Tag: bjp

bjp

  • Vivek Agnihotri: বাংলায় শয়ে শয়ে মিনি কাশ্মীর রয়েছে! কেন এ কথা বললেন বিবেক অগ্নিহোত্রী?

    Vivek Agnihotri: বাংলায় শয়ে শয়ে মিনি কাশ্মীর রয়েছে! কেন এ কথা বললেন বিবেক অগ্নিহোত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় এসে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দিকে আঙুল তুললেন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files) ছবির পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী (Vivek Agnihotri)। রবিবার কলকাতা মিউজিয়ামে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বিবেক। সেখানেই তিনি বলেন, “বাংলার পরিস্থিতি ভয়ংকর।  এরাজ্যে শয়ে শয়ে মিনি কাশ্মীর রয়েছে, আমি নিজে তার সাক্ষী।” একইসঙ্গে বিবেকের (Vivek Agnihotri) দাবি, তিনি বামপন্থায় বিশ্বাসী ছিলেন প্রথম থেকেই। জেল পর্যন্ত গিয়েছেন তিনি। কিন্তু একটা সময়ের পর তাঁর অন্য উপলব্ধি হয়। বিবেকের কথায়, “আমি নিজে একজন বামপন্থী ছিলাম। জেলেও গিয়েছি। পরে বুঝেছি এটা একটা বিনাশের রাস্তা।”

    কী বললেন বিবেক

    এদিন বিবেক (Vivek Agnihotri) বলেন, “বাংলা থেকে বিপজ্জনক ছবি উঠে আসছে। এখনই না রুখে দিলে বাংলা কাশ্মীর হতে বেশি সময় লাগবে না।” তিনি ছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা অনুপম খের, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং ড: স্বপন দাশগুপ্ত।  বিবেকের কথায়, রাজ্যে এখন দুর্নীতি, গোষ্ঠী হিংসা, সস্তা ডায়লগ আর চামচাগিরিতে ভরে গিয়েছে। বিবেক বলেন, ‘আমাকে একবার আমার মা বলেছিলেন, যদি এমন মানুষদের দেখতে চাও যারা দেশ বদলাতে পারে, তাহলে বাংলায় যাও। কিন্তু আমার শুধু মনে আছে, বুদ্ধ ইন আ ট্রাফিক জ্যাম ছবির জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে শারীরিক হেনস্থা করা হয়েছিল আমাকে’। তিনি বলেন, ‘বাংলায় অনেক মিনি কাশ্মীর তৈরি হয়েছে এখন। বাংলা কাশ্মীরে পরিণত হওয়ার আগে বাংলার কাহিনি আমি জনতার সামনে আনতে চাই। বাংলার রাজনীতির অধঃপতন দেখানোর জন্য একটি ছবি বানাতে চাই আমি’। সেই সঙ্গে তিনি আরো বলেন, স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরাও করা যায় না এখানে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিংসা রুখতে ব্যর্থ।

    আরও পড়ুন: ‘আরআরআর’-র হাত ধরে ভারতে এল অস্কার, ‘বেস্ট অরিজিন্যাল সং’ বিভাগে সেরার শিরোপা পেল ‘নাটু নাটু’

    বাংলা নিয়ে ছবি

    বিজেপি নেতারা প্রায়শই অভিযোগ করে থাকেন, পশ্চিমবঙ্গ জঙ্গিদের ডেরায় পরিণত হচ্ছে। প্রায় সেই ভাষাতেই কথা বললেন বিবেক (Vivek Agnihotri)। শোনা যাচ্ছে তিনি আরও একটি ছবিও তৈরি করবেন। সেখানে থাকবে বাংলার পরিস্থিতি ও ১৯৪৬ এর রাজনৈতিক বাতাবরণ। বিবেকের ওই মন্তব্য নিয়ে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমরা আগেই দাবি তুলেছিলাম বেঙ্গল ফাইলসও তৈরি হোক। কাটরা মসজিদ নিয়ে রাজ্যে কী পরিস্থিতি হয়েছিল তা আমরা জানি। শীতলকুচি ও দিনহাটার কথা মানুষ জেনে গিয়েছে। এরকম বহু জায়গা রাজ্যে রয়েছে। সেসব নিয়ে কথা উঠছে। কমিউনিস্ট আর টিএমসি ছাড়া বাংলার বদনাম আর কে করেছে? এখন কাশ্মীরকে শান্ত করেছেন নরেন্দ্র মোদি। পশ্চিমবাংলা সেই মোদির হাতেই শান্ত হবে।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: জমির বিনিময়ে চাকরি কেলেঙ্কারিতে যাদবদের দুর্নীতির পরিমাণ ৬০০ কোটি, দাবি ইডি-র

    ED: জমির বিনিময়ে চাকরি কেলেঙ্কারিতে যাদবদের দুর্নীতির পরিমাণ ৬০০ কোটি, দাবি ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় ইতিমধ্যেই তেজস্বী যাদবের দিল্লির (Delhi) বাড়ি সহ ২৪টি ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, লালু প্রসাদ যাদব (Lalu Yadavs) যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন চাকরির বিনিময়ে যে জমি নেওয়া হয়েছিল, তার মূল্য ২০০ কোটি টাকারও বেশি। যদিও দুর্নীতি ধরা পড়েছে ৬০০ কোটি টাকার। লালু প্রসাদের পরিবারের যে সম্পত্তির হদিশ ইডি পেয়েছে, তারও দীর্ঘ একটি তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিবৃতি জারি করে ইডি জানিয়েছে, আর্থিক তছরুপের অভিযোগে যে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে, তা থেকে জানা গিয়েছে, লালু প্রসাদের পরিবারের নামে পাটনার প্রমিনেন্ট লোকেশনে বিভিন্ন জমির খোঁজ মিলেছে।

    ইডি (ED) জানিয়েছে…

    লালু প্রসাদ যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন জমির বিনিময়ে চাকরি দিয়ে এই জমি অবৈধভাবে দখল করা হয়েছিল। ইডি (ED) আরও জানিয়েছে, বর্তমানে এই জমির বাজার দর ২০০ কোটি টাকারও বেশি। এই জমিগুলির প্রকৃত মালিক কে, তাঁদেরও চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। এদিকে, জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় সিবিআই-ও তলব করেছে লালু প্রসাদের পুত্র তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্ব যাদবকে।

    প্রসঙ্গত, জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় চলতি সপ্তাহেই আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ ও তাঁর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং কন্যা মিসা ভারতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। তার আগে লালু ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশিও চালানো হয়েছিল। ওই মামলায় লালু প্রসাদ, রাবড়ি দেবী সহ মোট ১৬ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ২৭ ফেব্রুয়ারি সমন জারি করেছিল দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ আদালত।

    ইডির (ED) দফতর থেকে ছাড়া পেয়ে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী নিশানা করেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। গুজব ছড়ানো এবং তৈরি করা খবর ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সিজার লিস্ট যাতে সকলের নাম রয়েছে, সেই তালিকাও প্রকাশ করার দাবি জানান তেজস্বী।

    আরও পড়ুুন: বরাদ্দ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা, তার পরেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ?

    ইডির দাবি, দিল্লি, পাটনা, রাঁচি এবং মুম্বই সহ ২৪টি ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে নগদ ১ কোটি টাকা, ১৯০০ মার্কিন ডলার বিদেশি মুদ্রা, ৫৪০ গ্রাম সোনা, দেড় কেজির বেশি সোনার গয়না যার বাজার মূল্য ১.২৫ কোটি টাকা এবং যাদবদের পরিবারের বিভিন্ন নামে জমির হদিশ মিলেছে। ইডির অভিযোগ, যাদবদের পরিবার ৭.৪ লক্ষ টাকার জমি গ্রুপ ডি চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে নিয়েছিলেন। পরে সেই জমি বিক্রি করা হয় আরজেডির প্রাক্তন বিধায়ক সইদ আবু দোজানাকে। মূল্য নির্ধারিত হয়েছিল সাড়ে ৩ কোটি টাকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Allotment: বরাদ্দ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা, তার পরেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ?

    Allotment: বরাদ্দ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা, তার পরেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের (Central Government) বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে নানা সময় সরব হতে দেখা গিয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। বিশেষত কোনও নির্বাচন এসে গেলেই কেন্দ্র টাকা দেয়নি বলে কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন করতে শুরু করেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী। রাজনৈতিক মহলের মতে, কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে আদতে তৃণমূলের দুর্নীতির দিক থেকে জনতার দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

    বাংলার জন্য বরাদ্দ (Allotment)…

    জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার জন্য বরাদ্দ (Allotment) করেছে ৮৯,৯৬০ কোটি টাকা। এবার দেখে নেওয়া যাক, কোন খাতে কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে। বাংলার রেলওয়ে প্রকল্পের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে মঙ্গলবারই জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। আমরুত ২.০-র জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩,৬৫০ কোটি টাকা। রেভেনিউ ডেফিসিট গ্র্যান্টস পেমেন্টের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৩,৫৮৭ কোটি টাকা। গ্রামীণ সড়কের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩৫৩ কোটি টাকা, ২০২৫ সালের মধ্যে অতিরিক্ত ৫,৫০০ কোটি টাকা। পিএমএওয়াই-জি প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছে ৮,২০০ কোটি টাকা। বাংলায় রাস্তা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকা।

    আরও পড়ুুন: মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বিশ বাঁও জলে! কেন জানেন?

    শিলিগুড়িতে জাতীয় সড়কের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা। রাজ্য সরকারের সম্মতি না মেলায় ক্যাপেক্স লোন পায়নি বাংলা। যদিও পরিকাঠামোর উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ (Allotment) হয়েছে ৭,৬০০ কোটি টাকা। ১৯৪৫ সালের আগে যেসব স্কুল গড়ে উঠেছে, সেগুলির উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৫০ কোটি টাকা। রানিগঞ্জে চার লেনের বাইপাস তৈরির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৪১০ কোটি টাকা। শিক্ষাখাতে বরাদ্দ হয়েছে ২,৬৫০ কোটি টাকা। নমামি গঙ্গা প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ১২৩ কোটি টাকা। সর্ব শিক্ষা অভিযান প্রকল্পে রাজ্য সরকার পেয়েছে ৯৫৫ কোটি টাকা। কর আদায়ের প্রেক্ষিতে দেওয়া হয়েছে ১০,৬৪২ কোটি টাকা।

    মাত্র চার মাসে দেওয়া হয়েছে এই পরিমাণ (Allotment) অর্থ। তার পরেও বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ টাকা খয়রাতি করে রাজ্য সরকার খরচ করছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তার জেরে বন্ধ রয়েছে একশো দিনের কাজের মতো নানা প্রকল্প। অথচ রাজ্য সরকার গলা ফাটাচ্ছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বিশ বাঁও জলে! কেন জানেন?

    Mamata Banerjee: মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বিশ বাঁও জলে! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নেত্রী হতে চেয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লক্ষ্যে বিজেপি (BJP)-বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন এক ছাতার তলায়। তবে তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যেতে বসেছে। গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডে মুখ থুবড়ে পড়েছে মমতার দল। বাংলায়ও পরিস্থিতি বিশেষ তৃণমূলের অনুকূলে নেই। স্বাভাবিকভাবেই বাংলার গদি সামলাতেই ব্যস্ত তৃণমূল সুপ্রিমো। তাই দিল্লির দিকে নজর দেওয়ার সময় কই তাঁর?

    গোহারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দল…

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার ক্ষমতায় আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দল। বিধানসভার ২৯৩টি আসনের মধ্যে তৃণমূল একাই পায় ২১৫টি। প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে আসে বিজেপি। তারা পায় ৭৭টি আসন। তার পরেই বিরোধী দল ভাঙাতে উদ্যোগী হন তৃণমূল নেতারা। তৃণমূলের টোপ গিলে ইতিমধ্যেই কয়েকজন বিধায়ক ঘাসফুল শিবিরের ছাতার তলায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। এর পাশাপাশি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার লক্ষ্যে একের পর এক রাজ্যে পা রাখার চেষ্টা করে মমতার দল। গোয়ায় কংগ্রেস ভাঙিয়ে পোক্ত করে তৃণমূলের সংগঠন। তার পরেও শেষ রক্ষা হয়নি। গোয়ায় সরকার গড়ার জায়গায়ই পৌঁছতে পারেনি তৃণমূল। উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্য ত্রিপুরা, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডেও হোঁচট খেয়ে পড়েছে মমতার দল। স্বাভাবিকভাবেই জাতীয় দল হওয়ার মানদণ্ডই পেরতে পারেনি তৃণমূল।

    আরও পড়ুুন: বাম-তৃণমূল বোঝাপড়া? পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিস্ফোরক সুকান্ত

    গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ। ফলে বাংলায় গদি টিকিয়ে রাখাই আপাতত মমতার (Mamata Banerjee) সব চেয়ে বড় দায় হয়ে উঠেছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফেঁসেছে তৃণমূল। গরু পাচার মামলায় জেলে পচছে তৃণমূলের একাধিক নেতা। বগটুইকাণ্ডের পাঁকও লেগেছে তৃণমূলের গায়েই। আকণ্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে থাকায় নিত্যদিন কমছে তৃণমূলের জনপ্রিয়তা। যার সাম্প্রতিকতম প্রমাণ মিলেছে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি নির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয়ে। একুশের নির্বাচনে যেখানে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী, মাত্র ২২ মাস পরের উপনির্বাচনে সেখানেই গোহারা হারে মমতার দল। পাশার দান উল্টে দিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থী। দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বিঘ্নে নির্বাচন হলে সেখানেও মুখের মাপে দুর্নীতির জবাব পেয়ে যাবে মমতার দল। দিকে দিকে ফুটবে পদ্ম। তাই আপাতত জাতীয় রাজনীতি ভুলে রাজ্যে গদি বাঁচানোর দিকেই নজর দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই এখন আর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন না তৃণমূল নেত্রী। বাংলার গদি বাঁচানোই যার কাছে এখন ক্রমশ চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে, দিল্লি যাওয়ার স্বপ্ন তিনি দেখবেন কীভাবে?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বাম-তৃণমূল বোঝাপড়া? পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: বাম-তৃণমূল বোঝাপড়া? পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কারা নো ভোট টু বিজেপি করেছিল ২০২১-এ। এখন সব পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। শুক্রবার কথাগুলি বললেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কার্যত বোমা ফাটালেন সুকান্ত। বিজেপিকে হারাতে তৃণমূল (TMC)-বাম বোঝাপড়া হয়েছে বলেই ইঙ্গিত করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    সুকান্তর (Sukanta Majumdar) অভিযোগ…

    শুক্রবার বিধানসভা অভিযান করে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। সে প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, বিজেপির অভিযান রুখতে পুলিশ ব্যস্ত ছিল। এসএফআইয়ের আন্দোলন বিধানসভার গেট অবধি পৌঁছে দেওয়া হল। আমরা ভেবেছিলাম বিমানবাবুর চেয়ার অবধি পৌঁছে দেওয়া হবে। কারণ ওখানে একটা বোঝাপড়া চলছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে কে কার দিকে আছে। সুকান্ত বলেন, জোট, ঘোঁট আগামিদিনে কী হবে। কারা নো ভোট টু বিজেপি করেছিল ২০২১-এ। এখন সব পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। সবটাই স্বচ্ছ জলের মতো পরিষ্কার।

    প্রসঙ্গত, শিক্ষায় দুর্নীতি সহ বিভিন্ন ইস্যুতে শুক্রবার বিধানসভা অভিযান করে এসএফআই। পুলিশ অবশ্য তাতে অনুমতি দেয়নি। বরং মিছিল রুখে দেওয়ার সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। তবে পুলিশের নজর এড়িয়ে বিধানসভার মেইন গেটের বদলে পশ্চিম দিকের গেটে পৌঁছে যায় এসএফআইয়ের একদল নেতা-কর্মী। সেখানে পুলিশের সংখ্যা ছিল কম। রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে বিধানসভার গেটে বসেছিলেন কয়েকজন।

    আরও পড়ুুন: সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    এদিকে, রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণের জেরে পরপর শিশুমৃত্যু নিয়ে রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চা ও যুব মোর্চার স্বাস্থ্যভবন অভিযানকে ঘিরে কুরুক্ষেত্র হয়ে ওঠে সল্টলেকের করুণাময়ী চত্বর। পুলিশ বাধা দেওয়ায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। এদিন দুপুর থেকে করুণাময়ীতে জমায়েত করেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। দুপুর আড়াইটে নাগাদ করুণাময়ী মোড় থেকে শুরু হওয়া মিছিল পুলিশ আটকাতেই সৃষ্টি হয় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। একটি গাড়িতে করে বিজেপি কর্মীরা করুণাময়ী মোড়ে পৌঁছতেই গাড়িতে উঠে পড়ে পুলিশ। তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ঘোষণা করে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। এরই কিছুক্ষণ পরে লোহাপুল মোড় থেকে ইন্দ্রনীল খাঁ, তনুজা চক্রবর্তী, অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়। মিছিল বেনফিশ মোড়ে পৌঁছতেই আটকে দেয় পুলিশ। তখনই বাঁধে খণ্ডযুদ্ধ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    Suvendu Adhikari: সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় অধিবেশনের মধ্যে রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে (Partha Bhowmik) জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তার জেরে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে নিরাপত্তা চাইলেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ। ঘটনায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে জমা পড়েছে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ। শুক্রবার বিধানসভায় পঞ্চায়েত দফতরের বাজেট নিয়ে আলোচনায় বক্তব্য রাখছিলেন শুভেন্দু।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)…

    কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলকে কেন্দ্র করে ওঠা বিতর্ককে হাতিয়ার করে শুভেন্দু বলেন, আপনারা বাইরে একরকম বলেন, ভিতরে আর এক রকম। এর পরেই ওঠে দলবদলের কৌশল। বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও কৃষ্ণ কল্যাণীর দিকে দেখিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, বলুন না এঁরা কোন দলে? বলতে পারেন এঁরা বিজেপিতে নেই? এতেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন দলবদলু এই দুই বিধায়ক। এর পরেই শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) উদ্দেশ্য করে পার্থ বলেন, আপনিই বলুন না শিশিরবাবু কোন দলে? তখনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, আপনার নামে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা রয়েছে। এক মাসের মধ্যে আপনাকে দেখে নেব। এই সময় বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুর উদ্দেশে বলেন, আপনি এরকম অবান্তর কথা অধিবেশনে বলতে পারেন না। পাল্টা জবাব দেন শুভেন্দু।

    তিনি বলেন, শুরুটা করেছেন পার্থ ভৌমিক। আমি নই। পার্থকে উদ্দেশ্য করে অধ্যক্ষ বলেন, আপনি থেমে যান। পরে পার্থ শুভেন্দুর উদ্দেশে বলেন, আমি কথাটা ওভাবে বলিনি। পার্থকে ঘিরে উত্তেজনা কমলেও, মোদিকে নিয়ে কটাক্ষ করার জেরে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। প্রায় ১০ মিনিট ধরে চলে মোদি মোদি স্লোগান। শেষে পঞ্চায়েত মন্ত্রীর বক্তব্য শেষ হওয়ার আগেই অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে চলে যান শুভেন্দু। পঞ্চায়েত বাজেট নিয়ে আলোচনা শেষে অধ্যক্ষ বলেন, বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) যেভাবে অধিবেশন কক্ষে দাঁড়িয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন, তা অনভিপ্রেত। এভাবে হুমকি দেওয়া যায় না।

    আরও পড়ুুন: জম্মু কাশ্মীরের ডোডায় ১০০ ফুট উঁচু জাতীয় পতাকা উত্তোলন করল সেনা

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে কাঁথি থেকে জয়ী হয়েছিলেন শিশির অধিকারী। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে অমিত শাহের সভায় গিয়েছিলেন তিনি। সেই থেকে তাঁকে কটাক্ষ করে আসছে তৃণমূল। এদিকে, বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস, কৃষ্ণ কল্যাণী ও সুমন কাঞ্জিলাল। পরে তৃণমূলে যোগ দেন তাঁরা। এই বিষয় নিয়েই এদিন শুভেন্দু-পার্থ দ্বৈরথ হয় বিধানসভায়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

     
     
  • Conflict: ব্যারাকপুরের একাধিক পুরসভায় চেয়ারম্যান- ভাইস চেয়ারম্যানের কোন্দল প্রকাশ্যে, ঘর গোছাতে হস্তক্ষেপ জেলা নেতৃত্বের

    Conflict: ব্যারাকপুরের একাধিক পুরসভায় চেয়ারম্যান- ভাইস চেয়ারম্যানের কোন্দল প্রকাশ্যে, ঘর গোছাতে হস্তক্ষেপ জেলা নেতৃত্বের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ব্যারাকপুর মহকুমার সব পুরসভায় তৃণমূলের দখলে। অনেক পুরসভায় বিরোধী দলের কাউন্সিলর পর্যন্ত নেই। কিন্তু, পুর বোর্ড গঠনের এক বছর ঘুরতে না ঘুরতে এই মহকুমার একাধিক পুরসভা গোষ্ঠীকোন্দলে (Conflict)  জেরবার। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করছে কাউন্সিলররা। কোথাও কোথাও আবার এই বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিচ্ছেন খোদ ভাইস চেয়ারম্যান। আর এই ঘটনায় আখেরে মুখ পুড়ছে শাসক দলের। তৃণমূলের এই বেআব্রু চেহারা দেখে এলাকার মানুষ হাসাহাসি করছেন। এবার পরিস্থিতি সামাল দিতে উদ্যোগী হয়েছেন দমদম- ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায়।  গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে (Conflict) দূরে সরিয়ে রেখে নাগরিক পরিষেবার কাজ হয় সেদিকে বিশেষ নজর এবার দলের। এর জন্য বারাকপুর মহকুমার প্রত্যেকটি পৌরসভায় গিয়ে দলীয় কাউন্সিলরের সঙ্গে বৈঠক করবেন দলের দমদম বারাকপুর সংগঠনিক জেলা সভাপতি। স্থানীয় বিধায়ক এবং সাংসদ সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। বিধানসভা অধিবেশনের পর ১৬ টি পুরসভায় হবে এই বৈঠক।

    তৃণমূলের আতসকাঁচের মধ্যে রয়েছে কোন কোন পুরসভা? Conflict

    গত ৩ মার্চ টিটাগর পুরসভায় একটি প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের কোন্দল (Conflict) পুরবোর্ড মিটিং সরগরম হয়ে ওঠে। ভাইস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ১৩ জন কাউন্সিলর পুরবোর্ড থেকে ওয়াক আউট করেন। প্রকাশ্য এই দ্বন্দ্ব কে মেনে নিতে পারছে না তৃণমূল নেতৃত্ব। খুব শীঘ্রই উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসবেন তাপস বাবু। টিটাগর পুরসভার মতো খড়দহ, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, ভাটপাড়া, পানিহাটি, দক্ষিণ দমদম পুরসভায় তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। অনেক পুরসভায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এর মধ্যে মুখ দেখাদেখিও পর্যন্ত বন্ধ। দুজনের দোষ খুঁজতে ব্যস্ত কাউন্সিলররা। অনেক পুরসভায় কাউন্সিলররা আবার আড়াআড়িভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছেন। বিরোধীশূন্য পুরো বোর্ড হওয়ায় দলের কাউন্সিলরাই এখন পুরবোর্ডের বিরোধিতা করছেন প্রকাশ্যে। ভাটপাড়া পুরসভায় ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে জঞ্জাল সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাস্তা অবরোধ করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। ১০ মার্চ পুরসভার একাধিক কাউন্সিলর মাইক বেঁধে প্রকাশ্যে পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। আর এই দ্বন্দ্বকে (Conflict) কেন্দ্র করেই অসন্তুষ্ট তৃণমূল নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেকটি পুরসভায় গিয়ে দলীয় কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে যে, কোনওরকম গোষ্ঠী রাজনীতিকে বরদাস্ত করা হবে না। কোন বিষয়ে মতান্তর বা মতবিরোধ হলে তা আলোচনায় বসে মিটিয়ে ফেলতে হবে। চেয়ারম্যানদের বক্তব্য, ভাইস চেয়ারম্যানরা আলাদা করে শিবির তৈরি করছেন। গোষ্ঠী রাজনীতির জন্ম হচ্ছে প্রত্যেকটি পুরসভায়। কোন কোন পুরসভায় আবার চেয়ারম্যানকে সরাতে কাউন্সিলররা জোট বাঁধছেন। সেই বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বের নজরে রয়েছে।

    বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুরসভায় চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানের কোন্দলের পাশাপাশি সাংসদ অর্জুন সিং তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর বিধায়কের সঙ্গে দ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে। পুলিশ নীরব দর্শক। সাধারণ মানুষ বিপর্যস্ত। এই অবস্থায় তৃণমূলের উদ্যোগকে স্বাগত। তবে, এই উদ্যোগ কতটা সফল হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠির জবাব দিতে ৯ রাজ্যে সাংবাদিক সম্মেলনের সিদ্ধান্ত বিজেপির

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠির জবাব দিতে ৯ রাজ্যে সাংবাদিক সম্মেলনের সিদ্ধান্ত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই (CBI), ইডি-র (ED) মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার করা হচ্ছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধীরা। এজন্য আটটি রাজ্যের ৯ জন নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) চিঠিও লিখেছিলেন। এবার তারই জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের সিদ্ধান্ত, ন’টি রাজ্যে প্রেসমিট করে এর জবাব দেবে তারা। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে স্বাক্ষর করছিলেন দিল্লি, পঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, বাংলা, কেরল এবং জম্মু-কাশ্মীরের নেতারা। বিজেপির কৌশল হল, দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা যাঁরা তদন্তে ভয় পান, তাঁদের মুখোশ খুলে দেওয়া। বিরোধীদের তোলা অভিযোগের জবাব দিতে দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন দিল্লির সাংসদ বিজেপির মনোজ তিওয়ারি। বাংলার ক্ষেত্রে এই কাজটিই করবেন শুভেন্দু অধিকারী, বিহারের ক্ষেত্রে সঞ্জয় জয়সওয়াল, উত্তর প্রদেশের ব্রিজেশ পাঠক এবং তেলেঙ্গনার সঞ্জয় বান্দি।

    চিঠিতে স্বাক্ষর করেনি কংগ্রেস…

    আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার করা হয় দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা মনীশ সিসোদিয়াকে। তারপর রবিবার কেন্দ্রের (PM Modi) বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআইয়ের মতো তদন্তকারী সংস্থাকে হাতিয়ার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে আটটি রাজ্যের ন’ জন নেতা। এঁদের মধ্যে ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, ভগবন্ত মান, অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নও আলাদা করে একটি চিঠি লিখেছিলেন। তবে আশ্চর্যজনকভাবে চিঠিতে স্বাক্ষর করেননি কংগ্রেসের কেউ। যদিও কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীকে বেশ কয়েকদিন ধরে টানা জেরা করেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুুন: ‘নির্দ্বিধায় ধর্মঘট করুন, পাশে আছি’, বার্তা শুভেন্দু, সুকান্তর

    প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) লেখা ওই চিঠিতে লেখা হয়েছিল, দেশে নির্লজ্জের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার করা হচ্ছে। মনে হচ্ছে, আমরা গণতন্ত্র থেকে একনায়কতন্ত্রের মধ্যে প্রবেশ করছি। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে রাজ্যপালের মতো সাংবিধানিক কার্যালয়ও রয়েছে। নির্বাচনী মাঠের বাইরে এভাবে হিসেবনিকেশ করার তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি আমরা। এটা আমাদের গণতন্ত্রের জন্য ভাল হচ্ছে না। চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে তল্লাশি থেকে শুরু করে দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে গ্রেফতারিও। আরজেডির লালুপ্রসাদ যাদব, শিবসেনার সঞ্জয় রাউত, সমাজবাদী পার্টির অজম খান, এনসিপির নবাব মালিক ও অনিল দেশমুখ, তৃণমূলের লোকসভা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মাঝে মধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তারা কেন্দ্রের অঙ্গুলি হেলনেই কাজ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: বীরভূমের ‘প্রধানমন্ত্রী’ এখন ভুল বকছেন! অনুব্রতকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বীরভূমের ‘প্রধানমন্ত্রী’ এখন ভুল বকছেন! অনুব্রতকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদা বীরভূমের বেতাজ বাদশা, এখন ইডির দফতরে গিয়ে ভুল বকছেন। হুগলি জেলার খানাকুলের দলীয় এক সভায় অংশ নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘খুব বড় মস্তান ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূমের প্রধানমন্ত্রী। শুধু বীরভূম নয়, বর্ধমানের আউসগ্রাম, কেতুগ্রাম-সহ অনেক জায়গারই প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সেই প্রধানমন্ত্রীর আজ কি অবস্থা। বলছে, ইংরেজি জানি না, হিন্দি বুঝি না, নাম সই করতে পারি না ৷ কোথায় গেল চড়াম চড়াম ঢাকের আওয়াজ? কোথায় গেল নকুল দানা? কোথায় গেল উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে?’’ 

    কী বললেন শুভেন্দু

    এই সভা থেকে শাসক দল তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘সাবধান হন। খানাকুলে তাণ্ডব- সহ সব আমরা নজরে রাখছি। গরু চুরি, বালি চুরি কয়লা চুরি-সহ বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে যারা যুক্ত তারা কেউ ছাড় পাবেন না। আমাদের কর্মীদের উপর অত্যাচারের সব হিসেব হবে।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এদিন নিশানা করেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, ‘‘দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত সবাইকেই জেলে যেতে হবে।’’

    আরও পড়ুন: ছয় দিনে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার সম্পত্তি কেনেন অনুব্রত! আর কী কী তথ্য ইডির হাতে?

    রাজ্যে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার কথা উল্লেখ করে খানাকুলের আইসিকে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) হুঁশিয়ারি,‘‘পয়লা বৈশাখ পর্যন্ত সময় দিয়ে গেলাম। আমাদের কর্মী-সমর্থকরা যদি বাড়িতে ঠিকভাবে থাকতে না পারে, অত্যাচার করা হয়, তাহলে পরের দিন আমি খানাকুলে আসব কর্মী-সমর্থকদের সবাইকে বাড়ি পৌঁছে দিতে। দেখব আপনাদের কত ক্ষমতা আছে আমাকে বাধা দেওয়ার।’’সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কেও একজোট হয়ে তৃণমূলের থেকে মুখ ফেরানোর আহ্বান জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর দাবি,‘‘বিজেপি আপনাদের শত্রু নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবার কথা ভেবে উন্নয়ন করছেন। রাষ্ট্রবাদীরা সবাই বিজেপির বন্ধু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সংখ্যালঘুদের বিজেপি সম্পর্কে ভুল বোঝাচ্ছে।’’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘নির্দ্বিধায় ধর্মঘট করুন, পাশে আছি’, বার্তা শুভেন্দু, সুকান্তর 

    Suvendu Adhikari: ‘নির্দ্বিধায় ধর্মঘট করুন, পাশে আছি’, বার্তা শুভেন্দু, সুকান্তর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মঘট করুন। আমি পাশে আছি। আপনাদের দায়িত্ব আমি নেব। বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিনই ধর্মঘট রুখতে কড়া নির্দেশিকা দিয়ে ধর্মঘটের দিন সমস্ত সরকারি কর্মীকে অফিসে আসার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের অর্থ দফতর। তার পরেই বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ধর্মঘট করুন। আমি পাশে আছি। আপনাদের দায়িত্ব আমি নেব। আমি আইনজীবী নিয়ে আইনি লড়াই করব।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) উবাচ…

    এদিন হুগলির খানাকুলে শুভেন্দু বলেন, ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে সরকার যদি সরকারি কর্মীদের ব্রেক অফ সার্ভিস, বেতন কাটে, দমনপীড়ন নীতি নিয়ে ট্রান্সফার কিংবা সাসপেন্ড করে আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে সেই সরকারি কর্মীর পাশে থাকব। শুধু পাশে থাকাই নয়, সেই সরকারি কর্মীর পূর্ণ দায়িত্ব আমি নেব। তাঁর আইনি লড়াই, তাঁর মামলা লড়ার জন্য বড় আইনজীবী নিয়োগ এবং আইনি লড়াই করার জন্য যে যে খরচ হবে, তার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার আমার। যাঁরা মহার্ঘ ভাতার জন্য নিজেদের অধিকারের জন্য কাল ধর্মঘট করতে যাচ্ছেন, তাঁরা নির্দ্বিধায় ধর্মঘট করুন। পাশে আছি। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, আপনাদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করার ক্ষমতা নেই এই সরকারের।

    বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে ফেব্রুয়ারি মাসে দু দিনের কর্মবিরতি পালন করেছেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারিরা। তার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তার জেরে ১০ মার্চ রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৩৬টি সরকারি কর্মচারি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের তরফে জারি করা আরও এক দফা নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুক্রবার কোনওভাবেই পূর্ণ বা অর্ধ দিবস ছুটি নেওয়া যাবে না। ধর্মঘটে শামিল হলে কর্মজীবন থেকে বাদ যাবে একদিন। সেই সঙ্গে করা হবে শোকজও।

    আরও পড়ুুন: ধর্মঘটের দিন উপস্থিতির হার কত, নজর রাখবেন মমতা, পাল্টা হুঁশিয়ারি আন্দোলনকারীদের

    ধর্মঘটীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, আজ ধর্মঘটে অংশ নিয়ে যদি কোনও সরকারি কর্মীর ব্রেক অফ সার্ভিস হয়, তাহলে বিজেপি ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গেই সেই সব সরকারি কর্মীর ব্রেক অফ সার্ভিস প্রত্যাহার করে নেবে। সুকান্ত বলেন, ধর্মঘট ঠেকাতে রাজ্য সরকারের অর্থ দফতর যে নির্দেশিকা জারি করেছে, তা নিয়ে কেউ যদি আদালতের দ্বারস্থ হন, সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের মুখ পুড়বে। কারণ ধর্মঘট করা যে কোনও কর্মীর নৈতিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। তিনি বলেন, সরকারি কর্মীদের প্রতি সরকারের এই বঞ্চনায় আমরা আগামিদিনেও আন্দোলনকারীদের পাশে থাকব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share