Tag: bjp

bjp

  • Suvendu Adhikari:  “জাল এসসি, এসটি সার্টিফিকেট দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari:  “জাল এসসি, এসটি সার্টিফিকেট দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) জমানায় উঠেছে একের পর এক দুর্নীতির আভিযোগ। কখনও টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে শিক্ষকতার চাকরি, কখনও আবার চড়া দরে বিক্রি হয়েছে পুরসভার চাকরি। যার জেরে ফুলে ফেঁপে উঠেছেন তৃণমূলের ছোট-বড় সব স্তরের নেতারাই। নিয়োগের প্রতিটি ক্ষেত্রেই অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগের এই দীর্ঘ তালিকায় নয়া সংযোজন!

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, সংরক্ষিত আসনে ভুয়ো এসসি, এসটি সার্টিফিকেট দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। শুক্রবার বাঁকুড়ার খাতড়ায় হুল দিবস উদযাপন মঞ্চে বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু। সেখানেই নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে। জাল এসসি, এসটি সার্টিফিকেট দিয়ে পুলিশে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। উঠেছে ভুয়ো ব্যালট পেপার ছাপার অভিযোগও। 

    নিশানায় মমতার সরকার

    এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ভুয়ো এসসি, এসটি সার্টিফিকেট জমা দিয়ে সম্প্রতি রাজ্য পুলিশে নিয়োগ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে ডিএম, এসপি এবং পুলিশ আধিকারিকরা অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতরের আধিকারিকদের চাপ দিয়ে এসসি, এসটি, ওবিসি নন, এমন মানুষদের সার্টিফিকেট দিতে বাধ্য করেছেন। আর সেই ভুয়ো সার্টিফিকেট জমা দিয়ে তৃণমূল বিভিন্ন সংরক্ষিত আসনে সাধারণ মানুষকে প্রার্থী করেছে। এভাবে আদিবাসী, জনজাতিদের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে এ রাজ্যের সরকার।”

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল নেতার পাশে ছত্রধর পুলিশ! ভিডিও পোস্ট করে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “সম্প্রতি এ ব্যাপারে তথ্য জানার অধিকার আইনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আমি জানতে চেয়েছি সংরক্ষিত আসনে যে তৃণমূল প্রার্থীরা মনোনয়ন করেছে, তাঁদের নাম, বাবার নাম ও সাবকাস্ট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সনাতনীদের মধ্যে ভাগ করতে চায়। সংখ্যালঘুদের ৩০ শতাংশ ভোট নিজেদের পকেটে রেখে বাকি সনাতনীদের ভাগ করে পিসি-ভাইপো রাজ চালাতে চান।” 

    সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমি তথ্য জানার অধিকার আইনে জানতে চেয়েছি নির্বাচন কমিশনের কাছে। নির্বাচন কমিশন উত্তর দিতে বাধ্য। উত্তর দিলে আশাকরি, আর একটি বড় দুর্নীতি সামনে আনতে পারব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূল নেতার পাশে ছত্রধর পুলিশ! ভিডিও পোস্ট করে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: তৃণমূল নেতার পাশে ছত্রধর পুলিশ! ভিডিও পোস্ট করে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আবার প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পঞ্চায়েত নির্বাচনে  এই অভিযোগে বারবারই সরব বিরোধী দলনেতা। এবার তিনি দেখালেন ছত্রধর পুলিশের ছবি। মঞ্চে বক্তৃতা করছেন তৃণমূল নেতা তথা পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর পুরসভার প্রাক্তন মেয়র পারিষদ প্রভাত চট্টোপাধ্যায়। বৃষ্টির মধ্যে তাঁর মাথায় ছাতা ধরে আছেন উর্দিপরা এক পুলিশকর্মী। বৃহস্পতিবার এমন একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন শুভেন্দু।

    ছত্রধর পুলিশ

    কাঁকসার তৃণমূল (TMC) নেতার মাথায় পুলিশকর্মীর ছাতা ধরে থাকার ভিডিও পোস্ট করে বিরোধী দলনেতা ট্যুইটে লেখেন, ‘আরও এক উদাহরণ, যাতে বোঝা যাচ্ছে মমতা পুলিশ কতটা পক্ষপাতদুষ্ট। কিছু আধিকারিক আঞ্চলিক দল তৃণমূলের রাজনৈতিক মিছিলে অংশগ্রহণ করছেন, মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় কিছু জন বিজেপি প্রার্থীদের মারধর করছেন এবং মঞ্চে তৃণমূল নেতা বক্তব্য রাখার সময় কেউ দাসের মতো ছাতা ধরে থাকছেন।’শুভেন্দু আরও লেখেন ‘ভিডিওতে দেখুন, একজন পুলিশকর্মী ছাতা ধরে আছেন, যখন পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা ব্লকের টিএমসি ট্রেড ইউনিয়ন নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায় মঞ্চে রাজনৈতিক ভাষণ দিচ্ছেন। ‘

    শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা বা রাজ্য পুলিশকে ডাকেন মমতা পুলিশ হিসেবে। এদিন ভিডিও শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, মমতা পুলিশ যে নিরপেক্ষতা বজায় রাখে না তা আবার সামনে আনল এই ঘটনা। শুভেন্দু লিখেছেন, ‘এ সবই হচ্ছে যখন রাজ্যে জারি রয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি। আশা রাখব, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট ও রাজ্য পুলিশ বাংলার সর্বত্র অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সুনিশ্চিত করবে।’

    আরও পড়ুন: ১১ ঘণ্টা ইডির জেরা! নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বুধবার ফের তলব সায়নীকে

    বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “মমতা-পুলিশের কাজ, তৃণমূলকে রোদ, জল, ঝড় থেকে বাঁচানো আর ছাপ্পা ভোট করানো।” রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন যে সম্ভব নয়, তা নিয়ে একমত বিরোধীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: সমর্থকদের দাবির কাছে হার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর, পদত্যাগ করা হল না বীরেনের

    Manipur: সমর্থকদের দাবির কাছে হার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর, পদত্যাগ করা হল না বীরেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমর্থকদের দাবির কাছে হার মানতে হল মণিপুরের (Manipur) মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির এন বীরেন সিংহকে। আপাতত মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিচ্ছেন না তিনি। যদিও প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার বেলা আড়াইটে নাগাদ ২০ জন দলীয় বিধায়ককে নিয়ে রাজভবনের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ততক্ষণে ইম্ফলে তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে বীরেনকে।

    ছেঁড়া হল ইস্তফাপত্র

    একপ্রকার বাধ্য হয়েই নিজের বাসভবনে ফিরে যান তিনি। এর পর বেরিয়ে আসেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফাপত্রটি নিয়ে পড়তে শুরু করেন তিনি। সেই সময়ই কিছু মহিলা সমর্থক মন্ত্রীর হাত থেকে ইস্তফাপত্রটি ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। সংবাদ মাধ্যমকে ওই মহিলারা বলেন, “আমরা মুখ্যমন্ত্রীর (Manipur) পদত্যাগের ঘোরতর বিরোধী। তিনি পদত্যাগ করলে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির বিশেষ হেরফের হবে না।” মুখ্যমন্ত্রীর ছেঁড়া সেই ইস্তফাপত্রের ছবি ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। যদিও ছবির সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    মুখ্যমন্ত্রী থাকছেন বীরেনই

    মণিপুর সরকারের অন্যতম মুখপাত্র সাপাম রঞ্জন সিংহ জানান, সমর্থকদের চাপের মুখে কিছু মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীকে ইস্তফার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান। পরে ওই মন্ত্রীরা মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে বেরিয়ে জানান, মুখ্যমন্ত্রী আপাতত কাজ চালিয়ে যেতে রাজি হয়েছেন। রবিবারই আলোচনার জন্য বীরেনকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন (Manipur) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরে ট্যুইট-বার্তায় মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছিলেন, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন, রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশে আমরা যেন আমাদের কাজকে আরও শক্তিশালী করি।”

    আরও পড়ুুন: আতিকের দখল করা জমিতে বহুতল, গরিবদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি দিলেন যোগী

    প্রসঙ্গত, মাস দেড়েকেরও বেশি সময় ধরে আক্ষরিক অর্থেই জ্বলছে মণিপুর। লাগাতার হিংসার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দেড়শোর কাছাকাছি। ঘরছাড়া হয়েছেন হাজার পঞ্চাশেক মানুষ। পরিস্থিতির মোকাবিলায় গত শনিবার সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার পরেও বিক্ষিপ্ত (Manipur) অশান্তি চলছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। ঘটনার সূত্রপাত ৩ মে। মণিপুরের মেইতেই সম্প্রদায় তফশিলি জনজাতির মর্যাদা দাবি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। সম্প্রতি মেইতেইদের তফশিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়া যায় কিনা, সেই বিষয়টি রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল মণিপুর হাইকোর্ট। আদালতের এই নির্দেশের বিরোধিতায় পথে নামে রাজ্যের জনজাতি বিভিন্ন সংগঠন। বিক্ষোভ মিছিল বের করে অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপর। তার পর থেকে রাজ্যে বিরাম নেই হিংসার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PhonePe CM: কিউআর কোডে শিবরাজের ছবি! বিতর্কিত পোস্টার নিয়ে কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি ফোন পে-র

    PhonePe CM: কিউআর কোডে শিবরাজের ছবি! বিতর্কিত পোস্টার নিয়ে কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি ফোন পে-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফোন পে-র (PhonePe CM) পোস্টারে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের (Shivraj Singh Chouhan) ছবি! গোয়ালিয়র রেল স্টেশনের ওই ঘটনায় শোরগোল দেশজুড়ে। ফোন পে-র পোস্টারে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি পোস্ট করে কংগ্রেস চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ বিজেপির। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে অভিযোগও। এই ঘটনায় কংগ্রেসকে তাদের নাম ও লোগো ব্যবহারে আপত্তি জানিয়েছেন ফোন পে কর্তৃপক্ষ। কংগ্রেসকে দ্রুত পোস্টারগুলি সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধও জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে। তা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ফোন পে কর্তৃপক্ষ।

    কংগ্রেসের (অপ) প্রচার!

    দোরগোড়ায় মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। পদ্মকে হটিয়ে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া কংগ্রেস। অথচ রাজ্যে সেভাবে মজবুত নয় সংগঠন। রয়েছে উপদলীয় কোন্দলও। অভিযোগ, সেই কারণেই বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, গ্বালিয়র রেল স্টেশনের কাছে কয়েকটি পোস্টারে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের মুখের সঙ্গে একটি কিউআর কোড (PhonePe CM) রয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, ‘আপনার কাজ করার জন্য ৫০ শতাংশ কমিশন দিন’। এই পোস্টারগুলির ছবি এবং ভিডিও নিজেদের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব।

    ‘নোংরা রাজনীতির উদাহরণ’ 

    গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, কেবল গ্বালিয়র রেল স্টেশনই নয়, ভোপাল, ইন্দোর, বুধনি, উজ্জ্বয়িনী এবং সেহোরের মতো একাধিক শহরে এই পোস্টার সাঁটিয়েছে কংগ্রেস। মনে রাখতে হবে, এই বুধনি বিধানসভা কেন্দ্রেরই বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। তাঁর কটাক্ষ, এটি নোংরা রাজনীতির উদাহরণ।

    কংগ্রেসের এহেন প্রচারে ক্ষুব্ধ ফোন পে (PhonePe CM) কর্তৃপক্ষও। তাঁদের তরফে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক কিংবা অরাজনৈতিক অথবা অন্য কোনও তৃতীয় পক্ষ অনুমতি ছাড়া তাঁদের ব্র্যান্ডের লোগো ব্যবহার করতে পারে না। পোস্টারগুলি অবিলম্বে সরানো না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুুন: সৌদি আরবে থেকেও মনোনয়ন পেশ! তৃণমূলের সেই নেতার প্রার্থীপদ খারিজ

    প্রসঙ্গত, কর্নাটকে বিজেপির নেতৃত্বাধীন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের বিরুদ্ধেও এমন নঞর্থক প্রচার করেছিল কংগ্রেস। তাঁর সরকারকে ‘৪০ পারসেন্ট সরকার’ বলে ব্যাপক প্রচার করেছিল সোনিয়া গান্ধীর দল। তার জেরে কর্নাটকে পতন হয়েছিল বিজেপি সরকারের। এবার ক্ষমতায় ফিরতে মধ্যপ্রদেশেও কংগ্রেস একই খেলা খেলছে বলে অভিযোগ বিজেপির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Singur: তৃণমূলের সমবায়ে কোটি কোটি টাকা তছরুপ! গ্ৰেফতার ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার

    Singur: তৃণমূলের সমবায়ে কোটি কোটি টাকা তছরুপ! গ্ৰেফতার ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঙ্গুরের খাসেরচক চকগোবিন্দ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডে অর্থ তছরুপের ঘটনায় সংস্থার ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ারকে গ্ৰেফতার করেছে পুলিশ। ডেপুটি রেজিস্ট্রার অফ কো-অপারেটিভ সোসাইটির (DRCS) পক্ষ থেকে করা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সমবায়ের (Singur) ম্যানেজার সুখেন্দু দাস ও ক্যাশিয়ার কৌশিক অধিকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হুগলি জেলা গ্ৰামীণ পুলিশ সুপার আমন দীপ। ধৃতদের বিরুদ্ধে সমবায়ের প্রায় ২ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও তৃণমুলের মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

    কীভাবে ক্ষোভ পরিণত হল বিক্ষোভে?

    উল্লেখ্য, সিঙ্গুরের ওই সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকরা তাঁদের জমানো টাকা না পেয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন। তার পরেই সমবায়ে কোটি টাকা তছরুপের ঘটনা সামনে আসে। তৃণমুল পরিচালিত সমবায়ের (Singur) পরিচালন সমিতির সেক্রেটারি অশোককুমার দাস ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের অভিযোগ তোলেন। তারপর সমবায়ের ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার অর্থ তছরুপের জন্য একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোপালনগর এলাকায় ক্রমেই মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। গরিব মানুষের অর্থ ফিরিয়ে দেবার দাবিতে সমবায় চত্বরে পোস্টার লাগায় বাম কৃষক সংগঠন। পাশাপাশি কয়েকদিন আগে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সমবায় এলাকায় গিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে তাঁদের হয়রানির কথা শোনেন।

    কীভাবে অবশেষে গ্রেফতার?

    ডেপুটি  রেজিস্ট্রার অফ কো অপারেটিভ সোসাইটি গত ১৬ ই জুন সিঙ্গুর থানায় সমবায়ের ওই দুর্নীতি নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের সূত্র ধরে পুলিশ সমবায়ের ম্যানেজার সুখেন্দু দাস ও ক্যাশিয়ার কৌশিক অধিকারীকে গ্রেফতার করে ২৭ শে জুন চুঁচুড়া স্পেশাল আদালতে পাঠায়। পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। বর্তমানে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনায় আর কে কে যুক্ত আছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এ বিষয়ে হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ সুপার আমন দীপ জানান, ডিআরসিএস থেকে একটা অভিযোগ করা হয় সমবায়ের (Singur) ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার প্রায় ২ কোটি ২৯ লক্ষ টাকার একটা গরমিল করেছেন। তার প্রেক্ষিতে থানায় আইপিসি ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় একটি কেস শুরু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কিভাবে তারা এত টাকা গরমিল করল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি ঘটনায় আর কেউ যুক্ত আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ভোট সামনে বলেই গ্রেফতার? প্রশ্ন বিজেপির

    অন্যদিকে সমবায়ের এই ঘটনা নিয়ে সরাসরি রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি রাজ্যের গেরুয়া শিবির। সিঙ্গুরের বিজেপি নেতা মধুসূদন দাস বলেন, এত বড় ঘটনায় শুধু ম্যানেজার আর ক্যাশিয়ার জড়িত, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড। একটা সিস্টেমে কাজ হয় সমবায়ে। বোর্ডের অনুমতি ছাড়া কোনও কিছু পাশ হয় না। ভোট এসে গেছে বলে এদের গ্রেফতার করে দেখানো হচ্ছে, আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে আছি। তাহলে এতদিন অ্যারেস্ট করা হয়নি কেন? এই ঘটনায় আরও যারা পিছনে আছে, সেই  সমস্ত রাঘববোয়ালদের সামনে আনতে হবে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের (Singur) টাকা ফেরত দিতে হবে।

    কী বলছে তৃণমূল?

    বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সিঙ্গুর (Singur) ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি গোবিন্দ ধারা বলেন, পরিচালন সমিতিকে অন্ধকারে রেখেই এইসব তছরুপ করা হয়েছে। এর সাথে বোর্ড কোনও ভাবে যুক্ত নয়। তদন্তে আইনি পথে যদি বোর্ডের কেউ জড়িত প্রমাণ হয়, তখন সে সাজা পাবে। দল কোনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবে না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘রাজ্যের পুলিশ তৃণমূলের পার্টি ক্যাডারের থেকেও অধম’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘রাজ্যের পুলিশ তৃণমূলের পার্টি ক্যাডারের থেকেও অধম’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পুলিশ তৃণমূলের পার্টি ক্যাডারের থেকেও অধম। বৃহস্পতিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইলে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এই মন্তব্য করেন। এদিন তিনি জেলা পরিষদের ১১ নম্বর আসনের বিজেপি প্রার্থী শুভঙ্কর মাহাতোর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।এই ক্যান্সার আক্রান্ত শুভঙ্করবাবুকে দুদিন আগে থানার ওসি মারধর করেন। আক্রান্ত পরিবারের পাশে থাকার তিনি বার্তা দেন।

    দলীয় প্রার্থীকে হামলা প্রসঙ্গে কী বললেন শুভেন্দু(Suvendu Adhikari)?

    আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার পর শুভেন্দু বলেন, বিষয়টি খুবই নিন্দনীয়। দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। দলীয় প্রার্থী দুরারোগ্য ক্যান্সার রোগী। এই ওসি যেভাবে একজন জেলা পরিষদের প্রার্থীকে আক্রমণ করেছে, তাতে প্রমাণিত হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুলিশ নিরপেক্ষ নয়। তারা পার্টির ক্যাডারের থেকেও অধম। শুভঙ্কর মাহাতোকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতে এখানে চাপ দেওয়া হয়েছিল। সাঁকরাইল ব্লকের ২০১৮ সালে বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতি এবং অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছিল। এখানে বিজেপির জনসমর্থন অনেক বেশি। কিন্তু, এই একজন দলদাস ওসিকে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো যে গুন্ডামি করাচ্ছে,  সেটা এখানে আমরা দেখেছি। এই তোলামূলের ওসি, মমতা পুলিশ দুটো মিথ্যে মামলা করেছে। আমি জেলা সভাপতিকে দায়িত্ব দিয়ে যাচ্ছি মামলার কপিগুলো তুলবে এবং বিজেপি প্রার্থীর স্ত্রী হাইকোর্টে রিট পিটিশন করবে। মমতা পুলিশের বিরুদ্ধে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হবে। শুভঙ্কর মাহাতো একজন কুড়মি সমাজের মানুষ। তার উপর পুলিশের এই হামলা চালানোর ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। অভিযুক্ত ওসিকে শুধু সাসপেন্ড নয় যাতে গ্রেফতার করা হয় তারজন্য যা যা  করা দরকার তা করা হবে।

    জঙ্গলমহলে পুলিশি অত্যাচার নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    তপসিয়ায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, পুলিশ দিয়ে অত্যাচার করছে। মিথ্যা মামলা করছে। এভাবে জঙ্গলমহলকে দমিয়ে রাখা যায় না। জঙ্গলমহল প্রতিবাদী মানুষের জায়গা।  জঙ্গলমহলে যত অত্যাচার হবে তত প্রতিরোধ হবে। নয়াগ্রামে বিজেপির সভায় শুভেন্দু অধিকারি বলেন,‘সিপিএমের তিনতলা পাকা বাড়ি। তার সঙ্গে কম্পিটেশন করে চোর তৃণমূলও তিনতলা পার্টি অফিস বানিয়েছে। ছাদ থেকে পতাকা নাড়াচ্ছেন। নয়াগ্রামের আইসি দাঁড়িয়েছেন। পুলিশের আসকারায় এসব হচ্ছে। জঙ্গলমহলে পুলিশিরাজ চলবে না।’

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু ?

    মাওবাদী তকমা দিয়ে সাধারণ মানুষের উপর পুলিশি অত্যাচারের বামফ্রন্টের আমলের সেই দিন ফিরিয়ে আনতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ, তাঁর সঙ্গে মানুষ নেই। কর্মসংস্থান দিতে পারেননি। মানুষের পেটে ভাত, হাতে কাজ দিতে পারেননি। ৫০০ টাকা দিয়ে কারো সংসার চলে না। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে এর থেকে অনেক বেশি মহিলারা টাকা পান। সেই জায়গায় ভোটের জেতার জন্য অত্যাচার একমাত্র রাস্তা। একটা পানীয় জলের কাছে আড়াইশো মহিলা বালতি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। জল দিতে পারেনি, গ্রাম দখল করা ছাড়া বিকল্প কিছু নেই। জঙ্গলমহলের ছেলেরা ওড়িশা এবং ঝাড়খন্ডে গিয়ে  কাজ করে। মুখ্যমন্ত্রী কাজ দিতে পারেনি। জঙ্গলমহলের কোনও বাড়িতে পুরুষ মানুষ থাকে না। পুরো পঞ্চায়েত চুরি করেছে। শৌচালয়ের টাকা মেরেছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার এত হকদার একটাও প্রকৃত লোক পায়নি।

    পঞ্চায়েতে  ক্ষমতায় আসলে বিজেপির পদক্ষেপ নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    বিরোধী দলনেতা বলেন, জঙ্গলমহলে আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যদের জয়ী করুন। মানুষের পঞ্চায়েত হবে। গ্রাম সংসদের সভায় বসে উপভোক্তা কারা হবেন তা ঠিক করা হবে। সে যদি তৃণমূল, সিপিএমের লোক পাওয়ার যোগ্য হয়, তবে তিনিও পাবেন। পঞ্চায়েতে কোনও রাজনীতি হবে না। আমরা সেটা নিশ্চিত করব। গতবারে মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল। এসপিকে দিয়ে ফলাফল বদলে দেওয়া হয়েছে। ভাঙা গড়ার খেলা করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar : ‘‘পশ্চিমবঙ্গকে এই রাহু থেকে উদ্ধার করুন’’! প্রভু জগন্নাথের কাছে প্রার্থনা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar : ‘‘পশ্চিমবঙ্গকে এই রাহু থেকে উদ্ধার করুন’’! প্রভু জগন্নাথের কাছে প্রার্থনা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার উল্টোরথ থেকেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে নামল বিজেপি। এদিন বরানগরের নোয়াপাড়ায় রথযাত্রার অনুষ্ঠানে এসে পরোক্ষে তৃণমূল কংগ্রেসকে ‘রাহু’ বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন মহামণ্ডলেশ্বর আশ্রমের উল্টো রথ যাত্রায় অংশ নেন তিনি। 

    তৃণমূলকে আক্রমণ

    উল্টো রথের দিন নিজের হাতে আরতি করা থেকে নিষ্ঠা ভরে জগন্নাথ দেবের আরাধনা করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সাংবিদকরদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের নামে প্রহসন হচ্ছে। বিরোধীদের আটকানো হচ্ছে, কোথাও কোথাও শোনা যাচ্ছে ফেক ব্যালট পেপার তৈরি করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মাইক্রোস্কোপ দিয়েও খুঁজে পাচ্ছি না। আপনারা দেখলে আমাদের জানাবেন। এই পরিস্থিতির মধ্যে ভোট হচ্ছে। ভোট হবে না ঘোঁট হবে সেটা ভোটের দিন বোঝা যাবে।’

    রাহু-মুক্তির প্রার্থনা

    শীতলকুচিতে ফের হিংসার ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে যাবেন সেখানেই গুলি চলবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওখানে গিয়ে ইনস্টিগেট করে এসেছেন ভায়োলেন্স। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাওয়া মানেই ওখানে অশান্তি হবে।’ সব শেষে জগন্নাথের কাছে কি প্রার্থনা করলেন সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রভু জগন্নাথ পশ্চিমবঙ্গকে এই রাহু থেকে উদ্ধার করুন, মুক্তি দিন।’

    আরও পড়ুন: অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় গবেষণা সংস্থা

    প্রধানমন্ত্রীর কথা প্রসঙ্গে

    রাজ্যে দুর্নীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণ, প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কোনও মিথ্যে কথা বলেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত বড় বড় কথা বলছেন। কই বিজেপি-র তো কোনও মন্ত্রী জেলে নেই। তার প্রাক্তন মন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রী, শিল্প মন্ত্রী জেলে। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা লাগে না, লজ্জা পান না। পার্থ নামটা মুখে একবারও আনেন না। তার নামটা নিয়ে এসে বলুন, পার্থ খুব ভালো ছেলে ছিল।’

    রাজ্যপাল সংবিধানের কাস্টডিয়ান

    রাজ্যপালকে বারবার আক্রমণ করছে তৃণমূল। সে প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘ভালো কাজ যিনি করবেন তাঁকেই তৃণমূল আক্রমণ করবে। রাজ্যপাল যেখানে যেতে চান সেখানে যাবেন। রাজ্যপালের পদক্ষেপ সংবিধানসম্মত, উনি সংবিধানের কাস্টডিয়ান। সংবিধান আমাদের সকলকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করার অধিকার দিয়েছে। সেই অধিকার রক্ষা করার জন্য কারোর যদি প্রাণ যায়, কেউ যদি আহত হন, তাঁকে দেখতে রাজ্যপাল যেতে পারেন। তিনি উচিত কাজই করছেন বলে আমাদের মনে হয়।’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েত ভোটে পর্যবেক্ষক চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

    Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েত ভোটে পর্যবেক্ষক চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) বাকি আর মাত্র নয়দিন। তবু মামলা যেন মিটছে না। এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে পর্যবেক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত খারিজ করেছিলেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সোমবার শুনানির সম্ভবনা রয়েছে। 

    কেন পর্যবেক্ষক প্রয়োজন

    অতীতের ভোটে হিংসার কথা বিবেচনা করে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতে চেয়েছিল। দাবি জানিয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছিল সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে। তাদের বক্তব্য ছিল, এর আগের ভোটগুলিতে বাংলায় ভয়ঙ্কর ছবি দেখা গিয়েছিল। তার জন্য়ই পর্যবেক্ষকের প্রয়োজন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মামলায় দাবি করা হয়, একটি বিধিবদ্ধ সংস্থার ওপর আরেকটি বিধিবদ্ধ সংস্থা এভাবে নজরদারি করতে পারে না। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে পর্যবেক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত খারিজ করেন বিচারপতি ভট্টাচার্য। 

    আরও পড়ুন: ‘৩ মাসের মধ্যে বিদায় দেব চোরেদের সরকারকে’, ভোটপ্রচারে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    এর আগে ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের পর রাজ্যে ব্যাপক হিংসা ছড়ায়। ফল প্রকাশের দিনই কলকাতার বেলেঘাটায় বিজেপি কর্মী অভিজিত সরকারকে শাসকদলের লোকজন বাড়ি থেকে টেনে এনে খুন করে বলে অভিযোগ। সেই খুনের সিবিআই তদন্ত এখনও চলছে। সেই সময় রাজ্যে আরও বেশ কয়েকটি হিংসার ঘটনা ঘটে। বিজেপি তা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়। হাইকোর্ট হয়ে সেই জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। আদালতের নির্দেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন হিংসার তদন্তে প্রতিনিধিদল পাঠায় রাজ্যে। তা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ করে রাজ্য সরকার। এবার পঞ্চায়েত ভোটেই (Panchayat Election 2023) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন পর্যবেক্ষক পাঠাতে চেয়েছে। বিরোধিতা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকার। এবার আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ কমিশন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • Calcutta High Court: ‘গ্রেফতার করা হতে পারে’! রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র 

    Calcutta High Court: ‘গ্রেফতার করা হতে পারে’! রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) মুখে তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে এই আশঙ্কায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ। সোনামুখী থানার আইসির বিরুদ্ধে বেলাগাম মন্তব্য করা এবং থানার সামনে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগে বিষ্ণুপুরের সাংসদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়। সেই মামলায় গ্রেফতারি এড়াতেই আদালতের দ্বারস্থ হলেন সৌমিত্র (Soumitra Khan)।

    সৌমিত্রের আশঙ্কা

    আদালতে সৌমিত্র জানিয়েছেন, সোনামুখী থানার আইসির বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগে সরব হওয়ার পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু করা হয়েছে। সেই মামলার সূত্র ধরেই পঞ্চায়েত ভোটের আবহে যে কোনও দিন তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে। প্রসঙ্গত, বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের মানিকবাজার এলাকায় দু’শোটিরও বেশি স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। সেই গোষ্ঠীর প্রায় তিন কোটি টাকা আর্থিক তছরূপের অভিযোগ উঠেছে সংঘের কোষাধ্যক্ষ সহ ব্যাঙ্কের দুটি সিএসপির বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে গত এপ্রিল মাসে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সোনামুখী।ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামে বিজেপি। বিষ্ণুপুরের সাংসদের নেতৃত্বে ক্রমশ আন্দোলনের তেজ বাড়তে থাকে। সেই সময় একাধিক পথসভা থেকে অভিযুক্তদের পাশাপাশি সোনামুখী থানার আইসির বিরুদ্ধে সুর চড়ান সৌমিত্র।

    আরও পড়ুন: ১০ দিন ধরে বঙ্গ বিজেপির মেগা প্রচার! উল্টো রথেই পথে শুভেন্দু, সুকান্তরা

    বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলা দায়েরের আবেদন জানান সৌমিত্র। বিচারপতি তাঁকে অনুমতি দিয়েছেন। আগামী শুক্রবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর থেকে তৃণমূলের টিকিটে জিতেছিলেন সৌমিত্র। তার পর ২০১৯ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। সে বছরও বিষ্ণুপুর থেকে জেতেন বিজেপির টিকিটে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁর নামে একটি মামলা ছিল। যার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে বাঁকুড়া জেলাতেই ঢুকতে পারেননি সৌমিত্র। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: ১০ দিন ধরে বঙ্গ বিজেপির মেগা প্রচার! উল্টো রথেই পথে শুভেন্দু, সুকান্তরা

    Panchayat Election 2023: ১০ দিন ধরে বঙ্গ বিজেপির মেগা প্রচার! উল্টো রথেই পথে শুভেন্দু, সুকান্তরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) উপলক্ষে মঙ্গলবার সংকল্প পত্র প্রকাশ করেছে বিজেপি। আজ, বুধবার উল্টো রথের দিন থেকেই প্রচারের উদ্দেশে পথে নামছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার ডাকে আজ পটাশপুরে জনসভা দিয়ে নিজের জেলায় কর্মসূচি শুরু করবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ২২ টি জেলাতেই পদযাত্রা করবেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। থাকবেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দলের সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পাল,দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়।

    আজ কোথায়, কোথায় সভা

    এদিন, পটাশপুর দু’নম্বর ব্লকের মথুরাতে জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর দ্বিতীয় জনসভা রামনগরে। রামনগরের দু’নম্বর ব্লকের কানপয়রা হাটেও পঞ্চায়েত ভোটে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন শুভেন্দু। বুধবার তৃতীয় কর্মসূচি পদযাত্রা। খেজুরির এক নম্বর ব্লকের হেঁড়িয়া থেকে পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেবেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর সঙ্গে থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পাল। বিজেপি সূত্রে খবর, এদিন হাওড়ায় পদযাত্রা করবেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: ‘ভোট এলেই কেন পায়ে আঘাত মুখ্যমন্ত্রীর?’ প্রশ্ন সুকান্তর

    গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার পদযাত্রা (Panchayat Election 2023) হওয়ার কথা ঝাড়গ্রামে। সেই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। ওইদিনই হুগলিতে হবে আরও একটি পদযাত্রা। যেখানে হাঁটবেন শুভেন্দু অধিকারী ও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। আবার বৃহস্পতিবারই নদিয়ায় কর্মসূচিতে থাকবেন সুকান্ত মজুমদার ও জগন্নাথ সরকার। ৩০ জুন, শুক্রবার দলের সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ পূর্ব বর্ধমানে যাবেন বলে সূত্রের খবর। তাঁর সঙ্গে থাকবেন বিজেপি নেতা তথা দলের সাংস্কৃতিক শাখার আহ্বায়ক রুদ্রনীল ঘোষ। ওই দিন শুভেন্দু, বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার, বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ও পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতোকে নিয়ে বড় পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে বাঁকুড়ায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share