Tag: bjp

bjp

  • Delhi Pollution: ‘দিল্লি এখন গ্যাস চেম্বার’, আপ সরকারকে আক্রমণ বিজেপি নেতা শেহজাদ পুনাওয়ালার

    Delhi Pollution: ‘দিল্লি এখন গ্যাস চেম্বার’, আপ সরকারকে আক্রমণ বিজেপি নেতা শেহজাদ পুনাওয়ালার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা রাজধানী (Delhi Pollution)। বুধবার সকাল হতেই পরিপূর্ণ গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়ে যায় দিল্লি, গুরুগ্রাম, নয়ডা সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। এদিন সকালে দিল্লি ও সন্নিহিত অঞ্চলে বায়ুদূষণের সূচক ছিল ‘খুব খারাপ’ ক্যাটিগরির। দিল্লির এই অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা (Shehzad Poonawalla)। দিল্লির বায়ুর গুণমানের মারাত্মক অবনতির জন্য তিনি আম আদমি পার্টিকে (AAP) দায়ী করেছেন। 

    আম আদমি পার্টি চুপ কেন

    পুনাওয়ালা (Shehzad Poonawalla) বলেন, “আপ আগে পাঞ্জাবের পোড়ানো খড়কে দিল্লির দূষণের কারণ হিসেবে দোষারোপ করত। তবে এখন পাঞ্জাবে ৬০০০টিরও বেশি খড় পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে, অথচ তারা এ বিষয়ে চুপ। বায়ু দূষণের জন্য আম আদমি পার্টি দীপাবলি, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানাকে দায়ী করতে পছন্দ করে, কিন্তু দিল্লির অভ্যন্তরীণ কারণগুলো সম্পর্কে তারা একেবারে নীরব।” পুনাওয়ালা আরও বলেন, “চাহিদা অনুযায়ী কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, ফলে দিল্লির পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। দিল্লি এখন গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ নিমেষে ধ্বংস হবে হাজার কিমি দূরের যুদ্ধজাহাজ, ডিআরডিও-র নয়া মিসাইলের পরীক্ষা শীঘ্রই

    দূষিত দিল্লি, শ্বাস নেওয়া সমস্যার

    উল্লেখ্য, ধোঁয়াশার কারণে দিল্লিতে (Delhi Pollution) দৃশ্যমানতা নেমে যাওয়ায় বুধবার সকালে অন্তত সাতটি বিমান ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও বেশ কিছু বিমান দেরিতে ছাড়ছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ৬টি উড়ানকে জয়পুর এবং একটিকে লখনউয়ে পাঠাতে হয়। সকাল ৭টা পর্যন্ত বিমান ওঠানামায় খুবই বেগ পেতে হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লির বাতাসে দূষণের মাত্রা ছিল ৩১৬। কিন্তু, বুধবার ভোরের মধ্যে তা ৩৭০-এ পৌঁছে যায়। একইসঙ্গে দৃশ্যমানতা খুবই খারাপ স্তরে পৌঁছে যায়। এদিন সকালে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সূচকের মাত্রা অনুযায়ী দিল্লি-এনসিআর এলাকায় খুব খারাপ আবহাওয়ার কারণে ফের একবার জনস্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই মাত্রায় দূষণ থাকলে শিশু-বৃদ্ধ সহ সাধারণ বয়সের মানুষের মধ্যেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এদিন আনন্দ বিহারে দূষণের মাত্রা ছিল ৩৯৯। পাঞ্জাবিবাগ ও অশোক বিহারে তা ছিল ৩৮২ ও ৩৭৬। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই হানিকারক। দিল্লি ছাড়াও নয়ডায় দূষণের মাত্রা ছিল ৩৫৩। গাজিয়াবাদে ৩৩৯, গুরুগ্রামে ৩৪৪ এবং ফরিদাবাদে ২৬২। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jharkhand Assembly Election 2024: মাওবাদী এলাকায় কড়া নিরাপত্তা, ঝাড়খণ্ডে গণতন্ত্রের উৎসব পালনের ডাক প্রধানমন্ত্রীর 

    Jharkhand Assembly Election 2024: মাওবাদী এলাকায় কড়া নিরাপত্তা, ঝাড়খণ্ডে গণতন্ত্রের উৎসব পালনের ডাক প্রধানমন্ত্রীর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের ৮১টি বিধানসভা (Jharkhand Assembly Election 2024) কেন্দ্রের মধ্যে প্রথম দফায় ৪৩টিতে ভোটগ্রহণ শুরু হল সকালে। ভোট প্রক্রিয়া শুরু হতেই ঝাড়খণ্ডবাসীর উদ্দেশ্য়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)৷ প্রথম ভোটারদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি ৷ এদিন ঝাড়খণ্ডে ১৫,৩৪৪টি বুথে ভাগ্যপরীক্ষা হবে ৬৮৩ জন প্রার্থীর। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

    প্রধানমন্ত্রীর আর্জি

    বাংলার পড়শি রাজ্যে প্রথম দফায় যে ৪৩টি আসনে ভোট হচ্ছে, চলতি বছরের লোকসভা ভোটের হিসেবে এই ৪৩টি আসনের মধ্যে ২৬টিতে এগিয়ে বিজেপি (Jharkhand Assembly Election 2024)। এই ৪৩টি আসনের মধ্যে ২০টি তফসিলি জনজাতি এবং ছ’টি তফসিলি জাতির প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত। ঝাড়খণ্ডবাসীকে গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নতুন ভোটারদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সকলকে উৎসাহের সঙ্গে ভোট দিতে বলেছেন তিনি। ঝাড়খণ্ডের পাশাপাশি বুধবার পশ্চিমবঙ্গের ছ’টি-সহ ১০ রাজ্যের ৩১টি বিধানসভায় উপনির্বাচন হচ্ছে। কেরলের ওয়েনাড় উপনির্বাচনে ‘ভাগ্যপরীক্ষা’ হচ্ছে কংগ্রেস প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর। 

    মাওবাদী অঞ্চলে কড়া নিরাপত্তা

    ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand Assembly Election 2024) মাওবাদী উপদ্রুত এলাকাগুলিতে ভোটগ্রহণ চলছে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে। একদা মাওবাদীদের মুক্তাঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে হিংসা না ঘটলেও ঝুঁকি এড়াতে প্রতি বুথেই মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই পর্বের ভোটে কোলহান ডিভিশন (দুই সিংভূম, সেরাইকেলা এবং খরসঁওয়া জেলা) এবং পলামুতে ভোট হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্তের বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারি, দুর্নীতির পাশাপাশি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব এ বারের ভোটে ধারাবাহিক ভাবে ‘জমি জিহাদে’ মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। অভিযোগ, জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোট সরকারের মদতে গত পাঁচ বছরে আদিবাসীদের জমি গ্রাস করছেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। প্রথম দফার ভোটে বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেন (সেরাইকেলা), তাঁর পুত্র বাবুলাল (ঘাটশিলা), দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী—মধু কোড়ার স্ত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদ গীতা কোড়া (জগনাথপুর) এবং অর্জুন মুন্ডার স্ত্রী মীরা (পোটকা)। বিজেপির আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের পুত্রবধূ পূর্ণিমা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘প্রত্যেক ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া আছে’’, বাংলাদেশে অত্যাচারিত হিন্দুদের পাশে দাঁড়ালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘প্রত্যেক ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া আছে’’, বাংলাদেশে অত্যাচারিত হিন্দুদের পাশে দাঁড়ালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের বিরোধিতায় হাইকোর্টের অনুমতিতে কলকাতায় মিছিলে অংশগ্রহণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার কলকাতার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ থেকে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন পর্যন্ত ওই মিছিলের আয়োজন করে গিরি গোবর্ধনধারী চ্যারিটেবল ট্রাস্ট নামে একটি সংগঠন। সেখানেই পদ্মাপাড়ে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ জানালেন শুভেন্দু।

    পেট্রাপোল সীমান্তে প্রতিবাদ!

    এদিন মিছিলে অংশগ্রহণ করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘মনে রাখবেন প্রত্যেক ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া আছে। আমরা আক্রান্ত। আমরা বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনারকে সেই বার্তা দিতে চাই। আপনারা শুনলে অবাক হয়ে যাবেন। বাংলাদেশে একজন মৌলবাদী নেতা বলেছেন, হিন্দুদের দোকানে চুল – দাড়ি কাটবেন না। হিন্দুদের দোকান থেকে মিষ্টি কিনবেন না। বন্ধ করুন এই সব। বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়ন বন্ধ না হলে আমরা পেট্রাপোল সীমান্তে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করে আসব। আপনারা সঙ্ঘবদ্ধ, ঐক্যবদ্ধ হোন। আমার বিরুদ্ধে যেখানে পারেন অভিযোগ করুন ভয় পাই না। মন্দির ভাঙার বিরুদ্ধে, হিন্দুদের আক্রমণের বিরুদ্ধে আক্রমণ হলে আমাদের ধর্ম রক্ষা করার কাজ আমরা চালিয়ে যাব। কেউ আমাদের রুখতে পারবে না।’’

    পথে নামলেন শুভেন্দু

    বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে হিন্দুদের ওপর লাগাতার নির্যাতন চলছে। ইতিমধ্যে সেদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচের সরব হয়েছেন আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য তৎপর হতে অনুরোধ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে সরাসরি পথে নামলেন তিনি। এদিন মিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সভায় শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ছাড়াও হাজির ছিলেন রেখা পাত্র, কৌস্তুভ বাগচী সহ অন্যান্যরা।

    আরও পড়ুন: নিমেষে ধ্বংস হবে হাজার কিমি দূরের যুদ্ধজাহাজ, ডিআরডিও-র নয়া মিসাইলের পরীক্ষা শীঘ্রই 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: একজন মাত্র বিজেপি বিধায়ক থাকলেও মুসলিম সংরক্ষণে ‘না’, কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি অমিত শাহের

    Amit Shah: একজন মাত্র বিজেপি বিধায়ক থাকলেও মুসলিম সংরক্ষণে ‘না’, কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যতদিন পর্যন্ত একজন বিজেপি বিধায়ক থাকবেন, আমরা মুসলমানদের জন্য সংরক্ষণের অনুমতি দেব না।” কার্যত এই ভাবেই ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনী প্রচারে ইন্ডি জোটকে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা প্রবীণ বিজেপি নেতা অমিত শাহ (Amit Shah)। একইভাবে সংরক্ষণ নীতির ইস্যুতে কংগ্রেসকে (Congress) তোপ দাগেন তিনি। উল্লেখ্য, বুধবার, ১৪ নভেম্বর এই রাজ্যে প্রথম দফায় নির্বাচন এবং ২০ নভেম্বর  দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন। ভোটের গণনা ২৩ নভেম্বর। নির্বাচনী প্রচারে ব্যাপক জমজমাট।

    চোরেরা ভেবেছিল টাকা নিয়ে পালিয়ে যাবে (Amit Shah)!

    ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বিজেপি নেতা অমিত শাহ (Amit Shah) ভাষণ দিয়ে বলেন, “দেশের বিরোধী দল কংগ্রেস (Congress) একটি সংরক্ষণ বিরোধী দল। তারা মুসলমান সমাজকে সংরক্ষণ দেওয়ার জন্য ভারতের হিন্দু সমাজের অনগ্রসর শ্রেণির সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে অবলুপ্ত করতে চায়। কিন্তু এই আশা কোনও দিনই বাস্তবে পূরণ হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত বিজেপির একজন বিধায়কও থাকবেন, ততক্ষুণ পর্যন্ত মুসলমানদের জন্য সংরক্ষণ নীতিকে তাঁরা অনুমতি দেবেন না। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার মন্ত্রী আলমগীর আলমের বাড়ি থেকে ৩৫ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। একই ভাবে একজন কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে ৩৫০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ টাকা কার? এই টাকা ধানবানদের, দরিদ্র যুবক-যুবতী এবং গরিব মায়েদের কাছ থেকে লুট করা হয়েছে। চোরেরা ভেবেছিল, টাকা নিয়ে পালিয়ে যাবে! এখানে বিজেপির সরকার গড়ুন, আমরা দুর্নীতিগ্রস্থদের সোজা করে দেবো।”

    আরও পড়ুনঃ নিমেষে ধ্বংস হবে হাজার কিমি দূরের যুদ্ধজাহাজ, ডিআরডিও-র নয়া মিসাইলের পরীক্ষা শীঘ্রই

    কৃষকদের ধান প্রতি কুইন্টাল ৩১০০ টাকায় কেনা হবে

    একইভাবে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এবং কংগ্রেসকে (Congress) আক্রমণ করে আমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “মনরেগা প্রকল্পে জেএমএম সরকারের প্রধান ১০০০ কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারি করেছেন। একই সঙ্গে খনিজ সম্পদে কেলেঙ্কারি, জমি কেলেঙ্কারি-সহ একাধিক দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত। এই রাজ্যে দুর্নীতিমুক্ত সরকার গঠন করা মোদির গ্যারান্টি। মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২১০০ করে টাকা দেওয়া হবে। ৫০০ টাকায় গ্যাস দেওয়া হবে। দীপাবলি এবং রাখীবন্ধনে বিনামূল্যে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করে দেবো আমরা। রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠন হলে যুবকরা ২০০০ করে টাকা পাবেন। কৃষকদের ধান প্রতি কুইন্টাল ৩১০০ টাকায় কেনা হবে। প্রতিবন্ধী এবং বিধবাদের জন্য পেনশেন ২৫০০ টাকা বৃদ্ধি করা হবে।”

    আদিবাসী সমাজের উন্নয়নে কাজ করবে

    এই প্রসঙ্গে রাজ্যের অনুপ্রবেশকারীদের সমস্যা নিয়ে সরব হয়েছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি আরও বলেন, “রাজ্যের মানুষের অধিকারকে কেড়ে নিচ্ছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। আদিবাসী সমাজের মহিলাদের প্রলোভন দিয়ে বিয়ে করছে। এরপর আদিবাসীদের সম্পত্তির উপর আধিপত্য বিস্তার করে সুকৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে সকল অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে ফেরৎ পাঠানো হবে। স্থানীয় ভূমিপুত্রদের অধিকারকে কোনও রকম ভাবেও খর্ব করা যাবে না। আদিবাসী সমাজের উন্নয়নের জন্য কাজ করবে বিজেপি।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Canada: খালিস্তানি হামলার আশঙ্কা, কানাডার মন্দিরে ভারতীয় দূতাবাসের অনুষ্ঠান বাতিল

    Canada: খালিস্তানি হামলার আশঙ্কা, কানাডার মন্দিরে ভারতীয় দূতাবাসের অনুষ্ঠান বাতিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার (Canada) ব্রাম্পটনের মন্দিরে সম্প্রতি হামলা হয়েছে। এই আবহে সেখানকার ত্রিবেণী মন্দিরে ভারতীয় দূতাবাস (Indian Consulate) আয়োজিত একটি অনুষ্ঠান বাতিল করা হল। আশঙ্কা করা হচ্ছে ফের একবার সেখানে বিক্ষোভ দেখাতে পারে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠনগুলি। এছাড়া সেখানে ছড়াতে পারে হিংসাও। সমাজ মাধ্যমে এনিয়ে অনেকেই সরব হয়েছেন কানাডার  (Canada) আইন-শৃঙ্খলার এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নিয়ে।

    ৩ নভেম্বর হামলা হয় কানাডার (Canada) ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরে 

    প্রসঙ্গত, গত ৩ নভেম্বর উগ্র খালিস্তানি সমর্থকরা কানাডার ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দির চত্বরে ঢুকে পড়ে। সেখানে উপস্থিত জনতার ওপর মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই সময় ভারতীয় দূতাবাসের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয় যে এর পরের কনস্যুলেট (Indian Consulate) শিবিরগুলির আয়োজন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেই করা হবে। তাঁরাই নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করবেন। এরপর গত সপ্তাহে ভারতের হাইকমিশন (India in Canada) কনস্যুলেট প্রোগ্রামগুলিকে বাতিল করে। কারণ হিসেবে তারা জানায়, কানাডার (Canada) নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ওই অনুষ্ঠানগুলিতে ন্যূনতম নিরাপত্তাও দিতে পারবে না বলে জানিয়েছে।

    ১৭ নভেম্বরের অনুষ্ঠান বাতিল 

    প্রসঙ্গত, আগামী ১৭ নভেম্বর ত্রিবেণী মন্দিরে ভারতীয় কনস্যুলেটের (Indian Consulate) লাইফ সার্টিফিকেটের ওপর একটি অনুষ্ঠান ছিল। কিন্তু সেখানকার স্থানীয় গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে, ওই অনুষ্ঠানে হামলা হতে পারে। এরপরে মন্দির কমিটি এই অনুষ্ঠান করতে না পারার জন্য সকলের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। ওই মন্দির কমিটির তরফ থেকে যে বিবৃতি জারি করা হয়েছে সেখানে জানানো হয়েছে, হিন্দুরা এখন সেই দেশের মন্দিরে (Canada) আসতেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এজন্য মন্দির কমিটি দুঃখ প্রকাশ করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • AIMPLB: ‘মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড’ বেসরকারি সংস্থা, সরানো হোক ‘বোর্ড’ শব্দ, দাবি বিজেপি নেতার

    AIMPLB: ‘মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড’ বেসরকারি সংস্থা, সরানো হোক ‘বোর্ড’ শব্দ, দাবি বিজেপি নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (এআইএমপিএলবি) থেকে ‘বোর্ড’ শব্দটি সরানোর দাবি জানিয়েছেন বিজেপির (BJP) সংখ্যালঘু মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি জামাল সিদ্দিকি (Jamal Siddiqui)। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই সংস্থা যদি নাম পরিবর্তন না করে, সেক্ষেত্রে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দেবেন, এই সংস্থাকে (AIMPLB) নিষিদ্ধ করার দাবিতে।

    ১৯৭৩ সালে তৈরি হয় অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড

    ভারতে মুসলিমদের ব্যক্তিগত আইনের দিকগুলি দেখার জন্য ১৯৭৩ সালে তৈরি করা হয়েছিল বেসরকারি সংস্থা অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (AIMPLB)। বোর্ডের কাছে তিনি যে চিঠি লিখেছেন, সেখানে সিদ্দিকি (Jamal Siddiqui) যুক্তি দিয়েছেন, ‘‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড একটি বেসরকারি সংস্থা, এটা কোনওভাবেই সরকারি সংস্থা নয়, তাই বোর্ড শব্দ সরানো উচিত।’’ এর পাশাপাশি এআইএমপিএলবি-কে (AIMPLB) সিদ্দিকি যে চিঠি লিখেছেন, সেখানে তিনি, অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের টাকার উৎস এবং অডিট রিপোর্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন।

    মুসলমানদের ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করছে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড

    সংবাদ মাধ্যমকে সিদ্দিকি (Jamal Siddiqui) বলেন, ‘‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের (AIMPLB) কর্মকাণ্ড ভারতীয় মুসলমানদের ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করছে। এর নাম পরিবর্তন করা উচিত।’’ সিদ্দিকি (Jamal Siddiqui) অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে জানিয়েছেন, শুধুমাত্র লাভের দিকে তাকিয়ে এই সংস্থা মুসলিম সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করছে। এরা শুধু নিজেদের লাভের জন্য ভুল তথ্য ছড়ায়।

    সংবিধানসম্মত সংস্থাই কেবল নামের পাশে বোর্ড শব্দ রাখতে পারে

    তিনি আরও জানিয়েছেন, শুধুমাত্র সংবিধান সম্মত সংস্থাই আইনত তাদের নামের পাশে ‘বোর্ড’ শব্দ ব্যবহার করতে পারে। শাহ বানো মামলা ও ওয়াকফ সংশোধনী বিল সহ বিভিন্ন বিষয়ে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (AIMPLB) যে ধরনের অবস্থান নিয়েছে, তার সমালোচনা করেছেন সিদ্দিকি (Jamal Siddiqui)। তিনি দাবি করেন, এই সংস্থা প্রতি পদে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে, এর ফলে সমগ্র মুসলমান সম্প্রদায়ের কল্যাণ হয় না ও তাদের অগ্রগতি ব্যাহত হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “উপজাতি মহিলাদের বিয়ে করে জমি হাতাতে পারবে না অনুপ্রবেশকারীরা”, বললেন শাহ

    Amit Shah: “উপজাতি মহিলাদের বিয়ে করে জমি হাতাতে পারবে না অনুপ্রবেশকারীরা”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ‘ধান্ধা’য় কোপ অমিত শাহের (Amit Shah)! কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘উপজাতি মহিলাদের বিয়ে করে জমি হাতিয়ে নিতে পারবে না অনুপ্রবেশকারীরা।’

    কী বললেন শাহ? (Amit Shah)

    সোমবার ঝাড়খণ্ডের সেরাইকেলায় নির্বাচনী প্রচারসভায় (Jharkhand Assembly Polls) গিয়ে শাহ বলেন, “ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এমন একটি আইন প্রণয়ন করবে, যা উপজাতি মেয়েদের বিয়ে করে জমি হস্তান্তর করা থেকে অনুপ্রবেশকারীদের রুখবে।” তিনি বলেন, “বিজেপি এভাবে অধিগৃহীত জমি পুনরুদ্ধার করবে। জমি ফিরিয়ে দেওয়া হবে মূল উপজাতি পরিবারের হাতে।”

    ঝাড়খণ্ডে আদিবাসী জনসংখ্যা কমছে!

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ঝাড়খণ্ডে আদিবাসী জনসংখ্যা কমছে। অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের মেয়েদের বিয়ে করে জমি দখল করছে। তারা আদিবাসী মহিলাদের বিয়ে করলে তাদের জমি স্থানান্তর রোধ করার জন্য আমরা একটি আইন প্রণয়ন করব।” তিনি (Amit Shah) বলেন, “অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করতে এবং তাদের উচ্ছেদ করে দখলকৃত জমি পুনরুদ্ধার করতে আমরা একটি কমিটি গঠন করব।”

    জেএমএম-কে আক্রমণ শাহের (Jharkhand Assembly Polls)

    এদিনের সমাবেশে শাহ মুণ্ডপাত করেন রাজ্যের হেমন্ত সোরেন সরকারের। বলেন, “ওরা (হেমন্ত সোরেনের দল) ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রবীণ নেতা চম্পাই সোরেনকে অপমান করেছে। তিনি এখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। অনুপ্রবেশের সমস্যার কথা বলায় তাঁকে অপমান করেছে ওরা।” শাহের (Amit Shah) দাবি, “চম্পাই আদিবাসীদের অধিকার ও অনুপ্রবেশ নিয়ে কথা বলায় তাঁকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়েছিল।”

    আরও পড়ুন: ফের অশান্ত মণিপুর, সিআরপিএফ শিবিরে হামলা, গুলিতে হত ১১ কুকি জঙ্গি

    চম্পাইয়ের বহিষ্কারে আদিবাসীদের অপমান  

    শাহ (Amit Shah) বলেন, “চম্পাই সোরেন এত বছর ধরে গুরুজি (শিবু সরেন) এবং হেমন্ত সোরেনের প্রতি বিশ্বস্ত থেকেছেন। কিন্তু তাঁকে যেভাবে অপমান ও বহিষ্কার করা হয়েছে, তা কেবল তাঁর নয়, সমগ্র আদিবাসী সমাজের অপমান। চম্পাই সোরেন কেবল এই একটিই দাবি করেছিলেন যে এই অনুপ্রবেশ বন্ধ হওয়া উচিত। কিন্তু তারা (জেএমএম) তা করতে রাজি নয়।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “রাজ্যের শাসক জোট — ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল শুধুমাত্র ব্যক্তিগত উন্নতি করছে। করছে দুর্নীতিও।” তিনি বলেন, “যদি ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand Assembly Polls) বিজেপি সরকার গঠন করে, তবে জেএমএম-নেতৃত্বাধীন জোটের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের জেলে পাঠানো হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

  • Maharashtra Assembly Elections 2024: মহারাষ্ট্রের ভোটে প্রভাব ফেলছে অনুপ্রবেশকারী মুসলমানরা! বলছে সমীক্ষা

    Maharashtra Assembly Elections 2024: মহারাষ্ট্রের ভোটে প্রভাব ফেলছে অনুপ্রবেশকারী মুসলমানরা! বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরব সাগরের তীরেও মাথাব্যথার কারণ সেই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। প্রতিনিয়ত যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ঝাড়খণ্ড, ধামাচাপা দিয়ে কেন্দ্রের আইওয়াশ করছে পশ্চিমবঙ্গ (অন্তত এমনই অভিযোগ বিরোধীদের), সেই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরাই ‘এক্স ফ্যাক্টর’ মহারাষ্ট্র (Maharashtra) বিধানসভা নির্বাচনে (Maharashtra Assembly Elections 2024)।

    কী বলছে গবেষণাপত্র (Maharashtra Assembly Elections 2024)

    সম্প্রতি টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেসের (টিস) একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও মায়ানমার থেকে আগত মুসলমানদের সংখ্যা মুম্বইতে বাড়ছে হুহু করে। কিছু রাজনৈতিক দল তাদের ব্যবহার করছে ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে। এই গবেষণায় এও বলা হয়েছে, অনুপ্রবেশকারীরা শহরের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থাকে প্রভাবিত করছে। তারা অদক্ষ শ্রমিকের কাজ করছে। শ্রমিক সহজলভ্য হওযায় মজুরি কমছে স্থানীয়দের। প্রসঙ্গত, গবেষণাপত্রটির শিরোনাম ছিল ‘মুম্বইতে অবৈধ অভিবাসী: সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিণতি বিশ্লেষণ’।

    মুসলমানদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার

    যুগের পর যুগ ধরে ভারতের রাজনৈতিক দলগুলির একটা অংশ মুসলমানদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবেই ব্যবহার করে আসছে। এই দলগুলিই অনুপ্রবেশকারীদের ব্যবহার করছে নানা কাজে। কখনও জাল নথি বানিয়ে, কখনও আবার অন্য কোনওভাবে ওই রাজনৈতিক দলগুলি অনুপ্রবেশকারীদের মিশিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে এ দেশের মূলস্রোতে। টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেসের গবেষণাপত্রেও প্রায় একই কথা বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘কিছু রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করতে গিয়ে ব্যবহার করে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে। ভোটার নিবন্ধন কারসাজির অভিযোগও উঠেছে। অনথিভুক্ত অনুপ্রবেশকারীরা জাল ভোটার আইডি সংগ্রহ করে অংশগ্রহণ করে নির্বাচনে। ফলে নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অখণ্ডতা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে (Maharashtra Assembly Elections 2024)।’

    ধর্মীয় জনসংখ্যার ভারসাম্যেও পরিবর্তন

    গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, কিছু রাজনীতিবিদ ভোটের জন্য অনুপ্রবেশকারীদের আইডি বা রেশন কার্ড তৈরি করে দেওয়ার পক্ষে। তবে এতে সমস্যা ক্রমেই বাড়ছে। কারণ রাজনীতি-চালিত অনুপ্রবেশের জেরে বাড়ছে মেরুকরণ। এটি প্রভাব ফেলতে পারে নির্বাচনী ফলে। এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক ইস্যুগুলি থেকে মনোযোগ সরে যেতে পারে।গবেষণায় আরও দাবি করা হয়েছে, মুসলমান অনুপ্রবেশকারীদের উল্লেখযোগ্য প্রবাহ ধর্মীয় জনসংখ্যার ভারসাম্যেও পরিবর্তন এনেছে। যার জেরে বিশেষ করে মুম্বইয়ের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বাড়ছে নিরাপত্তাহীনতা ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে শহরে অপরাধ বৃদ্ধির সম্পর্ক রয়েছে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে ওই গবেষণাপত্রে।

    আরও পড়ুন: আমেরিকায় ট্রাম্প জয়ী হওয়ায় লাভবান হবে ভারত, বলছে রেটিং সংস্থা মুডিজ

    প্রভাব পড়ছে জনবিন্যাসেও

    মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) কিছু এনজিও এবং ধর্মীয় সংগঠনগুলিও এই অনুপ্রবেশকারীদের নিরন্তর সাহায্য করে চলেছে। তার জেরে ঘটছে এলাকার জনসংখ্যাগত পরিবর্তন। যার প্রভাব পড়ছে আরবসাগরের তীরের রাজ্যটির অর্থনীতি এবং রাজনীতিতে। গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, কঠোর নিয়মের কারণে রেজিস্টার্ড এনজিওগুলি প্রায়ই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সহায়তা করা থেকে বিরত থাকে। সেই ফাঁক পূরণ করে অবৈধ এনজিওগুলি। তার জেরেই দ্রুত বদলে যাচ্ছে শহরের জনবিন্যাস। গবেষকরা প্রায় ৩০০০ জন অনুপ্রবেশকারীর সঙ্গে কথা বলেছেন। এর মধ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ৩০০ জনের সঙ্গে কথা বলে প্রকাশ করেছেন রিপোর্টটি (Maharashtra Assembly Elections 2024)। এই তিনশোজন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ধারাভি, গোভান্ডি, মানখুর্দ, মাহিম পশ্চিম এবং আম্বেদকর নগরে।

    লোকসভা নির্বাচনে অনুপ্রবেশকারীদের প্রভাব

    চলতি বছর মে-জুন মাসে হয় লোকসভা নির্বাচন। তার আগে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল একটি বেসরকারি সংস্থা। তারা জানিয়েছিল, মুসলমানরা মহারাষ্ট্রে বিশেষত বিজেপিকে পরাজিত করতে সংঘটিত হয়েছিল। এ রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের ফল খুবই চমকপ্রদ। এখানে বিজেপি ছাড়া অন্য দলগুলোকে সমর্থন করেছিল মুসলমানরা। ওই নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা জেতে ৭টি আসনে। পদ্ম ফোটে ৯টি কেন্দ্রে। অন্যদিকে, এনসিপি (শরদ পাওয়ার), ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস এবং শিবসেনা (ইউবিটি), যারা মুসলমান এবং কমিউনিস্টদের সমর্থন পেয়েছিল, তারা যথাক্রমে জয়লাভ করে ৮, ১৩ এবং ৯টি আসনে। এ থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার, মহারাষ্ট্রের মুসলমানরা বিজেপি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে থাকা রাজনৈতিক দলগুলিকেই ভোট দিয়েছিল (Maharashtra Assembly Elections 2024)। শিবসেনা নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী দীপক কেসারকার, যিনি মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের ঘনিষ্ঠ, পরে একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। তাতে তিনি বলেছিলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে মুসলিমদের ‘ফতোয়া’ জারি হওয়ার কারণেই শিবসেনা (ইউবিটি), ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস, এবং এনসিপি (শরদ পাওয়ার) মুম্বই ও রাজ্যের আরও বেশ কিছু অঞ্চলে বেশিরভাগ আসন জিততে পেরেছে।

    বিজেপির বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি

    জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রেরই পুণে অঞ্চলে ইসলামপন্থীরা বিজেপির বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেছিল। মুসলমান ভোটারদের পুণে, শিরুর, বারামতি এবং মাওয়াল কেন্দ্রের জন্য যথাক্রমে কংগ্রেস, এনসিপি (শরদ পওয়ার) এবং শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে) প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। ইসলামি নেতারা এই ঘোষণা করেছিল ২ মে, কন্ডওয়া অঞ্চলে কুল জামাতি তানজিম পুণে কর্তৃক আয়োজিত ‘তাকরির বাই হযরত মাওলানা সাজ্জাদ নোমানি’ অনুষ্ঠানে। বক্তৃতা দিতে গিয়ে, নোমানি বলেছিলেন যে আজকের প্রত্যেক মুসলিম ভোটারের উচিত তার সম্প্রদায়ের স্বার্থে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করা। তিনি মুসলমানদের মনে ভীতি সঞ্চার করতে গিয়ে বলেন, “যদি মোদি ক্ষমতায় আসেন, তবে সমস্ত মাজার ও মাদ্রাসা ধ্বংস করে দেওয়া হবে।” শিবসেনা (ইউবিটি) দ্বারা মুম্বইয়ে আয়োজিত ওই সমাবেশে ইসলামিক পতাকাও উত্তোলন করা হয়েছিল।

    মুসলমানদের মধ্যে প্রচার

    মহারাষ্ট্র বিধানসভার নির্বাচন হবে ২০ নভেম্বর। জানা গিয়েছে, আসন্ন নির্বাচনের প্রচারে ১৮০টির মতো এনজিও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ফিল্ডে কাজ করছে ‘সচেতনতা’ বাড়াতে। মুসলমানরা যাতে বেশি করে ভোটদান প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে, সেই প্রচারও চালাচ্ছে। এই কৌশলটি লোকসভা নির্বাচনের সময় মহা বিকাশ আগাড়িকে সাহায্য করেছিল। প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিবাজিনগর, মুম্বাদেবী, বাইকুল্লা এবং মালেগাঁও সেন্ট্রালের মতো মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায়, লোকসভা নির্বাচনের সময় ভোটারদের উপস্থিতি পার্শ্ববর্তী বিধানসভা অঞ্চলের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি ছিল। এই বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিভিন্ন সংস্থা মুসলিম ভোটারদের উদ্বেগ এবং গত এক বছর ধরে এই সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা (Maharashtra Assembly Elections 2024) বৃদ্ধির প্রচেষ্টার উল্লেখ করেছে।

    মহারাষ্ট্র মুসলিম সেবা সঙ্ঘ

    মহারাষ্ট্র মুসলিম সেবা সঙ্ঘ ১৮০টিরও বেশি এনজিওর সঙ্গে সহযোগিতা করেছে এবং এই প্রতিষ্ঠানগুলি মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে ভোটার নিবন্ধন ও সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করছে। সংগঠনটি রাজ্যজুড়ে মুসলিম ভোটারদের সঙ্গে বৈঠক ও তথ্য জানানো সেশনের আয়োজন করেছে। সংগঠনের নেতা ফকির মাহমুদ ঠাকুর বলেন, “এর ফলে লোকসভা নির্বাচনে ভোটের হার ৬০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। যা আগের চেয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। আমরা মুসলিমদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যাতে তাঁরা ধর্মনিরপেক্ষ প্রার্থীদের সমর্থন করেন এবং সংবিধানের প্রতি সম্মান রেখে ভোট দেন। অন্যান্য সংগঠন ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতার ফলে একটি শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া এসেছে। রাজ্যজুড়ে (Maharashtra) ২০০টিরও বেশি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা ভোটারদের উপস্থিতি বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে (Maharashtra Assembly Elections 2024)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: ‘‘বিজেপিকে ভোট দেওয়ায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করলে ৭ দিনে টাকা উদ্ধার’’, আশ্বাস শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘বিজেপিকে ভোট দেওয়ায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করলে ৭ দিনে টাকা উদ্ধার’’, আশ্বাস শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচনকে (By Election 2024) কেন্দ্র করে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। রবিবার তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে বেরিয়ে শাসক দলকে ভোট না দিলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বন্ধ করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বাঁকুড়ার তালডাংরার এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। সেখানেই প্রচারে গিয়ে পালটা হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

    ঠিক কী বলেনছেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    এদিন বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে এক জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বিনপুরের সিভিক ভলান্টিয়ারের ছবি দিয়েছি আমি। বিনপুর থানার সিভিক ভোট চাইতে যাচ্ছে। বলছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেব। ওর বাপের টাকা? সরকারের টাকা। আমার জেলায় ১৫টা বিধানসভায় হেরেছে। সৌমিত্র খাঁ জিতেছে। আমাদের এলাকায় একটা মা দিদি বোনের কোনও ভাতা – টাকা – বন্ধ করার ক্ষমতা ওরা দেখাতে পারেনি। আর তালডাংরায় বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য যদি একজন মহিলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়, তাহলে শুধু হোয়াটসঅ্যাপে অ্যাকাউন্ট নম্বরটা দেবেন। সুদ সহ টাকা ৭ দিনের মধ্যে যদি আদায় করতে না পারি, বিরোধী দলনেতা আর কোনও দিন আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসবে ন।’’

    সিভিককে তোপ

    এক্স হ্যান্ডেলে কয়েকটি ছবি পোস্ট করে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, ‘‘ইনি ভীম মণ্ডল। বাঁকুড়ার জেলার ইন্দপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার। দেখা যাচ্ছে, তিনি তালডাংরা বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচার করছেন। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, ভোট না দিলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন এই সিভিক ভলান্টিয়ার। ওর বাপের টাকা? এটা সরকারের টাকা।’’

    কমিশনে বিজেপি

    বাঁকুড়া জেলা বিজেপির তরফে বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দ্রুত পদক্ষেপের আর্জি জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিককে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যদিও ইন্দপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রেজাউল খাঁ বলেন, ‘‘আমাদের লোক সবাই। শুধু সিভিক ভলান্টিয়ার কেন? আমাদের লোক, একজন হাইস্কুলের মাস্টার। প্রাইমারি স্কুলের মাস্টার। আশাকর্মী। সবাই আমাদের লোক। মিথ্যা অভিযোগ। আমাদের দলের ছেলেরা প্রচারে বেরিয়েছিল। রাস্তায় দেখা পেয়েছে। তাঁদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলেছে। ব্যস, এটুকুই। অন্য কিছু নয়। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার জানান, সিভিক ভলান্টিয়ার প্রচার করছেন, এমন কোনও তথ্য আসেনি।’’ ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পের জমিজট না কাটায় চূড়ান্ত হতাশ সুকান্ত, দুষলেন রাজ্যকে

    Dakshin Dinajpur: বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পের জমিজট না কাটায় চূড়ান্ত হতাশ সুকান্ত, দুষলেন রাজ্যকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট-হিলি (Dakshin Dinajpur) রেল প্রকল্পের জমিজট এখনও না কাটায় হতাশ বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর অভিযোগ, জেলা প্রশাসন জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ করে পুরো জমি রেলমন্ত্রককে দিতে না পারায় প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে না। বাজেট বরাদ্দের টাকা রেল দফতর জেলা প্রশাসনকে হস্তান্তর করেছে বেশ কয়েক মাস আগে। কিন্তু এখনও অর্ধেক জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি রাজ্য প্রশাসন। হতাশ সুকান্তবাবু দ্রুত এই কাজ শেষ করে জেলা প্রশাসনকে রেল দফতরের কাছে জমি হস্তান্তর করার দাবি তুলেছেন। সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “জেলা প্রশাসন কিছু জমি রেলকে হস্তান্তর করেছে। কিন্তু এখনও পুরোটা হয়নি। কবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে আমি জানি না, আমরা চূড়ান্ত হতাশ।”

    মাত্র ১০ কিমি রেলপথের জমি হস্তান্তর (Dakshin Dinajpur)!

    ২০০৪ সালে বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) পর্যন্ত ট্রেন ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরেই আন্তর্জাতিক সীমান্ত হিলি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের দাবি ওঠে। সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে ইউপিএ সরকার ওই রেলপথের অনুমোদন দিয়ে দেয়। বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত ২৯.৭ কিলোমিটার পথের জন্য ৩৮৬ একর জমি চিহ্নিত করা হয়। দীর্ঘদিন ওই প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকার পর চলতি বছরেই জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়। বেশ কিছু জমিদাতা ইতিমধ্যেই টাকা পেয়ে গিয়েছেন। জমিজট কেটে যাওয়ায় এখনও পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার জমি রেলমন্ত্রককে হস্তান্তর করা হয়েছে। কিন্তু বাকি জমি অধিগ্রহণ শেষ করে রেলকে কবে হস্তান্তর করা হবে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

    বিজেপি সাংসদের বক্তব্য

    বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “জেলা প্রশাসন কিছু জমি রেলকে হস্তান্তর করেছে। কিন্তু এখনও পুরোটা হয়নি। রাজ্য সরকার সম্পূর্ণভাবে অসহযোগিতা করছে। এখন কবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে আমি জানি না। আমরা চূড়ান্ত হতাশ।”

    আরও পড়ুনঃ রাজ্যের ৩ কোটি মহিলা কেন পান না লক্ষ্মীর ভাণ্ডার? মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন বিজেপির

    প্রশাসনের বক্তব্য

    দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা অবশ্য আশার কথা শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, “আরও দু-একটি দাগের সমস্যা রয়েছে। আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে সেই সমস্যা মিটিয়ে নিয়ে প্রথম পর্যায়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৪ কিলোমিটার জমি রেলকে হস্তান্তর করা হবে। নভেম্বর মাসের শেষ বা ডিসেম্বরের প্রথম থেকেই রেললাইন তৈরির কাজ শুরু করতে পারবে রেল দফতর।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share