Tag: bjp

bjp

  • Sukanta Majumdar: বিজেপি ক্ষমতায় এলেই সিএএ লাগু! মালদার সভায় বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: বিজেপি ক্ষমতায় এলেই সিএএ লাগু! মালদার সভায় বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় এলেই সিএএ জারি করবে কেন্দ্র। রবিবার মালদার হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের পার্বতীডাঙার কর্মিসভায় বললেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শুধু ফের নরেন্দ্র মোদির দিল্লির মসনদে ফেরার অপেক্ষা। এদিন অমর্ত্য সেন ইস্যুতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেন সুকান্ত। তিনি বলেন,  “অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি নিয়ে একটা সমস্যা হয়েছে। সেই সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া উচিত। তা নিয়ে দ্বাদশ শ্রেণি পাস কেউ কথা বলবে মানা যায় না।”

    সিএএ ইস্যু

    বরিবার, মালদহের হবিবপুর ব্লকের ১১ মাইল এলাকায় অঞ্চল কর্মী সম্মেলন হয় বিজেপির। প্রধান বক্তা ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ছিলেন উত্তর মালদা বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু, মালদা বিজেপির বিধায়ক গোপাল সাহা, উত্তর মালদা বিজেপির সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা। সেখানেই নাগরিকত্ব বিল নিয়ে কথা বলেন সুকান্ত। তাঁর কথায়, “রাম মন্দির হওয়ার আগে বিরোধীরা আমাদের টিটকিরি মারত। প্রশ্ন করত কবে রাম মন্দির হবে? ২০২৪-এর পয়লা জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী রাম মন্দিরের উদ্বোধন করবেন। তেমনই এখন বিরোধীরা টিটকিরি মারছেন কবে সিএএ চালু হবে? আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন। ২০২৪-এর মধ্যেই সিএএ লাগু হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কিছু করতে পারবে না। দেখবে, আর লুচির মত ফুলবে।”

    আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় দল, আজ থেকেই শুরু পরিদর্শন

    অমর্ত্য সেন প্রসঙ্গ

    অমর্ত্য সেন ও বিশ্বভারতীর মধ্যে সমস্যা নিয়ে সুকান্ত এদিন বলেন, “অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বিশ্বভারতীর জমি নিয়ে একটা সমস্যা রয়েছে। জমি মাপামাপি করলে, তবেই তো সমস্যা মিটবে। আমি নোবেল পেয়েছি মানে তো আমি কারও জমি দখল করতে পারি না। একটা অভিযোগ উঠেছে, সেই অভিযোগের নিষ্পত্তি হওয়া উচিত। উনি সম্মানীয় ব্যক্তি। এই সমস্যা যত তাড়াতাড়ি মিটে যায়, ততই ভালো। তাঁর নামের সঙ্গে এই ধরনের সমস্যা মানায় না।” এদিন মালদায় দুটি সভা করার পর পাকুয়াহাটে চা চক্রে যোগদান করেন সুকান্ত মজুমদার। এ প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেন, “টুয়েলভ পাশ ছেলে অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) মতো নোবেল লরিয়ট সম্পর্কে বড় বড় কথা বলছে ৷ ওঁর এমবিএ ডিগ্রিটাও তো ভুয়ো।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tripura: ত্রিপুরায় ৪৮ প্রার্থীর নাম ঘোষণা বিজেপির, বরদোয়ালি থেকে লড়বেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা

    Tripura: ত্রিপুরায় ৪৮ প্রার্থীর নাম ঘোষণা বিজেপির, বরদোয়ালি থেকে লড়বেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরের মাসেই ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন। ২৭ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সে রাজ্যে। কিছুদিন আগেই নির্বাচন কমিশন থেকে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হয়েছে। আজ শনিবার, ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রার্থীতালিকাও ঘোষণা করল বিজেপি৷ মোট ৬০টি আসনের মধ্যে আপাতত ৪৮টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে৷ তাঁদের মধ্যে ১১ জনই মহিলা প্রার্থী। সূত্রের খবর, বাকি ১২ জন প্রার্থীর নাম খুব শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে। টাউন বরদোয়ালি কেন্দ্র থেকেই নির্বাচনে লড়বেন ত্রিপুরার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (Manik Saha)। তবে এই নির্বাচনে লড়বেন না ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।

    বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা গেরুয়া শিবিরের

    শুক্রবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক হয়। হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ বিজেপির প্রথমসারির নেতারা। পরদিনই প্রাথমিকভাবে ৪৮ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। আজ প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করে রাজীব জানান, প্রার্থীতালিকায় দলিত, মূলবাসী, মহিলা-সহ সকল শ্রেণি এবং বর্ণের প্রতিনিধিত্ব রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে জানানো হয়, বাকি ১২টি আসনেও শীঘ্রই প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করা হবে।

    আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে এক ঘণ্টার ব্যবধানে ভেঙে পড়ল বায়ুসেনার তিনটি বিমান, মৃত ১ পাইলট

    বিজেপির তরফে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, বনমালীপুর কেন্দ্র থেকে বিপ্লব দেবের জায়গায় বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য নির্বাচনে লড়বেন। গতকাল সিপিএম বিধায়ক মহম্মদ মবোশার আলী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এবার বিজেপির টিকিটে কৈলাশহর কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়বেন তিনিও। ত্রিপুরায় একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন হল ধানপুর। সেই আসনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

    প্রসঙ্গত, ২৭ ফেব্রুয়ারি হবে ভোটগ্রহণ।  আর ফলাফল ঘোষণা হবে ২ মার্চই। ত্রিপুরা নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র যাচাই করা হবে তার পরের দিন। আর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২ ফেব্রুয়ারি।

    ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে। ত্রিপুরা নিয়ে কোমর বেঁধেছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসও। তবে, এসবের মধ্যেই ভোটমুখী ত্রিপুরায় বড় ধাক্কা খেতে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে৷ ত্রিপুরায় তৃণমূলের অন্যতম প্রধান নেতা সুবল ভৌমিক শুক্রবারই বিজেপিতে যোগ দেন।

  • Sukanta Majumdar: আইএসএফ বিধায়ককে গ্রেফতারির প্রতিবাদে পথে বিজেপিও, কী বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: আইএসএফ বিধায়ককে গ্রেফতারির প্রতিবাদে পথে বিজেপিও, কী বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজন বিধায়ককে যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেটা অন্যায়। ভাঙড়ের আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির প্রতিবাদে এ কথাই বললেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দিন কয়েক আগে ধর্মতলায় বিক্ষোভের জেরে গ্রেফতার করা হয় নওশাদকে। তাঁকে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। তারই প্রতিবাদে পথে নেমেছে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা। সুকান্ত বলেন, বিজেপির সঙ্গে আইএসএফের কয়েক যোজন দূরত্ব। রাজনৈতিকভাবে নওশাদের সঙ্গে বিজেপির কোনও মিল নেই। তবে একজন বিধায়ককে যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেটা অন্যায়।

    প্রতিবাদ…

    প্রসঙ্গত, এর আগে নওশাদের গ্রেফতারি নিয়ে পথে নেমেছে সিপিএম। রাজ্যজুড়ে কর্মসূচির ডাক দিয়েছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে আইএসএফের জোটসঙ্গীরা। এবার ভিন্ন মেরু হওয়া সত্ত্বেও এর প্রতিবাদ জানাল বিজেপি। নওশাদ ভাঙড়ের বিধায়ক। তিনি হুগলির ফুরফুরা শরিফের পিরজাদাও। তাঁর গ্রেফতারির প্রতিবাদে শুক্রবার বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সংখ্যালঘু মোর্চার নেতৃত্বে ধিক্কার মিছিল হয়। সিঙ্গুর থানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। সিঙ্গুর স্টেশন লাগোয়া বিজেপির দলীয় অফিস থেকে মিছিল বের হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা দলীয় অফিস থেকে গিয়ে জড়ো হন সিঙ্গুর থানার গেটের সামনে। পরে থানায় একটি ডেপুটেশনও দেওয়া হয় সংখ্যালঘু মোর্চার তরফে।  

    আরও পড়ুুন: ২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ইন্টারভিউ নিয়েছেন কারা? তথ্য তলব পর্ষদের

    ২১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ভাঙড়ের হাতিশালা এলাকায় দলীয় ঝান্ডা টাঙাচ্ছিলেন আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। তাঁরা এলাকার এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে পতাকা লাগিয়ে দেন। এনিয়েই অশান্তির সূত্রপাত। ঘটনার জেরে দু পক্ষে সংঘর্ষ হয়। আইএসএফের অভিযোগের তির তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলের দিকে। পরের দিন ধর্মতলায় দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় যোগ দিতে আসার পথে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদের গাড়ি ভাঙুচর করা হয় বলে অভিযোগ। এবারও আইএসএফের তরফে কাঠগড়ায় তোলা হয় আরাবুলের লোকজনকে। সভা শেষে ওই ঘটনার প্রতিবাদে ধর্মতলায় পথ অবরোধ করে আইএসএফ। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে। তার জেরে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় নওশাদকে। পরে করা হয় গ্রেফতার। বর্তমানে জেলেই রয়েছেন ভাঙড়ের বিধায়ক।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Calcutta High Court: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ নয়ছয়! মামলায় রাজ্যের অর্থসচিবকে জুড়তে বলল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ নয়ছয়! মামলায় রাজ্যের অর্থসচিবকে জুড়তে বলল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকা নয়ছয় করেছে রাজ্য এই অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের হওয়া মামলায়  রাজ্যের অর্থসচিবকে জুড়তে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। একই সঙ্গে যে কেন্দ্রীয় সংস্থা ক্যাগ (কম্পট্রোলার এবং অডিট জেনারেল)-এর রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্যের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদেরও এই মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।  আগামী ৩০ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    মামলাকারীদের দাবি

    নবান্নের বিরুদ্ধে হিসেব ও সিবিআই তদন্ত চেয়ে  আদালতে জনস্বার্থ মামলাটি করেন বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি অবশ্য বিজেপি নেতা হিসাবে নয় একজন সাংবাদিক হিসাবে মামলা করেছেন।  তিনি ছাড়াও মামলাকারীদের মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী সুমনশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী ঋত্বিক পাল। রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ আনা হয়। একই সঙ্গে এই ঘটনার সিবিআই তদন্তেরও দাবি করেছিলেন তিনি। 

    এর আগে রাজ্যকে দেওয়া কেন্দ্রের অর্থ অন্য খাতে খরচ করা নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। মামলাকারীরা জানিয়েছেন, পুরসভা ও নগরোন্নন দফতরের ৩০ হাজার কোটি টাকার কোনও হিসাব মেলেনি। অন্য দিকে পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রেও ৮১ হাজার ৮৩৯ কোটির হিসাব দেওয়া হয়নি। শিক্ষাক্ষেত্রেও হিসাব না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: রাজ্যের বিরুদ্ধে ২.২৯ লক্ষ কোটি টাকার খরচের হিসাবে গরমিলের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে বিজেপি নেতা

    কেন্দ্রের তরফ থেকে যে সব টাকা পাঠানো হয়েছে, তা কোন কোন খাতে খরচ হয়েছে, তার কোনও নথি নেই বলে দাবি করেছেন মামলাকারীরা। মামলাকারীর দাবি, ক্যাগ রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই এই মামলা করা হয়েছে। তাই ক্যাগ-কে যুক্ত করার কথা বলেছে আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Bengal BJP: পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন, দুর্গাপুরে বিশেষ বৈঠকে বিজেপি

    Bengal BJP: পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন, দুর্গাপুরে বিশেষ বৈঠকে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাখির চোখ ২০২৪এর লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Poll 2024)। বাংলা থেকে পেতে হবে অন্তত ২৫টি আসন। সেজন্য প্রয়োজন সঠিক রণকৌশল। সেই কৌশল ঠিক করতেই দুর্গাপুরে বৈঠকে বসেছে বঙ্গ বিজেপি (Bengal BJP)। শুক্র ও শনিবার দু দিন ধরে চলছে ওই বৈঠক। দুর্গাপুরের একটি হোটেলে হচ্ছে ওই বৈঠক। বৃহস্পতিবারই রাজ্যে সভা করে গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তার পর হচ্ছে এই বিশেষ বৈঠক। বুথে বুথে কীভাবে সংগঠন তৈরি করা হবে, মূলত তা নিয়েই আলোচনা হওয়ার কথা এই বৈঠকে। বিধায়ক এবং সাংসদদের পাশাপাশি কেন্দ্রের পাঁচ পর্যবেক্ষক এবং রাজ্যের অন্য নেতারাও উপস্থিত রয়েছেন এই বৈঠকে। শুক্রবার হয়েছে দলের পদাধিকারীদের নিয়ে বৈঠক। আজ, শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে মূল বৈঠক। এদিনের বৈঠকে প্রতিনিধি রয়েছেন দেড়শোরও বেশি।

    বিজেপি…

    এদিনের বৈঠকে যাওয়ার আগে এক সঙ্গে হাঁটতে দেখা গিয়েছে বিজেপির (Bengal BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এ রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। ওই দলের দেওয়া রিপোর্ট নিয়েও হয়েছে আলোচনা। সিএএ নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর জনসভায় এই আশ্বাস দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ওই মঞ্চে দাঁড়িয়েই একই আশ্বাস দিয়েছিলেন বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীও। এদিন তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুুন: ভাটপাড়া থেকে উদ্ধার অসংখ্য বোমা, ম্যাটাডোরে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ

    উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি বিজেপির (Bengal BJP) নজর রাঢ়বঙ্গের দিকেও। দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং বীরভূম এই পাঁচ জেলার সংগঠনকে নিয়ে আগেও বৈঠক করেছে বিজেপি। এই বর্ধমানের মধ্যেই পড়ে দুর্গাপুর। রাঢ়বঙ্গে ক্রমেই শক্তি বাড়ছে বিজেপির। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই দিন দিন গুরুত্ব বাড়ছে রাঢ়বঙ্গের। বিজেপি সূত্রে খবর, বিশেষ বৈঠকের জন্য দুর্গাপুরকে বেছে নেওয়ার কারণ এর ভৌগোলিক অবস্থান। এই শহরে যাতায়াতের সুবিধার পাশাপাশি রয়েছে অন্ডাল বিমানবন্দর। কেন্দ্রীয় নেতাদের যাতায়াতের সুবিধা বিস্তর। এদিন সুনীল বনসল দিল্লি থেকে বিমানে অন্ডালে এসে যোগ দেন বৈঠকে। তাছাড়া শহরে বিজেপির ভাল ভোটব্যাঙ্ক তৈরি হয়েছে। বিজেপির এক নেতা বলেন, দুর্গাপুরে রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠকের আয়োজনের পিছনে পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনের আগে এই অঞ্চলে শক্তি বৃদ্ধির বিষয়টিও মাথায় রাখা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

  • Delhi Mayor: ফের স্থগিত হয়ে গেল দিল্লি পুরনিগমের মেয়র নির্বাচন, কেন জানেন?

    Delhi Mayor: ফের স্থগিত হয়ে গেল দিল্লি পুরনিগমের মেয়র নির্বাচন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের স্থগিত হয়ে গেল দিল্লি পুরনিগমের মেয়র নির্বাচন। আজ, মঙ্গলবার ওই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো সকাল থেকে দিল্লির সিভিক সেন্টারে ছিল কড়া প্রহরার ব্যবস্থা। এদিন নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হয় ভোটাভুটির প্রক্রিয়া। তার পরেই আপ এবং বিজেপি কাউন্সিলরদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়ে যায়। তার জেরে অধিবেশন মুলতুবি করে দিতে বাধ্য হন প্রোটেম স্পিকার। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ভেস্তে গেল দিল্লি পুরনিগমের মেয়র নির্বাচন প্রক্রিয়া। এক মাসেরও বেশি আগে হয় দিল্লি পুরনিগমের ভোট। তার পর থেকে ওই পুরনিগমের মেয়র ও ডেপুটি মেয়রের পদ রয়েছে ফাঁকা। প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতে বিজেপি ও আপ কাউন্সিলরদের হট্টগোলের জেরে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল মেয়র নির্বাচন। এদিন ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গেল অধিবেশন।

    দিল্লি পুরনিগম…

    দিল্লি পুরনিগমের আসন সংখ্যা ২৫০। ডিসেম্বরের প্রথম দিকে ভোট গ্রহণ হয়। ২৫০টি আসনের মধ্যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি জয়ী হয় ১৩৪টি আসনে। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলে কেজরিওয়ালের দল। ক্ষমতাসীন বিজেপির ঝুলিতে যায় ১০৪টি আসন। পুরনিগমের ৯টি আসনে জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থীরা। মেয়র পদে জয়ের জন্য প্রয়োজন ১২৬ জন কাউন্সিলরের সমর্থন।

    মেয়র (Delhi Mayor) পদে আম আদমি পার্টির (AAP) প্রার্থী হয়েছেন শেলি ওবেরয়। আর বিজেপির হয়ে লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন শালিমার বাগের তিন বারের কাউন্সিলর রেখা গুপ্তা। এদিনই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ডেপুটি মেয়রও। ওই পদে বিজেপির প্রার্থী রামনগরের কাউন্সিলর কমল বাগড়ি। আর কেজরিওয়ালের দলের হয়ে ওই পদে লড়ছেন আলে মহম্মদ ইকবাল।

    আরও পড়ুুন: প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির কর্তব্যপথে ফের দেখা যাবে বাংলার ট্যাবলো, থিম কি জানেন?

    পুর নির্বাচনে আপ জয়লাভ করলেও, দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিজেপি কাউন্সিলর সত্য শর্মাকে প্রোটেম স্পিকার মনোনীত করেন। এদিন সত্য শর্মা শপথ গ্রহণের জন্য প্রথমে ডাকেন মনোনীত ১০ কাউন্সিলরকে। পরে শপথ গ্রহণ করেন নির্বাচিত কাউন্সিলররাও। এরপর মেয়র ও ডেপুটি মেয়র নির্বাচনের আগে ১৫ মিনিটের জন্য অধিবেশন স্থগিত ছিল। সূত্রের খবর, সেই সময় বিজেপির কয়েকজন কাউন্সিলর মোদি মোদি বলে স্লোগান দিতে দিতে সিভিক সেন্টারের ভিতরে ঘোরাঘুরি করতে শুরু করেন। আপ নেতা কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন তাঁরা। আপ কাউন্সিলরদের বেঞ্চের সামনে গিয়েও তাঁরা স্লোগান দেওয়া শুরু করেন বলে অভিযোগ। পাল্টা স্লোগান দিতে শুরু করেন আপ কাউন্সিলররাও। এর পরেই অধিবেশন মুলতুবি করে দেন প্রোটেম স্পিকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Delhi Mayor: মেয়র, ডেপুটি মেয়র নির্বাচন, দিল্লিতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা

    Delhi Mayor: মেয়র, ডেপুটি মেয়র নির্বাচন, দিল্লিতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির মেয়র (Delhi Mayor) ও ডেপুটি মেয়র নির্বাচন হচ্ছে আজ, মঙ্গলবার। এদিন সকাল থেকেই সিভিক সেন্টারের সামনে রয়েছে টান টান উত্তেজনা। অশান্তির আশঙ্কায় কড়া নিরাপত্তার (Heavy Security) ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র ছাড়াও এদিন নির্বাচিত হবেন স্ট্যান্ডিং কমিটির ৬ সদস্যও। নির্বাচন পর্ব অনুষ্ঠিত হবে সিভিক সেন্টারে। সেই কারণেই এখানে করা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা। কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরেই হবে মেয়র নির্বাচন। এদিনের পুরো পর্বটি পরিচালনা করবেন কাউন্সিলর সত্য শর্মা। তিনি বিজেপির প্রতীকে জয়ী হয়েছেন। দিল্লির লেফটেন্যন্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা ওই দায়িত্ব দিয়েছেন তাঁকে।

    দিল্লি পুরনিগম…

    দিল্লি পুরনিগমের আসন সংখ্যা ২৫০। ডিসেম্বরের প্রথম দিকে ভোট গ্রহণ হয়। ২৫০টি আসনের মধ্যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি জয়ী হয় ১৩৪টি আসনে। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলে কেজরিওয়ালের দল। ক্ষমতাসীন বিজেপির ঝুলিতে যায় ১০৪টি আসন। পুরনিগমের ৯টি আসনে জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থীরা। মেয়র পদে জয়ের জন্য প্রয়োজন ১২৬ জন কাউন্সিলরের সমর্থন।

    এদিন মেয়র (Delhi Mayor) পদে আম আদমি পার্টির (AAP) প্রার্থী হয়েছেন শেলি ওবেরয়। বছর ঊনচল্লিশের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা শেলি বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত দিল্লির ইস্ট পটেলনগর এলাকার ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন। তিনি এবারই প্রথম প্রার্থী হয়েছিলেন। আর বিজেপির হয়ে লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন শালিমার বাগের তিন বারের কাউন্সিলর রেখা গুপ্তা। এদিনই নির্বাচন হবে ডেপুটি মেয়রও। ওই পদে বিজেপির প্রার্থী রামনগরের কাউন্সিলর কমল বাগড়ি। আর কেজরিওয়ালের দলের হয়ে ওই পদে লড়ছেন আলে মহম্মদ ইকবাল। তিনি আপ নেতা তথা ছ বারের বিধায়ক শোয়েব ইকবালের ছেলে। এবার চাঁদনি মহল এলাকা থেকে ১৭ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি।  

    আরও পড়ুুন: জয়শঙ্করের মুখে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রশস্তি, কেন জানেন?

    স্ট্যান্ডিং কমিটিতে নির্বাচিত হবেন ৬ জন। যদিও লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন সাতজন। আম আদমি পার্টির তরফে এই পদগুলিতে লড়ছেন আমিল মালিক, রামিন্দার কাউর, মোহিনী জিনওয়াল এবং সরিকা চৌধুরী। আর বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন কমলজিৎ শেরাওয়াত, গজেন্দ্র দাড়াল এবং পঙ্কজ লুথরা। দিল্লির সাতটি লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ, রাজ্যসভার তিন সাংসদ এবং ১৪ জন বিধায়কও অংশ নেবেন এদিনের ভোটাভুটিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Suvendu Adhikari: মিড ডে মিলের টাকায় বগটুই গণহত্যার ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মিড ডে মিলের টাকায় বগটুই গণহত্যার ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড ডে মিলের অর্থে বগটুই গণহত্যায় নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য! এদিন ঠিক এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সরব রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফলে ফের একবার শুভেন্দু অধিকারীর নিশানায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এই অভিযোগ প্রথম তুলেছিলেন বীরভূমের বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা। তারপর সেইসব চেকের ছবি ট্যুইট করে সরব হন শুভেন্দু। ১০ মাস হয়ে গিয়েছে বগটুই গণহত্যার। গত বছর ২৪ মার্চ বগটুইয়ে মৃত ও ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়েও অভিযোগ তুলল গেরুয়া শিবির। অভিযোগ, এই ক্ষতিপূরণের টাকা কেন্দ্রীয় প্রকল্প মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ টাকা থেকে খরচ করেছে রাজ্য সরকার৷

    ঠিক কী অভিযোগ?

    অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রকল্প মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ টাকা বগটুই কাণ্ডে মৃতদের পরিবারকে দেওয়া অনুদান হিসেবে খরচ করেছে রাজ্য সরকার৷ এই নিয়ে ট্যুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ সেই ট্যুইটে তিনি মেনশন করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ আবার ট্যুইটের মাধ্যমেই এই নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন৷

    ট্যুইটে সরব শুভেন্দু

    এদিন সকালে নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে বগটুই গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর সেই আর্থিক সাহায্যের ভিডিও আপলোড করেন শুভেন্দু অধিকারী৷ এরপর রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, “স্কুলছাত্রীদের খাদ্য ও পুষ্টির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার মিড ডে মিল তহবিলে অর্থ দেয়৷ সেই অর্থ ছবি তোলার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে! এটা একটা আর্থিক অপরাধ।” তিনি আরও লিখেছেন, বাংলার সরকার দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে৷ আপৎকালীন তহবিল ও মুখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ডে কোনও অর্থ নেই৷ তার পরও অর্থ-কম্বল প্রদান চলছে৷ সেগুলি মিড ডে মিলের তহবিল থেকে করা হচ্ছে৷ তিনি আবার এই নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে অভিযোগ জানানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন৷

    বীরভূমের বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহার অভিযোগ

    একই অভিযোগ নিয়ে প্রথমে বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা সরব হয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুটি চেকের ছবি দিয়ে অভিযোগ করেছেন রাজ্য সরকার বগটুই কাণ্ডে যে আর্থিক সাহায্য দিয়েছে, তা কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া মিড ডে মিলের টাকা থেকে। এ ব্যাপারে তিনি দুটি চেকের ছবি দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

    প্রসঙ্গত, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আগেই জানিয়েছিলেন, অন্য সব কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মত মিড ডে মিলের প্রকল্পের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে আসছে ৩০ জানুয়ারি। তাঁরা ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে থাকবেন। মিড ডে মিল নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হচ্ছে। তবে তার আগে বগটুই কাণ্ডে ক্ষতিপূরণের টাকায় এই অভিযোগ আনায় ও শুভেন্দুর ট্যুইট নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চৰ্চা। তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।

  • Bharat Jodo Yatra: কংগ্রেসের ভারত জোড় যাত্রা, রাহুলের লক্ষ্য পূরণ হল কি?

    Bharat Jodo Yatra: কংগ্রেসের ভারত জোড় যাত্রা, রাহুলের লক্ষ্য পূরণ হল কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নামেই ভারত জোড় যাত্রা (Bharat Jodo Yatra)। আদতে লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election) আগে বিরোধী ঐক্যে শান দেওয়া। রাজনৈতিক মহলের মতে, যে উদ্দেশ্যে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কন্যাকুমারী থেকে পাড়ি দিলেন কাশ্মীর পর্যন্ত, সেই লক্ষ্য তাঁর আদৌ পূরণ হবে কিনা, তা নিয়ে রয়েছে বড়সড় একটা জিজ্ঞাসা চিহ্ন। ভারত জোড় যাত্রায় রাহুল ব্যয় করেছেন প্রায় পাঁচ মাস। কন্যাকুমারীতে শুরু হওয়া ওই পদযাত্রা শেষ হবে কাশ্মীরে শ্রীনগরে, ৩০ জানুয়ারি। কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলকে এক ছাতার তলায় আনতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ। কংগ্রেসের কমিউনিকেশন হেড তথা প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ গত সপ্তাহেই সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কংগ্রেসকে অবশ্যই যে কোনও কার্যকর বিরোধী জোটের পাশে থাকতে হবে। তবে বিরোধী ঐক্যের ভরকেন্দ্র যে কংগ্রেসই, সেদিন তাও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, যে কোনও বিরোধী জোটের ভরকেন্দ্র অবশ্যই কংগ্রেস (Congress)। কংগ্রেস ছাড়া কোনও বিরোধী জোট অর্থবহ হবে না।

    বিরোধী জোটের স্বপ্ন…

    অতএব বিরোধীদের একজোট করতে হবে। সেই উদ্দেশ্যে সমমনস্ক ২১টি রাজনৈতিক দলকে ভারত জোড় যাত্রায় (Bharat Jodo Yatra) অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। ফাইনাল ইভেন্টে তারা আহ্বান জানিয়েছিল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ, ডিএমকে, এবং সিপিআই(এম)কে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তৃণমূল কংগ্রেস, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, তেলগু দেশম পার্টি, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি, ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি এবং সিপিআইকেও। অদ্ভুতভাবে আমন্ত্রিত দলের তালিকায় নেই আম আদমি পার্টি, শিরোমণি অকালি দল, ভারত রাষ্ট্র সমিতি এবং গুলাম নবি আজাদের ডেমক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ আজাদ পার্টি।

    আরও পড়ুুন: বন্ধ একশো দিনের প্রকল্প, ফের ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের

    গত সপ্তাহে জনতা দল ইউনাইটেডের তরফে রাজীব রঞ্জন সিং খাড়গেকে জানিয়ে দেন, অন্য কাজ থাকায় তিনি ওই যাত্রায় যোগ দিতে পারছেন না। যদিও বিরোধী ঐক্যের প্রয়োজন রয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, আসলে শক্তিশালী বিরোধী জোটের প্রাসঙ্গিকতার কথা সকলে স্বীকার করলেও, কংগ্রেসকে তার মুখ হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। তার জেরে ডাক পেয়েও সচেতনভাবে কংগ্রেসের ভারত জোড় যাত্রা এড়িয়ে গিয়েছেন অনেকেই।

    বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ভারত জোড় যাত্রাকে (Bharat Jodo Yatra) কংগ্রেসের অভ্যন্তরণী বিষয় বলে জানিয়েছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন, আমরা এই যাত্রায় যোগ দেব না। যাত্রা শেষে বিরোধী ঐক্য নিয়ে কথা বলা যাবে। বিহারে জন সুরজ অভিযানে অনেক হেঁটেছি। এই অজুহাতে ভারত জোড় যাত্রা এড়িয়ে গিয়েছেন ইলেকশন স্পেশালিস্ট প্রশান্ত কিশোর। কংগ্রেসের ডাকে সাড়া দেননি আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদবের ছেলে তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবও। অখিলেশ যাদবে সমাজবাদী পার্টি এবং মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টি উত্তর প্রদেশের প্রধান এই দুই বিরোধী দলই যোগ দেননি কংগ্রেসের ভারত জোড় যাত্রায়। যদিও ডাক পেয়েছিল ওই দুই দলই।

    কংগ্রেসের তরফে আমন্ত্রণ পাওয়ার পর অখিলেশ বলেছিলেন, কংগ্রেস এবং বিজেপি একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। যদিও সমাজবাদী পার্টির সহযোগী দল রাষ্ট্রীয় লোক দলের তরফে প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছে। ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা তথা কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা ও তাঁর ছেলে তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা দুজনেই যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসের ওই যাত্রায়। যোগ দিয়েছেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিও। তৃণমূল এই যাত্রায় যোগ না দিলেও, দলের বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী এই যাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তবে সংবাদ মাধ্যমে তিনি এও বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির একটা বোঝাপড়া রয়েছে। মোদি যাতে আপসেট হয়ে পড়েন, এমন কোনও কাজ মমতা করবেন না। যখন মোদিজি বলেছিলেন ভারতকে কংগ্রেস মুক্ত করতে হবে, তখন মমতাও বলেছিলেন বাংলা থেকে কংগ্রেসকে দূর করা উচিত।

    যে লক্ষ্যে রাহুল পাঁচ মাস ধরে হাঁটলেন, সেই লক্ষ্য পূরণ হবে কি? বলবে সময়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Meghalaya: ইস্তেহার প্রকাশ তৃণমূলের, ভোট কিনতে বাংলার মতো টাকার টোপ মেঘালয়েও!

    Meghalaya: ইস্তেহার প্রকাশ তৃণমূলের, ভোট কিনতে বাংলার মতো টাকার টোপ মেঘালয়েও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার (West Bengal) মতো মেঘালয়েও (Meghalaya) ভোট ‘কেনা’র পথে হাঁটল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)! লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ধাঁচে ক্ষমতায় এলে এখানেও মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ফি মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিল বাংলার শাসক দল। মঙ্গলবার তৃণমূলের তরফে শিলং থেকে ইস্তেহার প্রকাশ করেন দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল ক্ষমতায় এলে খাসো এবং গারো ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়।

    তৃণমূল…

    বাংলায় তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর গোটা দেশে সংগঠন বিস্তারে উদ্যোগী হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এজন্য বড় রাজ্যগুলির পরিবর্তে তারা পাখির চোখ করে ছোট ছোট রাজ্যগুলিকে। সেই মতো গোয়ায় প্রার্থী দেয় তৃণমূল। সেখানে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ বিজেপির কাছে মুখ থুবড়ে পড়ে মমতার দল। তার আগে আক্ষরিক অর্থেই ‘রাম’ধাক্কা খেয়েছিল উত্তর-পূর্বের বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরায়। গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ত্রিপুরায় প্রার্থী দেয় তৃণমূল। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে সেখানে প্রচারে যান দলের হেভিওয়েট নেতারা। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত বার পাঁচেক প্রচারে যান ত্রিপুরায়। তার পরেও আদতে কোনও লাভ হয়নি। বিজেপির কাছে গোহারা হারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। একটি মাত্র আসনে যিনি তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী হয়েছিলেন, তিনিও পরে যোগ দেন বিজেপিতে।

    আরও পড়ুুন: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ নয়ছয়! মামলায় রাজ্যের অর্থসচিবকে জুড়তে বলল হাইকোর্ট

    উত্তর পূর্বের আরও একটি রাজ্যকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। সেটি মেঘালয় (Meghalaya)। মেঘের রাজ্যে পায়ের নীচে মাটি পেতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস ভাঙিয়ে দল ভারী করেছে তৃণমূল। চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে বিজেপিকে। এ রাজ্যে বিজেপি বেশ শক্তশালী। তাই বিজেপিকে গদিচ্যুত করতে নগদ অর্থের ‘টোপ’ দিয়েছে তৃণমূল। বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মতো এখানেও ফি মাসে মহিলাদের ১০০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ইস্তেহারে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।  

    একুশের বিধানসভা ভোটে বাংলা দখল করতে মহিলাদের প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় তৃণমূল। ভোটে জয়ী হওয়ার পরে সে টাকা দেওয়াও হয়। তবে সেজন্য আগে থেকে কোনও ফান্ডের ব্যবস্থা করা হয়নি। অভিযোগ, মিড-ডে মিল সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা ‘সরিয়ে’ দেওয়া হচ্ছে ‘ভাণ্ডারে’। এনিয়ে একাধিকবার কেন্দ্রকে নালিশ জানিয়েছেন বাংলার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র। তার পরেও শিক্ষা হয়নি এ রাজ্যের শাসক দলের। যার জেরে ফের টাকার টোপ। রাজ্যটা অবশ্য বাংলা নয়, উপজাতি অধ্যুষিত মেঘালয়!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share