Tag: bjp

bjp

  • Balurghat: বালুরঘাটে এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার, সরব বিজেপি

    Balurghat: বালুরঘাটে এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বামী প্রায়ই বাড়িতে থাকেন না। বালুরঘাটে এক (Balurghat) বস্তি বাড়িতে একাই থাকতেন এক গৃহবধূ। আর এই সুযোগ বুঝে, এলাকার তিন যুবক দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে এক মহিলাকে গণধর্ষণ করে। শুধু তাই নয়, মদ্যপ অবস্থার ওই যুবকেরা বধূকে মদ্যপান করতে বাধ্য করে। সেই মদ ঢেলে দেওয়া হয় যৌনাঙ্গেও। চলতে থাকে পাশবিক অত্যাচার। থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করল বিজেপি।

    বালুরঘাটে (Balurghat) কেমন করে ঘটল এই ঘটনা!

    তিনদিন আগের ঘটনা হলেও, ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে গতকাল। ওই গৃহবধূর বয়ান অনুযায়ী, বালুরঘাট (Balurghat) শহরের একটি বস্তি এলাকায় থাকেন তিনি। তিনি পেশায় কুলফি বিক্রেতা। কাজের জন্য স্বামী প্রায়ই বাড়িতে থাকতেন না। দিন তিনেক আগে ওই গৃহবধূ যখন একাই বাড়িতে ছিলেন, ওই সময় এলাকার তিন প্রতিবেশী যুবক তাঁর ঘরে ঢুকে তাঁকে গণধর্ষণ করে। ধর্ষণের পরও চলতে থাকে পাশবিক অত্যাচার। ওই গৃহবধূর আরও অভিযোগ, তিনি চিৎকার করলেও এলাকার কেউই তাঁকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি। ধর্ষণের পর তিনি নিজেই বালুরঘাট থানার দিকে পায়ে হেটে যেতে শুরু করলে, পথে এক জায়গায় মাথা ঘুরে বসে পড়েন। এরপর সেখান থেকে খবর যায় বালুরঘাট থানায়। বালুরঘাট থানার পুলিশ এসে, ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে, বালুরঘাট সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। এরপর তিনি সুস্থ হয়ে এই হৃদয়বিদারক ঘটনার কথা বালুরঘাট থানায় জানান।

    ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা

    ধর্ষণের তিনদিন পর তিনি বালুরঘাট (Balurghat) থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে তল্লাশি শুরু করেছে। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, ওই গৃহবধূ কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। অভিযুক্ত প্রতিবেশীদের সঙ্গে পুরোনো পারিবারিক গোলমাল রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ফলে গণধর্ষণের অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত কি না, তা যেমন খতিয়ে দেখা হচ্ছে, ঠিক তেমনই ওই গৃহবধূর অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।

    বিজেপি রাজ্য সভাপতির বক্তব্য

    গণধর্ষণের বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘শুধু বালুরঘাটেই (Balurghat) নয়, সারা রাজ্য জুড়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তায় অপরাধ বেড়েই চলেছে। নানা ভয়ানক ঘটনা একেবারে আড়াল করে ফেলা হচ্ছে, কোনও কেসই হয়না। সেগুলির রেকর্ড রাখা হয়না।’ তিনি আরও বলেন, রাজ্যের শাসক দলের নির্দেশে এমন সুন্দর করে পুলিশ রেকর্ড তৈরি করে যে সেরার পুরস্কার পেয়ে যায় থানাগুলি। এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর পুলিশ সুপার রাহুল দে জানিয়েছেন, ঘটনার অভিযোগ পেয়েই মামলা শুরু করা হয়েছে এবং বর্তমানে তদন্ত চলছে। গণধর্ষণের পিছনের দোষীরা কবে ধরা পরবে, তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lakshman Seth: ৭৭ বছর বয়সে বিয়ে করলেন লক্ষ্মণ শেঠ, পাত্রী ৪১ বছরের মানসী!

    Lakshman Seth: ৭৭ বছর বয়সে বিয়ে করলেন লক্ষ্মণ শেঠ, পাত্রী ৪১ বছরের মানসী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈশাখীর প্রেম কাহিনী এক সময় রাজ্যজুড়ে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বয়স যে সংখ্যা মাত্র, শোভন-বৈশাখী জুটি তা প্রমাণ করে দিয়েছিল। তাঁদের প্রেম কাহিনী নিয়ে নেট দুনিয়া তোলপাড় হয়েছিল। হালফিল বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী ৬১ বছর বয়সে দ্বিতীয়বার বিয়ে করে নতুন জীবন শুরু করলেন। তাঁর বিয়ে নিয়েও নেট দুনিয়ায় ব্যাপক চর্চা হয়েছে। এবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন ৭৭ বছরের প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ (Lakshman Seth)। জীবন সায়াহ্নে এসে তাঁর এই দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা নিয়ে শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয়, গোটা রাজ্যজুড়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    পাত্রী কে?

    ২০১৬ সালে লক্ষ্মণ শেঠের (Lakshman Seth) প্রথম স্ত্রী তমালিকা পন্ডা শেঠের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি রাজনৈতিক জীবনেও অনেক টানাপোড়েন চলে তাঁর। একাকিত্বে কাটছিল তাঁর জীবন। ৭৭ বছর বয়সে এসে একাকিত্ব দূর করতে আবার নতুন করে কাউকে পাশে পেতে চাইলেন তিনি। কোনও এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয় হয় কলকাতার মেয়ে মানসী দে নামে ৪১ বছরের এক মহিলার সঙ্গে। তিনি বহুজাতিক হোটেল সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তা। তাঁরও আগে বিয়ে হয়েছিল। তবে, তাঁর স্বামী আর বেঁচে নেই। তাঁর একটি সন্তান রয়েছে। সে একাদশ শ্রেণীতে পড়ে। মানসীর সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হয়। পরে, তাঁরা দুজনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। সম্প্রতি তাঁদের এনগেজমেন্ট হয়েছে। এখন শুধু সাতপাকে বাঁধা পড়ার অপেক্ষা। সম্ভাব্য ২৮ জুন চার হাত এক হতে চলেছে। কলকাতায় বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। তবে, হলদিয়া একসময় প্রাক্তন সাংসদের খাসতালুক ছিল। তাই, সেখানে একটি অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে।

    ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামের ঘটনার পর সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত হন লক্ষ্মণ শেঠ (Lakshman Seth)। নিজে প্রথমে দল গঠন করেন। পরে, তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। সেখানেও দলের সঙ্গে দুরত্ব তৈরি হয় তাঁর। দীর্ঘ কয়েক বছর এভাবেই কেটে যায়। তারপর রাজনীতির দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হয় কংগ্রেসে যোগ দিয়ে। এখন তিনি রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সহ সভাপতি। ৭৭ বছর বয়সে এসে ব্যক্তিগত জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁদের নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে নেট দুনিয়ায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রাজ্যে বিজেপির বিকল্প নেই, দেখিয়ে দিল সাগরদিঘি, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: রাজ্যে বিজেপির বিকল্প নেই, দেখিয়ে দিল সাগরদিঘি, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ রাজ্যে বিজেপির বিকল্প নেই। সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় সেটাই আরও একবার প্রমাণিত হল। সোমবার সকালে দলীয় কর্মসূচিতে এনজেপি স্টেশনে এসে একথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “আমি সাগরদিঘির উপ নির্বাচনের আগেই বলেছিলাম, বাইরন বিশ্বাস যদি জয়ী হন, তাহলে কতদিন কংগ্রেসে থাকবেন, সেটা অধীরদাও জানেন না। সেটাই বাস্তবায়িত হল। বাইরন বিশ্বাস এখন মীরজাফর বিশ্বাস। আসলে কংগ্রেস, সিপিএম এবং তৃণমূল দিল্লিতে একসঙ্গে চা খায়। হাতে হাত রেখে চলে। তাদের একটাই উদ্দেশ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপিকে উৎখাত করা। কাজেই বাইরনের কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়াটা স্বাভাবিক ঘটনা। তাতে আর একবার মানুষ বুঝল, এরাজ্যে বিজেপি ছাড়া তৃণমূলের বিকল্প কেউ নেই।”

    অভিষেককে নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    কিছুদিন আগেই সিবিআই দফতরে দিনভর জেরা করা হয়েছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ফের অভিষেককে ইডি তলব করেছে। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) এদিন বলেন, “ইডি অভিষেককে তলব করেছে ভালো কথা। কিন্তু, বারবার গিয়ে ফিরে এলেই মুশকিল। আমরা চাইছি, বারবার যাওয়ার কষ্ট বন্ধ হোক। একেবারেই তিনি চলে যান।” তৃণমূলের যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনের জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়েও এদিন কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “প্রকৃত তৃণমূলীদের মধ্য থেকে যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ের কথা যদি অভিষেক বলে থাকেন, তাহলে তাঁরই তৃণমূলে স্থান হবে না। কারণ তিনি প্রকৃত তৃণমূল নন। ২০১১ সালের আগে তিনি তৃণমূলে ছিলেন না। যাঁরা পরিশ্রম করে তৃণমূলকে রাজ্যে ক্ষমতায় এনেছেন, তাঁদের মাথার ওপর পা রেখে তিনি তৃণমূলে এসেছেন।”

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যে স্বপ্ন দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা স্বপ্নই থেকে যাবে বলে জানান সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “গতবারও কলকাতার ব্রিগেডে ২২-২৩ টা দল নিয়ে হাত তুলে কীর্তন করে ছবিও তুলেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। এবারও স্বপ্ন পূরণ হবে না। কারণ, মানুষ ঠিক করে নিয়েছেন এবারও নরেন্দ্র মোদিকে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী করবেন। বিজেপি অনেক বেশি আসন নিয়ে ফের ক্ষমতায় আসবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

    PM Modi: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

    ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রথমবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। দ্বিতীয়বারের জন্য তিনি জিতে আসেন ২০১৯ সালে। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্লোগান ছিল ‘আচ্ছে দিন আসছে’। বিগত ৯ বছরে ৪ কোটি মানুষ মাথার উপর ছাদ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, ১১ কোটি মানুষ পেয়েছেন শৌচালয়। উজ্জ্বলা যোজনা আসার পর কাউকে আর উনুনে রাঁধতে হচ্ছে না। চলছে স্কিল ইন্ডিয়া, মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মতো অজস্র প্রকল্প। সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তর হিসেবে এদেশ সাক্ষী থেকেছে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের। নিরাপত্তা হোক বা কৃষি, কর্মসংস্থান হোক বা দারিদ্রতা দূরীকরণ-বিগত ৯ বছরে কীভাবে এল সেই ‘আচ্ছে দিন’? তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ।

    ‘সাফল্যের ৯ বছর’-১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ক্ষমতায় আসার পরপরই দারিদ্রতা দূরীকরণে একাধিক প্রকল্পের বাস্তবায়ন দেখা গেছে দেশজুড়ে। একসময় ‘গরিবি হঠাও’ স্লোগানকে সামনে রেখে নির্বাচনে বাজিমাত করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। কিন্তু কংগ্রেসের জমানায় সেই স্লোগান নিছকই ফাঁকা আওয়াজ ছিল। তাই তো রাজীব গান্ধীকে পর্যন্ত বলতে হয়েছিল, ‘‘আমি ১ টাকা পাঠালে মানুষের কাছে পৌঁছায় ১৫ পয়সা।’’ অর্থাৎ কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের দুর্নীতির কথা তখন তাদের প্রধানমন্ত্রীকেও স্বীকার করতে হয়েছিল।

    চিত্র বদলাতে থাকে ২০১৪ সাল থেকে। অনেকেই মনে করেন, আজ দারিদ্রতা দূরীকরণের একাধিক কর্মসূচির বাস্তবায়নের সাক্ষী ভারতবাসী। ২০২৩ সালে ৯ বছর সম্পূর্ণ করল মোদি সরকার (PM Modi)। বিগত ৯ বছরে একাধিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হয়েছে দারিদ্র দূরীকরণের জন্য। যেমন মুদ্রা যোজনা, স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া এসবই সারা দেশে বেকারদের মধ্যে কর্মসংস্থানের স্রোত তৈরি করতে পেরেছে, এমনটাই বলছেন অর্থনীতিকরা। জানা গিয়েছে, এখনও অবধি মুদ্রা যোজনার আওতায় ৪০ কোটি টাকারও বেশি ঋণ দেওয়া হয়েছে পিছিয়ে পড়া তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি এবং ওবিসি উদ্যোক্তাদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে তুলে আনার জন্য এটি মোদি সরকারের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে বিপদ সঙ্কুল নর্দমা এবং সেফটি ট্যাংকগুলি পরিষ্কারের ক্ষেত্রেও বিজ্ঞানকে কাজে লাগানো হয়েছে, যাতে মানুষের জীবনের ঝুঁকি কমে এবং সাফাই কর্মীরা মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে পারেন। জনজাতি সমাজকে সম্মান জানাতে নভেম্বরের ১৫ তারিখ ভগবান বীরসা মুন্ডার জয়ন্তীকে জনজাতি গৌরব দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে মোদি (PM Modi) সরকার। ‘ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ডিং’-এর একটি সাম্প্রতিক প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, মোদি সরকার দেশের চরম দারিদ্রতাকে মেটাতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি ‘মাল্টি ডাইমেনশনাল প্রভার্টি ইনডেক্স’ যা প্রকাশ করে ‘ইউনাইটেড নেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’ তাদের মতে, মোদি সরকার দারিদ্রতা দূরীকরণের দশটি ধাপই পার করতে সক্ষম হয়েছে। মোদি সরকারের অন্যতম নীতি হল ‘অন্ত্যোদয়’, যার অর্থ সমাজের সব থেকে পিছনে থাকা ব্যক্তিটির কাছে যতক্ষণ না পর্যন্ত উন্নয়ন পৌঁছাতে পারছে, ততক্ষণ পর্যন্ত বিকাশকে সম্পূর্ণ বলা যাবে না।

    একনজরে দেখে নেওয়া যাক গত ৯ বছরে দারিদ্রতা দূরীকরণে মোদি সরকারের কিছু সাফল্য

    ১) ৮০ কোটি মানুষ করোনার সময় থেকে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার মাধ্যমে বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছেন।

    ২) ১১.৮৮ কোটি মানুষের ঘরে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছে মোদি সরকার।

    ৩) প্রায় ৪ কোটি গরিব মানুষকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে বাড়ি করে দেওয়া হয়েছে।

    ৪) ১১.৭২ কোটি মানুষের গৃহে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মাধ্যমে শৌচালয় স্থাপন করা গেছে।

    ৫) ৩৪.৪৫ লক্ষ ফুটপাথ ব্যবসায়ীকে ঋণ দেওয়া সম্ভব হয়েছে PM SVANidhi যোজনার মাধ্যমে।

    ৬) ৩৯.৬৫ কোটি টাকার ঋণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে।

    ৭) পিছিয়ে পড়া জনজাতি সমাজের জাতীয় কমিশনগুলিকে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।

    ৮) লকডাউনের সময় ২০ কোটি মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছানো হয়েছে।

    ৯) ৭,৩৫১ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছে তফশিলি জাতি এবং তফশিলি উপজাতি সমাজের মানুষকে, স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমে।

    ১০) কেন্দ্রীয় সরকারের বর্তমানে ৬০ শতাংশ মন্ত্রীই হলেন তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি এবং ওবিসি সমাজভুক্ত।

    ১১) দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে একলব্য আবাসিক বিদ্যালয় আগের চেয়ে পাঁচগুণ স্থাপন করা হয়েছে সারা দেশে।

    ১২) ৪৮.২৭ কোটি ভারতীয়র জনধন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে।

    ১৩) ২৯.৭৫ কোটি মানুষকে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনার আওতায় আনা হয়েছে।

    ১৪) ১৩.৫৩ কোটি মানুষকে প্রধানমন্ত্রী জীবনজ্যোতি বিমার আওতায় আনা হয়েছে।

    ১৫) ৩৭ কোটি মানুষকে আয়ুষ্মান ভারত যোজনার মাধ্যমে স্বাস্থ্য সুরক্ষার অধিকার দেওয়া হয়েছে।

    ১৬) ২.৮৬ কোটি মানুষের বাড়িতে সৌভাগ্য যোজনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছানো হয়েছে।

    ১৭) ৯.৬ কোটি মানুষকে উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে এলপিজি গ্যাস কানেকশন দেওয়া হয়েছে।

    ১৮) ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের জন্য ‘দ্য ট্রান্সজেন্ডার পার্সন অ্যাক্ট ২০১৯’ পাশ করা হয়েছে।

    ১৯) ড্রাগের ছায়া থেকে সমাজকে বাঁচাতে, নেশামুক্ত ভারত অভিযান করা হয়েছে।

    ২০) ২৮.৮৫ কোটি অসংগঠিত শ্রমিকদের পোর্টালের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে।

    ২১) প্রধানমন্ত্রীর শ্রমযোগী মানধন পেনশন যোজনার মাধ্যমে অসংগঠিত ক্ষেত্রে ৪৯ .২৯ লক্ষ শ্রমিকের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। যাঁরা তাঁদের ৬০ বছর বয়স হলে তিন হাজার টাকা করে পেনশন পাবেন।

    চলবে….

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “বিস্ফোরণে পুড়লে বা মৃত্যু হলে তবেই সরকারি চাকরি মিলবে?” প্রশ্ন সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “বিস্ফোরণে পুড়লে বা মৃত্যু হলে তবেই সরকারি চাকরি মিলবে?” প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোমা বিস্ফোরণে পুড়ে গেলে তবেই কী সরকারি চাকরি মিলবে? প্রশ্ন তুললেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। খাদিকুল গ্রামে বিস্ফোরণে মৃতদের পরিবারকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়। নিহতদের পরিবারের কয়েকজনকে সরকারি চাকরির নিয়োগপত্রও তুলে দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গেই কটাক্ষ করেন সুকান্ত।

    মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ সুকান্তর

    রাজ্যে বিরোধীরা বারবারই অভিযোগ করে যে, বাংলায় এখন আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। বারুদের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে গোটা পশ্চিম বাংলা। সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুলে ভয়াবহ বিস্ফোরণে এগারো জনের মৃত্যুর পর সরব হয় বিজেপি। খাদিকুল গ্রামে বিস্ফোরণে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শনিবার দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিহতদের পরিবারের হাতে আর্থিক ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়ার পাশাপাশি পরিবার পিছু একজনকে সরকারি হোম গার্ডের চাকরির নিয়োগপত্রও এদিন তুলে দেন মমতা। এ প্রসঙ্গেই সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘নয় বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হবে, না হলে বগটুইয়ের মতো পুড়ে মরতে হবে। তাহলেই মিলবে সরকারি চাকরি আর ক্ষতিপূরণ। যোগ্যরা তো পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পাবেন না’।

    আরও পড়ুন: মমতার নির্দেশকে থোড়াই কেয়ার! নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনে হাজির শিশির-দিব্যেন্দু

    নতুন সংসদ ভবন নিয়ে সুকান্ত

    নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষেরও এদিন জবাব দিলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এটা দেশের কাছে এক গর্বের মুহূর্ত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেছেন রবিবার। বিরোধীরা এটা নিয়ে শুধু শুধু অপপ্রচার করছেন বলেও দাবি করেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘বিরোধীরা হাস্যকর কথা বলছে। বিহারে বিধানসভা উদ্বোধন করেছিলেন নীতীশ কুমার। লোকসভায় সর্বোচ্চ নেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। তিনি নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করেছেন এটাই স্বাভাবিক। যাঁরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিলেন না, আজ তাঁরাই রাষ্ট্রপতি কেন উদ্বোধন করলেন না প্রশ্ন তুলছেন।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Akhand Bharat: ইতিহাসে প্রথম! নয়া সংসদ ভবনের দেওয়ালে অখণ্ড ভারতের ভাস্কর্য

    Akhand Bharat: ইতিহাসে প্রথম! নয়া সংসদ ভবনের দেওয়ালে অখণ্ড ভারতের ভাস্কর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়া সংসদ ভবনের দেওয়ালে স্থাপন করা হল অখণ্ড ভারতের (Akhand Bharat) ম্যুরাল। এ বিষয়ে সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, ‘‘আমাদের সংকল্প খুব পরিষ্কার এবং তা হল অখণ্ড ভারত।’’ 

    কী রয়েছে অখণ্ড ভারতের (Akhand Bharat) ম্যুরালে?

    প্রাচীন ভারতের নানা জনপদ চিহ্নিত করা রয়েছে ওই ম্যুরালে। তক্ষশীলাও রয়েছে, যা বর্তমানে পাকিস্তানের অংশ। রয়েছে গান্ধারও, যা বর্তমানে আফগানিস্তানের অংশ। বর্তমান নাম কান্দাহার। বিশেষজ্ঞদের মতে, অখণ্ড ভারতের ভাবনার প্রতিফলন ভারতীয় সংসদে এই প্রথম দেখা গেল। ইতিহাস বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতীয় সংস্কৃতি বা স্বাধীনতা সংগ্রাম-কোনও কিছুই অখণ্ড ভারতকে বাদ দিয়ে হয় না। লাহোরে ভগৎ সিং-এর মামলা হোক, চট্টগ্রামে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে অস্ত্রাগার লুণ্ঠন, অথবা তক্ষশীলায় চাণক্যের পাঠদান-সমস্ত কিছুই ভারতের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে। একই সঙ্গে বিদেশি শাসকের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রামের ঘটনাগুলিকেও স্মরণ করায়।

    আরও পড়ুন: ‘‘সংসদের আস্থার প্রতীক প্রধানমন্ত্রী’’, শুভেচ্ছা বার্তায় বললেন রাষ্ট্রপতি 

    ট্যুইট কর্নাটক বিজেপিরও

    এনিয়ে ট্যুইট করেছে কর্ণাটক বিজেপিও। তারা লিখছে, ‘‘এটা আমাদের গর্ব, আমাদের প্রাচীন সভ্যতার প্রতীক।’’

    অখণ্ড ভারত (Akhand Bharat) ভৌগোলিক ধারণা

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, অখণ্ড ভারতের (Akhand Bharat) ধারণা একটা ভৌগোলিক ধারণা, যেখানে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার এবং তাইল্যান্ড আসে। প্রসঙ্গত, রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেন এবং তিনি বলেন, ‘‘এই সংসদ ভবন হল ১৪০ কোটি দেশবাসীর আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। তার সঙ্গে তিনি এও বলেন, ‘‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত।’’

    আরও পড়ুন: নতুন সংসদ ভবনের অন্দরসজ্জা কেমন? ভিডিও শেয়ার করে ঝলক দেখালেন প্রধানমন্ত্রী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Suvendu Adhikari: ভানু বাগের শ্রাদ্ধ খেতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, মৃত পরিবারে চাকরি দিতে নয়, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ভানু বাগের শ্রাদ্ধ খেতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, মৃত পরিবারে চাকরি দিতে নয়, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে সুশাসন নেই। সম্প্রতি এই রাজ্যে তিনটি বড়ো বড়ো বিস্ফোরণ হয়েছে। মমতা ব্যানার্জী আজকে এগারাতে গিয়েছেন। ভানু বাগের বাড়িতে শ্রাদ্ধ খেতে উনি গিয়েছেন, কোনও মৃতদের পরিবারকে চাকরি দিতে যান নি। উত্তর দিনাজপুরে পুলিশ এক বিজেপি কর্মীর বুকে গুলি করে খুন করেছে। গোটা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মীদের খুন করা হচ্ছে। আর এই ভাবেই রাজ্যের শাসক তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) কোথায় সভা করলেন!

    শনিবার বিকালে মালদার মালিকচকে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাসক দল তৃণমূল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সমালোচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এইদিনের এই জনসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। এইদিন বিকালে জনসভা শেষ করে ট্রেনে করে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিজেপি বিধায়ক (Suvendu Adhikari) শুভেন্দু অধিকারী।

    কী বললেন বিরোধী (Suvendu Adhikari) দলনেতা

    মালদায় বিশেষ জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, বর্তমানে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক ৪৫ লক্ষ। বামফ্রন্টের সময় এই সংখ্যা ছিল ৫ লক্ষ। বেশীরভাগ এই পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে সংখ্যালঘুরা আছেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাতে পশ্চমবঙ্গকে ৫০ লক্ষ বাড়ি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তৃণমূলের নেতারা সেই সব বাড়ি নিয়ে নিয়েছে। ১০০ দিনের কাজে সব থেকে বেশী দুর্নীতি হয়েছে এই মালদা জেলাতে। আরও বলেন তিনি, এই চোরদের তাড়াতে হবে। কেন এই চোরদের ভোট দেবেন? যারা কাঁটা তারের বেড়া টপকে ঢুকেছে, তাদেরকে কাঁটাতারের ওপাশে আবার যেতে হবে। কেন্দ্র সরকারের গ্রহণযোগ্যতা সারা বিশ্বে আর তাই বিদেশের মাটিতে প্রধানমন্ত্রীকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করছে। কৃষক পরিবারের টাকা আটকে দিয়েছে এই রাজ্যের সরকার। মাধ্যমিকে ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা কমছে আর মদের দোকানের সংখ্যা বাড়ছে বলে বিশেষ অভিযোগ করেন। ডিয়ার লটারি কাটতে কাটতে এই রাজ্যের মানুষকে ভিখারি করে দিয়েছে। এই রকম নানা বাক্য দিয়ে সরকারের সমালোচনা করেন বিরোধী দলনেতা।

    অভিষেকের বিরুদ্ধে তোপ

    তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মহম্মদ বিনতুঘলকের সঙ্গে তুলনা করে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, জনজোয়ারের নামে কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। মুসলিমদের মধ্যে এনআরসির ভয় দেখাচ্ছে। কুড়মিদের মধ্যে লড়াই লাগাচ্ছে মমতা ব্যানার্জী নিজে। রামনবমীর দিনে গোলমাল হয়েছে মমতা ব্যানার্জীর জন্যেই। এই রাজ্যে কোনো চাকরি নেই। সেই সঙ্গে বলেন পশ্চমবঙ্গকে আমাদেরই বাঁচাতে হবে। ডবল ইঞ্জিনের সরকার এই রাজ্যে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সিপিএমের ফাঁদে পা দেবেন না। সিপিএমের আমলে ওরা চাকরি বিক্রি করেছিল। মমতা ব্যানার্জীকে আমি প্রাক্তন করব। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগের কথা তুলে ধরে রাজ্যের সংখ্যালঘু সামজের মানুষের মনে বিশেষ জায়গা তৈরির কৌশল করলেন বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • NITI Aayog Meeting: রাজ্যগুলির ক্ষতি! নীতি আয়োগের বৈঠকে গরহাজির ৮ অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী

    NITI Aayog Meeting: রাজ্যগুলির ক্ষতি! নীতি আয়োগের বৈঠকে গরহাজির ৮ অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে (NITI Aayog Meeting) শনিবার গরহাজির ৭ অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ এবং ‘জনবিরোধী’ রাজনীতি করার অভিযোগ তুলল বিজেপি। তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন তিনি নীতি আয়োগের বৈঠকে থাকবেন না। বৈঠকে যোগ দেননি অববিন্দ কেজরীওয়াল, ভগবন্ত মান, নীতীশ কুমার, কে চন্দ্রশেখর রাও, এমকে স্ট্যালিন, পিনারাই বিজয়ন এবং অশোক গেহলটের মতো বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীরা। 

    বিরোধীদের ভুল রাজনীতি

    শনিবার দুপুরে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত দেশ হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাস্থ্য, দক্ষতা উন্নয়ন, মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা করা বৈঠকটি শনিবার এখানে শুরু হয়েছিল। কিন্তু এত জন মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে অংশগ্রহণ না করার মানে হল, তাঁদের রাজ্যের বক্তব্য শোনা যাবে না।’’ বিরোধীদের এই রাজনীতিতে সরকারের উন্নয়নের উদ্যোগই ব্যাহত হবে বলে জানান তিনি। রবিশঙ্করের কথায়, ‘‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক, দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং জনবিরোধী।’’ মমতা-সহ বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘দেখব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরোধিতা করে আপনারা কত দূর যান?’’

     আরও পড়ুন: ‘‘কুড়মিদের বিষয়ে শহরের রাজপুত্ররা কী জানবে’’! অভিষেককে তুলোধনা দিলীপের

    শনিবার দিল্লিতে বসেছে নীতি আয়োগের বৈঠক (Niti Aayog Meeting)। সভাপতিত্ব করছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। নয়া দিল্লির (New Delhi) প্রগতি ময়দানের নিউ কনভেনশন সেন্টারে এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে রাজ্যগুলি নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা ভুল করছেন। এর ফলে দিনের শেষে আদপে রাজ্যগুলির উন্নতির গতিই শ্লথ হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে কীভাবে উন্নত ভারতে পরিণত করা যায়, পাশাপাশি সেই কর্মযজ্ঞে মুখ্যমন্ত্রীদের অবদান কী হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয় এদিনের বৈঠকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • 9 Years Of PM Modi: কোভিড ভ্যাকসিন থেকে বন্দে ভারত! ৯ বছরে মোদি সরকারের সাফল্যের নানা ছবি

    9 Years Of PM Modi: কোভিড ভ্যাকসিন থেকে বন্দে ভারত! ৯ বছরে মোদি সরকারের সাফল্যের নানা ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিড ভ্যাকসিন থেকে সেমি হাই স্পিড বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, উজ্জ্বলা যোজনা, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা,বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও, আবাস যোজনা, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প মোদি সরকারের ৯ বছর পূর্তিতে উঠে এল মোদি সরকারের সাফল্যের নানা ছবি। ২৬ মে মোদি (9 Years Of PM Modi) সরকারের ৯ বছর পূর্ণ হয়েছে। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব শুক্রবার গত ৯ বছরে দেশের সমৃদ্ধির এক খতিয়ান তুলে ধরেছেন। তাতেই উঠে এসেছে সফলতার গল্প। এই সাফল্যই আাগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রচারের হাতিয়ার।

    মেগা প্রচারের পরিকল্পনা 

    ২৬ মে ২০১৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন নরেন্দ্র মোদি (9 Years Of PM Modi) । এই ৯ বছরের যাত্রাকে স্মরণীয় করে রাখতে, বিজেপি একটি মেগা প্রচারের পরিকল্পনা করেছে। এতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজের খতিয়ান জনগণের কাছে তুলে ধরা হবে। ৩১ মে রাজস্থানের আজমীরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভা দিয়ে এই অনুষ্ঠান শুরু হবে। পাশাপাশি চালু করা হবে ‘কন্টাক্ট টু সাপোর্ট’ কর্মসূচিও। ৩১ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত চলা এই বিশেষ অভিযানে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৫১টি বড় জনসভা করা হতে পারে। যেখানে প্রায় ৮টি সভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি ছাড়াও অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা, যোগী আদিত্যনাথ, স্মৃতি ইরানি, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সহ অন্যান্য নেতারাও সমাবেশে ভাষণ দেবেন।  বিজেপি হিন্দি, ইংরেজি ছাড়াও রাজ্যগুলির জন্য আঞ্চলিক ভাষায় প্রচারের পরিকল্পনা করেছে।

    ভিডিও সিরিজ চালানোর প্রস্তুতি

    এই প্রচারের সময় একটি বিশেষ ভিডিও সিরিজ চালানোর প্রস্তুতিও নিয়েছে বিজেপি। ৪টি ভিডিও সিরিজে মোদি সরকারের ৯ বছরের সাফল্যকে তুলে ধরা হবে। তার মধ্যে যেমন রয়েছে ‘উজ্জ্বলা যোজনা’, তেমনই রয়েছে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বন্দে ভারত ট্রেনের যাত্রা। সেই সঙ্গে কোভিড ভ্যাকসিন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে মোদির নেতৃত্বে ভারত যে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বকে পথ দেখিয়েছে সেই সাফল্যের খতিয়ানও তুলে ধরা হবে।

    আরও পড়ুন: নতুন সংসদ ভবনের অন্দরসজ্জা কেমন? ভিডিও শেয়ার করে ঝলক দেখালেন প্রধানমন্ত্রী

    একই সঙ্গে কোভিড কালে ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন বিতরণ, আয়ুষ্মান ভারত যোজনার মাধ্যমে বিশ্বের বৃহত্তম জনস্বাস্থ্য পরিচর্যা কর্মসূচির খতিয়ানও এই সময়ের মধ্যে সাধারণের সামনে পেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপির। এই সময় দেশে ৭৪টি নতুন বিমানবন্দর নির্মাণ করা হয়েছে।

    জলপথ, রেলপথ, বিমান পরিষেবা

    ৫৪হাজার কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণের পাশাপাশি ১১১ টি জলপথ এবং ১৫টি শহরে মেট্রো রেল চালু করা হয়েছে সেই সঙ্গে ১৭টি বন্দে ভারত ট্রেন চালু করেছে কেন্দ্র সরকার। আগামী দিনে দেশের সব বড় শহরকে বন্দে ভারতের মাধ্যমে জোড়ার পরিকল্পনা রয়েছে মোদি সরকারের। ইতিহাস এবং সংস্কৃতিকে সম্মান দিয়ে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ, রাণসীতে কাশী বিশ্বনাথ করিডোর, উজ্জয়িনে মহাকাল লোক প্রকল্প-এর মত সাফল্যও দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে চাইছে বিজেপি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: আবাস যোজনার টাকায় তৈরি হচ্ছে ‘বাংলার বাড়ি’! কেন্দ্রকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: আবাস যোজনার টাকায় তৈরি হচ্ছে ‘বাংলার বাড়ি’! কেন্দ্রকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (Awas Yojana) নির্মিত বাড়ির নাম পরিবর্তন করে লেখা হয়েছে বাংলার বাড়ি। এমনই অভিযোগ তুলে ফের কেন্দ্রকে চিঠি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম অন্যায়ভাবে বদলে দেওয়া হয়েছে। আদতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা খরচ করেই রাজ্য সরকার ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প চালাচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি। শুক্রবার কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীকে এই চিঠি পাঠিয়েছেন শুভেন্দু। 

    প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আর্জি শুভেন্দুর

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদিপ সিং পুরিকে এই মর্মে তিন পাতার চিঠি লিখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অন্তর্গত উপভোক্তাদের জন্য রাজ্যে যে সমস্ত বাড়ি নির্মাণ হচ্ছে সেখানে কেন বাংলার বাড়ি লেখা হবে? সেই প্রশ্ন তুলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে বাংলার বাড়ি লেখা হলে পরবর্তী ইনস্টলমেন্টের টাকাও যাতে রাজ্য সরকারকে না মেটানো হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে সেই আবেদনও করেছেন শুভেন্দু। চিঠির সঙ্গে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের একটি লোগোও পাঠিয়েছেন শুভেন্দু। 

    আরও পড়ুন: নতুন সংসদ ভবনের অন্দরসজ্জা কেমন? ভিডিও শেয়ার করে ঝলক দেখালেন প্রধানমন্ত্রী

    আবাস যোজনা নিয়ে আগেই বিতর্ক হয়েছে অনেক। কেন্দ্রের প্রকল্পের টাকা যোগ্য ব্যক্তিদের দেওয়া হচ্ছে কি না,তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, নাম বদলে প্রচার চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। এমনকী আবাস যোজনার টাকায় যে সব বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে, সেই সব বাড়ির সামনে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের নাম সাঁটিয়ে দিয়ে আসা হচ্ছে বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন শুভেন্দু। রাজ্যের পুর দফতর এই কাজ করছে। আর এর ফলে বিভ্রান্তিতে পড়ছেন গ্রাহকেরা। গ্রাহকদের এই বিভ্রান্তি কাটাতে যাতে কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করে, সেই আর্জিই জানিয়েছেন শুভেন্দু। বাড়ির কাজ সম্পূর্ণ হবে না, এই আশঙ্কায় মানুষ ভুগছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share