Tag: bjp

bjp

  • PM Modi: ‘দেশের কপালে কালো টিকা লাগাচ্ছেন এঁরা’, নাম না করে কংগ্রসকে নিশানা মোদির

    PM Modi: ‘দেশের কপালে কালো টিকা লাগাচ্ছেন এঁরা’, নাম না করে কংগ্রসকে নিশানা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে বর্তমানে অনেক শুভ কাজকর্ম হচ্ছে। তাই কিছু লোক দেশ মাতৃকার কপালে কালো টিকা লাগানোর দায়িত্ব নিয়েছেন। নাম না করে কংগ্রেসকে (Congress) এই ভাষায়ই আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ২০২৩-এ ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিশানা করেন কংগ্রেসকে। ভারতের (India) ওপর যাতে কারো নজর না লাগে তাই কালো টিকা পরাচ্ছেন তাঁরা। তিনি বলেন, একটা সময় ছিল, যখন বিশ্ব ভাবত ভারতের সময় এসেছে। তখন কথা হত কেবলই হতাশার। ভারতকে নীচে নামানো হত, ভাঙা হত নৈতিকতা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি কালো টিকা পরানোর ঐতিহ্য। সেই কাজই করার দায়িত্বই নিয়েছেন ওই লোকগুলো।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন…

    ২০২৩ সালের প্রথম ৭৫ দিনে মোদি (PM Modi) সরকারের সাফল্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ গোটা বিশ্ব বলছে, এটা ভারতের সময়। বর্তমানে বিভিন্ন দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে কোন দেশ আগে ভারতের হৃত প্রত্নবস্তু ফেরত দেবে, তা নিয়ে। তিনি বলেন, আগে প্রায়ই খবরের হেডলাইন হত কত লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। লোকেরা রাস্তাঘাটে তা নিয়ে বলাবলি করত। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হত। এসব এখন অতীত। এখন সংবাদের শিরোনাম হয় দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্তদের রাস্তা দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে আসা হয়। তিনি জানান, বর্তমানে বিরোধী দলের বহু নেতা তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: এভারেস্টে বরফের নীচে চাপা পড়ে আছে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া, দাবি বিজ্ঞানীদের

    ব্রিটেনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এদিন রাহুলের নাম না করে সেই প্রসঙ্গও তোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কিছু লোক আমাদের গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের সাফল্য হজম করতে পারছে না। সেই কারণে তারা আমাদের গণতন্ত্রকে আক্রমণ করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতদসত্ত্বেও ভারত তার লক্ষ্যে পৌঁছবে। কিছুদিন আগে ব্রিটেনে গিয়ে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাহুল। সেখানে তিনি ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, সকলে জানে ভারতের গণতন্ত্র আক্রমণের মুখে পড়ে কীভাবে বিপন্ন। আমি দেশের বিরোধী নেতা, কিন্তু বিরোধী পরসর খুঁজতে হাতড়ে বেড়াতে হচ্ছে। এর পরেই রাহুলের বিরুদ্ধে সুর চড়ায় বিজেপি। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: স্কুল ইউনিফর্মের বরাতে নেওয়া হয়েছে কাটমানি? বোমা ফাটালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: স্কুল ইউনিফর্মের বরাতে নেওয়া হয়েছে কাটমানি? বোমা ফাটালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর দুয়েক আগে একবার তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে সরগরম হয়েছিল বাংলা। এবার কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ খোদ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। সেবার অভিযোগ তুলেছিলেন বঙ্গবাসী। এবার অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর বক্তব্য, স্বনির্ভরগোষ্ঠীর সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে স্কুলে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পোশাকের মাপ নিতে। আর পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রীয়ভাবে নিজের পছন্দের কোনও সংস্থার মাধ্যমে (যার নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়ে যাচ্ছে) আগে থেকে ঠিক করা নিম্নমানের পূর্ব নির্ধারিত গড় মাপের কাপড় (কাটমানির বিনিময়ে) সরবরাহ করার পরিকল্পনা করে বসে রয়েছে।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ…

    ট্যুইটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) আরও লেখেন, সেলফ হেল্প গ্রুপের সদস্যরা গত বছরের সেলাই কাজের জন্য সম্পূর্ণ টাকা পায়নি। এখন যদি তারা পরিমাপ করে এবং স্ট্যান্ডার্ড আকারের ইউনিফর্ম ছাত্রদের সঙ্গে মানানসই না হয়, তাহলে স্থানীয়স্তরে তাদের দায়ী করা হবে। আমি এসএইচজি বোনদের অনুরোধ করছি, এই ধরনের আদেশ অনুসরণ করার আগে বিচক্ষণতা প্রয়োগ করতে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, স্বনির্ভরগোষ্ঠীর সদস্যরা যে মাপ নিতে যাবেন, সেটা একেবারেই আইওয়াশ।

    তাঁর ব্যাখ্যা, ইতিমধ্যেই সেই সব ইউনিফর্ম তৈরি হয়ে রয়েছে। এখন বলা হচ্ছে, মাপ নিতে যাবেন স্বনির্ভরগোষ্ঠীর সদস্যরা। এরপর যখন পোশাকের মাপ ছোট-বড় হবে, তখন পুরো দায় ঠেলা হবে স্বনির্ভরগোষ্ঠীর সদস্যদের ওপর।

    আরও পড়ুুন: দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে! মণীশের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ইউনিফর্ম তৈরি হয়েছে গড় মাপে। এই মাপ নেওয়া লোক দেখানো। তাঁর দাবি, গত বছরের সেলাইয়ের কাজের পুরো পাওনা এখনও স্বনির্ভরগোষ্ঠীর সদস্যদের মেটানো হয়নি। তার ওপর নতুন ঝামেলার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে তাদের। শিক্ষাক্ষেত্রে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার রাজ্য। সেই তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে নিয়োগ কেলেঙ্কারি। সম্প্রতি এই তালিকায় যোগ হয়েছে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের ইউনিফর্মে দুর্নীতির অভিযোগ। এর সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগও।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: ‘রাহুল গান্ধী দেশ-বিরোধী টুলকিটে পরিণত হয়েছেন’, কংগ্রেসকে নিশানা নাড্ডার

    JP Nadda: ‘রাহুল গান্ধী দেশ-বিরোধী টুলকিটে পরিণত হয়েছেন’, কংগ্রেসকে নিশানা নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক কংগ্রেস দলটা দেশবিরোধী কাজে জড়িয়ে পড়ছে। দেশবাসীর দ্বারা বারবার প্রত্যাখাত হয়ে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এখন দেশবিরোধী টুলকিটের স্থায়ী অংশে পরিণত হয়েছেন। শুক্রবার এই ভাষায়ই কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধীকে নিশানা করলেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। লন্ডনে রাহুলের সাম্প্রতিক মন্তব্যের তীব্র সমালোচনাও করেন তিনি। রাহুলের এহেন মন্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার দাবিও জানান নাড্ডা।

    রাহুলের বক্তব্য…

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে ব্রিটেনে গিয়ে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাহুল। সেখানে তিনি ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, সকলে জানে ভারতের গণতন্ত্র আক্রমণের মুখে পড়ে কীভাবে বিপন্ন। আমি দেশের বিরোধী নেতা, কিন্তু বিরোধী পরসর খুঁজতে হাতড়ে বেড়াতে হচ্ছে। এর পরেই রাহুলের বিরুদ্ধে সুর চড়ায় বিজেপি। রাহুলের এই মন্তব্যের জেরে গত কয়েক দিন ধরে উত্তাল হয়েছে সংসদও। টুলকিট হল এমন একটি মাধ্যম যেখানে নিজের মতামত বা পরিকল্পনাকে লিখিত ও ভিডিও-র মাধ্যমে সহজে শেয়ার করা যায়। যা এক ধরনের মাইক্রো ওয়েবসাইট যেখানে কোনও একটি বিষয়ে ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক বক্তব্য বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

    বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি (JP Nadda) বলেন, রাহুলের মন্তব্য দেশের নির্বাচিত সরকার ও ১৩০ কোটি দেশবাসীকে অপমান করেছে। তাঁর প্রশ্ন, রাহুলের মন্তব্য দেশদ্রোহীদের হাত শক্ত করেনি? বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে রাহুল গান্ধী বলছেন ভারতে গণতন্ত্র শেষ হয়ে গিয়েছে। এবং দেশে গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারে ইউরোপ ও আমেরিকার সাহায্যও চেয়েছেন তিনি। এর থেকে লজ্জার আর কী হতে পারে! ভারত যে ক্রমেই শক্তিশালী একটি রাষ্ট্র হিসেবে নিজেকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছে, এদিন সেকথা মনে করিয়ে দিয়ে নাড্ডা (JP Nadda) বলেন, ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। জি-২০-র বৈঠক হচ্ছে এ দেশে। আর রাহুল গান্ধী বিদেশের মাটিতে গিয়ে দেশ ও সংসদের অপমান করছেন। পাকিস্তান ও গান্ধী পরিবার কেন এক সুরে কথা বলছে, এদিন সে প্রশ্নও তোলেন নাড্ডা। জর্জ সোরেস (মার্কিন ধনকুবের) এবং রাহুল গান্ধী কেন একই ভাষায় কথা বলেন? প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।

    আরও পড়ুুন: যত মত তত পথ! ‘‘উপাসনার অনেক পদ্ধতি, লক্ষ্য একটাই’’, বললেন মোহন ভাগবত

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

      

  • Nabanna: বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ শুভেন্দুর, নবান্নের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

    Nabanna: বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ শুভেন্দুর, নবান্নের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি মিথ্যা মামলা। এ নিয়ে কিছু দিন আগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi)। তাতে তিনি লিখেছিলেন, রাজ্যে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকার ভুয়ো মামলা করছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সেই চিঠির প্রেক্ষিতে এবার নবান্নে (Nabanna) মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি পাঠাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অভিযোগ খতিয়ে দেখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে দ্রুত রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নে পাঠানো ওই চিঠিতে।

    নবান্নের (Nabanna) রিপোর্ট তলব…

    রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের এই রিপোর্ট তলব যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ। এর আগেও রাজ্যের বিরুদ্ধে নানা বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। মিড-ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। তা নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠিও লিখেছিলেন। তার জেরে রাজ্যে জয়েন্ট রিভিউ মিশন পাঠিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। এবারও শুভেন্দুর চিঠির প্রেক্ষিতে নবান্নকে (Nabanna) চিঠি দিল কেন্দ্র।

    কেবল শুভেন্দুর বিরুদ্ধেই গুচ্ছ মামলা দায়ের করেছে রাজ্য পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের কত মামলা, তার একটি তালিকা গত ডিসেম্বরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দিয়েছিলেন শুভেন্দু স্বয়ং। সংসদ ভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: ২০১৮ সালে বিজেপি প্রার্থীর ‘কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে’ মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়েছিলেন শান্তনু!

    তাঁর বিরুদ্ধে হয়ে চলা একের পর এক এফআইআরের বিরুদ্ধে হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আদালতের কাছে তাঁর আবেদন ছিল, হয় এফআইআরগুলি খারিজ করে দেওয়া হোক, নয়তো অভিযোগের তদন্ত করুক সিবিআই। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ, শুভেন্দু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি মানুষের ভোটে নির্বাচিত। পুলিশ (Nabanna) নিজে অথবা অন্য কারও নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনে জনগণের প্রতি বিরোধী দলনেতার কর্তব্য স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে। বস্তুত, শুভেন্দুকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তার পরেও কীভাবে এত এফআইআর তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়, সে বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • TMC: দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ! কালীঘাটের বৈঠকে গরহাজির তৃণমূল বিধায়ক, মুষল পর্ব বলে কটাক্ষ বিজেপির

    TMC: দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ! কালীঘাটের বৈঠকে গরহাজির তৃণমূল বিধায়ক, মুষল পর্ব বলে কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে আজ কালীঘাটে বৈঠক ডেকেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই বৈঠকে যোগ দিলেন না উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। বৈঠকে যোগ না দেওয়ার কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। ইসলামপুরের বিধায়ক সাফ জানিয়েছেন, বৈঠকে দলীয় নেতৃত্বের কথা শুনতে হয়। বলার কোনও জায়গা নেই। তাই এই বৈঠকে তিনি যোগ দিচ্ছেন না। এমনিতেই দুর্নীতি ইস্যুতে শাসক ব্যাকফুটে। তারপর আবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসছে, এর প্রভাব পঞ্চায়েত ভোটে পড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি রাজ্য বিজেপি। উত্তরবঙ্গের বিধায়ক তথা রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দীপক বর্মন ‘মাধ্যম’-কে বলেন, মুষল পর্ব শুরু হয়েছে তৃণমূলে (TMC)। পিসি ভাইপো কোম্পানিতে আর কেউ চাকরি করতে চাইছে না। যতদিন যাবে এই ফাটল তত চওড়া হবে।

    কী বললেন আব্দুল করিম চৌধুরী? 

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে শুক্রবার কালীঘাটে রাজ্যের সমস্ত বিধায়ক, সাংসদ, জেলা সভাপতি এবং চেয়ারম্যানদের দিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইসলামপুরের বিধায়কের অনুযোগ, আজকের বৈঠকে দলের তরফ থেকে কোনও পরিচিত নেতা তাঁকে ফোন করেননি। একজন অপরিচিত ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে শুক্রবারের বৈঠকের কথা জানিয়েছিলেন। তিনি সেই ফোন ধরেননি। করিম চৌধুরীর আরও আক্ষেপ, দীর্ঘ পঞ্চান্ন বছর বিধায়ক থাকার পর সুব্রত বক্সীর কাছে তাঁকে শুনতে হয় ব্যক্তি নয় দল বড়। তিনি এও জানিয়েছেন, ইসলামপুরের তাঁর বিরোধী লোকজনদের দলের নেতৃত্বে আনা হচ্ছে। তাদের পরিবর্তনের প্রস্তাব দিলে সুব্রত বক্সী তাঁকে পদত্যাগ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে এদিন বেলাগাম লোক বলে তোপও দাগেন তিনি। করিম চোধুরীর আরও অভিযোগ দীর্ঘ চার থেকে পাঁচ বছর যাবদ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তার কোনও কথা হয় না। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে কোনও রকম কুশল বিনিময়ও করেননি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Himanta Biswa Sarma: ‘৬০০ মাদ্রাসা বন্ধ করেছি, বাকিগুলোও করব’, ঘোষণা অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

    Himanta Biswa Sarma: ‘৬০০ মাদ্রাসা বন্ধ করেছি, বাকিগুলোও করব’, ঘোষণা অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৬০০ মাদ্রাসা বন্ধ করেছি, বাকিগুলোও করব। বৃহস্পতিবার এমন মন্তব্য করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। কর্নাটকে বিজেপির (BJP) সভায় তিনি জানান, ধাপে ধাপে রাজ্যের সবকটি মাদ্রাসা (Madrasa) বন্ধ করা হবে। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা অসমের সংস্কৃতি নষ্ট করছে। ওই মাদ্রাসাগুলির পরিবর্তে তিনি যে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় চান, এদিন তাও জানান হিমন্ত।

    হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) বলেন…

    এদিন ভোটমুখী কর্নাটকে বিজেপি আয়োজিত সভায় যোগ দিয়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। বেলগাভিজ শিবাজি মহারাজ গার্ডেনে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে হিমন্ত বলেন, বাংলাদেশ থেকে যারা অসমে এসেছে, তারা অসমের সংস্কৃতি ও সভ্যতা নষ্ট করছে। এর পরেই তিনি বলেন, আমি ৬০০ মাদ্রাসা বন্ধ করেছি। আমি চাই বাকি মাদ্রাসাগুলোও বন্ধ করতে। কারণ আমরা মাদ্রাসা চাই না। আমরা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় চাই।

    গত বছরই হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma) দাবি করেছিলেন, অসম জেহাদিদের হটবেডে পরিণত হয়েছে। আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলা পাঁচজন জেহাদি গ্রেফতার হওয়ার পর একথা বলেছিলেন তিনি। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে অন্ততঃ পক্ষে ছ জন জঙ্গি ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল। স্থানীয় যুবকদের জেহাদি মন্ত্রে দীক্ষিত করতেই তারা এ দেশে প্রবেশ করেছিল বলে দাবি গোয়েন্দা রিপোর্টে।

    কেন্দ্রের পূর্বতন কংগ্রেস সরকারের ব্যাপক সমালোচনার পাশাপাশি এদিন নরেন্দ্র মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন হিমন্ত। তিনি বলেন, এক সময় দিল্লির শাসকরা মন্দির ধ্বংসের কথা বলতেন। আর আজ, নরেন্দ্র মোদির শাসনে আমি মন্দির নির্মাণ নিয়ে কথা বলছি। তিনি বলেন, এটাই হল নতুন ভারত। কংগ্রেস এই নতুন ভারতকেই দুর্বল করতে চাইছে। হিমন্ত বলেন, কংগ্রেস নয়া মুঘলদের প্রতিনিধিত্ব করছে।

    আরও পড়ুুন: মিড ডে মিলের হিসেব খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় অডিট দল, ট্যুইট শুভেন্দুর

    এদিন কংগ্রেস ও বামপন্থীদের একযোগে নিশানা করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma)। তিনি বলেন, কংগ্রেস এবং কমিউনিস্টরা ভারতের ইতিহাসকে বাবর, ঔরঙ্গজেব এবং শাজাহানের ইতিহাস বলে দেখিয়েছে। আর আমি বলতে চাই, ভারতের ইতিহাস কেবল এঁদের সম্পর্কেই নয়, বরং ছত্রপতি শিবাজি, গুরু গোবিন্দ সিংহের সম্পর্কেও। হিমন্ত বলেন, ঔরঙ্গজেব সনাতন সংস্কৃতি নষ্টের চেষ্টা করেছিলেন। বহু মানুষকে জোর করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেছিলেন। প্রসঙ্গত, শিক্ষা ধর্মনিরপেক্ষ হওয়া উচিত এই যুক্তিতে রাজ্যের সব মাদ্রাসাকে সাধারণ স্কুলে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: সংসদ চত্বরে পোস্টার হাতে রাজ্যের নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে বিক্ষোভ সুকান্ত-দিলীপদের

    BJP: সংসদ চত্বরে পোস্টার হাতে রাজ্যের নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে বিক্ষোভ সুকান্ত-দিলীপদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যের। এই আবহেই এবারে সংসদে বৃহস্পতিবার ‘চাকরি চোর তৃণমূল’-এর বিরুদ্ধে সংসদে বিক্ষোভ দেখাল বঙ্গ বিজেপি (BJP)। কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে ১১ জন বিজেপি সাংসদ এদিন পোস্টার, প্ল্যাকার্ড হাতে এসএসসি গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে ধর্না দেন। বৃহস্পতিবার বঙ্গ বিজেপির ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট করা হয়। সংসদ ভবনের ভিতরেও তৃণমূল সাংসদদের দেখে ‘চোর চোর’ স্লোগান তোলেন তাঁরা।

    বঙ্গ বিজেপির বিক্ষোভ

    বঙ্গ বিজেপির ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বিক্ষোভের যেসব ছবি পোষ্ট করা হয়েছে, সেখানে দেখা গিয়েছে, সংসদ চত্বরে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বাংলার বিজেপি জনপ্রতিনিধিরা৷ সেই দলে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে সৌমিত্র খাঁ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষরা রয়েছেন৷ তাঁদের হাতে ধরা রয়েছে বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজিতে লেখা প্ল্যাকার্ড৷ কোনও প্ল্যাকার্ডে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যজুড়ে চাকরি চুরির কারবার ফেঁদে বসেছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস! আবার কোথাও ‘বাংলার মেয়ে’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বাংলার লজ্জা মমতা’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছে! বিক্ষোভের ছবির সঙ্গে একটি ক্যাপশনও রয়েছে ট্যুইটে৷ তাতে লেখা হয়েছে, “চাকরি চোর তৃণমূল – শিক্ষা থেকে চাকরি, সর্বস্থানে তৃণমূল নেতাদের পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ রাজ্যবাসী৷ আজ তারই প্রতিবাদে দিল্লিতে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে বিজেপি সাংসদের বিক্ষোভ৷”

    সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এখনও পর্যন্ত তদন্তে জানা গিয়েছে, কয়েকশো কোটি টাকার নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। সরকার ও শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মঞ্জুরি ছাড়া এত বড় মাপের কেলেঙ্কারি হওয়া সম্ভব নয়। তারই প্রতিবাদে সংসদে ও রাজ্যে শিয়ালদহ স্টেশনের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। আগামী দিনে গোটা রাজ্য জুড়ে ওই বিক্ষোভ অবস্থান হবে।”

    সংসদে অভিষেকের অনুপস্থিতিতে কটাক্ষ বিজেপির

    সংসদে ধারাবাহিক ভাবে অনুপস্থিত রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ওই দীর্ঘ অনুপস্থিতিকে কটাক্ষ করে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের প্রশ্ন, গ্রেফতারির ভয়েই কি রাজ্য ছেড়ে দিল্লিতে পা দিতে ভয় পাচ্ছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ? অভিষেককে আক্রমণ শানানোর সঙ্গেই গতকাল রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি ও তাতে শাসক দলের ভূমিকা নিয়ে সংসদ চত্বরে সরব হন রাজ্যের বিজেপি সাংসদেরা। গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতেও সরব হন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর নাকের ডগায় ওই দুর্নীতি হয়েছে। যার দায় কোনও ভাবেই এড়াতে পারেন না তিনি।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘আসল চোর কালীঘাটে বসে হাসছে’’! নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘‘আসল চোর কালীঘাটে বসে হাসছে’’! নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক হাত নিলেন  রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “যাঁরা বেআইনিভাবে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল তাঁদের চাকরি যাওয়ার ফলে মুখ্যমন্ত্রীর কষ্ট হচ্ছে। আর যাঁরা দীর্ঘদিন অন্যায়ভাবে বঞ্চিত হয়েছেন, চাকরি না পেয়ে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, যোগ্য হয়েও পুলিশের লাঠি খেয়েছেন, তাঁদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ব্যথিত নন।”

    সুকান্তর সওয়াল

    আদালতে ইডি-র দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির পরিমাণ ৩৫০ কোটি! এই প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘এটা গুনতে থাকুন শেয়ার মার্কেটের মতো বাড়বে। যত তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা ধরা পড়বে এটা হাজার কোটির উপরে যাবে। তাপস বলেছে কুন্তল দোষী, কুন্তল বলছে শান্তনু দোষী, একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা চলছে। আসল চোর কালীঘাটে বসে হাসছে।’

    প্রসঙ্গত, ঋষি অরবিন্দের জন্ম সার্ধ শতবর্ষে আলিপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আলিপুর আদালত চত্বরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বক্তৃতা করার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আদালতে কিছু মামলায় তিনি নিজেই সওয়াল করবেন বলে ভাবছেন। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এই প্রসঙ্গে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আদালতে সওয়াল করতে চাইলে তা স্বাগত। কিন্তু চাইব তিনি চাকরি না-পাওয়া যোগ্য প্রার্থীদের হয়ে কোর্টে সওয়াল করুন।”

    আরও পড়ুন: অযোগ্যদের চাকরির পক্ষে সওয়াল, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

    এদিন, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় নিয়ে মমতা বলেন, ‘‘এখন রোজ কথায় কথায় ৩ হাজার চাকরি বাদ। ৪ হাজার চাকরি বাদ! কেউ যদি নিচুতলায় অন্যায় করেও থাকে, সংশোধনের সুযোগ পাওয়া উচিত।’’ তিনি বলেন, “আমি জীবনে জেনে শুনে কোনও অন্যায় করিনি। আমি ক্ষমতায় আসার পর একটাও সিপিএম ক্যাডারের চাকরি খাইনি। তা হলে তোমরা কেন খাচ্ছ? দেওয়ার ক্ষমতা নেই। কাড়বার ক্ষমতা আছে!’’ মমতা আরও বলেন, “হঠাৎ করে চাকরি চলে গেলে সে খাবে কী! আমি বলছি, যাঁরা অন্যায় করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করুন, কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু, ছেলে মেয়েগুলোর যাতে কোনও সমস্যা না হয়। তাঁদের চাকরি আইন অনুযায়ী ফিরিয়ে দিন।” কিন্তু বেআইনিভাবে চাকরি প্রাপক, অযোগ্য ব্যক্তিদের হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই সওয়াল আলোড়ন ফেলেছে রাজ্য-রাজনীতিতে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পাখির চোখ পঞ্চায়েতে! রাজ্যজুড়ে গণ আন্দোলনের প্রস্তুতি শুভেন্দুদের, ইস্যু কী কী?

    Suvendu Adhikari: পাখির চোখ পঞ্চায়েতে! রাজ্যজুড়ে গণ আন্দোলনের প্রস্তুতি শুভেন্দুদের, ইস্যু কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাস দুয়েকের মধ্যেই হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Polls)। তার আগে গণ আন্দোলন শুরু করতে চান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই আন্দোলন শুরু হবে উত্তরবঙ্গ দিয়ে। শুভেন্দু বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চুকলেই পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে আন্দোলনে নামবে বিজেপি। তিনি বলেন, আলুর অভাবি বিক্রি থেকে শুরু করে চা বাগান ও অরণ্য ধ্বংসের বিরোধিতা করে উত্তরবঙ্গ থেকে আন্দোলন শুরু হবে।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন…

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, আলু চাষিরা নূন্যতম দাম পাচ্ছেন না। সম্প্রতি, গড়বেতা থেকে আরামবাগ পর্যন্ত রাস্তায় আলু চাষিরা ফসলের দাম না পেয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে রাস্তায় আলু ঢেলে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। অভাবি বিক্রি বাড়ছে। সরকারের ঘোষিত সহায়ক মূল্যে আলু কিনে নেওয়া, এর পাশাপাশি তাদের ঋণ মকুব করে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন হবে। তিনি (Suvendu Adhikari) জানান, এই ইস্যুতে বিধানসভার বাইরেও আলু নিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ করবে বিজেপি।

    আলুর পাশাপাশি চা বাগান, বনভূমি ধ্বংস করে আবাসন তৈরির বিষয়েও সোচ্চার হবে বিজেপি। শুভেন্দু বলেন, উত্তরবঙ্গের বিধায়কদের নিয়ে তিনি এই বিষয়গুলিকে সামনে রেখে উত্তরবঙ্গ জুড়ে আন্দোলন শুরু করবেন। বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক তথা আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা বলেন, চা বাগানের অতিরিক্ত জমি টি ট্যুরিজমের নামে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। চা বাগানের লিজ দেওয়া জমিকে ফ্রি হোল্ড করার আইনি বৈধতা দিতে সরকার সম্প্রতি যে বিল পাশ করিয়েছে, তার উদ্দেশ্য হল চা বাগানের জমিকে বাইরের ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেওয়া। এতে চা বাগানের সঙ্গে যুক্ত স্থানীয় আদিবাসী জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষকে কৌশলে উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে আশঙ্কা করছি আমরা।

    আরও পড়ুুন: অযোগ্যদের চাকরির পক্ষে সওয়াল, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

    নিয়োগ সংক্রান্ত কেলেঙ্কারিও যে বিজেপির হাতিয়ার হতে চলেছে, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। সোমবার নিয়োগ সংক্রান্ত কেলেঙ্কারিতে যুক্ত তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ছবি ও নামের তালিকা নিয়ে বিধানসভার বাইরে প্রদর্শনী করেন পদ্ম-বিধায়করা। শুভেন্দু বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয় থেকে তৃণমূলের পঞ্চায়েতের নেতা এই দুর্নীতিতে যুক্ত। রাজ্যের মানুষের কাছে আমরা এই প্রদর্শনী তুলে ধরব।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • NHRC: বিজেপির নবান্ন চলো অভিযান, মানবাধিকার কমিশনকে ৬ মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানোর নির্দেশ

    NHRC: বিজেপির নবান্ন চলো অভিযান, মানবাধিকার কমিশনকে ৬ মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানোর নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে নবান্ন চলো অভিযান করেছিল বিজেপি (BJP)। সেই সময় অতিসক্রিয় হয়েছিল পুলিশ (Police)। এই মর্মে দায়ের হয়েছিল অভিযোগও। এবার সেই মামলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে (NHRC) ছ মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানোর নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। এ ব্যাপারে দিল্লি হাইকোর্টে বিজেপির এক স্বেচ্ছাসেবক রোহিত ভার্মা পিটিশন দায়ের করেছিলেন। সেই প্রেক্ষিতেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে এই নির্দেশ দেন বিচারপতি প্রতিভা এম সিং।

    জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে (NHRC) নির্দেশ…

    আদালত জানিয়েছে, যদিও বিষয়টি কমিশনের বিবেচনায় রয়েছে, তবে তা নির্দিষ্ট একটি সময়ের মধ্যেই শেষ করা প্রয়োজন। যেহেতু ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে আইনজীবী জানান, কমিশন (NHRC) এ ব্যাপারে আবেদনকারীর অভিযোগের ব্যাপারে সম্মতি নিয়েছে এবং বিষয়টির স্বাধীন ও বুদ্ধিদীপ্ত মীমাংসার চেষ্টা করছে। আদালত এও জানিয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে আদালতে যে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে, তাতে স্পষ্ট যে ওই দিন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছিল। আবেদনের নিষ্পত্তি করতে গিয়ে আদালত জানিয়েছে, বিষয়টি যে বিবেচনায় রয়েছে, সেই যুক্তি সমর্থন করছে আদালত। ২০২০ সালে ঘটে ঘটনাটি। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এবং তাকে তা নিতে হবে আগামী ছ মাসের মধ্যেই।

    আরও পড়ুুন: ইডি-র ডাকে সিজিও-তে কুন্তল-পত্নী, নিজামে সিবিআইয়ের জেরা ‘কালীঘাটের কাকু’-কে

    প্রসঙ্গত, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ওই আবেদন করা হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, ২০২০ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির নবান্ন অভিযানে ব্যাপকভাবে লঙ্ঘিত হয়েছিল মানবাধিকার। আবেদনে বলা হয়েছে, ওই দিন পুলিশ নৃশংস আচরণ করেছিল মিছিলকারীদের ওপর। সেই নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সরকারের সমস্যাবহুল নীতি এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতার বিরুদ্ধে যেহেতু ওই নবান্ন চলো অভিযান হচ্ছিল, তাই সেই প্রতিবাদ মিছিলে নৃশংস আচরণ করেছিল পুলিশ। তারা সরাসরি নবান্ন চলো অভিযানের মিছিলে হামলা চালায়। এটা আসলে গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share