Tag: bjp

bjp

  • Calcutta High Court: ‘‘রাজ্য সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলছে পুলিশই’’, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ইস্যুতে মন্তব্য আদালতের

    Calcutta High Court: ‘‘রাজ্য সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলছে পুলিশই’’, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ইস্যুতে মন্তব্য আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে করা মামলায় পুলিশের আচরণে বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গেল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির জয় সেনগুপ্তকে। এর পাশাপাশি আদালতে বুধবার নির্দেশ দিয়েছে, প্রাক্তন উপাচার্যের বিরুদ্ধে কোনওরকম ব্যবস্থা নিতে পারবে না পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা যাবে না বলে জানিয়েছে আদালত। এদিন বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলছে পুলিশই।’’

    ঠিক কী অভিযোগ আনে পুলিশ

    প্রসঙ্গত, গত ৭ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি লেখেন বিশ্বভারতীর প্রাক্ন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেই চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিল্পী সত্ত্বা নিয়ে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নিজের মত প্রকাশ করেন। ওই চিঠিতে রবীন্দ্রনাথের লেখা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন উপাচার্য। সে নিয়েই পুলিশ মামলা দায়ের করে। এবিষয়ে হাইকোর্ট (Calcutta High Court) প্রশ্ন তুলেছে বুধবার। বিচারপতি সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেন, ‘‘এই চিঠি লেখায় অপরাধ কি আছে?’’ জবাবের রাজ্য সরকার আইনজীবী সেভাবে কোনও উত্তর দিতে পারেননি। শুধু বলেন, ‘‘তদন্ত করে দেখতে হবে।’’ রাজ্য সরকারের আইনজীবীর এমন উত্তর শুনে বিরক্ত হন প্রধান বিচারপতি। তখন তিনি  বলতে থাকেন, ‘‘এমন নয় যে উপাচার্যের এই চিঠি নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি বেঁধে যেতে পারে।’’এরপরই তিনি বলেন, ‘‘ভাগ্যিস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে নেই। থাকলে কী যে করতেন! তাঁকেও অভিযুক্ত করে দিতেন আপনারা!’’

    তাপস পালের প্রসঙ্গও উঠে আসে বুধবারের শুনানিতে

    অন্যদিকে, হোয়াটসঅ্যাপে দুর্গাপুজোর ইতিহাস ব্যাখ্যা করেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সে নিয়েও মামলা দায়ের করে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ, দুর্গাপুজো নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এ নিয়ে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আইনজীবী বলেন, ‘‘বাড়িতে দুর্গাপুজো হয় এখানে পুজোর ইতিহাস ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এটা বিরূপ কেন হবে? এ প্রসঙ্গে উঠে আসে তাপস পালের কথাও। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আইনজীবী (Calcutta High Court) বলতে থাকেন, ‘‘তাপস পালের একটি মামলায় আমি আইনজীবী ছিলাম, তাপস পাল তখন বলেছিলেন ‘ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে দেব’। এই ঘটনায় পুলিশ কোনও এফআইআর করেনি। তবে এখানে পুলিশকে এফআইআর করতে দেখা গেছে।’’ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১১ জানুয়ারি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madhya Pradesh CM: প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন মোহন যাদব

    Madhya Pradesh CM: প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন মোহন যাদব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের নয়া মুখ্যমন্ত্রী (Madhya Pradesh CM) হিসেবে বুধবারই শপথ নিলেন মোহন যাদব (Mohan Yadav)। এদিন তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রসঙ্গত, এদিন রাজধানী ভোপালের মতিলাল নেহরু স্টেডিয়ামে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ, উত্তরাখণ্ডের পুষ্কর সিং ধামি। মহারাষ্ট্রের শিবসেনার মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেও ছিলেন। এর পাশাপাশি হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গড়করি।

    ১৯ তম মুখ্যমন্ত্রী হলেন মোহন

    প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh CM) ১৯তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মোহন যাদব (Mohan Yadav)। এর আগে শিবরাজ সিং চৌহান ছিলেন এই রাজ্যের চারবারের মুখ্যমন্ত্রী। ৫৮ বছর বয়সী মোহন যাদব শপথ নেওয়ার আগে ভোপালের একটি মন্দিরে গিয়ে পুজোও দেন এদিন। এর পাশাপাশি ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম দুই স্থপতি পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধাও জানান তিনি রাজ্য বিজেপির কার্যালয়ে গিয়ে। মোহন যাদবের সঙ্গে এদিন ডেপুটি উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন রাজেন্দ্র শুক্লা এবং জগদীশ দেওরা।

    দলের ওবিসি মুখ মোহন

    মধ্যপ্রদেশের নবনির্বাচিত (Madhya Pradesh CM) মুখ্যমন্ত্রীকে এদিন শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল মাঙ্গু ভাই প্যাটেল। তবে এখনও পর্যন্ত মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়নি। সূত্রের খবর, দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পরেই তৈরি হবে মন্ত্রিসভা। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হলেন মোহন যাদব (Mohan Yadav)। তিনি ওবিসি সম্প্রদায়ের অন্তর্গত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মধ্যপ্রদেশের ৪৮ শতাংশই মানুষ ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত। মোহন যাদব প্রথমবার বিধায়ক হন ২০১৩ সালে। সেবার জেতেন উজ্জয়িনী দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে। তারপরে টানা তিনবার তিনি জিতলেন। গত ১৭ নভেম্বর এক দফাতেই মধ্যপ্রদেশের সমস্ত আসনে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। ৩ ডিসেম্বর ফলাফল বের হতে দেখা যায় বিজেপির জয়জয়কার। ২৩০ টার মধ্যে ১৬৩ টি আসনে জেতে বিজেপি এবং কংগ্রেস জেতে ৬৬ আসনে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: টাকার গদিতে গড়াগড়ি দিচ্ছেন রাহুল! ভিডিও পোস্ট করে ধীরজ ইস্যুতে কংগ্রেসকে খোঁচা মোদির

    PM Modi: টাকার গদিতে গড়াগড়ি দিচ্ছেন রাহুল! ভিডিও পোস্ট করে ধীরজ ইস্যুতে কংগ্রেসকে খোঁচা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাহুর বাড়ি থেকে নগদ উদ্ধার হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা। পাশাপাশি তিন কেজি সোনাও উদ্ধার হয়েছে। এই বিপুল সম্পদ উদ্ধার নিয়ে গোটা দেশে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। টাকা উদ্ধারের খবর প্রকাশ্যে আসতেই কার্যত ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে কংগ্রেস। মঙ্গলবারই কংগ্রেসকে এ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন বিজেপির এক্স হ্যান্ডেল থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। যেখানে নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় ‘মানি হাইস্ট’ সিরিজের ফুটেজে রাহুল গান্ধীর মুখ বসিয়ে দেখানো হয়েছে টাকার বিছানায় শুয়ে গড়াগড়ি খাচ্ছেন কংগ্রেস নেতা। এই ভিডিওটিকে রিপোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির ট্যুইট

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নিজের এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডেলে লেখেন, “কংগ্রেস পার্টি থাকতে, ভারতে, আর কার ‘মানি হাইস্ট’ ফিকশনের প্রয়োজন? গত ৭০ বছর ধরে কংগ্রেসের চুরি কিংবদন্তিতে পরিণত হয়েছে। সেই ধারা এখনও চলছে।”

    ৫ দিন ধরে আয়কর বিভাগের ৯টি দলের তল্লাশি

    প্রসঙ্গত, ধীরজ সাহুর সঙ্গে একাধিকবার রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়্গের মতো শীর্ষ কংগ্রেস নেতাদের হাত মেলানোর ছবি সামনে এসেছে। আবার ধীরজ সাহুর একটি ছবি ফেসবুক বেশ ভাইরাল হয়েছে। পোস্টে দেখা যাচ্ছে পেট্রোলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে তিনি সাইকেল চালাচ্ছেন। যা নিয়ে নেটপাড়ায় শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা। কেউ কেউ লিখছেন, বাড়ির টাকাগুলো বের করলেই তো পেট্রোল কেনা যায়। ধীরজ শাহুর বাড়িতে আয়কর বিভাগের নয়টি দলকে পাঁচ দিন ধরে টাকা গুনতে হয়েছে। মাঝে মাঝে বিগড়ে গিয়েছে টাকা গোনার মেশিনও। এ নিয়ে আগেই ট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। একটি দৈনিক পত্রিকার কাটিং-কে পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, জনগণের থেকে লুট করা সমস্ত পয়সা ফেরত দিতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Soumitra Khan: মস্তক মুণ্ডন করা চাকরিপ্রার্থীর ছবি লোকসভায় তুলে ধরলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ

    Soumitra Khan: মস্তক মুণ্ডন করা চাকরিপ্রার্থীর ছবি লোকসভায় তুলে ধরলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার রাজপথে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনকে লোকসভায় তুলে ধরলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan)। মহিলা চাকরিপ্রার্থীর মস্তক মুণ্ডনের ছবি তাঁর হাতে দেখা যায়। এর পাশাপাশি এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ (Soumitra Khan)। হাজার দিনেরও বেশি কলকাতার রাজপথে বসে রয়েছেন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। প্যানেলে নাম ওঠার পরেও মেলেনি চাকরি। এরই মধ্যে শনিবার এক মহিলা চাকরিপ্রার্থীর মস্তক মুণ্ডন করান আন্দোলন স্থলেই। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় সারা রাজ্যজুড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কুণাল ঘোষ ঘটনাস্থলে গেলেও তাঁকে দেখে চোর চোর স্লোগান দিতে শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা।

    ট্যুইট বিজেপির রাজ্য সভাপতির

    গতকালই এনিয়ে সামনে এসেছে সুকান্ত মজুমদারের ট্যুইট। এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডেলে বালুরঘাটের সাংসদ লেখেন, ‘‘মানুষ জবাব দেবে, দিন গোনা শুরু করুন মাননীয়া। দিনের পর দিন যে অন্যায় করেছেন এবং অন্যায়কে প্রশ্রয় দিয়েছেন, কড়ায় গন্ডায় তার হিসেব হবে।’’

    বিজেপির আনুষ্ঠানিক বিবৃতি

    প্রসঙ্গত, গত শনিবারে এই ঘটনা ঘটে কলকাতার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে। ইতিমধ্যে এই ঘটনাকে লজ্জাজনক আখ্যা দিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করে বিরোধী শিবির। বিজেপি আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিয়ে জানায় যে, বিরোধী দল হিসেবে তারা ক্ষমাপ্রার্থী। দলের মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্য সেদিনই বলেন, ‘‘মাথা ন্যাড়া করে প্রতিবাদের যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত এই ঘটনায় নিজে সরাসরি হস্তক্ষেপ করা। এই সরকারের আমলে মেধাকে মর্যাদা দিয়ে কোনও পরিছন্ন নিয়োগ সম্ভব নয়।’’ মস্তকমুণ্ডন করা চাকরিপ্রার্থী রাসমণিদেবী বলেন, ‘‘অনেক প্রতিশ্রুতি পেয়েছি৷ আর পারছি না৷ আমাদের হাজার দিনের এই কষ্ট যেন মুখ্যমন্ত্রীর হৃদয় স্পর্শ করে৷ আমরা চাই উনি আমাদের কাছে আসুন৷’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madhya Pradesh: সায়েন্স কলেজ থেকে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি! জানেন কে এই মোহন যাদব? 

    Madhya Pradesh: সায়েন্স কলেজ থেকে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি! জানেন কে এই মোহন যাদব? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন মুখে ভরসা রাখল হাই কমান্ড। পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে ঝড় তুলেছে বিজেপি। ছত্তিশগড়, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশ তাঁদের দখলে। এর আগে মধ্যপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী পদের আলোচনায় উঠে আসে শিহরাজ সিং, কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের মতো একাধিক হেভিওয়েটের নাম। তবে নতুন চমক এনে মধ্যপ্রদেশে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মোহন যাদবের নাম সামনে এনেছে বিজেপি। শিবরাজ যখন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, তখন মোহন ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। উজ্জয়িনী জেলা থেকে তিন বার বিধায়ক হয়েছেন। পরিষদীয় রাজনীতিতে প্রবেশের ১০ বছরের মাথায় মুখ্যমন্ত্রী হলেন তিনি।

    ছাত্র রাজনীতি দিয়ে শুরু

    মোহন যাদবের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৮২ সালে। বিজ্ঞান কলেজে ছাত্র রাজনীতি দিয়ে হয়েছিল হাতেখড়ি। সায়েন্স কলেজে প্রথমে যুগ্ম সম্পাদক, পরে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন মোহন যাদব। তবে, তখনও বিজেপি বা আরএসএস-এর সংস্পর্শে আসেননি তিনি। ১৯৮৪ সালে, আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদে যোগ দেন মোহন। ২০০৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত উজ্জয়িনী উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। ২০১১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ছিলেন মধ্যপ্রদেশ রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান। মধ্যপ্রদেশের পর্যটনের উন্নতির জন্য মোহন যাদবকে ২০১১-১২ এবং ২০১২-১৩ সালে রাষ্ট্রপতি পুরস্কৃত করেছিলেন। ২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম বার ভোটে জেতেন মোহন। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও জয়ী হন তিনি।

    উচ্চশিক্ষিত মুখ্যমন্ত্রী

    রাজ্যের বিদায়ী শিক্ষামন্ত্রী মোহন যাদব নিজেও যথেষ্ট উচ্চশিক্ষিত। মোহন বিজ্ঞানে স্নাতক পাশ করেছেন। তার পর আইন নিয়ে পড়াশোনা করে এলএলবি পাশ করেছেন। পিএইচডিও করেছেন তিনি। ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটে উজ্জয়িনী দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে ১২ হাজার ৯৪১ ভোটে জেতেন মোহন। হারিয়ে দেন কংগ্রেসের চেতন প্রেমনারায়ণ যাদবকে। মধ্যপ্রদেশে তিনি বিজেপির হেভিওয়েট নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে সিনিয়র। তাঁর ভাবমূর্তিও পরিচ্ছন্ন। মধ্যপ্রদেশের রেস্টলিং অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গেও যুক্ত তিনি। লোকসভা ভোটের আগে জাতপাতের অঙ্ক বিবেচনা করেই ওবিসি নেতা মোহনকে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বিজেপি নেতৃত্ব বেছে নিয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। মোহনের মন্ত্রিসভায় দু’জন উপমুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। তাঁদের মধ্যে এক জন বিদায়ী অর্থমন্ত্রী জগদীশ দেবড়া। দ্বিতীয় জন, বিজেপির ব্রাহ্মণ নেতা তথা বিদায়ী শিবরাজ মন্ত্রিসভার জনসংযোগ মন্ত্রী রাজেন্দ্র শুক্লা। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mohan Yadav: উদ্বেগের অবসান, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে মোহন যাদব, সিলমোহর বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের

    Mohan Yadav: উদ্বেগের অবসান, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে মোহন যাদব, সিলমোহর বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন মোহন যাদব (Mohan Yadav)। বিদায়ী সরকারের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন বছর আটান্নর মোহন। উজ্জ্বয়িনী দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। মোহন এই জেলা থেকে পর পর তিনবার বিজেপির টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন। বিদায়ী সরকারে মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন শিবরাজ সিং চৌহান। সেই পদেই মোহনকে বসানোর সিদ্ধান্ত নিল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

    মোহন কাহিনি

    ১৯৬৫ সালে জন্ম মোহনের। ছাত্রাবস্থায়ই জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। ২০১৩ সালে পদ্ম প্রতীকে জিতে প্রথমবার পা রাখেন বিধানসভায়। পাঁচ বছর পর ফের বিপুল ভোটে জয়ী হন মোহন। ২০২০ সালে শিবরাজ সিং চৌহানের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয় মোহনের। হন উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী। দক্ষতার জেরে দ্রুত মোহন নজরে পড়ে যান বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে ফের পদ্ম প্রতীকে জয়ী হন মোহন (Mohan Yadav)। বস্তুত তার পরেই মোহনের মাথায় যে মুখ্যমন্ত্রিত্বের তাজ উঠবে, তা এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। সোমবার বিজেপির তরফে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে মোহনের নাম ঘোষণা করা হয়। তার পরেই মধ্যপ্রদেশজুড়ে খুশির হাওয়া। যদিও স্বভাব-বিনয়ী মোহন বলছেন, “আমি দলের একজন ছোট কর্মী। আমাকে এই সুযোগ দেওয়ায় দলকে ধন্যবাদ।” 

    শিবরাজের শুভেচ্ছা

    মুখ্যমন্ত্রী পদে মোহনের নাম ঘোষণা হতেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানান বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। মোহনের মাথায় হাত রেখে তাঁকে আশীর্বাদও করতে দেখা যায় চৌহানকে। মধ্যপ্রদেশের কুর্সিতে বিজেপি কাকে বসায়, তা নিয়ে জল্পনা চলছিলই। চর্চায় ছিল বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নাম। শেষমেশ সিলমোহর পড়ে মোহনের নামে। জানা গিয়েছে, মোহন আরএসএস ঘনিষ্ঠ। শিবরাজও আরএসএস ঘনিষ্ঠ। সঙ্ঘের তরফে তাঁকেই উত্তরসূরি বাছতে বলা হয়েছিল। তিনিই প্রস্তাব করেন মোহনের নাম। শিবরাজের বিরুদ্ধে দলের মধ্যেই পুঞ্জীভূত হচ্ছিল ক্ষোভ। তাছাড়া মোহন ওবিসি সম্প্রদায়ের। রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা নির্বাচনের আগে মধ্যপ্রদেশের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের কুর্সিতে মোহনকে বসিয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারল বিজেপি। একদিকে যেমন উজ্জ্বল ভাবমূর্তির মোহনকে বসিয়ে বিরোধীদের মাত দেওয়া গেল, তেমনি বার্তা দেওয়া হল ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষদেরও। মধ্যপ্রদেশের (Mohan Yadav) অনেক আসনেই নির্ণায়ক শক্তি যাঁরা।    

    আরও পড়ুুন: বিশ্বমানের শহর হিসেবে রামনগরীকে গড়ে তুলতে সরকারের ৮ নীতি কী কী?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: এবার নাড্ডার নিশানায় কংগ্রেস-ধীরজ, কী বললেন বিজেপি সুপ্রিমো?

    JP Nadda: এবার নাড্ডার নিশানায় কংগ্রেস-ধীরজ, কী বললেন বিজেপি সুপ্রিমো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) নিশানায় কংগ্রেস এবং হাত-শিবিরের ঝাড়খণ্ডের সাংসদ ধীরজ সাহু। রবিবার দলীয় সহকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন বিজেপি প্রধান। সেখানেই নিশানা করেন কংগ্রেসকে।

    উদ্ধার ২৯০ কোটি টাকা

    কংগ্রেসের ঝাড়খণ্ডের সাংসদ ধীরজের সংস্থার বিভিন্ন অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৯০ কোটি টাকা। আয়কর দফতর অভিযান চালিয়ে ওই টাকা উদ্ধার করেছে। তা নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। ধীরজের এই নগদ অর্থই নয়া অস্ত্র তুলে দিয়েছে বিজেপির হাতে। এক্স হ্যান্ডেলে নাড্ডা লিখেছেন, “বন্ধু, আপনি (ধীরজ) এবং আপনার নেতা রাহুল গান্ধী, আপনাদের দুজনকেই জনগণের কাছে কৈফিয়ত দিতে হবে। এটা নিউ ইন্ডিয়া। এখানে রাজপরিবারের নামে এক্সপ্লয়টেশন বরদাস্ত করা হবে না। দৌড়তে দৌড়তে আপনি ক্লান্ত হয়ে যাবেন। কিন্তু আইন আপনাকে ছাড়বে না।”

    মোদি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গ্যারান্টি

    তিনি লিখেছেন, “যদি কংগ্রেস দুর্নীতির গ্যারান্টি হয়, তবে মোদি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গ্যারান্টি। জনগণের কাছ থেকে লুটে নেওয়া প্রতিটি পাই-পয়সা তাঁদের ফেরত দেওয়া হবে।” নগদ প্রায় ৩০০ কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত (JP Nadda) দাবি করেছে ওড়িশা বিজেপি। শাসক দল বিজেডির কাছেও এ ব্যাপারে কৈফিয়ত চেয়েছে তারা। ওড়িশা বিজেপির মুখপাত্র মনোজ মহাপাত্র এদিন একটি ছবিও সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের এক মহিলা মন্ত্রী মঞ্চ শেয়ার করছেন এমন এক মদ ব্যবসায়ীর সঙ্গে, যাঁর বাড়িতেও অভিযান চালাচ্ছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।

    গত বুধবার থেকে ধীরজের বাড়ি ও সংস্থার বিভিন্ন অফিসে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে আয়কর দফতর। উদ্ধার হওয়া নগদ টাকা গুণতে আগে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪০টি মেশিন আনা হয়েছিল। আজ আরও বেশ কয়েকটি মেশিন নিয়ে আসা হয়েছে। দলীয় সাংসদের সংস্থার অফিসে টাকার পাহাড়ের হদিশ মেলায় ধীরজের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেছে কংগ্রেস। শনিবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। কেবল তিনিই এ ব্যাপারে বলতে পারবেন। তাঁরই উচিত এর ব্যাখ্যা দেওয়া। তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন জায়গা থেকে আয়কর দফতর এই টাকা উদ্ধার করেছে। তাঁর সম্পত্তির বহর সম্পর্কে ব্যাখ্যা তাঁকেই দিতে হবে (JP Nadda)।”

    আরও পড়ুুন: দলীয় সাংসদের বাড়িতে নোটের পাহাড়! ধীরজকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছে কংগ্রেস!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Madhya Pradesh Election 2023: বিজেপিকে সমর্থন করায় নির্যাতন, “পদ্মেই ছাপ দেব”, মার খেয়েও বলছেন শামিনা   

    Madhya Pradesh Election 2023: বিজেপিকে সমর্থন করায় নির্যাতন, “পদ্মেই ছাপ দেব”, মার খেয়েও বলছেন শামিনা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপরাধ’ বলতে তিনি বিজেপিকে সমর্থন করেন। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে (Madhya Pradesh Election 2023) তিনি ভোটটাও দিয়েছিলেন পদ্ম-প্রার্থীকে। বিজেপি জেতায় আনন্দও করেছিলেন। তার জেরে আত্মীয়দের হাতে তাঁকে প্রহৃত হয়েছে বলে অভিযোগ মধ্যপ্রদেশের সেহোরের বছর তিরিশের মহিলা শামিনার। বিহিত চেয়ে স্থানীয় থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। চেয়েছিলেন নিরাপত্তাও। ওই মুসলিম মহিলাকে নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং।

    শামিনাকে মার জমাইবাবুর

    ডিসেম্বরের ৪ তারিখে ফল ঘোষণা হয় মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের। বিজেপি জয়ী হতেই আহমেদপুরের সেহোরের ওই মহিলা শামিল হন আনন্দোৎসবে। এর পরেই তাঁর জামাইবাবু জাভেদ খান তাঁকে গালাগালি দিতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। কেন তাঁকে গালাগালি দেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে জাভেদ তাঁকে মারধরও করেন বলে অভিযোগ। যার জেরে শামিনার শরীরে একাধিক জায়গায় ক্ষত হয়েছে। বিজেপিকে (Madhya Pradesh Election 2023) সমর্থন করলে ফল ভাল হবে না বলেও জাভেদ তাঁকে শাসায়। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে সেহোর পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, এক মহিলার কাছ থেকে আমরা এই মর্মে অভিযোগ পেয়েছি যে, তাঁর জামাইবাবু তাঁকে মারধর করেছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির নির্দিষ্ট ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।

    মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে শামিনা 

    বিহিত চেয়ে ডিসেম্বরের ৮ তারিখে সেহোরের জেলাশাসকের সঙ্গেও দেখা করেন শামিনা। খবর পেয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। তাঁকে তাঁর বাসভবনে দেখাও করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার ছেলেমেয়েদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে দেখা করেন শামিনা। প্রসঙ্গত, এই সেহোরই মুখ্যমন্ত্রীর নিজের জেলা। ভোপালের এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “একটি বোন আমার কাছে এসেছিলেন। তিনি বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন। তা নিয়ে অশান্তি হয়। আমি তাঁকে আমার বাসভবনে আসতে বলেছিলাম। বলেছিলাম, তোমার ভাই বেঁচে আছে। তাই উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।”

    আরও পড়ুুন: পুলিশের পিছনে বিছুটি পাতা ঘষে দেওয়ার নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    এক্স হ্যান্ডেলে চৌহান শামিনাকে আর্থিক সাহায্য এবং নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “আমার বোন, কোনও কিছু নিয়ে ভয় করো না। তোমার ভাই তোমার সঙ্গে রয়েছে।” আর শামিনা বলছেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। ভাইয়া বলেছেন, তিনি আমার ছেলেমেয়ে ও পরিবার নিয়ে চিন্তিত। তাই ভবিষ্যতেও আমি বিজেপিকেই ভোট (Madhya Pradesh Election 2023) দেব।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

  • BJP: ৩ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বাছতে বিজেপি নিয়োগ করল ৯ পর্যবেক্ষক, কে কোথায় দায়িত্ব পেলেন?

    BJP: ৩ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বাছতে বিজেপি নিয়োগ করল ৯ পর্যবেক্ষক, কে কোথায় দায়িত্ব পেলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোটেই বিপুল জয় পেয়েছে গেরুয়া শিবির। গত ৩ ডিসেম্বর ফলাফল প্রকাশ হতেই দেখা যায় রাজস্থান এবং ছত্তিসগড়কে কংগ্রেসের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি (BJP)। এর পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশেও বেড়েছে জয়ের ব্যবধান। চলছে মুখ্যমন্ত্রী বাছাই পর্ব। শুক্রবারই তিন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বাছাই করতে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল বিজেপি। জানা গিয়েছে, তিন রাজ্যে মোট ৯ জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি।

    কোন রাজ্যের কে পর্যবেক্ষক হলেন?

    রাজস্থানের পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওরে এবং রাজ্যসভার সাংসদ সরোজ পান্ডে। বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই তাঁরা রাজস্থানে গিয়ে বিধায়ক দলের সঙ্গে কথা বলবেন। অন্যদিকে, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর, বিজেপির ওবিসি মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি কে লক্ষণ এবং বিজেপির জাতীয় সম্পাদক আশা লাখরাকে মধ্যপ্রদেশের পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, আশা লাখরা বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে, বিজেপিরও সহ পর্যবেক্ষক রয়েছেন। ছত্তিসগড়ের পর্যবেক্ষক হিসেবে নাম রয়েছে কৃষি ও আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা, জাহাজ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক দুষ্মন্ত কুমার গৌতমের। বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর পর্যবেক্ষকরা সংশ্লিষ্ট রাজ্যে গিয়ে বিধায়ক দলের সঙ্গে কথা বলার রাজস্থান মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর নাম সুপারিশ করবেন তারা। এরপরেই শেষ সিদ্ধান্ত নেবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

    কোন রাজ্যে কে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে?

    মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে শিবরাজ সিং চৌহ্বান মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে তো রয়েছেন। এর পাশাপাশি সেখানে নাম রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও নরেন্দ্র সিং তোমরের। ছত্তিসগড় রাজ্যের ক্ষেত্রে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংয়ের নাম যেমন রয়েছে তেমনই বিজেপির রাজ্য সভাপতি অরুন কুমার সাউ, বিরোধী দলনেতা ধর্মলাল কৌশিক, প্রাক্তন আইএএস অফিসার ওপি চৌধুরীর নামও সেখানে রয়েছে। অন্যদিকে, রাজস্থানের ক্ষেত্রে দৌড়ে রয়েছেন বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া। এর পাশাপাশি সাংসদ দিয়া কুমারী, সাংসদ মহন্ত বালকনাথ যোগী, রাজ্যবন্ধন সিং রাঠোরও দৌড়ে রয়েছেন। তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, অশ্বিনী বৈষ্ণব, অর্জুন রাম মেঘওয়ালের নামও উঠে আসছে। এর পাশাপাশি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার নামও রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • INDI Alliance: হিন্দি-বলয়ে গোহারা হওয়ার পর ইন্ডি-জোটে ফাটল, লোকসভা পর্যন্ত টিকবে তো?

    INDI Alliance: হিন্দি-বলয়ে গোহারা হওয়ার পর ইন্ডি-জোটে ফাটল, লোকসভা পর্যন্ত টিকবে তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়জয়কার প্রত্যক্ষ করেছেন দেশবাসী। মধ্যপ্রদেশ থেকে শুরু করে ছত্তিসগড় ও রাজস্থান— সর্বত্র আজ রাজ করছে গেরুয়া ঝান্ডা। এর মধ্যে ছত্তিসগড় ও রাজস্থান বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য। কারণ, এই দুই রাজ্যে শাসক কংগ্রেসকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণ করে তিন রাজ্যে বিপুল জয়লাভ করেছে গেরুয়া শিবির। আর এই জয়ের নেপথ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যোগ্য নেতৃত্ব ও বিজেপি নেতা-কর্মীদের সংগঠিত লড়াই। বিজেপি একদিকে যখন এই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তখন যেন ‘মোদি-ঝড়ের’ গ্রাসে বিরোধী শিবির।

    একা মোদির মোকাবিলায় ২৬টি দল!

    কংগ্রেস হোক বা তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি হোক বা আম আদমি পার্টি— সকলেই একমত ছিল যে, একা একা নরেন্দ্র মোদির মোকাবিলা করা অসম্ভব, অবাস্তব। তাই, মোদির মোকাবিলা করতে ২৬টি জাতীয় ও আঞ্চলিক দল নিয়ে গঠিত হয়েছিল ‘ইন্ডি অ্যালায়েন্স’ (INDI Alliance)। এই জোটের মূল হোতা অবশ্যই শতাব্দী প্রাচীন পার্টি, মায় কংগ্রেস। এই জোট তৈরি হওয়া ইস্তক গত এক বছরে বেশ ক’বার জোটের সদস্য দলগুলির শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠকও করেন। তৈরি হয় একাধিক নীল-নকশা। লক্ষ্য মোদিকে হারানো। কিন্তু, এত কিছু করে বাস্তবে কী হল?

    আরও পড়ুন: ১২ রাজ্যে ক্ষমতায় বিজেপি, কংগ্রেস মাত্র তিনে! প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘হ্যাটট্রিক’ কি সময়ের অপেক্ষা?

    সেমিফাইনালে গো-হারা কংগ্রেস

    সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটকে আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের (2024 LS Polls) আগে সেমি-ফাইনাল হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বলা বাহুল্য, এই পাঁচ (বিশেষ করে চারটি) রাজ্যের বিধানসভার ফলাফলের দিকে তাকিয়ে ছিলেন সকলেই। যা দেখা গেল, তা হল— বিজেপি-৩, কংগ্রেস-১। ফলাফলেই পরিষ্কার, খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে বিরোধী শিবির (INDI Alliance)। কংগ্রেস তথা ইন্ডি-জোটের মাথার ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড়। যার জেরে একেবারে লন্ডভন্ড অবস্থা বিরোধী জোটে। 

    পিঠ বাঁচাতে ‘ইভিএম’ কারচুপি তত্ত্ব

    বিভ্রান্ত কংগ্রেস নেতারা হারের দায় ঝেড়ে ফেলতে এবং নিজেদের পিঠ বাঁচাতে ‘ইভিএম’ কারচুপির তত্ত্ব খাড়া করেছে। যদিও, তাতে কেউ আমল দিচ্ছে না। শুধু তাই নয়। ফলাফল বের হওয়া ইস্তক, জোটের মধ্যেই দোষারোপের পালা শুরু হয়ে গিয়েছে। নির্বাচনের ব্যর্থতার দায় কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছে জোট-শরিকরা। ইন্ডি-জোটের অন্যতম সদস্য তৃণমূল। মমতা জানিয়েছেন, এটা কংগ্রেসের পরাজয়। তাদের কৌশল ভুল ছিল। একই কথা প্রকাশ্যে এসেছে জেডিইউ-র থেকেও।

    ইন্ডির বৈঠকে গরহাজির কারা

    বুধবার, ভোটের পর্যালোচনা ও আগামী দিনের পরিকল্পনা ও নীতি স্থির করতে দিল্লিতে ১০ রাজাজি মার্গে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাসভবনে বৈঠক (INDI Alliance) ডাকা হয়েছিল। কিন্তু, সেখানে যাননি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, পাঠাননি কোনও প্রতিনিধিকে। উত্তরবঙ্গ সফরের আগে মমতা জানান, বৈঠকে সম্পর্কে তিনি নাকি কিছুই জানেন না। তাঁকে কেউ ফোন করেননি। বৈঠকে গরহাজির ছিলেন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব। যাননি জেডিইউ-র নীতীশ কুমার ও জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন। বৈঠকে ছিলেন না শিবসেনার উদ্ধব-গোষ্ঠী সহ আরও একাধিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

    লোকসভা ভোট পর্যন্ত ইন্ডি-জোট টিকবে তো?

    এই ঘটনাগুলোই প্রমাণ করে যে, ইন্ডি-জোটের ভিতরে ঘোঁট পাকিয়ে গিয়েছে। ঘটা করে শুরু হয়েছিল ইন্ডি-জোট। ‘হানিমুন’ পর্ব শেষ। বছর পার হতে না হতেই এবার রুক্ষ বাস্তব প্রকাশ পেতেই একে একে সরে যাচ্ছে জোটের শরিকরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এটা হওয়ারই ছিল। কারণ হিসেবে তাঁরা জানান, ইন্ডি জোটের শরিক দলগুলির নিজ নিজ স্বার্থ ঢেকে দিচ্ছে বিজেপিকে মোকাবিলা করার অভিন্ন স্বার্থকে। যে কারণে, নিজেদের মধ্যেই একে অপরকে কটাক্ষ করার এই প্রবণতা থেকে গিয়েছে। কারণ জোটের সবকটি দল স্বার্থপর। লোকসভা ভোট (2024 LS Polls) পর্যন্ত বিরোধীদের সাধের ইন্ডি-জোট (INDI Alliance) টিকবে তো? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share