Tag: bjp

bjp

  • Bharat Ratna: অ-বিজেপি দুই প্রধানমন্ত্রীকে ভারতরত্ন, কী বললেন নাড্ডা?

    Bharat Ratna: অ-বিজেপি দুই প্রধানমন্ত্রীকে ভারতরত্ন, কী বললেন নাড্ডা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনজনকে ভারতরত্ন (Bharat Ratna) সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে বলে শুক্রবার জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এঁরা হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের নরসিংহ রাও, দেশের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী তথা ভারতীয় লোক দলের প্রতিষ্ঠাতা চৌধুরি চরণ সিংহ এবং ভারতে সবুজ বিপ্লবের জনক এম স্বামীনাথন। স্বামীনাথন বিজ্ঞানী। কিন্তু বাকি দুজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। দুজনেই আবার ঘোরতরভাবে বিজেপি বিরোধী দলের নেতা ছিলেন। তা সত্ত্বেও কেন তাঁদের দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ভারতরত্নে ভূষিত করা হচ্ছে?

    ভারতরত্ন

    চরণ সিংহকে ভারতরত্ন (Bharat Ratna) সম্মান দেওয়ার কারণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “উনি কৃষকদের অধিকার ও তাঁদের কল্যাণের জন্য নিজের পুরো জীবন সমর্পণ করে দিয়েছিলেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হোন বা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হোন বা বিধায়ক হোন, উনি সর্বদা দেশের উন্নতির জন্য কাজ করে গিয়েছেন।” কংগ্রেস নেতৃত্বকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “জরুরি অবস্থার সময় কঠোরভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। আমাদের কৃষক ভাইবোনেদের প্রতি উনি যেভাবে নিজের জীবন সমর্পণ করেছেন এবং জরুরি অবস্থার সময় গণতন্ত্রের প্রতি তাঁর যে অবদান রয়েছে, তা দেশের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক।”

    নরসিমহা রাওয়ের প্রশংসা

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিমহা রাওয়েরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “ভারতের অর্থনীতিকে মজবুত করে তোলার ক্ষেত্রে তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যা দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য শক্তিশালী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে দিয়েছিল।”

    আরও পড়ুুন: পুলিশি হেফাজত আরাবুল ‘কারাবুলে’র, সিঁদুরে মেঘ দেখছে জাহাঙ্গিরের অনুগামীরা

    এই দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছাড়াও আরও একজনকে ভারতরত্ন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী এলকে আডবাণী। আডবাণী বিজেপি হলেও, বাকি দুই ভারতরত্ন-প্রাপক তো বিজেপি নন! দলীয় বৃত্তের মধ্যেই যে পুরস্কার ভাগ-বাঁটোয়ারা হয়ে যায় (নিন্দকদের এহেন বক্তব্যের সঙ্গে মাধ্যম সহমত পোষণ করে না), সেখানে বিজেপি বিরোধী দুই রাষ্ট্রনেতাকে কেন দেওয়া হচ্ছে ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান? মোক্ষম জবাবটি দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তাঁর মতে, মোদি সরকার দলের ঊর্ধ্বে উঠে দেশবাসীর প্রতি যাঁরা অবদান রেখেছেন, তাঁদের সম্মানিত করেছে। নরসিমহা রাও সম্পর্কে নাড্ডা বলেন, “তিনি দ্রুত অর্থনীতির দুয়ার খুলে দিয়েছিলেন।” আর চরণ সিংহ সম্পর্কে তাঁর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, “আমাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের প্রকৃত প্রতিনিধি তিনি (Bharat Ratna)।”

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: ‘কেন্দ্রে ফের বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার’, বলছে সমীক্ষা

    Lok Sabha Elections 2024: ‘কেন্দ্রে ফের বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার’, বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ-ই ফের আসছে কেন্দ্রের ক্ষমতায়। ‘মুড অফ দ্য নেশনে’র সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য। এর আগে দেশ-বিদেশের একাধিক সংস্থার সমীক্ষাতেও জানা গিয়েছিল, তৃতীয়বারের জন্য কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। কেন্দ্রে তৃতীয়বার বিজেপির ক্ষমতায় ফেরাটা যে স্রেফ সময়ের অপেক্ষা, তা বিভিন্ন সময় বলেওছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। তাঁর সেই দাবিতেই এবার শিলমোহর দিল ‘মুড অফ দ্য নেশন’ও।

    আরও বেশি আসন

    গত দু’বারের চেয়েও এবার (Lok Sabha Elections 2024) আরও বেশি সংখ্যক আসন নিয়ে কেন্দ্রের কুর্সিতে ফিরতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদি। মাস দুয়েক আগে দিল্লিতে দলের সদর দফতরে গিয়ে সে ইচ্ছে প্রকাশও করেছিলেন তিনি। তার পরেই প্রচারের সুর বেঁধে নেয় পদ্মশিবির। জন্ম হয় নয়া স্লোগানের – ‘আব কি বার, চারশো পার’। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ৪০০ না হলেও, কিছু আসন কম পেয়ে ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার।

    ‘মুড অফ দ্য নেশনে’র সমীক্ষা

    ‘মুড অফ দ্য নেশনে’র সমীক্ষায় প্রকাশ, যদি এখনই লোকসভা নির্বাচন হয়, তবে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ পেতে পারে ৩৩৫টি আসন। যদিও সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২টি আসন। জানা গিয়েছে, দেশের সব লোকসভা কেন্দ্রের ৩৫ হাজার ৮০১ জন ভোটারের ওপর সমীক্ষাটি করা হয়েছিল। তাতেই জানা গিয়েছে এনডিএর জয়জয়কারের খবর।

    উল্টো দিকের ছবিটা বড় করুণ। বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে জোট বেঁধেছিল ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয়েছে ‘ইন্ডি’। সেই জোটের কোন্দলের জেরে প্রায়ই খবরের শিরোনামে চলে আসে ইন্ডি। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, এই ইন্ডি জোট সব মিলিয়ে ১৬৬টি আসন। প্রত্যাশিতভাবেই বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানাতে গেলে যে শক্তির প্রয়োজন, সেই শক্তি থাকবে না বিরোধী শিবিরের। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি একাই পেতে পারে ৩০৪টি আসন।

    আরও পড়ুুন: অবৈধ মাদ্রাসা ভাঙাকে কেন্দ্র করে অশান্ত উত্তরাখণ্ড, মৃত ৪, আহত ২৫০, জারি কারফিউ

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ৩০৩টি কেন্দ্রের রাশ। পদ্ম শিবিরের জয়রথের চাকা যখন গড়গড়িয়ে চলবে, তখন কংগ্রেস হাঁটবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। অন্তত সমীক্ষার ফলের ইঙ্গিত তেমনই। জানা গিয়েছে, এবার কংগ্রেস পেতে পারে ৭১টি আসন, গতবারের চেয়ে ১৯টি আসন বেশি। সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, রাম মন্দির নির্মাণ, ভূস্বর্গ থেকে ৩৭০ ধারা লোপ এবং দেশজুড়ে উন্নয়নের জোয়ার, সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির ওপরই ভরসা রাখছেন দেশের সিংহভাগ মানুষ (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ফেব্রুয়ারিতেই রাজ্যে শাহ-নাড্ডার সফর! বেঁধে দেবেন লোকসভা ভোটের প্রচারের সুর

    Amit Shah: ফেব্রুয়ারিতেই রাজ্যে শাহ-নাড্ডার সফর! বেঁধে দেবেন লোকসভা ভোটের প্রচারের সুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৮ জানুয়ারি কলকাতায় পা রাখার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। কিন্তু শেষমেশ সফর বাতিল হয়ে যায়। সূত্রের খবর, চলতি মাসেই ফের রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ (Amit Shah) ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতেই তাঁদের এই সফর, এমনটাই জানা গিয়েছে বিজেপি সূত্রে। তবে দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। গত নভেম্বরের ২৯ তারিখ কলকাতার ধর্মতলায় সভা করেছিলেন শাহ। এরপর ফের ডিসেম্বেরের ২৫ তারিখ রাজ্যে আসেন অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডা। তারপর ফের বিজেপির দুই শীর্ষ নেতার পা পড়তে চলেছে ফেব্রুয়ারি মাসেই।

    বিজেপির রাষ্ট্রীয় অধিবেশন ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি

    দিল্লিতে বিজেপির দুইদিনের রাষ্ট্রীয় অধিবেশন রয়েছে চলতি মাসেই। আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে বসবে বিজেপির রাষ্ট্রীয় অধিবেশন। সেখানে রাজ্য বিজেপির সব নেতা পদাধিকারী, সাংসদ, বিধায়ক এবং প্রাক্তনদেরও উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। তারপরেই এই সফর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে রাজ্যে বর্তমানে বোর্ডের পরীক্ষা চলছে। সেক্ষেত্রে ইনডোর সভা হবে বলে জানা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষের সঙ্গে বৈঠকও করতে পারেন শাহ (Amit Shah)। হবে কর্মিসভাও। প্রসঙ্গত, রাজ্যের বোর্ডের পরীক্ষা শেষ হবে ২ এপ্রিল। তাই তারপরেই জনসভা বা প্রকাশ্যে মিটিং করা যাবে।

    বিজেপির সাংগঠনিক ভাগ

    রাজ্যে লোকসভার আসন রয়েছে ৪২টি। ৪২টি আসনকে বিজেপি ভাগ করেছে ১১টি ক্লাস্টারে। ১০টি ক্লাস্টার চারটি করে লোকসভা আসন নিয়ে। আর একটিতে দু’টি আসন রয়েছে সেটি মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর। গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর, ১০টি ক্লাস্টারেই শাহ অথবা নাড্ডার কর্মসূচি থাকবে। ভোটপ্রচারে নামার আগে এগুলিতে রণনীতি তৈরি করবেন অমিত শাহরা (Amit Shah)। একারণে, কোথাও কর্মিসভা, কোথাও নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক, কোথাও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের সঙ্গে বৈঠক হবে। শাহ-নাড্ডার এই সফর বিজেপি কর্মীদের বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: কথা রেখেছেন শাহ, দিল্লি যাচ্ছেন বিভীষণ হাঁসদার পরিবার

    Bankura: কথা রেখেছেন শাহ, দিল্লি যাচ্ছেন বিভীষণ হাঁসদার পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ‘কৃতজ্ঞতা’ জানাতে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন বাঁকুড়ার (Bankura) বিভীষণ হাঁসদা। গতকাল বুধবার রাতে ট্রেনে করেই দিল্লিতে যাত্রা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। সঙ্গে রয়েছেন মেয়ে এবং স্ত্রী। পালটা তৃণমূলের বক্তব্য, লোকসভার আগে প্রচার পেতে চাইছে বিজেপি।

    প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Bankura)

    চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে বাঁকুড়া (Bankura) সফর করার সময় চতুরডিহি গ্রামে বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে এসে মধ্যাহ্ন ভোজন করেছিলেন অমিত শাহ। সেই সময় নিজের বাড়িতে এসে মধ্যাহ্ন ভোজনের সময় বিভীষণ তাঁর মেয়ের অসুস্থার কথা জানিয়ে ছিলেন বিভীষণ হাঁসদা। আর তা শুনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই মতো ওষুধপত্র পাঠিয়ে ছিলেন তিনি। এবার তাঁকেই কৃতজ্ঞতা জানাতে দিল্লি রওনা দিয়েছেন এই আদিবাসী পরিবার। গতকাল রাত আটটার ট্রেনে চেপে দিল্লির জন্য যাত্রা শুরু করেছেন তাঁরা।

    কী বলল বিভীষণের মেয়ে?

    দিল্লির জন্য ট্রেনে উঠে বিভীষণের মেয়ে রচনা হাঁসদা বলেন, “ভীষণ ভাবে আমরা এক্সাইটেড। আমার সমস্ত চিকিৎসার খরচ তিনি চালাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে দেখা করে কৃজ্ঞতা জানাবো।” আবার বিজেপির বাঁকুড়া (Bankura) জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র বলেন, “বিভীষণের পরিবারের সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।” এলাকাবাসীর বক্তব্য দীর্ঘদিনের রোগগ্রস্থ পরিবারের পাশে থেকে সবরকম সহযোগিতার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র সরকার।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই বিষয়কে সমালোচনা করে জেলার (Bankura) তৃণমূল নেতা মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, “ঠিক সেই সময়কার সংবাদ শিরোনামে থাকা বিভীষণের পাশে তৃণমূল কংগ্রেস ছিল। এখন সামনে লোকসভার ভোট, তাই তাকে হাতিয়ার করে বিশেষ প্রচার করছে হাঁসদা পরিবারকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সবটাই রাজনীতির অঙ্গ।”

    রাজনৈতিক টানাটানি করেছে তৃণমূল

    ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর অমিত শাহ একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বাঁকুড়ায়। সেই সময় এই আদিবাসী পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। সেই সময় এই আদিবাসী পরিবারের মেয়ের অসুস্থার কথা শুনে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করার প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর পালটা তৃণমূল থেকেও বারবার পরিবারের কাছে সাহায্যের জন্য প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু আদতে এলাকাবাসীর (Bankura) দাবি, শাসক দল রাজনীতি করতে ব্যাপক ভাবে টানাটানি করেছে পরিবারকে নিয়ে। তৃণমূলের কাছ থেকে কিছু সাহায্যও পাঠানো হয়েছিল। কিন্ত মূলত বিজেপির সঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীতাই বেশি ছিল শাসক দলের।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: এনডিএ-তে যোগ দিচ্ছে টিডিপি! বৈঠকে শাহ-নায়ডু, দক্ষিণে জমি শক্ত বিজেপির

    Lok Sabha Election 2024: এনডিএ-তে যোগ দিচ্ছে টিডিপি! বৈঠকে শাহ-নায়ডু, দক্ষিণে জমি শক্ত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে দক্ষিণে জমি শক্ত করল বিজেপি। বুধবার মধ্যরাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকেরে পর তেলেগু দেশম পার্টির প্রধান তথা অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু জানিয়ে দেন এনডিএ-তে যোগ দিচ্ছে টিডিপি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে টিডিপি এনডিএ-র সঙ্গে জোট বেঁধেই লড়াই করবে তা এক প্রকার নিশ্চিত। 

    টিডিপি-এনডিএ যোগ

    প্রায় ছ’বছর পরে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নায়ডুর দল তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) আবার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-তে ফিরতে চলেছে। টিডিপি সূত্রে খবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে জোটের প্রতিটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আগামী এপ্রিল-মে মাসে লোকসভা ভোটের সঙ্গেই অন্ধ্রে বিধানসভা ভোট হওয়ার সম্ভাবনা। সেখানে ক্ষমতাসীন ওয়াইএসআর কংগ্রেসকে হারানোর উদ্দেশে বিজেপি, টিডিপি ছাড়াও তেলুগু অভিনেতা-রাজনীতিক পবন কল্যাণের দল জনসেনা পার্টি এনডিএ-তে শামিল হতে পারে বলে খবর। বিজেপি সূত্রে খবর, তারা প্রতিটি রাজ্যে দলের প্রসার করতে চায়। জোটের শর্ত সঠিক হলে এবং পর্যাপ্ত প্রতিনিধিত্ব পেলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে জোটে ছিলেন চন্দ্রবাবু। কিন্তু অন্ধ্রের বিশেষ মর্যাদার দাবিতে ২০১৮ সালে এনডিএ ছাড়ে টিডিপি। ফের ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে পুরনো জোটে ফিরল টিডিপি।  

    আরও পড়ুন: মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিলেই তীব্র প্রতিবাদ, রাজ্য বাজেটের আগে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    দক্ষিণে বিশেষ নজর

    লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) লক্ষ্য ‘মিশন ৪০০’। তাই দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে বিশেষ নজর দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহেরা। বুধবার দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, রাজীব চন্দ্রশেখর এবং এল মুরুগানের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দিলেন এডিএমকে ১৫ জন প্রাক্তন বিধায়ক। সেই সঙ্গে প্রয়াত জয়ললিতার দলের এক প্রাক্তন সাংসদও পদ্ম-শিবিরে শামিল হয়েছেন। বিজেপিতে যোগদানকারী নেতাদের মধ্যে রয়েছেন, কে ভেদিভেল, এমভি রত্নম, আর চিন্নাস্বামী এবং পিএস কান্দস্বামীর মতো দ্রাবিড় রাজনীতির পরিচিত মুখেরা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন এবারের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ চারশোর বেশি আসন পাবে, তার মধ্যে বিজেপি পাবে ৩৭০-এর বেশি আসন। এই আসন সংখ্যায় পৌঁছতে গেলে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে বিজেপিকে বেশি আসন পেতেই হবে। যদিও আসন বেশি পাওয়া প্রসঙ্গে নিশ্চিত পদ্ম শিবির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • State Budget 2024: মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিলেই তীব্র প্রতিবাদ, রাজ্য বাজেটের আগে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    State Budget 2024: মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিলেই তীব্র প্রতিবাদ, রাজ্য বাজেটের আগে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য বাজেট যদি জনমুখী না হয়, তাহলে বিজেপি বিধায়করা অধিবেশন কক্ষেই প্রতিবাদ জানাবেন। রাজ্য বাজেট পেশের আগেই এক প্রকার হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটেয় বিধানসভায় রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য রাজ্য বাজেট (State Budget 2024) পেশ করতে চলেছেন। 

    ভাল বাজেটের প্রত্যাশা

    শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, ‘‘আমরা ভালো বাজেট (State Budget 2024) আশা করব। আশা করব যেন কেন্দ্রীয় হারে ডিএ ঘোষণা করা হবে। আশা করব আশা কর্মী থেকে অস্থায়ী কর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার থেকে ভিলেজ পুলিশ, সরকারি পরিবহণ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মী-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষদের সম কাজে সম বেতনের মাধ্যমে সকলের জন্য আর্থিক সুরক্ষা ঘোষণা করা হবে। লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ২০০০ টাকা করা হবে।’’ রাজ্য বাজেটে প্রত্যাশা প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু এও বলেন, ‘‘আমরা আশা করব অন্যান্য রাজ্যের মত পশ্চিমবঙ্গেও রান্নার গ্যাস সাড়ে চারশো টাকায় পাব। পেট্রোল ডিজেল রান্নার গ্যাসের যে কর রাজ্য সরকার নিচ্ছে সেটা নেবে না। তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই পেট্রোপণ্যের দাম কমে যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অর্থমন্ত্রী সমস্ত শূন্য পদ পূরণের ঘোষণা করবেন। আমরা এও আশা করব ওড়িশা, বিহারের মতো সমস্ত পার্ট টাইম শিক্ষক অধ্যাপক থেকে অন্যান্য শিক্ষা কর্মীদের স্থায়ীকরণের ঘোষণা করা হবে এই রাজ্য বাজেটে। উত্তর প্রদেশের মত যারা পেনশন পান তাদেরও স্পেশ্যাল ইনসেনটিভ ঘোষণা করা হবে। জমিনীতি বদল করে শিল্প ও  বাণিজ্যমুখী বাজেট হবে। সিঙ্গুরের জমিতে টাটা গোষ্ঠীকে ফিরিয়ে আনার রোড ম্যাপ চূড়ান্ত হবে।’’

    আরও পড়ুন: দেশে প্রথম! উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় পাশ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, কী রয়েছে তাতে?

    মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিলে বিরোধিতা

    সাধারণত রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে বাজেট (State Budget 2024) অধিবেশন শুরু হয়। কিন্তু, এবার রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়নি। এই বিষয়টিকে ‘অষ্টম আশ্চর্য’ বলে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন সাধারণ মানুষের জন্য যদি বাজেট পেশ না হয়, যদি ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় সরকার, ভারতীয় জনতা পার্টি, তাঁদের সম্পর্কে অসংসদীয় কথা, রাজনৈতিক আক্রমণ এবং মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তাহলে সোচ্চার প্রতিবাদ জানাবে বিজেপি। উচ্চ কণ্ঠে বিরোধিতা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Uniform Civil Code: দেশে প্রথম! উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় পাশ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, কী রয়েছে তাতে?

    Uniform Civil Code: দেশে প্রথম! উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় পাশ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, কী রয়েছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশকে নয়া দিশা দেখাতে চলেছে দেবভূমি। বুধবার উত্তরাখণ্ডের বিধানসভায় (Uttarakhand) পাশ হয়ে গেল অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code)। উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় চার দিনের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সেই অধিবেশন শুরু হয়েছিল। বুধবার ছিল তার শেষ দিন। এদিনই উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার এই বিল পাশ করে। এবার রাজ্যপালের কাছে বিলটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। রাজ্যপাল এই বিলে সাক্ষর করলেই আইনে পরিণত হবে এই বিল। 

    সমানাধিকারের আইন

    উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পাশ হওয়ার পরই একাধিক রাজ্য, বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পাশ করার আগ্রহ দেখিয়েছে। আগামী অধিবেশনেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আনতে পারে রাজস্থান সরকারও। এই বিল পাশের পর উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেন, ‘‘এই আইন সমানাধিকারের কথা বলে। এটি কারও বিরুদ্ধে নয়। এই আইন মহিলাদের জন্য, যাঁরা সমাজে পদে পদে সমস্যার সম্মুখীন হন। এটি তাঁদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ধামি বলেন, “এই বিল কারোর বিরুদ্ধে নয়, বরং সকলের মঙ্গলের জন্যই আনা হয়েছে। বিশেষ করে মহিলারা এতে উপকৃত হবেন। বিবাহ, বিচ্ছেদ, সম্পত্তির উত্তরাধিকারের মতো বিষয়ে সকলকে সমান অধিকার দেওয়া হবে। বিশেষ করে মহিলারা যে বঞ্চনার শিকার হতেন, তা এই আইন কার্যকর হলে দূর হবে।”

    আরও পড়ুন: মায়ানমার নিয়ে যৌথ পদক্ষেপের ঘোষণা, বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ডোভালের

    কী আছে এই আইনে

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধিতে সব ধর্মের মানুষের জন্য বিয়ে, বিবাহবিচ্ছেদ, জমি-সম্পত্তি এবং উত্তরাধিকার সংক্রান্ত এক এবং অভিন্ন আইন প্রচলনের কথা বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, সুপারিশের খসড়ায় ধর্ম নির্বিশেষে পুরুষদের বহুবিবাহ বন্ধ এবং একত্রবাস নথিভুক্ত করার আইনের কথা বলা হয়েছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি অনুযায়ী, যদি কোনও যুগল ‘একত্রবাস’ বা ‘লিভ-ইন’ করতে চান, তবে অবশ্যই পুলিশ বা জেলা আধিকারিকদের অনুমতি নিতে হবে। আর যদি তাঁদের বয়স ২১ বছরের নীচে হয়, তবে বাবা-মায়ের সম্মতির প্রয়োজন। ধর্ম নির্বিশেষে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ বছর করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ‘রেজিস্ট্রি বিবাহ’ বাধ্যতামূলকের কথা বলা হয়েছে এই বিধিতে। উত্তরাখণ্ডে যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আনা হয়েছে, তাতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বহুবিবাহ। বহুগামিতাও নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। একই পরিবারের মধ্যে বিয়ে নিষিদ্ধ হয়েছে। এছাড়া সম্পত্তিতে পুত্র ও কন্যা সন্তানের সমান অধিকার, বৈধ ও অবৈধ সন্তানের সমান অধিকারের কথাও বলা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মঙ্গলের পর বুধেও উত্তাল বিধানসভা, “অধিবেশন কীসের জন্য?”, প্রশ্ন পদ্মের

    BJP: মঙ্গলের পর বুধেও উত্তাল বিধানসভা, “অধিবেশন কীসের জন্য?”, প্রশ্ন পদ্মের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারী নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য বিধানসভা। মঙ্গলবার সিএজি রিপোর্ট নিয়ে বিজেপির দাবি না মানায় বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি (BJP) বিধায়করা। বুধবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘটে চলা নারী নির্যাতনের ঘটনায় আলোচনা করতে চেয়ে অধিবেশন মুলতুবির প্রস্তাব আনে বিজেপি। এদিনও স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন। ক্ষোভে ফেটে পড়েন পদ্ম-বিধায়করা।

    ধর্ষকদের শাস্তির দাবি

    কিছুদিন আগেই মালদা ও দিঘায় ঘটেছে ধর্ষণের ঘটনা। ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছে বিজেপি (BJP)। বুধবার এই নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে আলোচনা চেয়ে অধিবেশন মুলতুবি প্রস্তাব আনেন ২ বিজেপি বিধায়িকা মালতি রাভা ও অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁদের এই প্রস্তাব খারিজ করে দেন বিধানসভার স্পিকার। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। স্পিকার সকলকে শান্ত থাকার আর্জি জানান। পরে বিধানসভা কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান গেরুয়া-বিধায়করা।

    নারী সুরক্ষা তলানিতে

    অগ্নিমিত্রা বলেন, “শুধু জল বা রাস্তা নিয়ে কথা বলতে আসিনি। নারী সুরক্ষা তলানিতে ঠেকেছে। ধর্ষণ করে খুন নিয়ে বিচার হবে না আলোচনা হবে না।” তিনি বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নারী নির্যাতন হচ্ছে, শিশুদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে। বিধানসভায়ও আপনারা বলতে দেবেন না। তাহলে কীসের জন্য বিধানসভা রেখেছেন? সব বন্ধ করে দিন।” তাঁরা জানান, এভাবে চলতে থাকলে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন বয়কট করবেন তাঁরা। নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতিও দাবি করেছে বিজেপি। স্পিকারকে কালো পতাকাও দেখান বিজেপি বিধায়করা।

    আরও পড়ুুন: মানব পাচার চক্রের মাধ্যমে এরাজ্যে রোহিঙ্গারা, এনআইএ-র জালে ১৬ বাংলাদেশি টাউট

    প্রসঙ্গত, বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং মহিলা ও শিশুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে যে এদিন মুলতুবি প্রস্তাব জমা করা হবে, তা আগেই জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই মতো এদিন প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন মালতি রাভা, সুমিতা সিনহা, চন্দনা বাউরি, শিখা চট্টোপাধ্যায়, তাপস মণ্ডল, অগ্নিমিত্রা পাল (BJP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • RLD: ‘ইন্ডি’ জোট ছেড়ে এনডিএ শিবিরে ভিড়ছে জয়ন্ত চৌধুরীর রাষ্ট্রীয় লোক দল!

    RLD: ‘ইন্ডি’ জোট ছেড়ে এনডিএ শিবিরে ভিড়ছে জয়ন্ত চৌধুরীর রাষ্ট্রীয় লোক দল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভাঙনের মুখোমুখি হতে পারে ‘ইন্ডি’ জোট। বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দিতে পারেন রাষ্ট্রীয় লোক দলের (RLD) নেতা জয়ন্ত চৌধুরী। সূত্রের খবর, জয়ন্ত ইতিমধ্যেই দিল্লিতে গিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে ফেলেছেন। বিজেপির তরফে তাঁকে উত্তরপ্রদেশে চারটি আসন দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এই আসনগুলি হল কৈরানা, বাগপত, মথুরা এবং আমরোহা।

    উত্তরপ্রদেশেও ভাঙন ইন্ডি জোটে

    গেরুয়া হঠাতে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল চলে আসে এক ছাতার তলায়। জোটের নাম হয় ‘ইন্ডি’। সেই জোটেই শোনা যাচ্ছে ভাঙনের ‘ঝপাং ঝপাং’ শব্দ। জয়ন্তর রাষ্ট্রীয় লোক দল যেমন বিজেপি-জোটে নাম লেখানোর তোড়জোড় শুরু করেছে, তেমনি উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসকে না জানিয়েই একতরফাভাবে ১৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে অখিলেশ যাদবের দল সমাজবাদী পার্টি। ইন্ডি জোটের অন্যতম উদ্যোক্তা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার মহাগটবন্ধন ছেড়ে ভিড়ে গিয়েছেন বিজেপি শিবিরে। জোটে থেকেও বেসুরো গাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি।

    গেরুয়া শিবিরে নৌকা

    জয়ন্তর দল (RLD) যে গেরুয়া শিবিরে নৌকা ভেড়াতে চলেছে, তার প্রমাণও মিলেছে। ইতিমধ্যেই ‘ইন্ডি’ জোটের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেছেন জয়ন্ত। পার্লামেন্টের বাজেট অধিবেশনেও অংশ নেননি তিনি। তাঁর দাদু চৌধুরী চরণ সিংহের একটি মূর্তির আবরণ উন্মোচন উপলক্ষে উত্তরপ্রদেশের ছাপ্রাউলিতে ‘ইন্ডি’ জোটের সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। তা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা হয়ে গেলেই মূর্তির আবরণ উন্মোচনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং।

    আরও পড়ুুন: রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ, ভোটের ঘোষণা কবে?

    কেন এনডিএ শিবিরে আসতে চাইছে আরএলডি?

    প্রশ্ন হল, কেন এনডিএ শিবিরে ভিড়তে চাইছে জয়ন্ত চৌধুরীর দল (RLD)? সূত্রের খবর, বিজেপির সঙ্গে থাকলে ‘জাত’ হবে উঁচু। জাঠ ভোটও তো আসবেই দলের ঝুলিতে, এমনকী জাঠ নন এমন মানুষের ভোটও পড়বে জয়ন্তর দলের প্রার্থীর পাশে। সেক্ষেত্রে দলীয় প্রার্থীদের জয় হবে নিছক ‘কেক-ওয়াক’। বর্তমানে, উত্তরপ্রদেশের জাঠ ভোট ভাগাভাগি হচ্ছে আরএলডি ও বিজেপির মধ্যে। রাষ্ট্রীয় লোক দল বিজেপির সঙ্গে হাত মেলালে জাঠ ভোটের সিংহভাগই চলে আসবে এনডিএ-র পক্ষে। তাতে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি তো বটেই, পায়ের নীচের মাটি শক্ত হবে রাষ্ট্রীয় লোক দলেরও (RLD)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

       

     

  • Sukanta Majumdar: “বাঙালির মান-সম্মান জলাঞ্জলি দিয়েছেন এই মুখ্যমন্ত্রী”, মমতাকে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “বাঙালির মান-সম্মান জলাঞ্জলি দিয়েছেন এই মুখ্যমন্ত্রী”, মমতাকে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাঙালির মান-সম্মান-ইজ্জত সব কিছু জলাঞ্জলি দিয়েছেন এই মুখ্যমন্ত্রী।” সোমবার এই ভাষায়ই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। লোকসভা অধিবেশনে যোগ দিতে এদিন দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন বালুরঘাটের সাংসদ। তার আগে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রীকে।

    কী বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত বলেন, “যে ধরনের শব্দ মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে বেরিয়েছে, এ ধরনের শব্দ মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে বেরনো উচিত নয়, অন্তত পক্ষে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে তো নয়ই।” এর পরেই তিনি বলেন, “বাঙালির মান-সম্মান-ইজ্জত সব কিছু জলাঞ্জলি দিয়েছেন এই মুখ্যমন্ত্রী।” নাম না করে এদিন তৃণমূলের মুখপাত্রকেও আক্রমণ শানিয়েছেন সুকান্ত। তৃণমূলের এই মুখপাত্র বলেছিলেন, “ভোটে জেতার পর চড়াম চড়াম ঢাক বাজবে।” সে প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, “আগে যে বাঘ চড়াম চড়াম বলত, সে এখন ছাগ হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে তিহাড় জেলে। এখন এই নতুন অনুব্রত, কলকাতার অনুব্রত কবে ছাগ হবে সেটাই দেখার।”

    ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে বিজেপি সমর্থক এক পরিবারের সদস্যদের তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, “সব জায়গায়ই এটা হচ্ছে, বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এখনও সন্ত্রাসের বাতাবরণ রয়েছে। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা হচ্ছে সন্ত্রাসের এপিসেন্টার। এই লোকসভায়ই সব চেয়ে বেশি সন্ত্রাস হয়।”

    প্রসঙ্গত, শনিবার কেন্দ্রকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, “রোজ মোদিজি বলছে, পাকা বাড়ি করে দিচ্ছি। *** তুমি প্রাসাদ অট্টালিকায় থাকবে, আর এই গরিব লোকের মাথার ছাদটা কেড়ে নিয়েছো, তাঁকে দিচ্ছ না।”

    আরও পড়ুুন: “শুধু অ্যাকশন-রিঅ্যাকশনে নজর রাখতে হবে”, শাহি বৈঠক শেষে বললেন শুভেন্দু

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন কুরুচিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে রবিবার বর্ণ পরিচয় হাতে কলকাতায় মিছিল করে বিজেপির যুব মোর্চা। সেই ছবিতে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে দেওয়া হয় মধু। বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ বলেন, “মোদিজি দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি আমাদের দেশের ১৪০ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাঁর উদ্দেশে যেভাবে কু-শব্দ প্রয়োগ করলেন, তা দুর্ভাগ্যজনক। পশ্চিমবঙ্গবাসী হিসেবে, বাংলাভাষী হিসেবে আমরা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কাছে (Sukanta Majumdar) ক্ষমাপ্রার্থী।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share