Tag: bjp

bjp

  • Rahul Gandhi: উদয়পুরে আজ শুরু চিন্তন শিবির, ‘রাহুল ফেরাও’ ডাক দিতে চলেছে কংগ্রেস?

    Rahul Gandhi: উদয়পুরে আজ শুরু চিন্তন শিবির, ‘রাহুল ফেরাও’ ডাক দিতে চলেছে কংগ্রেস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ‘রাহুল ফেরাও’ স্লোগান উঠল কংগ্রেসে (Congress)! আজ থেকে রাজস্থানের উদয়পুরে (Udaipur) শুরু হচ্ছে কংগ্রেসের তিনদিন ব্যাপী চিন্তন শিবির (chintan shivir)। ওই শিবিরেরই সোনিয়ার (Sonia Gandhi) বদলে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) ফেরানোর তোড়জোড় করছেন কংগ্রেস নেতারা।

    কংগ্রেস সূত্রে খবর, উদয়পুরে চিন্তন শিবির শুরু হবে দলের হাইকমান্ড সোনিয়া গান্ধীর ভাষণ দিয়ে। তার পরেই আলোচনা হবে দলীয় সংগঠন নিয়ে। ২০২৪ দেশে সাধারণ নির্বাচন (2024 Loksabha Elections)। ওই নির্বাচনে বিজেপিকে (BJP) পরাস্ত করতে চিন্তন শিবির থেকেই কোমর কষে নামতে চলেছে সোনিয়া গান্ধীর দল।

    এর আগে সোনিয়ার নেতৃত্বে তিনবার চিন্তন শিবির হয়েছে কংগ্রেসে। ১৯৯৮, ২০০৩ এবং ২০১৩ সালে। এর মধ্যে ২০০৩ সালের চিন্তন শিবিরের পর লাভের কড়ি ঘরে তোলে কংগ্রেস। ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রের কুর্সিতে ফেরে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় ছিল টানা ১০ বছর।

    ২০১৪ সালের পর থেকে প্রায় প্রতিটি নির্বাচনে হেরে চলেছে কংগ্রেস। বেহাল দলের হাল ফেরাতে দলের সর্বাধিনায়ক করা হয় রাহুল গান্ধীকে। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বেই ভোটে যায় কংগ্রেস। ওই ভোটে গোহারা হয় রাহুলের দল। এরপরেই দলের শীর্ষ পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল। দলের ভাঙা হাল ধরার দায়িত্ব ফের এসে পড়ে সোনিয়ার (Sonia Gandhi) ঘাড়ে। অন্তবর্তীকালীন প্রসিডেন্ট পদে বসানো হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুন : “এক পরিবার, এক টিকিট” নীতির ভাবনা কংগ্রেসে, ছাড় পাবে গান্ধী-পরিবার?

    তবে এবারের চিন্তন শিবিরে ফের রাহুল ফের দাবি উঠতে চলেছে বলে কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর। এই সূত্রেই এও জানা গিয়েছে, রাহুল স্বয়ং ওই পদে যোগ দিতে রাজি হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও (Adhir Ranjan Chowdhury) বলেন, লোকসভা ভোট বৈতরণী পার হতে দলের হাল ধরা উচিত রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi)। অগাস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন (Congress President election) হওয়ার কথা। ওই নির্বাচনেই কংগ্রেস রাহুলকেই ফেরাতে চান স্বপদে। তবে বিষয়টিকে কংগ্রেসের জি-২৩ এর নেতা কীভাবে নেন, সেটাই দেখার। কারণ গান্ধী-মুক্ত কংগ্রেসের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই দলের অন্দরে লড়াই করছেন ওই গোষ্ঠীর নেতারা।

     

  • Nupur Sharma: ক্ষমা চান নূপুর!  তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

    Nupur Sharma: ক্ষমা চান নূপুর! তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মাকে (Nupur Sharma) গোটা দেশের কাছে ক্ষমা চাইতে বলল শীর্ষ আদালত  (Supreme Court)। দেশে এই মুহূর্তে যে অশান্তি চলছে, তার জন্য একা নূপুরকেই দায়ী করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, দেশে যা ঘটছে, তার জন্য একক ভাবে নুপূর শর্মা দায়ী। একটি টেলিভিশন চ্যানেলে নুপূর শর্মা একটি বিতর্কে অংশগ্রহণ করার সময় এমন একটি মন্তব্য করেন, যার জন্য ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগার অভিযোগ ওঠে। ভারতীয় জনতা পার্টির এই নেত্রীকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আদালত শুক্রবার এই বিষয়ক একটি মামলায মত প্রকাশ করেছে যে, এটি শুধুমাত্র আলটপকা মন্তব্য, এমনটাই নয়, একটি মন্তব্যের জন্য গোটা দেশে আগুন লেগেছে, তিনি এই সব ঘটনার জন্য দায়ী।

    বিচারপতি সূর্যকান্ত শুক্রবার বলেন, ‘‘আমরা ওই বিতর্কসভাটি দেখেছি। যে ভাবে তিনি কথাগুলো বলেছেন, তা-ও দেখেছি। আপনি নিজে এক জন আইনজীবী হয়ে যা করেছেন, তা লজ্জার। আপনার উচিত সারা দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া।’’

    আরও পড়ুন: বিজেপি কেন একনাথ শিন্ডের হাতে মহারাষ্ট্রের রাশ ছাড়ল?

    আদালতের মন্তব্য, উনি যে ভাবে গোটা দেশে আবেগকে উস্কে দিয়েছেন, তাতে উনিই একক ভাবে যা ঘটছে তার জন্য দায়ী। ক্ষমা চাওয়া ও মন্তব্য ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে আদালত জানিয়েছে, এখন অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে, আর মন্তব্য ফিরিয়ে নিয়ে লাভ নেই। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, কিন্তু ওঁকে এখনও পর্যন্ত ছুঁয়েও দেখেনি দিল্লি পুলিশ। আদালতের আরও মন্তব্য শর্মা এই অনৈতিক মন্তব্য করেছেন, কারণ ক্ষমতার দম্ভ তাঁর মাথায় প্রবেশ করেছে।

    সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি পুলিশকেও ভর্ৎসনা করেছে। নূপুরের আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়ার সমস্ত এফআইআর দিল্লিতে স্থানান্তর করার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন নূপুর। তাঁর আইনজীবী বলেন, নূপুরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তা শুনে বিচারপতি বলেন, ‘‘তিনি হুমকির মুখে পড়ছেন, না কি তিনিই নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছেন! তিনি দেশে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করেছেন। আজ গোটা দেশে যা চলছে, তার পিছনে দায়ী এই মহিলা।’’

  • Jodhpur Violence: সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে উত্তপ্ত যোধপুর, ধৃত ৯৭, জারি কারফিউ, বন্ধ ইন্টারনেট

    Jodhpur Violence: সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে উত্তপ্ত যোধপুর, ধৃত ৯৭, জারি কারফিউ, বন্ধ ইন্টারনেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইদ (Eid) ও অক্ষয় তৃতীয়ার (Akshay Tritiya) আগের দিন দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে (communal clash) অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে রাজস্থানের (Rajasthan) যোধপুর (Jodhpur)। সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯৭ জনকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ। পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যোধপুরের জালোরি গেট (Jalori gate) এলাকা। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে পাথর ছোঁড়ার ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। একই সঙ্গে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে পাথরের আঘাতে আহত হয়েছেন বেশ কিছু সাংবাদিকও।     

    রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) এই ঘটনায় পুলিশকে ইতিমধ্যেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তিনি বলেন, “ধর্ম, বর্ণ বা শ্রেণি নির্বিশেষে ঘটনায় জড়িতদের রেয়াত করা হবে না।” আর তার বক্তব্যের ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই ৯৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি সংঘর্ষের ঘটনায় ইন্ধন দেওয়ার জন্য বিজেপিকেও আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি।    

    পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার সকালে ঘটনার সূত্রপাত হয়। বেলা বাড়তেই এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী নামাতে হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে যোধপুর পুলিশের এডিজি (আইন শৃঙ্খলা) এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “ইদের অনুষ্ঠান উপলক্ষে পতাকা উত্তোলন নিয়ে দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় শান্তি বজার রাখার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। ১০টি পুলিশ থানা এলাকায় কারফিউ জারি রয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অঞ্চলের সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে।”   

    রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, “যোধপুরের জালোরি গেট এলাকার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। পুলিশ প্রশাসনকে পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” পাশাপাশি এলাকার শান্তি বজায় রাখার জন্য তিনি সকল সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।  

    অন্যদিকে, এই ঘটনার জন্য বর্তমান কংগ্রেস শাসিত প্রশাসনের দিকেই আঙুল তুলেছে বিজেপি। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া (Vasundhara Raje Scindia)। তিনি বলেন, কংগ্রেসের তোষণের নীতির ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই বিজেপি (BJP) রাজস্থানের রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া (Satish Poonia) এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের আর্জি জানিয়ে রাজ্যপাল কালরাজ মিশ্রকে (Kalraj Mishra) চিঠি লিখেছেন। 

    [tw]


    [/tw]

     

  • Suvendu Adhikari in Deucha: নন্দীগ্রামের থেকেও বড় আন্দোলন হবে, দেউচায় হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর

    Suvendu Adhikari in Deucha: নন্দীগ্রামের থেকেও বড় আন্দোলন হবে, দেউচায় হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই বাড়ছে দেউচা-পাঁচামি (Deucha Pachami) জমি রক্ষা প্রতিরোধ আন্দোলন। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের (BGBS 2022) শুরুর দিনেই রাজ্য বিজেপির (BJP) জোড়া কর্মসূচির দিকে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। সম্মেলনের সূচনার দিনে একদিকে হুগলির সিঙ্গুর (Singur) এবং অন্যদিকে বীরভূমের ডেউচায় (Deucha) একযোগে কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের মতে, শিল্পপতিদের কাছে রাজ্যে শিল্পের পরিবেশের প্রকৃত ছবি তুলে ধরতেই বিজেপির এই চেষ্টা। 

    কলকাতায় যখন সম্মেলনে উদ্বোধন করছে রাজ্য প্রশাসন, ঠিক সেই সময়ে বীরভূমের দেউচায় দাঁড়িয়ে বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সিন্ডিকেট ইস্যুতে রাজ্য প্রশাসনকে তুলোধনা করার পাশাপাশি রাজ্যে শিল্প বিমুখতা নিয়েও সরব ছিলেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, ‘এই রাজ্যে শুধুমাত্র চপ শিল্পই হবেই।’ এখানেই শেষ করেননি শুভেন্দু, তিনি আরও বলেন, ‘তবে চপ ব্যবসায়ীরাও তিন দিনের বেশি দোকান খুলতে পারবে না। কারণ তাঁদের তৃণমূলের সম্মেলনে যেতে হবে।’

    দেউচা-পাঁচামি (Deucha-Pachami) কয়লা খনি (coal mine)  প্রকল্প নিয়ে ক্রমশই জটিলতা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় আদিবাসীরা কোনও মূল্যেই কয়লা খনির জন্য জমি দিতে নারাজ। পাল্টা তাঁরা বনভূমি রক্ষার কথা বলছেন। এই এলাকার আদিবাসী মানুষ অরাজনৈতিক মঞ্চ তৈরি করে আন্দোলনে নেমেছে। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও। শুভেন্দুবাবুর অভিযোগ, দেউচায় আদিবাসীদের বেআইনিভাবে উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে নষ্ট করার জন্য এটা পুলিশ এবং তৃণমূলের চাল। কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদীর শক্তি নেই এখানে। স্থানীয় মানুষ আন্দোলন করছেন। তাঁরা কোথাও মঞ্চ বেঁধে করছে। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ব্যানারে তাঁরা আন্দোলন করছেন ৷

    তবে, যেখানে কয়লাখনি প্রকল্প হওয়ার কথা সেখানে যাননি শুভেন্দুবাবু। বদলে কাছেই জামবনি এলাকায় গিয়ে আদিবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। গ্রামবাসীদের সঙ্গে বসে তাঁদের সব অভিযোগ তিনি শোনেন ৷ তিনি জানান, অরাজনৈতিক আন্দোলন মঞ্চে রাজনীতির রং লাগুক তা চাননা তিনি। আন্দোলনকারীরা তাঁদের মতো অরাজনৈতিক মঞ্চে আন্দোলন করছেন। বিজেপি তাদের মতো নিজেদের মঞ্চে আন্দোলন করছে। 

    শুভেন্দুবাবু মনে করিয়ে দিলেন, পাঁচামি এলাকার ভূমি রক্ষা আন্দোলনকারীদের জন্য তাঁর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আন্দোলনকারীদের পাশে বিজেপি আছে, পরেও থাকবে ৷ আন্দোলনকারীরা যদি ডাকেন তাহলে তিনি নিশ্চিয় যাবেন। দেউচা প্রকল্প যে কোনওভাবেই হওয়ার নয়, তা বুঝিয়ে দেন বিরোধী দলনেতা। বললেন, “কোনও উচ্ছেদ করা চলবে না। ক্লোজড চ্য়াপ্টার, ক্লোজড চ্য়াপ্টার, ক্লোজড চ্য়াপ্টার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মাথা থেকে দেউচা ঝেড়ে ফেলে দিক।”

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই এলাকায় কমপক্ষে ২০টি গ্রামে ৪৩১৪টি বাড়িতে ২১ হাজারেরও বেশি মানুষের বাস। এই অঞ্চলে অধিকাংশ গ্রাম আদিবাসী প্রভাবিত। তাই জমি অধিগ্রহণের জন্য রাজ্য প্রশাসন প্যাকেজ ঘোষণা করলেও আদিবাসীদের একটা বড় অংশ জমি দিতে নারাজ। ইতিমধ্য়ে প্রতিবাদে নেমেছেন সেখানকার আদিবাসীরা। তাঁদের দাবি, “খোলামুখ কয়লা খনি প্রকল্প চাই না।” হাতে তীর-ধনুক নিয়ে জেলা শাসককে এলাকায় ঢুকতে বাঁধা দেন আদিবাসীরা।  সরকারি পাট্টা ও চেক বিতরণ করে জমি অধিগ্রহণের জন্য গিয়েছিলেন বীরভূম জেলাশাসক, পুলিশ সুপার-সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা। তবে সে কাজ সারা যায়নি। কারণ তাঁরা আদিবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। ফলে ফিরে আসতে হয় তাঁদের।  

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাশনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দুবাবু জানিয়ে রাখলেন, দেউচায় নীল বিদ্রোহের মতো স্ফুলিঙ্গ ইতিমধ্যেই তিনি দেখেছেন। তিনি জানান, দেউচায় নন্দীগ্রামের থেকেও বড় আন্দোলন হবে। তিনি প্রতিমাসে সেখানে দুবার করে যাবেন। পাশাপাশি ৮ মে-র পরে সেখানে উচ্ছেদ বিরোধী পদযাত্রা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আগামী ১২ মে ডেউচা-পাঁচামি এলাকায় ৫ কিলোমিটার মিছিল করবেন তিনি। মিছিলে থাকবে ২০ হাজার লোক। 

    রাজ্য রাজনীতির ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম আন্দোলন। সিঙ্গুর বা নন্দীগ্রামের ক্ষেত্রেও আন্দোলনের শুরুটা ছিল অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকেই। পরে গিয়ে সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিভন্ন রাজনৈতিক দল দাঁড়িয়েছিল। সিঙ্গুরের ক্ষেত্রে ছিল কৃষি জমি রক্ষা কমিটি আর নন্দীগ্রামে ছিল ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। দেউচাতেও, দেখা যাচ্ছে সেই একই ধারা। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনের ফলে রাজ্যে বাম জমানার ভিত নড়িয়ে দিয়েছিল। পতন হয়েছিল বাম সরকারের। দেউচার আন্দোলনের ধারা কোন দিকে গড়ায়, তা অবশ্য সময়ই বলবে।

     

     

  • Hardik Patel: কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন হার্দিক প্যাটেল!

    Hardik Patel: কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন হার্দিক প্যাটেল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা ভোটের মুখে গুজরাতে জোর ধাক্কা খেতে চলেছে কংগ্রেস (Congress)! পতিদার নেতা হার্দিক প্যাটেল (Hardik Patel) ছাড়তে চলেছেন সোনিয়া-সঙ্গ (Sonia Gandhi)। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সঙ্গে মনান্তরের জেরে কংগ্রেস ছাড়ছেন এই তরুণ নেতা। অন্তত এমনই দাবি হার্দিক শিবিরের।

    চলতি বছরের শেষের দিকে গুজরাত বিধানসভার নির্বাচন (Gujarat Assembly election)। ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করে দিয়েছে বিজেপি (BJP)। তবে ছন্নছাড়া দশা গুজরাত কংগ্রেসের। দলের রাজ্য নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ তুঙ্গে। এমতাবস্থায় গত কয়েকদিন ধরে ক্রমাগত কংগ্রেসের উদ্দেশে তীর্যক মন্তব্য ছুড়ে দেওয়ার পর কিছুদিন আগেই ট্যুইটার প্রোফাইল থেকে কংগ্রেসের নাম সরিয়ে দেন হার্দিক।

    পতিদারদের মধ্যে হার্দিকের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। তরুণ পতিদারদের আইকন তিনি। এক সময় পতিদার আমানত আন্দোলন সমিতির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হার্দিক। পতিদার অধ্যুষিত সুরাত, সৌরাষ্ট্র ও উত্তর গুজরাতে হার্দিকের ভালই জনপ্রিয়তা রয়েছে। তাই ভোটের আগে হার্দিক কংগ্রেস ছাড়লে শতাব্দী-প্রাচীন দলটি গুজরাতে বেশ বেকায়দায় পড়বে বলেই ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।

    জনপ্রিয়তার নিরিখে অন্যদের তুলনায় হার্দিক বেশ কয়েক কদম এগিয়ে ছিলেন। তাই তাঁকে দেওয়া হয়েছিল গুজরাত ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব। সেই তিনিই এখন লাগাতার আক্রমণ শানাচ্ছেন কংগ্রেসকে। সোনিয়া গান্ধীর দলকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, আমার নিজেকে এমন একজন নতুন বরের মতো মনে হচ্ছে, যাঁকে বন্ধ্যাত্বকরণে বাধ্য করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : “এখনই বিশ্রাম নয়, আমার স্বপ্ন অনেক বড়…”, প্রবীণ সাংসদের কৌতুহল মেটালেন মোদি

    শুক্রবার থেকে রাজস্থানের উদয়পুরে শুরু হয়েছে কংগ্রেসের চিন্তন শিবির (Chintan Shivir)। চলবে তিনদিন। ওই শিবিরে যোগ দেননি হার্দিক। অথচ, শিবিরে লোকসভার পাশাপাশি গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা। গুজরাতের এক প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বলেন, হার্দিককে চিন্তন শিবিরে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কি না, তা জানি না।

    কংগ্রেসকে লাগাতার আক্রমণের পাশাপাশি হার্দিকের মুখে শোনা গিয়েছে বিজেপি-স্তুতিও। পতিদার আন্দোলনের অন্যতম এই মুখ বলেন, বিজেপির বেশ কিছু প্রশংসনীয় দিক রয়েছে, যা আমাদের স্বীকার করা উচিত।

    ট্যুইটার (Twitter) থেকে কংগ্রেসের নাম মুছে দিলেও, তিনি যে কংগ্রেস ছাড়ছেন, তা স্বীকার করেননি হার্দিক স্বয়ং। উল্টে তাঁর দাবি, তিনি এখনও কংগ্রেসেই রয়েছেন।

    রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ভোটের মুখে দল ছেড়ে হার্দিক যোগ দিতে পারেন বিজেপিতে। তার আগে কংগ্রেসকে কুকথা বলে গেরুয়া শিবিরে একলপ্তে বেশ খানিকটা দর বাড়িয়ে নিতে চাইছেন পতিদার আন্দোলনের এই নেতা।

     

     

  • INS Vikrant: আইএনএস বিক্রান্তের জন্য ২৬টি যুদ্ধবিমান সরাসরি কিনবে নৌসেনা?

    INS Vikrant: আইএনএস বিক্রান্তের জন্য ২৬টি যুদ্ধবিমান সরাসরি কিনবে নৌসেনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তের (INS Vikrant) জন্য ২৬টি নৌ-যুদ্ধবিমান কিনবে ভারত। প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, ফাইটার জেটের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নৌবাহনীর শক্তি বৃদ্ধি হবে। এর ফলে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে ভারত। নৌবাহিনীর সুপারিশে এই যুদ্ধবিমানগুলি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

    গত জানুয়ারিতেই গোয়ায় ভারতীয় নৌবাহিনীর পরীক্ষা কেন্দ্রে ফরাসি রাফাল-মেরিনের (Rafale-M) পরীক্ষা হয়েছে। অন্যদিকে আগামী ১৫ জুনের মধ্যে মার্কিন ‘এফ-১৮ সুপার হর্নেট’ (F-18 Super Hornet) -এর ট্রায়ালও সেরে ফেলা হবে। দুটি যুদ্ধবিমানেরই গোয়ার পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু সেগুলি এখনও ভারতের একমাত্র বিমানবাহী ক্যারিয়ার জাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্যে (INS Vikramaditya) অবতরণ করেনি। কারণ বর্তমানে এই বিমানবাহী রণতরীটি রক্ষণাবেক্ষণের অধীনে রয়েছে। জুনের পরে যাত্রা শুরু করবে।

    সূত্রের খবর, আগামী ১৫ অগস্ট, স্বাধীনতা দিবসে বিক্রান্তকে আনুষ্ঠানিকভাবে নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। ২৬২ মিটার উঁচু, ৬২ মিটার চওড়া এবং ৫৯ মিটার উঁচু আইএনএস বিক্রান্তে ১,৭০০-রও বেশি নৌসেনা এবং অফিসারের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে মহিলা অফিসারদের থাকার জন্য পৃথক ব্যবস্থা। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২৮ নট (প্রায় ৫২ কিলোমিটার)। রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৯০ মিটারেরও বেশি। ‘অ্যারেস্টেড হুক’ ব্যবহার করে তেজসের মতো আধুনিক যুদ্ধবিমানও ওঠানামা করতে পারবে এই বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ থেকে।

    আরও পড়ুন: ভারতীয় নৌ, বায়ুসেনার হাতে আসছে দেশীয় “অস্ত্র”

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বৃটিশ নৌবাহিনীর জন্য তৈরি করা বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ হারকিউলিস পাঁচের দশকে কিনেছিল ভারত। নাম দেওয়া হয় আইএনএস বিক্রান্ত। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে উজ্জ্বল ভূমিকা ছিল সেই বিক্রান্তের। প্রায় ৪ দশক কাজ করার পরে নয়ের দশকের শেষপর্বে বিক্রান্ত অবসর নেয়। ভেঙে ফেলা হয় জাহাজটি। তারই স্মৃতিতে তৈরি হয়েছে প্রথম ‘ভারতীয়’ বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজটি।

    মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানান, বিক্রান্তের জন্য নতুন মোট ২৬টি যুদ্ধবিমান কেনার কথা ভাবা হচ্ছে। তার মধ্যে ৮টি টুইন সিটার প্রশিক্ষক বিমান। প্রশিক্ষক বিমানের মাধ্যমে নৌসেনার নতুন পাইলটদেরও যুদ্ধবিমান চালনার ট্রেনিং দেওয়া যাবে। তবে, এগুলি যে শুধু ট্রেনিংয়ে ব্যবহৃত হবে, তা নয়। যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে ফাইটারগুলি ভারতেই রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত করা যাবে।

     

  • Dilip Ghosh: “খালি মোদিজীর টাকায় ফুটানি মারবেন…মানুষ কি বুঝতে পারে না!”, মমতাকে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের

    Dilip Ghosh: “খালি মোদিজীর টাকায় ফুটানি মারবেন…মানুষ কি বুঝতে পারে না!”, মমতাকে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি কেন্দ্রের (central government) কাছে বিপুল বকেয়া টাকার (pending dues) হিসেব নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন (Nabanna) সভাঘর থেকে কেন্দ্রের এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Modi) বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। এমনকী, রাজ্যের চিঠিতে কেন্দ্র  জবাব দিচ্ছে না অভিযোগ তুলে মোদি সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি। এবার এই ইস্যুতেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে পাল্টা বিঁধলেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

    প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতার তোলা অভিযোগের একের পর এক জবাব দিলেন বিজেপি সাংসদ। বললেন, ‘‌রাজ্যের বকেয়া রয়েছে নাকি। দিল্লির কাছে আমিও জানতে চাইছি ৯৭ হাজার কোটি টাকার হিসেব এল কোথা থেকে? ৪৩ হাজার কোটি টাকা আমফান–সহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য তা বোঝা গেল৷ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেলিকপ্টারে চড়ে যে খরচ করেছেন সেই খরচ দাবি করছেন। 

    অন্য রাজ্যের উদাহরণ দিয়ে বিজেপি নেতার  আরও কটাক্ষ, ‘পার্টির লোককে সরকারি পয়সায় পুষবেন আর সেই টাকা দিল্লি দেবে? অন্য রাজ্য কান্নাকাটি করে না। কেন টাকা নেই টাকা নেই বলে দাবি? খালি মোদিজির টাকায় ফুটানি মারবেন। আর দিল্লির প্রকল্প নিজের নামে চালাবেন। বাংলার মানুষ কি বুঝতে পারে না?’

     

     

     

  • Jahangirpuri violence: “৭০ বছরের তোষণের ফল”, দিল্লি হিংসা নিয়ে কংগ্রেসকে তোপ বিজেপির

    Jahangirpuri violence: “৭০ বছরের তোষণের ফল”, দিল্লি হিংসা নিয়ে কংগ্রেসকে তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হনুমান জয়ন্তীর দিন উত্তর-পশ্চিম দিল্লিতে ঘটে যাওয়া হিংসার ঘটনায় কংগ্রেস জমানার তোষণের নীতিকেই মূল কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করল বিজেপি। দলের জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র জানিয়েছেন, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে গত ৭০ বছরের তোষণের নীতি। 

    জাহাঙ্গিরপুরীর সংঘর্ষের ঘটনায় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি সহ ১৩টি বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে দেশে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার নিন্দা করে একটি যৌথ বিবৃতি পেশ করা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায়, কংগ্রেস সহ বিরোধীদের একহাত নেয় বিজেপি। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র স্পষ্ট জানান, বিরোধীদের এই ‘পক্ষপাত রাজনীতি’ দেশের ক্ষতি করে চলেছে। তাঁর মতে, এই ঘটনার তদন্ত হচ্ছে এবং তাতে কী বের হচ্ছে, তার জন্য অপেক্ষা করা উচিত। 

    একইসঙ্গে, যৌথ বিবৃতি পেশ করার জন্য কংগ্রেস সহ বিরোধীদের তীব্র সমালোচনা করেন সম্বিত। বলেন, কয়েকজন রাজনৈতিক নেতানেত্রীর এহেন পক্ষপাতমূলক রাজনীতি দেশের জন্য উপযুক্ত নয়। এতে দেশের আখেরে ক্ষতিই হচ্ছে। সম্বিতের প্রশ্ন, আজ সোনিয়া গান্ধি মতাদর্শের কথা বলছেন। প্রশ্ন হল, কোন মতাদর্শ আজকের এই ঘটনার জন্য দায়ী? বিজেপি মুখপাত্র বলেন, এর জন্য দায়ী একটাই মতাদর্শ যা, গত ৭০ বছর ধরে চলে আসছে। তা হল, তোষণের মতাদর্শ। তোষণের এই নীতি ও রাজনীতি ভীষণই দুর্ভাগ্যজনক।

    আবার দিল্লি বিজেপির সভাপতি আদেশ গুপ্তর মতে, অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী এবং রোহিঙ্গারাই জাহাঙ্গিরপুরীর হিংসার জন্য দায়ী। এই নেতার অভিযোগ, আম আদমি পার্টি এদের বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, জল, রেশন দেওয়া থেকে শুরু করে রাজনৈতিক সুরক্ষাও প্রদান করছে। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি খণ্ডন করেছে আম আদমি পার্টি।

    এদিকে, জাহাঙ্গিরপুরীর সংঘাত কড়া হাতে দমনের নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লির পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানা আশ্বাস দেন, কোনও রকম প্রভাব খাটানোর প্রশ্নই নেই। একেবারে নিরপেক্ষ তদন্ত হচ্ছে। ১৪টি টিম ঘটনার তদন্ত করছে। তিনি জানিয়েছেন, জাহাঙ্গিরপুরীতে হনুমান জয়ন্তীর দিন যাঁরা অশান্তি পাকিয়েছে তাঁদের খুঁজে বের করে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। কোনও রকম রেয়াত করা হবে না।

  • BJP Parliamentary Board: বিজেপিতে বদল! তৈরি হল নয়া সংসদীয় বোর্ড, বাদ পড়লেন নিতিন গড়কড়ি, শিবরাজ সিং চৌহান

    BJP Parliamentary Board: বিজেপিতে বদল! তৈরি হল নয়া সংসদীয় বোর্ড, বাদ পড়লেন নিতিন গড়কড়ি, শিবরাজ সিং চৌহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় সড় সাংগঠনিক রদবদল ঘটল ভারতীয় জনতা পার্টিতে (BJP)। বুধবার (১৭ অগাস্ট), ১১ সদস্যের নতুন সংসদীয় বোর্ড গঠন করল বিজেপি। বাদ দেওয়া হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি এবং মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে। ঠাঁই হয়নি যোগী আদিত্যনাথেরও। বোর্ডে নতুন জায়গা পেলেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা এবং প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ইকবাল সিং লালপুরা। প্রসঙ্গত, এই সংসদীয় বোর্ডই বিজেপির সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা। এছাড়া এদিন একটি নির্বাচনী কমিটিও তৈরি করা হয়েছে, তাতে মোট সদস্য রয়েছেন ১৫ জন। সেই সদস্য তালিকায় সংসদীয় বোর্ডের ১০ জন রয়েছেন, শুধু সেই কমিটির বিএল সন্তোষ নেই নির্বাচনী কমিটিতে। এ ছাড়াও রয়েছেন, ভুপেন্দ্র যাদব, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, ওম মাথুর, বিএল সন্তোষ, বনথী শ্রীনিবাস।

    বিজেপির আভ্যন্তরীণ গঠনতন্ত্রে সংসদীয় বোর্ডের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। এই কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি শাসিত রাজ্যে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপির প্রধান কে হবেন। এই কমিটি অনেক সময়ই দলের মুখ্যমন্ত্রীদের বা রাজ্য সভাপতিদের ডেকে পাঠায়, নানা নির্দেশও দিয়ে থাকে। এহেন কমিটি থেকে নিতিন গড়কড়ি ও শিবরাজ সিং চৌহানকে সরিয়ে দেওয়া যথেষ্টই চাঞ্চল্যকর পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। নিতিন গড়কড়ি মোদি মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী তো বটেই, তাছাড়া তিনি দলের প্রাক্তন সভাপতিও।

    আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ভারত থেকে বের করে দেওয়া উচিত, মত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    নয়া বোর্ডের নেতৃত্ব দেবেন দলের জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বোর্ড সচিব হয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ। বোর্ডে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ এবং কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। এছাড়া ১১ সদস্যের এই বোর্ডে জায়গা পেয়েছেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ইকবাল সিং লালপুরা, প্রাক্তন সাংসদ সত্যনারায়ণ জটিয়া, বিজেপির জাতীয় ওবিসি মোর্চার সভাপতি কে লক্ষ্মণ এবং জাতীয় সম্পাদক সুধা যাদব।

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিজেপির নয়া সংসদীয় বোর্ডে সামাজিক ও আঞ্চলিক প্রতিনিধিত্ব আরও বাড়ানোর লক্ষ্যেই প্রয়োজনীয় রদবদল করা হয়েছে। যেমন, সংখ্যালঘু শিখ সম্প্রদায়ের প্রথম সদস্য হিসেবে বিজেপির এই সর্বোচ্চ সিদ্ধান্তগ্রহণকারী বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হল ইকবাল সিং লালপুরাকে। রয়েছেন উত্তরপূর্ব ভারত (সোনোয়াল), দক্ষিণ ভারত (ইয়েদুরাপ্পা), তফসিলি উপজাতির (কে লক্ষ্মণ) প্রতিনিধিরাও।

  • Dilip Attacks Partha: কার চক্রান্তের কথা বলছেন? পার্থকে নিশানা দিলীপের, আক্রমণ অর্পিতাকেও

    Dilip Attacks Partha: কার চক্রান্তের কথা বলছেন? পার্থকে নিশানা দিলীপের, আক্রমণ অর্পিতাকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chaterjee)। সম্প্রতি তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করেছে তাঁর দল তৃণমূল (TMC)। পার্থের মাথার ওপর থেকে আশীর্বাদী হাত সরে গিয়েছে তৃণমূল নেত্রীর। আক্ষরিক অর্থেই একা হয়ে গিয়ে পার্থের দাবি, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। পার্থের এই দাবিকেই হাতিয়ার করেছেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর প্রশ্নবাণ, পার্থবাবু কার চক্রান্তের কথা বলছেন?

    এসএসসি দুর্নীতিকান্ডে তদন্তে নেমে কেঁচো নয়, কেউটের সন্ধান পেয়েছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। পার্থ ও তাঁর ঘনিষ্ঠ জনৈক অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে রাশি রাশি টাকা। হাইকোর্টের নিয়ম মেনে এদিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পার্থ অর্পিতাকে। সেখানেই কান্নায় ভেঙে পড়েন অর্পিতা। আর পার্থ দাবি করেন তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। পার্থের এই ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’কেই অস্ত্র করেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর প্রশ্ন, পার্থবাবু কার চক্রান্তের কথা বলছেন? দিলীপ বলেন, উনি কোনও সাধারণ মানুষ নন। ওনার দায়িত্ব লোকের সামনে নিয়ে আসা। উনি মন্ত্রী, এত বড় নেতা, পুরানো রাজনীতিবিদ। তাই লোকে ওনাকে এত টাকা দিয়েছিল। তিনি বলেন, মানুষের বিশ্বাসটাকে রেখে বাংলার রাজনীতি যাতে কলুষমুক্ত হয়, সেজন্যও অন্তত ওনার বলা উচিত কারা চক্রান্ত করছে। এখন ফেঁসে গিয়েছেন। সত্যি সত্যিই কেউ চক্রান্ত করে থাকলে বলা উচিত।

    আরও পড়ুন : বেনামি ফ্ল্যাটের ‘মালকিন’ অর্পিতা, ভিজিটরদের নাম-ধাম জানতে কেন নিষেধ ছিল নিরাপত্তাকর্মীদের?

    এদিন অর্পিতাকেও নিশানা করেছেন দিলীপ। বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি বলেন, উনিও ঘর থেকে বেরনোর সময় বলেছিলেন বিজেপির চক্রান্ত। কান্নাকাটি করে তো আর বাঁচা যাবে না। তাহলে হয়তো লঘু হতে পারে সাজা। নইলে আরও কঠোর সাজা হবে। তিনি বলেন, উনি কান্নাকাটি না করে সত্য সামনে নিয়ে আসুন।

    এদিন তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন প্রদেশ কংগ্রস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। তিনি বলেন, তৃণমূলের ভোটার, সমর্থকরা সৎ। তাঁদের সততা, আন্তরিকতাকে ব্যবহার করে তৃণমূলের নেতারা ধনকুবেরে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলার মানুষ নতুন চেহারা দেখছেন তৃণমূলের। সবে তো শুরু হয়েছে, এখনও অনেক বাকি রয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন : পার্থকে সরালেও এখনও কেন বহাল পরেশ? মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

    বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, কে ষড়যন্ত্র করেছে, সেই নামটা ওঁর নির্দিষ্ট করে বলা উচিত। কারণ বাংলার মানুষ গভীরতম ষড়যন্ত্রের শিকার। বাংলার মানসম্মান নষ্ট হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বলা উচিত কে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। না হলে একথা বলার কোনও মানে হয় না। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, চক্রান্ত হলে আইনের পথ খোলা রয়েছে।

     

LinkedIn
Share