যে কংগ্রেসের ১৩৫ জন। বিজেপি-র ৬৬ এবং জেডিএসের ১৯ জন। তিনজন প্রার্থীর জয় সুনিশ্চিত করতে গেলে ১৩৫ জনেরই ভোট প্রয়োজন কংগ্রেসের। একটি ভোটও বিরোধী শিবিরের দিকে ঝুঁকলে কপাল পুড়বে কংগ্রেসের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “অত লোকের সামনে আমাকে উলঙ্গ করে দিল সিরাজেরা”, বিস্ফোরক নির্যাতিতা

    Sandeshkhali: “অত লোকের সামনে আমাকে উলঙ্গ করে দিল সিরাজেরা”, বিস্ফোরক নির্যাতিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সবার সামনে আমাকে উলঙ্গ করল, শাহজাহান-শিবু-উত্তম-সিরাজ-শঙ্কর সামনে রেখে চলত অত্যাচার।’ ঠিক এই ভাবে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতা। ইতিমধ্যে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি গ্রেফতার হয়েছেন। একই ভাবে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা শঙ্কর সর্দার। প্রতিবাদী মহিলাদের আন্দোলনে ফের একবার উত্তাল গোটা এলাকা।

    উলঙ্গ করার অভিযোগ (Sandeshkhali)

    সোমাবার সকাল থেকে আবার উত্তপ্ত সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। বেড়মজুর এলাকায় ফের মহিলারা হাতে লাঠি, বাঁশ নিয়ে রাস্তায় নামেন। নির্যাতিতা, নিগৃহীত মহিলাদের ক্ষোভ ছিল শঙ্কর সর্দারের বিরুদ্ধে। যে কোনও সমস্যা মেটাতে গেলে যেতে হতো শাহজাহানের ভাই সিরাজের কাছে। তারপর চলত সেখানে যৌননিগ্রহ। গ্রামের এক নির্যাতিতার বক্তব্য, “গত বেশ কয়েক মাস আগের ঘটনা, আমাদের পরিবারে সমস্যা সমাধানের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সিরাজের কাছে। সঙ্গে ছিল অজিত মাইতি। কোষাধ্যক্ষ এবং আরও অনেক মহিলা ছিল। অত লোকের সামনে আমাকে উলঙ্গ করে দিল সিরাজেরা। সেই সময় আমি একা হয়ে গিয়েছিলাম। ভয়ে কাউকে জানাতে পারিনি। আমার পাশে কেউ এসে দাঁড়ায়নি। আমার কোলে বাচ্চা ছিল দিদির কাছে। সেই বাচ্চাকেও ব্যাপক মারধর করা হয়। পারিবারিক বিবাদ মেটানোর নাম করে আমার শ্লীতাহানি করে শঙ্কর-সিরাজেরা।”

    শঙ্করের বাড়িতে জনরোষ

    শঙ্করের গ্রেফতারে পর ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। নির্যাতিত মহিলাদের ক্ষোভের উত্তাপ গিয়ে পড়ে শঙ্করের পরিবারের উপর। বাড়িতে চলে ব্যাপক ভাঙচুর। খড়ের গাদায় লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। শঙ্করের পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এলাকার নিগৃহীতদের বক্তব্য, “আমাদের উপর যখন আক্রমণ হয় সেই সময় ওঁরা বুঝতে পারেনি অত্যাচার কাকে বলে। এবার বুঝুক।”

    অপর দিকে গতকাল বজবজে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন শাজাহানকে গ্রেফতারে হাইকোর্টের স্থাগিতাদেশ রয়েছে। অপরে আজ সোমবার হাইকোর্ট একটি মামলার শুনানিতে স্পষ্ট হয় করে গ্রেফতারে কোনও স্থগিতাদেশ নেই। এরপর রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুনাল ঘোষ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে জানিয়েছেন আগামী ৭ দিনের মধ্যে শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share