Tag: bjp

bjp

  • Suvendu Adhikari: “নন্দীগ্রামে আর একটা ১৪ মার্চ ঘটাতে চান মমতা”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “নন্দীগ্রামে আর একটা ১৪ মার্চ ঘটাতে চান মমতা”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিন নন্দীগ্রামে সন্ত্রাস হতে পারে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের শেষ দিনের প্রচারে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট। এবারেও রাজ্য রাজনীতির পাখির চোখ নন্দীগ্রাম। তাই শেষ প্রচারে শুভেন্দু। বৃহস্পতিবার শেষ দিনের প্রচারে নন্দীগ্রাম ১ ও ২ নং ব্লকে বুথ পরিক্রমা করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    তৃণমূলের কোন পরিকল্পনা ফাঁস করলেন?

    শেষ প্রচারে শুভেন্দু বুথ পরিক্রমা করার সময় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, নন্দীগ্রামে আর একটা ১৪ মার্চ ঘটাতে চায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, জলপথে কেন্দামারি থেকে শওকত মোল্লা ও শাহজাহানের বাহিনীকে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে নন্দীগ্রামে। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবাংলায় জঙ্গলের রাজত্ব চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিধানসভা ভোটেও চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। এবারেও করবে এলাকায় সন্ত্রাস চালানোর জন্য। কর্মীদের সতর্ক করে শুভেন্দু বলেন, আপনারা তৈরি থাকবেন। বাইক বাহিনী দেখলেই জলে ফেলে দেবেন। আমিও নন্দীগ্রামে থাকব। ভোটের দিন যেমন সতর্ক থাকতে বললেন, পাশাপাশি স্ট্রং রুম পাহারার কথাও বলেন শুভেন্দু। বৃহস্পতিবার সকাল বেলা নন্দীগ্রাম ২ নং ব্লক থেকে প্রচার শুরু করে বিরোধী দলনেতা শেষ করেন নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকের টেঙ্গুয়াতে।

    শেষ দিনে প্রচারে ‘মমতাও’

    অন্যদিকে, প্রচারে মমতাও। না মমতা মানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং নয়। যাত্রা ও সিনেমাতে তাঁর চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী রুমা চক্রবর্তী তৃণমূলের হয়ে প্রচার করলেন। ২০২১ এর বিধানসভা ভোটের শেষ প্রচারেও নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচার করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোটেও শেষ প্রচারে শুভেন্দু ও মমতা। তবে হ্যাঁ শুভেন্দু অধিকারী নিজে থাকলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেই। আছে তাঁর চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী রুমা চক্রবর্তী। সেই  সাদা শাড়ি পায়ে চটি, নির্বাচনী মঞ্চে মমতার সাজে রুমা। তৃণমূলের ভোট চাইলেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপির জেলা সভাপতির গাড়িতে পর পর গুলি, প্রাণে বাঁচলেন অল্পের জন্য

    BJP: বিজেপির জেলা সভাপতির গাড়িতে পর পর গুলি, প্রাণে বাঁচলেন অল্পের জন্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলপাইগুড়ি জেলার বিজেপির সভাপতি বাপি গোস্বামীর গাড়িতে গুলি করল দুষ্কৃতীরা। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। বুধবার রাতে ভোটের প্রচার সেরে বাড়ি ফিরছিলেন বাপি গোস্বামী। তখনই তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে পর পর দুটি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন জেলা বিজেপি সভাপতি। গাড়িতে মোট তিনটি ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে, যার মধ্যে দুটি চিহ্ন গুলির। বাকি একটি চিহ্ন পাথর বা ভারী কিছু বস্তু দিয়ে গাড়ির পিছনে কাচে আঘাত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা বিজেপি (BJP) সভাপতি। 

    আতঙ্কের সেই ঘটনার বিবরণ

    বুধবার রাত প্রায় ১২টা নাগাদ বাপি গোস্বামী তাঁর মণ্ডল সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে ভোট প্রচার শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। বাপি গোস্বামী গাড়ির সামনে চালকের পাশের সিটে বসেছিলেন। অন্ধকার রাস্তায় আসতেই আচমকা গাড়িতে বিকট শব্দ হয়। এর পরেই বাপি গোস্বামীর সিটের পাশের কাচে একটি গুলি করা হয়। তার পর গাড়ির সামনের কাচে আরও একটি গুলি করা হয় বলে জানিয়েছেন বাপি গোস্বামী। একটি মোটর সাইকেলে চেপে দুজন এসেছিল। তাদের মাথায় হেলমেট ছিল। সেই কারণেই দুষ্কৃতীদের চেহারা দেখতে পারেননি তিনি। কোনও প্রকারে ওই এলাকা থেকে দ্রুত গতিতে গাড়িটিকে নিয়ে বাপিবাবু ৩১ নং জাতীয় সড়কে উঠে পড়েন। সেখান থেকে সোজা কোতোয়ালি থানায় চলে আসেন৷ কোতোয়ালি থানার পুলিশ গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ভিতর থেকে একটি গুলির খোল উদ্ধার করে। রাত প্রায় ৩ টে ১৫ নাগাদ বাপিবাবু কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷ পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি জেলা সভাপতির (BJP) গাড়িটি আপাতত থানায় রেখে দিয়েছে পুলিশ।

    দিলীপ ঘোষের (BJP) সভার আগেই হামলা!

    বৃহস্পতিবার সকালে বাহাদুর এলাকায় বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের একটি নির্বাচনী সভা রয়েছে। তার আগে জেলা সভাপতির গাড়িতে গুলির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।বাপি গোস্বামীর (BJP) অভিযোগ, এই দুষ্কৃতীদের মাথার উপর শাসক দলের নেতাদের হাত না থাকলে তারা এই ঘটনা ঘটাতে পারত না। ওই এলাকা এখন সমাজ বিরোধীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তবে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল, তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সুত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপি প্রার্থীকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, বন্দুকের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বিজেপি প্রার্থীকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, বন্দুকের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি (BJP) যে মস্তবড় ফ্যাক্টর তা গেরুয়া বাহিনীর উপর তৃণমূলীদের লাগাতার সন্ত্রাস তার জ্বলন্ত প্রমাণ। দুদিন আগেই প্রচার থেকে বাড়ি ফেরার পর বিজেপি প্রার্থীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। হামলার হাত থেকে রেহাই পাননি স্ত্রীও। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থানার বিড়া রাজীবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১২ নম্বর বুথে। আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থীর নাম শ্যামল দাস। তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বুধবার রাতে প্রচার সেরে বাড়ি ফেরেন শ্যামল দাস। পরে, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আচমকা তাঁর বাড়ি চড়াও হয়। মারধর করা হয় বিজেপি (BJP) প্রার্থীর স্ত্রীকেও। বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বিজেপি প্রার্থীর। নগ্ন অবস্থায় ছুটে পালান তিনি। অভিযোগ, বারবার এই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি অশোকনগর থানার পুলিশ। রাতেই তাঁকে বিজেপি প্রার্থীকে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী শ্যামলবাবু বলেন, তৃণমূলের লোকজন বন্দুকের বাঁট দিয়ে হামলা চালানোর পাশাপাশি ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায়। আমি ছুটে পলিয়ে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পাই।

    কী বললেন বিজেপির (BJP) জেলা নেতৃত্ব?

    যদিও এই ঘটনায় বারাসত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, বিজেপি (BJP) শক্তিশালী হওয়ার জন্য শাসকদল ভয় পাচ্ছে। তাই,  বিরোধী দলের কর্মীদের উপর আক্রমণ নেমে আসছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের উদাসীনতা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন তিনি।  বারবার অভিযোগ জানানোর পরেও দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের গ্রেফতারের দাবিও জানান তিনি।

    কী তৃণমূল নেতৃত্ব?

    অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী বলেন, বিজেপির (BJP) পায়ের তলায় মাটি নেই। হেরে যাওয়ার ভয়ে ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযেীগ করছে। বুধবার রাতে যে গণ্ডগোল হয়েছে তা বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।  এরসঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নয়।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: লক্ষ্য ২০২৪! চার রাজ্যে সভাপতি বদল বিজেপির, নতুন দায়িত্বে কারা?

    BJP: লক্ষ্য ২০২৪! চার রাজ্যে সভাপতি বদল বিজেপির, নতুন দায়িত্বে কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। বিজেপির (BJP) জয় এক প্রকার নিশ্চিত। দিল্লির মসনদে ফের আসতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সরকার। উন্নয়নের কান্ডারি মোদির হাতেই দেশবাসী আরও একবার তুলে দিতে চলেছেন ভারত-রথের রশি। বিজেপির জয় যাতে অনায়াস হয়, যাতে গতবারের চেয়ে আরও বেশি আসন পেয়ে দিল্লির তখতে আসতে পারে বিজেপি, তাই চেষ্টার অন্ত নেই গেরুয়া শিবিরের। এই চেষ্টারই অঙ্গ হিসেবে এবার বদল করা হল দলের চার রাজ্যের সভাপতি।

    বদল কোন কোন রাজ্যে

    যে চারটি রাজ্যে সভাপতি বদল করল বিজেপি, সেগুলি হল তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড ও পঞ্জাব। তেলঙ্গানায় পদ্মশিবিরের (BJP) নেতৃত্ব দেবেন জি কিষান রেড্ডি। বান্দি সঞ্জয় কুমারকে সরিয়ে জায়গা দেওয়া হল রেড্ডিকে। সঞ্জয় অত্যন্ত সক্রিয় হওয়া সত্ত্বেও সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। কারণ সংগঠনকে একত্রিত করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন বলে অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর। রেড্ডি রাজ্য সভাপতি হওয়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে হবে তাঁকে।   

    কারা পাচ্ছেন দায়িত্ব

    অন্ধ্রপ্রদেশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডি পুরন্দেশ্বরীর হাতে। তিনি অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এনটি রামা রাওয়ের মেয়ে। এতদিন দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি। ঝাড়খণ্ডের রশি যাচ্ছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডির হাতে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আর পঞ্জাবে বিজেপির সভাপতি হচ্ছে সুনীল জাখর। তিনি কংগ্রেসের নেতা ছিলেন। পরে যোগ দেন বিজেপিতে। তাঁর হাতে রাজ্যের দায়িত্ব দিয়ে কংগ্রেসকেই বধ করতে চাইছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুুন: প্রতি বুথে অর্ধেক কেন্দ্রীয় বাহিনী, অর্ধেক রাজ্য পুলিশ! বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব কম নয়। তাঁর ওপর নির্ভর করে সংগঠনের কাজকর্মের অনেকটাই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই চার রাজ্যের সভাপতি বদল করে একদিকে যেমন সংগঠন মজবুত করার পথে বেশ কয়েক কদম এগিয়ে যাওয়া হল, তেমনি দলকে একটা ঝাঁকুনিও দেওয়া গেল। যার জেরে লোকসভা নির্বাচনের আগে কোমর কষে নামবেন বিভিন্ন রাজ্যের সভাপতিরা। তেলঙ্গনায় কেবল সভাপতি পদেই বদল আনা হয়নি, দলের ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান পদেও বসানো হচ্ছে ইয়াতালা রাজেন্দরকে।

    এদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কিরণ কুমার রেড্ডিকে নিয়ে আসা হয়েছে জাতীয় কর্মসমিতিতে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই গেরুয়া শিবিরে (BJP) যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কয়েক মাসের মধ্যেই পেলেন গুরু দায়িত্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘আরে ও নন্দলাল…’’! সবজির অগ্নিমূল্য নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘আরে ও নন্দলাল…’’! সবজির অগ্নিমূল্য নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবজির বাজারে রীতিমতো আগুন। এনিয়ে স্যোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে নানা রকমের মিম। কোথাও কোথাও লঙ্কা মিলছে ৪০০ টাকা কেজিতে। বাকি ৩০-৪০ টাকায় যে সবজি পাওয়া যেত তা সবই ১০০ ছাড়িয়েছে। সবজির এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) নিজের ট্যুইটারে লেখেন, ‘‘আরে ও নন্দলাল, গরীব মানুষের পাতে কি জুটবে শুধু নুনের সাথে মোদিজির দেওয়া বিনা পয়সার চাল?” প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘‘আরে ও নন্দলাল ১২০০টাকার গ্যাসে ফুটবে বিনা পয়সার চাল!’’ এদিন তারই প্রত্যুত্তর দিলেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের বিধায়ক আরও বলেন, “আগুনে বাজার! এক মাস পূর্বের বাজার দরের সঙ্গে বর্তমান বাজার দরের তফাৎ করলে বোঝা যাবে যে হাটবাজারে আগুন লেগেছে। চড়া দামের ছ্যাঁকায় বাঙালি নাজেহাল। অনাজের দাম নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত এমনকি উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের ও নাগালের বাইরে। এমনকি এ কথা বললে মোটেও বাড়াবাড়ি হবে না যে সব্জির দাম এই মুহূর্তে সর্বকালের রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে।”

    শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, “জুন মাসের গোড়ায় যেখানে বেশিরভাগ সব্জির দাম চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ টাকার মধ্যে ছিল তা আজ অবিশ্বাস্য ভাবে বেড়ে গেছে। টমেটোর প্রতি কেজির দাম ছিল ৩০ – ৩৫ টাকার মধ্যে। আদার প্রতি কেজির দাম ছিল ২৫০ টাকার আশেপাশে। বেগুনের দাম ছিল প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা। পটলের কেজি প্রতি দাম ছিল ২৫-৩০ টাকা। উচ্ছের দাম ছিল ৫০ টাকার আশেপাশে। পেঁপের দাম ছিল ২৫ টাকা কেজি। কাঁচা লঙ্কার দাম ছিল ৬০-৭০ টাকা কেজি। পালং শাকের এক আঁটির দাম ছিল ১০ টাকা মত।”

    প্রশাসনকে নিশানা বিরোধী দলনেতার

    প্রশাসনকে নিশানা করে তিনি আরও বলেন, “রুই-কাতলা (কাটা) মাছের প্রতি কেজিতে দাম পড়ছিল ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। মুরগি মাংসের দাম প্রতি কেজিতে ১৮০-২০০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করছিল। প্রশাসনের তরফে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলেই আজ আনাজের দাম মাত্রা ছড়িয়ে গিয়েছে। আনাজের দাম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী অনেক ঢাক ঢোল পিটিয়ে “টাস্ক ফোর্স” গঠন করেছিলেন, যার উদ্দেশ্য ছিল হঠাৎ করে বাজার হাটে শাক-সব্জির দাম বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু আদতে এর প্রতিফলন কখনোই দেখা যায় না।” 

     

    আরও পড়ুুন: কে পুলিশ, কে রাজীব, আর কে তৃণমূল? চেনা মুশকিল! বিস্ফোরক শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: ‘গণতন্ত্রের শ্মশান যাত্রা’ আয়োজন করলেন বিজেপি বিধায়ক, উত্তেজনা বালুরঘাটে

    Dakshin Dinajpur: ‘গণতন্ত্রের শ্মশান যাত্রা’ আয়োজন করলেন বিজেপি বিধায়ক, উত্তেজনা বালুরঘাটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে গণতন্ত্র বিপন্ন, মৃত্যু হয়েছে সুস্থ গণতন্ত্রের, তাই তার পুনর্জন্ম কামনা করে ‘গণতন্ত্রের শ্মশান যাত্রা’ করলেন বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী। শনিবার সকালে বিজেপির শহর মন্ডল কমিটির ডাকে অশোক লাহিড়ীর নেতৃত্বে এই শ্মশান যাত্রার আয়োজন হয়। গণতন্ত্রের শ্মশান যাত্রাকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত।

    কী ঘটেছে ঘটনা (Dakshin Dinajpur)?   

    দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার বালুরঘাট বিজেপি পার্টি অফিস থেকে খিদিরপুর শ্মশান পর্যন্ত গণতন্ত্রের শব নিয়ে শ্মশান যাত্রা করল বিজেপি। বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ী, প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি বিনয় বর্মন শহর মন্ডলের সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত সহ বিজেপি নেতৃত্বরা শনিবার গণতন্ত্রের শব নিয়ে শ্মশান যাত্রা হয়। দীর্ঘ প্রায় তিন কিমি পথ অতিক্রম করে খিদিরপুর শ্মশানে যায় গণতন্ত্রের শব মিছিল। অশোক লাহিড়ী নিজেই মৃতদেহ বহন করেন।

    কেন শ্মশান যাত্রা?

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যজুড়ে গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে। সেই মৃত্যু ঘটিয়েছে রাজ্য সরকার, মনোনয়ন জমা দেওয়ার থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ভোটে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন প্রায় ২০ হাজার প্রার্থী। এটা সুস্থ গণতন্ত্রের লক্ষণ নয়, সেই কারণেই গণতন্ত্রের মৃতদেহ দাহ করে তার পুনর্জন্ম হোক, এই আশা প্রকাশ করলেন বিজেপি নেতা অশোক লাহিড়ী (Dakshin Dinajpur)।

    বিজেপি বিধায়কের বক্তব্য?

    বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী (Dakshin Dinajpur) জানান, যেভাবে রাজ্যে খুন জখম বেড়ে চলেছে, নির্বাচন নিয়ে প্রতিটি বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ দিতে হচ্ছে, তাতে বোঝা যায় রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। সেকারণে এদিন গণতন্ত্রের শ্মশান যাত্রা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা (Dakshin Dinajpur) সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, বালুরঘাটে আমরা দেখলাম গুটি কয়েক মানুষজন দলবল বেঁধে গণতন্ত্রের শ্মশান যাত্রা করলেন। আমি বলবো পশ্চিমবঙ্গে কোনও গণতন্ত্র হত্যা হয়নি। গণতন্ত্র হত্যা হয়েছে ২০১৪ সালে যখন ভারতবর্ষে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: প্রচার দূরের কথা এলাকায় ঢুকতেই পারছেন না বিজেপি প্রার্থী, কী বলছে তৃণমূল?

    North 24 Parganas: প্রচার দূরের কথা এলাকায় ঢুকতেই পারছেন না বিজেপি প্রার্থী, কী বলছে তৃণমূল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাসতে (North 24 Parganas) বাম আমলে মুচলেকা দিয়ে বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। সেই যে ঘরছাড়া হয়েছিলেন তারপর ২২ বছর পরও ফিরতে পারেননি গ্রামের বাড়িতে। সন্ত্রাসের জেরে লাগাতার হুমকির মুখে পড়েতে হয়েছে তাঁকে। স্ত্রী, সন্তান নিয়ে আজ বসবাস করতে হচ্ছে ভাড়া বাড়িতে। তাও পরিবার ছেড়ে শত যোজন দূরে! ঘরছাড়া হয়েও তিনি এবারের পঞ্চায়েত ভোটে গেরুয়া শিবিরের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা পরিষদ আসনে।

    কোথায় লড়াই করছেন (North 24 Parganas)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে দীপঙ্কর হালদার নামে ওই বিজেপি নেতা বারাসত (North 24 Parganas) জেলা পরিষদের ৩৮ নম্বর আসন থেকে লড়াই করছেন। আরও জানা যায়, একদা এই শাসনের বারাসত ২ নম্বর ব্লকের বেতাজ বাদশা ছিলেন মজিদ মাস্টার। তবে, বহু বাধা, বিপত্তি অতিক্রম করে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সন্ত্রাসের জেরে এখনও এলাকায় ঢুকতেই পারেননি এই বিজেপি প্রার্থী। প্রচার তো দুরের কথা! এলাকা ছাড়া হয়ে আছেন এই প্রার্থী। ফলে, এই নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরে সরগরম হয়ে উঠেছে শাসন অঞ্চল।

    জেলা বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপি (North 24 Parganas) জেলা সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, এলাকায় ভোটের প্রচার করতে গেলে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা হুমকি দেয়। এই এলাকায় শাসক দলের সন্ত্রাস চলছে। বিজেপি প্রার্থীর পোস্টার, ব্যানার লাগাতে দেওয়া হচ্ছে না। বিজেপি প্রার্থী এবং কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমিক দেওয়া হচ্ছে বলে বিশেষ অভিযোগ করেন বিজেপির এই জেলা সভাপতি। এই এলাকাকে বিরোধী শূন্য করে শাসক দল একতরফা জয়ী হতে চাইছে। সকল অভিযোগ পত্র নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হবে বলে জানান এই বিজেপি নেতা।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    শাসক দলের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষকে (North 24 Parganas) জেলা পরিষদের বিজেপি প্রার্থীর প্রচার করতে না পারার বিষয়ে জানতে চাহিলে সাংবাদিকদের উত্তরে তিনি বলেন, আমার কাছে এমন কোনও অভিযোগ নেই। তাছাড়া ওই এলাকা আমার বিধানসভার মধ্যে পড়ছে না, হাড়োয়া বিধানসভার মধ্যে পড়ছে। এখানে বিরোধী প্রার্থীদের প্রচারে আটকানোর কোনও ঘটনা ঘটছে না। ওই প্রার্থীর সমস্যা হলে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন বলে উল্লেখ করেন তৃণমূল শাসক দলের এই মন্ত্রী।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nisith Pramanik: বারে বারে হামলা, জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথকে

    Nisith Pramanik: বারে বারে হামলা, জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) কনভয়ে হয়েছিল হামলা। তার জেরে এবার নিশীথের নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করা হল। এতদিন জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পেতেন নিশীথ। এখন থেকে তাঁকে দেওয়া হল জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা। দেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য থাকে এসপিজির (SPG) নিরাপত্তা বলয়। দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা হল জেড প্লাস। এই নিরাপত্তাই দেওয়া হল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথকে। বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, “মন্ত্রীর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তাঁকে দেওয়া হয়েছে জেড প্লাস নিরাপত্তা।”

    একাধিকবার হামলা মন্ত্রীর ওপর

    তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই নিশীথের (Nisith Pramanik) ওপর হামলা হয়েছে বারে বারে। মাস কয়েক আগে সিতাইয়ে যাওয়ার পথে কোচবিহারের সাংসদের কনভয়ে হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনহাটার বুড়িরহাটেও হামলা চালানো হয়েছিল নিশীথের কনভয়ে। ওই দিন আক্রান্ত এক দলীয় কর্মীকে দেখতে যাওয়ার পথে হামলা হয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কনভয়ে। সেদিন নিশীথের গাড়ির কাচ ভাঙা হয়েছিল। চালানো হয়েছিল গুলি। বোমাবাজির অভিযোগও উঠেছিল।

    মন্ত্রীর কনভয়ে তির

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের স্ক্রুটিনির দিনও ফের এক দফা হামলা হয় নিশীথের (Nisith Pramanik) কনভয়ে। সাহেবগঞ্জে তাঁর কনভয় লক্ষ্য করে তির ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। নিশীথ বলেছিলেন, “পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিন্দনীয়। তির মারা হল, পর পর দুটো বোম চার্জ করা হল। প্রার্থীদের ওপর নির্মম অত্যাচার।” এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে নিশীথের নিরাপত্তা বাড়ানো প্রয়োজন বলে রিপোর্ট দেন গোয়েন্দারা। তার পরেই জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় অমিত শাহের ডেপুটিকে।

    আরও পড়ুুন: কোচবিহারে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিশীথ প্রামাণিকের, কী কথা হল?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে কোচ রাজাদের ভূমি। অশান্তির ঘটনা ঘটছে আকছার। সম্প্রতি ৬ বার ঘটেছে গুলি চালানোর ঘটনা। নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, ততই চড়বে উত্তেজনার পারদ। সেই কারণেই নিশীথের (Nisith Pramanik) পাশাপাশি কোচবিহারের পাঁচ বিজেপি বিধায়কের নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। এই পাঁচ বিধায়ক হলেন সুকুমার রায়, মালতি রাভা, নিখিল রঞ্জন দে, সুশীল বর্মন ও বরেনচন্দ্র বর্মন। এতদিন এঁদের সঙ্গে চারজন করে সিআইএসএফ জওয়ান থাকতেন। এখন থেকে থাকবেন পাঁচজন করে  সিআইএসএফ  জওয়ান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: বিজেপি প্রার্থীকে তুলে নিয়ে হত্যার হুমকি, অভিযোগের তীর তৃণমূল প্রধানের দিকে

    Nadia: বিজেপি প্রার্থীকে তুলে নিয়ে হত্যার হুমকি, অভিযোগের তীর তৃণমূল প্রধানের দিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়া (Nadia) বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীকে তুলে নিয়ে যাওয়া এবং হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। এই হুমকির অভিযোগ বিদায়ী তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে। হুমকির অডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য। এমনকি ক্যামেরার সামনেও তুলে আনার হুমকি দিলেন বিদায়ী তৃণমূল প্রধান। প্রাণহানির আশঙ্কায় ভুগছেন বিজেপি প্রার্থী।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Nadia)?

    নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর ব্লকের বেলগড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। বেলগড়িয়া দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান দীপক মন্ডলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে বিরোধীরা সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলছে। কোথাও মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়ার জন্য হুমকি, আবার কোথাও মনোনয়নপত্র তুলে নেওয়ার জন্য বিরোধী প্রার্থীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সব অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধেই। এবার বেলঘড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির সমিতির প্রার্থীকে ফোন করে তুলে নিয়ে আসার হুমকি দিল ওই অঞ্চলেরই বিদায়ী তৃণমূল প্রধান দীপক মন্ডল। সেই অডিও ভাইরাল হতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

    বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্য

    বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী (Nadia) গোবিন্দ রাজবংশী, তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, এর আগেও বিধানসভা ভোটে বিজেপি করার অপরাধে তাঁর বাড়ি ভাঙচুর চালায় শাসক দলের দুষ্কৃতীরা। ওই এলাকায় তৃণমূলের সমর্থন দিন দিন কমে যাওয়ার কারণে, তাঁকে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করানোর জন্য একাধিকবার শাসানি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কর্ণপাত করেনি তিনি। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি বিজেপির প্রার্থী হয়ে সমিতিতে লড়াই করছেন। সেই কারণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, বর্তমানে প্রাণনাশের আশঙ্কায় ভুগছেন। প্রচন্ড আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। আপাতত পুলিশকে জানিয়েছেন।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে বিদায় তৃণমূল প্রধান (Nadia) দীপক মন্ডল বলেন, আমি ওই এলাকায় পুনরায় পঞ্চায়েত প্রার্থী হিসেবে তৃণমূল হয়ে লড়াই করছি। কিন্তু বিজেপির সমিতি প্রার্থী গোবিন্দ রাজবংশী আমার এলাকায় এসে আমার নামে কুপ্রচার করছেন। মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে আমাকে। সেই কারণেই আমি বারংবার তাঁকে বলেছি আমার বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার করা হচ্ছে তার প্রমাণ দিতে। কিন্তু সে আমার সঙ্গে দেখা করছে না! এরপরেই তিনি আবার হুমকির সুরে বলেন,“দেখা করতেই হবে! না করলে প্রয়োজনের তুলে আনবো!” ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Panchayat Election 2023: বিজেপি প্রার্থী ও কর্মীদের মারধর, বাড়ি ভাঙচুর! থানায় শুভেন্দু

    Panchayat Election 2023: বিজেপি প্রার্থী ও কর্মীদের মারধর, বাড়ি ভাঙচুর! থানায় শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) উপলক্ষে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় যাওয়ায় বিজেপি কর্মীদের উপর চড়াও হল তৃণমূল। ঘটনায় পাঁচ জন বিজেপি কর্মী আহত হন বলে অভিযোগ। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর তাঁরা বিরোধী দলনেতার সভায় হাজিরও হন।

    থানায় শুভেন্দু 

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভায় যোগ দেওয়া যাবে না। তৃণমূল কংগ্রেসের এই চাপের কাছে নতি স্বীকার না করা বিজেপি কর্মীদের মারধর ও বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ উঠল তৃণমূলে বিরুদ্ধে। আক্রান্ত কর্মীকে নিয়ে সটান থানায় হাজির হলেন শুভেন্দু অধিকারী। থানার আইসির সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জিও জানান তিনি। থানা থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, “থানার আইসি অভিযোগ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আগে অভিযোগ দায়ের হোক। তার পর ব্যবস্থা না নিলে যেখানে যাওয়ার দরকার আমরা সেখানেই যাব।”

    কী ঘটেছিল

    বাঁকুড়ার খাতড়ায় হুল দিবসের অনুষ্ঠান ও জগদল্লা গোরাবাড়ি গ্রামে নির্বাচনী সভা সেরে শুক্রবার সন্ধ্যায় গঙ্গাজলঘাটিতে একটি নির্বাচনী সভায় যোগ দেন বিরোধী দলনেতা । শুভেন্দুর এই সভাকে ঘিরে শুক্রবার দুপুর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের বড়শাল এলাকা। বিজেপি কর্মীদের দাবি, শুভেন্দুর সভায় যাওয়ার জন্য যখন গ্রামের বিজেপি কর্মীরা প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সেই সময় স্থানীয় ১০-১২ জন তৃণমূল কর্মী তাঁদের সভায় যেতে নিষেধ করেন। নিষেধ মানতে অস্বীকার করতেই রড, লাঠি ও কাটারি নিয়ে বিজেপি কর্মীদের উপর তৃণমূলের কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় পাঁচ জন বিজেপি কর্মী আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। পরে সন্ধ্যায় শুভেন্দুর গঙ্গাজলঘাঁটির সভায় হাজিরও হন ওই পাঁচ বিজেপি কর্মী।বিরোধী দলনেতা মঞ্চ থেকেই ওই পাঁচ বিজেপি কর্মীর উপর হামলার ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানান।

    আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতার পাশে ছত্রধর পুলিশ! ভিডিও পোস্ট করে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিল্লেশ্বর সিনহা বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর জনসভায় যাতে মানুষ না আসে সেই জন্যই তৃণমূল এই হামলা চালিয়েছে। এ ভাবে মানুষকে আটকে রাখা যায় না। এর হিসেব পঞ্চায়েত ভোটের পরে মানুষ বুঝে নেবে।”

    পথে অগ্নিমিত্রা

    বাঁকুড়ার ওই ঘটনার পাশাপাশি বর্ধমানের দুর্গাপুরে বিজেপির দুই প্রার্থীকে হুমকি ও মারধরের অভিযোগে তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে পথে নামলেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের কাঁটাবেড়িয়া এলাকার প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই বিজেপি প্রার্থী সন্তোষ গুঁই ও টুম্পা সেনকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি প্রার্থীরা। পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ না করার অভিযোগ তুলে কাঁটাবেরিয়া এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করে দেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি জানিয়ে দেন, যাঁরা তাদের প্রার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে থানা ঘেরাও করেও আন্দোলনে নামবেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share