Tag: bjp

bjp

  • Chess Olympiad: চেজ ওলিম্পিয়াডের পোস্টারে প্রধামমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির ছবি,  কী বলল মাদ্রাজ হাইকোর্ট?

    Chess Olympiad: চেজ ওলিম্পিয়াডের পোস্টারে প্রধামমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির ছবি, কী বলল মাদ্রাজ হাইকোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চেন্নাইতে হতে চলেছে ৪৪তম চেজ ওলিম্পিয়াড(Chess Olympiad)। সেই উপলক্ষে টাঙানো হয়েছে বিলবোর্ড (Bill Board)। তাতে ছবি নেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)। এর পরেই কয়েকজন বিজেপি (BJP) কর্মী গিয়ে বিলবোর্ডে সাঁটিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এর ঠিক পরের দিনই মাদ্রাজ হাইকোর্ট (Madras High Court) তামিলনাড়ু সরকারকে সাফ জানিয়ে দেয়, ওলিম্পিয়াডের বিলবোর্ড, পোস্টারে রাখতে হবে রাষ্ট্রপতি (President) এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি।
    কিছুদিন পরেই তামিলনাড়ুতে হতে চলেছে ৪৪তম চেজ ওলিম্পিয়াড। আন্তর্জাতিক এই দাবা প্রতিযোগিতা উপলক্ষে শহর ছয়লাপ মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের ছবি সম্বলিত পোস্টারে। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা হওয়া সত্ত্বেও তাতে রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রী ছবি ছিল না। আদালতে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে যখন দেশ ব্যস্ত তখন রাষ্ট্রপতির ছবি মেলেনি। তাই পোস্টারে ছবি দেওয়া হয়নি রাষ্ট্রপতির। আর পোস্টারে প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া হয়নি কারণ, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে তাঁর ছবি ছাপার অনুমতি এসেছিল দেরিতে।

    আরও পড়ুন : শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নবম-দশমেও, হাইকোর্টে দায়ের মামলা

    রাজ্য সরকারের এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি মুনিশ্বর নাথ ভাণ্ডারি ও বিচারপতি এ আনন্থির ডিভিশন বেঞ্চ। তাঁরা জানান, দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে জাতির গুরুত্বটাই সবার ওপরে হওয়া উচিত। যে কোনও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সেই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের ছবি থাকে। কারণ তাঁরাই দেশের প্রতিনিধি। এটা শুধুই দেশের উন্নতির চিত্র প্রদর্শন নয়, এটা অল্প সময়ে ওই দেশের আয়োজনের ক্ষমতাও প্রমাণ করে। রাজ্য সরকার সহ প্রত্যেক সরকারের এ ব্যাপারে কাজ করা উচিত। যখন দেশ এমন এক আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে, তখন সেটা যাতে নিখুঁতভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সেটা যাতে আন্তর্জাতিক মহলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে, তার ব্যবস্থা করতে হবে। জেলা প্রশাসনকে আদালত এও জানিয়ে দিয়েছে, যেসব বিজ্ঞাপনে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও মাননীয় রাষ্ট্রপতি এবং প্রধামন্ত্রীর ছবি রয়েছে, তা যেন বিকৃত করা না হয়। যদি  এমন খবর আসে, তাহলে অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে। 

    আরও পড়ুন : রনিল বিক্রমাসিংহেকে ‘চিঠি’ দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন নরেন্দ্র মোদি

     

     

  • Praveen Nettaru: কর্নাটকে কুপিয়ে খুন বিজেপি যুব মোর্চার নেতা

    Praveen Nettaru: কর্নাটকে কুপিয়ে খুন বিজেপি যুব মোর্চার নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটকে (Karnataka) কুপিয়ে খুন করা হল বিজেপি (BJP) যুব মোর্চার (Yuva Morcha) এক নেতাকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। প্রবীণ নেত্তারু ( Praveen Nettaru) ওই নেতার মৃত্যুর ঘটনায় কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোম্মাই গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। যত দ্রুত সম্ভব দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হবে, বলে জানিয়েছেন তিনি। 

    প্রবীণ একটি পোল্ট্রির দোকানের মালিক ছিলেন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কয়েকজন দুষ্কৃতী বাইকে চড়ে হাজির হয় দক্ষিণ কন্নড় জেলার বেল্লারে গ্রামে। পিছন থেকে ধারালো অস্ত্র হাতে তারা চড়াও হয় বিজেপির ওই যুব নেতার উপরে। কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। এরপরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দ্রুত নিরাপত্তা জোরদার করার চেষ্টা করা হয়। এলাকার আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে মাঙ্গালুরু ও উদুপি থেকে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী নিয়ে আসা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ২৮ হাজার ৭৩২ কোটি টাকার সামরিক সরঞ্জাম কিনছে সেনা! অনুমতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের

    জেলা পুলিশ সুপার রুশিকেশ সোনানা বলেন, “অভিযুক্তদের ধরতে ইতিমধ্যেই পুলিশের পাঁচটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। পাঁচটির মধ্যে তিনটি দলকে যথাক্রমে কেরল এবং কর্নাটকের মাদিকেরি ও হাসানে পাঠানো হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীদের বাইকের নম্বরটি মনে হচ্ছে কেরলের। কিন্তু এখনও সে বিষয়ে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। রাজ্যের সীমান্তগুলিতে কড়া পাহারা বসানো হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোম্মাই।  দোষীদের শীঘ্রই গ্রেফতার এবং শাস্তির আশ্বাসও দেন তিনি।  ট্যুইটারে শোক বার্তায় তিনি বিজেপি নেতার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি এই জঘন্য খুনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। 

    স্থানীয়দের দাবি, এক মুসলিম যুবকের মৃত্যুর বদলা নিতেই এই হত্যাকাণ্ড। যদিও এটি রাজনৈতিক খুন নাকি ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে প্রবীণকে মারা হয়েছে তা নিয়ে ধন্দ্বে রয়েছে পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার বেশ কিছু এলাকায় বনধ ডেকেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

  • Anand Sharma: কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন আনন্দ শর্মা?

    Anand Sharma: কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন আনন্দ শর্মা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ধস নামতে চলেছে কংগ্রেসে (Congress)! কংগ্রেস ছেড়ে শীঘ্রই কি বিজেপিতে (BJP) যোগ দিচ্ছেন আনন্দ শর্মা (Anand Sharma)? সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন কংগ্রেসের এই শীর্ষ নেতা। তার পরেই দানা বেঁধেছে জল্পনা। সূত্রের খবর, বিজেপিতে যোগদানের বিষয়েই নাড্ডার সঙ্গে কথা হয়েছে শর্মার। যদিও জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা।

    কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ শিবির জি-২৩ গ্রুপের সদস্য আনন্দ। এই গ্রুপেরই এক সদস্য কপিল সিবাল কিছুদিন আগেই কংগ্রেস ছেড়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে অখিলেশ যাদবের সমর্থনে রাজ্যসভায় গিয়েছেন। কয়েক মাস পরেই হিমাচল প্রদেশে নির্বাচন। সেখান থেকেই রাজ্যসভায় গিয়েছিলেন আনন্দ। তাই শর্মার দলবদলের চর্চা নয়া মাত্রা যোগ করেছে রাজনীতিতে।

    আরও পড়ুন : অরুণাচল প্রদেশে ১০২ আসনে জয়ী বিজেপি, কী বললেন আইনমন্ত্রী?

    কংগ্রেস ছাড়ার জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন আনন্দ। এদিন নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে আনন্দ বলেন, বিজেপি প্রাধান জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করার অধিকার আমার রয়েছে। আমার কাছে উনি শুধুমাত্র বিজেপি সভাপতি নন। আমরা দুজনেই একই রাজ্যের। এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক খোঁজার কোনও মানে নেই। তিনি বলেন, আমি কংগ্রেসের সদস্য। মতাদর্শগতভাবে বিরোধিতা থাকলেও আমাদের ব্যক্তিগত স্তরে কোনও বিভাজন নেই। শর্মার গলায় শোনা গিয়েছে নাড্ডার প্রশংসাও। তিনি বলেন, আমার খুব গর্ব হয়, যখন দেখি আমার রাজ্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ শাসকদলের সভাপতি হয়েছেন।

    আরও পড়ুন : মহুয়ার ‘কালী’ মন্তব্যের জের, এফআইআর দায়ের, পথে বিজেপি, সমালোচনার ঝড়

    সূত্রের খবর, বিজেপিও জি-২৩ গ্রুপের বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এই আনন্দ শর্মাই কংগ্রেসের সেই নেতা যিনি দলের দ্রুত নির্বাচন চেয়ে সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন। কপিল সিবাল কংগ্রেস ছাড়ায় একবার ধাক্কা খেয়েছিল কংগ্রেস। এবার আনন্দ শর্মা যদি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন, তাহলে আরও বিপাকে পড়বেন গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির শীর্ষ কর্তারা।   

     

  • Arunachal Pradesh:  অরুণাচল প্রদেশে ১০২ আসনে জয়ী বিজেপি, কী বললেন আইনমন্ত্রী?   

    Arunachal Pradesh:  অরুণাচল প্রদেশে ১০২ আসনে জয়ী বিজেপি, কী বললেন আইনমন্ত্রী?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসামের পর এবার অরুণাচল প্রদেশ। ফের বিপুল জয় বিজেপির (BJP)। গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩০টি আসনের মধ্যে ১০২টিই গিয়েছে গেরুয়া ঝুলিতে। অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) এই জয়ে দৃশ্যতই খুশি বিজেপি নেতৃত্ব।

    চলতি মাসের ১২ তারিখে গ্রাম পঞ্চায়েতের (Gram Panchayat)  উপনির্বাচন অরুণাচল প্রদেশে। মোট আসন ১৩০টি। তার মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১০২টি আসনে জয় পেয়েছে পদ্ম শিবির। অরুণাচল প্রদেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিব নিয়ালি এতে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ১২ জুলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩০টি আসন ও জেলা পরিষদের একটি আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। পঞ্চায়েতের এই ১৩০টি আসনের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজেপির দখলে গিয়েছে পঞ্চায়েতের ১০২টি আসনের রাশ। কংগ্রেস এবং নির্দল মিলিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে ১৪টি আসনে। তিনি বলেন, সেই কারণে গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪টি আসন ও জেলা পরিষদের একটি আসনে নির্বাচন হবে।

    আরও পড়ুন : কার্বি আংলং নির্বাচনে জয় ‘ঐতিহাসিক’, দলের প্রশংসায় মোদি

    পদ্ম শিবিরের বিপুল জয়ে যারপরনাই উল্লসিত গেরুয়া শিবির। বিজেপিকে শতাধিক আসন উপহার দেওয়ায় সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খাণ্ডু। ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেন, বিজেপির সমস্ত কর্মকর্তা, সমর্থক এবং সহকর্মীদের শুভেচ্ছা । অরুণাচল প্রদেশের ১৩০টি আসনের মধ্যে ১০২টি আসনে বিজেপি প্রার্থীদের জয়ী করার জন্যই শুভেচ্ছা জানাই তাঁদের। কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খাণ্ডুর ওপর পুরোপুরি আস্থা রয়েছে অরুণাচল প্রদেশবাসীর। রাজ্যবাসীর স্বপ্নপূরণে যিনি কাজ করে চলেছেন নিরলসভাবে। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসাও করেন রিজিজু। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খাণ্ডুর ওপর রাজ্যবাসীর পুরো আস্থা রয়েছে। রাজ্যবাসীর স্বপ্ন পূরণে তিনি নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। উত্তর-পূর্বের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অবদানও কম নয়।

    আরও পড়ুন : রাজ্যে ৩ থেকে ৭৭ হয়েছে বিজেপি। বাংলায় আগামী দিনে বাজিমাত করবে পদ্ম-ই। বললেন মিঠুন

    কিছুদিন আগেই আসামের কার্বি আংলং অটোনমাস কাউন্সিলের নির্বাচনের ২৬টি আসনের সব কটিতেই জয়ী হয়েছেন পদ্ম প্রার্থীরা। সেই জয়ের পরেও দলীয় কর্মীদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে উত্তর-পূর্বের মাটিতে ক্রমেই পোক্ত হচ্ছে পদ্মের জমি। প্রথমে আসাম এবং তার পরে অরুণাচল প্রদেশে বিজেপির এই জয়ই তার সব চেয়ে বড় প্রমাণ।

     

  • Presidential Poll 2022: আগামী ৯ জুলাই রাজ্যে প্রচারে আসতে পারেন এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু, প্রস্তুতি তুঙ্গে

    Presidential Poll 2022: আগামী ৯ জুলাই রাজ্যে প্রচারে আসতে পারেন এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু, প্রস্তুতি তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবকিছু পরিকল্পনা মতো চললে আগামী ৯ জুলাই এক দিনের ঝটিকা সফরে রাজ্যে আসতে পারেন এনডিএ জোটের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী (NDA Candidate) শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। কলকাতায় এসে এনডিএ-র বিধায়ক এবং সাংসদদের সঙ্গে মিলিত হবেন তিনি। ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটের প্রচার করতেই তিনি বাংলায় আসছেন বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ভারতের উন্নয়ন সম্পর্কে দ্রৌপদীর উপলব্ধি অসাধারণ: মোদি

    বিজেপি সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর প্রচার পর্ব জাঁকজমকপূর্ণ করতে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি (BJP) তথা এনডিএ (NDA) শরিক দলের জনজাতি বিধায়ক-সাংসদেরা সেদিন প্রচার পর্বের মুখ্য ভূমিকায় থাকবেন। দ্রৌপদী দেবীর প্রচারের ব্যাপারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছে দল। দেশের প্রথম জনজাতি মহিলা রাষ্ট্রপতির প্রতি সমর্থন চেয়ে রাজ্যের সমস্ত বিধায়ক, সাংসদদের চিঠি দিয়েছেন বিজেপির দুই নেতা। ভবানীপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Mamata) চিঠি দিয়ে পূর্ব ভারতের প্রথম মহিলাকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তবে প্রচার পর্বে এসে দ্রৌপদী দেবী আদৌ তৃণমূল বিধায়ক-সাংসদদের সঙ্গে দেখা করবেন কি না তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

    এনডিএ-র লক্ষ্য, জনজাতি এই মহিলাকে দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে রেকর্ড ভোটে জেতানোর। বিজেপি সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে দেশের সবকটি রাজ্যে গিয়ে প্রচার করবেন দ্রৌপদী দেবী। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্তরে ধর্মেন্দ্র প্রধান, গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত, সর্বানন্দ সোনওয়ালের মতো হেভিওয়েট মন্ত্রীদের নিয়ে বিশেষ কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পশ্চিমবঙ্গ সহ উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর প্রচার পর্বের তদারকি করছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ ও জলপথ উন্নয়ন মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে এ নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক সেরে গিয়েছেন তিনি। আগামী ৯ জুলাই বিমান বন্দরে স্বাগত জানানো থেকে বিধায়ক-সাংসদদের সভা ঘিরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সম্ভাব্য বিজয়ী প্রার্থীকে ঘিরে কার্যত বিজয় উৎসবের চেহারা দিতে চায় রাজ্য বিজেপি।

    আরও পড়ুন: কাউন্সিলর থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, কে এই দ্রৌপদী মুর্মু?

  • Maharashtra: বিজেপি কেন একনাথ শিন্ডের হাতে মহারাষ্ট্রের রাশ ছাড়ল?  

    Maharashtra: বিজেপি কেন একনাথ শিন্ডের হাতে মহারাষ্ট্রের রাশ ছাড়ল?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মহাসংকট কেটেছে। উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার পর মহারাষ্ট্রর রাশ গিয়েছে শিবসেনার (Shiv Sena) বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডের (Eknatn Shinde) হাতে। উপমুখ্যমন্ত্রী হলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। প্রশ্ন হল, কেন বিজেপি একনাথকে ছেড়ে দিল মুখ্যমন্ত্রীর পদ? কেনই বা ফড়নবিশকে বসানো হল উপমুখ্যমন্ত্রী পদে?

    আরও পড়ুন: “সেদিন থেকেই পতন শুরু…”, উদ্ধবকে ট্যুইট-বাণ রাজ ঠাকরের

    মহাবিকাশ আঘাড়ি জোট থেকে বেরিয়ে বিজেপি সঙ্গ ধরতে চেয়েছিলেন শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। তা নিয়ে সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে শিন্ডের। তার পরেই শুরু হয় একপ্রস্ত নাটক। অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে প্রথমে গুজরাট ও পরে আসামে উড়ে যান শিন্ডে। চেষ্টা করেও সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবেন না বুঝে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন উদ্ধব। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন শিন্ডে। ‘কিং মেকার’ বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরে দাঁড়ান। ফড়নবিশের এই উদারতার ব্যাপক প্রশংসা করেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, ফড়নবিশের হৃদয় বড়। প্রথমে উপমুখ্যমন্ত্রী হতেও রাজি ছিলেন না ফড়নবিশ। পরে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার অনুরোধে তিনি উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন বলে সূত্রের খরব। মহারাষ্ট্র বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৮৮। তার মধ্যেই বিজেপির রয়েছে ১০৬ জন বিধায়ক। সেখানে শিন্ডে শিবিরের সংখ্যা ৩৯। তার পরেও কেন মুখ্যমন্ত্রী পদে বসলেন না বিজেপির কেউ?

    আরও পড়ুন: শপথ নিয়েই ‘বিদ্রোহী’দের ফেরাতে গোয়া উড়ে গেলেন মহারাষ্ট্রের নয়া মুখ্যমন্ত্রী

    রাজনৈতিক মহলের মতে, এর নেপথ্যে রয়েছে অনেকগুলি কারণ। প্রথমত, বিজেপি ক্ষমতায় বসলে সঙ্গে সঙ্গে বিরোধীরা গেরুয়া শিবিরের গায়ে ক্ষমতা লোভীর তকমা সেঁটে দিত। যা মোটেই কাম্য নয়। দ্বিতীয়ত, বিদ্রোহীদের সিংহভাগ যদি উদ্ধব শিবিরে ফেরেন, তাহলে সরকার পড়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সরকার পড়ে যাওয়ার কলঙ্ক লাগবে না মোদি-শাহের দলের গায়ে। তৃতীয়ত, সরকারের বিরুদ্ধে কোনও কেলেঙ্কারি কিংবা অপদার্থতার অভিযোগ উঠলেও তার আঁচ কোনওভাবেই লাগবে না পদ্ম শিবিরে। সর্বোপরি, শিন্ডে মরাঠি সম্প্রদায়ের। তিনি শিব সৈনিকও। তাই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে পুরো মারাঠি আবাগের হাওয়া নিজেদের পালে টেনে নিল বিজেপি। পদ্ম শিবিরের এই ‘উদারতা’য় প্রত্যাশিতভাবেই খুশি হবেন মারাঠিরা। রাজনৈতিক মহলের মতে, যার সুফল বিজেপি ঘরে তুলবে চব্বিশের লোকসভা ভোটে।  

     

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর কনভয়ে লরির ধাক্কা, কী হল জানেন?

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর কনভয়ে লরির ধাক্কা, কী হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় বিপদ থেকে বাঁচলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu)। বিরোধী দলনেতার কনভয়ে (Convoy) আচমকা ধাক্কা মারল লরি (Truck)। কাঁথির বাড়ি থেকে তমলুকে আসার পথে শুভেন্দুর কনভয়ে ধাক্কা মেরেছে লরিটি। শুক্রবার দুপুর ২টো নাগাদ ১১৬বি জাতীয় সড়কে মারিশদার কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তবে শুভেন্দু অধিকারীর কোনও আঘাত লাগেনি। সুস্থ আছেন তিনি। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি তমলুকের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান। লরিচালক পলাতক। ঘটনাস্থলে যায় মারিশদা থানার পুলিশ। আপাতত চালকের খোঁজ চলছে।

    আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে নেতাই যেতে বাধা কেন? ডিজি, এসপির বিরুদ্ধে রুল জারি হাইকোর্টের    

    দুর্ঘটনার জেরে শুভেন্দুর কনভয়ে থাকা ওই গাড়ির সামনের অংশটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। মারিশদায় একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে শুভেন্দুর কনভয়ের গাড়িতে ধাক্কা দেয় লরিটি। কনভয়ের গাড়ির সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কা লাগলেও শুভেন্দু অন্য গাড়িতে থাকায় সম্পূর্ণ নিরাপদে রয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। এদিন দুর্ঘটনার পর জাতীয় সড়কে সাময়িক যানজটও তৈরি হয়। পরে শুভেন্দু নিজের গন্তব্যে রওনা দেন। নিছকই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনা, নাকি এর পিছনে রয়েছে কোনও ষড়যন্ত্র? তা খতিয়ে দেখছে মারিশদা থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের চাপে ‘বাংলা’ সরে ফের বসছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম? ট্যুইট শুভেন্দুর 

    দুর্ঘটনার জেরে বিরোধী দলনেতার কনভয়ের ওই গাড়ির চালকসহ আরও একজন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পরেই গাড়ি ফেলে চম্পট দেয় চালক। পরে গাড়িটি আটক করে মারিশদা থানার পুলিশ। চালকের খোঁজ শুরু হয়েছে।  

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, রথযাত্রা উপলক্ষে আজ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে। তমলুকের ইসকন মন্দিরে যাওয়ার জন্য এদিন দুপুরে বাড়ি থেকে রওনা দেন শুভেন্দু অধিকারী। ১১৬বি জাতীয় সড়ক দিয়ে শুভেন্দুর কনভয় যাচ্ছিল। সেই সময় আচমকা কনভয়ের একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে লরিটি। তার পরই গাড়িটিকে ধাওয়া করতে শুরু করে পুলিশ। যদিও লরি সমেত চালক পালিয়ে যান।   

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান। তা সত্ত্বেও কীভাবে কনভয়ে লরিটি ঢুকল, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।  

     

  • Maharashtra Crisis: “শিন্ডের তরফে প্রস্তাব এলে…”, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে কী বলল বিজেপি?

    Maharashtra Crisis: “শিন্ডের তরফে প্রস্তাব এলে…”, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে কী বলল বিজেপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবসেনার (Shiv Sena) বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) কাছ থেকে সরকার গড়ার বিষয়ে প্রস্তাব পেলে তা বিবেচনা করে দেখা হবে। অন্তত এমনই জানিয়ে দিলেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। শিন্ডেকে বিদ্রোহী বলতে রাজি নয় পদ্ম শিবির। বিজেপি নেতা সুধীর মুঙ্গাতিয়ার বলেন, আমরা কাউকে বিদ্রোহী বলে মনে করি না। তাঁর প্রশ্ন, শিন্ডের সঙ্গে যদি মোট বিধায়কের দুই তৃতীয়াংশের সমর্থন থাকে, তাঁকে বিদ্রোহী বলি কী করে?

    আরও পড়ুন : ‘যাঁরা যেতে চাইছেন যান, নতুন শিবসেনা গড়ব’, হুঁশিয়ারি উদ্ধবের

    মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক অস্থিরতা বর্তমানে পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্টে। বিতর্কের সূত্রপাত হয় যখন একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে শিবসেনা বিধায়কদের একটা বড় ঝাঁক শাসক জোট মহারাষ্ট্র বিকাশ আঘাড়ি (MVA) ছেড়ে বেরিয়ে যান। এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে নয়, বিজেপির সঙ্গে জোট গড়েই সরকার চালাতে হবে শিবসেনাকে। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে শিন্ডের বিরোধ বাঁধে। এর পরেই জোট ছেড়ে অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে বিজেপি শাসিত গুজরাটের সুরাটে চলে যান শিন্ডে। সেখান থেকে মধ্যরাতের বিমান ধরে ওই বিধায়কদের নিয়ে তিনি উড়ে যান বিজেপি শাসিত আর এক রাজ্য আসামে। সেখানকারই একটি বিলাসবহুল হোটেলে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন : গুজরাট ছেড়ে একনাথ শিন্ডেরা রয়েছেন আসামে, কেন জানেন?

    দিন দুয়েক আগে ফের বিশেষ বিমানে গুজরাতের ভদোদরায় উড়ে আসেন শিন্ডে। সাক্ষাৎ করেন মহারাষ্ট্রেরই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে। সেখানেই দুই নেতার মধ্যে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর। আসামের হোটেল থেকেই শিন্ডে জানিয়েছিলেন, তাদের পিছনে একটি জাতীয় দলের সমর্থন রয়েছে। যদিও, পরে একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে শিন্ডে বলেন, আমাদের পিছনে বালাসাহেব ঠাকরের শক্তি রয়েছে।

    বিজেপি অবশ্য শিবসেনার এই সংকটকে প্রথম থেকেই তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা বলে উল্লেখ করে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার গঠনের যে কোনও প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখা হবে বলে ফড়নবিশের বাড়িতে বৈঠকের পরে জানান সুধীর। তিনি বলেন, প্রতিদিনের ঘটনার ওপর কড়া নজর রাখছে বিজেপি। 

    প্রসঙ্গত, সোমবারই একনাথ শিবিরকে স্বস্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দলবিরোধী আইনের আওতায় বিদ্রোহী ১৬ জন বিদ্রোহী বিধায়ককে ‘ডিসকোয়ালিফাই’ করতে উদ্যত হয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি মতো, বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়ককে নোটিস পাঠিয়ে মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ সম্পর্কে আত্মপক্ষ সাফাইয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্র বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার নরহরি সীতারাম জিরওয়াল। পাল্টা বিদ্রোহী পক্ষের তরফে ডেপুটি স্পিকারের বিরুদ্ধে একটি অনাস্থা প্রস্তাব বিধানসভাতেই পেশ করা হয়। ডেপুটি স্পিকার তা খারিজ করেন। 

    দলবিরোধী নোটিশ প্রাপ্তি এবং অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ— এই দুই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় একনাথ শিবির। গতকাল শুনানিতে ১৬ জন শিবসেনা বিধায়কের বিরুদ্ধে কেন দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে নোটিস পাঠানো হয়েছিল, সে বিষয়ে ডেপুটি স্পিকার (ভারপ্রাপ্ত স্পিকার) জিরওয়ালের জবাবও চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, শিন্ডে-সহ বিধায়কের বিরুদ্ধে ১১ জুলাই পর্যন্ত দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

    এদিকে, মহারাষ্ট্রের মহাসংকটের মধ্যেই এবার শিন্ডে শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করল রাজ ঠাকরে শিবির। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা সুপ্রিমো রাজ ঠাকরের সঙ্গে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন শিন্ডে। গত দু দিনে অন্ততঃ দুবার দুই নেতার মধ্যে টেলিফোনে কথা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।

    অন্যদিকে, বালাসাহেব ঠাকরে ছবি দিয়ে তার সঙ্গে শিন্ডের কাজে প্রশংসা করে গুয়াহাটির একাধিক জায়গায় পোস্টার পড়েছে। পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে, হিন্দুত্ব ফর এভার। গর্ব করেন বলুন, আপনি হিন্দু। আপনাকে আমরা সব ধরনের সমর্থন জানাব। পোস্টারটি কারা সাঁটিয়েছে, তা জানা যায়নি।

    মৃত্যুর এক দশক পর মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ফের একবার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছেন প্রয়াত বালাসাহেব!

     

  • Droupadi Murmu: দ্রৌপদী মুর্মুকে কেন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করল এনডিএ, জানেন কি?

    Droupadi Murmu: দ্রৌপদী মুর্মুকে কেন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করল এনডিএ, জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাইসিনা হিলসের দৌড়ে এনডিএ (NDA) প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (Nadda) নিজেই স্বীকার করেছেন ২০ জনের মধ্যে থেকে সর্বসম্মতভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে দ্রৌপদীকে। প্রশ্ন হল, কেন দ্রৌপদী নামেই শিলমোহর দিল বিজেপি?

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দ্রৌপদী আদিবাসী সম্প্রদায়ের। তবে শুধু এই কারণেই তাঁকে বেছে নেয়নি পদ্ম শিবির। নেপথ্যে রয়েছে মোদি সরকারের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা। ২০২৩ সালে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও তার পরের বছর হবে ওড়িশা, মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। এই পাঁচ রাজ্যের একটা বিরাট সংখ্যক ভোটার আদিবাসী। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। ৫৪৩ আসনের লোকসভায় তফশিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত ৪৭টি। আরও অন্তত ৬২টি আসনের ফল নির্ভর করে আদিবাসী ভোটের ওপর। সেই আদিবাসী ভোটের সিংহভাগ যাতে গেরুয়া ঝুলিতে পড়ে, তাই বেছে নেওয়া হল দ্রৌপদীকে।

    আরও পড়ুন : কাউন্সিলর থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, কে এই দ্রৌপদী মুর্মু?

    গত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও এই পরীক্ষা করে দেখেছে পদ্ম শিবির। ২০১৭ সালে বেছে নেওয়া হয় দলিত নেতা রামনাথ কোবিন্দকে। কে আর নারায়ণণের পর ভারতের দ্বিতীয় দলিত রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন কোবিন্দ। যার সুফল ঘরে তুলেছিল বিজেপি, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে। সেবার বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিল বিজেপি।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা

    নাড্ডা ২০টি নামের কথা বললেও, গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ছিল মূলত তিনটি নাম। এই তিনজনই আদিবাসী সম্প্রদায়ের। এঁরা হলেন, উপজাতি বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা, ছত্তিশগড়ের রাজ্যপাল অনসূয়া উইকে এবং ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মু। এই চারজনের মধ্যে আবার এগিয়েছিলেন অনসূয়া এবং দ্রৌপদী। এঁরা দুজনেই আদিবাসী সম্প্রদায়ের। আবার দুজনেই মহিলা। অনসূয়া বর্তমানে ছত্তিশগড়ের রাজ্যপাল পদে আসীন। সম্ভবত সেই কারণেই বেছে নেওয়া হয়েছে দ্রৌপদীকে। তিনি জিতলে আরও একবার তৈরি হবে ইতিহাস। দেশের প্রথম নাগরিকের মর্যাদা পাবেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের কোনও মহিলা।

     

  • Mithun Chakraborty: রাজ্যে ৩ থেকে ৭৭ হয়েছে বিজেপি। বাংলায় আগামী দিনে বাজিমাত করবে পদ্ম-ই। বললেন মিঠুন

    Mithun Chakraborty: রাজ্যে ৩ থেকে ৭৭ হয়েছে বিজেপি। বাংলায় আগামী দিনে বাজিমাত করবে পদ্ম-ই। বললেন মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিতে যোগদানের পর এই প্রথম বিজেপির রাজ্য দফতর মুরলিধর সেন লেনের অফিসে পা রাখলেন ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী। জানালেন, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বিজেপির সঙ্গেই থাকবেন। এক সাধারণ কর্মীর মতোই দলের সব নির্দেশ পালন করবেন। কাজ করবেন বাংলার মানুষের জন্য। গত বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ছিলেন রাজ্য বিজেপির তারকা-প্রচারক। কিন্তু ভোটে দলের বিপর্যয়ের পর বঙ্গ-রাজনীতির ময়দানে তাঁকে আর সে ভাবে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। সোমবার ফের বঙ্গ রাজনীতিতে যোগ দিলেন ‘ডিস্কো-কিং’। এদিন রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর মিঠুন চক্রবর্তী  বলেন, ‘‘দল আমাকে যে কাজ দিয়েছে, তা করে যাব আমি। আমি রাজনীতি করি না, আমি মানুষ-নীতি করি। বাংলার মানুষের জন্য কাজ করতে চাই এবং সেটা করবও।’’

    সোমবার সকালেই কলকাতায় পৌঁছন মিঠুন। যদিও কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের সব প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি। পরে সন্ধ্যা নাগাদ মিঠুন পৌঁছে যান বিজেপির দফতরে। সেখানে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। কিন্তু কী নিয়ে নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি মিঠুন। তিনি বলেন, “সব ঠিক সময় মতো জানতে পারবেন।” শুধু জানান, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তাঁকে কিছু কাজ দিয়েছেন। সেই কাজ তিনি করবেন। প্রসঙ্গত, সোমবার বৈঠকে সুকান্ত ছাড়াও হাজির ছিলেন রাহুল সিন্‌হা, রুদ্রনীল ঘোষ এবং বিজেপির মহিলা মোর্চার সভাপতি তনুজা চক্রবর্তী-সহ অন্য নেতারা। “কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে আমি কলকাতায় এসেছি। তবে বাংলায়  আমার ‘বস’ (BOSS) সুকান্ত মজুমদার। ওঁর নির্দেশে বাংলার মানুষের স্বার্থে আন্দোলনে সামিল হব।” কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের পাশে বসিয়ে একথা বলেন মিঠুন চক্রবর্তী।

    আরও পড়ুন: “বাংলার হারানো গৌরব ফেরাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ”, রাজ্য সফরে এসে নাড্ডা

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে টানা ৫৫ দিন বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন মিঠুন। কিন্তু ফলাফলে বঙ্গ জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে যায় বিজেপির। যদিও এতে মোটেই তিনি হতাশ নন তা জানিয়ে মিঠুনের যুক্তি, পরাজয় হলেও বাংলায় বিজেপির উত্থানে তিনি খুশি। পরিসংখ্যান দিয়ে বিজেপির এই তারকা প্রচারক বলেন, “তিন থেকে আমরা সাতাত্তর হয়েছি। ৫৫ লক্ষ থেকে বেড়ে দু কোটি আঠাশ লক্ষ  মানুষ গত বিধানসভায় আমাদের সমর্থন জানিয়েছেন। তাই নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। আমি গতবারের থেকেও এবার বেশি সময় দেব। বাংলায় আগামী দিনে বাজিমাত করবে বিজেপি।”

    গত বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে ব্রিগেডের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন মিঠুন। তার পর থেকে ভোটের সময় রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে রোড শো থেকে শুরু করে বহু প্রচার কর্মসূচিতে দেখা যায় তাঁকে। বিজেপি সূত্রে খবর, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে নজরে রেখেই আবার বাংলায় পাঠানো হয়েছে অভিনেতাকে। লোকসভা কেন্দ্র ধরে ধরে প্রচার চালানোর যে কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব, সেই সব কর্মসূচিতে কাজে লাগানো হতে পারে মিঠুনকে। যদিও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছুই জানানো হয়নি গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে।

    রাজ্য বিজেপি-তে মিঠুন কী ভূমিকা পালন করতে চলেছেন জানতে চাইলে রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “মিঠুনদা হেভিওয়েট প্রচারক, ইংরেজিতে যাকে স্টার ক্যাম্পেইনার বলি আমরা। স্বাভাবিক ভাবেই সেই অস্ত্রকে নির্দিষ্ট জায়গায় ব্যবহার করা হবে। যুদ্ধে সবসময় তো পরমাণু বোমা ব্যবহার করা হয় না! আগে ছোটখাটো হ্যান্ড গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়। যখন পরমাণু বোমার প্রয়োজন হবে, আমরা চার্জ করব।”

LinkedIn
Share