Tag: bjp

bjp

  • PM Modi: ‘ইন্ডিয়া’র বারণ উপেক্ষা করেই মোদির মঞ্চে শরদ, জোটের অন্দরেই চওড়া হচ্ছে ফাটল!

    PM Modi: ‘ইন্ডিয়া’র বারণ উপেক্ষা করেই মোদির মঞ্চে শরদ, জোটের অন্দরেই চওড়া হচ্ছে ফাটল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ইন্ডিয়া’র অন্দরেই চওড়া হচ্ছে ফাটল! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করতে তাঁকে পইপই করে না বলেছিলেন ইন্ডিয়ার সদস্যরা। সেসব উপেক্ষা করেই মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করলেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীকে সম্মাননাও জ্ঞাপন করলেন তিনিই।

    প্রধানমন্ত্রীকে সম্মাননা দিলেন পাওয়ার

    এদিন মহারাষ্ট্রের পুণেয় পালন করা হয় স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলকের ১০৩তম প্রয়াণ বার্ষিকী। তাঁর নামাঙ্কিত পুরষ্কারে ভূষিত করা হল প্রধানমন্ত্রীকে। প্রধানমন্ত্রীর হাতে সেই সম্মাননা তুলে দিলেন এনসিপি প্রধান। এ মাসেই মুম্বইয়ে বসার কথা বিজেপি বিরোধী ২৬টি দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’র তৃতীয় বৈঠক। এই বৈঠকের আগে ‘ইন্ডিয়া’র নেতাদের কথা না শুনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করে শরদ জোটকে অস্বস্তিতে ফেললেন বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

    ক্ষোভ এনসিপির অন্দরেই

    প্রবীণ রাজনীতিবিদের এহেন আচরণে ক্ষুব্ধ খোদ শরদ ঘনিষ্ঠ সাংসদই। রাজ্যসভার সাংসদ এনসিপির (শারদপন্থী) বন্দনা চহ্বান বলেন, “যিনি (PM Modi) আমাদের দল ভাঙলেন এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন সেই নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আমাদের দলীয় প্রধানের এক মঞ্চে বসাটা ব্যক্তিগতভাবে ঠিক বলে মনে করি না। আমি পাওয়ারজিকে অনুরোধ করেছিলাম না যাওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন ওই অনুষ্ঠানে মোদিকে তিনিই আমন্ত্রণ করেছেন তিলক ট্রাস্টের অনুরোধে। সেটা অজিত পাওয়ার দল ভাঙার আগের ঘটনা।”

    এদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল লোকমান্য তিলক সম্পর্ক মন্দির ট্রাস্ট। অনুষ্ঠানে শরদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন তাঁরই ভাইপো তথা এনসিপির বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতা অজিতও। এহেন অনুষ্ঠানে শরদ কেন যোগ দিলেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।এই অনুষ্ঠানের সাত বছর আগে মোদির (PM Modi) সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করেছিলেন শরদ। তারপর এবার। তবে এবার তাঁকে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বারণ করেছিল এমভিএ জোট এবং ইন্ডিয়ার বিভিন্ন শরিক দল। লোকসভা নির্বাচনের আগে আমজনতার কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে ভেবেই না বলা হয়েছিল তাঁকে। এদিক, এদিন পাওয়া পুরস্কার প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) উৎসর্গ করেন দেশবাসীকে। তিনি বলেন, “এই পুরস্কারের টাকা আমি নমামি গঙ্গে প্রকল্পে দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

    আরও পড়ুুন: ২৪ কোটির প্রতারণা! বয়স্কদের ঠকিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছেন নুসরত? ‘কীর্তি’ জানত পুলিশও

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

     
     

     

  • PM Modi: প্রচারের হাতিয়ার স্থানীয় বিষয়, তৃণমূলের দুর্নীতি, রাজ্য বিজেপি নেতাদের ‘মার্গদর্শন’ মোদির

    PM Modi: প্রচারের হাতিয়ার স্থানীয় বিষয়, তৃণমূলের দুর্নীতি, রাজ্য বিজেপি নেতাদের ‘মার্গদর্শন’ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) বঙ্গ নেতাদের ‘মার্গদর্শন’ করালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রচারের হাতিয়ার কী হবে, কীভাবে মন জয় করতে হবে রাজ্যবাসীর, সে সবই বিজেপি সাংসদদের বুঝিয়ে দিলেন তিনি। বিজেপি বিরোধী ২৬টি দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’র বিরুদ্ধেও কীভাবে তোপ দাগতে হবে, সে পথও বাতলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    সাংসদদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

    বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তৃতীরবার ক্ষমতায় ফেরার ব্যাপারে নিশ্চিত প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। তবে বিজেপি চাইছে, গত লোকসভা নির্বাচনের চেয়ে এবার আরও বেশি করে আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরতে। সেজন্য এনডিএর সদস্য দলগুলির সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বৈঠক শুরু হয়েছে ৩১ জুলাই। চলবে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত। একদিনে বৈঠক হবে দু দফায়। প্রতিটি বৈঠক এক ঘণ্টার। সোমবার অবশ্য বৈঠক হয়েছে এক দফায়। বঙ্গ বিজেপির পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে ছিলেন ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের সাংসদরাও।

    বার্তা দিলেন ভিডিও দেখিয়ে

    বৈঠকে চারটি ভিডিও দেখানো হয়। প্রথম ভিডিওতে দেখানো হয়, মোদি সরকার কী কী প্রকল্প নিয়ে এসেছে, তাতে কতটা সাফল্য এসেছে, এইসব। এর পর দেখানো হয় রাজ্যওয়াড়ি ছোট ছোট ভিডিও। বাংলার ভিডিওয় ছিল রাজ্যে আবাস যোজনা থেকে বিমানবন্দর নির্মাণ, বন্দে ভারত থেকে মেট্রো রেল ইত্যাদি কেন্দ্রীয় প্রকল্প। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপির তোলা দুর্নীতির অভিযোগের কথা ছিল বাংলার ভিডিওয়। বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, রামজন্মভূমি কিংবা ৩৭০ ধারা বাতিলের মতো ইস্যুগুলিকে প্রচারে বেশি গুরুত্ব না দিয়ে স্থানীয় বিষয় এবং কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিতে কী কী কাজ করেছে, প্রচারে বলতে হবে সেসব কথাই। রাজ্য সরকার কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যর্থ, তাও তুলে ধরতে হবে প্রচারে।

    আরও পড়ুুন: কাশ্মীর-লাদাখ সীমান্তে তেজস মোতায়েন ভারতের, পাকিস্তানকে বার্তা দিতে শুরু মহড়াও

    প্রতিটি লোকসভা এলাকায় প্রবীণ ভোটারদের খুঁজে বের করে দলের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দিতে হবে। এলাকার বিশিষ্ট মানুষদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। শিক্ষক, লেখক কিংবা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছেন, এমন ব্যক্তিদের মতামত নিতে হবে। ভোটারদের নিয়ে টিফিন বৈঠক করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “লোকসভা নির্বাচন নিয়ে আজ (সোমবার) আমাদের মার্গদর্শন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রসের দুর্নীতি নিয়ে একটি ভিডিও দেখানো হয়েছে। এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ বাতলে দিয়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Love Jihad: ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ক্ষমা প্রার্থনা অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির

    Love Jihad: ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ক্ষমা প্রার্থনা অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মহাভারতে’ ‘লাভ জিহাদ’ (Love Jihad) ছিল বলে বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বোরা। তাঁর এই মন্তব্যে বিস্তর হইচই হয় রাজ্যে। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ভূপেনকে গ্রেফতার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় এফআইআর দায়ের হয় ভূপেনের বিরুদ্ধে। এর পরেই সুর নরম করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। চান নিঃশর্ত ক্ষমাও। ক্ষমা প্রার্থনা করে ভূপেন বলেন, “আমার এই মন্তব্যের জন্য কোনও সম্প্রদায় যদি আঘাত পেয়ে থাকে, তার জন্য আমি দুঃখিত। ধর্মকে আঘাত করার মতো কোনও পরিকল্পনা আমার ছিল না।” মন্তব্যের জন্য শ্রীকৃষ্ণের কাছেও ক্ষমা চাইবেন বলে জানান তিনি। বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভেদাভেদের অভিযোগও তোলেন ভূপেন।

    ‘লাভ জিহাদ’

    ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার। এদিন হিন্দু স্ত্রী সহ শ্বশুরবাড়ির বেশ কয়েকজন সদস্যকে খুন করার অভিযোগ ওঠে জনৈক নাজিবুর রহমান বোরার বিরুদ্ধে। পরে থানায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এই ঘটনার পিছনে ‘লাভ জিহাদে’র (Love Jihad) তত্ত্ব খাড়া করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ব্যাপারেই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি দাবি করেছিলেন, মহাভারতেও ‘লাভ জিহাদ’ ছিল। এ ব্যাপারে তিনি ধৃতরাষ্ট্র ও গান্ধারী এবং শ্রীকৃষ্ণ ও রুক্মিনীর বিয়ের উদাহরণ দেন।

    ভূপেনের আলটপকা মন্তব্য

    তাঁর দাবি, মহাভারতের এই চরিত্রদের বিয়েও ছিল ‘লাভ জিহাদ’। ভূপেনের আলটপকা মন্তব্যের জেরে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে। ঘরে-বাইরে বিপাকে পড়ে যায় গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে হিন্দু ধর্মকে অপমান করার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে সরব হয় হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠন। গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: ফের মুখ পুড়ল তৃণমূলের! বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এহেন আলটপকা মন্তব্যে বিপাকে পড়তে পারে দল। বিজেপি ভূপেনের এই বিতর্কিত মন্তব্যকেই (Love Jihad) হাতিয়ার করতে পারে। সূত্রের খবর, এসব চিন্তা করেই ভূপেনের ওপর চাপ বাড়াতে থাকেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই তড়িঘড়ি ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে মন্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন ভূপেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ফের মুখ পুড়ল তৃণমূলের! বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ফের মুখ পুড়ল তৃণমূলের! বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার আদালতে (Calcutta High Court) মুখ পুড়ল তৃণমূলের! ৫ অগাস্ট রাজ্যের ব্লকস্তরের বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার এই কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, “কেউ যদি বলেন, কাল হাইকোর্ট ঘেরাও করা হবে, তবে কি সরকার বা পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করবে না? কেউ যদি কোথাও বোমা রাখা হবে বলে, তবে কি সরকার বা পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করবে না?”

    অভিষেকের কর্মসূচি

    প্রসঙ্গত, ২১ জুলাই তৃণমূলের সমাবেশ মঞ্চ থেকে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেন অভিষেক। অভিষেক ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আদালতের দ্বারস্থও হয় বিজেপি। এই মামলার শুনানিতেই এদিন স্থগিতাদেশ দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ (Calcutta High Court)। ধর্মতলায় তৃণমূলের ওই সমাবেশ মঞ্চে একশো দিনের টাকা আটকে রাখার প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রকে নিশানা করেন তৃণমূল নেত্রীর ভাইপো। সেই সূত্রেই বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেন তিনি। ভরা জনসভায় অভিষেক বলেন, “আগামী ৫ অগাস্ট সমস্ত বুথ, অঞ্চল, ব্লক, জেলা থেকে রাজ্যস্তরের বিজেপি নেতাদের বাড়ি শান্তিপূর্ণভাবে ঘেরাও করতে হবে। তবে বাড়িতে কোনও বৃদ্ধ মানুষ থাকলে তাঁকে ছেড়ে দেবেন। বিজেপি নেতা বাড়ি থেকে বেরোবেন না, ঢুকবেনও না।” দলীয় কর্মীদের সতর্ক করতে অভিষেক বলেন, “কারও গায়ে হাত দেবেন না। প্রথম এখানে গণঘেরাও কর্মসূচি হবে। তারপর দিল্লি ঘেরাও হবে।”

    মমতার সংশোধিত কর্মসূচি 

    অভিষেকের পরে ভাষণ দিতে উঠে কর্মসূচির খানিক পরিবর্তন করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কর্মসূচি হবে ব্লক স্তরে। আর ঘেরাও করা হবে বিজেপি নেতাদের বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে, প্রতীকীভাবে। যাতে কেউ না বলতে পারেন, বাধা দেওয়া হচ্ছে।” মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, “কী করে কিছু মানুষকে একজোট হয়ে বাড়ি ঘেরাও করতে বলেন! একজন সাংবিধানিক পদাধিকারীর কাছ থেকে এই ধরনের মন্তব্য আশা করা যায় না।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন হয়নি, তাই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত’’! মুখ্যমন্ত্রীর কথায় ওয়াকআউট বিজেপির

    আদালতের (Calcutta High Court) রায় প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আদালতের এই অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশকে স্বাগত জানাচ্ছি। আদালত এই অগণতান্ত্রিক কর্মসূচিকে কড়া হাতে দমন করেছেন। আদালতের এই নির্দেশের পর আশা করব, পিসি-ভাইপো এই ধরনের অসংসদীয় কাজ থেকে বিরত থাকবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: “মণিপুর নিয়ে আলোচনায় রাজি বিজেপি, কথা হোক বাংলা নিয়েও”, দাবি অগ্নিমিত্রার

    Manipur: “মণিপুর নিয়ে আলোচনায় রাজি বিজেপি, কথা হোক বাংলা নিয়েও”, দাবি অগ্নিমিত্রার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর (Manipur) ইস্যুতে সরগরম দেশ। বিজেপি শাসিত এই রাজ্য নিয়ে আলোচনার দাবিতে উত্তাল হয়েছে সংসদ। বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে নষ্ট হয়েছে সংসদের বেশ কয়েকটা মূল্যবান দিন। মণিপুর ইস্যুতে হইচই হয়েছে রাজ্যের বিধানসভায়ও। আজ, সোমবার এনিয়ে বিধানসভায় আলোচনায় সম্মতি দিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও মালদহ-সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় নারী নির্যাতন নিয়ে বিজেপি মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চাইলেও, তাতে রাজি হননি তিনি। স্পিকারের ‘দ্বিচারিতা’র বিরুদ্ধেই সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির।

    ক্ষোভ উগরে দিলেন অগ্নিমিত্রা 

    রবিবার এ ব্যাপারে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক বিজেপির অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি বলেন, “ওরা এ প্রসঙ্গে আগামিকাল (আজ, সোমবার) আলোচনা চালাবে এবং আমরাও আলোচনা করতে রাজি আছি। তবে আমরা এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে মহিলারা কী অবস্থার সম্মুখীন হচ্ছেন, তা নিয়েও আলোচনা করতে চাই। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় আমাদের উচিত প্রথমে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে কথা বলা, তারপর মণিপুর (Manipur)। আমরা দুটো রাজ্য নিয়েই আলোচনা করতে প্রস্তুত।”

    তৃণমূল সূত্রে খবর, এদিন বিধানসভায় আলোচনায় উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকবেন বিরোধীরাও। প্রসঙ্গত, মণিপুর নিয়ে বিধানসভায় তৃণমূলের আনা নিন্দাপ্রস্তাব গৃহীত হয়েছে শুক্রবার। বিধানসভার সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে, আজ, সোমবার এই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে। এ সংক্রান্ত বিবৃতিতে মণিপুরের ঘটনা প্রসঙ্গে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি ওই রাজ্যের প্রশাসন ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশাসনিক ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মণিপুর সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে শান্তি প্রতিষ্ঠারও।

    বিবৃতি জারি বিধানসভার

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসার ঘটনায় মহিলাদের ওপর সব থেকে বেশি আক্রমণ হচ্ছে। তাঁদের নিশানা করা হচ্ছে। গোটা রাজ্য জ্বলছে। রাজ্যে লুটপাট, অরাজকতা চলছে। মানুষের ন্যূনতম স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে, লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার। সন্ত্রাসের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হিংসাশ্রয়ী এই সংঘর্ষের ছবি শুধু মণিপুরের (Manipur) নয়, গোটা দেশের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করেছে। অমানবিক পরিস্থিতির তীব্র নিন্দা করে রাজ্য বিধানসভা দাবি করেছে, কেন্দ্র অবিলম্বে মণিপুরকে শান্ত করুক।

    আরও পড়ুুন: বাড়িতে বোমা মজুত! বিস্ফোরণে উড়ে গেল তৃণমূল কর্মীর বাড়ির চাল

    ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে মহিলারা যে নৃশংসতার শিকার হচ্ছেন, তা নিয়েও অবশ্যই আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। এটা (নিন্দা প্রস্তাব) কেবল মণিপুর নিয়েই নয়, বাংলা নিয়েও হওয়া প্রয়োজন। এই প্রস্তাব রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Modi meets Bengal MPs: লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি! আজ সন্ধ্যায় মোদির ক্লাসে সুকান্ত–দিলীপরা

    Modi meets Bengal MPs: লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি! আজ সন্ধ্যায় মোদির ক্লাসে সুকান্ত–দিলীপরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Poll)। তারই প্রস্তুতি হিসেবে এনডিএ সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi meets Bengal MPs)। আজ, সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় সংসদের অ্যানেক্স ভবনে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ৩১ জুলাই থেকে ১১ অগাস্টের মধ্যে মোট ১১ দফায় মোদি এনডিএ সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আর তাতে প্রথম দিনেই পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ, ব্রজ এবং কানপুর-বুন্দেলখণ্ড এবং বাংলার সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। সংসদে অধিবেশন চলার মধ্যেই দফায় দফায় এই বৈঠকগুলি সারবেন মোদি। এই ধারাবাহিক বৈঠকের প্রথম দিনে যোগ দেওয়ার জন্য সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ–সহ পশ্চিমবঙ্গের কয়েকজন সাংসদ আমন্ত্রণ পেয়েছেন। 

    কেন এই সমন্বয় বৈঠক

    লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Poll) আগে এনডিএ শিবিরে সমন্বয় গড়ে তোলার জন্য সাংসদদের নিয়ে ধারাবাহিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। মোট ১১টি দলে এনডিএ’‌র ৪৩০ জন সাংসদকে ভাগ করেছে বিজেপি। পৃথক পৃথক দলে এঁদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বৈঠকগুলিতে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, পরিবহনমন্ত্রী নিতিন গড়করি এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একাই জিতেছিল ৩০১টি আসন। অন্য শরিক দলের শক্তি মিলিয়ে লোকসভায় এনডিএ সাংসদের সংখ্যা ৩৩১। এই সব জেতা আসন ধরে রাখার পাশাপাশি হেরে যাওয়া আসনেও শক্তি বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছে বিজেপি। সব রাজ্যকে ইতিমধ্যেই লক্ষ্য বলে দিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই মতো প্রস্তুতি নিতেও বলা হয়। সেই কাজ কতদূর হয়েছে জানার পাশাপাশি পরবর্তী পরিকল্পনা তৈরির জন্যই সাংসদদের সঙ্গে বসে বাস্তব পরিস্থিতি পর্যালোচনাই এই বৈঠকের লক্ষ্য বলে জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: বাড়িতে বোমা মজুত! বিস্ফোরণে উড়ে গেল তৃণমূল কর্মীর বাড়ির চাল

    বাংলার সাংসদদের নিয়ে কী আলোচনা

    সম্প্রতি দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে পরপর দু’দফা বৈঠক হয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের। এবার বাংলার বিজেপি (Modi meets Bengal MPs) সাংসদদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার সংসদ ভবনে বাংলার নেতাদের সঙ্গে তিনি বৈঠকে বসবেন বলে জানা গিয়েছে। বাংলায় এসে অমিত শাহ বলে গিয়েছিলেন, ৩৫টি আসনের কথা। সেখানে এই বৈঠকে সব বিষয় জানিয়ে দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। কতগুলি আসন বাংলা থেকে আসতে পারে তাও উঠবে বৈঠকে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ বাংলায় কতদূর হয়েছে, সে বিষয়ে সাংসদদের থেকে হিসেব নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। সাংসদ তহবিল থেকেই বা তাঁরা কী কাজ করেছেন, তারও খতিয়ান নিতে পারেন মোদি। উত্তরপ্রদেশের ৮০ আসনের মধ্যে এখন বিজেপির দখলে রয়েছে ৬৪ জন সাংসদ। শরিক আপনা দলের হাতে দু’টি। বাকি ১৪টি লোকসভা এলাকাতেও কী ভাবে জয়ের পথ তৈরি করা যায়, তার পরিকল্পনা এই বৈঠকে হওয়ার কথা। এরপরে ২ অগাস্ট অওয়ধ, কাশী এবং গোরক্ষপুর এলাকার সাংসদদের বৈঠকে ডেকেছেন মোদি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abdul Kalam: “কালামের মহাকাশ বিজ্ঞানের স্বপ্ন পূরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি”, বললেন অমিত শাহ

    Abdul Kalam: “কালামের মহাকাশ বিজ্ঞানের স্বপ্ন পূরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি”, বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য মহাকাশ বিজ্ঞানে সুযোগ রয়েছে। তাঁদের জন্য স্টার্টআপ উন্মুক্ত, বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শনিবার তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে “ডঃ এপিজে আব্দুল কালাম : মেমোরিস নেভার ডাই” বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। 

    ভারতের উন্নয়ন প্রসঙ্গে কালাম

    এই বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে অমিত শাহ বলেছেন, “ইন্ডিয়া ২০২০: ভিশন ফর দ্য নিউ মিলেনিয়াম” বইতে ডঃ এপিজে আবদুল কালাম ভারতের উন্নয়নের রোডম্যাপ তুলে ধরেছেন। তিনি তিনটি বিষয় বলেছিলেন – ভারতকে অবশ্যই নিজস্ব সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দিতে হবে, একটি প্রযুক্তি-ভিত্তিক অর্থনীতির বিকাশ করতে হবে এবং কৃষি ও শিল্প এবং শহর ও গ্রামের মধ্যে সুষম বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে।”

    এই তিনটি পথকেই অনুসরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য এই তিনটি কাজই করতে হবে বলে অভিমত শাহের।

    আরও পড়ুন: বিশ্বের বহত্তম জাদুঘর! মোদি জমানায় দিল্লিতে নির্মাণ হচ্ছে ‘যুগে যুগেন ভারত’

    প্রধানমন্ত্রী মোদির স্বপ্ন

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আরও বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য মহাকাশ বিজ্ঞানে সুযোগ রয়েছে এবং তাঁদের জন্য স্টার্টআপগুলি উন্মুক্ত৷ আমি বিশ্বাস করি, এপিজে আব্দুল কালামের মহাকাশ বিজ্ঞানের স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী মোদির নতুন উদ্ভাবনের কারণে পূরণ হবে এবং ভারত মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সমগ্র বিশ্বকে নেতৃত্ব প্রদান করবে।” অমিত শাহ এদিন ডঃ এপিজে আব্দুল কালামের ঘরও পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এল মুরুগান এবং তামিলনাড়ুর বিজেপি প্রধান কে আন্নামালাই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tariq Mansoor: মাস্টার স্ট্রোক বিজেপির! সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদে তারিক মনসুর, জানেন কে?

    Tariq Mansoor: মাস্টার স্ট্রোক বিজেপির! সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদে তারিক মনসুর, জানেন কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে মুসলিম বিরোধিতার অভিযোগে নানা সময় সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। এবার তাদের মুখ বন্ধ করতে মাস্টার স্ট্রোক দিল বিজেপি। শনিবার দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদে বসানো হল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তারিক মনসুরকে (Tariq Mansoor)। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে তারিককে সংগঠনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে বসিয়ে বিরোধীদের কয়েক কদম পিছনে ফেলে দিল গেরুয়া শিবির। জানা গিয়েছে, তারিক পসমন্দা মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্য। লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁকে দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বসিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে বড়া বার্তা দিলেন পদ্ম শিবিরের ভোট ম্যানেজাররা।

    তারিক মনসুর

    সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি আইন নিয়ে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। সেই বিক্ষোভের আঁচ লেগেছিল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়েও। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন তারিক (Tariq Mansoor)। দক্ষ হাতে সামলেছিলেন পরিস্থিতি। আরএসএসের সঙ্গেও কাজ করেছেন প্রাক্তন উপাচার্য তারিক। আরএসএসের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি মুঘল যুবরাজ দারা-শুকোর হিন্দু-মুসলিম সহাবস্থান নীতিশিক্ষা দিয়েছিলেন পসমন্দ মুসলমানদের। তাই তাঁকেই সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদে বসিয়ে বিজেপি কিস্তি মাত দিল বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। 

    নির্ণায়ক শক্তি যখন পসমন্দা মুসলমান

    উত্তর প্রদেশের আলিগড়েরই বাসিন্দা তারিক। এখানকার ১৯ শতাংশ ভোটারই মুসলিম। রাজ্যের ১৫-২০টি আসনে জয়-পরাজয় নির্ণায়ক শক্তি এঁরাই। তাই তারিককে সংগঠনের সর্বোচ্চ পদে বসিয়ে একদিকে যেমন বিরোধীদের মুখে ঝামা ঘষে দিল পদ্ম শিবির, তেমনি পসমন্দা মুসলমানদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হল বড় বার্তা। বিজেপি সূত্রে খবর, তারিককেই প্রচারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ করতে চাইছে গেরুয়া শিবির।

    শল্য চিকিৎসক তারিক এমবিবিএস পাশ করেছিলেন জেএন মেডিক্যাল কলেজ থেকে। পরে শল্য চিকিৎসায় এমএস করেন। তারও পরে বসেন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে। কেবল তারিক নন, তাঁর পরিবারের প্রায় সব সদস্যই হয় চিকিৎসাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন, নয়তো আইনি পেশায়। শিক্ষিত মুসলমানদের মধ্যে তাঁর পরিবারের গ্রহণযোগ্যতাও রয়েছে। উত্তর প্রদেশে পসমন্দা মুসলিমদের একটা বড় অংশই বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই সম্প্রদায়ের বাকিদেরও কাছে টানতে শুরু হয়েছে বিজেপির ‘পসমন্দা স্নেহ যাত্রা’।

    আরও পড়ুুন: ‘‘মমতার নির্দেশে গুন্ডামি করছে তৃণমূল কর্মীরা’’, রাজ্যে এসে বললেন অনুরাগ

    বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার প্রধান জামাল সিদ্দিকি বলেন, “তারিক (Tariq Mansoor) একজন জাতীয়তাবাদী মুসলিম। দেশকে সব সময় এগিয়ে রেখেছেন তিনি। মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ঠিক কোথায় সমস্যা রয়েছে, তা বোঝেন তিনি। দেশের ইতিহাস সম্পর্কেও অবগত। আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির পড়ুয়াদের সঠিক পথ দেখিয়ে তাঁদের বিভ্রান্ত হতে দেননি। তাঁকে পেয়ে দল আরও উন্নতি করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • TMC: ‘আটটি বাড়ি নিল কে? কাকা-ভাইপো ছাড়া আবার কে’, তৃণমূলের বিরুদ্ধে পোস্টার ঘিরে শোরগোল

    TMC: ‘আটটি বাড়ি নিল কে? কাকা-ভাইপো ছাড়া আবার কে’, তৃণমূলের বিরুদ্ধে পোস্টার ঘিরে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুবরাজপুরের অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের গেটে পড়ল আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টার। পোস্টারে আবাস যোজনার দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে। তৃণমূল (TMC) নেতার কাছে দুর্নীতির জবাব চাওয়া হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    পোস্টারে কী লেখা রয়েছে?

    পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘আটটি বাড়ি নিল কে? কাকা ভাইপো ছাড়া আবার কে? পৌরপিতা জবাব দেন। যার মূল্য ৩০ লাখ টাকা। মমতা ব্যানার্জী, অভিষেক ব্যানার্জী জিন্দাবাদ।’ কিন্তু, কে এই কাকা ভাইপো? তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। বৃহস্পতিবার দুবরাজপুর পুরসভা এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কুলুপাড়ার একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ঠিক এমনই পোস্টার দেখা যায়। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র খুলতে এসে কর্মীদের এই পোস্টার চোখে পড়ে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, আবাস যোজনার বাড়ি নিয়েই দুর্নীতি হয়েছে। তা বিরুদ্ধে এই পোস্টার, রাতের অন্ধকারে লাগানো হয়েছে। কিন্তু কে বা কারা এই পোস্টার লাগালো তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    এ বিষয়ে তৃণমূল (TMC) নেতা তথা দুবরাজপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পীযূষ পান্ডে বলেন, উপভোক্তাদের চিহ্নিত করেন ওয়ার্ড কাউন্সিলররা। পরে, উপভোক্তারা নিজেরাই বাড়ি করেন। কাকা, ভাইপোকে আটটা বাড়ি দেওয়া হয়েছে এরকম অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কেউ নেশা করে এই ধরনের পোস্টার লাগিয়েছে। তবুও আমি ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বলেছি।

    কী বললেন পুরসভার কাউন্সিলার?

    ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার ভাস্কর রুজ বলেন, কেউ অসৎ উদ্দেশ‍্য নিয়ে এরকম কাজ করেছে। তবে, এই ওয়ার্ডে স্বচ্ছভাবে আবাস যোজনার কাজ হয়েছে। দলকে বদনাম করার জন্য এই কাজ করা হয়েছে। কোথাও কোনও দুর্নীতি হয়নি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে দুবরাজপুর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, রাজ্যের পিসি ভাইপোর কথা আমরা জানি। কিন্তু, দুবরাজপুরে কাকা, ভাইপো কে আছেন এর জবাবটা একমাত্র পৌর প্রধানই দিতে পারেন। সারা রাজ্য জুড়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার যে দুর্নীতি হয়েছে সেটা বারংবার আমরা বলেছি। আজকে দুবরাজপুর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে পোস্টার দিয়ে আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে তা পোস্টারের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। আবাস যোজনার বাড়িগুলি নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে তাতে চেয়ারম্যান, কাউন্সিলার এবং তাঁর ঘনিষ্ঠরা যুক্ত রয়েছেন। কাকা ভাইপোর নামে পোস্টার দিয়ে সেই ইঙ্গিতই দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “দুর্নীতি কুইট ইন্ডিয়া, তুষ্টিকরণ কুইট ইন্ডিয়া”, রাজস্থানের সভায় ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা মোদির

    PM Modi: “দুর্নীতি কুইট ইন্ডিয়া, তুষ্টিকরণ কুইট ইন্ডিয়া”, রাজস্থানের সভায় ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মহাত্মা গান্ধী যেমন ভারত ছাড়ো স্লোগান দিয়েছিলেন, আজকের মন্ত্র হল দুর্নীতি কুইট ইন্ডিয়া, পরিবারতন্ত্র কুইট ইন্ডিয়া, তুষ্টিকরণ কুইট ইন্ডিয়া। এই কুইট ইন্ডিয়াই পারে আমাদের দেশকে বাঁচাতে।” বৃহস্পতিবার রাজস্থানে বিজেপির (BJP) এক জনসভায় কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একজোট হয়েছে কংগ্রেস সহ দেশের ২৬টি রাজনৈতিক দল। বেঙ্গালুরুর সভায় এই দলের নাম হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’।

    ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা

    এদিন এই ‘ইন্ডিয়া’কেই নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “মহাত্মা গান্ধী একবার স্লোগান দিয়েছিলেন – ভারত ছাড়ো – ইংরেজ কুইট ইন্ডিয়া। ব্রিটিশদের দেশ ছাড়তে হয়েছিল। একইভাবে আমরা সমৃদ্ধ ভারত গড়ার সংকল্প নিয়েছি।” এর পরেই তিনি বলেন,“মহাত্মা গান্ধী যেমন ভারত ছাড়ো স্লোগান দিয়েছিলেন, আজকের মন্ত্র হল দুর্নীত কুইট ইন্ডিয়া, পরিবারতন্ত্র কুইট ইন্ডিয়া, তুষ্টিকরণ কুইট ইন্ডিয়া। এই কুইট ইন্ডিয়াই পারে আমাদের দেশকে বাঁচাতে।”

    ইন্ডিয়া ইজ ইউপিএ

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “ইন্ডিয়ার লেবেল দিয়ে তারা তাদের পুরনো কাজগুলো, ইউপিএ জমানার কাজগুলোকে ধামাচাপা দিতে চায়। তারা যদি সত্যিই ভারতের কথা ভাবত, তাহলে কি তারা বিদেশিদের বলত ভারতে হস্তক্ষেপ করতে? তারা একবার স্লোগান দিয়েছিল, ইন্দিরা ইজ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া ইজ ইন্দিরা। তখন জনগণ তাদের উপড়ে ফেলেছিল। এই অহংকারীরা আবারও সেই একই কাজ করেছে। তারা বলে ইউপিএ ইজ ইন্ডিয়া। ইন্ডিয়া ইজ ইউপিএ। মানুষ আবার তাদের সঙ্গে একই আচরণ করবে।”

    কংগ্রেসকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস একটি দিশাহীন দলে পরিণত হয়েছে। ঠিক আগেকার দিনের জালিয়াত কোম্পানিগুলোর মতো নাম পরিবর্তন করেছে কংগ্রেস ও তার সহযোগীরা। তারা তাদের নাম পরিবর্তন করেছে যাতে তারা সেই দাগ মুছতে পারে, যা সন্ত্রাসের সামনে আত্মসমর্পণ করার পর তাদের গায়ে লেগেছিল। তারা দেশের শত্রুদের পথ অনুসরণ করছে। ইন্ডিয়া নামটি তাদের দেশপ্রেম দেখানোর জন্য নয়, বরং দেশকে লুট করার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে।”

    আরও পড়ুুন: ভোটে সন্ত্রাস! “আগামী বছর সুদে আসলে হিসেব দিতে হবে”, বিধানসভায় শুভেন্দু

    তিনি (PM Modi) বলেন, “স্বাধীনতার কয়েক দশক পরে আজ দেশে এমন একটা সরকার ক্ষমতায় এসেছে, যারা কৃষকদের যন্ত্রণা বোঝে, তাঁদের উদ্বেগ বোঝে। সেই কারণে গত ন’ বছর ধরে তাঁদের কল্যাণের কথা ভেবেই নেওয়া হয়েছে যাবতীয় সিদ্ধান্ত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share