Tag: bjp

bjp

  • BJP: মহিলাদের বিবস্ত্র করে বেধড়ক মার, হাওড়ায় পথে নেমে আন্দোলন বিজেপির

    BJP: মহিলাদের বিবস্ত্র করে বেধড়ক মার, হাওড়ায় পথে নেমে আন্দোলন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচলা এবং মালদায় মহিলাদের বিবস্ত্র করে তাঁদের উপর অত্যাচার চালানোর প্রতিবাদে হাওড়ায় প্রতিবাদে সামিল হল বিজেপি (BJP)। সোমবার বিজেপির তফশিলি মোর্চা ও মহিলা মোর্চা এক জোট হয়ে তাঁরা আইন ভঙ্গের কর্মসূচিতে অংশ নেন। এদিন বিকেলে তাঁরা পঞ্চাননতলায় বিজেপির পার্টি অফিস থেকে মিছিল করে হাওড়া থানার দিকে রওনা দেন। বিজেপি কর্মীদের প্রতিবাদ যখন হাওড়া থানার দিকে এগোতে থাকে, তখন তাদের আটকানোর জন্য সিটি পুলিশের উদ্যোগে আগেই তৈরি করা হয়েছিল লোহার ব্যারিকেড। হাওড়া ময়দানে সেই ব্যারিকেডের সামনে বিজেপির মিছিল এলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। আর তখনই পুলিশের সঙ্গে উত্তেজিত জনতার ধস্তাধস্তি ও খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। প্রতিবাদকারী বিজেপি কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষ পুলিশের তৈরি করা লোহার ব্যারিকেড ভেঙে হাওড়া থানার দিকে এগিয়ে যায়। পরে, তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, হাওড়ার পাঁচলায় দুই মহিলা বিজেপি কর্মীকে সম্পূর্ণভাবে বিবস্ত্র করে তাদের ওপর অত্যাচার চালানো হয়। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা, সেই রাজ্যে নারীদের কোনও নিরাপত্তা নেই।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) হাওড়া জেলা সভাপতি মনিমোহন ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্য জুড়ে যেভাবে নারীদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে তারই প্রতিবাদে বিজেপির মহিলা মোর্চা সহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা এবং সাধারণ মানুষ এদিনের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন রাজ্যের নারীদের সন্মানের দাম বিভিন্ন রকম। মণিপুরের ঘটনায় যে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তার নিজের রাজ্যের মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী নীরব। অন্যদিকে বিজেপি মণিপুরের ঘটনার সমালোচনা করেছে। এই রাজ্যের মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় বিজেপি পথে নেমেছে। শুধুমাত্র গত কয়েক দিনের ঘটনাই নয়, এর আগেও একের পর এক মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও নীরব ভূমিকা পালন করেছেন, আবার কখনও পার্ক স্ট্রিটের মতো ঘটনায় সেই মহিলার চরিত্র নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। এটা একেবারেই বাঞ্ছনীয় নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ‘উত্তরবঙ্গের প্রতি ফোকাসটা কম, পিছিয়ে পড়া মনে হয়’, একী বললেন তৃণমূলের মেয়র গৌতম দেব

    TMC: ‘উত্তরবঙ্গের প্রতি ফোকাসটা কম, পিছিয়ে পড়া মনে হয়’, একী বললেন তৃণমূলের মেয়র গৌতম দেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের ১৩ বছরের রাজত্বে উত্তরবঙ্গ যে বঞ্চিত তা কার্যত স্বীকার করে নিলেন শিলিগুড়ির মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী গৌতম দেব। সোমবার শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবে প্রখ্যাত টেবিল টেনিস খেলোয়াড় অর্জুন মান্তু ঘোষের উপর একটি গানের অ্যালবাম প্রকাশ করেন তিনি। এখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সবসময় আমাদের উত্তরবঙ্গের প্রতি ফোকাসটা কম। উত্তরবঙ্গ হলেই কেমন যেন পিছিয়ে পড়া-পিছিয়ে পড়া মনে হয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে।ֹ’ 

    উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে তৃণমূলের (TMC) দাবিকে ধাক্কা দিলেন গৌতম দেব

    মেয়রের এই বক্তব্যে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ, তৃণমূলের (TMC) নেতা, মন্ত্রীরা সব সময় দাবি করেন, রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর উত্তরবঙ্গ আর অবহেলিত নয়। প্রচুর উন্নতি হয়েছে। সেখানে এদিন গৌতম দেবের এই বক্তব্য তৃণমূলের সেই দাবিকে ধাক্কা দিচ্ছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের রাজ্য নেতা মুখে উত্তরবঙ্গের প্রতি বঞ্চনার কথা শুনে বিরোধীরা সরব হয়েছে।

    গৌতম দেবকে কেন ধন্যবাদ জানালেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিজেপি মনে করে, উত্তরবঙ্গের প্রতি তৃণমূল (TMC) সরকারের বঞ্চনা নিয়ে তাদের অভিযোগে এদিন  সীলমোহর দিলেন গৌতম দেব। তাঁর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে শিলিগুড়ির বিধায়ক বিজেপির শঙ্কর ঘোষ বলেন, আমি শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকে ধন্যবাদ জানাই। কেননা তৃণমূলের অনেক নেতাই প্রকাশ্যে না হলেও নিজেদের মধ্যে উত্তরবঙ্গের প্রতি বঞ্চনার কথা বলেন। এদিন সরাসরি সেটা স্বীকার করে নিলেন শিলিগুড়ির মেয়র।

    বিতর্ক শুর হতেই ঢোক গিললেন গৌতম দেব

    তাঁর বক্তব্যে নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই ঢোক গেলেন গৌতম দেব। এদিন অনুষ্ঠানের পর শিলিগুড়ি পুরসভায় সাংবাদিকরা এনিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি খেলার ক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের প্রতি বঞ্চনার কথা বলেছি। ঋদ্ধিমান সাহা, মান্তু ঘোষ দিনের পর দিন ভাল পারফরম্যান্স করে যাওয়ার পরও জাতীয় ক্ষেত্রে সেই গুরুত্ব পাননি, বঞ্চিত হয়েছেন। এদিন আমার ওই বক্তব্যে রাজনীতি বা রাজ্য সরকারের বঞ্চনার কোনও বিষয় নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • RSS: প্রবীণ আরএসএস নেতা মদন দাস দেবীর জীবনাবসান, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    RSS: প্রবীণ আরএসএস নেতা মদন দাস দেবীর জীবনাবসান, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত প্রবীণ আরএসএস (RSS) নেতা মদন দাস দেবী। বয়স হয়েছিল ৮১। সোমবার সকালে বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এদিন আরএসএসের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে এই খবর জানানো হয়। উল্লেখ্য, শুধু আরএসএস নয়, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের তিনি ন্যাশনাল অর্গানাইজিং সেক্রেটারিও ছিলেন। আরএসএসের ট্যুইটবার্তা অনুযায়ী, সকাল ৫ টা নাগাদ বেঙ্গালুরুর রাজারাজেশ্বরী নগরে একটি হাসপাতালে তাঁর প্রয়াণ ঘটেছে। অটলবিহারী বাজপেয়ি এবং লালকৃষ্ণ আদবানির সমসাময়িক এই নেতা বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আরএসএসের নানা চিন্তাভাবনা এবং সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বচ্ছন্দ্যে কথা বলার ক্ষমতা রাখতেন। আরএসএস এবং বিজেপির বহু শীর্ষ নেতার আদর্শ তিনিই।

    শোক প্রকাশ নরেন্দ্র মোদির

    প্রবীণ এই নেতার (RSS) মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেবীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, তিনি অনেক কিছুই শিখেছেন তাঁর কাছে। প্রধানমন্ত্রী এক ট্যুইটবার্তায় বলেছেন, “মদন দাস দেবীজির প্রয়াণে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতির সেবায় তিনি তাঁর জীবন উৎসর্গ করে গেছেন।” তিনি আরও লিখেছেন, “তাঁর সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল, শুধু এমনটাই নয়, তাঁর কাছ থেকে আমি অনেক কিছু পেয়েছি। এমন একটা বেদনাদায়ক সময়ে তাঁর পরিবার এবং কর্মীদের ঈশ্বর শক্তি দিন।”

    শোক প্রকাশ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজুও আরএসএসের (RSS) ওই প্রবীণ নেতার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, এই মৃত্যু সংবাদ বেদনাদায়ক। তাঁর চিন্তাভাবনা এবং জ্ঞান সব সময় আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে। দেশপ্রেমী মানুষ এবং দলের কার্যকর্তারাও তাঁর আদর্শ এবং অনুপ্রেরণায় সমৃদ্ধ।

    শেষ জীবন

    বয়সজনিত অসুস্থতার কারণে তিনি সংগঠনের নানা দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাইলেও শরীর যতটা দিত, সেই অনুযায়ী সারা দেশ ঘুরে বেড়াতেন। দিল্লি এলে থাকতেন আরএসএসের (RSS) দীনদয়াল উপাধ্যায় রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাততলার কমিউনে। মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা এই নেতা সঙ্ঘের যুগ্ম সম্পাদকের পদে কাজ করেছেন। সর্ব সময়ের এই প্রচারক শেষ জীবনে অসুস্থতার কারণে বেঙ্গালুরুতে ছিলেন চিকিৎসার জন্য। আরএসএসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁর নশ্বর দেহ স্থানীয় সঙ্ঘ কার্যালয়ে দুপুর দেড়টা থেকে চারটে পর্যন্ত রাখার পর উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে পুনেতে। সেখানেই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘শ্লীলতাহানি’! বিজেপির দুই মহিলা প্রার্থীকে পুলিশি পাহারায় বাড়ি পাঠানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘শ্লীলতাহানি’! বিজেপির দুই মহিলা প্রার্থীকে পুলিশি পাহারায় বাড়ি পাঠানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে ভোট গ্রহণ ও গণনার দিন তাঁদের দুই মহিলা প্রার্থীর শ্লীলতাহানি (two molested BJP women) করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল বিজেপি। সোমবার, ওই দুই প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসেও উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের পুলিশ এসকর্ট দিয়ে বাড়ি পাঠানোর নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চ। 

    হাইকোর্টের নির্দেশ

    ওই দুই মহিলা প্রার্থীর হয়ে আদালতে এদিন সওয়াল করেছিলেন বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশের পর প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল বলেন, আদালতের নির্দেশকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। মহামান্য বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, দুই মহিলা প্রার্থীকে পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে। তাঁদের উপর যেন কোনও হামলা না হয়। রাজ্যে শান্তি কায়েম রাখতে হবে। বিজেপির দুই প্রার্থীর মধ্যে একজন এদিন কোর্ট চত্বরে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি হাওড়া জেলার একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। ভোটের দিন ও গণনার দিন তৃণমূলের অনেকে বুথের মধ্যে ও গণনার মধ্যে ঢুকে পড়েছিল। একটা সরু প্যাসেজ দিয়ে বুথে ঢুকতে হচ্ছিল। সেখানে তৃণমূলের কয়েক জন কর্মী তাঁর গায়ে হাত দিয়েছেন বলে তাঁর অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে আরও ১০ দিন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, জানাল হাইকোর্ট

    মমতাকে কটাক্ষ

    রবিবার সকালে পাঁচ তফসিলি সাংসদের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম (BJP Fact Finding Team) বাংলায় পাঠিয়েছে বিজেপি। এ দিন তারা হুগলির তারকেশ্বর এবং আরামবাগে ভোটে আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সোমবার, এই দলের সদস্য সাংসদ এস মুনিস্বামী জানিয়েছেন, ‘গতকাল যা দেখে এসেছি, তাতে স্পষ্ট, নামে মমতা হলেও মুখ্যমন্ত্রীর কাজকর্মে আর নামমাত্র মমত্ব অবশিষ্ট নেই। এই রাজ্যের দায়িত্ব অবিলম্বে রাজ্যপালের হাতে তুলে দেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রী স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিন’। যার নেতৃত্বে এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম সফর করছে, সেই সাংসদ বিনোদ সোনকারের দাবি, ‘মমতা ব্যানার্জি ভয় পেয়েছেন। তাই আর এই আচরণ’। ৫ সদস্যের এই টিমে আছেন বিনোদ সোনকার, সুরেশ কাশ্যপ, এস মুনিস্বামী, মনোজ রাজোরিয়া এবং বিনোদ ছাবড়া। তাঁরা দিল্লি ফিরে গিয়ে, এই রাজ্যের সন্ত্রাস-এর আবহ নিয়ে বিস্তারিত আকারে  রিপোর্ট জমা দেবেন, বলে জানান। এরই মধ্যে 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ‘মোদি’ পদবি মামলায় পূর্ণেশ ও গুজরাট হাইকোর্টকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: ‘মোদি’ পদবি মামলায় পূর্ণেশ ও গুজরাট হাইকোর্টকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মোদি’ পদবি মামলায় সাজার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ওই মামলায় এবার বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদিকে নোটিশ পাঠাল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আরএস গাভাই ও বিচারপতি পিকে মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলায় অবস্থান জানতে শীর্ষ আদালতের তরফে নোটিশ পাঠানো হয়েছে গুজরাট সরকারকেও। ৪ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি। শুক্রবার বেঞ্চ জানিয়েছে, এই পর্যায়ে মামলার দীর্ঘায়িত শুনানির প্রয়োজন নেই। সাজার ওপর স্থগিতাদেশ হবে না রায় বহাল থাকবে, শুনানি হবে তা নিয়েই।

    রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে কর্নাটকের কোলারের এক জনসভায় প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে আদালতের (Supreme Court) দ্বারস্থ হন গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি। চলতি বছর ২৩ মার্চ সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা দু বছর জেলের সাজা দেন রাহুলকে। উচ্চতর আদালতে আবেদনের জন্য তাঁকে ৩০ দিন সময়ও দিয়েছিলেন বিচারক।

    দু বছরের কারাদণ্ড

    দু বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা হওয়ায় রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে দেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। বাংলোর অধিকারও খোয়ান রাহুল। সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে রাহুলের আর্জি ৭ জুলাই খারিজ করে দেয় গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছকের বেঞ্চ। এর আগে রাহুল আবেদন করেছিলেন সুরাটের দায়রা আদালতও। গুজরাট হাইকোর্টের সাজার রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হন রাহুল। আবেদনে বলা হয়, যদি গুজরাট হাইকোর্টের ৭ জুলাইয়ের রায় স্থগিত করা না হয়, তাহলে তা বাকস্বাধীনতা, মত প্রকাশ, স্বাধীন চিন্তাভাবনার কণ্ঠরোধের পরিবেশ তৈরি করবে।

    আরও পড়ুুন: বিজেপি নেতাদের বাড়ি ‘ঘেরাও’য়ের ডাক মমতা-অভিষেকের, তুলোধনা সুকান্ত-শুভেন্দুর

    আইনজীবীদের একাংশের মতে, সুপ্রিম কোর্ট যদি সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়, তবে হারানো সাংসদ পদ ফিরে পেতে পারেন রাহুল। সাজার ওপর স্থগিতাদেশ দিলে জেলে যেতে না হলেও, সাংসদ পদ ফিরে পাবেন না। আর গুজরাট হাইকোর্টের রায় বহাল থাকলে জেলে যাওযার আশঙ্কা বাড়বে রাহুলের। কেবল তা-ই নয়, আগামী ছ বছর তিনি নির্বাচনে প্রার্থীও হতে পারবেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: অভিষেকের ‘বিজেপির বাড়ি ঘেরাও’ কর্মসূচি নিয়ে মামলার অনুমতি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: অভিষেকের ‘বিজেপির বাড়ি ঘেরাও’ কর্মসূচি নিয়ে মামলার অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে এই নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। 

    কেন মামলা

    গত শুক্রবার ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকে ‘বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘোরও’-এর ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মন্তব্যের জেরেই দায়ের হয়ে এফআইআর। পরে তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূল নেত্রী এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ওই মন্তব্যে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিজেপি। বিজেপির আইনজীবী সূর্যনীল দাস সোমবার আদালতকে বলেন, এই ধরনের কর্মসূচি একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করবে। এই মর্মেই আদালতে মামলা রুজু করার অনুমতি চান তাঁরা। একই সঙ্গে মামলর দ্রুত শুনানির অনুরোধও করেন। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ প্রথম আর্জিটি মেনে নিলেও দ্বিতীয় আবেদনটি খারিজ করে দেয়।

    আরও পড়ুন: ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি ডাকলেই আন্দোলন কেন?’ ধনখড়ের নিশানা কাদের দিকে

    বিজেপির দাবি

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর বক্তব্য অনুযায়ী বিজেপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি ঘেরাও অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে আগামী ৫ অগাস্ট। মূলত, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ বিজেপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি ঘেরাও করার নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করে তৃণমূল কংগ্রেস। এই কর্মসূচির উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিষয়টি আইন শৃঙ্খলার অবনমন এবং বিজেপি নেতা, কর্মীদের সুরক্ষার দিক থেকে যথেষ্ট বিপজ্জনক বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। এরকম কর্মসূচি আরও বিপদ ডেকে আনবে বলেই মনে করছেন তাঁরা। প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে মানুষের সুরক্ষা প্রশ্নের মুখে তুলে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মেয়াদ কি বাড়ানো যায়? কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মেয়াদ কি বাড়ানো যায়? কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের পর এখনও রাজ্যের  আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি  পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি বলে দাবি বিজেপির। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার খবর আসছে। তাই রাজ্যে আরও এক মাস কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানাল বিজেপি। সেই আর্জি শুনেই  রাজ্যে আরও চার সপ্তাহ  কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা যায় কি না কেন্দ্রকে বিবেচনা করে দেখতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। 

    কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে সমস্যা

    এই বিষয়ে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি (Chief Justice) টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। আদালতে প্রিয়াঙ্কা বলেন, “এখনও বিভিন্ন জায়গায় মহিলা শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। বিজেপি কর্মীরা ঘর ছাড়া। বহু এলাকায় এখনও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে। তাই রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থেই আরও চার সপ্তাহ কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হোক।” কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে বলে দাবি করেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: ট্যুইটারে জনপ্রিয়তার নিরিখে বাইডেন-সুনককে পিছনে ফেললেন মোদি

    কী বলছে আদালত

    শুক্রবার সেই মামলার শুনানির সময়,  হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ভোটের ফল প্রকাশের পরে প্রথম ১০ দিনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আরও রাখতে হলে কেন্দ্রের মতামত নিতে হবে। তারাই সিদ্ধান্ত নিক। কেন্দ্রীয় বাহিনী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে। তাই এই পরিস্থিতিতে আদালত (Calcutta High Court) কোনও নির্দেশ দিতে পারব না। তবে হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করতে পারে। তার পরে বাহিনী রাখা হবে কিনা, সেটা তাদের উপর নির্ভর করছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ২২ জুলাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর এ রাজ্যে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এরপর আর কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না তা নিয়ে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতকে জানাবে। সোমবার ফের এই মামলার শুনানি হবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘নাচগান-পাগলু ড্যান্সের মঞ্চ, সঙ্গে ডিম-ভাত’’! তৃণমূলের সমাবেশকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘নাচগান-পাগলু ড্যান্সের মঞ্চ, সঙ্গে ডিম-ভাত’’! তৃণমূলের সমাবেশকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একুশের মঞ্চ এক কাটমানির মঞ্চ। পাগলু ডান্সের মঞ্চ। ওখানে যাওয়ার জন্য সকাল-দুপুর-রাত তিনবেলা শুধু ডিম-ভাত।” ২১ জুলাই উপলক্ষে ধর্মতলায় তৃণমূল আয়োজিত সমাবেশকে এই ভাষায়ই কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুক্রবার ফের একবার চিটফান্ডকাণ্ডে তিনি নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

    মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতারের দাবি

    শুভেন্দু বলেন, “চিটফান্ডকাণ্ডে গ্রেফতার সুদীপ্ত সেন, গৌতম কুণ্ডুরা মুখ্যমন্ত্রীর ফান্ডে টাকা দিতেন। একমাত্র উপেন বিশ্বাস ছাড়া তৃণমূলের সব বিধায়ককেই ২০ লক্ষ করে টাকা দেওয়া হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়কে জেরা করা উচিত।” চিটফান্ডকাণ্ডে মেইন বেনিফিসিয়ারি হিসেবে তৃণমূল সুপ্রিমোকে গ্রেফতারির দাবিও জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাকরণের সামনে থেকে যে অ্যাম্বুলেন্স উদ্বোধন করেছিলেন, তার টাকা কোথা থেকে এল, ডেলোর বৈঠকে কী হয়েছিল, এই সব তথ্য প্রমাণ আমি সিবিআইকে দিয়েছি।”

    ‘ইটিং ফিটিং সিটিং’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “একুশের মঞ্চ মানে তৃণমূলের মঞ্চ, জনগণের নয়। একুশে জুলাইয়ের আন্দোলন যুব কংগ্রেসের আন্দোলন, তৃণমূলের কিছু নয়। আর গুলি করেছিল সিপিএম। অর্থাৎ ২১ জুলাই যদি কিছু হয়ে থাকে তাহলে কংগ্রেসের সমাবেশ করা উচিত। যদিও এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষায় জগাই-মাধাই-বিদায় তিনজন বেঙ্গালুরুতে বসে ইটিং ফিটিং সিটিং সব করে ফেলেছে। ফলে কে কার সঙ্গে আছেন, বলা মুশকিল।”

    আরও পড়ুুন: ‘ভোট-সন্ত্রাস’-এর তদন্তে ফের রাজ্যে বিজেপির প্রতিনিধি দল

    চিটফান্ড সংস্থা সারদা কেলেঙ্কারিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জড়িত বলে একাধিকবার দাবি করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর কাছে এ ব্যাপারে প্রমাণও রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। সেই তথ্য প্রমাণ তিনি সিবিআইয়ের কাছে জমা দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এবার সারদাকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি জানিয়ে সিবিআইয়ের অধিকর্তাকে চিঠি দিলেন তিনি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে ওই চ্যানেলকে (একটি বেসরকারি চ্যানেলের নাম উল্লেখ করেন) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টাকা দিতেন। টাকা দিতেন সুদীপ্ত সেন, গৌতম কুন্ডুরাও। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Manipur: “কংগ্রেস চায় না সংসদ সুষ্ঠুভাবে চলুক”, মণিপুরকাণ্ডে তোপ রবিশঙ্করের

    Manipur: “কংগ্রেস চায় না সংসদ সুষ্ঠুভাবে চলুক”, মণিপুরকাণ্ডে তোপ রবিশঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মণিপুরের (Manipur) পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় প্রস্তুত সরকার। মণিপুরের মানুষের নিরাপত্তায় সচেষ্ট সরকার। কংগ্রেস চায় না সংসদ সুষ্ঠুভাবে চলুক। সেই জন্যই হইহট্টগোল করছে। মণিপুরের লজ্জাজনক ঘটনায় একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।” কথাগুলি বললেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বিজেপির রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, “মণিপুরের ঘটনায় আমরা সবাই মর্মাহত। আজ আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কড়া ভাষায় এর নিন্দাও করেছেন, মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে দেশকে জাগ্রত করার কথা বলেছেন। মণিপুরের সঙ্গে সঙ্গে রাজস্থান, ছত্তিশগড়ের কথাও বলেছেন। নরেন্দ্র মোদির সরকার মা-বোনদের সম্মানের বিষয়ে সংবেদনশীল। কংগ্রেসের কাছে এই ঘটনা জরুরি নয়, অশান্তি জরুরি। যখন সকাল সকাল প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে কথা বলেছেন, তখন দেশের সকলের কাছে সংকেত যাওয়া উচিত ছিল।”

    মণিপুরকাণ্ডে গ্রেফতার আরও তিন

    এদিকে, দুই মহিলাকে (Manipur) নগ্ন করে হাঁটানোর ভিডিও প্রকাশ্যে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হল আরও তিন অভিযুক্তকে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মণিপুর পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ বলেন, “আমি সকলের কাছে আবেদন করতে চাইছি যেন মহিলা, বোন, দিদির বিরুদ্ধে এটাই শেষ অপরাধ হয়। আমাদের মা, বোন ও বড়দের সম্মান দেওয়া উচিত।”

    রিপোর্ট তলব জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের

    লজ্জাজনক এই ঘটনায় মণিপুরের মুখ্য সচিব ও ডিজিপির কাছে রিপোর্ট চেয়ে নোটিশ দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে চার সপ্তাহের মধ্যে। তদন্তের অগ্রগতি সহ নির্যাতিতাদের শারীরিক অবস্থা ও সামাজিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

    আরও পড়ুুন: ‘ভোট-সন্ত্রাস’-এর তদন্তে ফের রাজ্যে বিজেপির প্রতিনিধি দল

    এদিকে, মণিপুর (Manipur) নিয়ে বৃহস্পতিবারই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্টও। দেশের শীর্ষ আদালত সাফ জানায়, সংসদীয় গণতন্ত্রে এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। সুপ্রিম কোর্ট এদিনই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারির নির্দেশ দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়ে দিয়েছিলেন, মামলাটির শুনানি হবে শুক্রবার। সেখানে সরকারকে জানাতে বলা হয়েছে, তারা কী ব্যবস্থা নিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: ‘ভোট-সন্ত্রাস’-এর তদন্তে ফের রাজ্যে বিজেপির প্রতিনিধি দল

    Panchayat Election 2023: ‘ভোট-সন্ত্রাস’-এর তদন্তে ফের রাজ্যে বিজেপির প্রতিনিধি দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) পরবর্তী ‘হিংসা’র ঘটনা সরেজমিনে ফের রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে বিজেপি (BJP)। এ বার তফসিলি সম্প্রদায়ের পাঁচ সাংসদের দল গড়ে দিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। দলটি খুব শীঘ্রই রাজ্যে আসবে। ওই দলে থাকবেন— বিনোদ সোনকর, সুরেশ কশ্যপ, এস মুনিস্বামী, মনোজ রাজোরিয়া এবং বিনোদ চাবড়া। বিভিন্ন ভোটে হিংসার অভিযোগ রয়েছে যে সব এলাকায়, সে রকম কিছু এলাকা ঘুরে দেখবেন সাংসদীয় প্রতিনিধিরা। তাঁরা কথা বলবেন, হিংসা আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে। 

    রাজ্যে তৃতীয় প্রতিনিধি দল

    পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) পর রাজ্যে এই নিয়ে তৃতীয় বার প্রতিনিধি দল পাঠাতে চলেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এর আগে ভোট গণনার দিনই একটি সংসদীয় প্রতিনিধি দল পাঠানো হয় রাজ্যে। যে দলের নেতৃত্বে ছিলেন বর্ষীয়ান বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ। এ ছাড়া ওই দলে ছিলেন সাংসদ ডঃ রাজদীপ রায়, সত্যপাল সিং এবং রেখা ভার্মা। তাঁরা রাজ্যের ভোট হিংসা আক্রান্ত বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখেন। আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে। দ্বিতীয় দফায়, রাজ্যে  পঞ্চায়েত ভোট হিংসায় মহিলারা কতটা আক্রান্ত হয়েছেন তা খতিয়ে দেখতে মহিলা সাংসদের একটি প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়। এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন রমা দেবী, কবিতা পাতিদার, অপরাজিতা সারেঙ্গি, সন্ধ্যা রায় এবং সরোজ পাণ্ডে। দুটি দলই রাজ্যে ভোট হিংসার তথ্যানুসন্ধান করে জেপি নাড্ডার কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: আজ জেলায় জেলায় বিজেপির বিডিও অফিস ঘেরাও অভিযান

    ফল প্রকাশের পর কেটে গিয়েছে বেশ কিছু দিন। কিন্তু, এখনও প্রায়শই রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে আসছে হিংসার খবর। ঝরছে রক্ত। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ভোট সন্ত্রাসের (Panchayat poll violence) জেরে এখনও ঘর ছাড়া বহু পরিবার। প্রশাসন সহায়তা করেনি, আতঙ্কে দিন কাটছে, অভিযোগ বহু এলাকার বাসিন্দাদের। আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলার পরেই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা যায় বিজেপির আগের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের। বহু জায়গায় উঠেছে তৃণমূল বিরোধী স্লোগানও। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share