Tag: bjp

bjp

  • BJP: ভোটের ফল বের হতেই কনিষ্ক পণ্ডাকে গ্রেফতার, শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ হওয়ায় কি অপরাধ!

    BJP: ভোটের ফল বের হতেই কনিষ্ক পণ্ডাকে গ্রেফতার, শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ হওয়ায় কি অপরাধ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি বিজেপির (BJP) কোনও পদে নেই। সক্রিয় কর্মী হিসেবে তাঁকে দলের নেতারা মানতে পারছেন না। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ বলেই কী কনিষ্ক পণ্ডাকে গ্রেফতার করা হল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে এখন এই বিষয় নিয়ে চর্চা চলছে।

    কনিষ্ককে গ্রেফতার করতে কতজন পুলিশ কর্মী এসেছিলেন, জানেন?

    আজ দুপুরে আচমকাই জনা ৩০ পুলিশ বাহিনী গিয়ে তার বাড়ি ঘিরে ফেলে। হকচকিয়ে যান শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ কনিষ্ক পণ্ডা। তার নামে ওয়ারেন্ট আছে বলে তাকে বেরোতে বলে পুলিশ। কি কারণে ওয়ারেন্ট জানতে চান কনিষ্ক পণ্ডা। পাশাপাশি পুলিশের কথায় না বেরোতে চাইলে দরজা ধাক্কা মেরে ভাঙার উপক্রম করে পুলিশ। তারপর তিনি বেরিয়ে আসেন। তাঁকে গ্রেফতার করে এখন মারিশদা থানায় রাখা হয়েছে।

    কে এই কনিষ্ক?

    কাঁথি তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনীতিতে কনিষ্ক পণ্ডা পরিচিত নাম হলেও রাজ্য রাজনীতিতে কনিষ্ক পণ্ডা পরিচিত হয়ে ওঠেন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতা হিসাবে। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের সময় শুভেন্দু অধিকারীর ভবিষ্যৎ পথ চলা নিয়ে সবাই যখন সন্ধিহান সেই সময় প্রচারের আলোয় চলে আসেন কাঁথির এই নেতা। সেটা ২০২০ সালের শেষ সময়। দীর্ঘদিন জাতীয় কংগ্রেসের হয়ে রাজনীতি করেছেন। তারপর বিজেপিও করেছেন কিছুদিন। তারপর যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। শেষে  শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ হিসাবে তৃণমূলের সঙ্গ ত্যাগ করেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে (BJP) যোগদান করার পর নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়াই করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হয়েছেন। কিন্তু, এই দু বছরে সেভাবে দেখা যায়নি কনিষ্ককে। মাঝেমধ্যে কখনো কখনো শুভেন্দু অধিকারীর বিভিন্ন দলীয় অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা গেলেও বিজেপির কোনও পদে ছিলেন না তিনি। এহেন কনিষ্ককে পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলের পরের দিন পুলিশ কেন গ্রেফতার করল তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, পুরানো বহু রাজনৈতিক মামলাতে অভিযুক্ত রয়েছেন কনিষ্ক পন্ডা। কোনও অভিযোগ করেছে সিপিএম, কোনটা তৃণমূল কংগ্রেস। ঠিক কোনও অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ, তা জানা যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ananta Maharaj: রাজ্যসভায় বিজেপি প্রার্থী অনন্ত মহারাজ, কে তিনি জানেন?

    Ananta Maharaj: রাজ্যসভায় বিজেপি প্রার্থী অনন্ত মহারাজ, কে তিনি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যসভায় বিজেপি (BJP) প্রার্থী অনন্ত মহারাজ (Ananta Maharaj)। গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তিনি। রাজবংশী ভোটে তাঁর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। অনন্তর নাম সুপারিশ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর নাম প্রস্তাব করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তাঁকে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন কোচবিহারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপির নিশীথ প্রামাণিকও।

    অনন্তর বাড়িতে নিশীথ

    মঙ্গলবার রাজ্যে যখন পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল গণনা করা হচ্ছিল, তখন অনন্তর চকচকার বাড়িতে গিয়ে দেখা করে আসেন অমিত শাহের ডেপুটি। নিশীথ জানিয়েছিলেন, অনন্তকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তিনি (Ananta Maharaj) সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। গেরুয়া শিবিরের তরফে বুধবার বিবৃতি জারি করে জানানো হয় অনন্তর মনোনয়নের খবর। অনন্ত বলেন, “আমার কাছে উনি (নিশীথ প্রামাণিক) একটা প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন। আমি তাতে সম্মতি দিয়েছি। আমি খুশি। যথা সময়ে মনোনয়নপত্র জমা দেব।”

    তৃণমূলকে মাত বিজেপির

    বৃহস্পতিবারই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষ দিন। জানা গিয়েছে, বুধবারই কলকাতার উদ্দেশ রওনা দিয়েছেন অনন্ত। বস্তুত, পদ্ম-প্রার্থী হওয়া নিয়ে অনন্তর সঙ্গে অনেক দিন ধরেই কথাবার্তা চলছিল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের। মঙ্গলবারও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ফোনে দু বার কথা হয় তাঁর। তার পরেই প্রার্থী হিসেবে তাঁকে চূড়ান্ত করেন শাহ। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। অনন্তকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে তৃণমূলকে মাত দিতে চাইছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গের ২৩টি বিধানসভা ও ২টি লোকসভা কেন্দ্রে নির্ণায়ক শক্তি রাজবংশী ভোটাররা। এঁদের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব রয়েছে অনন্তর (Ananta Maharaj)। তাই রাজবংশী ভোটের সিংহভাগই চলে আসবে গেরুয়া ঝুলিতে।

    এর আগে মতুয়া ভোটও হস্তগত করেছে বিজেপি। রাজ্যের কমবেশি ৭০টি আসনে প্রভাব রয়েছে মতুয়া ভোটারের। যেহেতু ঠাকুরবাড়ির রশি তৃণমূলের হাত থেকে চলে এসেছে বিজেপির হাতে, তাই আগামী লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি। ১৯৮০ সালে গঠিত হয় বিজেপি। তার পর থেকে এবারই প্রথম বাংলা থেকে রাজ্যসভার সাংসদ পাবে গেরুয়া শিবির।

    আরও পড়ুুন: গণনার দিনও অগ্নিগর্ভ ভাঙড়, গুলিতে মৃত ৩ আইএসএফ কর্মী, গুলিবিদ্ধ পুলিশ আধিকারিক

    প্রসঙ্গত, অগাস্ট মাসে গোয়া, গুজরাট ও বাংলা মিলিয়ে রাজ্যসভার ১০ আসনে নির্বাচন হবে। এর মধ্যে অগাস্ট মাসে বাংলা থেকে খালি হচ্ছে ৬টি আসন। এর ৫টিতে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। একটি আসনে জয় নিশ্চিত গেরুয়া শিবিরেরও। বিজেপির তরফে বুধবার যে বিবৃতি জারি করা হয়েছে, সেখানে গুজরাটের দুই প্রার্থীর নামও রয়েছে। এঁরা হলেন বাবুভাই জেসঙ্গভাই দেশাই এবং কেশরীদেব সিং জালা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Dilip Ghosh: “আগামী দিনেও মৃত্যু হবে, সেটাও একতরফা হবে না”, বিস্ফোরক দিলীপ

    Dilip Ghosh: “আগামী দিনেও মৃত্যু হবে, সেটাও একতরফা হবে না”, বিস্ফোরক দিলীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মানুষ প্রতিরোধ করেছে বলে ওদের বডি পড়ে গেছে। আগামী দিনেও মৃত্যু হবে। এবং সেটাও একতরফা হবে না।” মঙ্গলবার ভোট গণনার দিন কথাগুলি বললেন বিজেপির (BJP) জাতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এদিন সকালে মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন দিলীপ।

    “তৃণমূলকে ভোট দিয়ে কী ভুল করেছি”

    তিনি বলেন, “সারা দেশের লোক এখানে আসছে, গণতন্ত্র বেঁচে আছে কিনা দেখতে। আর এরা যাচ্ছে মণিপুর। এসব চালাকি করে বেশি দিন চলে না। এরা দিল্লি যাবে, বিহার যাবে, উত্তরপ্রদেশ যাবে, আর এ রাজ্যে পাড়ায় পাড়ায় খুন খারাপি চলবে। রোজ মৃত্যু হবে। লোক ত্রাহি ত্রাহি করবে। রাজ্যপালকে জেলায় জেলায় ঘুরতে হবে। তার পরেও এরা নির্লজ্জের মতো অন্য রাজ্যে যাবে।” দিলীপ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের লোকেরাও আলোর অপেক্ষায় রয়েছেন। কারণ পুরোটাই তো অন্ধকার। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।” মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, “আসলে প্রশাসনের ওপর মুখ্যমন্ত্রীর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। যে যা খুশি করে বেড়াচ্ছে। তাই এই পরিণতি। মানুষ বুঝতে পারছে, তৃণমূলকে ভোট দিয়ে কী ভুল করেছি।”

    উপদ্রুত

    বিজেপির জাতীয় সহ সভাপতি (Dilip Ghosh) বলেন, “দিনহাটা, সিতাই, শীতলখুচি, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এই জেলাগুলি সারা বছর উপদ্রুত। এখন দুষ্কৃতীদের পুরো রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। গণনায়ও লুঠ হবে। জেতার পরেও বিজেপিকে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না। বিডিওকে হুমকি দেওয়া হবে। রেজাল্ট চেঞ্জ করার চেষ্টা করা হবে।” দিলীপ বলেন, “যাঁরা আজ লজ্জা পাচ্ছেন, তাঁরাই এক সময় সিপিএমের অত্যাচারের বিরুদ্ধে তৃণমূলকে সাপোর্ট করেছিলেন। আগে তাঁরা স্বীকার করুন, তাঁরা ভুল করেছেন।”

    আরও পড়ুুন: বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, পা ভাঙল প্রার্থীর, গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    বিজেপির জাতীয় সহ সভাপতি (Dilip Ghosh) বলেন, “কটা আসন পাব জানি না। তবে পাব। জেলা পরিষদ। আমাদের এলাকায়ও তৃণমূল গোলমাল পাকানোর অনেক চেষ্টা করেছিল। এই যে ওরা বলছে, ওদের লোক মারা গিয়েছে, ওদের লোক কেউ মারা যায়নি। গুন্ডা ও সমাজবিরোধী, যারা টাকা নিয়ে ভোট করায়, তারা মারা গেছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “মানুষ প্রতিরোধ করেছে বলে ওদের বডি পড়ে গেছে। আগামী দিনেও মৃত্যু হবে। এবং সেটাও একতরফা হবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Dilip Ghosh: পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক হিংসা! তৃণমূলকে কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক হিংসা! তৃণমূলকে কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে নির্বাচনের নামে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে তৃণমূল। এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) নজিরবিহীন হিংসা দেখেছে গোটা বাংলা। দিকে দিকে ছাপ্পাভোট, ব্যালটবক্স ছিনতাই, ভাঙচুর, আগুন তো ছিলই, মুড়ি-মুড়কির মতো প্রাণ গিয়েছে সাধারণ মানুষের। সোমবার রাজ্যের ৬৯৬ বুথে পুনর্নির্বাচনের ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এদিনই নিউটাউনের ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

    তৃণমূলকে আক্রমণ

    দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, “কোথাও যদি মেরেই থাকে ঠিকই আছে। তৃণমূলের লোক মানেই গুন্ডা। যেখানেই শক্তি দেখাতে এসেছিল আমরা আটকেছি। সাধারণ মানুষ তো ওদের তাড়া করেছে। তবে পুলিশ আমাদেরই আটকেছে। সাধারণ মানুষ মার খায়। প্রতিবাদ করলে পুলিশ তাদের উপরেই লাঠি চালায়। গুণ্ডারা লুঠপাট করে খুন খারাপি করে চলে যায়, তাদের কেউ আটকায় না।” এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “রাজ্যে নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) নামে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। এই সরকারের আর থাকার অধিকার নেই। দরকার নেই এই সরকারের”।

    আরও পড়ুন: “মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে দিল্লি যাচ্ছি”! তির্যক মন্তব্য রাজ্যপালের

    ফল নিয়ে আশাবাদী

    আজ রাজ্য়ের যে ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচন (Panchayat Election 2023) হচ্ছে, তা নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি বলেন, “পুনর্নির্বাচন নিয়ে আমরা আশাবাদী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন অনেক বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া যায়নি। গোটা রাজ্যে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। আমরা আরও অনেক বুথে ভোট করাতে পারতাম, কিন্তু তা করতে দেওয়া হয়নি।” ভোটের ফল নিয়ে আশাবাদী দিলীপ আরও বলেন, “বেশ কয়েকটি জেলা পরিষদ পাব আমরা। উত্তর ও দক্ষিণ-দুই বঙ্গেই আশা করি বেশ কিছু জেলা পরিষদ পাব আমরা।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: “পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রহসন”, কটাক্ষ শুভেন্দুর, দিলেন ‘প্রমাণ’ও

    Panchayat Election 2023: “পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রহসন”, কটাক্ষ শুভেন্দুর, দিলেন ‘প্রমাণ’ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পঞ্চায়েত নির্বাচনকে (Panchayat Election 2023) নির্বাচন নয়, প্রহসন” বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী। বিস্ফোরক একটি ভিডিও-ও পোস্ট করেছেন তিনি। যাতে দেখা যাচ্ছে, কীভাবে বুথ জ্যাম করে ভোট লুঠ হচ্ছে। শুভেন্দু বলেন, “তৃণমূল মানেই চোর! এই চোর তকমা আঞ্চলিক দল তোলামুলের অস্তিস্তের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এরা সব পারে।“

    শুভেন্দুর বাণ

    ফেসবুকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, “২০২৩ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পঞ্চায়েত ‘প্রহসন’ থুড়ি ‘নির্বাচন’: প্রথম ধাপ– মক্কা থেকে মনোনয়ন: সর্বশক্তি দিয়ে বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা, কিন্তু গিনিস বুকে নাম উঠিয়ে ৮ ঘণ্টায় ৭০ হাজার তোলামুলি মনোনয়ন দাখিল করা।

    দ্বিতীয় ধাপ- সাদা থান (Panchayat Election 2023) করো দান: খুন, অপহরণ, ভাঙচুর, ধমকি দিয়ে বিরোধীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো। তৃতীয় ধাপ- ভোটের নামে পুকুর চুরি: এতদিন বাংলার মানুষ ভোটের নামে পুকুর চুরি দেখতে অভ্যস্ত ছিলেন। এবার দেখলেন ছাপ্পা মেরে পুকুর চুরি করার ফল, ব্যালট বাক্স সোজা পুকুরে।

    ভোট নয়, প্রহসন!

    চতুর্থ ধাপ- বাক্স বদল: গতকাল পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নামে মানুষ খুন, লুঠ, চুরি, ছাপ্পা দেদার চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অবহেলায় এবং অদক্ষতায়। প্রায় বেশিরভাগ বুথেই লুঠ হয়েছে। বাকি (Panchayat Election 2023) যে কটা বুথে গ্রামবাসীদের প্রতিরোধে ভোট লুঠ ঠেকানো গেছে সেগুলোও জিততে হবে তোলামুলকে।

    শুভেন্দু লিখেছেন, বহরমপুরের বিডিও অভিনন্দন ঘোষ, সঙ্গে জয়েন্ট বিডিও এবং অবজারভারের ওপর গুরুতর অভিযোগ আনছেন স্থানীয় লোকজন। আজ ভোর ৩টা থেকে নাকি বহরমপুর, মুর্শিদাবাদের স্ট্রংরুম থেকে ব্যালট বাক্স চুরি হয়েছে অনেক লোক লাগিয়ে। সারারাত একটা টিম যথারীতি কাজ শেষ করে দিয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, এই বাক্সগুলি নিয়ে গিয়ে রাজ্যের শাসক দলের রেডি করা ব্যালট বাক্স (Panchayat Election 2023) গণনার আগে স্ট্ররুমে রেখে দেওয়া হয়েছে। এক কথায়, বাক্স বদল। দলদাস প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মদতে।

    আরও পড়ুুন: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস! আসানসোলে ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা

    এরপর অন্তিম ধাপ- জাল শংসাপত্র ছাপিয়ে হেরে যাওয়া আসনে জয়ী হয়ে যাওয়া। এই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই পোস্টেই ভিডিও আপলোড করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, তোলামুল কর্তৃক অভিনীত বাক্স বদল। চিত্রনাট্য পিসি-ভাইপো। পরিচালনা রাজীব সিনহা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: অশান্তি থামছে না দিনহাটায়, ভোটের মধ্যেই গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মীর মৃত্যু, আহত দুই

    Panchayat Election 2023: অশান্তি থামছে না দিনহাটায়, ভোটের মধ্যেই গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মীর মৃত্যু, আহত দুই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) ঘিরে কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে রইল দিনহাটা। প্রিসাইডিং অফিসার ও বিরোধী প্রার্থীর মাথায় বন্দুক তাক করে যেখানে চলেছে অবাধ ভোট লুট। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ দেখেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দিনহাটার অচিনতলায় ১৮০ ও ১৮১ নম্বর বুথে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দিনহাটায় তিন বিজেপি কর্মী গুলিবিদ্ধ, এর মধ্যে মৃত ১, বাকি দুজন হাসপাতালে। আরেকটি ঘটনায় বিজেপি কর্মীকে মারধরও করা হয়। 

    গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মী

    শনিবার সকাল দশটা নাগাদ দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের ভাংগি পার্ট ১ এলাকায় বিজেপির দুই কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। অপরদিকে দিনহাটার ঘুঘুমারিতেও গুলি চলার ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ হয়ে এক বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও এক ব্যক্তি। শনিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ নিউ গিতালদহ সংলগ্ন এলাকায় গুলিবিদ্ধ রেজাউল করিম নামে এক বিজেপি কর্মী এবং গুরুতর আহত বিজেপি প্রার্থীর স্বামী গৌতম সরকার। একদল দুষ্কৃতী এসে তাদের এক কর্মীকে এলোপাথাড়ি মারধর করে ও গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মী চিরঞ্জিত কার্জির মৃত্যু হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: “মেরে ফেলবে, বুথ থেকে সরান”, সুকান্তর কাছে আর্জি রাজ্যের এক পুলিশকর্মীর

    বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বুথে (Panchayat Election 2023) ঢুকে তাণ্ডব শুরু করে। বাধা দেওয়ায় বিজেপি কর্মীদের উপর চড়াও হয় তারা। বুথের মধ্যেই গুলি চলে। বিজেপি নেতারা দাবি করেন, তৃণমূল আশ্রিত দু্কৃতীদের মারে তাঁদের বেশ কয়েকজন মহিলা কর্মীও জখম হন। দিনহাটা হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। আহত রাধিকা বর্মনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতারা। তারা বলেন, “দিনহাটা ভিলেজ ওয়ানের ওই বুথে দেদার ছাপ্পা ভোট পড়ছিল। পুরো ভোটকেন্দ্র চলে গিয়েছিল দুষ্কৃতীদের দখলে।”

    নির্দল প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি

    শুধু বিজেপি কর্মীরাই আক্রান্ত নন, এদিন সকালে কোচবিহারের দিনহাটায় নির্দল প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গুলিবিদ্ধ পুঁটিমারি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্দল প্রার্থী ভোলা বর্মনকে কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর পেটে গুলি লাগে। নির্দল প্রার্থীর এক অনুগামীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি, আরেক সমর্থকের হাত ভেঙে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।

    তৃণমূল বনাম বিক্ষুব্ধ তৃণমূল

    অন্যদিকে এই কোচবিহারের দিনহাটার খাটামারির ১৯১ নম্বর বুথে দেদার ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে তুলকালাম বেঁধে যায়। এখানে আবার শাসকদল ও তার বিক্ষুব্ধদের মধ্যে সংঘর্ষ।  তৃণমূল ও বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের সংঘর্ষে ভয়ঙ্কর চেহারা নিল বুথ। অভিযোগ, প্রিসাইডিং অফিসারকে বেধড়ক মারধর করে ছাপ্পা ভোট দেয় বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা। পাল্টা তৃণমূল কর্মীরা এসে ব্যালট পেপার ফেলে দেয়। বুথ ভাঙচুর করে। বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের মেরে তাড়ানো হয় বলে অভিযোগ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: “মেরে ফেলবে, বুথ থেকে সরান”, সুকান্তর কাছে আর্জি রাজ্যের এক পুলিশকর্মীর

    Panchayat Election 2023: “মেরে ফেলবে, বুথ থেকে সরান”, সুকান্তর কাছে আর্জি রাজ্যের এক পুলিশকর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধীরা বারবার অভিযোগ তুলেছেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) পুলিশের সাহায্য নিয়ে শাসক তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে। কিন্তু এবার উলাটপুরাণ!  রাজ্য পুলিশের এক কর্মী সুকান্তের কাছে এসেই দায়িত্ব থেকে মুক্তির আর্জি জানালেন। জানালেন, ছাপ্পা ভোটে বাধা দেওয়ার জন্য তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে শাসকদলের নেতারা। মৃত্যুভয়ে তিনি দায়িত্ব থেকে সরে যেতে চান। 

    পুলিশকর্মীর আর্জি

    গঙ্গারামপুরের সুখদেবপুরে ১৭৬ নম্বর বুথে ছাপ্পা ভোট পড়ছে বলে অভিযোগ তোলে বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সুকান্ত। তখনই রাজ্য পুলিশের কর্মী কৃষ্ণমোহন ঝাঁ সুকান্তের গাড়ির কাছে এসে কাতর স্বরে দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার আর্জি জানান। তিনি বলেন, ‘‘আমি সরতে চাইছি। আমি কী করব একা? আমায় হুমকি দিচ্ছে। আমি বলেছি, ছাপ্পা ভোট হতে দেব না। তখন বলেছে, ‘চুপচাপ থাকুন। না হয় এখান থেকে সরে যান। পুরোপুরি ছাপ্পা ভোট হবে।’’’ একই সঙ্গে কৃষ্ণমোহন বলেন, ‘‘আমার লাইন সামলানোর কথা। কিন্তু বাধ্য হয়ে বুথের ভিতরে গিয়েছি। তার পরেই মেরে ফেলার হুমকি। আমি এখন এখান থেকে সরে যেতে চাইছি।’’

     আরও পড়ুন: কোচবিহারে বুথে বোমাবাজি, বিজেপির পোলিং এজেন্ট খুন, মালদায় খুন তৃণমূল কর্মী

    সুকান্তর ট্যুইট

    এরপরই রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন,  ‘‘গোটা রাজ্যেই ভোটের (Panchayat Election 2023) নামে প্রহসন চলছে। গঙ্গারামপুরের ঘটনা দেখিয়ে দিল, কোথাও কোথাও সৎ পুলিশকর্মীরা প্রতিবাদ করলে তাঁরাও কতটা অসহায়।’’

    তবে সুকান্তের দাবি, বেশির ভাগ জায়গাতেই পুলিশের মদতে গোলমাল করছে তৃণমূল। তিনি বলেন, ‘‘ওই পুলিশকর্মী আমার কাছে আসার আগে তাঁর কর্তাদের কাছেও জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। আসলে উপরের কর্তারা সবটাই করছে তৃণমূলের নির্দেশ মতো।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: হাতিয়ার ‘দুর্নীতি’, তৃণমূলকে টক্কর দেবে বিজেপি!

    Panchayat Election 2023: হাতিয়ার ‘দুর্নীতি’, তৃণমূলকে টক্কর দেবে বিজেপি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023)। নির্বাচন হবে ৬১ হাজারেরও বেশি আসনে। শাসক দল তৃণমূলকে বিনা যুদ্ধে সুচ্যগ্র মেদিনীও ছাড়তে রাজি নয় বিজেপি। তবে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো এবার তৃণমূল আর একতরফা খেলতে পারবে না বলেই দাবি বিরোধীদের। রাজ্যের বেশ কয়েকটি আসনে যে সমানে সমানে টক্কর হবে, তা মেনে নিয়েছে শাসক ও বিরোধী উভয়পক্ষই। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে জেলা পরিষদে তৃণমূলকে যথেষ্ট বেগ দেবে বিজেপি। দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও পূর্ব মেদিনীপুরেও তৃণমূলকে টক্কর দেবেন বিরোধীরা। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ত্রিস্তরে বিজেপি জিতেছিল ৬ হাজারের কাছাকাছি আসনে। এবার তাদের লক্ষ্য ১৫ হাজার আসনে জয়। বাম-কংগ্রেস জোটের আশা, মুর্শিদাবাদ ও পুরুলিয়ায় ভাল ফল করবে তারা।

    জেলা পরিষদে লড়াই

    রাজ্যে জেলা (Panchayat Election 2023) পরিষদের মোট আসন সংখ্যা ৯২৮টি। শাসক দল ১৬টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যাওয়ায় নির্বাচন হচ্ছে ৯১২টিতে। এর সবকটিতেই প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। বিজেপি লড়ছে ৮৯৭টি আসনে। কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে ৬৪৪টি আসনে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের মোট আসন সংখ্যা ছিল ৮২৫টি। তার মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জিতেছিল ২০৩টি আসনে। তবে এবার আর তা হচ্ছে না। তাই খেলা হবে! বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে যে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তার জেরেই রাজ্যবাসী উচিত শিক্ষা দেবে শাসক দলকে।

    ভোট চায় জনতা

    এদিকে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় (Panchayat Election 2023) গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪২৯০টি আসনে, পঞ্চায়েত সমিতির ৬৬৫টি আসনে এবং জেলা পরিষদের ৭০টি আসনে লড়াই হচ্ছে। এই জেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬২টি ও পঞ্চায়েত সমিতির ২টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখছেন না ভোটাররা। তাঁদের বক্তব্য, লড়াই হোক। সেখানেই নির্ধারিত হোক জয়- পরাজয়। তাঁদের মতে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ে আদতে বঞ্চিত করা হয় ভোটারদেরই। তাই প্রতিটি আসনেই লড়াই হওয়া উচিত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ভোটারেরই প্রশ্ন, উন্নয়ন করে থাকলে নির্বাচনে কেন অনীহা শাসকের? কেন ভয় দেখিয়ে দাবিয়ে রাখতে হবে বিরোধীদের?

    আরও পড়ুুন: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: সবংয়ের বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থীর স্বামীকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: সবংয়ের বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থীর স্বামীকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের একদিন আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং। বিজেপি (BJP) সমর্থিত নির্দল প্রার্থী সোনালী সিং ঘোড়াইয়ের স্বামী অরুণ ঘোড়াইকে মেরে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাত প্রায় এগারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার ১২ নম্বর বুড়াল অঞ্চলের কেরুর এলাকায়। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বৃহস্পতিবার কোলাঘাট থেকে বিজেপি সমর্থিত (BJP) নির্দল প্রার্থী সোনালী সিং ঘোড়াইয়ের স্বামী অরুণ ঘোড়াই গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে কেরুর এলাকায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি তপন হাজরার নেতৃত্বে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর পথ আটকায়। হাতে বোমা,বন্দুক,লাঠি,রড,নিয়ে তাঁরা দাঁড়িয়েছিলেন। প্রথমে বচসা হয়। পরে, তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় এবং তাঁর হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে এই ঘটনার খবর পেয়ে গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে সবং গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় সবং থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ইতিমধ্যে এলাকা থমথম রয়েছে। এই ঘটনায় সবং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    কী বললেন আক্রান্ত নির্দল প্রার্থীর স্বামী?

    বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী সোনালীদেবী বলেন, আমি বিজেপি (BJP) সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হয়েছি। আমার স্বামী খুবই পরিশ্রম করছেন। তাতে তৃণমূল আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তাই, আমার স্বামীর উপর ওরা হামলা চালিয়েছে। স্বামীকে প্রাণ নাশের চেষ্টা করেছে তৃণমূল। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা চাই, যে বা যারা এই হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি তপন হাজরা বলেন, আমাদের কোনও সমর্থক মেরেছে  বলে আমার জানা নেই। এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে মিথ্যে। এসব অভিযোগ করে কোনও লাভ হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: শান্তিপুরে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে পাঠানো হল সাদা থান কাপড়, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: শান্তিপুরে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে পাঠানো হল সাদা থান কাপড়, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বামফ্রন্টের আমলে বিরোধী দলের প্রার্থীদের বাড়িতে সাদা থানা পাঠানো হত। গোঘাট, গড়বেতা, কেশপুরে এই ধরনের ঘটনা ঘটত। এবার সেই একই কায়দায় বিজেপি (BJP) মণ্ডল সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী চঞ্চল চক্রবর্তীর বাড়িতে পাঠানো হল সাদা থান কাপড়। সঙ্গে রয়েছে গীতা মিষ্টি এবং ধূপকাঠি। প্রার্থীর অভিযোগ তার পরিবারকে আতঙ্কিত করতেই শাসকদল তৃণমূল এই ঘটনা ঘটিয়েছে। নির্বাচনের আগের দিন এই ঘটনা ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এবারের নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই গোটা রাজ্য জুড়ে বিরোধীরা বিভিন্ন সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। কোথাও বিরোধীদের প্রার্থীকে মারধর, বাড়ি ভাঙচুর, আবার কোথাও অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ তুলেছে বিরোধী শিবির। ঠিক সেই রকমই শান্তিপুরের ২৮ নম্বর সমিতির বিজেপি (BJP) প্রার্থী চঞ্চল চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে সাদা কাপড়ের থান, মিষ্টি, গীতা এবং তুলসি পাতা ফেলে যাওয়াই নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়াল।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) প্রার্থী?

    বিজেপি (BJP) প্রার্থী চঞ্চল চক্রবর্তীর বক্তব্য, শাসক দল বোঝাতে চাইছে আমি খুন হয়ে যেতে পারি। এর আগেও আমাকে একাধিকবার বিভিন্ন হুমকি দেখানো হয়েছে। কিন্তু, আমি ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি করি। আমি এইসব হুমকিতে ভয় পাই না। তবে এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে পরিবার কিছুটা হলেও আতঙ্কিত রয়েছে। এই ঘটনার পিছনে পুরোপুরি শাসক দল জড়িত। বিজেপি প্রার্থী মা মীরা চক্রবর্তী বলেন, সকালে কয়েকজন এলাকারই মহিলা চিৎকার চেঁচামেচি করে আমাকে ডাকতে থাকে। আমি গেটের বাইরে গিয়ে দেখি ওইসব জিনিসপত্র পড়ে রয়েছে। যেহেতু আমার ছেলে বিজেপি করে। এবার ও ভোটে দাঁড়িয়েছে, সেই কারণেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূল।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই ঘটনার পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের প়ঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল প্রার্থী উৎপল বসাক। তিনি বলেন, তৃণমূল কখনও এই শিক্ষা লাভ করেনি। আমরা কোনও গণ্ডগোল কিংবা ঝামেলায় বিশ্বাসী নই। এই এলাকায় বিজেপি (BJP) একটা ভোটও পাবে না, সেটা বুঝেই নিজেরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনো সম্পর্ক নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share