Tag: bjp

bjp

  • Nawsad Siddique: ভাঙড়ে গেলেই আটকাচ্ছে পুলিশ! হাইকোর্টের দ্বারস্থ নওশাদ সিদ্দিকি

    Nawsad Siddique: ভাঙড়ে গেলেই আটকাচ্ছে পুলিশ! হাইকোর্টের দ্বারস্থ নওশাদ সিদ্দিকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ভাঙড়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে না আইএসএফ (ISF MLA) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে। বিধায়কের দাবি, ১৪৪ ধারা না থাকা সত্ত্বেও তাঁকে ভাঙড়ে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগ জানিয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের ( Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন নওশাদ (Nawsad Siddique)। কেন পুলিশ যেতে বাধা দিচ্ছেন তাঁর মক্কেলকে এই প্রশ্নের উত্তর চেয়েছেন নওশাদের আইনজীবী। পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। চলতি সপ্তাহেই শুনানির সম্ভাবনা।

    নওশাদকে বাধা পুলিশের

    ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল শুক্রবার। নিজেরই বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে (Nawsad Siddique) বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার ভাঙড়ে (BHangar) যাওয়ার পথে নিউটাউনে আটকে দেওয়া হয় নওশাদকে। দীর্ঘ ক্ষণ গাড়িতেই বসেছিলেন তিনি। রবিবারও নওশাদকে পড়তে হয় পুলিশি বাধার মুখে। আটকানো হয় তাঁর গাড়ি। যুক্তি দেওয়া হয়, ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। ডিএসপি ক্রাইমকে (বারুইপুর)ভাঙড়ের বিধায়ক প্রশ্ন করেন, ‘‘কেন বার বার পুলিশ বাধা দিচ্ছে? ১৪৪ ধারা জারি থাকার কথা বলা হচ্ছে শুধু। আমি কি ১৪৪ ধারা বলবত রয়েছে এমন এলাকায় দাঁড়িয়ে আছি?এত গাড়ি কী করে যাচ্ছে তাহলে?’’ এরপরই আদালতে যাওয়ার কথা জানান নওশাদ।

    আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা, বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা আশ্রয় নিলেন অসমে

    রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

    পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে বার বার সংঘর্ষ, বোমাবাজিতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভাঙড়ে। গত মঙ্গলবার গণনার দিনও প্রাণহানি হয়েছে সেখানে। কাঁঠালিয়ায় গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। তাঁদের মধ্যে দু’জন ছিলেন আইএসএফ কর্মী। এক জন গ্রামবাসী বলে দাবি। আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন। নওশাদ (Nawsad Siddique) বারবার অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আটকানো হচ্ছে তাঁকে। তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, “নবান্ন, হাইকোর্ট চত্বর, লালবাজার, সবজায়গাতেই ১৪৪ ধারা থাকে। সাধারণ মানুষ যেতে পারে। অথচ আমাকে আমার এলাকাতেই ঢুকতে দিচ্ছে না।” এ দিকে, আইএসএফ-এর অভিযোগ, পুলিশ নওশাদকে বাধা দিলেও ভাঙড়ে ১৪৪ ধারার মধ্যেই সভা করছে তৃণমূল। প্রায় শতাধিক কর্মী-সমর্থকদের সমাবেশ করেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal BJP: পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস! ১৯ জুলাই কলকাতায় বিজেপির মহামিছিল

    Bengal BJP: পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস! ১৯ জুলাই কলকাতায় বিজেপির মহামিছিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী বাংলায় ফের মিছিলের ডাক রাজ্য বিজেপির (Bengal BJP)। রাজ্যে সন্ত্রাসের প্রতিবাদে আগামী ১৯ জুলাই কলকাতায় মহা মিছিলের ডাক দিয়েছে গেরুয়া শিবির।  চূড়ান্ত পরিকল্পনা না হলেও ঠিক হয়েছে কলেজ স্ট্রিট থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত হবে মিছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাস ও গণনায় কারচুপির অভিযোগ এই মিছিলের সামনে থাকবেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক

    পঞ্চায়েত ভোটের পর রবিবার বিজেপির (Bengal BJP) পর্যালোচনা বৈঠক ছিল। আলোচনায় বারবার ভোটের সন্ত্রাস যেমন উঠে এসেছে, উঠে এসেছে বিজেপির সামগ্রিক ফল নিয়েও কাটাছেঁড়া। এদিন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “সাংগঠনিক বৈঠক নিয়ে বাইরে আমি বলতে পারব না। এটুকু বলতে পারি এতদিন কী কাজ হয়েছে তার পর্যালোচনা, পঞ্চায়েত ভোটের পর্যালোচনা এবং তাকে পাথেয় করে আগামী লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরুকে সামনে রেখে এই বৈঠক হয়েছে।” সুকান্ত জানান, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য বহু কর্মসূচি বিজেপি পালন করে উঠতে পারেনি। এবার তা শুরু হবে। নরেন্দ্র মোদির সরকারের ৯ বছর পূর্ণ হওয়ার নানা কর্মসূচি রয়েছে তালিকায়। এদিনের বৈঠকে বিজেপির সাংগঠনিক জেলা ৪২ থেকে ৪৫ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একইসঙ্গে মোদি সরকারের ৯ বছরের উদযাপনে ১৬ অগাস্ট ১ হাজার সভা করার সিদ্ধান্তও হয়েছে। একইসঙ্গে পঞ্চায়েতে লড়াই দিয়েছেন এমন জয়ী বিজিত সমস্ত প্রার্থীকেই দলের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। জেলায় জেলায় সেখানকার প্রার্থীদের নিয়ে সংবর্ধনা সভা আয়োজন করার নির্দেশও দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুন: বিপর্যস্ত যাত্রী পরিবহণ! উত্তর হাওড়া থেকে কলকাতা গামী বহু বাসরুট বন্ধ

    মিছিল নিয়ে নানা পরিকল্পনা

    আগামী শুক্রবার, ২১ জুলাই তৃণমূলের ‘শহিদ দিবস’ রয়েছে। তার আগেই শহরের রাজপথে মিছিলের ডাক দিল বিজেপি (Bengal BJP)। রবিবার বিজেপির  বৈঠকে ছিলেন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও। রবিবারের বৈঠকে ডাকা হয়েছিল দলের বিভিন্ন মোর্চার নেতাদেরও। সেখানেই আগামী বুধবারের কর্মসূচি ঠিক হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে হাওড়া ও শিয়ালদহে জড়ো হবেন কলকাতার আশপাশের জেলা থেকে আসা কর্মী, সমর্থকরা। সেখান থেকে মিছিল আসবে কলেজ স্ট্রিটে। কলকাতা উত্তর ও দক্ষিণের কর্মীরা সরাসরি কলেজ স্ট্রিটে চলে আসবেন। সেখান থেকেই মূল মিছিল শুরু হয়ে ধর্মতলার দিকে যাবে। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আগামী ১৯ তারিখ আমরা কলকাতায় একটা মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সন্ত্রাসের প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই এই বিরোধিতা হবে। পরে সবটাই জানিয়ে দেওয়া হবে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayet Elections 2023: পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিজেপির দেওয়া বুথের তালিকা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ জেলাশাসকদের

    Panchayet Elections 2023: পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিজেপির দেওয়া বুথের তালিকা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ জেলাশাসকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোথাও বুথ দখল, কোথাও আবার অবাধে ছাপ্পা। এভাবে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayet Elections 2023) বেশ কিছু আসনে তৃণমূল ভোট করিয়েছে বলে অভিযোগ। এমনই প্রায় ৫ হাজার বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে (State Election Commission) চিঠি দিয়েছিল বিজেপি। পদ্ম শিবিরের দেওয়া সেই সব বুথের তালিকা খতিয়ে দেখার নির্দেশ জেলাশাসককে দিল কমিশন। এই মর্মে জেলাশাসকদের চিঠিও পাঠিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

    রক্তের হোলি

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্য। ওই দিনই মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে খুন হন এক কংগ্রেস কর্মী। তার পর থেকে আক্ষরিক অর্থেই রক্তের হোলি খেলা চলেছে রাজ্যে। কোথাও তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হয়েছেন বিরোধী দলের নেতা-কর্মী-সমর্থক। কোথাও আবার তৃণমূলের সঙ্গে যুব তৃণমূলের (Panchayet Elections 2023) লড়াইয়ের বলি হয়েছেন জোড়াফুল শিবিরের কোনও কর্মী। পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে ৮ জুলাই।

    ৫ হাজার বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি

    সেদিনও রক্তাক্ত হয়েছে বাংলা। এই একদিনেই রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন ২২ জন। সব মিলিয়ে পুরো নির্বাচন পর্বে খালি হয়ে গিয়েছে ৫২ জন মায়ের কোল। নির্বাচনোত্তর অশান্তির ঘটনাও ঘটেছে। নির্বাচনের পরের দিনই কমিশনকে ইমেল করা হয় গেরুয়া শিবিরের তরফে। তাতে প্রায় ৫ হাজার বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানানো হয়। পাঠানো হয় বুথের তালিকাও। সেই তালিকাই যাচাই করতে বলল কমিশন। শুধু তাই নয়, যেসব বুথের উল্লেখ করা হয়েছে, সেসব বুথে পুনর্নির্বাচনের কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখে একদিনের মধ্যেই কমিশনকে জানাতে বলা হয়েছে। স্ক্রুটিনি ও পুনর্নির্বাচন করানো হয়েছে, এমন বুথ বাদে বাকি বুথগুলোতে কী কী অভিযোগ রয়েছে, সেই অভিযোগের ভিত্তি রয়েছে কিনা, পুনর্নির্বাচন করার মতো কিনা, তাও জানাতে হবে। 

    আরও পড়ুুন: বাড়ি কিনে তোলাবাজির মুখে শিক্ষক, ৫ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় বাড়িতে তাণ্ডব, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলার

    এদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Elections 2023) ফল নিয়ে রবিবার পর্যালোচনায় বসছে বঙ্গ বিজেপি। সল্টলেকের বিজেপি অফিসে হবে বৈঠক। উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরাও। ভোট-সন্ত্রাস, রাজ্য প্রশাসনের রাজনীতিকরণের অভিযোগ নিয়ে হবে আলোচনা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলের নিরিখে কোন জেলায় দলের সাংগঠনিক অবস্থা কেমন, তাও খতিয়ে দেখা হবে রবিবারের বৈঠকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Ananta Maharaj: মনোনয়ন প্রত্যাহার রথীন্দ্রর, রাজ্যসভায় যাচ্ছেন বিজেপির অনন্ত, শংসাপত্র সোমে

    Ananta Maharaj: মনোনয়ন প্রত্যাহার রথীন্দ্রর, রাজ্যসভায় যাচ্ছেন বিজেপির অনন্ত, শংসাপত্র সোমে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যসভা নির্বাচনে ডামি প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি (BJP)। ১৭ জুলাই ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। তার দুদিন আগেই মনোনয়নপত্র (Ananta Maharaj) প্রত্যাহার করে নিলেন ডামি প্রার্থী উত্তরবঙ্গের ভূমিপুত্র রথীন্দ্র বসু। তিনি বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতিও। শনিবার বিধানসভায় এসে সহ-সচিবের কাছে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন তিনি। যেহেতু রাজ্যসভায় বাংলার ৬টি আসনেই কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই, তাই আর নির্বাচন হচ্ছে না। জানা গিয়েছে, সোমবার ওই ৬ প্রার্থীকেই জয়ের শংসাপত্র দেওয়া হবে। ওই দিনই জয়ের শংসাপত্র দেওয়া হবে উপনির্বাচনে মনোনীত এক প্রার্থীকেও। রথীন্দ্র মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় বাংলা থেকে এই প্রথমবার বিজেপির কোনও সদস্য যাচ্ছেন রাজ্যসভায়।

    মনোনয়ন প্রত্যাহার রথীন্দ্রর

    কৌশলগত কারণেই যে অনন্ত মহারাজের (Ananta Maharaj) পাশাপাশি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন রথীন্দ্রও, তা আগেই জানিয়েছিল বিজেপি। এদিন রথীন্দ্র মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার পর নাটাবাড়ির বিধায়ক বিজেপির মিহির গোস্বামী বলেন, দল একটা অতিরিক্ত প্রার্থী দিয়ে রেখেছিল। এই ধরনের প্রার্থী সাধারণত নির্বাচনে দেওয়া হয়ে থাকে। প্রার্থী নিয়ে শেষ পর্যন্ত কোনও সমস্যা হলে, যাতে বিকল্প ব্যবস্থা রাখা যায়, তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দল।

    গর্বিত বিজেপি

    মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন আমাদের ডামি প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আর নির্বাচনের সুযোগ রইল না। তিনি বলেন, অনন্ত মহারাজ কোচবিহারের বাসিন্দা। তিনি উত্তরবঙ্গে বহু সমাজিক সংস্কারের কাজ করেছেন। তাই তাঁর মতো একজন ব্যক্তিকে বিজেপি রাজ্যসভার মনোনয়ন দেওয়ায় আমরা গর্বিত। প্রার্থী হিসেবে উত্তরবঙ্গের ভূমিপুত্র অনন্তর (Ananta Maharaj) নাম ঘোষণার পরে পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, আমরা বাংলা ভাগের পক্ষে নই। কিন্তু উত্তরবঙ্গের মানুষের সঙ্গে টানা বঞ্চনা করে চলেছে সরকার। উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি গোটা রাজ্যের মানুষের স্বার্থেই সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়ে অনন্ত মহারাজ কাজ করবেন বলে আমার বিশ্বাস।

    আরও পড়ুুন: ভারতের পতাকা ভেসে উঠল বুর্জ খলিফায়, লেখা হল, ‘স্বাগতম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি’

    প্রসঙ্গত, গোয়া, গুজরাট এবং বাংলা সহ রাজ্যসভার মোট ১০টি আসনে ভোট হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই ৬টি আসন। প্রতিটি আসনেই একজন করে প্রার্থী থাকায় হচ্ছে না ভোটাভুটি। সোমবার যাঁদের জয়ী বলে ঘোষণা করা হবে, তাঁরা হলেন, তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক-ও-ব্রায়েন, উপ-দলনেতা সুখেন্দুশেখর রায়, শ্রমিক সংগঠনের নেত্রী দোলা সেন, অধ্যাপক সামিরুল ইসলাম এবং তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি প্রকাশ বরাইক। বিজেপির তরফে রাজ্যসভায় যাচ্ছেন অনন্ত মহারাজ। একটি আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে। ওই আসনে জয়ী হতে চলেছেন দিল্লির বাসিন্দা তৃণমূলের সাকেত গোখলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Suvendu Adhikari: ‘‘ভোট-পরবর্তী হিংসায় ফের আক্রান্ত গ্রামবাংলা, এটাই কি গণতন্ত্র?’’ নিন্দা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘ভোট-পরবর্তী হিংসায় ফের আক্রান্ত গ্রামবাংলা, এটাই কি গণতন্ত্র?’’ নিন্দা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী অশান্তির আঁচ ক্রমেই বাড়ছে। চারিদিকে আক্রান্ত রাজনৈতিক কর্মীরা। বোমা, গুলি, আগুন, আক্রমণ চলছেই। হাওড়ার আমতা জয়পুরে দুই বিজেপির (BJP) প্রার্থীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। গভীর রাতে একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। এই পরিস্থিতিতে ট্যুইটে কড়া ভাষায় রাজ্য প্রশাসনকে আক্রমণ করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ট্যুইটে তিনি লিখলেন, ভোটে অংশ নেওয়ায় শাসকের অত্যাচার, এটাই কি গণতন্ত্র? 

    উত্তপ্ত আমতা

    বৃহস্পতিবার রাতে বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী সোমা রায় সহ ৬ বিজেপি কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এক বৃদ্ধা অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন বলেও সূত্রের খবর। বিজেপির দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী ছাড়া আর কেউ এ কাজ করতে পারে না। আমতা বিধানসভার অন্তর্গত আমড়াগোড়ি অঞ্চলের বিজেপির গ্রামসভার প্রার্থী সোমা রায়। বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটা নাগাদ দুষ্কৃতীরা তাঁর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। হাওড়া গ্রামীণের বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক দ্বিজেন অধিকারী জানিয়েছেন, অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বৃদ্ধাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘পুলিশ ওদের দলদাস। মনোনয়ন থেকে দেখছি, পুলিশ ওদের কথা মতো চলছে। বিজেপি বারবার আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ কিছু করছে না।’

    আরও পড়ুন: জেতার পরও মেলেনি সার্টিফিকেট, আলিপুরদুয়ারে সরব একাধিক বিজেপি প্রার্থী

    শুভেন্দুর ট্যুইট বার্তা

    এ প্রসঙ্গেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ( Suvendu Adhikari ) লেখেন, ‘ভোট-পরবর্তী হিংসায় ফের আক্রান্ত গ্রামবাংলা। হাজার হাজার বিরোধী দলের প্রার্থী, পার্টি কর্মী ও সমর্থক রাজ্য জুড়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। তাঁদের বাড়িতে হামলা করা হচ্ছে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বা তাঁদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সাবাং ব্লকের বিজেপি জেলা পরিষদের প্রার্থী তাপসী দাস বর্মণের মাথার উপর কোনও ছাদ নেই এবং তিনি ও তাঁর পরিবার বর্ষায় আশ্রয়ের জন্য মরিয়া হয়ে ঘর খুঁজছে। শতাধিক সেফ হাউস চালু করেছে রাজ্য বিজেপি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য  বিজেপি এবং অন্যান্য বিরোধী প্রার্থীদের তৃণমূলের গুন্ডারা  নির্যাতন করছে। এটাই কি গণতন্ত্র?’  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: আমতায় একের পর এক বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে ভাঙচুর, আগুন

    Howrah: আমতায় একের পর এক বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে ভাঙচুর, আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট মিটে গেলেও এখনও পর্যন্ত জেলায় জেলায় অশান্তি থামেনি। বৃহস্পতিবারই উচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, যে কোনও ধরনের অশান্তি ঘটলে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরাসরি ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই গভীর রাতে হাওড়ার (Howrah) আমতায় একের পর এক বিজেপি সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটল। গণনার পর থেকেই আমতার ওই এলাকা উত্তপ্ত ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনায় এলাকা আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠল। এমনকী শাসক দলের নেতারা হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ বিরোধী দলের। বৃহস্পতিবার রাতে বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী সোমা রায় সহ ৬ বিজেপি কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এক বৃদ্ধা অগ্নিদগ্ধ হন। বিজেপির দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী ছাড়া আর কেউ এ কাজ করতে পারে না।

    ভয়াবহ সেই ঘটনার (Howrah) বিবরণ

    আমতা (Howrah) বিধানসভার অন্তর্গত আমড়াগোড়ি অঞ্চলের কাঁকরোল গ্রামে বিজেপির গ্রামসভার প্রার্থী সোমা রায়ের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটে নাগাদ দুষ্কৃতীরা তাঁর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। আতঙ্কে গ্রামছাড়া এলাকার একাধিক পরিবার। বিজেপির আরও অভিযোগ, ঘরগুলোতে বাইরে থেকে শিকল লাগিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিবশীরাই তাদের দরজার শিকল খুলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে। এই ঘটনায় কোনওক্রমে বাড়ির বাসিন্দারা বেরোতে পারলেও আগুনে পুড়ে মরেছে হাঁস, মুরগি সহ গবাদি পশু। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে জয়পুর থানার পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানরা। অভিযোগ, ভোটে বিজেপির হয়ে দাঁড়ানোর পর থেকেই হুমকি আসছিল। তৃণমূলের নেতারা বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়ে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়ে আসছিল। কিন্তু তারা তৃণমূলের হুমকি উপেক্ষা করেই সেখানে বসবাস করছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূল সত্যিই যে ঘরদোর জ্বালিয়ে দেবে, তাঁরা তা বুঝে উঠতে পারেননি।

    কী বলছে বিজেপি প্রার্থীর পরিবা (Howrah) ?

    ভূদেব রায় ও স্বপন রায় দুই ভাই। ভূদেবের স্ত্রী কল্পনা রায় ও স্বপনের স্ত্রী ঝুমা রায়। দুই জা বিজেপির হয়ে এবারে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। অমরাগড়ি এলাকার ৪৩ ও ৩৭ নম্বর দুটি বুথ থেকে দুজনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। স্বপন রায় বলেন, স্থানীয় তৃণমূলের নেতারা আমাদের ভোটে দাঁড়াতে বারণ করেছিল। আমরা তাদের বারণ উপেক্ষা করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। তারপর থেকেই আমাদের হুমকি দিয়ে আসছিল। কিন্তু সত্যিই যে তারা আমাদের ঘরে (Howrah) পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেবে, তা আমরা বুঝতে পারিনি।

    তীব্র নিন্দা শুভেন্দু অধিকারীর

    হাওড়া গ্রামীণের বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক দ্বিজেন অধিকারী বলেন, পুলিশ ওদের দলদাস। মনোনয়ন থেকে দেখছি, পুলিশ ওদের কথা মতো চলছে। বিজেপি বারবার আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ কিছু করছে না। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমা রায়ের বাড়ি (Howrah) কীভাবে পুড়েছে, সেই ছবি তিনি ট্যুইটারে পোস্ট করেছেন। তাঁর দাবি, গ্রামাঞ্চলে ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার কয়েক হাজার বিরোধী দলের কর্মী। তাঁদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে গ্রামছাড়া করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু।

    কী বলছে তৃণমূল?

    যদিও তৃণমূল তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আমতা কেন্দ্র তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সেলিমুল আলম জানান, যে জায়গায় ঘরগুলি আগুনে পুড়ে গেছে সেই জায়গা নিয়ে আইনি জটিলতা চলছিল। আইনি জটিলতা কাটাতে ইচ্ছে করে ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে তৃণমূলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bihar Protest: বিধানসভা অভিযানে লাঠিচার্জ পুলিশের, বিজেপি নেতা সহ মৃত ২

    Bihar Protest: বিধানসভা অভিযানে লাঠিচার্জ পুলিশের, বিজেপি নেতা সহ মৃত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্ষোভ থামাতে বেপরোয়া লাঠিচার্জ করেছিল পুলিশ। তার জেরে প্রাণ হারালেন বিজেপির (BJP) এক নেতা সহ মোট দুজন। ঘটনার জেরে উত্তাল বিহার। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ (Bihar Protest) কর্মসূচি পালন করে গেরুয়া শিবির। নীতীশের ইস্তফার দাবিতে সোচ্চারও হন তাঁরা। বিধানসভার ভিতরেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিজেপি।

    বিধানসভা অভিযান

    বৃহস্পতিবার বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। দলের কর্মী-সমর্থকরা জড়ো হয়েছিলেন পাটনা শহরে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ছোড়ে পুলিশ। তারপরেও হটে না গিয়ে কর্মসূচি জারি রেখেছিলেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। এর পরেই এলোপাথাড়ি লাঠিচার্জ করতে শুরু করে পাটনা পুলিশ। পুলিশের লাঠির ঘায়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বিজেপির এক মহিলা কর্মীর। জখম (Bihar Protest) হন বেশ কয়েকজন। এঁদের মধ্যে ছিলেন বিজেপির জেহানাবাদ জেলার সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার সিংহও। পুলিশের লাঠির ঘায়ে গুরুতর জখম হন বিজয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর।

    বেপরোয়া পুলিশ

    শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিহারে আন্দোলন করছে বিজেপি। গেরুয়া কুর্তি, শাড়ি পরে এদিন বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তাঁরা আওয়াজ তোলেন, নীতীশ-তেজস্বী ইস্তফা দাও। বিজেপি নেতাদের কয়েকজনকে দেখা যায় প্রচার রথে উঠে স্লোগান দিতে। বিক্ষোভকারীদের রুখতে পাটনার ডাকবাংলো মোড়ের কাছে ব্যারিকেড করে পুলিশ। পাটনার পুলিশের সিনিয়র সুপারিনডেন্ট রাজীব মিশ্র বলেন, আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধ্য হয়ে জলকামান ছোড়ে। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়।

    বিজয়ের মৃত্যুতে শোক (Bihar Protest) প্রকাশ করেছেন বিহার বিজেপির নেতা সুশীল কুমার মোদি। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লিখেছেন, পুলিশের লাঠিচার্জে আমাদের এক কর্মীর মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। আমরা পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করব। এসবের জন্যই দায়ী নীতীশ কুমার। ট্যুইট-বার্তায় শোক প্রকাশ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। তিনি লিখেছেন, বিহার সরকার গণতন্ত্রের ওপর আঘাত হানছে, যাতে তারা দুর্নীতির অনুশীলন চালিয়ে যেতে পারে। 

    এদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে বিধানসভায়ও বিক্ষোভ দেখান পদ্ম শিবিরের বিধায়করা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্পিকার অওয়ধ বিহারী চৌধুরী মার্শাল ডেকে বিক্ষোভকারী বিধায়কদের সভার বাইরে বের করে দেন। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধ্বস্তিও হয় বিধায়কদের।

    আরও পড়ুুন: “আক্রান্তদের অপরাধ, তাঁরা মোদিকে ভালবাসেন”, ‘শান্তিকক্ষ’ থেকে বেরিয়ে বললেন রবিশঙ্কর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rajya Sabha Election: মনোনয়নপত্র পেশ অনন্তর, “দিনটি গর্বের”, বললেন শুভেন্দু, “ঐতিহাসিক মুহূর্ত”, মন্তব্য সুকান্তর

    Rajya Sabha Election: মনোনয়নপত্র পেশ অনন্তর, “দিনটি গর্বের”, বললেন শুভেন্দু, “ঐতিহাসিক মুহূর্ত”, মন্তব্য সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দিলেন বিজেপি (BJP) প্রার্থী অনন্ত মহারাজ। রাজ্যসভায় (Rajya Sabha Election) তাঁর নামে শিলমোহর দিয়েছিলেন অমিত শাহ স্বয়ং। তাঁর নাম নিয়ে সহমত হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। বুধবারই অনন্তর মনোনয়ন সংক্রান্ত সব কাজ সেরে রেখেছিল বিজেপির পরিষদীয় দল।

    মনোনয়নে শুভেন্দু-সুকান্ত

    এদিন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে বিধায়কদের নিয়ে অনন্ত যান গান্ধী মূর্তির পাদদেশে। পরে দেন মনোনয়নপত্র জমা। উপস্থিত ছিলেন সুকান্ত, শুভেন্দু এবং নিশীথও। শুভেন্দু বলেন, “শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গ তৈরি হয়েছিল। সেই রাজ্য থেকে বিজেপি এই প্রথম কোনও রাজ্যসভার (Rajya Sabha Election) সাংসদ পাচ্ছে। তাই আমাদের বিজেপি কর্মীদের কাছে এই দিনটি গর্বের।” রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও বলেন, “ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এই প্রথম বাংলা থেকে আমাদের কোনও সাংসদ রাজ্যসভায় যাচ্ছেন। উত্তরবঙ্গের অনুন্নয়নের জন্য রাজ্যই দায়ী। এছাড়া বিভিন্ন ভাগের দাবি উঠেছে। মূল কারণ হল পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন কলকাতা কেন্দ্রিক। বৈমাতৃসুলভ আচরণ করছে রাজ্য। এই অনুন্নয়ন সরে গেলে আর বাংলা ভাগের দাবি উঠবে না।”  

    ডামি প্রার্থী

    এদিকে, এদিন বিজেপির তরফে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন ডামি প্রার্থী রথীন্দ্র বসু। তিনি বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি। অনন্তর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরেই মনোনয়নপত্র জমা দেন উত্তরবঙ্গের ভূমিপুত্র রথীন্দ্র। বিজেপি সূত্রে খবর, ১৮ জুলাই মনোনয়নপত্র (Rajya Sabha Election) প্রত্যাহারের শেষ দিন। সেদিন মনোনয়নপত্র তুলে নেবেন রথীন্দ্র। এদিন তৃণমূলকেও নিশানা করেছেন সুকান্ত। বলেন, “আমরা গণতান্ত্রিকভাবে লড়াই করছি। ভোটে একটা দল জিতবে, একটা হারবে, সেটা স্বাভাবিক। ২০১১ সালে তৃণমূলের কী ছিল? আমাদের ভোট তার কাছাকাছি। সাঁকরাইলের বিধায়ক ভোট লুঠ করেছেন। চোর বিধায়ক। টাকা লুঠ করেছিলেন। পঞ্চায়েতের টাকা চুরি করতে চেয়েছিলেন।”

    আরও পড়ুুন: “আক্রান্তদের অপরাধ, তাঁরা মোদিকে ভালবাসেন”, ‘শান্তিকক্ষ’ থেকে বেরিয়ে বললেন রবিশঙ্কর

    বিরোধীদের নিশানা করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “কেন্দ্রের দিকে নজর রাখুন। ২০২৪-এ কী হয় দেখুন। ২৪ এর পর বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খাবে। ২৬-এর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস একজোট হয়ে লড়াই করলেও, অবাক হব না।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayat Election 2023: ‘টাকা নয়, মানুষ বিচার চায়’, মমতার ক্ষতিপূরণের ঘোষণাকে কটাক্ষ দিলীপের

    Panchayat Election 2023: ‘টাকা নয়, মানুষ বিচার চায়’, মমতার ক্ষতিপূরণের ঘোষণাকে কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রয়োজন কেন পড়বে? কেন রাজনৈতিক হিংসার বলি হতে হবে মানুষকে? প্রশ্ন তুললেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবারই ভোটের (Panchayat Election 2023) হিংসায় মৃতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের একজন সদস্যকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “স্বজন হারিয়ে কেউ টাকা চায় না, সবাই জীবনের সুরক্ষা চায়। জাস্টিস চায়।”

    মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ 

    বৃহস্পতিবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে  রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, “উনি সব দেখতে পান না, শুনতে পান না। যতটা দৃষ্টি বা বোঝার ক্ষমতা, ততটাই বলছেন। বাস্তব যেটা, যেটা মিডিয়া তুলে ধরছে। সেটা তো অস্বীকার করা যাবে না। এখনও পর্যন্ত অসমর্থিত ভাবে মৃত ৪৭, মুখ্যমন্ত্রী বলছেন ১৯। উনি কাল বলেছেন, আমার কি দোষ? ৪৭ জন মরে যাওয়ার পরেও যদি দোষ দেখতে না পান, বা অনুভব করতে না পারেন তাঁর কী ত্রুটি, তাহলে তো আমরা ভগবান ভরসায় বেঁচে আছি। এমন লোককে দায়িত্ব দিয়েছি যার চোখ নেই, কান নেই, কিছু বুঝতেও পারেন না। নিজের দোষ ছাড়া আর সব দেখতে পান। এরকম লোকের কাছে আর কিছু আশা করা যায় না।”

    আরও পড়ুুন: রাজভবনে জমা সব হিংসার অভিযোগ পাঠাতে হবে হাইকোর্টে, নির্দেশ রাজ্যপালের

    গণনায় কারচুপি

    গণনার দিন যে বিপুল কারচুপি হয়েছে, সেই অভিযোগও তুলেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ গণনার দিন ফোন নামিয়ে রেখেছিলেন বিডিও-রা। জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁরা দাবি করেছেন, বিডিও যা বলার বলে দিয়েছে। রাজভবনের পিস রুমে ভোট সংক্রান্ত ৭৫০০ অভিযোগ জমা পড়েছে বলে সূত্রের খবর, যা আদালতে পেশ করা হবে। দিলীপ ঘোষের দাবি, এমন হাজার হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে। কোনও সুরাহা হয়নি। ভাঙড়ের অশান্তি নিয়েও মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্বেও ভাঙড়ে অশান্তি হয়েছে। বাহিনীর যিনি প্রমুখ, তিনি আগেই বলেছেন, তাঁর কাছে স্পর্শকাতর বুথের লিস্ট ছিল না। কোথাও যেতেও বলা হয়নি। ওনারা নিজে থেকে কিছু জায়গায় গেছেন। “

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ভোটে জেতার পর দত্তপুকুরে পরাজিত তিন বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: ভোটে জেতার পর দত্তপুকুরে পরাজিত তিন বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট শেষ হলেও হিংসা থামার কোনও লক্ষ্মণই নেই। ভোট পরবর্তী অশান্তি যেন বেড়েই চলেছে। রাতের অন্ধকারে এবার গ্রাম পঞ্চায়েতে পরাজিত বিজেপির (BJP) তিন প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর,বাড়ি লক্ষ্য করে মদের বোতল ছোঁড়া কিছুই বাদ যায়নি। ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার ব‍্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের পশ্চিম খিলকাপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। অভিযোগ,ঘটনায় সময় রাস্তার আলো নিভিয়ে অন্ধকার করে তারপর ওই তিন বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে তাণ্ডব চালায় তৃণমূল দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন পঞ্চায়েতের তিন বিজেপি প্রার্থী নৃপেন ধর, অনিমা মণ্ডল, নিতীশ মণ্ডল এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি (BJP) প্রার্থী?

    বিজেপি (BJP) প্রার্থী নৃপেন ধর বলেন, “যেদিন নির্বাচন সংগঠিত হয়, সেদিন কিছু লোকজন ফোন করে জানান, গণনার দিন বাড়িতে না থাকতে। তখন বলি, গণনার দিন কোথায় যাব? যা-ই হোক বাড়িতে থাকব। সেই মোতাবেক পুলিশকে জানাই, হুমকি আসছে, আমাদের বাড়িতে অসুবিধা হতে পারে। পুলিশ বলে, দেখছি যাতে সমস্যা না হয়। তৃণমূলের যারা নেতা রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে কথা বলছি। যেদিন ভোট গণনা হয়েছে, সেদিন কিছু হয়নি। বুধবার রাতে ওদের একটা বিজয় মিছিল গিয়েছে। মিছিল চলাকালীন আমাদের বাড়িতে আবির ছোড়া হয়। আমরা বিষয়টা মেনে নিই। বুধবার ২টো ৪০ মিনিট নাগাদ যখন ঘুমিয়েছিলাম বাচ্চাটাকে নিয়ে, সেই সময় দুমদাম আওয়াজ হচ্ছিল। পরিবার নিয়ে ঘরের এক কোণে বসেছিলাম। ওরা তাণ্ডব চালিয়েছে ঘরে। কাচ ভেঙেছে। বাচ্চার গায়ে লেগেছে। আমার পায়ে লেগেছে।” এই ঘটনার পর দত্তপুকুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য গোপাল রায় যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ঘটনার পিছনে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। তৃণমূলের নামে বিজেপি (BJP) মিথ্যা অভিযোগ করছে। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share