Tag: bjp

bjp

  • Suvendu Adhikari: “কেন্দ্রের টাকা ঝেড়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার”, রাজ্যকে নিশানা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “কেন্দ্রের টাকা ঝেড়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার”, রাজ্যকে নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মোদিজি আবাস যোজনার টাকা দিলেও, বাড়ি পায়নি গরিব মানুষরা। সেই টাকা তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার ঝেড়ে দিয়েছে। তাই কেউ বাড়ি পায়নি।” সোমবার মেয়ো রোডে কথাগুলি বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একশো দিনের কাজ প্রকল্প সহ নানা ক্ষেত্রে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তার জেরে সোম ও মঙ্গলবার দু’ দিন ধরে দিল্লিতে ধর্নায় বসছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    এই কর্মসূচির পুরোভাগে রয়েছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা ও মেয়ো রোডে তারই পাল্টা জমায়েত করে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “এক দিকে নিয়োগ কেলেঙ্কারি, ১০০ দিনের প্রকল্পে এক কোটিরও বেশি ভুয়ো জব কার্ড তৈরি করে বাংলার মানুষের টাকা নিজেদের পকেটে ভরেছে তৃণমূল।” তিনি বলেন, “এই বঞ্চনার অভিযোগ তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা নয়াদিল্লিতে গিয়েছেন। কিন্তু ওঁদের মুখে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা মানায় না। কারণ তৃণমূলের সরকার উন্নয়নের নামে অর্থ লুট করেছে।”

    বিজেপির বিক্ষোভ

    শুভেন্দুর দাবি, ইউপিএ জমানার তুলনায় মোদির আমলে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বরাদ্দ কয়েকগুণ বেড়েছে। তৃণমূলের নীতির জেরেই টাকা আটকে রয়েছে। এদিন প্রথমে বিধানসভার বাইরে ধর্নায় বসেন বিজেপি বিধায়করা (Suvendu Adhikari)। নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য সহ ধৃতদের জেলবন্দি কাটআউট পাশে রেখে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা।

    রাজ্যের দুর্নীতি নিয়ে সেখানে গান গাইতে দেখা যায় হরিণঘাটার বিধায়ক বিজেপির অসীম সরকারকে। মেয়ো রোডে ধর্নায় বসেছিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্যরা। পরে বিধানসভা থেকে মেয়ো রোড পর্যন্ত গান করতে করতে আসেন বিজেপি বিধায়করা।

    আরও পড়ুুন: “লুট হয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা, সিবিআই চাই”, দাবি গিরিরাজের 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Delhi Police: লাঠি উঁচিয়ে দিল্লি পুলিশ! তড়িঘড়ি রাজঘাট ছাড়লেন অভিষেক ও তাঁর দলবল

    Delhi Police: লাঠি উঁচিয়ে দিল্লি পুলিশ! তড়িঘড়ি রাজঘাট ছাড়লেন অভিষেক ও তাঁর দলবল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে বাজার গরম করতে রাজঘাটে ধরনায় বসে ছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অবস্থান কর্মসূচির কোনও লিখিত অনুমতি ছিল না, তাই ধরনার মাঝপথেই লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে এল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। আর এতেই বেআইনি জমায়েত ছত্রভঙ্গ হল তৃণমূলীদের। দিল্লি পুলিশের সঙ্গে এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে তৃণমূল কর্মীদের সরানোর তোড়জোড় শুরু করে, তখনই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় রাজ্যের শাসক দলের কর্মীদের। সেই সময়ে বাধ্য হয়ে জায়গা ছেড়ে পালিয়ে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    লাঠি উঁচিয়ে পুলিশ

    তৃণমূল দাবি করছে যে সাংবাদিক বৈঠকও করতে দেওয়া হয়নি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তার আগেই জোর করে গাড়িতে তুলে রাজঘাট থেকে নাকি বের করে দিয়েছে তাঁকে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। শাসকদলের নেতৃত্বের এহেন আচরণকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘বাংলার বাঘ দিল্লিতে ইঁদুর।’’ এ নিয়ে তৃণমূলের সেকেন্ড দিন কমান্ডের বক্তব্য, ‘‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই ধরনায় বসে ছিলাম কিন্তু পুলিশ (Delhi Police) এসে আমাদের এখান থেকে উঠে যেতে বলে। অনুমতি ছাড়া যে রাজঘাট এভাবে অবরোধ করে রাখা যায়না, তা কি জানেনা রাজ্যের শাসক দল! প্রশ্ন বিভিন্ন মহলের। দিল্লির পুলিশ এবং সিআরপিএফ অবশ্য তৃণমূল নেতৃত্বকে বলতে থাকে যে রাজঘাটে এভাবে ধরনায় বসার কারণে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে। তাতেও কর্ণপাত না করাতে এই সক্রিয় হয় প্রশাসন।

    শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ

    কলকাতাতে বিজেপির কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন শুভেন্দু। সাংবাদিকরা তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন করতেই নন্দীগ্রামের বিধায়কের জবাব, ‘‘বিক্ষোভ করতে গিয়েছিল ওরা। ২০ মিনিট পরই লাঠি উঁচিয়েছে সিআইএসএফ আর দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। সকলে চলে গিয়েছে। ওরা বাংলায় বাঘ, সিংহ। দিল্লিতে লাঠি দেখাতেই ইঁদুর।’’ শুভেন্দুর আরও সংযোজন, ‘‘মমতা ব্যানার্জী টাকা চুরি করেছে, তাই যাননি। প্রশ্ন তুলুন ১ কোটি ৩০ লাখ ভুয়ো জবকার্ডগুলো কোথায়?’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘তৃণমূলের ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে’’! চাঞ্চল্যকর দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘তৃণমূলের ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে’’! চাঞ্চল্যকর দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে তৃণমূলের অবস্থান চলছে দিল্লিতে। ধরনা নিয়ে নানা প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। বিরোধীদের দাবি, ব্লক স্তরের নেতাদেরও প্লেনে করে উড়িয়ে আনা হয়েছে দিল্লিতে। এছাড়া ১০০টি ভল্ভো বাসে করে কর্মীদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাজধানীর উদ্দেশে। রাজ্যের শাসক দলের এই বিপুল পরিমাণ অর্থের উৎস ঠিক কী! তা নিয়েও চলছে জোর চর্চা। অন্যদিকে দিল্লিতে তৃণমূলের অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলকে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম ধনী দল বলেও মন্তব্য করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর মতে ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে তৃণমূলের।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী 

    রবিবারই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূলের অবস্থান কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর মতে, “যন্তর মন্তরে যা খুশি করুন এপাং ওপাং ঝপাং! আমরা সবাই কোলা ব্যাঙ! যন্তর মন্তরের বাইরে কিছু করতে যাবেন না। ওখানে কিন্তু বিনীত গোয়েল নেই! অমিত শাহের পুলিশ, লাঠির সাইজ ৬ ফুট।” শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন আরও বলেন “তৃণমূল কংগ্রেস তো ভারতের তৃতীয় ধনীতম দল। বর্তমানে তাদের তহবিলের পরিমাণ প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। সেই টাকা দিয়ে ২০-২৫টা চার্টার্ড ফ্লাইট বুক করে তো ওরা কর্মীদের সরাসরি দিল্লি নিয়ে যেতে পারত। একেকটা বড় বিমানে ২৫০-৩০০ লোক যেতে পারতেন।”

    ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে

    সোমবারই তৃণমূলের পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে দিল্লি এবং কলকাতায় দু’ জায়গাতেই কর্মসূচি রয়েছে নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। দিল্লিতে সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে সাংসদদের দল যাবেন পঞ্চায়েত দফতরের মন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন জমা দিতে তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়ছয়-এর প্রতিবাদে কলকাতার সড়কে ধরনা অবস্থান করবেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের কাজে বারংবারই দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বেশ কয়েক মাস আগে উত্তর দিনাজপুরের একটি মামলাতে দেখা যায় তৃণমূলের নেতারা যেখানে পুকুর খননের কাজ দেখিয়েছেন, সেখানে রয়েছে আস্ত একটি ভুট্টার খেত। এই ঘটনায় রীতিমতো আশ্চর্য হয়ে যায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। অভিযোগ, কাজ না করেও মেলে ১০০ দিনের কাজের টাকা, সরাসরি অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন ভুয়ো প্রকল্পের মাধ্যমেও চলে একশ দিনের কাজের টাকা নয়ছয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘২ হাজার কোটি টাকা পড়ে থাকলেও খরচ করতে পারছে না রাজ্য’, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘২ হাজার কোটি টাকা পড়ে থাকলেও খরচ করতে পারছে না রাজ্য’, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ২ হাজার কোটি টাকা রাজ্যে এসে পড়ে আছে, সেই টাকা খরচ করতে পারছে না রাজ্য সরকার। কিন্তু, ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করতে ছাড়ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। নদিয়ার গাংনাপুর মাঝেরপাড়া গ্রামের রেলগেট সংলগ্ন একটি মাঠে বিজেপির এক জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ভাষাতেই তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    স্পেন সফর নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, মুখ্যমন্ত্রী স্পেনে গিয়েছিলেন শিল্প আনতে, কাকে ধরে নিয়ে আসলেন, বাংলা তথা বিশ্বের স্বনামধন্য খেলোয়াড় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। দিদির অনুপ্রেরণায় সবই হয়, দিদির অনুপ্রেরণায় কয়লা হাফিস হয়ে যাচ্ছে, গরু পাচার হয়ে যাচ্ছে। আজ দিদির অনুপ্রেরণায় স্পেনে গিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় শিল্পপতি হয়েছেন। কোনদিন দিদির অনুপ্রেরণায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় না চাঁদে চলে যান। এদিন মঞ্চে উঠে মাইক ধরতেই মুখ্যমন্ত্রীকে একের পর এক আক্রমণ করলেন তিনি।

    সাগর দত্ত হাসপাতালে দালালচক্র নিয়ে মদনকে কটাক্ষ সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    নির্বাচনের আগে চাকরির জন্য ফর্ম ফিলআপ করা নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, ভোটের আগে চাকরিপ্রার্থীদের ফর্ম ফিলআপ করানো মানে সেই টাকা নির্বাচনের খরচের জোগানো করা ছাড়া আর কিছু নয়। ঝালদা পুরসভার অনাস্থা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে বলেন, পৌরসভা তৃণমূলের পৌরসভা ছিল না, জোর করে এই পৌরসভা তৃণমূল কংগ্রেস দখল করে। স্বাভাবিকভাবেই জোর করে দখল করার জিনিস বেশিদিন থাকে না। যদিও মদন মিত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই দালালরাজ বহুদিন ধরে চলছে। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ থেকে মদন মিত্রকে বহুদিন আগে বের করে দিয়েছে। তাই মদন মিত্রের এত রাগ। ১৫ দিন পরে আবার দালাল চক্র শুরু হবে। অন্যদিকে, নদিয়ার তাঁত শিল্প নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, তাঁত শিল্পকে বাঁচাতে কম দামে সুতো দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার, কিন্তু এ রাজ্য সেটাও ভাগ বাঁটোয়ারা করে মুনাফা লোটার চেষ্টা করছে। কিন্তু, তাঁত শিল্পকে কিভাবে বাঁচানো যাবে সেদিকে কোনও খেয়াল নেই মুখ্যমন্ত্রীর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘করোনার থেকেও ভয়াবহ ডেঙ্গি পরিস্থিতি’’! স্বাস্থ্যভবনে শুভেন্দুর বিক্ষোভ, পুলিশের বাধা

    Suvendu Adhikari: ‘‘করোনার থেকেও ভয়াবহ ডেঙ্গি পরিস্থিতি’’! স্বাস্থ্যভবনে শুভেন্দুর বিক্ষোভ, পুলিশের বাধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্য ভবনে বিক্ষোভ দেখালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বেলার দিকে বিজেপি বিধায়কদের একাংশকে নিয়ে স্বাস্থ্যভবনের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। ‘ডেঙ্গির সরকার, আর নেই দরকার’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগানও দেন বিজেপি বিধায়কেরা। স্বাস্থ্যভবনে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বিরোধী দলনেতাকে। 

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    এদিন শুভেন্দুর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য ভবনের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ২২ জন বিজেপি বিধায়ক। বিরোধী দলনেতাকে গেটে আটকে দেয় পুলিশ। স্বাস্থ্য ভবনের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাঁদের স্মারকলিপি দিতে বাধা দেওয়া হয়। রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে একশো জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর কাছে সমস্ত তথ্য রয়েছে বলেও জানান তিনি। শুভেন্দু বলেন, “দেশের বাকি সব রাজ্য ডেঙ্গি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিলেও পশ্চিমবঙ্গ তথ্য লুকোচ্ছে।” 

    স্মারকলিপি দিতেও বাধা

    শুভেন্দুর অভিযোগ, করোনার থেকেও ভয়াবহ রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি। তাঁর কথায়, “কেন ডেঙ্গি মোকাবিলায় উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয়নি? কেন চিকিৎসকেরা ডেঙ্গি লিখতে ভয় পাচ্ছেন? এই সব জিজ্ঞাসা করতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই স্বাস্থ্যভবনে গিয়েছিলাম।” সরকারের ডেঙ্গি নিয়ে বৈঠককে আইওয়াশ বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘আমরা সচিবের কাছে যাচ্ছি না। স্মারকলিপি রিসিভ করিয়ে চলে যেতাম। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে ডেঙ্গির ভয়াবহতার এই খবর পৌঁছে দিতে চাই। এটা মমতার, তৃণমূলের স্বাস্থ্য ভবন নয়। বিধায়কদের মমতার পুলিশ কীভাবে আটকাতে পারে?’

    আরও পড়ুন: চাপের মুখে ডেঙ্গি-তথ্য প্রকাশ রাজ্যের! ভয় ধরাচ্ছে পরিসংখ্যান, কী আছে তাতে?

    বিজেপির প্রতিবাদ

    এদিনই বিজেপির পক্ষে  কাল থেকে আগামী ৭ দিন রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়। ডেঙ্গি পরিস্থিতির (Dengue Scare) অবনতির প্রতিবাদে এবার রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি (BJP)। একসঙ্গে আন্দোলনে নামছে বিজেপি যুব মোর্চা, টিচার সেল, ডক্টর সেল ও স্বাস্থ্য পরিষেবা সেল। বিভিন্ন পুরসভা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের (Health Centres) সামনে চলবে বিজেপির প্রতিবাদ। ধর্না, অবস্থান বিক্ষোভের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। ডেঙ্গিতে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে আক্রান্ত ৪০ হাজার ছুঁইছুঁই।

    ফের ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু

    অন্যদিকে, মঙ্গলবারই বাঙুর হাসপাতালে মৃত্যু হল ডেঙ্গি আক্রান্ত ২৮ বছরের এক তরুণীর। তিনি নেতাজি নগরের বাসিন্দা। মৃতার নাম প্রিয়া রায়। সোমবার সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁকে বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সিসিইউতে রাখা হয়েছিল তাঁকে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওই তরুণীকে সঙ্কটজনক অবস্থায় আনা হয়েছিল। ডেঙ্গি শক সিনড্রোমও ছিল। তাতেই মৃত্যু হয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • AIADMK: এনডিএ শিবির ছাড়ল জয়ললিতার দল এআইএডিএমকে, কেন জানেন?

    AIADMK: এনডিএ শিবির ছাড়ল জয়ললিতার দল এআইএডিএমকে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ছাড়ল এআইএডিএমকে (AIADMK)। বিজেপির তামিলনাড়ু নেতৃত্বের প্রতি বিষোদ্গার করে এনডিএ ছাড়ল জয়ললিতার দল। কংগ্রেস-ডিএমকে জোটকে হারাতে এনডিএ শিবিরে ভিড়েছিলেন এআইএডিএমকে নেতৃত্ব।

    কী বলছেন এআইএডিএমকে নেতৃত্ব?

    বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মসনদে বসে কংগ্রেস-ডিএমকে জোট। লোকসভা নির্বাচনের আগে এনডিএতে বিশেষ সুবিধা হবে না আঁচ করেই জয়ললিতার দল এনডিএ ছাড়ল বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। সোমবার দলের ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর কেপি মুনুসামি বলেন, “এআইএডিএমকের সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। এআইএডিএমকে আজ থেকে বিজেপি এবং এনডিএ জোটের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করছে।”

    মানহানিকর বিবৃতির প্রতিবাদ!

    তিনি বলেন, “বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব গত এক বছর ধরে আমাদের প্রাক্তন নেতা, আমাদের সাধারণ সম্পাদক ইপিএস এবং আমাদের কর্মীদের সম্পর্কে ক্রমাগত অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করে চলেছেন।” দলীয় নেতৃত্বের দাবি, এই পদক্ষেপটি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এআইএডিএমকে ও তাদের নেতাদের ওপর বিজেপির আক্রমণ ও মানহানিকর বিবৃতির প্রতিবাদ।

    দিন কয়েক আগে সনাতন ধর্ম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন ডিএমকে নেতা তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের পুত্র উদয়নিধি। তিনিও মন্ত্রিসভার সদস্য। উদয়নিধির মন্তব্যের প্রতিবাদ করে বিজেপি। এই আবহে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা দ্রাবিড়ীয় আইকন সিএন আন্নাদুরাই সম্পর্কে  বিজেপির তামিলনাড়ু নেতৃত্ব বিতর্কিত মন্তব্য করেন বলেন অভিযোগ। কী ডিএমকে, কী এআইএডিএমকে (AIADMK) তামিলনাড়ুর কোনও রাজনৈতিক দলই আন্নাদুরাই সম্পর্কে কটু কথা শুনতে রাজি নয়। তাছাড়া লোকসভা নির্বাচন নিয়ে আসন ভাগাভাগি নিয়েও এনডিএর সঙ্গে এআইএডিএমকের অশান্তি হচ্ছিল বলে খবর। সেই কারণেও বাড়ছিল দূরত্ব।

    সর্বোপরি, গত লোকসভা নির্বাচন এবং একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি জয়ললিতার দল। তার জেরে এনডিএ থেকে বেরিয়ে আসার চাপ তৈরি হচ্ছিল দলের নিচুতলায়। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই এনডিএ শিবির ছাড়তে বাধ্য হল জয়ললিতার দল।

    আরও পড়ুুন: “কিছু শহুরে মাওবাদী এখন কংগ্রেস চালাচ্ছে”, ভোপালের জনসভায় তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, এর আগেও আখের গুছোতে বিজেপির হাত ধরেছিল জয়ললিতার দল। ১৯৯৮, ২০০৪ এবং ২০১৯ সালে বিজেপির সঙ্গে জোট গঠন করে লড়াইয়ের ময়দানে নামে এআইএডিএমকে (AIADMK)। ’৯৮ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেন জয়ললিতা। তার জেরে পতন হয় বাজপেয়ী সরকারের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “কিছু শহুরে মাওবাদী এখন কংগ্রেস চালাচ্ছে”, ভোপালের জনসভায় তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: “কিছু শহুরে মাওবাদী এখন কংগ্রেস চালাচ্ছে”, ভোপালের জনসভায় তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস দেউলিয়া এবং মরচে পড়া লোহা। কিছু শহুরে মাওবাদী এখন দল চালাচ্ছে।” সোমবার মধ্যপ্রদেশের ভোপালে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর মতে, দেশজুড়ে নেতিবাচকতার ভাইরাস ছড়াচ্ছে কংগ্রেস। চলতি বছরই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে মধ্যপ্রদেশে। তার আগে বিজেপির তরফে আয়োজন করা হয়েছে ‘কার্যকর্তা মহাকুম্ভে’র।

    মোদির নিশানায় কংগ্রেস 

    এই মহাকুম্ভেই ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিশানা করেন কংগ্রেসকে। তিনি বলেন, “আমাকে বলুন, কংগ্রেস আপনাদের জন্য কী ভাল কাজ করেছে। এই দল এটা নিশ্চিত করেছে যে আপনি ও লোকেরা যাতে অনুন্নয়নে আটকে থাকেন, জীবিকার অভাবে দারিদ্র ও হতাশার মধ্যে ডুবে থাকেন।” এর পরেই তিনি বলেন, “কংগ্রেস দেউলিয়া ও মরচে পড়া লোহা। কিছু শহুরে মাওবাদী এখন দল চালাচ্ছে। আর বিজেপি সরকার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নীত করার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছে।”

    ‘প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি কংগ্রেস’

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “কংগ্রেস ৫০ বছর আগে দারিদ্র দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তাতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।” তাঁর প্রশ্ন, “মধ্যপ্রদেশকে কি আপনারা আবার কংগ্রেস আমলের মতো অসুস্থ রাজ্যে পরিণত করতে চান? আপনাদের রাজ্যে আবার দুর্নীতিবাজদের লুটপাট দেখতে চান?” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মধ্যপ্রদেশের উন্নয়নকে বিজেপি সরকার অগ্রাধিকার দেবে। যদি বিজেপি ক্ষমতায় থাকে এবং মোদির নেতৃত্বে থাকে, তবে আপনাদের উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে।”

    আরও পড়ুুন: ইন্ডি জোটের অন্দরে ফের তাল ঠোকাঠুকি! রাঘবের মেগা বিয়েকে ঘিরে আপকে বিঁধল কংগ্রেস

    কংগ্রেসের পাশাপাশি এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আক্রমণ শানান বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ইন্ডিকে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যে দলটি একদিন সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিলের বিরোধিতা করতে চেয়েছিল, এবার কিন্তু আইনটির জন্য অপ্রতিরোধ্য সমর্থনের মুখে তাঁদের অন্য কোনও বিকল্প ছিল না।” তিনি বলেন, “কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন মহিলা সংরক্ষণ বিল কেন পাশ করেনি? অন্য জোটের শরিকদের বিপথে নিয়ে যাওয়ার জন্য অহংকারী জোটকে নেতৃত্ব দিতে চায় কংগ্রেস। এই দলের হতাশা স্পষ্ট এবং এখন তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করবে এবং যুবক ও মহিলাদের বিভ্রান্ত করবে। কংগ্রেস সেই দল যারা দ্রৌপদী মুর্মুকে দেশের রাষ্ট্রপতি হতে দেখতে চায়নি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JD(S): লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘রামধাক্কা’!  তৃণমূলকে নিরাশ করে এনডিএ শিবিরে ভিড়ল কুমারস্বামীর দল

    JD(S): লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘রামধাক্কা’!  তৃণমূলকে নিরাশ করে এনডিএ শিবিরে ভিড়ল কুমারস্বামীর দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সুপ্রিমোর হাত ফসকালেন এইচডি কুমারস্বামী! লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়বেন বলে কালীঘাটে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কথা দিয়ে গিয়েছিলেন জনতা দল সেকুলার (JD(S)) প্রধান কুমারস্বামী। পরে বিজেপিকে পরাস্ত করতে যে ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’ গড়ে উঠেছে, তাতে অবশ্য যোগ দেয়নি কুমারস্বামীর দল। শেষমেশ শুক্রবার দুপুরে তারা যোগ দিল এনডিএ শিবিরে। যার জেরে লোকসভা নির্বাচনের আগে খানিকটা হলেও ধাক্কা খেল বিরোধীদের ইন্ডি জোট। নিশ্চয়ই হতাশ হলেন তৃণমল নেত্রীও!

    বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ কুমারস্বামীর

    এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে এনডিএতে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন কুমারস্বামী। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে রণাঙ্গনে নেমেছিল কুমারস্বামীর দল (JD(S))। কর্নাটকে ২৮টি লোকসভা আসন রয়েছে। এর ২১টিতে দাঁড়িয়েছিল কংগ্রেস। বাকিগুলিতে প্রার্থী দিয়েছিল জনতা দল সেক্যুলার। সেবার মাত্র একটি আসনে জয় পেয়েছিল কুমারস্বামীর দল। কর্নাটকে বিজেপি লড়েছিল ২৭টি আসনে। এর মধ্যে পদ্ম প্রার্থীরা জিতেছেন ২৫টি আসনে।

    কর্নাটককে কংগ্রেস মুক্ত করার ডাক

    কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনেও কংগ্রেস ঝড়ে উড়ে গিয়েছে জনতা দল সেক্যুলার। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণে কংগ্রেসকে উচিত শিক্ষা দিতে বিজেপি শিবিরে ভিড়ল কুমারস্বামীর দল। তার পরেই লোকসভা নির্বাচনে কর্নাটককে কংগ্রেস মুক্ত করার ডাক দিলেন কুমারস্বামী। এদিন দুপুরে নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। উপস্থিত ছিলেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তও। এনডিএ শিবিরে যোগ দেওয়ার পর ট্যুইট করেন জেপি নাড্ডা।

    তিনি লিখেছেন, “কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিএস (JD(S)) নেতা কুমারস্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হল। উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এনডিএ শিবিরে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমি খুশি। আমরা তাঁদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাচ্ছি। এতে এনডিএ আরও শক্তিশালী হবে। পূর্ণ হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন, ‘নয়া ভারত, শক্তিশালী ভারত’।”

    আরও পড়ুুন: মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশে “মা-বোনেদের স্বপ্নপূরণ’’, মহিলাদের প্রণাম প্রধানমন্ত্রীর

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Women Reservation Bill: মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশে “মা-বোনেদের স্বপ্নপূরণ’’, মহিলাদের প্রণাম প্রধানমন্ত্রীর

    Women Reservation Bill: মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশে “মা-বোনেদের স্বপ্নপূরণ’’, মহিলাদের প্রণাম প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মহিলাদের জীবন আরও সহজ করতে, তাঁদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করতে ও মহিলাদের নেতৃত্বে উন্নয়নের যে গ্যারান্টি মোদি দিয়েছিল, এটা তার প্রমাণ।” লোকসভার পর রাজ্যসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল (Women Reservation Bill) পাশ হওয়ার পর একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার লোকসভায় পেশ হয়েছিল মহিলা সংরক্ষণ বিল। পরে সেটি পাঠানো হয় রাজ্যসভায়। বৃহস্পতিবার রাতে সেখানেও পাশ হয় বিলটি। তিন দশক ধরে চেষ্টা চালানোর পর শেষমেশ সংসদে পাশ হল বিলটি। তার পরেই বিজেপির সদর দফতর সহ সর্বত্র শুরু হয়েছে উদযাপন।

    ‘স্বপ্ন সত্যি হয়েছে’

    মহিলা সংরক্ষণ বিল (Women Reservation Bill) পাশের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশবাসীকে অভিনন্দন। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে দেশের নাগরিকরা এই বিলের অপেক্ষায় ছিল। সেই স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। এটা গোটা দেশের জন্য একটা বিশেষ সময়। আজ মহিলাদের আত্মবিশ্বাস আকাশ স্পর্শ করছে। দেশের মা-বোন-মেয়েরা উদযাপন করছেন। আমাদের আশীর্বাদ করছেন।” তিনি বলেন, “কোটি কোটি মা-বোনেদের স্বপ্নপূরণ করার সুযোগ আমরা পেয়েছি। বিজেপি রাষ্ট্রকে সবার আগে মনে করে। বিজেপি কর্মী হিসেবে, দেশের দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে আমাদের কাছে এটা অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত।”

    ‘এটি কোনও সামান্য আইন নয়’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নারী শক্তি বন্ধন অধিনিয়ম কোনও সামান্য আইন নয়, এটা নতুন ভারতের নতুন সূচনা। অমৃতকালে নতুন ভারত গঠনের লক্ষ্যে অনেক বড় ও মজবুত পদক্ষেপ।” তিনি বলেন, “মহিলাদের অংশীদারিত্ব বাড়াতে বিজেপি তিন দশক ধরে এই বিল (Women Reservation Bill) আইনে পরিণত করার চেষ্টা করছিল। আজ আমরা তা বাস্তবায়ন করেছি। মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে একাধিক বাধা ছিল, কিন্তু যখন উদ্দেশ্য পবিত্র হয়, প্রয়াসে পারদর্শিতা থাকে, তখন সব প্রতিবন্ধকতা পার করা যায়।”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ আমি দেশের সব মহিলাকে অভিনন্দন জানাতে চাই। গতকাল ও তার আগের দিন আমরা নয়া ইতিহাস তৈরির সাক্ষী থেকেছি। এটা আমাদের সৌভাগ্য যে কোটি কোটি মানুষ এই ইতিহাস তৈরির সুযোগ দিয়েছেন। এমন কিছু সিদ্ধান্ত থাকে, যা দেশের ভাগ্য বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।” বিল (Women Reservation Bill) পাশের পর এদিন প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় বিজেপির সদর দফতরে। সেখানে প্রবীণ এক মহিলা বিজেপি কর্মীকে ঝুঁকে প্রণামও করতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে।  

    আরও পড়ুুন: নিজ্জর খুনে প্রমাণ দিতে ব্যর্থ, রাজনৈতিক কারণেই কি ভারতকে নিশানা ট্রুডোর?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Women’s Reservation Bill: মোদি সরকারের চালে মাত বিরোধীরা, লোকসভায় পাশ মহিলা সংরক্ষণ বিল

    Women’s Reservation Bill: মোদি সরকারের চালে মাত বিরোধীরা, লোকসভায় পাশ মহিলা সংরক্ষণ বিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪৫৪-২ ভোটে লোকসভায় পাশ হয়ে গেল মহিলা সংরক্ষণ বিল (Women’s Reservation Bill)। বুধবার সন্ধ্যায় গোপন ভোটাভুটিতে পাশ হয়ে গেল নরেন্দ্র মোদি সরকারের আনা বিলটি। বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৪৫৪ জন। বিলে সংশোধন চেয়ে ভোট দিয়েছেন দু’জন।

    এক তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষিত

    মঙ্গলবার লোকসভায় বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন সিং মেঘওয়াল। বিলে বলা হয়েছে, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্য অর্জনের জন্য মহিলাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। সেই লক্ষ্যে ১৫ বছরের জন্য মহিলাদের জন্য লোকসভা, রাজ্যসভায় আসন সংরক্ষণের সীমাবদ্ধ অনুশীলন চালু হচ্ছে। বিল অনুযায়ী, প্রতিটি নির্বাচনে লোকসভা ও বিধানসভাগুলির এক তৃতীয়াংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা হবে।

    কী বললেন অমিত শাহ?

    বিলটি (Women’s Reservation Bill) প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “সাধারণ, তফশিলি জাতি এবং উপজাতি – তিনটি বিভাগেই মহিলাদের সংরক্ষণের সুবিধা দেবে এই বিলটি।” তিনি জানান, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর জনগণনা ও লোকসভা এবং বিধানসভার সীমানা পুনর্বিন্যাসের পরেই বিলটি বাস্তবায়ন করা হবে। নির্বাচনের পর দ্রুত জনগণনা ও সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ করা হবে। এই বিলের ফলে সংসদে মহিলাদের বৃহত্তর প্রতিনিধিত্ব সম্ভব হবে।প্রসঙ্গত, ২০২৭ সালের আদমসুমারির পরেই বিল কার্যকরের কথা বিলের প্রস্তাবে রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ২০২৯ সালের আগে বিলটি কার্যকরের সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

    গত আড়াই দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে আটকে ছিল মহিলা সংরক্ষণ বিল। সংসদে প্রথম প্রাইভেট মেম্বারস বিল হিসেবে মহিলা সংরক্ষণ সংক্রান্ত প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন সাংসদ সিপিআইয়ের গীতা মুখোপাধ্যায়। সেটা ১৯৯৬ সাল। ওই বছরই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার সরকার বিলটি (Women’s Reservation Bill) সংসদে পেশ করতে প্রথম উদ্যোগী হয়েছিল। পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী বিলটি পেশ করে। যদিও রাজনৈতিক বিরোধিতার জেরে পাশ করানো যায়নি। ২০০৬ সালে ইউপিএ সরকার ফের বিলটি পেশ করে সংসদে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে সেবারও পাশ করানো যায়নি বিলটি। ২০২৩ সালে লোকসভায় পাশ হল বিলটি। রাজ্যসভায় পাশ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদন মিললেই তৈরি হবে নয়া ইতিহাস। যে ইতিহাসের কারিগর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    আরও পড়ুুন: হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চলে এলেন প্রধানমন্ত্রী, ফলোয়ারের সংখ্যা ছাড়াল ১০ লাখ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share