Tag: bjp

bjp

  • Panchayat Election 2023: ‘ভোট এলেই কেন পায়ে আঘাত মুখ্যমন্ত্রীর?’ প্রশ্ন সুকান্তর

    Panchayat Election 2023: ‘ভোট এলেই কেন পায়ে আঘাত মুখ্যমন্ত্রীর?’ প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে (Panchayat Election 2023) গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপ্টার দুর্ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ‘ভোট এলেই কেন বারবার পায়ে আঘাত পান মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee Injury)? বার বার পায়ে আঘাত মানেই শুভ লক্ষণ নয়,’ কটাক্ষ সুকান্তর। উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গ সফরের শেষদিনে কপ্টার দুর্যোগের মুখে পড়ায় পা এবং কোমরে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী।

    সুকান্তের মত

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের সময়ও আঘাত পেয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। নির্দিষ্ট করে বললে, ২০২১ সালের ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে আহত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মঙ্গলবার, পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) প্রচার সেরে জলপাইগুড়ির ক্রান্তি থেকে বাগডোগরার উদ্দেশ্য়ে রওনা হন মুখ্যমন্ত্রী। ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই গাজোলডোবার কাছে পৌঁছে আকাশ কালো করে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। সেবক এয়ারবেসে কপ্টারটির জরুরি অবতরণ করানো হয়। জরুরি অবতরণের কারণে কোনও সিঁড়ির ব্যবস্থা ছিল না। কপ্টার থেকে নামতে গিয়ে কোমর ও পায়ে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী শিবির। সুকান্ত বলেন,  “প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর উচ্চ রক্তচাপ বাড়ার কথা ছিল।” 

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ, চারদিন ধরে পুরুষশূন্য গ্রাম

    মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ ভাবে ফিরে এসেছেন, রাজ্যবাসী হিসেবে এটা আমাদের জন্য সুখবর।’’ তবে, দুর্ঘটনা নিয়ে আর বিশেষ কিছু বলতে চাননি তিনি। এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি শুধু বলেছেন, ‘‘আমি চিকিৎসার বিষয়ে কিছু বলব না। কে কোথায় কীভাবে চোট পেয়েছে, সেটা আমার বলার বিষয় নয়। এটা ডাক্তার বাবুরা দেখবেন। রাজ্যে বড় বড় হাসপাতাল রয়েছে, সেখানকার চিকিৎসকরা এই বিষয়ে বলবেন।’’ সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে খোঁজ নেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কী হয়েছে বিশদে জানেন। তবে আপাতভাবে মুখ্যমন্ত্রী ঠিক আছেন দেখে, নিশ্চিত হন তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: ‘‘ভোট নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে নবান্নের ১৪ তলা থেকে’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Panchayat Election 2023: ‘‘ভোট নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে নবান্নের ১৪ তলা থেকে’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে ভোট প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে নবান্নের ১৪ তলা থেকে। ভোটের নামে প্রহসন হতে চলেছে রাজ্যে। নির্বাচনের ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে শাসক দলকে তুলোধনা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বিকেলে পঞ্চায়েত (Panchayat Election 2023) নির্বাচনের ইস্তাহার প্রকাশ করল বঙ্গ বিজেপি (Bengal BJP)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ তিনজনই ছিলেন মঞ্চে। 

    শুভেন্দুর তোপ

    এদিনই রাজ্য বিজেপির মুখপত্র কমল বার্তা আবার নবরূপে প্রকাশিত হল। একইসঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) আগে বিজেপি ইস্তেহার ‘সংকল্পপত্র’ প্রকাশ করা হল। এদিনের অনুষ্ঠানে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু বলেছেন, এরকম ভোট কখনও দেখেনি রাজ্য। কোথাও কেউ মনোনয়ন দিতে পারছেন না। মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য ভয় দেখাচ্ছে পুলিশ।  নির্বাচন কমিশন শাসক দলের শাখা সংগঠনে পরিণত হয়েছে। শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। সেকারণে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনে আপত্তি জানিয়েছিল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পাশাপাশি প্রাক্তন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডের প্রশংসা করেছেন শুভেন্দু।  তিনি বলেছেন মীরা পাণ্ডে বুঝেছিলেন যে ভোট লুঠ হতে পারে। সেকারণেই তিনি আগে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিলেন। 

    আরও পড়ুুন: “পাকিস্তান, বাংলাদেশে তিন তালাক নেই কেন?” মধ্যপ্রদেশের জনসভায় প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

    বিজেপির সংকল্পপত্র

    পঞ্চায়েত (Panchayat Election 2023) স্তরে রাজ্যে যে বিস্তর বেনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে, তা নিয়ে ফের একবার শাসক শিবিরকে বিঁধেছেন দিলীপ ঘোষও। মুখ্যমন্ত্রীর পঞ্চায়েতের নির্বাচনী প্রচার নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না সুকান্ত।  বিজেপির পঞ্চায়েতের সংকল্পপত্রে মোট ৯টি ইস্যুকে হাতিয়ার করে এবার গ্রাম বাংলায় প্রভাব বিস্তারের কথা বলা হয়েছে। প্রথম ইস্যু, দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গঠন। দ্বিতীয় ইস্যু, কৃষকদের উন্নয়ন নিশ্চিত করা। তৃতীয় ইস্যু, অসংগঠিত ক্ষেত্রের মানুষদের উন্নয়ন নিশ্চিত করা। এছাড়া স্বাস্থ্য, নারী কল্যাণ, আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা, গ্রামীণ পরিকাঠামো, সুশাসন ও সর্বোপরি রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের মতো ইস্যুগুলিকে তুলে ধরা হয়েছে বিজেপির সংকল্পপত্রে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বংশটাই চোর’’, ভোটপ্রচারে শুভেন্দুর নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী

    Suvendu Adhikari: ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বংশটাই চোর’’, ভোটপ্রচারে শুভেন্দুর নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির আরামবাগ মহকুমার পুরশুড়ার পশ্চিমপাড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে শাসক দল তৃণমূলকে একহাত নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পাশাপাশি নাম করে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বংশকে চোর বলে তীব্র কটাক্ষ করেন।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘‘জেলাশাসককে কাজে লাগিয়ে আরামবাগ লোকসভা ভোটে কারচুপি করে জিতেছে তৃণমূল। চুরি করা ওদের অভ্যাস। গোটা পরিবারটাই চোর। ভাইপো চোর, ভাইপোর বউ চোর, ভাইপোর শালি চোর, ভাইপোর বাবা চোর, ভাইপোর মা চোর, গরু চোর, কয়লা চোর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বংশ চোর।’’ 

    শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লজ্জা নেই। ওনার পুলিশ রাজবংশী মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে মাঝ রাত্রে গুলি করে খুন করেছে। উনি একবারও শোক প্রকাশ করেননি। তাই ওনার লজ্জা থাকা উচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী সম্পর্কে বলছেন, গুলি চললে সরকার ও পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। গুন্ডাদের মতো কথাবার্তা। জেন্ডার চেঞ্জ করে কি বলা যায়, গুন্ডিদের মতো কথাবার্তা।’’

    তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, যাকে ইচ্ছা চড়থাপ্পড় মেরে দেবেন। আমি বলছি, কেষ্টর মতো অবস্থা হবে। কেষ্টকে বলেছিল আমি (পড়ুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) আছি। যারা অপকর্ম করবে তাদের অবস্থা কেষ্টর মতো হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ভাইপো ছাড়া কারও জন্য নয়। আমি এই কথা বলে দিলাম।’’ 

    এদিন কংগ্রসে-সিপিএমকেও কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “ডোমজুড়ে গুলি-বোমার লড়াই। রাজ্য জুড়েই সন্ত্রাস, গুলি, বোমা চলছে। কংগ্রেস ও সিপিএমের নেতা রাহুল গান্ধী ও সীতারাম ইয়েচুরি যোগাযোগ করুক। পাটনায় শান্তি চুক্তি পড়েও কেন বোমা গুলি চলছে?’’

    নওশাদ সিদ্দিকি ও শওকতকে সাদা পায়রা ওড়ানোর পরামর্শ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    ভাঙড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নওশাদ সিদ্দিকি ও শওকত মোল্লাকে সাদা পতাকা ও সাদা পায়রা নিয়ে গ্ৰামে গ্ৰামে মিছিল করার পরামর্শ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় এক জনসভায় এসে নওশাদ সিদ্দিকি ও শওকত মোল্লার সৌজন্য সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে একথা বললেন বিজেপি নেতা ।

    পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্ব ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। আইএসএস ও শাসকদলের সংঘর্ষে মারা গেছে দু পক্ষেরই বেশ কয়েকজন কর্মী। শান্তির রফাসূত্র খুঁজতে ইতিমধ্যেই ভাঙড় পরিদর্শন করেছেন রাজ্যপাল। আইএসএফ প্রধান নওশাদ সিদ্দিকি ও তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা ভাঙড়ের সংঘর্ষ নিয়ে একাধিকবার পরস্পর বিরোধী অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে সোমবার বিধানসভায় বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি ও বিধায়ক শওকত মোল্লা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে হাসিমুখে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন তৈরি করেছে।।

    এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন জাঙ্গিপাড়ার এক সভামঞ্চ থেকে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘এই উদ্যোগটা ভালো। তবে দুজনে যদি ভাঙড়ের গ্ৰামে গ্ৰামে গিয়ে  শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেন তাহলে ভালো হয়। ঠান্ডা ঘরে বসে, নিরাপদ জায়গায় বসে এটা করবেন না। কারণ দু পক্ষের লোকই মারা গেছে। সব গরীব মানুষ।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: লোকসভা, বিধানসভার পর এবার লক্ষ্য জেলা পরিষদ দখল, আলিপুরদুয়ারে ঝাঁপাল বিজেপি

    BJP: লোকসভা, বিধানসভার পর এবার লক্ষ্য জেলা পরিষদ দখল, আলিপুরদুয়ারে ঝাঁপাল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত লোকসভা এবং বিধানসভার পর গেরুয়া শিবিরের কাছে এবার পাখির চোখ আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদ। আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের ১৮ টি আসনের মধ্যে সবকটিতেই এবার প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি (BJP)। ২০১৮ সালে একটিমাত্র আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি প্রার্থী। তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে ছিল ১৭ টি আসন। যদিও গেরুয়া শিবিরের নেতাদের অভিযোগ, ২০১৮ সালে ভোট  লুট হয়েছে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া থেকে ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা দেওয়া হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি?

    বিজেপির (BJP) শক্ত ঘাঁটি আলিপুরদুয়ার জেলায় গত লোকসভা ভোটে বিজেপির সাংসদ জন বারলা জয়ী হয়ে পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জেলার পাঁচটি বিধানসভা আসনের সবকটিতে জয়ী হন বিজেপির প্রার্থীরা। জেলার বিধায়ক সব বিজেপির দখলে থাকলেও জেলার উন্নয়নের কাজে রাজ্য থেকে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বারবার অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন বিজেপির সাংসদ ও বিধায়করা। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদ ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের মাধ্যমেই সরাসরি মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ থাকায়, এবারে গেরুয়া শিবির জেলা পরিষদকে টার্গেট করে ময়দানে নেমেছে। জেলা পরিষদ দখল হলেই অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি দখলে আসবে। বিজেপির এক বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল শাসক দলে নাম লেখালেও তাঁর সঙ্গে দলের কোনও অনুগামী, এমনকী কার্যকর্তারাও কেউ দল ছাড়েননি। বিজেপির জেলা সভাপতি ভূষণ মোদক বলেন, এবারে মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হবেন বিজেপি প্রার্থীরা। তাঁরাই বোর্ড গঠন করবেন।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    লোকসভা ও বিধানসভা ভোটেও পরপর ধাক্কা খেয়ে শাসকদল  ঘুরে দাঁড়াতে ভোট ময়দানে ঝাঁপিয়েছে। আলিপুরদুয়ারে নিচু তলার বিজেপির (BJP) কর্মী-সমর্থক থেকে সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও বিজেপির প্রতি ঝোঁক একটা রয়ে গিয়েছে। ফলে, শাসক দলের উন্নয়নকে হাতিয়ার করে যতই প্রচার চালাক না কেন, শেষ পর্যন্ত মানুষের ভোট কার বাক্সে যায়, সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, বিজেপির সাংসদ-বিধায়কদের কার্যকলাপ দেখে বিরক্ত জেলার মানুষ। তাই ভোটে ওদেরকে মোক্ষম জবাব দেবেন ভোটাররা। জেলা পরিষদ তৃণমূলেরই দখল থাকবে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদায় বিজেপি প্রার্থীর স্বামীকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Malda: মালদায় বিজেপি প্রার্থীর স্বামীকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আবারও উত্তপ্ত মালদার মানিকচক। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থীর স্বামীকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে একই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থীর স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) মানিকচক ব্লকের এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোহনা-১ নম্বর কলোনি এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    জানা যায় মানিকচক ব্লকের এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩৮ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন সামিনা খাতুন। বিজেপি প্রার্থীর স্বামী রেজাউল হকের অভিযোগ, মনোনয়নপত্র জমা করার পর থেকেই তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হত। শুক্রবার রাতে আমাকে ফোন করে একই বুথের তৃণমূল প্রার্থী সালমা সুলতানের স্বামী তথা তৃণমূল নেতা এমডি আনোয়ার আলি ডেকে পাঠায়। এরপর এমডি আনোয়ার আলি সহ ছয়-সাতজন মিলে আমাকে বেধড়ক মারধর করে। আমাকে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কোনওমতে সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা হয় আমার। রাতেই বিজেপি প্রার্থীর স্বামীকে উদ্ধার করে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মালদা (Malda) মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে মালদা (Malda) জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি শুভময় বসু বলেন, পঞ্চায়েতে সব আসনে বিজেপি প্রার্থী দিতে পারেনি। জেলায় বিজেপির কোনও সংগঠন নেই। তাই, এই সমস্ত মিথ্যা অভিযোগ তুলে মানিকচকে বাজার গরম করতে চাইছে বিজেপি। আসলে বিরোধীদের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তাই তারা ভয় পাচ্ছে। মালদা জেলায় সব থেকে শান্তিপূর্ণভাবে মনোনয়ন পর্ব মিটেছে। তাই এই সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এই ধরনের কোনও হামলার ঘটনা ঘটেনি। নিজেরা হেরে যাওয়ার ভয়ে এই ধরনের মিথ্যা নাটক করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: গরু পাচার রুখে ৭ টি গরু উদ্ধার করলেন অগ্নিমিত্রা, এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য

    Asansol: গরু পাচার রুখে ৭ টি গরু উদ্ধার করলেন অগ্নিমিত্রা, এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধভাবে ট্রাকে লোড করে ৭টি গরু পাচার করা হচ্ছে, এই অভিযোগে একটি গরু বোঝাই গাড়ি আটকে দিল আসানসোল (Asansol) দক্ষিণের বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পল। গাড়ি আটক করায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়।

    কীভাবে উদ্ধার হল?

    শুক্রবার বিকালে আসানসোলের (Asansol) ভগৎ সিং মোড়ে গরু সমেত একটি গাড়িটিকে আটকে দেন বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পল। গাড়িতে উপযুক্ত কাগজপত্র ছিল না বলে দাবি করেন তিনি। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিকরা। গাড়িটি পুরুলিয়ার দিক থেকে আসানসোলে আসছিল বলে জানিয়েছেন গাড়ির চালক। আসানসোল  দক্ষিণ থানার পুলিশ গাড়িটি আটক করে নিয়ে যায়। ভগৎ সিং মোড় এলাকায় গরু বোঝাই গাড়ি আটকে দেওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে জমায়েত হয় অনেক পথ চলতি মানুষও।

    কী বললেন বিধায়কিয়া (Asansol)?

    বিজেপি বিধায়িকা (Asansol) অগ্নিমিত্রা পল বিষয় সম্পর্কে বলেন, আমি খবর পেয়েছি এই রাস্তা দিয়ে অবৈধ ভাবে গরু পাচার চলছে! তারপর রাস্তায় এসে গরু সমেত একটি গাড়ি উদ্ধার করি। গাড়ির চালকের কাছে শীলমোহর সমেত কোনও বৈধ কাগজ ছিল না। একটা কাগজে ২টি গরুর কথা বললেও গাড়িতে মোট সাতটি গরু দেখা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বেজেপি নেত্রী। কাশীপুর থেকে অবৈধ ভাবে এই গরু আনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। বিধায়িকা আরও দাবি করেন, এই রাস্তায় প্রত্যেকদিন ৪০০ থেকে ৫০০ ট্রাকে করে গরু পাচার হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমি একা কত গরু আটকাবো! সরকার এই গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। প্রত্যেক থানায় পুলিশদের কাটমানি দিয়ে অবৈধ ভাবে গরু পাচার করা হচ্ছে। পুলিশের কাছে সব খবর আছে। এমন নয় যে পুলিশের চোখের আড়ালে সব ঘটছে। এরপর আরও বলেন, বলা হয় যে অসুস্থ বা বিকলাঙ্গ গরুদের কাটা যেতে পারে, কিন্তু এই ট্রাকে থাকা সবকটা গরু অপূর্ণ বয়সের গরু! উল্লেখ্য গাড়িতে কোনও নম্বর প্লেট নেই বলে জানান তিনি। পুলিশের সম্পর্কে আরও বলেন তিনি, পুলিশ শুধু বিজেপির কর্মীদের আটকাতে বেশী তৎপর। অবৈধ চোরাচালান আটকাতে ব্যর্থ পুলিশ। সরকার এই গরু পাচারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে গরু পাচার আটকানো সম্ভব নয়। 

    প্রশাসনের ঘুম কবে ভাঙে, সেটাই এখন দেখার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একই পরিবারের দুই গৃহবধূ, লড়াইয়ের ময়দানে দুই জা

    Purba Medinipur: প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একই পরিবারের দুই গৃহবধূ, লড়াইয়ের ময়দানে দুই জা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুসম্পর্ক বজায় রেখে ভোটের ময়দানে এবার দুই জা। শুরু করেছেন তাঁরা নির্বাচনী প্রচার। এমনই ছবি ধরা পড়লো মহিষাদল (Purba Medinipur) ব্লকের সতীশ সামন্ত অঞ্চলের ২০ নম্বর বুথে। নির্বাচন নিয়ে দুজনেই দুই দলের থেকে জয় বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। 

    দুই জা, পরস্পর বিরোধী দলের প্রার্থী (Purba Medinipur)

    গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন একই পরিবারের দু জা। একজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপির হয়ে, অন্যজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তৃণমূলের হয়ে। মহিষাদলের (Purba Medinipur) সতীশ সামন্ত অঞ্চলের ২০ নম্বর বুথে বিজেপি প্রার্থী শ্রাবন্তী দাস এবং তৃণমূল প্রার্থী পাপিয়া দাস। এঁরা দুজনে একই পরিবারেরে দুই ভাইয়ের স্ত্রী অর্থাৎ দুজনে সম্পর্কে জা। দুজনেই গৃহবধূ, দুজনেই এই প্রথমবার রাজনীতির ময়দানে। যদিও প্রত্যেকে এখন পৃথক ভাবে বসবাস করেন। তবে এই পরিবারের সবাইকার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রয়েছে বলে জানা গেছে। পরিবারের দুই বউমা হলেন এবারে নির্বাচনে দুই বিরোধী প্রার্থী। ইতিমধ্যে দুই রাজনৈতিক দল তৃণমূল ও বিজেপি উভয়েই প্রচার শুরু করে দিয়েছে।

    বিজেপি প্রার্থীদের বক্তব্য

    দুই জা-এর মধ্যে বিজেপি প্রার্থী শ্রাবন্তী দাস বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের যে যোজনা গুলি রয়েছে, সেগুলিকে নিয়ে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে (Purba Medinipur) গিয়ে প্রচার করব। সাধারণ মানুষ তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে এই তৃণমূলের আমলে, এই কথাও বলেন তিনি। মানুষকে বোঝাবো ভোট দিয়ে বিজেপির হাত শক্ত করলে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প গুলিকে দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। শ্রাবন্তী দেবী আরও বলেন, আমরা এলাকায় নির্বাচন নিয়ে ভীষণ আশাবাদী।

    তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্য

    অপর দিকে তৃণমূল প্রার্থী পাপিয়া দাস বলেন, পারিবারিক সম্পর্ক ঠিক রেখে আমরা রাজনৈতিক ময়দানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো। তিনি আরও বলেন, আমরা ধীরে ধীরে নির্বাচনে প্রচার শুরু করেছি। এই অঞ্চলে (Purba Medinipur) তৃণমূলের জয় বিষয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত জানিয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক বিরোধিতা কখনই পরিবারে প্রভাব পড়বে না বলে জানান পাপিয়া দাস ।  

    এখন দেখার বিষয় কোন জা জনগণের আর্শীবাদ পেয়ে ভোটে জিতে আসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: মধ্যরাতে বিজেপির বুথ সভাপতির বাড়িতে বোমাবাজি, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    North 24 Parganas: মধ্যরাতে বিজেপির বুথ সভাপতির বাড়িতে বোমাবাজি, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি বুথ সভাপতির বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা মারার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে গেলেন বনগাঁ (North 24 Parganas) উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া। এই রাজ্যে বিরোধীরা কতটা সুরক্ষিত? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিজেপি বিধায়ক।

    কোথায় ঘটেছে? (North 24 Parganas)

    উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বনগাঁ ব্লকের ধর্মপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাইপুর গ্রামের ৬৮ নম্বর বুথের সভাপতি দিলীপ মজুমদারের বাড়ি লক্ষ্য করে গতকাল গভীর রাতে বোমা মারার অভিযোগ উঠেছে। বুথ সভাপতি দিলীপ মজুমদারের বাড়িতে গতকাল রাতে হঠাৎ করে বিকট আওয়াজে ঘুম ভাঙ্গে তাঁদের পরিবারের, এরপর বাইরে বেরিয়ে ধোঁয়া দেখতে পান। এরপরে লক্ষ করেন যে বাড়ির পিছনের দিকে বোমের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই বোম মেরেছে। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে আসে বনগাঁ থানার পুলিশ।

    বিজেপি বিধায়কের বক্তব্য

    এই বিষয়ে বনগাঁ উত্তরের (North 24 Parganas) বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া বলেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এই সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক ভাবে মোকাবেলা করা হবে বলে জানান তিনি। রাত্রি সাড়ে ১২ টার সময় এই বোমাবাজি হয়েছে বলে জানান তিনি। তারপর সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনার ২ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ বলে জানান অশোকবাবু। বিধায়ক বলেন, এই রাজ্যে বিরোধীরা কতটা সুরক্ষিত? মুখ্যমন্ত্রী একজন রক্ত পিপাসু মহিলা, তিনি রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার হিসাবে একজন মাতালকে বসিয়েছেন। রাজ্য জুড়ে বিরোধীদের রক্ত নিয়ে খেলায় মেতেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধায়ক আরও বলেন যে কোনও প্রাণহানি ঘটলে তার দায়িত্ব নিতে হবে কমিশন এবং রাজ্যের শাসক দলকেই। এই এলাকায় বিজেপির মনোনয়নের ফলে তৃণমূল ভয় পেয়েছে আর তাই আমাদের বুথ সভাপতিদের বাড়িতে গিয়ে বোমাবাজি করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই ধর্মপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি বিপুল ভোটে জয়ী হবে বলে মত প্রকাশ করেন বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া।

    কতটা সুরক্ষিত নির্বাচন?

    রাজ্যজুড়ে নির্বাচনে শাসক দলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন বলে বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করছেন। ব্যারাকপুরে মনোনয়নের পর থেকে কোলের সন্তান নিয়ে ঘরছাড়া হয়েছেন বিজেপির মহিলা প্রার্থীরা। মেদিনীপুরের দাসপুরে বিরোধী প্রার্থীর বাড়িতে পাঠানো হয়েছে সাদা থান। হুমকি দেওয়া হয়েছে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে। এবার অভিযোগ উঠেছে উত্তর ২৪ পরগণার (North 24 Parganas) বনগাঁয় বোমাবাজির। বিজেপি কোনও প্রার্থী, কর্মী, নেতা কেউ নির্বাচনকে ঘিরে সুরক্ষিত নয় বলে দাবি করেন বিজেপি জেলা নেতৃত্ব। ৮ই জুলাই, একদফা পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন, রাজ্যের নির্বাচন কমিশন কতটা শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ নির্বাচন করাতে পারে, সেটাই এখন দেখার।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘না আছে লাজ, না আছে লজ্জা’’! কমিশন, রাজ্যকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘না আছে লাজ, না আছে লজ্জা’’! কমিশন, রাজ্যকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বাহিনী ইস্যু হোক বা কমিশনের ভূমিকা, সবকিছু নিয়েই আদালত অসন্তুষ্ট, কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বললেন, ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশনার নির্লজ্জ। রাজ্য সরকারও তাই। কলকাতা হাইকোর্ট এবং দেশের সর্বোচ্চ আদালত যেভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও রক্তপাত বন্ধ করতে যেভাবে এগিয়ে এসেছে তা এক কথায় প্রশংসনীয়’।

    শুভেন্দুর দাবি

    নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েত ভোটকে (Panchayat Election 2023) সামনে রেখে পদযাত্রায় অংশ নিয়ে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলকে নিশানা করে শুভেন্দু বলছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিলের সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও মনোনয়ন পেশ করছে তৃণমূল। আর এতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা এবং অন্যান্য বিডিও-রা যুক্ত। এদের “না আছে লাজ আর না আছে লজ্জা”। কমিশন ও সরকারের এই ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদেরকে শীঘ্রই সিবিআই তদন্তের আওতায় আনা উচিত বলেও দাবি জানাচ্ছেন তিনি। সামান্য লজ্জা থাকলেও তার চেয়ার থেকে সরে যাওয়া উচিত বলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য

    সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আশা

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামের ৫৩ টা বুথে আমাকে প্রচার করতে দেওয়া হয়নি। এবার সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। খেলা এবার আমি দেখাব।” কলকাতা হাইকোর্টের তরফে পঞ্চায়েত ভোটে নথি বিকৃত করার অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকেও স্বাগত জানান শুভেন্দু। তাঁর কথায়,”মনোনয়ন পর্বে পুলিশ প্রশাসনের একাংশকে সাথে নিয়ে ব্যাপক কারচুপি করেছে কমিশন।”  প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের থেকেও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন করাতে হবে৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে বুধবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: জেলা পিছু এক কোম্পানি! ‘নামকাওয়াস্তে’ কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল কমিশন

    Panchayat Election 2023: জেলা পিছু এক কোম্পানি! ‘নামকাওয়াস্তে’ কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য নির্বাচন কমিশন জেলা প্রতি মাত্র এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়ার পর কটাক্ষ বিরোধীদের। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পর রাজ্য নির্বাচন কমিশন প্রতি জেলায় মাত্র এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে। এর ফলে ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিরোধীরা। পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতও জানায়, সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে রাজ্যে ভোট করতে হবে। তারপরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ২২ জেলার জন্য ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর সেখানেই আপত্তি বিরোধীদের।

    ২২ জেলায় মাত্র ২২০০ জওয়ান

    এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীতে সাধারণত ১০০ থেকে ১০৫ জন সদস্য থাকেন। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজে লাগানো হয় কম-বেশি ৮০ জনকে। ধরে নেওয়া যাক, ১০০ জন জওয়ান থাকবেন প্রত্যেক কোম্পানিতে। সেক্ষেত্রে রাজ্যের ২২ জেলায় মাত্র ২২০০ জওয়ান নিযুক্ত হবেন। এদিকে, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) হতে চলেছে মোট ৬১ হাজার বুথে। এরকম হলে মাত্র একজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের দায়িত্বে থাকতে পারে ২৮ টি বুথ! বিরোধীদের দাবি, এটা মোটেই যথেষ্ট নয়। তাই আবার আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। 

    বিজেপির দাবি

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘প্রতি জেলায় ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। আদালতের নির্দেশের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে ভোটে বুথ, সেক্টর, থানা, স্ট্রং-রুম এবং গণনা কেন্দ্রের দায়িত্বে যৌথ ভাবে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ। কোনও বাহিনীর বিরুদ্ধেই যাতে অভিযোগ না ওঠে, তাই এই সিদ্ধান্ত। তাই আদালতের নির্দেশ যাতে সঠিক ভাবে প্রয়োগ হয়, সেই দাবিই আমরা হাইকোর্টে জানাব।’’ রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘স্বেচ্ছাচারিতা, দখলদারি এবং নির্লজ্জতার বেনজির দৃষ্টান্ত রাজীব সিংহ। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার জনবিচ্ছিন্ন তৃণমূলকে বাঁচাতে চাইছেন। তবু আমরা বলছি যে, প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে তৃণমূলকে।’’ শমীকের সংযোজন, ‘‘নামকাওয়াস্তে কেন্দ্রীয় বাহিনী এনেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনার তৃণমূলকে রক্ষা করতে পারবেন না। আর গোটা বিষয়টাই আদালতের নজরদারিতে হচ্ছে।’’

    আরও পড়ুন: বহাল হাইকোর্টের রায়, পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ২২ জেলার জন্য ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই মতো বাহিনী পাঠানোর নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্র। এই ২২ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে বিএসএফের ৮, সিআরপিএফের ৬, এসএসবির ৪ এবং আইটিবিপির ৪ কোম্পানি। এই ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন যাতে সুষ্ঠু ভাবে হয় সেই জন্য এস সি বুদাকোটিকে নোডাল অফিসার হিসাবে রাজ্যে নিযুক্ত করেছে কেন্দ্র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share