Tag: bjp

bjp

  • Tmc: গোয়া ভোটে তৃণমূলের খরচ ৪৭ কোটি টাকা, বিজেপির প্রায় ৩ গুণ!

    Tmc: গোয়া ভোটে তৃণমূলের খরচ ৪৭ কোটি টাকা, বিজেপির প্রায় ৩ গুণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) বাজিমাত মাত্র ১৭ কোটিতেই! জলে গিয়েছে তৃণমূলের (TMC) ৪৭ কোটি টাকা। হ্যাঁ, গোয়া (Goa) বিধানসভা নির্বাচনে জলের মতো টাকা খরচ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। তার পরেও মেলেনি সাফল্য। সম্প্রতি এমনই খবর মিলেছে নির্বাচন কমিশন সূত্রে।

    গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে হারাতে উঠেপড়ে লাগে তৃণমূল। আরব সাগরের তীরের এই রাজ্যের রশি হাতে নিতে একাধিকবার গোয়া উড়ে যান তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কয়েকবার গোয়া উড়ে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। গোয়ার মাটি কামড়ে পড়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন, বাবুল সুপ্রিয় সহ একঝাঁক নেতানেত্রী। ভোটে বিজেপিকে মাত দিতে কংগ্রেসের ঘর ভাঙাতে শুরু করে তৃণমূল। তার পরেও ভোটের ফল বের হলে দেখা যায়, শেষ হাসি হেসেছে বিজেপি-ই। আরব সাগরের তীরের এই ছোট্ট রাজ্যের সিংহভাগ আসনেই ফুটেছে পদ্ম।

    জানা গিয়েছে, গোয়ায় ঘাসফুল আঁকা ঝান্ডা ওড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করতে গিয়ে তৃণমূল ব্যয় করেছে ৪৭.৫৪ কোটি টাকা। কংগ্রেস, তৃণমূল সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে ধরাশায়ী করে গোয়ার ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন প্রমোদ সাওয়ান্ত। গোয়া দখল করতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরের খরচ হয়েছে মাত্র ১৭.৭৫ কোটি টাকা। বড় রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সব চেয়ে কম খরচ করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম-আদমি পার্টি। গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে তারা খরচ করেছে মাত্র ৩.৫ কোটি টাকা। সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনে ভোটের খরচের হিসাব দাখিল করেছে। তার পরেই প্রকাশ্যে এসেছে এই তথ্য।

    আরও পড়ুন :বন্দরে আটক ২০০ কোটি টাকার হেরোইন আসছিল তৃণমূল নেতার জন্য?

    দীর্ঘদিন গোয়ার কুর্সিতে ছিল কংগ্রেস। তবে গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে তারা খুব বেশি টাকা খরচ করতে পারেনি। ওই নির্বাচনে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি খরচ করেছে মাত্র ১২ কোটি টাকা। আম আদমি পার্টি, কংগ্রেস, বিজেপি মায় তৃণমূলের চেয়েও ঢের বেশি টাকা খরচ করেছে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি। তারা তাদের ১১ জন প্রার্থীর প্রত্যেককে দিয়েছে ২৫ লক্ষ করে টাকা। এছাড়াও প্রচারের খরচ দিয়েছে দল। ওই নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছিল শিবসেনাও। ১০ প্রার্থীকে জেতাতে তারা খরচ করেছিল ৯২ লক্ষ টাকার কাছাকাছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • Suvendu Adhikari: বোলপুরে শিশুহত্যার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির

    Suvendu Adhikari: বোলপুরে শিশুহত্যার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিনিকেতনে শিশুখুনের (Child Murder) আঁচ এসে লাগল বিধানসভায়ও (State Assembly)। পুলিশের বিরুদ্ধে অপদার্থতার অভিযোগে সোচ্চার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শিশু মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে সিবিআই (CBI) তদন্ত দাবি করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। খোদ পুলিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিধানসভায় হায় হায় স্লোগান বিজেপির। বুধবার বিধানসভা থেকে ওয়াকআউটও করেন পদ্ম-বিধায়করা। বিধানসভা কক্ষের বাইরে বিক্ষোভও প্রদর্শন করেন তাঁরা।  

    দু দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার হয় শান্তিনিকেতনের মোলডাঙার বাসিন্দা বছর পাঁচেকের শিবম ঠাকুরের দেহ। গ্রামেরই মুদিখানার দোকানে বিস্কুট কিনতে গিয়েছিল সে। পরে উদ্ধার হয় দেহ। পরিবারের অভিযোগ, শিশুটিকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। ঘটনার জেরে অভিযু্ক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।

    শান্তিনিকেতনের এই অশান্তির আঁচ এসে লাগে বিধানসভায়ও। বুধবার বিধানসভায় বিষয়টি তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শিশুখুনের ঘটনায় পুলিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি দাবি করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেই দাবি মেনে না নেওয়ায় হইচই করেন বিরোধীরা। পুলিশ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে হায় হায় স্লোগান দিতে থাকেন। পরে বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা। নিহত শিশুর ছবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন :চিকিৎসা ভাতা বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারী

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে শিশু ও কিশোরকে অপহরণ করা হচ্ছে। পুলিশ ডায়েরি নিচ্ছে না, তদন্তও করছে না। পরে তাদের দেহ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, গতকালের এই বাচ্চাটা ১৮ তারিখ নিখোঁজ হয়েছে। তার পরিবার জিডি করেছে। ২০ তারিখ পাশের বাড়ি রুবি বিবির বাড়িতে পলিথিনে মোড়া এই বাচ্চার দেহ পাওয়া গিয়েছে। শুভেন্দু বলেন, পুলিশ মন্ত্রী চোরেদের বাঁচানোর জন্য বিধানসভায় এসে মিথ্যা কথা বলতে পারেন। তিনি এত ব্যস্ত যে চোরেদের বাঁচানোর জন্য ইডি-সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে রেজোলিউশনে নেচে নেচে বলতে পারেন, আর এই বাচ্চাটার জন্য আমরা বলেছিলাম হাউস চলাকালীন পুলিশ মন্ত্রীকে এসে বলতে বলুন। তাঁর অভিযোগ, অধ্যক্ষ একপেশে আচরণ করেন। তিনি কর্ণপাত করেননি। আমরা বিজেপি বিধায়করা ভিতরে প্রতিবাদ করেছি, বাইরেও করেছি। তিনি বলেন, আমরা রুবি বিবির ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। সিবিআই তদন্তের দাবিও জানান শুভেন্দু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • BJP: বন্দরে আটক ২০০ কোটি টাকার হেরোইন আসছিল তৃণমূল নেতার জন্য?

    BJP: বন্দরে আটক ২০০ কোটি টাকার হেরোইন আসছিল তৃণমূল নেতার জন্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগে কলকাতা বন্দরে (Calcutta Port) আটক হয়েছিল ২০০ কোটি টাকার হেরোইন। ওই হেরোইন দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক তৃণমূল (TMC) নেতাকে সরবরাহ করার জন্যই নিয়ে আসা হয়েছিল বলে দাবি বিজেপির (BJP)। হেরোইন (Heroin) এসেছিল শরিফুল এন্টারপ্রাইজের নামে। গিয়ার বক্সে লুকিয়ে কন্টেনার ভর্তি করে নিয়ে আসা হয়েছিল মাদক। বৃহস্পতিবার দলের রাজ্য  দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে এই অভিযোগ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।

    যে পথে পাচার…

    তাঁদের দাবি, শরিফুল এন্টারপ্রাইজের মালিক শরিফুল ইসলাম মোল্লা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। বিজেপির দাবি, শরিফুল সন্দেশখালি এক ও দুই নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শিবু হাজরা ও শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ। সম্প্রতি বন্দরে ধরা পড়ে ৪০ কিলোগ্রামে হেরোইন। যার বাজারমূল্য ২০০ কোটি টাকা। বিজেপির এই দুই রাজ্য কর্তার দাবি, এই মাদক পাচারের সঙ্গে রাজ্যের দুই মন্ত্রীও যুক্ত। যদিও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক দল।   

    আরও পড়ুন: গার্ডেনরিচে তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে রহস্য

    চলতি মাসের ৯ তারিখে গুজরাট পুলিশের এটিএফ তল্লাশি চালায় কলকাতা বন্দরে। বাজেয়াপ্ত হয় দুশো কোটি টাকার হেরোইন। বিজেপির দাবি, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর ওই পরিমাণ হেরোইন বুক করা হয়েছিল। মোট ৬০৫টি প্যাকেটে এবং আড়াই হাজার কিলোগ্রাম স্পেয়ার পার্টেসের সঙ্গে লুকিয়ে আনা হয়েছিল ওই মাদক। বন্দরে মাদক পড়ে রইলেও, শরিফুল তা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিয়ে যাননি। পদ্ম শিবিরের দাবি, দূষণ সংক্রান্ত সার্টিফিকেটের সমস্যার কথা জানিয়ে বন্দর থেকে ওই মাদক ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়নি। পরে বাজেয়াপ্ত করা হয় কন্টেনার। বিজেপির অভিযোগ, এর পরে পরেই হাওয়া হয়ে যান শরিফুল। তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গেরুয়া নেতৃত্ব।

    সুকান্ত বলেন, মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন সিবিআইয়ের থেকে রাজ্যের সিআইডি বেশি কার্যকর। সেই কারণে আমি চাইব, শরিফুল কোথায় আছেন, রাজ্যই তা খুঁজে বার করুক। জানা গিয়েছে, শরিফুলের এক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা সন্দেশখালির ব্লক ২ এর তৃণমূল সভাপতি শেখ শাহজাহান রাজ্যের এক মন্ত্রীর সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেন। দুর্নীতির কারণে সম্প্রতি ওই মন্ত্রীর দফতর বদল হয়েছে বলেও মনে করিয়ে দেন বিজেপির ওই দুই নেতা। মাদক ব্যবসার জন্য একশো কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল। শরিফুল ওই টাকা কোথায় পেয়েছিলেন, তা নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার বলেও দাবি করেন সুকান্ত। শরিফুলের সঙ্গে তৃণমূলের দুই নেতার ফোনে কথাবার্তার রেকর্ডিং তাঁদের কাছে রয়েছে বলেও জানান সুকান্ত ও জগন্নাথ।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Goa Congress: বড় ধস গোয়া কংগ্রেসে, ‘হাত’ ছেড়ে ‘পদ্ম’ ধরলেন ৮ বিধায়ক

    Goa Congress: বড় ধস গোয়া কংগ্রেসে, ‘হাত’ ছেড়ে ‘পদ্ম’ ধরলেন ৮ বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বড়সড় ধস গোয়া কংগ্রেসে (Goa Congress)। গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির (Grand Old Party) বিধায়ক রয়েছেন ১১ জন। এর মধ্যে ৮ জনই যোগ দিলেন বিজেপিতে (BJP)। এই বিধায়কদলের নেতৃত্বে রয়েছেন দিগম্বর কামাট ও মাইকেল লোবো। গোয়া বিধানসভার সদস্য সংখ্যা ৪০। তার মধ্যে কংগ্রেসের (Congress) সদস্য সংখ্যা মাত্র তিন। বর্তমানে দেশজুড়ে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছে কংগ্রেস। বর্তমানে এই কর্মসূচি চলছে কেরলে। এমতাবস্থায় দলের ভাঙনে যারপরনাই বিব্রত সোনিয়া গান্ধীর দল। কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, জোড়ো ইয়োর পার্টি ফার্স্ট।

    যেহেতু এক সঙ্গে আটজন কংগ্রেস ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন, সেহেতু এঁদের ক্ষেত্রে দল বিরোধী আইন কার্যকর হবে না। এদিন যাঁরা হাত ছেড়ে হাতে তুলে নিলেন পদ্ম, তাঁরা হলেন মাইকেল লোবোর স্ত্রী ডেলিয়া লোবো, রাজেশ ফালদেশাই, কেদার নায়েক, সংকল্প আমোনকর, অ্যালেক্সিও সেকুইরিয়া এবং রুডলফ ফার্দিনান্স। দল ছেড়ে মাইকেল লোবো বলেন, এটা হল কংগ্রেস ছোড়ো, বিজেপির সঙ্গে জোড়ো। এদিন যাঁরা দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন, তাঁদের বক্তব্য, এটা হল অপারেশেন লোটাস।

    আরও পড়ুন : রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়লে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিএ দিয়ে দেব! দাবি শুভেন্দুর

    এঁদের সঙ্গে এদিন দল ছেড়েছেন কামাতও। তিনি বলেন, কংগ্রেসে আমরা ভাল ছিলাম না। আমরা দেখেছি বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের সঙ্গে কী ঘটেছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে দল ছেড়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আজাদ। এদিন সেই প্রসঙ্গই টানেন দলবদলু বিধায়করা। তাঁরা বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কাজ করব। কাজ করব গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের সঙ্গেও। গোয়ার আরও উন্নতির জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব।

    গোয়া বিধানসভায় মোট আসন ৪০। এর মধ্যে বিজেপির সদস্য সংখ্যা ২০। মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির সদস্য রয়েছেন দু জন। আর নির্দল রয়েছেন তিনজন। সব মিলিয়ে সরকার পক্ষে ছিলেন ২৫ জন। এদিন কংগ্রেস ভেঙে আটজন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বিধানসভায় তাদের সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল ৩৩জন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • Bengal Panchayat Polls: রাজ্য নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের শাখা! দাবি সুকান্তর, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী?

    Bengal Panchayat Polls: রাজ্য নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের শাখা! দাবি সুকান্তর, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) । ২০২৩-এর শুরুতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। তারই প্রস্তুতি শুরু করে দিল বিজেপি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর (central force) ঘেরাটোপেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির পর্যবেক্ষকদের কাছে এমনই দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী,  বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ অন্যান্যরা। 

    রবিবার আইসিসিআর-এ বিজেপির দলীয় বৈঠকে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে মিলিত হন রাজ্য নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সংগঠনের খামতি দূর করতেই এই বৈঠকের আয়োজন করে বিজেপি। খতিয়ে দেখা হয় সাংগঠনিক শক্তিও। দুই দিনের এই বৈঠক চলবে আজ, সোমবারও। বৈঠকে ছিলেন দলের শীর্ষ নেতা সুনীল বনসল ও মঙ্গল পান্ডে-সহ একাধিক নেতা। রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক ও সহ-পর্যবেক্ষেক মিলিয়ে বিজেপির মোট ৩ নেতা। ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করছেন তাঁরা। শুধুমাত্র শীর্ষ নেতৃত্ব নয়,তালিকায় রয়েছেন রাজ্য পদাধিকারী, বিধায়ক ও জেলা সভাধিপতিরাও।

    আরও পড়ুন: ভেকুটিয়া সমবায় সমিতিতে গেরুয়া ঝড়! জানেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কী লক্ষ্য বিজেপির?

    বিজেপি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে করার পক্ষে  সওয়াল করেন শুভেন্দু-সুকান্তরা। বৈঠকের পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোট করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তারা এখানে তৃণমূলের শাখায় পরিণত হয়েছে! ওখানে আবেদন করে কিছু হবে না। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য প্রয়োজনে আদালতে গিয়ে দাবি জানাতে হবে।’’ রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে পঞ্চায়েত ভোট করা যায় কি না সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও, এমনই খবর দলের অন্দরে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপেই হয়েছিল গত বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের দাবি, মানুষ নিজের ভোট  নিজে দিলে, ফল যাবে বিজেপির অনুকূলে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে খুবই ভালো ফল করবে বিজেপি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Akhilesh Yadav: চিতা নিয়ে কটাক্ষ অখিলেশের, এসপি নেতার ‘অজ্ঞতা’ নিয়ে বিদ্রুপ বিজেপির

    Akhilesh Yadav: চিতা নিয়ে কটাক্ষ অখিলেশের, এসপি নেতার ‘অজ্ঞতা’ নিয়ে বিদ্রুপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুনো ন্যাশনাল পার্কে (Kuno National Park) চিতা (Cheetah) ছেড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাকে কটাক্ষ করে ট্যুইট করেছিলেন সমাজবাদী পার্টির (SP) নেতা অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। এবার তারই পাল্টা দেওয়া হল বিজেপির (BJP) তরফে। গেরুয়া শিবিরের এক নেতার বিদ্রুপ, অখিলেশকে পড়াতে গিয়ে যে পয়সা খরচ হয়েছে, তা পুরো বরবাদ হয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন : ৭০ দশক পর চিতা ফিরল দেশে, ছাড়া হল কুনো জাতীয় উদ্যানে

    ভারতে চিতার অস্তিত্ব লুপ্ত হয়েছে সাত দশক আগে। সম্প্রতি দেশে চিতা ফিরিয়ে আনতে নামিবিয়া থেকে সব মিলিয়ে আটটি চিতা নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচটি পুরুষ, তিনটি স্ত্রী। ১৭ অগাস্ট, শনিবার প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে সেগুলিকে ছাড়া হয় মধ্য প্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে। এদিনই ওই চিতাগুলির একটি ভিডিও শেয়ার করে সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব ট্যুইট বার্তায় লেখেন, প্রত্যেকে অপেক্ষা করছিল গর্জন শুনবে বলে। কিন্তু দেখা গেল, এরা বাক্সের মধ্যে বিড়ালের মতো মিউমিউ করছে। এর পরেই অখিলেশের অজ্ঞতাকে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা তথা বিজেপির দিল্লি মুখপাত্র অজয় শেরওয়াত। তিনি জানান, চিতা গর্জন করে না। পাল্টা ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, আপনি অষ্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করেছেন…সব পয়সা বরবাদ হয়ে গিয়েছে।

    অখিলেশকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি নেটিজেনরাও। কেউ কেউ তাঁকে শোধরাতে গিয়ে বলছেন, চিতা বাঘ, সিংহ কিংবা চিতাবাঘের মতো গর্জন করে না। কারণ তাদের প্রত্যেকের ভয়েস বক্সের গঠন আলাদা। কোনও কোনও ট্যুইটার ব্যবহারকারী আবার বলছেন, এটা অখিলেশের ভুল নয়। কারণ তিনি জানেন না ১৯৫২ সালেই দেশে চিতা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। এদিকে, কুনো পার্কে চিতা ছাড়ার ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। কংগ্রেসের দাবি, চিতা ছাড়ার এই প্রজেক্ট মহমোহন সিংয়ের সরকারের আমলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Sukanta Majumdar: আহত পুলিশকর্তাকে ফোন করে খোঁজ নিলেন সুকান্ত, বললেন ‘‘উনিও তো মানুষ…’’

    Sukanta Majumdar: আহত পুলিশকর্তাকে ফোন করে খোঁজ নিলেন সুকান্ত, বললেন ‘‘উনিও তো মানুষ…’’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির নবান্ন অভিযানকে (BJP Nabanna Abhijan) কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড হয় মঙ্গলবার। গতকালের ঘটনায় বহু বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। আহত হন ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত। এছাড়াও গুরুতর আহত হয়েছেন এক  পুলিশকর্তা। গতকালের বিজেপির অভিযানে ডিউটিতে ছিলেন পুলিশ কর্তা দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সেই অভিযান চলাকালীন যে রণক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়েছিল সেই সময়েই গুরুতর আহত হয়েছিলেন তিনি। আর তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা জানতে খোঁজ নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    তিনি বলেন, “খোঁজ নিই উনি কেমন আছেন। হাজার হোক উনিও তো মানুষ আমাদেরই মতন। কথা হল। খুব ভাল নেই বললেন উনি। একটু অসুবিধা আছে। কথা বলতে পারছেন স্পষ্টভাবে। আশা করি কয়েকদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবেন।” বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, তিনি বুধবার সকালেই পুলিশ কর্তাকে ফোন করেছেন ও তাঁর শারীরিক অবস্থা কেমন আছে, তার খোঁজ নিয়েছেন। ফলে সুকান্ত মজুমদারের এমন কাজে অনেকেই তাঁর প্রশংসা করেছেন। কারণ তিনি এমন পরিস্থিতিতে একজন মানুষ হয়ে একজনের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন ও মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। গতকাল রাজ্যের বিরোধী দলের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তিতে যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, তা সবকিছু ভুলে পুলিশকর্তার খোঁজ নেওয়াতে তাঁর প্রশংসা করা হয়েছে রাজনৈতিক মহলেও।

    আরও পড়ুন:‘ ‘রাজ্যটাকে উত্তর কোরিয়া বানিয়ে দিয়েছেন ‘লেডি কিম’…’’, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, গতকালের ঘটনায় দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায় সহ আরও বেশ কিছু পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। দেবজিৎ বাবু মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার পর তাঁকে দ্রুত এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখনও তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন।

    এছাড়া গতকাল বিজেপি কর্মীরাও আহত হয়েছেন। ফলে বুধবার আহত কর্মীদেরও দেখতে হাসপাতালে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কলকাতার দু’টি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আহত বিজেপি কর্মীরা। তাদের দেখতে দুপুর একটা নাগাদ বিশুদ্ধানন্দ হাসপাতাল এবং পরে মেডিক্যাল কলেজে যান তিনি। বিজেপি থেকে দাবি করা হয়েছে যে, পুলিশের মারে আহত হয়েছেন তাদের ১২৩৫ জন কর্মী। পুলিশের মারেই মাথা ফেটে যায় বিধায়ক মীনাদেবী পুরোহিতের।  

    আরও পড়ুন: আলিপুরে শুভেন্দুকে প্রিজন ভ্যানে তুলল পুলিশ, আটক লকেট-রাহুলও

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sonali Phogat: সোনালি ফোগাট মৃত্যু রহস্য, গোয়ার সেই হোটেলে হানা সিবিআইয়ের

    Sonali Phogat: সোনালি ফোগাট মৃত্যু রহস্য, গোয়ার সেই হোটেলে হানা সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গোয়ার (Goa) সেই হোটেলের ঘরে হানা দিল সিবিআই (CBI)। গোয়ার এই হোটেলের ঘরেই বিজেপি (BJP) নেত্রী তথা অভিনেত্রী সোনালি ফোগাটের (Sonali Phogat) সঙ্গে ছিলেন তাঁর পুরুষ সহযোগীও। তদন্তের স্বার্থে এবার সেই ঘরেই গেলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কয়েকজন আধিকারিক। সোনালির মৃত্যুর পর গ্র্যান্ড লিওন্নি হোটেলের এই ঘরটিতে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। পরে শুরু হয় সিবিআই তদন্ত। এদিন গেলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআইয়ের এক আধিকারিক জানান, তদন্তকারী দলের সদস্যরা ওই ঘর থেকে নথিপত্র সংগ্রহ করবেন। কথা বলবেন স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর যে চিকিৎসক বিজেপি নেত্রীকে প্রথম পরীক্ষা করেছিলেন, তাঁর সঙ্গেও কথা বলবেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই হরিয়ানায় গিয়ে সোনালির ভাইয়ের বয়ান রেকর্ড করেছেন। সোনালির ভাই ভাতান ঢাকা বলেন, সিবিআইয়ের একটি দল আমাদের বাড়িতে এসেছিল। বয়ান রেকর্ড করেছে। পরে তারা আমাদের ভাইয়ের বাড়িতেও যায়। সেখানেও বয়ান রেকর্ড করে।

    আরও পড়ুন : বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগাটের রহস্যমৃত্যুর তদন্তে সিবিআই, নির্দেশ স্বরাষ্টমন্ত্রকের

    মৃত্যুর দিন গোয়ার আঞ্জুনায় ‘কার্লিস’ নামে একটি রেস্তরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী সোনালি। সেই সময়ই অস্বস্তি শুরু হয় তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে দলের কর্মীরাই তাঁকে নিয়ে যান স্থানীয় হাসপাতালে। যেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে সোনালির। যদিও তাঁর পরিবারের তরফে খারিজ করে দেওয়া হয় এই দাবি। তাঁদের দাবি, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই বিজেপি নেত্রীকে। মৃতের ভাই রিঙ্কু ঢাকা আঙুল তোলেন তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী সুধীরের দিকেই। মৃতের পরিবারের তরফে অভিযোগ পেয়ে সুধীরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তাঁর সহযোগী সুখবিন্দর সিং এবং রেস্তরাঁর এডউইন নানসকেও।

    ঘটনার পরে পরে সিবিআই তদন্তের দাবিতে কেন্দ্রকে চিঠি দেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির প্রমোদ সাওয়ান্ত। তার পরেই রাজ্য পুলিশের হাত থেকে মামলা যায় সিবিআইয়ের হাতে। তদন্ত শুরু করে সিবিআই। করে মৃত বিজেপি নেত্রীর পরিবারের বয়ান রেকর্ডও।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • Amrinder Singh: বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, সঙ্গে আর কে কে জানেন?

    Amrinder Singh: বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, সঙ্গে আর কে কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিতে (BJP) যোগ দিচ্ছেন পাঞ্জাবের (Punjab) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং (Amarinder Singh)। পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস (Congress) থেকে বেরিয়ে অমরিন্দর গড়েছিলেন নয়া দল। নাম দিয়েছিলেন পাঞ্জাব লোক কংগ্রেস (Punjab Lok Congress)। সেই দলও মিশে যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরে। তাঁর এই দলবদলের অনুষ্ঠান হবে ১৯ সেপ্টেম্বর, সোমবার।

    পাঞ্জাব লোক কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রীতপাল সিং বালিয়াওয়াল বলেন, পার্টি নেতাদের কারা কারা দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন অমরিন্দর সহ তাঁদের নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সোমবার তাঁরা হাতে তুলে নেবেন পদ্ম আঁকা ঝান্ডা। অমরিন্দরের পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয় বলেই দাবি বিজেপির। বিজেপির ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ সদস্য হরজিৎ গ্রুওয়াল বলেন, অমরিন্দর আমাদের সঙ্গেই রয়েছেন। তিনি বহিরাগত নন।

    পাঞ্জাবে বর্তমানে চলছে আম আদমি পার্টির শাসন। তাদের অভিযোগ, অপারেশন লোটাসের মাধ্যমে পাঞ্জাবেও সরকার ফেলার ছক কষছে বিজেপি। আপের এই অভিযোগের জবাব দিয়েছেন অমরিন্দর। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আপের ৯২ জন বিধায়ক রয়েছে। বিজেপি যদি তার থেকে ১২ জনকে কিনেও নেয়, তাতে কিছুই হবে না। কারণ সরকার ফেলতে  প্রয়োজন ৫০ শতাংশের বেশি বিধায়কের সমর্থন। জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই অযথা হইচই করছে তারা।

    আরও পড়ুন : বিজেপি বিরোধী জোট সুযোগ সন্ধানীদের, নীতীশকে নিশানা গেরুয়া শিবিরের

    কংগ্রেসের এই প্রাক্তনী বলেন, পাঞ্জাবের আপ সরকার চলছে দিল্লির অঙ্গুলি হেলনে। দিল্লিতে রয়েছে আপ সরকার। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পাঞ্জাবের গুরুত্বপূর্ণ যা কিছু কাজ অনুমোদনের জন্য পাঠানো হচ্ছে দিল্লিতে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কেজরিওয়াল। তারা পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী (ভগবন্ত মান)কে কোনও কাজই করতে দিচ্ছে না।  

    চলতি বছর হয় পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন। এই ভোটে ফের জিততে গত বছরের শেষের দিকে অমরিন্দরকে সরিয়ে কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী পদে বসায় চরণজিৎ সিং চান্নিকে। ক্ষোভে কংগ্রেস ছেড়ে নয়া দল গড়েন অমরিন্দর। নির্বাচনে বিশেষ ছাপ ফেলতে পারেনি অমরিন্দরের দল। শেষমেশ সেই দলই মিশে যাচ্ছে বিজেপির সঙ্গে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Congress Crisis: ক্ষমতা হস্তান্তর বারবার ভুগিয়েছে কংগ্রেসকে, অন্যদিকে লক্ষ্যে অবিচল বিজেপি

    Congress Crisis: ক্ষমতা হস্তান্তর বারবার ভুগিয়েছে কংগ্রেসকে, অন্যদিকে লক্ষ্যে অবিচল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুদুচেরি হোক বা পাঞ্জাব কিংবা রাজস্থান (Rajasthan) বরাবর মুখ্যমন্ত্রী বদল করতে গিয়েই সমস্যায় পড়েছে কংগ্রেস (Congress crisis)। দলের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে কার্যত ব্যর্থ কংগ্রেস হাইকমান্ড (congress highcomand)। সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) বা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) দিল্লির বাইরে দলের রাশ নিজেদের হাতে রাখতে পারেননি। স্থানীয় নেতৃত্ব বারবার আঘাত হেনেছে দলের আভ্যন্তরীন শৃঙ্খলায়। অন্যদিকে সেই সমস্যায় খুব একটা পড়তে হয়নি বিজেপিকে। যখনই প্রয়োজন পড়েছে দলের স্বার্থে, শৃঙ্খলার প্রশ্নে, ভাবধারা বজায় রাখতে সক্রিয় থেকেছেন অমিত শাহ (Amit Shah), নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi।)। দলের সর্ভারতীয় নেতৃত্বের কথা সর্বদাই বিনা প্রশ্নে মেনে নিয়েছে স্থানীয় নেতৃত্ব। তা সে ত্রিপুরা হোক বা আসাম। গুজরাট হোক বা কর্নাটক।

    আরও পড়ুন: মোদির সফল নেতৃত্বের দৌলতেই আজ বিশ্বে ভারতের গুরুত্ব বৃদ্ধি, বললেন জয়শঙ্কর

    সম্প্রতি রাজস্থানে সরকার সামলানো দায় হয়ে গিয়েছে কংগ্রেসের। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে দেখতে চাইছেন সনিয়া-রাহুলরা। সনিয়া ঘনিষ্ঠ অশোক সেই পদে আসীন হলেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছাড়তে নারাজ। কিন্তু কংগ্রেসের এক ব্যক্তি এক পদ নীতিতে মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছাড়তে হবে গেহলটকে। তাহলে মরুরাজ্যে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে? কংগ্রেস হাইকমান্ডের পছন্দ রাহুল-ঘনিষ্ঠ সচিন পাইলট। কিন্তু রাজস্থানের রাজনীতিতে গেহলট-পাইলট দ্বৈরথ দীর্ঘদিনের। দুজনেই হাত শিবিরের প্রতিনিধি হলেও তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য বহুদিনের।  ফলে সচিনকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে নারাজ গেহলট শিবির। ইতিমধ্যেই গেহলট শিবিরের ৮৩ জন বিধায়ক,হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি সচিন পাইলট রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হন,তাহলে তাঁরা ইস্তফা দেবেন। যার অবিশ্যম্ভাবী ফলাফল হল রাজস্থানে কংগ্রেসের সরকার পড়ে যাওয়া। 

    আরও পড়ুন: কংগ্রেস নির্বাচন প্রহসন! তোপ অমিত মালব্যর, কী বললেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান?

    একটু পিছন দিকে হাঁটা যাক, ২০০৮ সালে রাজস্থান থেকে বেশ খানিকটা দূরে পুদুচেরিতে একই ছবি দেখা যায়। কংগ্রেসের হাইকমান্ডের মত শুনে এন রঙ্গস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানো হয়। তিনি নতুন পার্টি তৈরি করেন। হাইকমান্ডের মতে পুদুচেরির শাসনভার যায় কংগ্রেসের বৈথিলিঙ্গমের কাছে। ২০২০ সালে কংগ্রেসের সরকারও পড়ে যায়,রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয় পুদুচেরিতে। সম্প্রতি পাঞ্জাবেও ধাক্কা খায় কংগ্রেস। এ বছর মার্চে সেখানে বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয় কংগ্রেসের। ভোটের চার মাস আগে সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বদল করেন সনিয়া,রাহুল। ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী করা হয় চরঞ্জিত সিং চান্নিকে। প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোত সিং সিধুর সঙ্গে অমরিন্দরের বিবাদের জেরে মুখ্যমন্ত্রী বদলই একমাত্র বিকল্প ছিল কিনা তা নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয় কংগ্রেসে।

    আরও পড়ুন: রাজস্থানে ৮২ জন কংগ্রেস বিধায়কের ইস্তফা! আজ কি সনিয়ার সঙ্গে বৈঠক অশোক, সচিনের?

    অন্যদিকে দেখতে গেলে বিধানসভা ভোটের আগে বহু রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন করেছে বিজেপি। পার্টির যাবতীয় ক্ষোভ বিক্ষোভ সামলে তা সফল হয়েছে। ক্ষমতার হস্তান্তর নিয়ে কোথাও সংঘাত প্রকট হয়নি। উত্তরাখণ্ডে সেই ফর্মুলার পর সামনেই ২০২২ গুজরাতে নির্বাচনের আগে গোটা মন্ত্রিসভা বদল করেছে বিজেপি। ত্রিপুরাতেও মুখ্যমন্ত্রী বদল করা হয়েছে। কিন্তু দলের প্রতি আনুগত্যের প্রশ্নে চুপ থেকেছেন সবাই। হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেছেল পদ্ম শিবির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share