Tag: bjp

bjp

  • Suvendu on Anubrata: অনুব্রত একজন মাফিয়া, মমতার প্রশ্রয়ে ওর বাড়বাড়ন্ত, বললেন শুভেন্দু 

    Suvendu on Anubrata: অনুব্রত একজন মাফিয়া, মমতার প্রশ্রয়ে ওর বাড়বাড়ন্ত, বললেন শুভেন্দু 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তদন্তে অসহযোগীতার অভিযোগ তুলে গরুপাচার মামলায় দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে তাঁর বোলপুরের বাড়ি থেকে আজ সকালে গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। বুধবার সিবিআইয়ের দশম হাজিরা এড়ানোর পর বৃহস্পতিবার সকালে অনুব্রতর বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআই। দেড় ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি গোটা বাড়িতে তল্লাশি চালান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। এর পর তাঁকে নিয়ে দুর্গাপুরের দিকে রওনা দিয়েছে কনভয়। সিবিআইয়ের দাবি, গরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রতর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে চার্জশিটে তাঁর নামের উল্লেখ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সিবিআইয়ে তদন্তে অসহযোগিতা করছেন তিনি। এমনকী বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর বাড়িতে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা পৌঁছলে তাঁদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন অনুব্রত।

    আরও পড়ুন: একসময় বেচতেন মাগুর, সেখান থেকে কীভাবে তৃণমূলের ‘মুগুর’ হয়ে উঠলেন কেষ্ট? 

    এবার অনুব্রত কাণ্ডে প্রতিক্রিয়া দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সাংবাদিকদের মাধ্যমে তিনি বীরভূমের জেলা সভাপতিকে অনুরোধ করেন, “যাদের নির্দেশে এই কাজ করেছেন, সেই নামগুলো দয়া করে বলে দিন।”   

    শুভেন্দু আরও বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল একজন মাফিয়া। হাটে মাগুর মাছ বিক্রি করত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে সে আজকে ১,০০০ কোটি টাকার মালিক। এতো মমতা ব্যানার্জির সৃষ্টি।”   

    অনুব্রতর উদ্দেশ্যে অনুরোধের সুরে শুভেন্দু বলেন, “আমি আশা করব এই অনুব্রত মণ্ডলের মতো লোকেরা কাদের নির্দেশে গরু, কয়লা, বালি পাচার করেছে এবং বিরোধী দলের লোকেদের বিশেষ করে হিন্দুদের ওপরে পুরো বীরভূম জেলায় যে অত্যাচার করেছেন তাদের নাম বলে দিন।  নির্বাচন পরবর্তী সময়ে কয়েক হাজার লোককে ঘরছাড়া করা, মানুষকে খুন করা, কার ইন্ধনে হয়েছে? আশা করব, তিনি যার যার নির্দেশে করেছেন, আর মুড়ির টিনে করে যাদের কাছে টাকা পাঠিয়েছেন সেই নামগুলো দয়া করে বলে দেবেন।”

    আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল! নিয়ে যাওয়া হতে পারে সিবিআই ক্যাম্প অফিসে

    তৃণমূলের অন্যান্য নেতাদের দিকেও এদিন আক্রমণ শানান শুভেন্দু। কটাক্ষ করে বলেন, “যাদের শেষ দশ বছরের আইটি রিটার্নের ফাইল ঠিক আছে, তাদের তো ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। দেখবেন তৃণমূল নেতাদের আইটি রিটার্নের ফাইলের সঙ্গে সম্পত্তির কোনও মিল খুঁজে পাবেন না। এই দুর্নীতি শুরু হয়েছে নীচু স্তর থেকে। ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজার থেকে নির্মাণ সহায়ক, সবাই কোটি কোটি টাকার মালিক।”

    জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম সরাসরি উল্লেখ করে বিজেপি নেতা বলেন,”নোট বন্দীর সময় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী স্থানীয় ব্যাঙ্ক থেকে ৪ কোটি টাকা বদলেছেন। কোথা থেকে এল এই টাকা? মেদিনীপুরের এক প্রাক্তন বিধায়ক ১৫ কোটি টাকা বদলেছেন। এই টাকার উৎস কী? খোঁজ নিয়ে দেখবেন ২০১৬ সালের পর থেকে হঠাৎ বেড়েছে এই নেতাদের সম্পত্তি।”  

     

     

     

     

        

     

  • Bihar Politics: ‘পল্টুরাম’ হলেন ‘কাল্টুরাম’, নীতীশকে বেনজির আক্রমণ গিরিরাজের

    Bihar Politics: ‘পল্টুরাম’ হলেন ‘কাল্টুরাম’, নীতীশকে বেনজির আক্রমণ গিরিরাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) সঙ্গ ছেড়ে মঙ্গলবারের বারবেলায় দিয়েছিলেন ইস্তফা। পরের দিনই ইউপিএ-র (UPA) হাত ধরে ফের বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেছেন জনতা দল ইউনাইটেড (JDU) সুপ্রিমো নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। তার পরেই তাঁকে ফের আক্রমণ শানিয়েছেন গেরুয়া নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh) বলেন, পল্টুরাম (Palturam) হলেন কাল্টুরাম (Kalturam)।

    গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে মুখ্যমন্ত্রী হন নীতীশ। তার আগে শামিল হয়েছিলেন মহাজোটের সঙ্গে। এবার যখন লোকসভা নির্বাচনের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে, তখন ফের ত্যাগ করলেন পদ্ম শিবির। ভিড়ে গেলেন আরজেডি এবং বাম-কংগ্রসের মহাজোটে। এবং যে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে গিয়েছিলেন তিনি, চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই ফের বসলেন সেই তখতে।

    আরও পড়ুন : বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ নিছক উপলক্ষ, নীতীশের লক্ষ্য কি প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি?

    সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গিরিরাজ বলেন, এক সময় লালুপ্রসাদ ওঁকে সাপ সম্বোধন করেছিলেন। তিনি বলেন, গতকালও যিনি ছিলেন পল্টুরাম, তিনিই হয়ে গেলেন কাল্টুরাম। গিরিরাজ বলেন, আমি শুনেছি যে লালু প্রসাদ ওঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অথচ এই লালুই একবার ট্যুইট করে বলেছিলেন, সাপ যেমন বারবার খোলস ত্যাগ করে, নীতীশ তেমনই প্রতিবার নতুন জোটে গিয়ে ভিড়ে যান। বক্তব্যের সমর্থনে ২০১৭ সালে লালুর সেই ট্যুইটবার্তাও শেয়ার করেন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। গিরিরাজের প্রশ্ন, নীতীশ কুমার যে দু বছর অন্তর খোলস ছাড়ে না, এ নিয়ে কি কোনও সন্দেহ আছে? প্রসঙ্গত, লালু সঙ্গ ছেড়ে ২০১৭ সালে নীতীশ বিজেপির হাত ধরায় ওই ট্যুইট করেছিলেন আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব। প্রসঙ্গত, এই নিয়ে দুবার নীতীশ বিজেপির হাত ছেড়ে ভিড়ে গেলেন আরজেডি, বাম-কংগ্রেসের মহাজোটে।

    আরও পড়ুন : অষ্টমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসলেন নীতীশ

    গিরিরাজ মনে করিয়ে দেন, ১৯৯৬ সালে বিজেপি নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রী পদে মেনে নিয়েছিল, কারণ তখন তারা বিহারে বড় দল ছিল। বিজেপির চেয়ে জেডিইউয়ের আসন সংখ্যা কম হওয়া সত্ত্বেও ২০২০ সালেও তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছে গেরুয়া শিবির। তাঁর এই ‘প্রবঞ্চনা’ যে ভাল চোখে দেখেছেন না বিজেপি নেতৃত্ব, গিরিরাজের কথায়ই তা স্পষ্ট।

     

  • Anand Sharma: দুটো নামে সীমাবদ্ধ নয় কংগ্রেস! জানেন গান্ধী পরিবারকে নিশানা করে কি বললেন আনন্দ শর্মা

    Anand Sharma: দুটো নামে সীমাবদ্ধ নয় কংগ্রেস! জানেন গান্ধী পরিবারকে নিশানা করে কি বললেন আনন্দ শর্মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গান্ধী পরিবারই কংগ্রেস (Congress) নয়। এর বাইরেও ভাবতে হবে কংগ্রেসকে, স্টিয়ারিং কমিটি থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা আনন্দ শর্মা (Anand Sharma)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদি বারবার কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্র নিয়ে সমালোচনা করেছেন। এবার কংগ্রেসের অন্দরেই সেই বিরোধ দেখা দিল।

    আনন্দ শর্মা বলেন, “গান্ধী পরিবারের বাইরেও ভাবা উচিত কংগ্রেসের। বিশেষত, এখন যখন দলের জাতীয় সভাপতি হতে অস্বীকার করেছেন রাহুল গান্ধী, সেখানে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বিকল্প মুখ ভাবা উচিত”। ১৯৭৮ সালে ইন্দিরা গান্ধী ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে হাতে গোনা কয়েকজন নেতার জন্যই টিকে ছিল কংগ্রেস, এমনটাই দাবি করেন তিনি। বিক্ষুব্ধ নেতা বলেন, “আমার মতো কয়েকজনই সেই সময় থেকে দলকে টিকিয়ে রেখেছে…এই দল আমাদের সবার।” দলের শীর্ষ পদ শুধুমাত্র সনিয়া গান্ধী বা রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয় বলেই জানান বিক্ষুব্ধ এই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। এর সপক্ষে তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, “কংগ্রেস কী দুটি নামেই সীমাবদ্ধ? আমরা কী কংগ্রেসের ইতিহাস ভুলে যাচ্ছি না?”

    আরও পড়ুন: সভাপতি পদে রাহুলের ‘না’, গান্ধী পরিবারের বাইরের নেতা পাচ্ছে কংগ্রেস?

    সামনে হিমাচলপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে আনন্দ শর্মাকে হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ সেই পদ ছেড়ে দিলেন প্রবীণ নেতা। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) চিঠি লিখে আনন্দ জানিয়েছেন, নিজের আত্মসম্মানের সঙ্গে কোনওভাবেই আপস করতে রাজি নন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। তবে পদ ছাড়লেও হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের হয়ে তিনি প্রচারপর্ব চালিয়ে যাবেন বলেই জানিয়েছেন আনন্দ।

    আরও পড়ুন: ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন জ্ঞানবন্ত! কীসের ভয়

    দিন কয়েক আগে একইভাবে জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসের প্রচার কমিটির চেয়ারম্যানের পদ ছেড়েছিলেন গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। এবার আজাদের পথই ধরলেন আনন্দ। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা কপিল সিব্বল দলত্যাগ করেছেন। সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে রাজ্যসভায় মনোনীত হয়েছেন তিনি। আনন্দ শর্মা সিব্বলের বেশ ঘনিষ্ঠ। সিব্বল যে বিক্ষুব্ধ জি-২৩ গ্রুপের সদস্য ছিলেন, গুলাম নবি আজাদ এবং আনন্দ শর্মাও সেই গ্রুপেরই অংশ ছিলেন। 

  • By Elections: অশান্তির আঁচ উপনির্বাচনেও, মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    By Elections: অশান্তির আঁচ উপনির্বাচনেও, মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির আঁচ উপনির্বাচনেও!  রবিবার উপনির্বাচন (By Elections) হয় আসানসোল পুরনিগম ও বনগাঁ (Bongaon) পুরসভার দুই ওয়ার্ডে। সকাল থেকে কিছুক্ষণের জন্য নির্বিঘ্নে ভোট হলেও, অশান্তি শুরু হয় তার পরেই। কোথাও বিজেপি (BJP) কর্মীদের মারধর, কোথাও আবার শাসক দলের বাধায় বুথেই বসতে পারলেন না বিজেপির এজেন্ট। আসানসোলে (Asansole) এক বিজেপি কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

    এদিন উপনির্বাচন হয় আসানসোল পুরনিগমের ছ নম্বর ওয়ার্ডে। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী পুর নিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, কোনও কারণ ছাড়াই বিজেপি কর্মীদের মারধর ও কয়েকজন এজেন্টকে বুথে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে জেকে নাগার মোড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে পদ্ম শিবির। উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুরের বিধায়ক বিজেপির লক্ষ্ণণ ঘোড়ই। বিজেপির অভিযোগ, বাবলু পাসওয়ান নামে তাদের এক কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। লক্ষ্ণণের অভিযোগ, উপনির্বাচনেও শাসক দল সন্ত্রাস চালাচ্ছে, বুথ লুঠ করছে। কিছুক্ষণ বিক্ষোভ প্রদর্শনের পরে লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয় পুলিশ। এদিকে, মণ্ডলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮২ নম্বর বুথে বিজেপির এজেন্টকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

    অশান্তি হয়েছে বনগাঁ পুরসভার উপনির্বাচনেও। এদিন ভোট হয় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডের একটি বুথের বাইরে বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক বিজেপির স্বপন মজুমদারকে নিগ্রহের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাঁর নিরাপত্তারক্ষীকেও ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের অভিযোগ, নিরাপত্তা রক্ষী নিয়ে বিধায়ক এলাকায় ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করছেন। শনিবার বিভিন্ন বাড়িতে ফোন করে তিনি ভয় দেখিয়েছেন বলেও অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে এদিন বনগাঁ মহকুমা শাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় তৃণমূল।

    আরও পড়ুন : ’২৪ সালে মানুষ নরেন্দ্র মোদির পক্ষেই ভোট দেবেন, দাবি সুশীল মোদির

    এদিকে, ওই ওয়ার্ডেরই কেশবলাল বিদ্যাপীঠে ভোট দেখতে যান বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিজেপির অশোক কীর্তনীয়া। তাঁকে দেখা মাত্রই চিৎকার জুড়ে দেন তৃণমূল কর্মীরা। অশোকের দাবি, তিনি ওই বুথেরই ভোটার। উত্তেজনা চরমে পৌঁছলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে সোচ্চার হয়েছে কংগ্রেসও (Congress)। ঘটনার প্রতিবাদে কংগ্রেস প্রার্থী প্রভাস পালের নেতৃত্বে এদিন দুপুরে বাজার মোড় এলাকায় পথ অবরোধ করে সোনিয়া গান্ধির দল। সন্ত্রাসের অভিযোগে পাটার মোডে পথ অবরোধ করে বিজেপিও। ওই একই অভিযোগে রামনগর রোড সংলগ্ন এলাকায় যশোর রোড অবরোধ করে সিপিএম-ও (CPM)।

    আরও পড়ুন : গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

  • Bihar politics: পাটনায় পালাবদল! নীতীশ মুখ্যমন্ত্রী হলেও বেশি ক্ষমতা থাকবে লালু-পুত্রর হাতে?

    Bihar politics: পাটনায় পালাবদল! নীতীশ মুখ্যমন্ত্রী হলেও বেশি ক্ষমতা থাকবে লালু-পুত্রর হাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হয়নি। আজই অষ্টমবারের জন্য ফের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। আজই সফর শুরু মহাজোটের। পাটনায় পালাবদলের পরও মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ। তবে তাঁর হাতে কতটা ক্ষমতা থাকবে তা সময়ই বলবে। পাটিগণিতের হিসেবে বিহারের রাজ্যপাট নির্ধারণের ছড়ি কিন্তু রইল আরজেডির হাতে।  তাই নীতীশের ডেপুটি হয়ে কাজ করলেও চাবি ঘোরাবেন লালু পুত্র তেজস্বীই (Tejashwi Yadav), এমনই অভিমত রাজনৈতিক মহলের। 

    আরও পড়ুন: এক বছরে ২৬ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বেড়েছে প্রধানমন্ত্রীর! জানেন তাঁর মোট অর্থের পরিমাণ

    সূত্রের খবর, মূলত লালু প্রসাদ যাদবের পার্টি আরজেডি-র (RJD) হাতে আসছে বিজেপির হাতে থাকা দফতরগুলি। শুধু তেজস্বী নন, মহাগটবন্ধনের সরকারে (Mahagathbandhan government) অভিষেক হতে চলেছে আরও এক লালু পুত্রের। মন্ত্রী পদে দেখা যেতে পারে তেজ প্রতাপ যাদবকেও (Tej Pratap Yadav)। আজই শপথ নিতে পারেন তেজও। এছাড়া শপথের তালিকায় আছেন জেডিইউ-এর বীজেন্দ্র যাদব (Vijendra Yadav), বিজয় চৌধুরী (Vijay Choudhary)। ২০১৭ সালে মহাগটবন্ধন ভাঙার আগেও তেজস্বীই ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী। 

    আরও পড়ুন: বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ নিছক উপলক্ষ, নীতীশের লক্ষ্য কী প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি?

    জেডিইউ (JDU)  প্রধানের দাবি অনুসারে RJD, কংগ্রেস ছাড়াও তাঁকে সমর্থনের কথা জানিয়েছে তিন বাম দল, এবং জিতন রাম মাঝির দলও। বিহার বিধানসভায় RJD-র বিধায়ক সংখ্যা ৭৯, JDU-র ৪৫, কংগ্রেসের ১৯, তিন বাম দল মিলিয়ে বিধায়ক সংখ্যা ১৬ জন। এরসঙ্গে যোগ হয়েছেন জিতন রাম মাঝির (HAM) চারজন এবং এক নির্দল বিধায়কের সমর্থন। সব মিলিয়ে সাত দলের বিধায়কদের সমর্থন রয়েছে নীতীশের হাতে। বিহার বিধানসভায় মোট আসন ২৪৩। সরকার গড়তে দরকার ১২২ জন বিধায়কের সমর্থন। রাজ্য়পালের সঙ্গে দেখা করে তার থেকে অনেক বেশি বিধায়কের সমর্থনের কথা জানিয়ে এসেছেন নীতীশ কুমার, তেজস্বী যাদবরা। সরকার গড়ার দাবি জানিয়েছেন বিহারের চাচা-ভাতিজা জুটি। রাবড়ি পুত্র তেজস্বীর কথায়, তাদের হাতে ১৬৪ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। সরকার গঠন শুধু সময়ে অপেক্ষা। 

  • Bihar Politics: হাসপাতালে বসেই হয় পরিকল্পনা! জানেন পাটনায় পালাবদলের চাণক্য কে?

    Bihar Politics: হাসপাতালে বসেই হয় পরিকল্পনা! জানেন পাটনায় পালাবদলের চাণক্য কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) সঙ্গ ছেড়ে আরজেডির (RJD) হাত ধরে সরকার গড়ছেন সংযুক্ত জনতা দলের প্রধান নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। এর নেপথ্যে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (RJD) কুলপতি তথা নীতীশের প্রাক্তন জোটসঙ্গী লালুপ্রসাদ যাদবের (Lalu Prasad Yadav) ভূমিকা অনস্বীকার্য বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয় মাসখানেক আগেই এমনই অনুমান রাজনীতিকদের।

    তখন লালু অসুস্থ। জুলাই মাসের শুরুতে লালুর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পাটনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাঁকে। সেই সময়ই তাঁকে দেখতে যান নীতীশ। রাজ্য সরকারের খরচেই লালুকে চিকিৎসা  করানোর  জন্য দিল্লির এমস-এও পাঠান জেডিইউ প্রধান। সূত্রের খবর, লালু যে সময় এইমস-এ ভর্তি ছিলেন, সেই সময় সেখানে নিয়মিত চেকআপ করাতে যেতে শুরু করেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঝিও। এর পর একে একে আরজেডি, জেডিইউ, বাম এবং কংগ্রেসের নেতাদের আনাগোনা বাড়ে এইমস-এ। পাটনা থেকে যোগাযোগ রাখতে শুরু করেন নীতীশের দলের লোকজন। আর সেখানে বসেই লালু বিহারে রাজনৈতিক পরিবর্তনের চিত্রনাট্য লেখা শুরু করেন বলে অনুমান রাজনীতিকদের।

    মঙ্গলবারই একটি তাৎপর্যপূর্ণ ট্যুইট (Tweet) করেন লালুপ্রসাদের (Laluprasad’s Daughter) ছোট মেয়ে রোহিণী আচার্য। সিঙ্গাপুর নিবাসী রোহিনী একটি জনপ্রিয় ভোজপুরি সঙ্গীতের লাইন ট্যুইট করে বোঝাতে চেয়েছেন, বিহারে ফের যাদব-রাজ আসন্ন। অর্থাৎ বাবা লালুপ্রসাদ, মা রাবড়িদেবীর পর এবার দাদা তেজস্বী।

    এই ট্যুইটের পরই দেখা যায়, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েই নীতীশ কুমার যান লালুপ্রসাদ যাদবের বাড়িতে। বাবা লালুপ্রসাদকে ‘‌কিংমেকার’‌ উল্লেখ করে রোহিণী ট্যুইট করেন, ‘রাজতিলক কা করো তৈয়ারী, আ রহে হ্যায় লণ্ঠনধারী।’‌ ‌ওই ট্যুইটের সঙ্গেই লণ্ঠনধারী আরজেডি সমর্থকদের একটি ভিডিও পোস্ট করেন রোহিণী। সেখানে আরজেডি সমর্থকদের গাইতে দেখা যাচ্ছে জনপ্রিয় ভোজপুরী গান–‘লালু বিন চালু এ বিহার না হোই’ (লালুকে ছাড়া বিহার চলবে না)। ভিডিওতে লালুর পাশাপাশি রয়েছে তেজস্বীর ছবিও।

    লালুকন্যা রাজলক্ষ্মী যাদবও বাবার একাধিক ছবির কোলাজ পোস্ট করে লেখেন, ‘‘শঙ্খ বাজাও। আগে ডানা দিয়েছিলেন, এ বার উড়তেও শেখাবেন। চাণক্য মানেই বিহার, বিহারি মানেই চাণক্য। ভুয়ো চাণক্যগিরি বিহারের বাইরে চলুক। বিহার বলছে, তেজস্বী ভবঃ সরকার’।

    আরও পড়ুন: পাটনায় পালাবদল! নীতীশ মুখ্যমন্ত্রী হলেও বেশি ক্ষমতা থাকবে লালু-পুত্রর হাতে?

    উল্লেখ্য, দীর্ঘ রাজনৈতিক কেরিয়ারে বারবার জোট বদলেছেন নীতীশ। তাঁকে ‘পল্টুরাম’ বলে কটাক্ষও করেন লালু। লালুর থেকে সেই কটাক্ষ ধার করতে দেখা যায় আরও অনেককেই। তবে অতীত ভুলে সেই নীতীশকেই পথ দেখালেন লালু, এমনই অভিমত বিরোধীদের। 

  • Bihar Politics: বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ নিছক উপলক্ষ, নীতীশের লক্ষ্য কি প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি?

    Bihar Politics: বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ নিছক উপলক্ষ, নীতীশের লক্ষ্য কি প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) সঙ্গ ত্যাগ নিছক উপলক্ষ। জনতা দল ইউনাইটেড সুপ্রিমো নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar)  লক্ষ্য কী প্রধানমন্ত্রীর (Prime Minister) কুর্সি? আপাতত এই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছে বিহার (Bihar) রাজনীতির অলিন্দে। রাজনৈতিক মহলের মতে, নীতীশের বারবার ভোলবদলের জেরে এই ইঙ্গিতই মিলেছে। তাঁর দল জনতা দল ইউনাইটেডের (JDU) তরফেও দাবি করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সমস্ত গুণ রয়েছে নীতীশের।

    বছর পনের আগে বিহারে যাদবরাজের অবসান ঘটিয়ে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হন নীতীশ। নীতীশকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন আরজেডি নেতা শিবানন্দ তিওয়ারি। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হলেও, প্রথম থেকেই নীতীশের পাখির চোখ প্রধানমন্ত্রিত্ব। তাই বিজেপির সঙ্গে হাত মেলালেও, বিরোধী শিবিরে নিজের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তি বজায় রাখতে সদা সচেষ্ট ছিলেন নীতীশ। যে কারণে বিজেপির সঙ্গে মনোমালিন্য হলেও, সংখ্যালঘুদের পাশ থেকে কখনওই সরে যাননি তিনি।

    আরও পড়ুন : নীতীশ ‘পরজীবী’, তোপ বিহার বিজেপির

    রাজনীতিক মহলের একাংশের মতে, নীতীশ যখন প্রথমবার এনডিএ সঙ্গ ছাড়েন, তখনও তাঁর শ্যেনদৃষ্টি ছিল প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি। ২০১৪ সালে বিজেপি মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করায় এনডিএ ছাড়েন নীতীশ। তিনি ভেবেছিলেন, অ-কংগ্রেসি দলগুলি ভাল ফল করলে, সেই জোটের নেতা হিসেবে কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর তখতে বসবেন নীতীশ। ২০১৪ সালে বিপুল ভোটে মোদির জয় ভেঙে খান খান করে দেয় নীতীশের স্বপ্ন। অগত্যা ফের এনডিএতে ভিড়ে যান এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ।

    আবারও একটি লোকসভা নির্বাচনের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। তাই বিজেপির সঙ্গে থাকলে ২০২৫ সাল পর্যন্ত তাঁকেই সন্তুষ্ট থাকতে হত মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে। তাই বিরোধী শিবিরে গ্রহণযোগ্য মুখ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে আগেভাগেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়েছেন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ। জনতা দল ইউনাইটেড নেতৃত্বের মতে, নীতিশের লক্ষ্যই হল ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী শিবিরের প্রধান মুখ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরা। তাই এনডিএ ছেড়ে ইউপিএ-সঙ্গ ধরেছেন তিনি। জনতা দল ইউনাইটেডের এক শীর্ষ নেতৃত্ব বলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ব্যক্তিত্ব রয়েছে নীতীশ কুমারের। তিনিই যোগ্য প্রধানমন্ত্রী হবেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সব গুণই রয়েছে তাঁর।

    আরও পড়ুন : বিজেপি ছেড়ে আরজেডি! মুখ্যমন্ত্রী নীতীশই, জানুন কী বলছে বিহারের নয়া সমীকরণ

  • Congress: সভাপতি পদে রাহুলের ‘না’, গান্ধী পরিবারের বাইরের নেতা পাচ্ছে কংগ্রেস?

    Congress: সভাপতি পদে রাহুলের ‘না’, গান্ধী পরিবারের বাইরের নেতা পাচ্ছে কংগ্রেস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহের শুরুতেই কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন (Congress President Poll)। অথচ ওই পদে প্রার্থী হতে রাজি নন কংগ্রেস (Congress) নেতা তথা গান্ধী পরিবারের সদস্য রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। নিতান্তই রাহুল ওই পদে না বসলে দীর্ঘ দিন পর এবারই প্রথম গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ বসতে চলেছেন ওই পদে।

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয় কংগ্রেসের। বিপুল শক্তি নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরে বিজেপি (BJP)। ফের প্রধানমন্ত্রীর তখতে বসেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর দলের জাতীয় সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল। তার পর থেকে পদটি ফাঁকাই পড়ে রয়েছে। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী। তিনি আর সভাপতির পদে বসতে চান না। বয়সজনিত কারণ ও মাঝেমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি চান এবার ওই পদে বসুন অন্য কেউ।

    সূত্রের খবর, দলের একটা বড় অংশ ওই পদে রাহুলকেই চাইছিলেন। তবে ওই পদে বসতে চান না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। অবশ্য কংগ্রেসেরই একটা অংশ রাহুলকে ওই পদে ফেরাতে মরিয়া। উনিশের ভোটের পর রাহুল ইস্তফাপত্র জমা দিলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। তবে রাহুলও সাফ জানিয়ে দেন তিনি ওই পদে থাকছেন না। তিনি এও জানিয়েছিলেন, পার্টি প্রেসিডেন্ট পদে গান্ধী পরিবারেরই কাউকে বসতে হবে, এমন কথা নেই। তার পর থেকেই অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ চালাচ্ছেন সোনিয়া।

    আরও পড়ুন : দায়িত্ব পেয়েই ইস্তফা গুলাম নবি আজাদের, ‘ক্ষোভের আঁচে’ বিপাকে কংগ্রেস

    রাহুল না বলে দেওয়ায় ওই পদে কাকে বসানো যায়, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে দলের অন্দরেই। তার পরেই জল্পনা দানা বাঁধছে কয়েকটি নাম নিয়ে। এঁরা হলেন, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, দলের সাধারণ সম্পাদক মুকুল ওয়াসনিক, লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার মীরা কুমার, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম এবং রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। দলের একটি সূত্রের খবর, ওই পদে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে বসানোর চেষ্টা করছে কংগ্রেসের একটি অংশ। তবে প্রিয়ঙ্কাও রাজি না হলে সীতারাম কেশরির পর এই প্রথম গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ বসবেন ওই পদে। ১৯৯৮ সালে কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছিলেন কেশরি।

    আরও পড়ুন : মোদির ডাকে সাড়া দিয়ে প্রোফাইল পিকচার বদলালেন রাহুল গান্ধীও!

  • BJP on Rohingya Issue: অনুপ্রবেশ ইস্যুতে কোনও আপস করবে না মোদি সরকার, জানাল বিজেপিও

    BJP on Rohingya Issue: অনুপ্রবেশ ইস্যুতে কোনও আপস করবে না মোদি সরকার, জানাল বিজেপিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুপ্রবেশ জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক এবং এই ইস্যুতে কোনও রকম আপস করবে না মোদি সরকার (Modi Govt.)। বুধবার সাফ জানিয়ে দিলেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। শরণার্থী রোহিঙ্গাদের (Rohingya) দিল্লিতে (Delhi) ফ্ল্যাট দেওয়ার সিধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার – এমন একটি খবরকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তার পরেই এ ব্যাপারে অবস্থান স্পষ্ট করে দেয় পদ্ম শিবির।

    সম্প্রতি এক ট্যুইটবার্তায় কেন্দ্রীয় হাউজিং অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী (Hardeep Singh Puri) লিখেছিলেন, ভারত বরাবরই এ দেশে আশ্রয়প্রার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দিল্লির বক্করওয়ালা এলাকার অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য তৈরি করা ফ্ল্যাটে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাদের সাধারণ সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে এবং দিল্লি পুলিশ ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার জন্য থাকবে। বিরোধীদের কটাক্ষ করে তিনি লিখেছিলেন, যাঁরা ভারতের শরণার্থী নীতিকে সিএএ-র সঙ্গে জুড়ে বিরোধিতা করে নিজেদের কেরিয়ার তৈরি করতে অভ্যস্ত, তাঁদের জন্য দুঃসংবাদ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এহেন ঘোষণায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে সরকারকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। তারপর বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানান, মিডিয়ার একাংশ যেভাবে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের কেন্দ্রের তরফে সুবিধা দেওয়ার কথা প্রচার করছে, তা ঠিক নয়। মন্ত্রকের তরফে এমন কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি বলেও জানান তিনি।

    আরও পড়ুন : রোহিঙ্গাদের ভারত থেকে বের করে দেওয়া উচিত, মত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    এদিন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়াও বলেন, রোহিঙ্গারা দেশের সুরক্ষার পক্ষে বিপজ্জনক। তাঁর অভিযোগ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জাতীয় সুরক্ষাকে দূরে ঠেলে, এনিয়ে রাজনীতি করছেন। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কিছু খবর বেরিয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। জনতাকে ভুল পথে চালিত করতেই এসব করা হয়েছে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়েছে। তিনি বলেন, অনুপ্রবেশ নিয়ে কোনওরকম আপস করতে রাজি নয় মোদি সরকার। এদিকে, প্রবল চাপের মুখে পড়ে পিছু হঠেছেন মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী স্বয়ং। বুধবার ফের এক ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন : রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন দিতে কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি, সাফ জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

     

     

  • Nitish Kumar: বিজেপি ছেড়ে আরজেডি! মুখ্যমন্ত্রী নীতীশই, জানুন কী বলছে বিহারের নয়া সমীকরণ

    Nitish Kumar: বিজেপি ছেড়ে আরজেডি! মুখ্যমন্ত্রী নীতীশই, জানুন কী বলছে বিহারের নয়া সমীকরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। মঙ্গলবার দলীয় সাংসদ এবং বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে বেরিয়ে আসবে জেডিইউ। এরপরেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁর ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে দেন নীতীশ। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁর সদ্ধান্তের কথা জানান। এর আগে নীতীশ রাবড়ি দেবীর বাড়িও যান বলে খবর। সেখানে রাবড়ি ও লালু পুত্র তেজস্বীর সঙ্গে কথা হয় নীতীশের। রাজ্যপালের কাছে ইস্তফা দিয়ে আসার পর নীতীশ জানান, এটা তাঁর একার নয় দলগত সিদ্ধান্ত।

    সূত্রের খবর, মহাজোটের সব বিধায়কের জন্য মঙ্গলবার রাবড়ি দেবীর বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাবড়ি দেবীর বাসভবন ১০ সার্কুলার রোডে অবস্থিত। অন্যদিকে, সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার কংগ্রেস কোটা থেকে একজন উপমুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু তার প্রস্তাবে আরজেডি আপত্তি জানিয়েছে। আরজেডি সূত্রে জানা গিয়েছে, নীতীশ কুমারকে সমর্থন জানাবে আরজেডি। মন্ত্রীসভা গঠনে কোনও বিভেদ থাকবে না। তেজস্বী যাদব জানিয়েছেন যে, তাঁদের ১৬০ জনের সমর্থন রয়েছে।

    আরও পড়ুন: নতুন সঙ্গী আরজেডি! বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ নীতীশের, ফের ‘মহাজোট’-এর পথে বিহার?

    জেডিইউ-র সংসদীয় বোর্ডের সভাপতি উপেন্দ্র কুশওয়াহা নীতীশ কুমারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি এদিন ট্যুইটে লিখেছেন, ‘নতুনভাবে নতুন নেতৃত্বের জন্য নীতীশ কুমারকে অভিনন্দন। ‘বর্তমানে বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব উপ-মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। তাঁর হাতে স্বরাষ্ট্র দফতর থাকবে। আরজেডি সূত্রে খবর, ২০১৫ সালের মতোই ১৫ জন মন্ত্রী পেতে পারে আরজেডি। স্পিকার পদে বসতে পারেন আরজেডি নেতা। 

    সূত্রের খবর, বিহার মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেবেন ১৬ জন  বিজেপি (BJP) মন্ত্রী। ২৪৩টি আসনের বিহার বিধানসভায় এই মুহূর্তে নীতীশ কুমারের জেডিইউয়ের বিধায়ক সংখ্যা ৪৫। অন্য দিকে, বিহারে একক বৃহত্তম দল তেজস্বীর আরজেডি। তাঁর দলের ৭৯ জন বিধায়ক। দ্বিতীয় বৃহত্তম দল বিজেপি, তাদের কাছে ৭৭ জন বিধায়ক। বিহারে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ১২২ জনের সমর্থন।

    আরও পড়ুন: ধনখড়ের প্রশ্নের মুখে মমতার ১৯ বিল, নতুন রাজ্যপাল কি আদৌ সই করবেন?

    এ ছাড়া কংগ্রেসের আছে ১৯ জন বিধায়ক। সিপিআইএমএল লিবারেশনের রয়েছেন ১২ জন বিধায়ক। জিতনরাম মাঝির হামের রয়েছে চার জন বিধায়ক। সিপিএম এবং সিপিআইয়ের রয়েছে মোট চার বিধায়ক। এক জন করে নির্দল ও এআইএমআইএম বিধায়ক। এই হিসেব অনুযায়ী পূর্বতন মহাগটবন্ধনের অঙ্ক কষলে দেখা যাচ্ছে, আরজেডি, কংগ্রেস ও জেডিইউ মিলিয়ে ১৪৩ জন বিধায়ক। যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে অনেকটাই বেশি। পাশাপাশি সিপিআইএমএল লিবারেশন, সিপিএম ও সিপিআই-ও আগের মহাগটবন্ধন সরকারে ছিল। জিতনরাম মাঝির হামের চার বিধায়ক তেজস্বী, নীতীশের পাশেই থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে। অতএব পদ্ম ছেড়ে লণ্ঠন হাতে নিয়েও অ্যানে মার্গের বাসভবনে ফেরায় কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয় নীতীশের। তিনিই মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, থাকবেনও!

LinkedIn
Share