Tag: bjp

bjp

  • Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি, দাবি এনআইএ তদন্তের

    Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি, দাবি এনআইএ তদন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে (Jadavpur University) কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ  হল বিজেপি। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাওবাদী কার্যকলাপের পাশাপাশি আজাদি স্লোগানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন বিজেপির মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়ি। ঘটনার তদন্তে এনআইএ দাবি করেছে পদ্ম শিবির।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    ৯ অগাস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে বিজেপির যুব মোর্চা। ওই কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফেরার সময় তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। দেওয়া হয় মাওবাদী স্লোগানও। হামলা চালানো হয় তাঁর গাড়িতেও। এর পরেই আরএসএফের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন শুভেন্দু। তাঁর (Jadavpur University) দাবি, আরএসএফ মাওবাদীদের সেই সংগঠন, যা ভারতে নিষিদ্ধ। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ প্রয়োগ করার জন্যও যাদবপুর থানার ওসিকে লিখিত অভিযোগ জানান শুভেন্দু।

    আদালতে মামলা

    সোমবার রাজর্ষি মামলা দায়ের করার পাশাপাশি পৃথক একটি মামলার অনুমতি চেয়েছিলেন শুভেন্দু। পুরো বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাঁরা। মামলা দায়েরের অনুমতিও দেন প্রধান বিচারপতি। আদালতে শুভেন্দুর আইনজীবী বলেন, “ইউএপিএ আইন অনুযায়ী, মাওবাদী সংগঠন নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও যাদবপুরের মতো প্রতিষ্ঠানে (Jadavpur University) এই অতিবাম সংগঠনগুলো কীভাবে সক্রিয় থাকতে পারে? তাই ছাত্র খুনের ঘটনায় ইউএপিএ ধারা যুক্ত করে এনআইএ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।” তিনি বলেন, “২০২২ সালে নদিয়া জেলা থেকে কিছু মাওবাদী গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাঁরা যাদবপুরের ছাত্র ছিলেন। যে ছাত্রটির মৃত্যু হয়েছে, তারও বাড়ি নদিয়ায়। ছেলেটি কিছু জানতে পেরেছিল বলেই তাকে হত্যা করা হল কিনা, সেটা জানা জরুরি। যেহেতু যাদবপুরে মাওবাদীদের মতো নিষিদ্ধ সংগঠন সক্রিয় তাই জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এনআইএ তদন্ত চাইছি।”

    আরও পড়ুুন: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের দফতরে ইডি! ‘কালীঘাটের কাকু’র মেয়ে-জামাইয়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে (Jadavpur University) আগেই এনআইএ তদন্ত চেয়েছিলেন শুভেন্দু। গ্রেফতার হওয়া ১৩ জন পড়ুয়ার মধ্যে একজন জম্মু-কাশ্মীরের। তাঁকে ওবিসি এ সার্টিফিকেট দিয়ে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। শুভেন্দু বলেছিলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের ছেলে যাদবপুরে ভর্তি হতে পারে না। তাঁকে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট দিয়েছে শাসক দলের নেতা। এর সঙ্গে কাদের লিঙ্ক রয়েছে, মধ্যযুগীয় বর্বরতা কারা করতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। একে একেবারে শেকড় থেকে তুলে ফেলতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “২০৪৭ সালের মধ্যে প্রতিটি গ্রামে উন্নয়নের দীপ জ্বালাতে হবে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “২০৪৭ সালের মধ্যে প্রতিটি গ্রামে উন্নয়নের দীপ জ্বালাতে হবে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিজেপির আসল শক্তি তার কর্মীরা।” শুক্রবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন দলীয় জেলা পঞ্চায়েত সদস্যদের সম্মেলনে ভার্চুয়ালি ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সময়ই তিনি দলীয় কর্মীদের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিজেপির আসল শক্তি তার কর্মীরা এবং তাঁরা সব সময় আমাদের সঙ্গেই থাকেন।”

    পঞ্চায়েতে বেড়েছে বরাদ্দ

    দাদরা নগর হাভেলি এবং দমন দিউয়ে ক্ষেত্রীয় পঞ্চায়েতি রাজ পরিষদের উদ্বোধন করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁর সরকার ৩০ হাজারের বেশি জেলা পঞ্চায়েত ভবন তৈরি করেছে। তিনি বলেন, “আগে জেলা পঞ্চায়েতকে দেওয়া হত ৭০ হাজার কোটি টাকা। আর এখন দেওয়া হয় ৩ লক্ষ কোটি টাকা।” উন্নয়নের ক্ষেত্রে যৌথ দায়িত্ব যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, “আমরা সংগঠনে বিশ্বাস করি, আমরা মূল্যবোধে বিশ্বাস করি, আমরা ত্যাগে বিশ্বাস করি এবং যৌথ দায়িত্ব নিয়ে আমরা এগিয়ে চলি। আমরা প্রতিনিয়ত সক্ষমতা অর্জন করি, বাড়িয়ে চলি দক্ষতা। উন্নয়ন হওয়া উচিত ব্যক্তি মানুষের পাশাপাশি আঞ্চলিক স্তরেও।”

    উন্নয়নের দিশা

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি আপনাদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলতে বলছি। এর মাধ্যমে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। একে অন্যকে বলুন, আপনার জেলায় কী কী উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে, অন্যের জেলায় কী কাজ হচ্ছে, তাও জানুন।” তিনি বলেন, “প্রতি বছর তিনটি সামাজিক সমস্যা খুঁজে বের করুন। সেগুলি সম্পূর্ণ করতে চার মাস করে সময় দিন। এভাবে কাজ করলে আপনি দেখবেন, পাঁচ বছরে পনেরটি সামাজিক সমস্যার সমাধান আপনি করতে পেরেছেন। একশো দিনের কাজ প্রকল্পের টাকায় পুকুর খুঁড়ুন, রাস্তার কাজ করুন কিংবা বৃক্ষরোপণ অভিযান করুন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০৪৭ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি গ্রাম, তহশিল এবং জেলায় উন্নয়নের দীপ জ্বালাতে হবে।”

    আরও পড়ুুন: নকশালপন্থী সংগঠনকে নিষিদ্ধ না করলে যাদবপুরে তালা ঝোলানোর হুঁশিয়ারি এবিভিপির

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “উন্নয়নমূলক কাজের গুরুত্ব বিচার করে কাজ সাজান। তারপর শুরু করুন।” তিনি বলেন, “যাঁরা লোকাল বডির বিভিন্ন পদে কাজ করেন তাঁরা তাঁদের গ্রাম বা জেলায় উন্নয়নমূলক কাজ করুন। কোন কাজ আগে করা প্রয়োজন, জনগণের সমর্থন নিয়ে সেই কাজ শেষ করুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: শুভেন্দুকে কালো পতাকা, এবিভিপি-আরএসএফ সংঘর্ষে ধুন্ধুমার, রক্তাক্ত যাদবপুর

    Jadavpur University: শুভেন্দুকে কালো পতাকা, এবিভিপি-আরএসএফ সংঘর্ষে ধুন্ধুমার, রক্তাক্ত যাদবপুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারের বারবেলায় রক্ত ঝরল যাদবপুরে (Jadavpur University)। প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে এবিভিপি। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কর্মসূচি সেরে শুভেন্দু বেরিয়ে যেতেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবিভিপি এবং আরএসএফের কর্মী-সমর্থকরা। ঘটনায় দু পক্ষের বেশ কয়েকজন জখম হন।

    এবিভিপি-আরএসএফ সংঘর্ষ

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন কর্মসূচি সেরে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শুভেন্দুকে কালো পতাকা দেখানো হয়। তার জেরে সংঘর্ষ বাঁধে এবিভিপি এবং আরএসএফের মধ্যে। তার আগে স্থানীয় থানার ওসি রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে বেরতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে (Jadavpur University) শুভেন্দু বলেন, “ওসি আমার পথ আটকে ছিলেন। আমি ওঁকে বলি, মুখ্যমন্ত্রী আপনাকে বেতন দেন? মনে রাখবেন জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন হয়। পুলিশ তো তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। এরপর মিছিল করতে হলে সঙ্গে কাঁচা বাঁশের লাঠি রাখতে হবে।”

    শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি

    এদিনের কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে শুভেন্দু জানান, শুক্রবার ১৫ জন বিধায়ককে নিয়ে মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, “আগামিকাল (শুক্রবার) মৃত ছাত্রের বাড়িতে যাব, সঙ্গে থাকবে ১৫ বিধায়কের দল। ছাত্রের পরিবার চাইলে আইনি লড়াই লড়বে বিজেপি।” তিনি বলেন, “পুলিশের ওপর ভরসা নেই। যাদবপুরে তিন-চারটি সংগঠন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বি-টিম। ব্লিচিং-ফিনাইল দিয়ে এদের পরিষ্কার করতে হবে। এদের উপড়ে ফেলব।” শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মৃত ছাত্রের নাম নেওয়ায় রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনের কাছে তাঁকে নোটিশ পাঠানোর দাবিও জানান শুভেন্দু। বিশ্ববিদ্যালের (Jadavpur University) ভূমিকা নিয়ে ইউজিসিকে চিঠি লিখবেন বলেও জানান তিনি।

    সিবিআই / এনআইএ দাবি

    যাদবপুরকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন এক কাশ্মীরি পড়ুয়া। তাঁকে ওবিসি এ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল। এনিয়ে প্রশ্ন তুলে সিবিআই বা এনআইএ তদন্তের দাবি জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এদিন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে হিসেব বুঝে নেব। শিক্ষামন্ত্রী আপনি পালিয়ে যাবেন না।” এদিকে, যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইস্যু করা পরিচয়পত্র ছাড়া রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে প্রবেশ করা যাবে না জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে।

    আরও পড়ুুন: বড় চমক বিজেপির! ভোট ঘোষণার আগেই মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Atal Bihari Vajpayee: ভারতীয় অর্থনীতিকে দিশা দেখিয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী

    Atal Bihari Vajpayee: ভারতীয় অর্থনীতিকে দিশা দেখিয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনবার। ১৯৯৬ সালে মাত্র ১৩ দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। দ্বিতীয় দফায় তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ছিল ১৩ মাস। আর তৃতীয় দফায় (১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৪ পর্যন্ত) পুরো পাঁচ বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এতক্ষণ যাঁর কথা বলা হল, তিনি প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বিজেপির অটল বিহারী বাজপেয়ী (Atal Bihari Vajpayee)। এই স্বল্প মেয়াদের ভারত-শাসন কালে দেশকে এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

    বাজপেয়ী জমানা

    বাজপেয়ীর কথা উঠলেই আমাদের মনে পড়ে ১৯৯৮ সালে পোখরানে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা ও ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের কথা। সব মিলিয়ে তাঁর বছর ছয়েকের রাজত্বকালে যে উন্নয়নের ধ্বজা তিনি উড়িয়েছিলেন, তা দেশকে দেখিয়েছে নয়া দিশা। নেহরু-গান্ধী পরিবার চেয়েছিলেন সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে। সেই কারণে সব কিছুই ছিল কেন্দ্রীভূত। কোনও দেশের উন্নয়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করে জিডিপি গ্রোথ। এই জিডিপি গ্রোথের জন্যই হয় কর্মসংস্থান। যে দফায় বাজপেয়ী পুরো মেয়াদ শেষ করেছিলেন, সেই সময় উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছিলেন দেশে।

    উন্নয়নের জোয়ার

    তাঁর আমলেই উন্নয়ন হয়েছে রাস্তাঘাটের। উন্নত হয়েছে সড়ক। উন্নত হয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা। বিপ্লব এসেছিল টেলিকমের ক্ষেত্রে। সোনালি চতুর্ভুজ প্রকল্প তাঁরই (Atal Bihari Vajpayee) অবদান। দেশের চার মেট্রো শহর কলকাতা, চেন্নাই, দিল্লি এবং মুম্বইকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে এক সূত্রে গেঁথেছেন তিনি। এই চার শহর বাদেও দেশের প্রধান প্রধান শিল্প, কৃষি এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোকেও সোনালি চতুর্ভুজ প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়ে এসেছিলেন একই বন্ধনীতে। গ্রামীণ রাস্তার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা চালু করেছিলেন তিনিই। যার ফলশ্রুতি হিসেবে বর্তমানে দেশের রাস্তার দৈর্ঘ সব মিলিয়ে ৬.৪ মিলিয়ন কিলোমিটার। এই পুরো রাস্তার দু’ শতাংশ জাতীয় সড়ক। প্রসঙ্গত, কোনও একটি দেশের উন্নতিতে বড় ভূমিকা পালন করে রাস্তা ও রেললাইন। কারণ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে সুগম হয় পরিবহণ। যা অর্থনৈতিক উন্নতির অন্যতম একটি কারণ।

    আমরা যদি চিনের দিকে তাকাই, তাহলে দেখব অর্থনৈতিক সংস্কার করতে গিয়ে বেজিং প্রথমেই রেল এবং সড়ক উন্নয়নে জোর দিয়েছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের সহায়তায় নয়ের দশকের মাঝামাঝি চিন চালু করে রোডস ইমপ্রুভমেন্ট ফর পোভার্টি অ্যালিভিয়েশন। তারপর থেকে চিন রেল ও সড়কের উন্নতিতে প্রাণপাত করছে। বেজিংয়ের সমৃদ্ধির এটাই হল চাবিকাঠি। তার পর থেকে আজও চিন জোর দিয়ে চলেছে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে। বিশ্ব বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে ড্রাগনের দেশ হাতে নিয়েছে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্প। এবার তাকানো যাক ভারতের (Atal Bihari Vajpayee) দিকে। তথ্য বলছে, ১৯৯৯ সালের পর থেকে এ দেশে তরতরিয়ে বেড়েছে জিডিপি। বলা বাহুল্য, এই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বাজপেয়ী। এটা সত্য যে, নরসিমহা রাওয়ের সরকার যে অর্থনৈতিক সংস্কার শুরু করেছিলেন নয়ের দশকের মাঝামাঝি, তার পর থেকেই ফিরতে থাকে ভারতীয় অর্থনীতির হাল।

    আরও পড়ুুন: পুলওয়ামায় শহিদ জওয়ানের স্ত্রী তাপসীকে ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনে প্রার্থী করল বিজেপি

    ১৯৯৪ সালে ভারতের জিডিপি ছিল ৩৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০২ সালে জিডিপির লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে। তার পরের দু বছরে ভারতের জিডিপি দাঁড়ায় ৫২৩.৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। তার পরের দু বছরে এর পরিমাণ হয় ৭২১ বিলিয়ন ডলার। তার পর থেকে একের পর এক রেকর্ড ভেঙে চলেছে ভারতের জিডিপি গ্রোথ। ১৯৯৮ সালে বাজপেয়ী যখন ক্ষমতায়, তখন ভারতের জিডিপির পরিমাণ ছিল ৪২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাহলে দেখা গেল, বাজপেয়ী (Atal Bihari Vajpayee) যখন দেশের হাল ধরেন, তখনই প্রকৃত দিশা পায় ভারতীয় অর্থনীতি। কেবল অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, ভারতের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সম্পর্কের উন্নতিও ঘটেছিল বাজপেয়ীর হাত ধরে। পোখরানে পরমাণু বোমা পরীক্ষার পর ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কে চিড় ধরেছিল। যদিও বাজপেয়ীর আমলেই সেই ভাঙা সম্পর্ক ফের জোড়া লেগেছিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন, বৈঠকে বসতে চলেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটি

    BJP: পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন, বৈঠকে বসতে চলেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের শেষের দিকে হওয়ার কথা পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেই কারণে আজ, বুধবার ডাক দেওয়া হয়েছে বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের। নয়াদিল্লিতে দলের সদর দফতরে হবে বৈঠক। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সহ কেন্দ্রীয় কমিটির ১৫ জন সদস্য।

    প্রস্তুতি বৈঠক

    বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এ বছরই রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, তেলঙ্গনা এবং মিজোরাম বিধানসভার নির্বাচন। এদিনের প্রস্তুতি বৈঠকে মূলত দুর্বল আসনগুলিকে কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, তা নিয়েই আলোচনা হবে। নির্বাচনী কৌশল কী হবে, প্রার্থীই বা হবেন কারা, তা নিয়েও এদিন আলোচনা হতে পারে বলে বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর। এই পাঁচ রাজ্যের যে আসনগুলিতে বেশি নজর দেওয়া প্রয়োজন, তার একটি তালিকাও তৈরি করা হয়েছে দলের তরফে।

    নির্বাচনী কৌশল

    এদিনের বৈঠকে ওই পাঁচ রাজ্যের বিজেপি নেতারা জানাবেন, কীভাবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার জনগণের কল্যাণে নানা প্রকল্প চালু করেছে, সেকথা তৃণমূলস্তরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এদিনের প্রস্তুতি বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি ভিডি শর্মা, ছত্তিশগড় বিজেপির সভাপতি অরুণ সাও এবং দলের অন্য নেতারা। প্রসঙ্গত, যে পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে, তার মধ্যে একমাত্র মধ্যপ্রদেশেই ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি।

    আরও পড়ুুন: “আমি ভারতীয়, এই দেশ আমারও”, তিরঙ্গা উড়িয়ে বললেন জঙ্গির দাদা বশির

    সূত্রের খরব, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড় বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে এদিনের প্রস্তুতি বৈঠকে। সচরাচর কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সম্ভাব্য প্রার্থী কারা হতে পারেন, তা নিয়ে আলোচনা (BJP) হয়। এমন বৈঠক হয় নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরে পরেই। কিন্তু এই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের দিন এখনও ঘোষণা হয়নি। তার আগেই প্রস্তুতি বৈঠকে বসছে বিজেপি। জানা গিয়েছে, এই পাঁচ রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে বিজেপি নেতৃত্ব এখনই প্রার্থীর নাম ঠিক করে ফেলতে চলেছেন। প্রার্থীদের জানিয়েও দেওয়া হবে যে, তাঁরা প্রার্থী হতে চলেছেন। তাঁদের এখন থেকেই প্রচারে নামতে বলা হবে। বিরোধী দলের প্রার্থীদের পরাজিত করতেই এই কৌশল অবলম্বন করা হবে বলে বিজেপি সূত্রে খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • PM Modi: “সারা দেশ দেখেছে রক্তের খেলা”! বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ মোদির

    PM Modi: “সারা দেশ দেখেছে রক্তের খেলা”! বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলনের মঞ্চ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার এই সম্মেলনে মোদির মুখে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত শোনা গেল বাংলার শাসকদলের কড়া সমালোচনা। বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে গত ৮ জুলাই শুধু খুনোখুনি, ভোটলুট এবং বিরোধীদের উপর অত্যাচার হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন মোদি।

    বাংলার বিজেপি কর্মীদের কুর্নিশ

    শনিবার বিজেপির ‘পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেত্রীয় পঞ্চায়েতিরাজ’ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘যে ভাবে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কার্যকর্তারা ভারতমাতার জন্য, পশ্চিমবঙ্গের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য, পশ্চিমবঙ্গের ভাইবোনের জন্য সংঘর্ষ করছেন, তা এক প্রকার সাধনার সমান। নিজেদের তিল তিল করে নিংড়ে যে ভাবে পশ্চিমবঙ্গের পুরনো বৈভব ফেরানোর চেষ্টা করছেন, তা কুর্নিশযোগ্য।’’ ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই সম্মেলনে যোগ দিয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা (Poll Violence) নিয়ে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, “বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে খুনের খেলা খেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।” পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদের কর্মীদের ক্ষমতা ও কাজের এক্তিয়ার বোঝাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  বলেন, “জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ রাজ্যের ক্য়াবিনেটের থেকেও বেশি ক্ষমতা রাখেন, অনেক কাজ করতে পারেন।”

    আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে মোদির বড় চমক, আজ সন্ত রবিদাসের ১০০ কোটির মন্দিরের শিলান্যাস

    ভোট প্রহসন তূণমূলের

    প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপিকে বাড়ি বাড়ি প্রচার করতেও দেওয়া হয়নি। হুমকি দেওয়া হয়েছে। ভয় দেখানো হয়েছে পঞ্চায়েত স্তরের বিজেপি নেতা-কর্মীদের। ভয়ে কেউ কেউ বাড়ি থেকে বেরোতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘‘শুধু যে বিজেপি কার্যকর্তাদের ধমকেছে এমন নয়, ভোটারদেরও ভয় দেখিয়েছে। বিজেপি কর্মীদের যে সমর্থক এবং তাঁদের আত্মীয় আছেন, তাঁদেরও বাঁচা মুশকিল করে দেওয়া হয়েছে। আর তার পর ভোটের সময় ছাপ্পা দেওয়া হয়েছে। তখন তোলাবাজদের ফৌজ ছাপ্পাবাজের ফৌজ হয়ে যায়। সব গুন্ডাদের ভাড়া করা হয়, কী ভাবে এবং কোন কোন বুথ কে দখল করবেন তা ঠিক করে ফেলা হয়। তার পর ভোটের মেশিন নিয়ে পালানো… এবং এখানেই শেষ নয়। ভোটগণনার সময়েও বিজেপির কার্যকর্তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া, তাঁদের গণনাকেন্দ্রের কাছে থাকতে না দেওয়া— এত জুলুমের পরেও পশ্চিমবঙ্গের জনগণ বিজেপিকে আশীর্বাদ করেছেন।’’ 

    শনিবারই জি২০-র দুর্নীতি বিরোধী মন্ত্রিসভার বৈঠকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘দুর্নীতি সম্পদের ব্যবহারকে প্রভাবিত করে। বাজারকে বিকৃত করে। পরিষেবা সরবরাহকে প্রভাবিত করে এবং শেষ পর্যন্ত মানুষের জীবনযাত্রার মানকে হ্রাস করে।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ভার্চুয়ালি থাকবেন মোদি-শাহ! আজ পূর্বাঞ্চলীয় পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলনের উদ্বোধনে নাড্ডা 

    BJP: ভার্চুয়ালি থাকবেন মোদি-শাহ! আজ পূর্বাঞ্চলীয় পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলনের উদ্বোধনে নাড্ডা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির পূর্বাঞ্চলীয় পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলনের উদ্বোধন। আজ, শনিবার থেকে দুদিন ব্যাপী এই শিবিরের শুরু। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘শনিবার এই সম্মেলনে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।’’ ভার্চুয়ালি থাকতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। শনিবার সকাল দশটা নাগাদ নিউ টাউনের হোটেল থেকে সড়কপথে কোলাঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন জে পি নাড্ডা। বিজেপি সূত্রের খবর, দু’দিনের সম্মেলনে শেষ দিন রবিবার ভার্চুয়ালি সমাপ্তি ভাষণও দেবেন মোদি। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের সাংগঠনিক পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে শুক্রবার রাজ্যে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।

    বিজেপির লক্ষ্য

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতায় শুক্রবার রাতে নেমেছেন জে পি নাড্ডা। শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে রাত্রিবাস করেন তিনি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গবাসী বিজেপির ঝুলিতে দিয়েছিল অনেকগুলি সাংসদ। একুশের বিধানসভায়ও ভাল ফল করেছিল বিজেপি। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ৩৫ আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই লক্ষ্যে পৌঁছনোর রুটম্যাপ ঠিক করতেই নাড্ডার বঙ্গসফর, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    গ্রামীণ ভোট ব্যাঙ্কে নজর

    বিজেপি পরিচালিত বিভিন্ন জেলা পরিষদ ও স্বশাসিত পরিষদের ১৭০ জন প্রধানরা উপস্থিত থাকবেন দুদিনের বিজেপির এই সম্মেলনে। ২০২৪-এর লক্ষ্যে গ্রামীণ ভোট ব্যাঙ্কে নজর দিতেই এই শিবির বিজেপির। মূলত গোটা দেশের গ্রামাঞ্চলের দলীয় নেতৃত্বরা আসবেন বাংলায়। ২৪-এর ভোটের আগে গ্রামের মানুষকে কাছে টানতেই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুফল নিয়ে কর্মশালায় আলোচনা হবে বলে বিজেপি সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে মোদির বড় চমক, আজ সন্ত রবিদাসের ১০০ কোটির মন্দিরের শিলান্যাস

    ‘গ্রাম যার বাংলা তার’- এই ধারণা থেকেই লোকসভা ভোটের আগে বঙ্গ বিজেপির ব্যবস্থাপনায় হতে চলেছে এই কর্মশালা। গেরুয়া শিবিরের নজর গ্রামীণ ভোট ব্যাঙ্ক। বিহার ঝাড়খণ্ড উড়িষ্যা সহ বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিরা যোগ দেবেন এই সম্মেলনে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: প্রকাশ্যে গুলিতে ঝাঁঝরা বিজেপি নেতা, আততায়ীদের খোঁজে জোরদার তল্লাশি উত্তরপ্রদেশে

    BJP: প্রকাশ্যে গুলিতে ঝাঁঝরা বিজেপি নেতা, আততায়ীদের খোঁজে জোরদার তল্লাশি উত্তরপ্রদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হল এক বিজেপি (BJP) নেতাকে। উত্তরপ্রদেশের সম্বলের ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোরদাবাদে বাড়ির সামনে হাঁটছিলেন অনুজ চৌধুরী নামে বছর চৌত্রিশের ওই যুবক। পিছন থেকে তিন দুষ্কৃতী তাঁকে গুলি করে চম্পট দেয়। বাড়ির বাইরে থাকা সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে শিউরে ওঠা সেই খুনের ছবি। আততায়ীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

    শিউরে ওঠা খুনের দৃশ্য

    পুলিশ জানিয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় বাড়ির বাইরে পরিচিত একজনের সঙ্গে গল্প করতে করতে হাঁটছিলেন ওই বিজেপি (BJP) নেতা। আচমকা বাইকে চড়ে আসা তিন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। অনুজ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আততায়ীরা পালায়। ওই বিজেপি নেতাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় এলাকারই এক বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসা চলাকালীন সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।

    সন্দেহের তালিকায় 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুজ খুনের ঘটনায় সন্দেহের তালিকায় রয়েছে অমিত চৌধুরী ও অনিকেত নামের দুই যুবক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই পুলিশ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই এই খুন বলে অনুমান পুলিশের। পুলিশের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দু পক্ষের মধ্যে ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য পাঁচটি দল গঠন করা হয়েছে। শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করে কঠোর আইনি পদক্ষেপ করা হবে।

    অনুজ খুনের ঘটনাটিকে পুলিশ ব্যক্তিগত শত্রুতা বলে দাবি করলেও, তাঁর পরিবারের দাবি, ঘটনাটি রাজনৈতিক (BJP) প্রতিদ্বন্দ্বিতার জের। তাঁদের দাবি, অনুজ সক্রিয়ভাবে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি সম্বলের আসমলি ব্লকের প্রধান নির্বাচনে পদ্ম চিহ্নে প্রার্থীও হয়েছিলেন তিনি। যদিও হেরে যান। সেই কারণেই খুন বলে দাবি পরিবারের। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে অনুজ এলাকায় দলীয় সংগঠন মজবুত করার কাজ করছিলেন বলে দাবি স্থানীয়দের। সেই কারণেও তাঁকে খুন করা হতে পারে বলে অনুমান তাঁদের।

    আরও পড়ুুন: আজ আসছেন মোহন ভাগবত! ‘পঞ্চায়েত রাজ’ সম্মেলন সহ একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যে নাড্ডাও

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     
     

     

      

     

  • BJP: আজ আসছেন মোহন ভাগবত! ‘পঞ্চায়েত রাজ’ সম্মেলন সহ একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যে নাড্ডাও

    BJP: আজ আসছেন মোহন ভাগবত! ‘পঞ্চায়েত রাজ’ সম্মেলন সহ একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যে নাড্ডাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ শুক্রবার রাজ্যে আসছেন বিজেপি-র (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda in Kolkata)। তাঁর ৩ দিনের রাজ্য সফরে থাকছে একাধিক কর্মসূচি। পঞ্চায়েত ভোট শেষ হতেই শুরু হয়েছে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি। রাজ্যে আঁটঘাট বেঁধে নেমেছে বঙ্গ বিজেপি। সেই সূত্রেই বাংলায় আসছেন নাড্ডা। একই দিনে শহরে আসবেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। শুক্রবার মোহন ভাগবতের সঙ্গেই রাজ্যে আসছেন সংগঠনের সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবোলে। শুক্র ও শনিবার কলকাতায় আরএসএস-এর পূর্বাঞ্চলীয় ক্ষেত্রের কার্যকারিনীর বৈঠকে যোগ দেবেন তাঁরা। 

    জেপি নাড্ডার একাধিক কর্মসূচি

    শুক্রবার (১১ অগাস্ট, ২০২৩) রাজ্যে আসবেন জেপি নাড্ডা। ১৩ অগাস্ট বিকেলে ফিরে যাবেন তিনি। বঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর, আজ রাত ৯টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পর একটি বেসরকারি হোটেলে রাত্রিবাস করবেন। কাল ১২ অগাস্ট পৌঁছবেন হাওড়ার বাগনানে। সেখানে সোনার বাংলা হোটেলে ‘পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলনে’ যোগ দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপি-র কোর কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে পারেন তিনি। ওই দিনই দুপুর নাগাদ সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি, দেউলটি পৌঁছতে পারেন। এরপর ‘আমার মাটি-আমার দেশ’ ও ‘বীর বন্ধন, বসুধা বন্ধন’ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। এই অনুষ্ঠান শেষের পর পুনরায় ফেরত আসবেন কলকাতায়। পৌঁছতে পারেন সায়েন্স সিটিতে। সেখানে একপ্রস্থ বৈঠক সারার পাশাপাশি জয়ী বিজেপি-র পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করবেন বিজেপি সভাপতি। এরপরের দিন অর্থাৎ ১৩ অগাস্ট জে পি নাড্ডা যেতে পারেন দক্ষিণশ্বর মন্দিরে। সেখানে পুজো দেওয়ার পর বিজেপি-র সল্টলেকের পার্টি অফিসে যাবেন। 

    আরও পড়ুন: নতুন রূপে আসছে এয়ার ইন্ডিয়া! নতুন লোগো ও রং প্রকাশ সংস্থার

    মোহন ভাগবতের কর্মসূচি

    এদিনই শহরে আসছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। আরএসএস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্র ও শনিবার কলকাতায় আরএসএস-এর সদর দফতর কেশব ভবনে পূর্বাঞ্চলীয় ক্ষেত্র কার্যকারিনী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে হাজির থাকবেন পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও বিহারের নেতারা। সেই বৈঠকে যোগদান করতেই কলকাতায় আসছেন আরএসএস-এর ২ শীর্ষ নেতা। সূত্রের খবর, পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে আরএসএস-এর কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির পর্যালোচনা ও নতুন প্রকল্প চালুর ব্যাপারে আলোচনা হবে বৈঠকে। তবে, লোকসভা ভোটের আগে মোহন ভাগবত ও জেপি নাড্ডার সফর তাৎপর্যপূণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • PM Modi: “২০২৮ সালে ফের অনাস্থা আনার চেষ্টা করুন”, সংসদে বিরোধীদের বললেন প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “২০২৮ সালে ফের অনাস্থা আনার চেষ্টা করুন”, সংসদে বিরোধীদের বললেন প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ২০২৪ সালে প্রত্যাবর্তন করবে বিজেপি (BJP)।” বৃহস্পতিবার অনাস্থা-বিতর্কের জবাবি ভাষণে অংশ নিয়ে একথা বলেন প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব বিজেপি এবং এনডিএর জন্য শুভ বলেও মনে করেন তিনি।

    “বিরোধীদের অনাস্থা আমাদের জন্য শুভ”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ঈশ্বরের ইচ্ছা এবং আশীর্বাদে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন বিরোধীরা। ২০১৮ সালেও আমি তা-ই বলেছিলাম। আসলে অনাস্থা প্রস্তাব বিরোধীদেরই পরীক্ষা হয়ে দাঁড়ায়। ২০১৮ সালের শেষেও দেখা গেল ভোটাভুটিতে নিজেদের হাতে থাকা সব ভোট বিরোধীরা পাননি। জনতাও ২০১৯-এ বিরোধীদের ওপর অনাস্থা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। বিজেপি, এনডিএ আগের তুলনায় বেশি আসন পেয়েছিল। অর্থাৎ বিরোধীদের অনাস্থা আমাদের জন্য শুভ হয়। আমি (PM Modi) দেখছি এনডিএ এবং বিজেপি পুরনো সব রেকর্ড ভেঙে ২০২৪-এ জনতার আশীর্বাদ নিয়ে ফেরত আসবে।”

    “বিজেপিকে জিতিয়ে আনার সিদ্ধান্ত”

    তিনি বলেন, “আপনারা (বিরোধীরা) সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এনডিএ এবং বিজেপিকে রেকর্ড ভোটে জিতিয়ে আনবেন।” তিনি বলেন, “এর পর ২০২৮ সালে বিরোধীরা যখন অনাস্থা প্রস্তাব আনবেন, তখন বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকার তিন নম্বরে থাকবে ভারত।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আমরা যখন বলি, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকার তিন নম্বরে থাকবে, তখন দায়িত্বশীল বিরোধীদের উচিত ছিল কীভাবে তা সম্ভব, সে প্রশ্ন করা। এটাও কী আমাকে শিখিয়ে দিতে হবে?”

    বিজেপি বিরোধী ২৬টি দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “বিরোধীদের সমস্যা হল তাঁদের বাঁচিয়ে রাখতে এনডিএর সমর্থন প্রয়োজন। কিন্তু ‘আমিত্বে’র ঔদ্ধত্য তাঁদের ছেড়ে যায় না। সেই কারণে ঔদ্ধত্যের প্রতীক হিসেবে তাঁরা এনডিএতে দু’-দুটো ‘আই’ যোগ করেছেন। প্রথম ‘আই’ ২৬ দলের ঔদ্ধত্য, আর দ্বিতীয় ‘আই’ একটি পরিবারের ঔদ্ধত্য। তাঁরা এনডিএকেও চুরি করেছেন। তাঁরা ‘এনডিএ’কে ভেঙে ‘আইএনডিআইএ’ করেছেন।”

    আরও পড়ুুন: “গুড় দিয়ে কীভাবে গোবর বানাতে হয়…”, অনাস্থা বিতর্কে অধীরকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “এই ঔদ্ধত্যের কারণেই তাঁরা বাস্তবটাকে দেখতে পাচ্ছেন না। ১৯৬২ সালে তাঁরা জিতেছিলেন তামিলনাড়ুতে। তারপর থেকে তামিলনাড়ুর বাসিন্দারা বলছেন, ‘নো কংগ্রেস’।” পশ্চিমবঙ্গে তাঁরা জিতেছিলেন ১৯৭২ সালে। তার থেকে পশ্চিমবঙ্গবাসী বলছেন, ‘নো কংগ্রেস’। ১৯৮৫ সালে তাঁরা জিতেছিলেন উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং গুজরাটে। তার পর থেকে এই তিন রাজ্যের বাসিন্দারাও বলছেন, ‘নো কংগ্রেস’।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।    

     

LinkedIn
Share